ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ১৮ টি গুনাগুণ ও টিপস

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে জানুন। ড্রাগন ফলের খোসা আর কোনদিনও ভুলেও ফেলে দিবেন না এই খোসার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ড্রাগন ফল আমাদের দেশের না হলেও বর্তমানে আমাদের দেশে এর প্রচলন অনেকটাই বেড়েছে।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা



ড্রাগন ফল খেয়ে একদিকে আমরা পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারি। পাশাপাশি ড্রাগন ফলের খোসা রূপচর্চার কাজেও  ব্যবহার করা যায়। চলুন জেনে নেই এর উপকারিতা সহ সকল দিক গুলো।


পেইজ সুচিপত্রঃ ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ১৮ টি গুনাগুণ ও টিপস

 

 ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ও কিছু গোপন টিপস


ড্রাগন ফলের খোসা ভুলেও ফেলে দিবেন না। কারণ ড্রাগন ফলের  বিভিন্ন গুন ও আশ্চর্যজনক কিছু ক্ষমতা আছে। আমাদের দেশের ড্রাগন ফল এখন ব্যাপক হারে পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল খাওয়ার পরে সেই খোসা ফেলে না দিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে অনেক উপকার পাওয়া যায়। গোপন কিছু টিপস সম্পর্কে জেনে নিন আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক উপকারে আসবে। 

ড্রাগন ফলের খোসা ছাড়িয়ে  নিতে হবে, দুটি ড্রাগন ফলের, এরপর 150 গ্রাম পানি নিতে হবে। এরপর ড্রাগন ফলের খোসা গুলো ছোট ছোট টুকরাতে কেটে একটি পাত্রে 150 গ্রাম পানি নিয়ে, পানিটি গরম করতে হবে। পানিতে একটু গরম হয়ে আসলেই ড্রাগন ফলের কুচি করা খোসা গুলো পানির ভিতরে দিতে হবে। এবং কিছুক্ষণ সময় জ্বাল করতে হবে। 

জ্বাল করতে থাকলে ড্রাগন ফলের খোসা গুলো পানির সাথে বিক্রিয়া করে লাল বর্ণ ধারণ করবে পানির কালার। এবার আপনি ড্রাগন ফলের খোসার জল গুলো নামিয়ে নিয়ে। ছাকনি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করার পরে দেখতে পাবেন ড্রাগন ফলের খোসার রস মিশ্রিত পানি গুলো অনেক সুন্দর একটি রূপ ধারণ করেছে। ড্রাগন খোসার সেই পানিগুলো ব্যবহার করুন।


যেভাবে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাবেন তা হলো। ড্রাগন ফলের খোসার পানি গুলো  খেয়ে নিলেও উপকার পাবেন। ড্রাগন ফলের খোসার জুস হিসেবেও খেতে পারেন। একটু স্বাদ বাড়ানোর জন্য লেবুর রস, কমলালেবুর রস লবণ ইত্যাদি মিশিয়েও স্বাদমতো বানিয়ে খেতে পারেন ড্রাগন ফলের খোসার রসে অনেক উপকার পাবেন। 

ড্রাগন ফলের খোসার রস নিয়মিত খাবার অভ্যাস করলে আপনি পেতে পারেন বিভিন্ন রোগ মুক্তি। যেমন ডায়াবেটিস হৃদরোগ দৃষ্টিশক্তি সহ আরো অনেক ভয়াবহ রোগ। এছাড়াও রূপচর্চার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় ড্রাগন ফলের খোসার রস। ড্রাগন ফলের খোসা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি জিংক এবং নিয়াসিনামাইড বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে। 

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ১৮ টি গুনাগুণ


ড্রাগনের খোসার এই উপাদানগুলো মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ত্বকের যত্নে ও মসৃণতা বজায় রাখতে কাজে আসে। চলুন জেনে এই বিশেষ কিছু উপকারিতা ড্রাগন ফলের খোসার।
  • মুখে ব্রণ সারানোর জন্য ড্রাগন ফলের খোসা ব্যবহার করা যায়। 
  • বিভিন্ন রোগ মুক্তি পাওয়া যায়।
  • শরীরে ভিটামিনের অভাব পূরণ করে। 
  • গর্ভবতী মায়েদের গর্ভস্থ শিশুর বিকাশে সাহায্য করে। 
  • বদহজম হলে সাহায্য করে। 
  • এলার্জি প্রতিক্রিয়া থেকেও রক্ষা করে। 
  • শরীরে সুগারের পরিমাণ কম থাকলে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 
  • শারীরিক দুর্বলতা ঠিক করতে সাহায্য করে। 
  • হৃদ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। 
  • দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 
  • বিভিন্ন উপায়ে রূপচর্চা করা যায়।
  • রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। 
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে ।
  • ড্রাগন ফল মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণেও প্রভাব ফেলে। 
  • হাইড্রোজেনের সাহায্য করে। 
  • ইমিউন সিস্টেম বাড়াই ড্রাগন ফল। 
  • পুষ্টির অভাবে চুল পড়া রোধ করে। 
  • ড্রাগন ফল কিডনি সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

