কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ঔষুধী গুনাগুণ

আদা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ভেষজ এবং মসলা জাতীয় উপাদান। যার জন্য আমাদের জেনে নেওয়া উচিত কাচা আদার উপকারিতা ও অপকারিতা। কাঁচা আদার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন। 

কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা


যা আপনাকে বিভিন্ন রোগ মুক্তির সহকারে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ মূলক কাজে সহযোগিতা করবে। তাই চলুন জেনে নেই কাচা আদা খাওয়ার বিশেষ কিছু উপকারিতা ও কিছু অপকারিতা।

পেইজ সূচিপত্রঃ কাচা আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কাচা আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

কাঁচা আদা বিভিন্ন ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয় ছোটখাটো সর্দি কাশি থেকে রক্ষার জন্য এক চিমটি কাচা আদা চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে এসকল থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও বাতের ব্যথা দূর করতেও এ কাঁচা আদা অনেক সহায়তা করে। আদা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়, কাঁচা চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং প্রয়োজনীয়। আদা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পাশাপাশি। কথায় আছে আদাকে রোগ নিরাময়ে দাদা ও বলা হয়ে থাকে। চলুন আগে জেনে নেই আদার বিশেষ কিছু উপকারিতা যা থেকে আপনি উপকৃত হতে পারবেন। খালি পেটে আদা পানি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এই হজম শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে।

 এটি কোষ্ঠকাঠিন্য বদহজম পেটের ফোলা ভাব বমি ডায়রিয়া এবং বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আদা খেলে ক্লোরোস্টল কমাতেও সাহায্য করে, যার ফলে হৃদ রোগ স্টকের মতো বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। প্রতিনিয়ত কাঁচা আদা খাওয়ার উপভাস করলে হৃদপিণ্ড শক্তিশালী এবং সুস্থ থাকে। যার ফলে বিভিন্ন শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

আরো পড়ুনঃ সকাল বেলা খালি পেটে পেয়ারা খেলে কি হয়

এই আদা খাওয়ার ফলে মাইগ্রেন, সাইনাস, গলাব্যথা ও মাথাব্যথাই ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হতে পারে। হালকা কাশি দূর করে, কফ দূর করতেও সাহায্য করে। পাকস্থলী, লিভারের ও বিভিন্ন সহযোগিতা করে। এছাড়াও আদার আরো অনেক বিশেষ বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রেও আদার অনেক ভূমিকা রয়েছে ও যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য স্থায়ী সমাধান দেয়। 

আধার তেমন কোন ক্ষতিকর দিক নেই তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই সঠিক ফলাফল দেয় না। অতিরিক্ত পরিমাণে আদা খেলে অতিরিক্ত পরিমাণ শরীরের ওজন কমে যেতে পারে। এছাড়াও সকল দিককেই উপকারী দিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আদা ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় দিতে সাহায্য করে। তাই বলা হয় আদাকে রোগের দাদা। যেকোনো ধরনের রোগের জন্য আপনি আদা সেবন করতে পারেন এটি অনেক সহযোগী এবং উপকারিতা পাওয়া যায়। 

পুরুষের জন্য আদার উপকারিতা নিয়ে টিপস 

আদার মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যা যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আদা ও মধুর মিশ্রণ টেস্টোস্টেরন মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা পুরুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আরো একটি অ্যাক্সিডেন্ট স্ট্রেপ প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়া রক্তে শতকরা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে, যা রক্তের প্রবাহ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়াও আদার রস শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আদা বিভিন্নভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে কিন্তু অনেকেই জানেনা যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর পিছনে আদার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাচীনকাল থেকে আদাব বেশি তো ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে রান্নাঘর থেকে শুরু করে ল্যাব পর্যন্ত আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। আদাতে বিদ্যমান বিভিন্ন ভিটামিনের উৎস হচ্ছে।

আধার মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়র্‌ পটাশিয়াম, সোডিয়া্‌ জিংক, কপার এর মত বিভিন্ন খনিজ উপাদান। এর পাশাপাশি ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে আদার ভিতরে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আদাকে ভিটামিন ই এর প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং উপকারী।  

