শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয় ১৩ টি কার্যকারি উপকারিতা

শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয় এবং অ্যালোভেরার সকল ব্যবহার সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে অ্যালোভেরা তে কি কি উপাদান রয়েছে এবং কি কি উপকারে আসে সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয়

এছাড়াও জানতে পারবেন অ্যালোভেরা কখন ব্যবহার করে এবং কিভাবে ব্যবহার করলে সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। চলুন জেনে নেয়া যাক চির চেনা অ্যালোভেরা সম্পর্কে কার্যকরী তথ্য সমূহ যা সকল সকল মানুষেরই উপকারে আসে।

পোস্ট সুচিপত্রঃ শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয় ১৩ টি কার্যকারি উপকারিতা 

শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয় জানুন বিস্তারিত 

শুধু এলোভেরা মাখলে কি হয় এই প্রশ্নের সম্মুখীন আমরা অনেকেই হই। বিভিন্নভাবে জানতে চাই যে এলোভেরা চুলের যত্নে কি করে উপকার করে এবং কি কি উপাদান রয়েছে এই অ্যালোভেরার মধ্যে যা মানুষের বিভিন্নভাবে উপকার করে। অ্যালোভেরা একটি জেলিও ধরনের বৃক্ষ এ বৃক্ষের প্রচুর পরিমাণে এন্টি ফ্লেমেট্রি, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। 

যা ব্রণ দূর করার জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করে। শুধু অ্যালোভেরা মাখার মাধ্যমে আপনি এই উপকারিতা গুলো পাবেন। এছাড়া আরো যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন অ্যালোভেরা জেল মুখে মাখার কারণে আপনি অ্যান্টিসেপটিক এর উপকারিতা পাবেন। এই অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জেল যা সেভ করার পর ছেলেরা ব্যবহার করতে পারবে। 

সেভ করার কারণে মুখের কোষগুলো অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই কোষগুলোকে পুনরায় জীবিত বা ভালোভাবে সুস্থ করার জন্য অ্যালোভেরা জেল অনেক উপকারী। সেভিং করার সময় ক্ষতি মেরামত করার পাশাপাশি মুখের লালচে ভাব দূর করে দেয়। আরো ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য অ্যালোভেরা জেলের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারবেন। 

আপনার বাসা বাড়িতে অ্যালোভেরা এবং মধু মিশিয়ে সাথে ভিটামিন ই গোলাপ জল মিশ্রনটিকে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। ত্বককে মসৃণ এবং সুন্দর নরম করে রাখতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা ব্যবহারে চখের চারপাশের কালো দাগ এবং ব্রণের দাগ, বলিরেখা বয়সের সাব দূর করে এবং লোমকূপের সংকুচিত স্থান পূরণ করে। 

ভালো ফলাফলের জন্য মধু অ্যালোভেরার জেল তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ ও ও তেল তেলে ভাব কমাতে অ্যালোভেরার জেল উপকারিতা। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর সঙ্গে ও টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

রাতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করার নিয়ম 

শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয়  এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি জানাতে চেষ্টা করেছি যে মুখে মাখলে কি ধরনের উপকার হয় এবং কোন কোন সমস্যার সমাধান হয় সে সম্পর্কে। এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব রাতে এলোভেরা ব্যবহার করার নিয়ম। যে নিয়ম ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার মুখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। 

আপনাকে দেখাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অধিকারী। জেল ব্যবহার করার নিয়ম যদি জেনে আপনি ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই অনেক ভালো ফলাফল পাবেন এবং আপনার কখনো প্রয়োজন হবে না বিভিন্ন মেকআপ ব্যবহার করার। কারণ আপনি প্রাকৃতিক ভাবেই হয়ে উঠবেন সুন্দর এবং আপনার সৌন্দর্য দিনে দিনে আরো বৃদ্ধি বেঁচে থাকবে।

আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার ও ১০ টি কার্যকারি উপকারিতা  

তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে রাতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করার নিয়ম। রাতে ঘুমানোর আগে এলোভেরা জেল মুখে ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য আপনাকে প্রথমেই একটি অ্যালোভেরা গাছ থেকে অ্যালোভেরা সংগ্রহ করতে হবে। সে অ্যালোভেরার ভিতরে যে জেল থাকে সে জেলটি ছুরির মাধ্যমে কেটে আলাদা করে নিতে হবে। এরপর অ্যালোভেরা জেল,

আপনার মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। অথবা মুখে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ঘুমিয়ে যেতে পারেন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে আপনার মুখ। এভাবে বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনি নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন আপনার চেহারার কি পরিবর্তন হয়েছে। 