ত্বকে ব্রণ থাকলে দূর হয়ে যায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, তোকে হাইড্রিক করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের খোসা জুস হিসেবেও কাজে লাগানো হয়। এর পেস্ট তৈরি করে গোলাপ জলের সাথে মিশিয়ে কাঁচা দুধ যোগ করতে হবে। এরপর বোতলে বন্দি করে 20 মিনিট রাখুন এবং ত্বকে ব্যবহার করুন। 

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ও রসের উপকারিতা


ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা পাশাপাশি ড্রাগন ফলের ও অনেক উপকারিতা রয়েছে। এ ফল বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। ড্রাগন ফল কে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উৎস বলে থাকা হয়। একটি পূর্ণবয়স্ক ড্রাগন ফলে প্রায় সাত গ্রাম ফাইবার থাকে যা দৈনিক খাবারের চার ভাগের এক ভাগ চাহিদা পূরণ করে। এছাড়াও হৃদপিন্ড সুস্থ রাখতে বিশেষ ভাবে কাজ করে ড্রাগন ফলের রস। ড্রাগন ফলের উপকার গুলো হলো। 

ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও আঁশযুক্ত একটি খাবার। যা খেলে মানব শরীরের চর্বি কমিয়ে শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে। ড্রগন ফল হৃদপিন্ডের সুস্বাস্থ্যের জন্য খাওয়া যায়। আরো কিছু রোগ যেমন কষ্ট্কাঠিন্য. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে। ড্রাগন ফলে লাইকোপেন আছে যার কারণে ড্রাগন ফল ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করতে পারে। 

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ও কাজ করে, ড্রাগন ফল একটি ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার। ড্রাগন ফলে এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা বিপাকীয় কাজের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম জিংক রয়েছে। যার শরীরের মুল অঙ্গ হাড় ও দাঁত এর সুস্থতা তে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন পরিমাণে প্রয়োজনীয় উপকরণ যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং সহায়ক বন্ধু হিসেবে কাজ করে।নিয়মিত বা পরিমাণমতো যে কোন ফল খেলে তার উপকারিতা পাওয়া যায় ঠিক তেমনি ড্রাগন ফলের রয়েছে বিভিন্ন গুনাগুন ও উপকারিতা পাশাপাশি রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিক। ড্রাগনের অপকারিতাগুলো জেনে নেই চলুন। 

ড্রাগন ফল হলো এক প্রকারের ক্যাকটাস জাতীয় ফল। ড্রাগন ফলের একটি উদ্ভিদ তান্ত্রিক নাম আছে যা Hylocereus undatus. ড্রাগন ফল প্রকাশ পেয়েছে সর্বপ্রথম আমেরিকাতে। 2007 সালে থেকে বাংলাদেশের চাষ করে ভিয়েতনাম, ফ্লোরিডা, এবং থাইল্যান্ড থেকে বীজ সংগ্রহ করার মাধ্যমে এদেশে চাষাবাদ শুরু করা হয়।

ড্রাগন ফল অতিরিক্ত ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতাখেলে কি হয়


ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা আছে ব্যবহার বিধি জানলে এবং সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে এর উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু এ ফলের কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যা তৈরি করতে পারে আপনার শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা। 
  • এলার্জি সমস্যা থাকলে তা বৃদ্ধি করে দেয়। 
  • অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। 
  • এটা মৌসুমী ফল এবং অনেক দামি।
  • আমাদের দেশের সীমিত পরিমাণে পাওয়া যায়। 
  • টাকা থাকলেও কিনতে পাওয়া যায় না। 
ড্রাগন ফলের অনেক রকমের জাত আছে এদের মধ্যে কিছু কিছু জাতের আবার সাইড ইফেক্ট রয়েছে। তাই অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে ডায়রিয়া হতে পারে ড্রাগন ফলে হাইপোটেনশন আছে যা নিম্নচাপ প্রক্রিয়া তৈরি করার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে মানুষের শরীরে। 

ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় 


আমরা সবাই জানি যে সকল কিছুরই ভালো এবং খারাপ দিক থাকে এবং তা নির্ভর করে কিছুটা ব্যবহারের উপরে। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ক্ষতির পরিমাণটা কম হয় এবং যে কোনো ফলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা আর পাশাপাশি রয়েছে এই ফলে কিছু সাইড ইফেক্ট। যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং বিপদজনক তাই বাঁচার উপায় গুলো জেনে নিন। 

ড্রাগন ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং পুষ্টিতে ভরপুর। ড্রাগন ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এলার্জি হতে পারে এছাড়াও ডায়রিয়া, রক্তের নিম্নচাপ সৃষ্টি করে। একটি পরিপূর্ণ ড্রাগন ফলে যে ভিটামিনের পরিমাণ রয়েছে তা হল। প্রতি 100 গ্রাম ড্রাগন ফলের রয়েছে 21 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খনিজ লবণ। এই ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে।


প্রতি 100 গ্রাম ড্রাগন ফলে তিন গ্রাম আঁশ থাকে যা দৈনিক চাহিদার 12 শতাংশ পুরণ করে। কিছু এসিড যেমন ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড ও ওমেগা 9 থাকে। এছাড়াও একটি ড্রাগন ফলে প্রায় 7 গ্রাম ফাইবার থাকে। বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা অপরিণত অবস্থায় বেশি টাকার বা বেশি লাভের জন্য ড্রাগন ফল কে হরমোন প্রয়োগের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি বাজারে বিক্রি করছে। 

তাই আপনার আমার সকলের উচিত সঠিক নির্বাচন করে ভালো ড্রাগন ফল কিনে বা চাষ করে খাওয়ার। আর খারাপ ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য সঠিক খাবার খাওয়া দাওয়া অত্যান্ত প্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যক। তাই বাজার থেকে ড্রাগন ফল কিনতে হলে তাতে কোন ফরমালিন বা হরমোন যোগ করা আছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হন। 

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা 


ড্রাগন ফলে তেমন কোনো ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায়নি। গর্ভ অবস্থায় মহিলাদের অনেক ধরনের শারীরিক পুষ্টিহীনতায় ভুগতে হয়। নারীদের গর্ভ অবস্থায় শরীরের আয়রন ও ওমেগা 3 এর ঘাটতি পূরণে বিভিন্ন ধরনের ক্যাপসুল খেতে হয়। ড্রাগন ফল এই ধরনের অভাব বা ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে যার ফলে, গর্ভাবস্থায় ক্যাপসুল খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
 
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা



গর্ভ অবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে গর্ভধারণের প্রথম অবস্থায় এই গর্ভ ভ্রূণের পুষ্টি সমৃদ্ধ এর কাজে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে রয়েছে। যা বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। আবার ড্রাগন ফলে ও রয়েছে ব্যাপক উপকারিতা গর্ভবতী মায়েদের জন্য। ড্রাগন ফলের ওয়েবসাইট ভিটামিন বি , ফলেট, এবং আয়রন রয়েছে। 

ড্রাগন ফলের ভিটামিন খনিজ এবং এন্ট্রি অক্সিজেন যা হজমে ও সহযোগিতা করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ড্রাগন ফল গর্ভবতী মায়েদের জন্য আদর্শ ফল হিসেবেও বিবেচিত করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণ ফুলেট রয়েছে যা নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে গর্ভ অবস্থায় শক্তি সঞ্চালনায় সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। 

যা গর্ভবতী মায়েদের গর্ভস্থ শিশুর বিকাশে সাহায্য করে। ও হাড়ের দৃঢ়তা তে ভূমিকা রাখে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও রয়েছে যা নারীদের পোস্টমেন প্রজাল এর মত সমস্যার বিরুদ্ধেও কাজ করে। ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমে যায় এটি রক্তের শতকরার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ও সাহায্য করে ও নিয়ন্ত্রণ করে। 