আদা চাষের উপযুক্ত সময় ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে 

আদা বপনের সবচাইতে উপযুক্ত সময় হচ্ছে বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ। এ সময় আদা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিভিন্ন উপায়ে আদা চাষ করা যায়, আদার চাষ পদ্ধতি আদা এমন একটি উদ্ভিদ যা কিনা বেশি পানি হলেও তৈরি হয় না আবার পানি কম হলেও তৈরি হয় না। তাই আদা চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি নির্বাচন করতে হবে। 

উঁচু তুমি হলে ভালো হয় যেখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকবে। মাটি হিসেবে বেলে দো-আঁশ মাটিকে আদর্শ মাটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দোআঁশ মাটিতে চার থেকে ছয় টি চাষ ও মই দিয়ে নিতে হবে। প্রথম চাষ গভীরভাবে হওয়া দরকার। এবং প্রত্যেকটা লাইনের দূরত্ব 20 ইঞ্চি এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব 10 ইঞ্চি হিসেবে লাগাতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা গুনাগুন ও টিপস   

এছাড়াও আরো একটি প্রয়োজনীয় উপাদান মানুষের জীবনের সকল চাহিদার মধ্যে কিছু চাহিদা পূরণ করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। আমরা সকলেই জানি আদা মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় পাশাপাশি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাই বেশি বেশি আদা চাষ করি এবং সকলের মাঝে পৌঁছিয়ে দিই। যেন সকলেই সমান ভাবে বা প্রয়োজন অনুযায়ী আদা ব্যবহার করতে পারে।

বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন 

জমিতে আদা চাষ করার পাশাপাশি বস্তায় আদা চাষ করা যায়। কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জেনে উপকৃত হতে হলে আদা ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহার করতে হলে আদা উৎপাদন করতে হবে। তাই  বস্তায় কিভাবে আদা চাষ করা যায়, সে সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানো হলো। সঠিক পদ্ধতিতে বস্তায় আদা চাষ করলে অনেক ফলন পাওয়া যায়।

বস্তায় আদা চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন


বস্তায় আদা চাষ করার জন্য প্রথমে কয়েকটি বস্তা ব্যবস্থা করতে হবে এবং কিছু উপকরণ এর মাধ্যমে বীজতলা তৈরি করতে হবে। উপকরণ গুলোর মধ্যে হচ্ছে দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি ব্যবহার করতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে বস্তায় যেন মাটিগুলো শক্ত হয়ে না যায় সেজন্য মাটির সাথে ভার্মি কম্পোস্ট ও সাই মেশাতে হবে। ভার্মি কম্পোস্ট এর পরিবর্তে বালু মিশিয়ে দিলেও হবে। 
এবং মিশ্রিত মাটি বস্তায় রেখে তার ভিতরে বীজ বপন করতে হবে একটি বস্তা তে একটি অথবা দুইটি বীজ বপন করতে হবে। এবং প্রতিদিন নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে,পানি দিতে হবে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং তাহলে খুব সহজেই বস্তায় আদা চাষ করা সম্ভব হবে। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আদা চাষ করা যায়। বাড়ির আঙিনায় ও বস্তায় আদা চাষ করা যায়।

বস্তায় আদা চাষের উপযুক্ত সময় জেনে নিন 

আদা বিভিন্নভাবে চাষ করা যায় এবং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। সাধারণত এপ্রিল মে অথবা চৈত্র বৈশাখ মাসে লাগাতে হয়। আদা  এমন একটি ফসল  যা অতিরিক্ত পানি দিলেও হয় না আবার কম পানি ব্যবহার করলেও মারা যায়। তাই এর সঠিক পরিচর্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাচা আদা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। বস্তায় আদা চাষের মাধ্যমে লাভবান হওয়া যায়। 

