ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় ও বিভিন্ন কার্যকারী পদ্ধতি

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় এটি মানবদেহে অনেক ধরনের বিষয় রয়েছে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে না জানলে আপনি অবশ্যই গর্ভ অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। হতে পারেন আরো নানান ধরনের সমস্যা যা আপনার ও আপনার গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকর।

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায়

এই পোস্টটিতে আমরা জানবো কিভাবে ডেলিভারি পেইন উঠানো যায় এবং ডেলিভারি পেইনের না ওঠার কারণ গুলো সম্পর্কে। এবং কি কি কারণে ডেলিভারি পেন উড়তে দেরি হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে চলুন জেনে নেই। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় ও বিভিন্ন কার্যকারী পদ্ধতি 

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় 

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় জানা থাকলে আপনার যদি ডেলিভারি ডেট পার হয়ে যায় তবুও আপনি ডেলিভারি হয় না কেন সেই বিষয়ে ভাবতে থাকে। সাধারণত একটি গর্ভবতী মায়ের 40 সপ্তাহের মধ্যে বা 280 দিনের মধ্যে গর্ভকালীন সময়ের সমাপ্ত ঘটে এই সময় অতিক্রম করার পরে যেই গর্ভাবস্থায় মায়ের সন্তান জন্মগ্রহণ করে না তাদের ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় গুলো পোস্টটিতে  আলোচনা করবো। 

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে যখন থাকে তখন অনেক ধরনের যত্ন এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় কিন্তু এই সাবধানতা ও অবলম্বনে মাত্রা আরও বেড়ে যায় তখনই যখন সময় পার হয়ে যায় কিন্তু ডেলিভারি পেইন ওঠে না সেই সময়। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য এই সময়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা একজন মায়ের জন্য জরুরী। ডেলিভারি পেন উঠানোর জন্য আপনাকে অনেক উপায় অবলম্বন করতে হতে পারে। 

এই উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে কিছু কিছু উপাদান খুবই নরমাল এবং সহজ বা প্রাকৃতিক উপায়। আবার এই উপায়গুলোর মধ্যে কিছু কিছু উপায় রয়েছে যা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বা বিভিন্ন মেডিসিন গ্রহণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হয়। প্রথম অবস্থায় একজন ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে দেখে যে ডেলিভারি ডেট পার হয়ে যাওয়ার পরেও কেন ডেলিভারি পেইন ওঠে না। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর সেই পরীক্ষা নিরীক্ষা অনুযায়ী রিপোর্ট করা হয়। 

এবং এই রিপোর্ট দেখে পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তার গণেরা যে কি ধরনের সেবা গ্রহণ করবে ডেলিভারি পেইন উঠানোর জন্য এবং নরমাল ডেলিভারি করতে পারবে খুব সহজে। নিচে ধারাবাহিকভাবে সেই উপায় গুলো আলোচনা করা হলো যাতে আপনি খুব সহজেই ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পারেন যা আপনার গর্ভবস্থা অবস্থায় অনেক কাজে আসবে। 

ক্যাস্টর ওয়েল ব্যবহার করে। একজন গর্ভাবস্থায় মায়ের ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় গুলোর মধ্যে সবচাইতে সুবিধাজনক উপায় না হলেও এই উপায়ে মাধ্যমে অনেক সময় জরায়ুর মুখ নরম করে এবং ডেলিভারি পেন উঠাতে সাহায্য করে। এই ব্যবহারের জন্য অনেক সময় গর্ভস্থ মায়ের ঝুঁকি থাকে বিভিন্ন ধরনের তাই এটা ব্যবহার করা উচিত কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলে বেশি ফলাফল পাওয়া যায়। 

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় যা প্রকৃতিক উপায়

নিপল স্টিমুলেশন উপায় এর মাধ্যমে একজন গর্ভস্থ মায়ের ডেলিভারি ডেট পার হয়ে যাওয়ার পরেও এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ডেলিভারি পেইন উঠানো যায়। একজন গর্ভস্থ মায়ের শেষ সপ্তাহের দিকে নিয়মিতভাবে নিপল স্টিমুলেশন ব্যবহার করার মাধ্যমে জরায়ুর মুখ সংকোচন করতে সাহায্য করে এবং এটা ব্যবহার করার কারণে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ করতে সাহায্য করে এর ফলে ডেলিভারি পেইন উঠতে থাকে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা 

