বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২৬ টি কার্যকারী উপায়
বাংলা আর্টিকেল এর মধ্যে কোন কোন টিপস গুলো ব্যবহার করলে, আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন সকল ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা রাখবো। আপনি যদি আর্টিকেল লিখে আয় করতে যান তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য বিশেষ উপকারী।
পোস্ট সুপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মে ২৬ টি কার্যকারী উপায়
- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও বিশেষ বিষয়
- বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম ১
- বাংলা আর্টিকেল লেখর নিয়ম ২
- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ৩
- আর্টিকেল লেখার সময় তথ্য কোথায় পাবো
- ভূমিকা বাটন ব্যবহার করার নিয়ম
- কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি
- তথ্য অনুসন্ধান এর বিভিন্ন উপায়
- তথ্য অনুসন্ধান কি ডিজিটাল প্রযুক্তি
- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আমার শেষ মন্তব্য
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও বিশেষ বিষয়
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন এবং জেনে নিন কিভাবে বাংলায় আর্টিকেল লেখার ওয়েবসাইটের ব্লগ পোস্ট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং যে যে ধাপগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনাকে আর্টিকেল লিখতে হবে সেই ধাপগুলো আলোচনা করার চেষ্টা করছি। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
বিষয় নির্বাচন: যে বিষয় নিয়ে আপনি বাংলায় আর্টিকেলটি লেখেন সেই বিষয়টি নির্বাচন করতে হবে, যাতে আপনার আর্টিকেলের ভিতরে সমস্ত বিষয়টি ফুটে ওঠে সেই দিকটি খেয়াল রাখতে হবে। এবং আপনাকে বিষয় নির্বাচন করার পাশাপাশি কি ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। যেই কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম কম।
শীর্ষক এবং শুরু নির্বাচন: যে ফোকাস কিওয়ার্ড এর মাধ্যমে আপনি বাংলা আর্টিকেল লিখতে চান সেই আর্টিকেলটি কে লেখার শুরুতে যে মেটা ডিসক্রিপশন দেওয়া থাকবে, সেখানে পুরো পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো ব্যবহার করুন।
ফোকাস কিওয়ার্ডের প্রদর্শন: আপনি যেই ফোকাস ওয়ার্ডটি লিখবেন সেই ফোকাস কি ওয়ার্ড থেকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে হবে আপনার পোস্টের ভিতরে।
প্রাথমিক ধারণা: লেখার প্রথমের দিকে প্রাথমিক ধারণা বা গোটা পোস্টের যে সকল বিষয় নিয়ে লিখবেন তার একটি মোটামুটি ধারণা দিয়ে রাখতে হবে যেন পাঠক বুঝতে পারে যে কি ধরনের তথ্য পোস্টের ভিতরে রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য এবং সত্য তথ্য প্রকাশ করা: আপনি যে বিষয়টিতে লিখবেন সেই বিষয়টি যেন সত্য হয় এবং নির্ভরযোগ্য হয় যাতে একটি ভিউয়ার আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য গুলো পড়ার সাথে সাথে বিশ্বাস করতে পারে এবং আরো পড়ার আগ্রহ পোষণ করে।
লেখাতে কৌশল অবলম্বন: আপনি যে বিষয়ে লিখছেন সেই বিষয়গুলো লিখার সময় আপনাকে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে যেমন লেখাগুলো সহজ এবং সুন্দর ভাষায় সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে হবে।
লেখায় ধারণা প্রকাশ করা: প্রতিটি লেখার মধ্যে বা কনটেন্ট গুলোর মধ্যে আপনাকে ধারণা প্রকাশ করতে হবে এবং প্রমাণ স্বরূপ কিছু রাখতে হবে যাতে পোস্টটি পড়ার পর মানুষ বুঝতে পারে এবং সম্পূর্ণ সঠিক ধারণা পাই।