উপযুক্ত সময় জেনে বস্তায় আদা চাষ করলে অবশ্যই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে এবং সেই থেকে অনেক অর্থ পাওয়া যাবে। প্রত্যেকটা জিনিসের একটি উপযুক্ত সময় থাকে সেই সময়ে চাষ করলে সেই জিনিসটা বেশি ভালো ফলাফল এবং ফসল দেয়। যা আমাদের সকলেরই জানা সঠিক সময়ে আদা চাষ করি আপনিও হয়ে যান সফল। উপযুক্ত সময়ের ভেতরে আদা চাষ করলে বেশি ফলাফল পাওয়া যায় বলে আশা করা যায়।

আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা গুনাগুন ও টিপস    

আদা এমন জায়গায় চাষ করার পরিকল্পনা করতে হবে যাতে দিনের অধিকাংশ সময় রোদ পায় এবং ছায়া না পড়ে যায়। বস্তায় আদা চাষের 50 দিনের ভিতরে ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে পারবেন। অথবা ডিএসপি 80 দিন পর ব্যবহার করতে পারবেন এবং 110 দিন পর দ্বিতীয়বার সার ব্যবহার করতে পারবেন। আদা বপনের 20 থেকে 28 দিনের মধ্যে চারা বের হয়ে যায়। 

আদা খেলে গ্যাস কমে কিনা জেনে নিন 

আদা ভেষজের কাজ করে থাকে এটা আমরা অনেক আগে থেকেই জানি বা প্রচলিত রয়েছে। আদা খাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ছোট বড় সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে এটা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু বিশেষভাবে গ্যাস অ্যাসিডিটি এসকল সমস্যার জন্য আদার বিকল্প নেই। আদা খেলে গ্যাস মুক্তি পাওয়া যায় ও গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থেকেও বাঁচা যায়। 

আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র মতে আদা হলো একটি মহা ঔষধ। তাই নিয়মিত আদা খেলে যে একাধিক ছোট বড় রোগের ফাঁদে এড়ানো যায়, এর অনেক প্রমাণ রয়েছে। বিশেষ করে গ্যা্‌ অ্যাসিডিটি কমানোর কাজে কাঁচা আদার কোনো জুড়ি নেই। এই সকল ছোটখাটো সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য প্রতিনিয়ত কাচা আদা খাওয়ার অভ্যাস করুন।   

তাই অনেকেই এসব সমস্যায় পড়লে কাচা আদা খায়। এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ঘাটতি কমিয়ে শরীরকে শক্তিশালী গড়ে তুলতে সাহায্য করে। কিন্তু প্রতিদিন বেশি বেশি কাচা আদা খেলে লাভের বদলে ক্ষতি হতে পারে। যে কোন জিনিস পরিমাণমতো ব্যবহার করুন এবং সুস্থ থাকুন। সঠিক পরামর্শ জানলে সঠিক প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করলে যে কোন জিনিসেরই সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়।  

সকালে আদা খেলে কি হয় উপকার না ক্ষতি 

সকালে আদা  উপকারী খালি পেটে আদা খেলে বদহজম থেকে রক্ষা করে এবং যে কোন ধরনের পেটে সমস্যা থেকে। কাচা আদা খাওয়ার মাধ্যমে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটি সহ বিভিন্ন পেটের সমস্যার সমাধান করে। আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আদা খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং সুস্থ থাকুন এসকল সমস্যা থেকে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি খাবার পূর্বে দুই টুকরা আদা চিবিয়ে। 

পানি পান করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায় এতে শরীরের ঘাটতি হয়ে যাওয়া বিভিন্ন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি , ভিটামিন b6, ভিটামিন ই সহ সকল ঘাটতি পূরণ করতে সহযোগিতা করে। যে সকল মানুষের হজম শক্তির সমস্যা তাদের জন্য সকালে খালি পেটে সাদা খাওয়া অত্যন্ত উপকার বা প্রয়োজনীয়। আদা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আদা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ এবং সবল রাখতে সাহায্য করে।  