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ড্রাগন ফল, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর ড্রাগন ফলের রস। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এবং এটি হার্টের জন্য অনেক উপকারী। বিফলের ক্ষুদ্র বীজগুলো ওমেগা 3 এবং ওমেগা 9 এসিড সমৃদ্ধ হার্টের জন্য কাজ করে। গর্ভবতী নারীদের রক্তের প্রেসার রক্তচাপ সহ বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব পূরণের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। 

বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা 


বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকল ধরনের মানুষের জন্য উপকারী ফল ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন এ আছে এছাড়াও রয়েছে বিট ক্যারোটিনের মতো বিশেষ উপাদান। যা  দৈহিক দিক  শক্ত হাড়ের গঠন ইত্যাদি ধরনের সমস্যা থেকে বাচাই। এছাড়াও ড্রাগন ফলে ভিটামিন b1 b2 b3 ও ভিটামিন সি, আয়রন ক্যালসিয়াম।

 আরো অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ড্রাগন ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শিশুর কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয় এবং দেহের ক্ষতি এড়াতে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শিশুদের হার্টকে সুরক্ষা রাখে যা একটি শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী হাড় গঠনে সাহায্য করে এবং স্কার্ভি জাতীয় ঘাটতি জড়িত রোগ প্রতিরোধ করে।



অন্তের জন্য ভালো কাজ করে, বিভিন্ন সময় দেখা যায় শিশুদের পেট ফেটে যায় এর সমাধান হিসেবে ড্রাগন ফল খাওয়া যায়। ছোটদের ড্রাগন ফল একটি আয়রনের উৎস হিসেবে গণ্য করা যায়। স্নায়ুতন্ত্র এর জন্য ভালো ড্রাগন ফলের মধ্যে ফসফরাস সোডিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সামগ্রী স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রম নিশ্চিত করে ও সংবেদনশীলতা প্রদান করে।

বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ানোর আগে যেই বাচ্চাটিকে ড্রাগন ফল খাওয়াবেন সেই বাচ্চার সম্পর্কে কিছু তথ্য সংগ্রহ করুন যা হলো। কিছু কিছু সময় দেখা যায় এলার্জি থাকলে ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে এলার্জির পরিমাণ বা মাত্রা বেড়ে যায়। এলার্জির কিছু লক্ষণ দেখা দিলে ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়াও ডায়রিয়া রোগের জন্য এবং ভোলা বাড়ির মতো লক্ষণ দেখা দেয়। 

বাচ্চাদেরকে ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে এর থেকে এসিড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এসিড হলে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়া পরে পেট জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই বাচ্চাদেরকে ড্রাগন ফল খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু জিনিস পরীক্ষা করে নিন। 

ড্রাগন ফল দিয়ে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় 


বর্তমানে অনেক শিশুই কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের কারণে সুস্থ জীবনকে ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে। চলুন জেনে নেই কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় যার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায়। আল্লাহতালার সৃষ্টি অনেক কিছু খাবার রয়েছে যা রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করছে। ঠিক তার মধ্যে রয়েছে ড্রাগন ফল, ও ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা। 

ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার আর এই ডায়াটারি ফাইবার কি শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে সহযোগিতা করে। ঘরোয়া সহজ উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হলে খাবারের তালিকার পাশে ড্রাগন ফলের রস ,ড্রাগন ফল এবং এ ফলের খোসার ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন ড্রাগন ফলের জুস করে খেলে বাচ্চাদের মলদ্বারের কোন সমস্যা থাকলে ঠিক হয়ে যাবে।


তাই আপনার শিশু বা বাচ্চাকে সকল সমস্যা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিদিন ড্রাগন ফল খাওয়ার পরামর্শ দিন। যাতে ডাকবো ফল খাওয়ার মাধ্যমে এ সকল সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তাই বাচ্চাদের সকল কিছুর দিকে মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি খাবারের দিকে মনোযোগ দিয়ে অত্যন্ত প্রয়োজন বলে তাদেরকে পুষ্টিকর এবং গুণ সম্বন্ধে খাবার দিতে হবে। 


ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত 


উন্নয়নে ফলের মত ড্রাগন ফলের রয়েছে বিশেষ পুষ্টিগুণ ও ক্ষমতা। যার করে তুলেছে ড্রাগন ফল  একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু একটি খাবার। এই ফলকে আদর্শ ফল হিসাবেও ধরা যায়। কারণ এই ফোনে রয়েছে বহুবিধ পুষ্টিগুণ উপাদান। তাই সকল বয়সের মানুষ ড্রাগন ফল খাওয়ার মাধ্যমে বিশেষ উপকারিতা পাই যেমন বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