আকুপ্রেশার এর মাধ্যমে ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায়। এই উপায়টির মাধ্যমেও খুব স্বাভাবিকভাবেই ডেলিভারি পেইন উঠানো সম্ভব। একটা বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে যে যদি ডেট নির্ধারণ করতে ভুল হয়, অনেক সময় দেখা যায় যে আপনি ডেট নির্ধারণ করতে ভুল করেছেন যে সময় ডেট নির্ধারণ করতে হবে। যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার ডেট বা গণনা টি সঠিক আছে তাহলে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন। 

তাছাড়া আপনার শিশুর জন্য অনেক ক্ষতি হতে পারে কারণ গর্ভ অবস্থায় একজন মায়ের শরীরে থাকা শিশুর বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময়ের আগে যদি সে দুনিয়াতে চলে আসে তাহলে তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন ভুল না হয় সেই দিকে নজর রাখলে তাহলেই একজন মানুষ ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় গুলো জেনে ডেলিভারি স্বাভাবিক বা নর্মাল অবস্থায় করাতে পারবে। 

শারীরিক ব্যায়াম করার মাধ্যমে নরমাল ডেলিভারি উঠানোর উপায় হল, একজন গর্ভবতী মায়ের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তার শরীরের কোন ধরনের সমস্যা বা বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি পূরণ করার দিকে। এবং প্রতিদিন নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা 5 মিনিট বা 10 মিনিট করে ব্যায়াম করতে হবে বা হাঁটাহাঁটি করতে হবে তাহলে আপনি এই সমস্যা এড়াতে পারবেন আপনার জরায়ুর মুখ খুলে যাবে খুব সহজেই এবং আপনি নরমাল ডেলিভারি করতে সক্ষম হবেন। 

হাঁটাচলা করা, একজন মানুষ হাঁটাচলা করার মাধ্যমে ডেলিভারি পেন তুলতে পারে। কারণ গর্ভাবস্থার শেষের দিকে যদি সময় পেরিয়ে যায় তবুও যদি ডেলিভারি পের না ওঠে তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত সকাল এবং রাত্রে হাটা চলাফেরা করার অভ্যাস করতে হবে তাহলেই দেখা যাবে যে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে তাই আপনি যদি ডেলিভারি পেন উঠানোর উপায় গুলো না জেনে থাকেন তাহলে এই উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন। 

এছাড়াও যে যে কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় ব্যবহার করতে পারবেন তা হল খেজুর খাওয়া, খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে ডেলিভারি পেন উঠানো যায়। গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে খেজুর বেশি বেশি পরিমাণ প্রতিদিন খাওয়ার মাধ্যমে আপনার জরায়ুর মুখ খুলতে সাহায্য করবে বা নরম হবে যাতে আপনি ডেলিভারি পেন উঠানোর জন্য বিশেষ উপকারিতা পাবেন। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে সহবাস করার মাধ্যমে ডেলিভারি পেন উঠানো যায়।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয় 

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় বা নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয় অনেক উপায় রয়েছে সেই উপায়গুলো অবলম্বন করলে একজন মানুষের নরমাল ডেলিভারি হবে। প্রত্যেক মা এবং পরিবারই চাই যে একজন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি হোক তাই বিভিন্ন সমস্যার কারণে তাদের এই আশা পূর্ণ হয় না কিন্তু আমি কিছু এমন টিপস আপনাদের সামনে শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনি অবশ্যই নরমাল ডেলিভারি হবেন।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারী টিপস

নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে, নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপ করার মাধ্যমে, ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করার মাধ্যমে, শরীরের ওজন সঠিক মাত্রায় রাখার মাধ্যমে, সর্বদা মানসিক চাপমুক্ত থাকার মাধ্যমে, গর্ভকালীন সকল স্বাস্থ্যসেবা মেনে চলার মাধ্যমে, কে গেল এক্সারসাইজ করা সহ পেরিনিয়াল মেসেজ ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি নরমাল ডেলিভারি করতে পারেন। 

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় গুলোর মধ্যে এই উপায়গুলো অন্যতম এই উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি নরমাল ডেলিভারি করতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহারকারী একজন সন্তান নরমাল ডেলিভারি অবস্থায় জন্মগ্রহণ করলে মা এবং শিশু সকলেরই বিশেষ সুবিধা হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে সিজার বা বিভিন্ন ধরনের কাটাছিরা করতে হয় এর জন্য অনেক টাকা-পয়সা খরচ হয় এবং মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি থাকে। 

বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয় 

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় জানা থাকলে আপনি বলতে পারবেন যে বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয় এবং কি ধরনের উপায়ে নরমাল ডেলিভারি করানো যায় সে সকল বিষয় সম্পর্কে। একজন বাচ্চার ওজন যে পরিমাণে থাকলে নরমাল ডেলিভারি হয় সেটা জানাও দরকার কারণ অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক সময় দেখা যায় মা ও শিশু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। অতিরিক্ত ওজন হওয়ার কারণে বাচ্চা জন্ম হওয়ার সময় সিজার করতে হয় বা বিভিন্ন অপারেশন করতে হয়। 

সিজার বাই বিভিন্ন অপারেশন ছাড়াই কিভাবে নরমাল ডেলিভারি করা যায় সেই উপায়গুলো উপরে আলোচনা করেছি। সাধারণত জন্মের সময় একটি সুস্থ বাচ্চার ওজন 2.5 থেকে 4 কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। মায়ের প্রসবের রাস্তা যথেষ্ট প্রশস্ত হলে এবং কোন জটিলতা না থাকলে ওই ওজনের শিশু নরমাল ডেলিভারি করা যায়। কিন্তু 4 কেজি ওজনের অতিরিক্ত ওজন হলে তা মা ও শিশু উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। 

তাই নরমাল ডেলিভারি করার জন্য বা ডেলিভারি পেইন যেন সঠিক সময় উঠে তা নিশ্চিত করার জন্য বাচ্চার স্বাস্থ্য বা ওজন ঠিক রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভবতী মায়ের গর্ভস্থ শিশুর ওজন অতিরিক্ত হওয়ার কারণে মা ও শিশুর দজনেই মারা গেছে এমন অনেক নজির রয়েছে তাই আপনি যেন আপনার শিশুকে এবং আপনাকে সুস্থ রাখতে পারেন তার জন্য উল্লেখিত বিষয়গুলো অবলম্বন করুন। 

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ সমূহ 

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার যেসকল লক্ষণ রয়েছে সে লক্ষণগুলো যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় সম্পর্কে আপনার জানা অবশ্যই। কারণ ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় সম্পর্কে জানলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ডেলিভারি পেইন উঠানো হয়। আরো জানবেন নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ সমূহ কিভাবে নরমাল ডেলিভারি হয় সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ সমূহ

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ এর মধ্যে রয়েছে, স্বাভাবিকের চেয়ে সে সময় বেশি স্রাব বের হওয়া। সাধারণত যে ধরনের সাপ বের হয় তার থেকে আলাদা ধরনের সাপ বের হওয়া। যেমন পানি পানি, আঠালো কিংবা রক্ত মিশ্রিত স্রাব বের হওয়া। এছাড়াও যোনিপথ দিয়ে রক্ত বের হওয়া বা অন্তর্বাসের ঝোপ ঝোপ রক্ত দেখতে পাওয়া এই লক্ষণগুলো সাথে পেট ব্যথা পরিমাণ হবে এতটাই বেশি যে মাসিকের ব্যথার মতো মোচড় অনুভব করবে। 

আরো  পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা ও গোপন টিপস 

তলপেটে প্রচুর পরিমাণে চাপ অনুভূত হবে এবং কোমর সহ বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা অনুভূত হবে। এছাড়াও যোনিপথ তো হয়ে থাকবে অনেক নরম। উল্লেখিত লক্ষণসমূহ একজন গর্ভস্থ মায়ের মধ্যে যখন দেখা দেবে তখন বুঝতে হবে যে তার নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সে সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের হাটা চলাফেরা বা প্রাকৃতিক কিছু উপায় অবলম্বন করলে অবশ্যই নরমাল ডেলিভারি হয়। 

প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় আরো জানুন 

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় সম্পর্কে জানা থাকলে অবশ্যই এই বিষয়ে অনেক উপকৃত হবে একজন মানুষের 40 থেকে 42 সপ্তাহের মধ্যেই ডেলিভারি হয়ে থাকে এই সপ্তাহে অতিক্রম করে ফেললে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিদর্শন অবলম্বন করতে হবে যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনাকে কি করতে হবে। প্রথমে আপনাকে একটি স্থানীয় মেডিকেল বা হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন শারীরিক রক্ত বা পেশাব সহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে নিতে হবে। 