ত্রুটি পরিহার করা: আপনি যে পোস্টটি লিখবেন সেই পোস্টের লেখাগুলোর মধ্যে যেন কোন ধরনের ভুল না থাকে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে কারণ ভুল থাকলে পাঠক আপনার পোস্টগুলো পড়াতে বিরক্ত বোধ করতে পারে।
ম্যাজিকাল টাইটেল: পোস্টের টাইটেল এর মধ্যে কিছু ম্যাজিকাল কথাবার্তা লিখতে হবে যেমন কার্যকারী গোপনীয়তা প্রয়োজনীয় এবং 100 টি অথবা 50 টিপস কার্যকারী টিপস ইত্যাদি।
বানান শুদ্ধ : আপনার ওয়েবসাইটের লেখাগুলোর মধ্যে যেন কোন প্রকারের বানানের বা গ্রামাটিক্যাল কোন ভুল না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ বানান ভুল হলে অনেক সময় দেখা যায় যে, আপনি বুঝাতে চেয়েছেন একটি আর অন্যটা বুঝে গেছে, এই ধরনের সমস্যা এড়াতে বানান শুদ্ধ রাখার চেষ্টা করতে হবে।
আপনি তুমি ব্যবহার: আপনি যখন আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে কোন বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখেন তখন মনে করতে হবে যেন আপনি সরাসরি তার সামনে বসে তাকে সেই বিষয়ে বলছেন বা বোঝাচ্ছেন, যেমন, আমি এই পোস্টটিতে আপনাদের সামনে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনা করব, যা আপনাদের সকলেরই দৈনন্দিন জীবনে কাজে আসে।
এসিও অপটিমাইজেশন: উল্লেখিত সকল তথ্য সম্পূর্ণ বিফলে চলে যাবে যদি আপনার পোস্টের ভিতরে রেশও করা না থাকে, তাহলে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না আপনার পোস্টগুলো কোন অবস্থাতেই গুগল এর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। যার জন্য আপনাকে অবশ্যই এসিও সম্পর্কে জানতে হবে।
এডসেন্স অ্যাড অপটিমাইজেশন: আপনি যদি এক্সেস অ্যাড অপটিমাইজেশন না করে থাকেন তাহলে গুগল থেকে আপনি ব্লগার পোস্ট লেখার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে ব্যর্থ হবেন, আপনাকে এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম ১
বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম যে বিষয়গুলো জান না থাকলে আপনি কোনভাবে গুগল এ পোস্ট রাঙ্ক করাতে পারবেন না এবং ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না গুগল এডসেন্স দিয়ে। এর জন্য আপনাকে প্রথম স্টেপে যে কোন একটি বিষয় নির্বাচন করে নিতে হবে, যে আপনি কোন ধরনের বিষয় নিয়ে লিখতে চান সে বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গুগল এনালিটিক্স কি এবং এর বিস্তারিত পরিচয়
কিওয়ার্ড রিচার্জ করতে হবে, আপনি যে বিষয়টি সম্পর্কে লিখবেন সেই বিষয়টি গুগল এ সার্চ দিলে বিভিন্ন ধরনের সাজেশন মূলক তথ্য বা কি ওয়ার্ড দেখাবে, সেই তথ্যগুলোর ভেতর থেকে নির্বাচন করতে পারবেন যে কোন তথ্যটি সবচাইতে বেশি গ্রহণযোগ্য, ইউ আর রিসার্চ এর বিশেষ কিছু ফ্রী টুলস রয়েছে যা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ফ্রিতেই কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন।
নিচে সেই ধরনের কি ওয়ার্ড রিচার্জ করার টুলস গুলো দেওয়া হলো যা আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন ফ্রিতে,
- Ahref
- Keyword generator
- Google keyword planner
এ সকল ওয়েবসাইট থেকে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মতন সুবিধা। যা আপনার লেখাগুলোকে আরো সুন্দর এবং খুব সহজে রেংক করাতে সাহায্য করবে।
ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করা: ফোকাস কি ওয়ার্ড বলতে বোঝায় যে বিষয় সম্পর্কে আপনি লিখবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট তথ্য যে বিষয়টি নিয়ে আপনি আপনার পোস্টটি লিখবেন সেটাই হচ্ছে ফোকাস ওয়ার্ড।