আপনার চেহারার মশ্চারাইজ ধরে রাখবে, অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই ধরনের উপাদান রয়েছে যা আপনার শরীরে ত্বকের মধ্যে সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা, প্রতিরোধ করে এবং থাকলে তা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। ত্বকে কোমল এবং নরম করে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রদাহ কমায়, মুখের লাল যে ভাব কমিয়ে দেয় এবং বার্ধক্যের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।

অ্যালোভেরার জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম 

অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহার করার নিয়ম জানলে আপনি মুখে ব্যবহার করার মাধ্যমে বিশেষ অনেক ধরনের উপকারিতা পাবেন। যা আপনি বিভিন্ন ওষুধ বা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করার মাধ্যমে নাও পেতে পারেন। এই উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনাকে অ্যালোভেরার সাথে লেবুর রস যোগ করতে হবে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টি এনজাইমিক উপাদান সমৃদ্ধ গুনাগুন। 

এগুলো ত্বককে আদ্র রাখতে এবং দাগ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, একটা ডিমের সাদা অংশ, আধা টেবিল চামচ তাজা লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। যা প্রতিদিন ব্যবহার করে 15 থেকে 20 মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। এবং হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে শুকিয়ে গেলে। 

নারিকেলের তেলের সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে এক সঙ্গে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং হালকা শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফিল্ম দেখতে পাবেন আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ হয়ে গেছে। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে, টাটকা এলোভেরার পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করা। এবং তা প্রয়োজন মতো ব্যবহার করা।

রুপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার করুন 

রূপচর্চায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করার সময় অনেকেই প্রশ্ন করে যে, শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয়। এই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে আমি বলব যে রূপচর্চায় করার জন্য অ্যালোভেরা ব্যবহারের বিকল্প নেই। এটা এতই উপকারী এবং গুণসম্পন্ন যে এটা ব্যবহার করার ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে অনেক সুন্দর এবং ফর্সা হওয়া যায়। আপনি যদি রূপচর্চা করতে চান তাহলে অবশ্যই অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ মুখে টমেটো লাগানোর অপকারিতা

রূপচর্চায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করার ফলে আপনার যে সকল উপকারিতা পাবে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা গুলো এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। যা আপনার রূপচর্চার জন্য বিশেষ উপকারে আসবে। চলুন জেনে নেই কি কি করতে পারে এই অ্যালোভেরা। যা ব্যবহার করার সাথে সাথেই আপনি রেজাল্ট দেখতে পাবেন এবং বুঝতে পারবেন। 

  • পিম্পল দূর করতে সাহায্য করে। 
  • পায়ের গোড়ালি ফাটা কমায়। 
  • সান ব্রান দূর করে। 
  • ত্বকের বলিরেখা রোধ করে। 
  • ত্বকের যৌবন ধরে রাখে। 
  • ত্বককে সজীব রাখে।
  • মসৃণ করে তোলে। 
  • চুল সিল  রাখতে সাহায্য করে।
  • মেকআপ ওটাতে প্রাকৃতিকভাবে বিশেষ ব্যবহৃত হয়।
  • চুল পড়া রোধ করে, চুলের বৃদ্ধি করে।
  • ত্বকের চুলকানি রোধ করে। 
  • মাথায় খুশকি দূর করে। 
  • এছাড়াও রোদে পড দাগ দূর করতে বিশেষ উপকার করে।

উল্লেখিত সকল উপকার পাওয়ার জন্য আপনি শুধু এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। আরো ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য উপরে অনেক টিপস আলোচনা করা হয়েছে সেই বিষয়গুলো ব্যবহার করে আপনি আরো অনেক উপকারিতা পেতে পারেন। পরিশেষে বলা যায় ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার জেল এর কোন বিকল্প নেই এটা অনেক  টা প্রাকৃতিক ভাবে কাজ করে।

অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম 

অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহার করলে আপনার চুলের যেসকল উপকারিতা পাবেন সেই সকল উপকারীতা আপনি অনেক শ্যাম্পু ব্যবহার করার মাধ্যমে পাবেন না। অথবা অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। কিন্তু আজকের এই ব্যবহার গুলো আপনি একটু ট্রাই করেন অথবা নিজে পরীক্ষা করে দেখতে চান তাহলে আপনার যে সকল সমস্যার সমাধান হবে তার মধ্যে রয়েছে। 

অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম

অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহার করার নিয়ম তার আগে বলে রাখি। একটি গাছ থেকে টাটকা অ্যালোভেরা গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করে সে টাটকা অ্যালোভেরা থেকে জেল সংগ্রহ করার মাধ্যমে আপনার মাথার চুলে ভালোভাবে মিশিয়ে রাখতে পারবেন। কিছুক্ষণ রাখার পরে আপনি সেই মাথায় দিয়ে অ্যালোভেরা ভালো করে অল্প শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিবেন। 

তাহলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে, চুলে খুশকি থাকলে দূর হয়ে যাবে, মাথার চুল সিল্কি করতে সাহায্য করবে, মাথায় চামড়াগুলোকে পুষ্টিহীনতা থেকে রক্ষা করবে। এছাড়াও আরো আপনার মাথায় চুলকানি থাকলে দূর করবে, চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে, চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে, ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে সুরক্ষা করবে, চুল ঘন করবে এবং স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করবে। 

এটি চুলকে হাইড্রেটিং এবং মশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। কারণ এটি চুলের কিউটিকল কে সুরক্ষা করে। এই জেল একটি প্রাকৃতিক হিমেকট্যান্ট যা আপনার চুলে আদ্রতা আটকে রাখে। এতে পলিস্যাকারাইড রয়েছে যা চুলের আদ্রতা আকর্ষণ করে এবং ধরে রাখে। এছাড়াও অ্যালোভেরাতে অ্যামিনো এসিড রয়েছে যা শুকনো ও ভঙ্গুর চুলগুলোকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে এবং নরম চকচকে ও মসৃণ করে তোলে। 

ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা 

ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য অ্যালোভেরা করার উপায় রয়েছে অনেক এবং এটা ব্যবহার করার মাধ্যমে ত্বক এবং চুলের অনেক উপকার হয়। শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয় তা আমরা এখন জানি কিন্তু চুল ও ত্বকের যত্নের জন্য অ্যালোভেরা মাখলে কি হয় সেটা এখন আমরা জেনে নেব। প্রথমে আমরা আলোচনা করব ত্বকের যত্নে কিভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়।

বাইরে থেকে আসার পরে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের ময়লা জমা হয় সেটা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ওখানে অ্যালোভেরা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ত্বককে শুষ্ক সুন্দর মসৃণ করে তুলতে পারে। রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক যদি অনেক কালো হয়ে যায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের উপাদান বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য কিন্তু আপনি সহজেই করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ  সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা  

যদি অ্যালোভেরা জেল আপনার ত্বকের উপরে মাকেন তাহলে এসে কালচে বা রোদ পড়া ভাব কমে যাবে। এছাড়া গোলাপ জল ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে আপনার মুখে লাগালে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। অ্যালোভেরা মেছতা দূর করতেও সাহায্য করে। মধু ও শসা একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগালে সাথে অ্যালোভেরা যোগ করলে মেছতা দূর হয়। 

ত্বকের বলিরেখা দূর করা যায়। ত্বকে সতেজ রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা রস। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে দেখতে পাবেন আপনার মুখের স্বদেশ ভাব চলে আসবে এবং মুখ পরিষ্কার হয়ে যাবে। ব্রণের দাগ দূর করার জন্য অ্যালোভেরার রস সাথে মাটি এবং চন্দন মিশিয়ে ব্যবহার করলে ব্রণের দাগ দূর হয়ে যায়। 

বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য অ্যালোভেরার ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী। এর জন্য অ্যালোভেরা সঙ্গে দুধ মসুরের ডালের গুড়া, তুলসী পাতা, চন্দন ও গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন, এবং মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ঘষে পরিষ্কার করুন আপনার মুখের ত্বক, তাহলে মুখের মরা চামড়া বা কোষগুলো উঠে যাবে এবং মুখ উজ্জল এবং মসৃণ দেখাবে। 

এলোভেরা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায় 

শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয় , অনেক ধরনের উপকার হয় যা ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি। বিভিন্ন ব্যবহারের প্রণালী সম্পর্কে আলোচনা করেছি কিভাবে উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনাকে কোন উপায়ে ব্যবহার করতে হবে সেই উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এখন আলোচনা রাখবো অ্যালোভেরা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়। 

অ্যালোভেরা দিয়ে চুল সিল্কি করার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে তাজা অ্যালোভেরার পাতা সংগ্রহ করতে হবে, সাথে বিভিন্ন উপাদান যেমন এক টেবিল চামচ কাস্টম অয়েল, তিন টেবিল চামচ নারকেলের তেল, এবং তিন চা-চামচ অ্যালোভেরা জেল একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবং সাথে রোজমেরি এসেন্সয়াল অয়েল কয়েক ফোটা যোগ করতে হবে।

উক্ত মিশ্রণটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে 20 থেকে 15 মিনিট। এবং লাগিয়ে রাখা অবস্থায় এক থেকে দেড় মিনিট সময় মেসেজ করতে হবে চুলগুলো আলতোভাবে লাড়িয়ে সব জায়গায় যেন ভালোভাবে মিশে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এবং সেজে ভালো ব্যান্ডের শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে ধুতে নিতে হবে তাহলে অবশ্যই চুল সিল্কি হয়ে যাবে। 