  • প্রতি ৩০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে পুষ্টির পরিমাণ।ড্রাগন ফলে রয়েছে থায়ামিন ক্যারোটিন ও রিবোফিলামিন কম পরিমাণে, এছাড়া রয়েছে। 
  • খাদ্যশক্তি ১০৫-১৫০ কিলো ক্যালরি 
  • জলীয় অংশ ২৪০ গ্রাম 
  • ড্রাগন ফলে আঁশের পরিমাণ রয়েছে ০.৯৯-২.৭ গ্রাম 
  • ফ্যাট রয়েছে ০.৩০-১.৮ মিলিগ্রাম 
  • ক্যালসিয়াম রয়েছে ড্রাগন ফলে ১৮-৩০ মিলিগ্রাম 
  • ভিটামিন বি ৯.০-১.২ মিলিগ্রাম ও অল্প ভিটামিন এ 
  • ড্রাগন ফলে রয়েছে আর শর্করার পরিমাণ ১০-২৭ গ্রাম 
  • ড্রাগন ফলে ফসফরাসের পরিমাণ ৪৮-১০৫ গ্রাম 
  • ড্রাগন ফলে আয়রনের পরিমাণ ০.৯-২.১ মিলিগ্রাম 
  • এবং ড্রাগন ফলে প্রোটিনের পরিমাণ ০.৪৫-০.১৫ গ্রাম

তাহলে দেখা যাচ্ছে একটি ড্রাগন ফলে প্রতি 300 গ  কি পরিমাণ প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে যা প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে প্রয়োজন হয়। এবং আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি সেই সকল চাহিদা পূরণ করার জন্য আর এই একটি মাত্র ফলে এত পরিমাণ ভিটামিন আছে তাই এটা খাওয়া সকলের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং সহায়ক।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানুন


যে কোন খাবার খাবার পূর্বে যেমন আমরা সঠিক খাবার নির্বাচন করতে চাই। ঠিক তেমনি ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য আমাদেরকে সঠিক ফল নির্বাচন করতে হবে। বাজারে অনেক ধরনের ফল পাওয়া যায় যেখানে বিভিন্ন ধরনের ফল থাকে। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা রয়েছে। তাই সম্পূর্ণ উপকার পেতে ভালো মানের ড্রাগন ফল কিনুন। 

ড্রাগন ফল কেনার সময় ফলের বাইরের খোলার উপর দেখুন। এটা দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন ফলটি টাটকা না পচা বা কোন সমস্যা আছে কিনা। এভাবে দেখে শুনে ফলটি সংগ্রহ করে খাবার পূর্বে প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নিন পরিষ্কার পানিতে। ভালো করে পরিষ্কার করে নেওয়ার পরে টুকরো টুকরো করে কেটে ছোট করে নিন।

 খোসাগুলো ছাড়িয়ে সংরক্ষণ করে রাখুন কারণ ড্রাগন ফলের খোসার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ড্রাগন ফল কে ধীরে ধীরে আরামে আরামে খাওয়া উচিত। ড্রাগন ফলের বিশেষ উপকারিতা পেতে হলে পরিপূর্ণ পাকা ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত পরিমাণ ড্রাগন ফল না খেয়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে যাতে আপনার উপকার হবে। 

এবং আপনার যদি কোন খাবার বিষয়ে কোন সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে তারপরে ড্রাগন ফল খাবেন। কারণ অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া নিম্নচাপ সহ আরো কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সাবধানতা অবলম্বন করে খান উল্লেখিত নিয়মগুলো মেনে ড্রাগন ফল খেলে এর বিশেষ উপকারিতা পাওয়া যাবে। 

লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 


প্রত্যেক ধরনের ড্রাগন ফলে বিশেষ কিছু গুণ বা উপাদান রয়েছে যার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। লাল ড্রাগন ফলের খোসার অনেক উপকারিতা রয়েছে। পাশাপাশি এ ফলের ও অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিছু কিছু ভিটামিন উৎস হিসেবেও লাল ড্রাগন ফল কে ধরা যায়। লাল ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ,ওমেগা ফ্যাটি এসিড থাকে।