তাই প্রতিদিন সকালে আদা খাওয়ার অভ্যাস করে আপনি এই সকল উপকার পাবেন আদার থেকে। তাই আপনার পেটের বা বিভিন্ন সমস্যা থাকলে আজ থেকে শুরু করে দিন প্রতিদিন আদা সেবন করা। রাতে শোয়ার আগে খালি পেটে আদা খাওয়ার অভ্যাস করলেও আপনি অনেক উপকার পেয়ে থাকবেন। আপনার জীবনকে গড়ে তুলবে সুন্দর এবং সাবলীন। 

খালি পেটে আদা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

আদা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে এর পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর বা অপকারিতা ও রয়েছে। যা অতিরিক্ত পরীমান ব্যবহারের ফলে দেখা দেয়। অতিরিক্ত পরিমাণে আদা খেলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি আদায় এবং এন্টি প্লান্টলেট বৈশিষ্ট্য থাকে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর মানব শরীরের জন্য। বেশি পরিমাণ আদা ব্যবহার করলে ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

খালি পেটে আদা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন


অতিরিক্ত আদা সেবন করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্বরূপ হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেখানে দেখা যায় হৃদযন্ত্রের গতিবিধি নষ্ট করে দিয়ে শরীরের অস্বাভাবিক অনেক কিছু সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি আপনার ত্বকের অনেক সমস্যা করতে পারে, অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে। যে সকল মানুষের পেটের সমস্যা আগে থেকেই আছে তারা বেশি পরিমাণে আদা খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন। না হলে এসিডিটি গ্যাসের মত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ৮টি গুনাগুন

অতিরিক্ত আদা সেবনের ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে হৃদরোগ সৃষ্টি হতে পারে। হৃদ রোগ থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আদা একটি প্রাকৃতিক উষ্ণায়নকারী গাছরা তাই অতিরিক্ত সেবন করলে ডায়রিয়া বা অন্যান্য পাকস্থলী সম্পর্কিত সমস্যার রূপ নিতে পারে। আপনি যদি কোন ধরনের ওষুধ খান তাহলে যেকোনো আকারে আদা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো বলে আমি মনে করি। 

আদায় বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও উপাদানের পরিমাপ 

আদায় বিভিন্ন পুষ্টিগুণের পরিমাপ নিচে আলোচনা করা হলো। প্রতি 100 গ্রাম কাঁচা আদার পুষ্টিগুণের পরিমাপ হলো, 

  • জল বা পানি ৭৮.৯ গ্রা
  • কার্বোহাইড্রেট ১৭.৭ গ্রাম 
  • ফাইবার ২ গ্রাম 
  • প্রোটিন ১.৮ গ্রাম 
  • চর্বি ০.৭৫ গ্রাম 
  • ক্যালসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম 
  • ম্যাগনেসিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম 
  • পটাশিয়াম ৪১৫ মিলিগ্রাম 
  • ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম 
  • এছাড়াও শক্তি রয়েছে ৮০ কিলো ক্যালরি 

প্রতি 100 গ্রাম আদাতে উল্লেখিত পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং কার্যকরী। তাই জেনেশুনে আদা ব্যবহার করুন এবং এর উপকারিতা গুলো উপভোগ করুন। 

লেখক এর কিছু মন্তব্য 

আমরা জেনেছি কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে ও বিভিন্ন আদা চাষ পদ্ধতি এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। আশা করি বোঝাতে পেরেছি আদা আমাদের জীবনের কত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা প্রতিনিয়ত আমাদের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। একটা মানুষ প্রতিদিন আদা ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক মানসিক ভাবে সুস্থ থাকবে। 

একটি মানুষকে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে আদার সেবন করা উচিত একটা মানুষ প্রতিদিন আদার পাউডার এক থেকে তিন গ্রাম ব্যবহার করতে পারবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। সাথে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সহ বিভিন্ন শক্তিশালী কাজে ব্যবহৃত হবে একটি মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আদা মানুষের উপকারী বন্ধু হিসেবে কাজ করে তাই আদা ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজনে চাষ করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url