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম 

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি নানা ধরনের উপকার পেয়ে থাকবেন। কিন্তু আপনাকে যদি সঠিক ব্যবহার প্রণালী সম্পর্কে সচেতন না থেকে কাজ করতে হয় তাহলে ফলাফল অতটা ভালো হবে না। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের ভালো নিয়ম জেনে আপনাকে সেই নিয়ম অনুসরণ করার মাধ্যমে ব্যবহার করতে হবে। 

ইতিমধ্যে আমরা এই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের অনেক নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছে। এখন একটি বিশেষ প্রক্রিয়া বা নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব যা আপনাদের অনেক কাজে আসবে। কেউ যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অ্যালোভেরার জেল জুস করে খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন উপকারিতার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা হয়। 

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম

এর জন্য আপনাকে লেবুর সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে তোকে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে, ত্বকের বিভিন্ন দাগ থাকলে দূর হয়ে যাবে। রোদ পোড়া দাগ দূর করবে, আরো ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনি যে উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন সেটি হচ্ছে। এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা এবং একটা ডিমের সাদা অংশ এবং সাথে আধার টেবল চাই ইমেজ তাজা লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। 

একটি তৈরি করা হয়ে গেলে আপনার ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করুন এবং ব্যবহার করার সময় ত্বকে মেখে 15 থেকে 20 মিনিট অপেক্ষা করুন এবং হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে দেখতে পাবেন আপনার ত্বক অনেক মসৃণ সুন্দর এবং উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য এই প্রক্রিয়াতে এক সপ্তাহের মতো ব্যবহার করুন তাহলেই আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এর উপকারিতা কি। 

অ্যালোভেরা দিয়ে চুল বড় করার উপায় 

অ্যালোভেরা দিয়ে চুল বড় করার উপায়। এই উপায়টি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার মাথার চুলগুলকে মজবুত লম্বা এবং শক্তিশালী করে তুলতে পারবেন। শুধু অ্যালভেরা চুলে মাখলেও অনেক উপকারিতা হয়। শুধু আরবেলা মাখলে কি হয় তাও আমরা জেনেছি। অ্যালোভেরা দিয়ে চুল বড় করার উপায় গুলো এখন জানবো।

আরো পড়ুনঃ পুদিনা সিরাপ উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ৯টি গুনুগুণ

জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে, ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল, অলিভ অয়েল, আর ডিমের সাদা অংশ একটি বাটিতে ভালো করে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য বিশেষ করে চুলের গোড়ায় ভালো করে ব্যবহার করতে হবে। গোটা মাথা ভালোভাবে ব্যবহার বা লাগানো হয়ে গেলে আপনি 20 থেকে 25 মিনিট মতো রেখে দিন।

এবং মাথায় অ্যালোভেরা জেল দেওয়ার 20 থেকে 25 মিনিট হয়ে গেলে ভালো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অধিক ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে একদিন করেই দেখুন না আপনি উপকার পান কিনা এবং উপকার পাবেন বলে আমি অবশ্যই আশা করি। কারণ ইতিমধ্যেই এর অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে যে কি কি কাজের মধ্যে সবচেয়ে কোন কাজগুলোর জন্য এলোভেরা বেশি ব্যবহার করা হয়। 

অ্যালোভেরার বিভিন্ন ব্যবহার নিয়ে আমার শেষ কথা 

শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয়, চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার, এছাড়া কি কি উপায়ে অ্যালোভেরা ব্যবহার করার ফলে আপনি কোন ধরনের উপকারিতা পাবেন সে সকল বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছে। পরিশেষে একথা বলতে চাই যে অ্যালোভেরা ব্যবহার করার ফলে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে অনেক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারবেন। 

এই অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যা আপনার শরীরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে। গ্যাস্ট্রিক দূর করতে অ্যালোভরা জেল ব্যবহার করা হয়, ত্বকের যত্নে চুলের যত্নে সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ মানুষ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে থাকে। 

চুলের ব্যবহারের জন্য শ্যাম্পুর সাথে অ্যালোভেরা চুল ব্যবহার করতে পারেন। এতে কন্ডিশনারের কাজ করবে আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে কন্ডিশনারের মতো উপকারিতা পেতে চান তাহলে, আপনার চুলকে করে তুলবে মশ্চারাইজ এবং নরম সিল্কি চুল। যা প্রত্যেক মানুষই চাই। এরো বাড়িতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এনজাইমের রয়েছে স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধি এবং মাথার ত্বক প্রশমিত করতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url