বিটা ক্যারোটিন ও লাইকোপেন এর মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়াও ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও আয়রন যা শরীরর আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সাহায্য করে। লাল ড্রাগন ফল খেলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বেড়ে যায় ও নিয়ন্ত্রণ করে। লাল ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে ডায়াবেটিসের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

  যা সুগার লেভেল কে নিয়ন্ত্রণ করতে ও সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি রক্তে শতকরা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। এই ফল নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হজম ক্রিয়াতে ও সাহায্য করে কিছু রোগ সারাই ও ভালো ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টিতে সাহায্য করে এর ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। 

এছাড়াও হাড়ের জন্য ড্রাগন ফল ভালো কাজ করে এতে প্রায় ১৮ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে,যা হাড় কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে শরীরের হাড় অনেক শক্তিশালী ও মজবুত হয় এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য আদর্শ ফল ও ড্রাগন ফলের খোসাতে রয়েছে অনেক উপকার এবং বিশেষ গুনাগুন।

সাদা ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো


ড্রাগন ফলের বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে, রয়েছে ড্রাগন ফলের উপকারিতা এর সাথে রয়েছে ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা। সাদা ড্রাগন ফল লাল ড্রাগন ফল অনেক জাতের ড্রাগন ফল রয়েছে। এদের সকলের ভিতরে পুষ্টির গুনাগুন প্রায় একই রকম ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধক শক্তি তৈরি হয় শরীরের ভিতরে। 

এই ফলটিতে বিট ক্যারোটিন নামক এক উপাদান রয়েছে যা শরীরের টিউমার কে ধ্বংস করতে সক্ষম। এর ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় এটি রক্তে শতকরা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে আপনি বিশেষ অনেক উপকারিতা পাবেন। বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব পূরণ করা থেকে এবং অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করবে। 

তাই প্রতিদিন আপনার খাবারের তালিকায় রাখুন ড্রাগন ফল ও ড্রাগন ফলের খোসার ব্যবহার করে উপকৃত হন। ড্রাগন ফলের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অনেক বিশেষ গুণে ভরপুর। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ফাইবার ও জলীয় অংশ থাকার কারণে এটি ওজন কমাতে ও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত ওজন কমাতে ড্রাগন ফল ব্যবহার করুন। 

ড্রাগন ফলের চারা কোথায় পাওয়া যায় এবং চাষ পদ্ধতি 


ড্রাগন ফলের চারা বা উৎপত্তি প্রথম আমেরিকা থেকে শুরু হয়। এবং ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে এর চাষ ও ব্যবহার। চায়না কানাডা থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশেও পাওয়া যায় এই ড্রাগন চাষ এরে চারা ও গাছ বর্তমানে বাংলাদেশের ও অনেক জেলায় ড্রাগন চাষ হয়ে আসছে। যা সারা বাংলাদেশের এক বিশেষ অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজ করছে।

ড্রাগন চাষ করতে হলে আপনি একটি পরিপূর্ণ সুন্দর উপযুক্ত জমি নির্বাচন করতে হবে। যে গাছ ভালো ফল দিয়ে থাকে এবং পরীক্ষিত সেই ধরনের গাছ থেকে ডাল কেটে নিয়ে অন্য জায়গাতে মাটিতে পুতে রাখতে হবে। এবং কিছুদিন পুঁতে রাখার পরে সেখান থেকে শিকড় তৈরি হবে এবং শিকড় তৈরি হওয়ার পর সে ডালটি নির্বাচিত জমিতে বপন করতে হবে। 

আমরা কিভাবে ড্রাগনের শিকড় যুক্ত ঢাল গুলো জমিতে লাগাবো তা হলো। প্রথমে আমাদেরকে নির্বাচনক্ষেত্র জমিতে এক ফিট বাই দুই ফিট গর্ত করে নিতে হবে। এবং 20 থেকে 30 কেজি পচা গোবর দিতে হবে এরপর মাটির সাথে গোবর গুলো মিশিয়ে নিতে হবে। যে জায়গাতে ড্রাগন ফলটি গাছ লাগানো হবে তার মাঝখানে একটি গর্ত করে 7- 8 ফিট পিলার নিতে হবে। 