মেটাডেসক্রিপশন এর ব্যবহার: মেটাডিসপশন কি এবং কোথায় এটার ব্যবহার করতে হয় এবং এর মধ্যে কি কি, পোস্টের শুরুতে মিটার ডিসক্রিপশনে ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে।
টাইটেল নির্বাচন: ফোকাস কিওয়ার্ড কে টাইটেলে রেখে একটি সুন্দর আকর্ষণীয় টাইটেল নির্বাচন করতে হবে যাতে কেউ দেখলে সে বিষয় সম্পর্কে জানতে চাই।
মেটা ডিসক্রিপশনে সেকেন্ডারি ফোকাস কি ওয়ার্ড: আপনার পোস্টে শুধু একটি ফোকাস কি ওয়ার্ড নিয়ে লিখলেই তেমন কোন উপকার নাও হতে পারে তাই মেটাডক্সিনে সাথে সেকেন্ডারি ফোকাস কি ওয়ার্ড একবার ব্যবহার করতে হবে।
পুরো পোস্টে ফস কিওয়ার এর ব্যবহার: সম্পূর্ণ পুষ্টির ভিতরে আপনি যে ফোকাস ওয়ার্ডটি নিয়ে লিখছেন সেই ফোকাস কি ওয়ার্ডটা 10 বার রাখতে হবে।
সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড এর ব্যবহার: সেকেন্ডারি কিবোর্ড ব্যবহার করতে হবে অনেক সময় সেকেন্ডারি কিবোর্ড এর জন্য রেং করতে পারে তাই সেকেন্ডারি কিউটি ব্যবহার করতে হবে আপনার পোস্টে সর্বনিম্ন দুইবার ব্যবহার করতে হবে কম বা বেশি করা যাবে না।
সূচিপত্র তৈরি: একটি সুন্দর ভাবে বেশ সূচিপত্র তৈরি করতে হবে যেখানে আপনার গোটা পোস্টের সকল বিষয়ের একটি তালিকা দেওয়া থাকবে যা একজন পাঠক দেখার মাধ্যমে বুঝতে পারে আপনার পোস্টের ভিতরে কি কি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলা আর্টিকেল লেখর নিয়ম ২
বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে যেসব নিয়ম কনুন মেনে লিখতে হবে তার মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি এই পোস্টের মধ্যে আমরা আলোচনা করছি। এখন যে বিষয়গুলো আলোচনা করব তা হচ্ছে আর্টিকেল লেখার দ্বিতীয় পর্যায়।
ফিচার ইমেজ যুক্ত করা: আপনি যে বিষয়টা সম্পর্কে আর্টিকেল লিখেছেন এবং যে বিষয়টা নিয়ে ফোকাস কিওয়ার্ড তৈরি করেছেন সেটা গুগল থেকে, কমলাইসিনের আওতায় থেকে ছবি সংগ্রহ করে আপনার পোস্টে সংগ্রহ করতে পারেন, অথবা আপনি মাইক্রোসফট এর এআই থেকে আপনার টাইটেল অনুযায়ী ছবি তৈরি করে নিতে পারেন।
ফিচার ইমেজ seo: আপনি যখন তৈরি করবেন তখন আপনার ফিশার ইমেজের যেই টাইটেল বা রিনেম থাকবে সেই রিনেমটিকে ফোকাস কিউ এর দ্বারা চেঞ্জ করে নিতে হবে।আর পড়ুনঃ গুগল সার্চ কনসোল কি, এর কাজ ও পরিচয়
বিভিন্ন স্ক্রিনশট যুক্ত: যে বিষয়টা সম্পর্কে আপনি পোস্ট লিক ফ্যান সেই বিষয়টা পরিপূর্ণভাবে বোঝানোর জন্য যদি কোন ধরনের স্ক্রিনশট বা ছবি দেওয়ার দরকার হয় তাহলে স্ক্রিনশট ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার পোস্টের তথ্যটি ভালোভাবে বোঝাতে পারবেন।
ফিচার ইমেজ যুক্ত করার নিয়ম: ফিশারি বেস্ট তৈরি করে নিতে হবে অনলাইন ইমেজ এডিটর অথবা ফটোশপ থেকে, এর জন্য আপনাকে যেই পোস্টটি লিখবেন সেই পোস্ট এর ফোকাস কিওয়ার্ডটি rename হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। এবং প্রথমে মেটা ডেসক্রিপশন এ একটি ছবি ব্যবহার করতে হবে।
5 নম্বর হেডিং এ একটা ছবি ব্যবহার করতে হবে এবং 5 নম্বরের হেডিং এ যে কি ওয়ার্ডটি থাকবে সেই কোডটি টাইটেল টেক্সের মধ্যে দিতে হবে। এবং তিন নম্বর ফিসার ইমেজটি ব্যবহার করতে হবে সর্বশেষে আপনার শেষ মন্তব্য লিখেছেন যেখানে তার উপরের প্যারা বাদ দিয়ে পরে যে প্যারাটা থাকবে সেখান দিতে হবে।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ৩