সেই পিলারের উচ্চতা হতে হবে মাটি থেকে 6 থেকে 5 ফিট। পিলারটা শক্ত করে পুতে নেওয়ার পরে পিলারের পাশ দিয়ে দুই থেকে তিনটে গাছ রোপণ করতে হবে। ও গাছগুলোকে পিলারের সাথে বেঁধে দিতে হবে যেন বাতাসে পড়ে না যায় বা ভেঙ্গে না যায়। এবং এইভাবে কিছুদিন রেখে দেওয়ার পর দেখা যাবে গাছটি থেকে অনেক শিকড় বাড়াবে এবং গাছটি শক্তিশালী হবে।


এবং গাছটি ধীরে ধীরে বড় হওয়ার পর এমন একটা পর্যায়ে আসবে তখন সেই পিলারের উপরে মোটরসাইকেল বা সাইকেলের টায়ার যুক্ত করে রিং করে দিতে হবে। যেন ড্রাগন ফলের গাছ গুলো তার উপরে অনায়াসে থাকতে পারে। পরিপূর্ণ নিয়ম মেনে লাগানোর পরে প্রতিদিন পানি দিয়ে পরিচর্যা করলে এটা এক বছরের মধ্যে থেকে ফল দিতে শুরু করবে। 

ড্রাগন ফলের বীজ থেকে চারা তৈরি সহজ উপায় 


ড্রাগন ফলের বীজ থেকে চারা তৈরি করতে হলে এবং এই ড্রাগন ফল ও ড্রাগন ফলের খোসার থেকে উপকারিতা পেতে হলে। আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ড্রাগন ফল বীজ থেকে চারা তৈরি করে এবং সেই অনুযায়ী পরিচর্যা করতে হবে তাহলেই 20 থেকে চারা তৈরি করে চাষাবাদ করা যাবে এবং লাভবান হওয়া যাবে বিভিন্ন উপায়ে। 

ড্রাগন ফলের বীজ থেকে চারা তৈরি করতে হলে আপনাকে প্রথমেই একটি পরিপূর্ণ পাকা ড্রাগন ফল কে তুলতে হবে। এবং সেটা মাঝখান দিয়ে কেটে ছোট ছোট অনেক বীজ আছে সেগুলো সংগ্রহ করতে হবে। এবং বাজার থেকে কোকো পিট কিনে নিয়ে আসতে হবে যার মাধ্যমে চারার প্রথম যাত্রা শুরু হবে। কোকো পিট থেকে একটি পাত্রে রেখে ভালো করে ঝুরঝুরে করে। 
ড্রাগন ফলের বীজ থেকে চারা তৈরি সহজ উপায়



পানি দিয়ে ভিজাতে হবে পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে খুব বেশি দিলেও হবে না এবং সাথে কিছু গোবর সার ব্যবহার করতে হবে, বিভিন্ন রাসায়নিক সার ও ব্যবহার করা যায়। এভাবে কাজটি সম্পন্ন করার পরে পাকা ড্রাগন ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করে আলাদা জায়গায় রেখে দিতে হবে। এবং সংরক্ষিত বীজগুলো তৈরি কৃত বীজপত্রে রাখতে হবে। 

এই প্রক্রিয়াতে যেকোনো ধরনের বীজ তৈরি করা যাবে। বীজতলা তৈরি করা হলে ড্রাগন ফলের বীজ গুলো তার উপরে হালকা করে ছিটিয়ে দিতে হবে এবং এর উপরে একটি হালকা কোকোপিটের আবরণ করে দিতে হবে অল্প পরিমাণে যা সূর্যের অতিরিক্ত আলো থেকে রক্ষা করবে বীজতলা এবং বীজ কে খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি নীচে চলে না যায় বীজতলার বীজ। 

এবং এভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার পরে পরিমাণমতো পানি দিতে হবে বীজ তলাতে এবং পানির দেয়া সম্পন্ন হলে বীজতলা টিকে সম্পূর্ণ বাতাস মুক্ত রাখা যাবে না, পলিথিন দিয়ে মুখ বেঁধে রাখতে হবে। যাতে বাইরের বাতাস ঢুকতে না পারে। এবং এভাবে তিন দিন রেখে দিন এবং তিনদিন পরে দেখুন বীজতলায় অনেক ছোট ছোট গাছ দেখা যাবে পরবর্তীতে গাছগুলো রোপণ করা যাবে। 

টবে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টিপস


ড্রাগন ফল বিভিন্নভাবে চাষ করা যায় জমিতে বড়ো আকারে চাষ করা যায়। বাড়ির আঙিনায় চাষ করা যায় এমনকি টবে ও ড্রাগন ফল চাষ করা যায়, বর্তমান যুগে বাড়ির ছাদে ট্রপ ব্যবহার করে অনেক মানুষ ড্রাগন ফল চাষ করে থাকে। সংক্ষেপে জেনে নিই ড্রাগন ফল চাষ করার উপায় কিভাবে টবে ড্রাগন ফল চাষ করা যায় এবং কি কি লাগে। 