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের ভিতরে অনেক ধরনের নিয়ম রয়েছে সেই নিয়মগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে একটি সুন্দর ব্লক ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন এবং সেখানে থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে এই উল্লেখিত সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আপনি যদি এই সকল বিষয় সম্পর্কে আশা করি এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করা: আপনি যে বিষয়টি সম্পর্কে আপনার পোস্টের ভিতরে লিখবেন সেই বিষয়টি থাকে সম্পর্ক আছে বা মিল রয়েছে এমন ধরনের আরো অনেক টাইটেল বা পোস্টের লিংক দিয়ে রাখতে পারবেন আপনার পোস্টের ভিতরে, যার মাধ্যমে একজন ভিজিটর এসে যে পোস্টটি পড়বে তার মধ্যে যখন দেখবে যে একটি রিলেটেড বা কাছাকাছি ধরনের কোন পোস্ট রয়েছে তখন সে অবশ্যই পোস্টটি পড়ার ইচ্ছে করবে।
ইন্টার্নাল এবং এক্সটার্নাল লিংক যুক্ত: ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিংক যুক্ত করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটিকে বেশি ভিউয়ার আনতে পারবেন এবং আপনার ওয়েবসাইট থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইন্টারনাল লিংক হচ্ছে যে সকল আরো পড়ুন সেকশন রয়েছে সেগুলোকে বোঝায়, এগুলো আপনার ওয়েবসাইটের নিজস্ব পুষ্টি কিছু লিংক।
এক্সটার্নাল লিংক বলতে আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইট ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে লিংক করে রাখবেন তখন সেই লিংক গুলোকে এক্সটার্নাল লিংক বলা হয়। এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমেও আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে পারবেন। এবং আপনার ইনকাম কে গড়ে তুলতে পারবেন আরো বেশি।
আর্টিকেল রিভিশন করা: একটি আর্টিকেল সম্পূর্ণ লেখা হয়ে যাওয়ার পরে, সেই আর্টিকেলটি কে নিজেই একবার ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে যে এই আর্টিকেলটির ভিতরে কোন ধরনের কোন ভুল বা তথ্য দেওয়ার কমতি রয়েছে কিনা। যদি কোন ভুল না থাকে বা যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এবং সমস্যা থাকলে তা সেরে নিতে পারবেন।
ভূমিকা ও শেষ কথা যুক্ত করা: বাংলা আর্টিকেল রেখে আয় করার জন্য আপনাকে উল্লেখিত সকল নিয়ম সঠিকভাবে পালন করার শেষে। আপনি যে পোস্টটি লিখেছেন যে বিষয়টি নিয়ে সেই বিষয়ে সম্পর্কে আপনার নিজস্ব কিছু মতবাদ উপস্থাপন করতে হবে যাতে কেউ পুষ্টি পড়ে বুঝতে পারে যে আপনি এই তথ্যগুলো সঠিক এবং নির্ভুলভাবে প্রকাশ করেছেন।
আর্টিকেল লেখার সময় তথ্য কোথায় পাবো
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে গিয়ে সবাই প্রথমে এই প্রশ্নটাই করে যে আর্টিকেল লেখার সময় এত তথ্য আমরা কোথায় পাবো এবং কিভাবে সংগ্রহ করবো। এই প্রশ্নের সহজ একটি উত্তর আমি যদি দিয়ে দিই তাহলে আপনারা অবশ্যই খুশি হবেন সেই উত্তরটি হচ্ছে আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে কোন কিছু মুখস্ত করে রাখা লাগবে না বা কোন বই-পুস্তক নিয়ে ঘাটাঘাটি করা তেমন কোনো প্রয়োজন হবে না।
আপনি আর্টিকেল লেখার জন্য অনলাইন গুগল ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ গুগল এ নেই এমন কোন ইনফরমেশন আছে বলে আমার জানা নেই সকল ধরনের ইনফরমেশনের জন্য মানুষ গুগল এ সার্চ দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে। আর আপনি যেহেতু আর্টিকেল লেখার জন্য গুগল থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন তাই আপনাকে যে বিষয়টি সম্পর্কে লিখবেন। সেই বিষয় সম্পর্কে সার্চ দিতে হবে গুগলে।
এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আসবে তার মধ্যে থেকে কিছু কিছু ওয়েবসাইট যেগুলো আপনার পছন্দ সেই ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আপনার ওয়েবসাইটে নিজের মত করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে হবে। কপি পেস্ট করা যাবে না কারণ গুগল এর কিছু নিয়ম রয়েছে সেই নিয়মগুলো মানা বাধ্যতামূলক প্রত্যেকটা ব্লগার ওয়েবসাইটের মালিক কে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মানতে হবে বলে গুগল নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে।
ভূমিকা বাটন ব্যবহার করার নিয়ম
ভূমিকা বাটন ব্যবহার করার জন্য আপনাকে যে নিয়মটি অবলম্বন করতে হবে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভূমিকা পাঠনের টাইটেল হতে হবে 5 থেকে 6 শব্দের মধ্যে। এবং যে আর্টিকেলটি আপনি লিখছেন সেই আর্টিকেলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচন করতে হবে ভূমিকা বাটন। যাতে কেউ পড়তে আসলে আপনার পোস্টের ভূমিকা বাটন দেখে যে ধরনের প্রয়োজন ছিল তা রিলেটেড হওয়ার কারণে সেই সেই ভূমিকা বাটনের প্রবেশ করে।
এবং ভূমিকা বাটনটি থাকবে আপনার পোস্টের শুরুতে জার্নিতে থাকবে দুই লাইন মেতা ডেসক্রিপশন এবং এর নিচে থাকবে ফিশার ইমেজ এবং তার নিচে দুই লাইন মেটা ডিসক্রিপশন। তাহলে আপনার পোস্টটিকে দেখতে অনেক আকর্ষণীয় দেখাবে এবং এর মাধ্যমে আপনি অনেক ভিজিটর পাবেন। যা আপনার অনলাইনে ব্লগার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি কি ধরনের ভূমিকা বাটন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার পোস্টের আকর্ষণীয় এবং অ্যাট্রাকটিভ দেখাবে যাতে করে আপনার পোস্টের ভিতরে কোন ভিউ আসলে বিভিন্ন ধরনের রিলেটেড পোস্ট দেখতে পাই। এবং সেই পোস্টগুলো তার প্রয়োজন অনুযায়ী দেখে এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। আশা করি বোঝাতে পেরেছি পোস্টের মধ্যে ভূমিকা বাটন কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং কোথায় ব্যবহার করতে হবে।
কোন আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি
কোন আর্টিকেল লেখার জন্য প্রথমে আপনাকে যে ধাপটি অবলম্বন করতে হবে। সেই ধাপকে বলা হয় প্রথম ধাপ আর এই ধাপটি হচ্ছে আপনাকে প্রথমেই বিষয় নির্বাচন করতে হবে যে আপনি কোন বিষয় নিয়ে আর্টিকেলটি লিখবেন, বিষয়টি নির্বাচন করা হয়ে গেলে গুগল এ সার্চ করার মাধ্যমে আপনাকে ফোকাস কি ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে।
এবং এমন ফোকাস কি ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে যাতে সেই কিওয়ার্ডের এবাউট রেজাল্ট অনেক কম থাকে তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সেই আর্টিকেলটি লেখার মাধ্যমে গুগল এর রেংক করাতে পারবেন এবং সেই রেংক করানোর মাধ্যমে বিভিন্ন লোক আপনার আর্টিকেলটি কে পড়বে এবং সেই পড়ার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের ইনকাম হবে।
তাহলে আশা করি বোঝাতে পেরেছি কিভাবে আর্টিকেল লেখা শুরু করবেন এবং কোন কাজটি প্রথমে করতে হবে। কোন আর্টিকেল লেখার জন্য প্রথমে আর্টিকেল কোন বিষয়ে লিখবেন সেটা নির্বাচন করে ফোকাস কিবোর্ড নির্বাচন করতে হবে। এবং পাশাপাশি কিছু সেকেন্ডারি ফোকাস কি ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। অনেক সময় সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড এর কারণেও পোস্ট রাঙ্ক করাই গগল কর্তৃপক্ষ।
তথ্য অনুসন্ধান এর বিভিন্ন উপায়