টবে ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য আপনি বীজ থেকেও চাষ করতে পারেন। আবার মাদার গাছ থেকে ডাল কেটে অন্য কোথাও মাটিতে পুঁতে রেখে শিকড় গজানোর পরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় টপে ভ্রমণ করতে পারেন এবং চাষ করতে পারেন। টবে চাষ করতে হলে প্রথমে আপনাকে মাটি রাসায়নিক বা জৈব সার মিশ্রিত মাটি তৈরি করতে হবে ও প্রস্তুত করতে হবে। 

সেই মাটি দিয়ে 1 থেকে 2 টা ড্রাগনের ছোট ছোট ডাল শিকড় আছে এই ধরনের  ট্রপে রোপন করে দিতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি দিতে হবে যাতে করে প্রয়োজনীয় উপাদান পেয়ে থাকে যা একটি গাছের প্রয়োজন। এবং নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে তাহলে ধীরে ধীরে গাছটি বড় হতে থাকবে এবং এক বছরের ভিতরে ফল দেওয়া শুরু করবে।


টবে গাছ লাগানো সম্পূর্ণ হলে আপনি প্রতিদিন নিয়মিত পরিচর্যা করবেন যাতে গাছটি কোন প্রাণী বা পুষ্টির অভাবে মারা না যায়। যেহেতু টবে পানি আসার প্রাকৃতিক কোন উপায় নাই বৃষ্টির পানি ছাড়া নিয়মিত আপনাকেই খেয়াল রাখতে হবে যে টপের গাছটি কখন কি প্রয়োজন হবে সে অনুযায়ী আপনাকে চর্চা করতে হবে যাতে সুন্দরভাবে টবের  গাছটি বড় হতে পারে।

একটি ড্রাগন ফলের গাছ সেভাবে পরিচর্যা করে লাগানোর এক বছরের মধ্যে ফল দিতে শুরু করে দেয় এবং পরিপূর্ণ ফল দেওয়ার সময় আসছে প্রায় দুই বছর সময় লেগে যায়। আর দুই বছর বয়স পূর্ণ হয়ে গেলে সেই গাছটি থেকে প্রচুর পরিমাণ ফল পাওয়া যায়। যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের উপকারে আসে। ড্রাগন ফলের জুস ও ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা রয়েছে ভরপুর। 

পোস্টটি নিয়ে লেখকের মন্তব্য 


ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা পাশাপাশি রয়েছে ড্রাগন ফলের জুসের উপকারিতা। মানুষের বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন আমিষ ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় অনেক ধরনের উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে থাকে ড্রাগন ফল। যদিও ফলটি অনেক মূল্যবান এবং দামি একটি ফল। এই ফোনটি সাধারণত সিজীনাল একটি ফল যার উদ্ভব আমেরিকাতে হয়েছে। 

বর্তমানে বাংলাদেশে ও বিশেষ ভাবে চাষ করা হয়। এই ফলটি পূর্ব দক্ষিণ এশিয়াতে বেশি জনপ্রিয় বিভিন্ন ও রঙের হয়ে থাকে। বাংলাদেশে বারি ড্রাগন ফলের চাষ সবচাইতে বেশি হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের বরিশালের, রহমতপুর এলাকায় ড্রাগন ফুল চাষ করা হয়। এছাড়াও এদেশের ঝিনাইদহ,  চুয়াডাঙ্গা যশোর ,মাগুরা, উত্তরবঙ্গের রাজশাহী বগুড়া নাটোর।

 এ সকল অঞ্চলে এমনকি পাহাড়ি অঞ্চলে ড্রাগন ফল ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। বর্তমানে এ ফল চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকেরা আর্থিকভাবে অনেক উপকৃত হচ্ছে ড্রাগন ফলে চাষের মাধ্যমে বর্তমানে এটি একটি অনেক চাহিদা প্রবল একটি ফল যে ফলের চাহিদা অনেক বেশি পরিমাণে। নানাবিধ ভিটামিন এ ভরপুর আমাদের এই উপকারী ফলটি এটি নিয়ামত ব্যবহার করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url