বাংলা আর্টিকেল লেখার উপায় সম্পর্কে জেনে আপনি অবশ্যই বাংলা আর্টিকেল লিখতে পারবেন। বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে না ইতিমধ্যে সে সকল বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবং বোঝাতে চেয়েছি যে কি কি কাজ করার মাধ্যমে আপনি বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এবং এই আর্টিকেল গুলো লেখার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের তথ্য কোথায় এবং কি উপায়ে পাবেন সেই উপায় টুকু এখন আলোচনা করবো, আমরা সকলেই জানি যে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট থেকে আমরা নানা নানান ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়টি এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো এই উপায়টির মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হচ্ছে।
গুগল এর মাধ্যমে তথ্য অনুসন্ধান করা গুগল একটি বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য ভান্ডার এখানে পৃথিবীর সকল বিষয়ে সকল ধরনের তথ্য আপনি ইচ্ছে করলেই খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে গুগল ব্রাউজার থেকে সার্চ করতে হবে যেই তথ্যটি আপনি জানতে চান সেই সকল তথ্য দিয়ে তাহলে আপনি খুব সহজেই গুগল এর সকল তথ্য থেকে আপনার কাংখিত তথ্যটি পেয়ে যাবেন।
তথ্য অনুসন্ধান কি ডিজিটাল প্রযুক্তি
বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের তথ্য অনুসন্ধান করতে হবে। এবং সেই তথ্যগুলো অবশ্যই নতুন এবং সুন্দর মাধুর্যপূর্ণ হতে হবে তথ্য অনুসন্ধান কি ডিজিটাল প্রযুক্তি এই বিষয়টা সম্পর্কে আমরা অনেকে জানিনা, আসলে তথ্য অনুসন্ধান একটি ডিজিটাল প্রযুক্তি, বর্তমানে সকল মানসিক কোনো না কোনো তথ্য অনুসন্ধান করতে থাকে।
তার বিভিন্ন চলার পথে বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্নভাবে মানুষ তথ্য অনুসন্ধান করে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার ফলে মানুষ এখন ঘরে বসেই বিভিন্ন ব্রাউজারের মাধ্যমে বিভিন্ন অজানা তথ্য জেনে নেয়। আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের অজানা তথ্য ডিজিটাল উপায়ে জানতে চান তাহলে আপনাকে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আপনাকে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিতে হবে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার তথ্যগুলোকে ডিজিটাল উপায়ে খুজে বের করতে পারবেন। আর খুঁজে বের করার জন্য সবচাইতে গ্রহণযোগ্য এবং বিশ্বাসী ওয়েবসাইট হচ্ছে গুগল, গুগল এর মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন ধরনের উপকারী তথ্য সংগ্রহ করে। এবং সে তথ্য ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আমার শেষ মন্তব্য
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং জানাতে চেষ্টা করেছি যে কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে একটা মানুষ ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবে। এবং কোন কোন উপায় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে এবং কি কি নিয়ম অনুসরণ করে বাংলা আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করতে পারবে।
একজন ব্লগার ওয়েবসাইটের মালিক যখন সে ব্লগ পোস্টের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশিত করে সেই তথ্যগুলোকে নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হয় সেই পাঠকদের কাছে যে পাঠক গুলো সেই তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হবে। প্রত্যেক রাইটারের ই জানা উচিত এসকল বিষয় সম্পর্কে যে কিভাবে একটা সুন্দর অ্যাটাকটিভ আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে ওয়েবসাইটেস্ট করে আপনি হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url