এবং পরীক্ষা করা হয়ে গেলে ডাক্তারের পরমাণু সহ অনুযায়ী বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় সেই বিষয়গুলো জেনে ব্যবহার করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় জরায়ুর মুখে বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয় এছাড়াও আরো কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে আছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে একজন গর্ভস্থ মায়ের ডেলিভারি পেন উঠানোর উপায় করে। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা ও কিছু গোপনিয়তা

এর জন্য হাটাহাঁটি করতে হবে এবং বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এছাড়াও খেজুর খেতে পারেন, সাথে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে যাতে করে আপনি সঠিকভাবে সেই বিষয়গুলো ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনি পান আপনার জীবনের সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী আপনার এবং আপনার সন্তানের সুরক্ষা করার। আশা করি বোঝাতে পেরেছি প্রসবের ব্যথা না হলে কি করনীয় সেই সকল বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত। 

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণ সমূহ 

একজন গর্ভস্থ মা প্রায় 280 দিন মত একজন সন্তানকে তার গর্ভে ধারণ করে রাখে। এবং এই সময়কাল পার হয়ে যাওয়ার পর আর সন্তান পেটে থাকতে চায় না বা পারেনা এই সময়ের মধ্যে অনেক সময় অনেক মেয়েদের ডেলিভারি হয় আবার অনেক মেয়েদের ডেলিভারি করানোর জন্য ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় খুঁজতে হয়। এই উপায়গুলো অবলম্বন করে একজন গর্ভস্থ মা তার শিশু এবং নিজের জীবনকে রক্ষা করতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলা লক্ষণসমূহের মধ্যে যে বিষয়গুলো রয়েছে তা হচ্ছে, আপনার যদি নরমাল ডেলিভারি হয় তাহলে যোনিপথ দিয়ে কিছু পরিমাণ স্রাব বের হবে এবং সাথে পানি পানি, আঠালো অথবা রক্ত মিশ্রিত স্রাব বের হতে পারে। এছাড়াও এইসব সাধারণত পাতলা ও সাদা বা হলদে হয়ে থাকে। এছাড়াও মিউকাস প্লাগ যা প্রসব প্রক্রিয়ায় জরায়ু মুখ বড় হওয়ার ফলে বের হয় সেটি অনেক ঘন হবে এবং পরিমাণেও অনেক বেশি হবে। 

উল্লেখিত লক্ষণ গুলো যদি আপনার গর্ভাবস্থার শেষের দিকে বা প্রসব বেদনা ওঠার পূর্ব মুহূর্তে লক্ষণগুলো দেখা যায় তাহলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকবেন যে আপনার নরমাল ডেলিভারি হবে। উল্লেখিত বিষয়গুলো জানার মাধ্যমে আপনি আপনার শিশু সন্তানের ডেলিভারি পেন উঠানোর উপায় অবলম্বন করে আপনার নরমাল ডেলিভারি করাতে সক্ষম হবেন। একজন মায়ের নরমাল ডেলিভারি হলে মা ও শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

জরায়ুর মুখ খোলার ঘরোয়া উপায় 

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে জরায়ুর মুখ খোলা যাই। এই উপায়গুলোর মাধ্যমে জরায়ুর মুখ খুলে নরমাল ডেলিভারি করা যায় এবং সে উপায় গুলো হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন প্রোটিন ও ভিটামিন আমিষের চাহিদা পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ করে, শারীরিক ব্যায়াম করার মাধ্যমে, স্বামীর সাথে সহবাস করার মাধ্যমে জরায়ুর মুখ খোলা যায় এটা একটি প্রাচীন উপায় এই উপায়ে এর মাধ্যমে প্রাচীনকালে হাজারো শিশুর জন্ম হয়েছে। 

কারণ জরায়ুর মুখ খোলার জন্য তখন তেমন কোনো উপায় ছিল না সেই উপায় গুলো ব্যবহার করতে ও মানুষ জানত না। ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে বা শারীরিক ব্যায়াম করার মাধ্যমে জরায়ুর মুখ খোলার চেষ্টা করতো এবং অনেক সময় সার্থক হতো সেই চেষ্টা গুলো এবং নরমাল ডেলিভারি করতো সেই সময়কার মানুষেরা। বর্তমানে অনেক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে এই ডেলিভারি করানোর জন্য কিন্তু আমার মতে ঘরোয়া এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা দরকার প্রত্যেক জনের। 

গর্ভ অবস্থায় আপনি প্রতিদিন পিছনের দিকে ঝুঁকে থেকে যতটা সময় কাটানো সম্ভব সেই সময়টুকু কাটান তাহলে আপনার অবশ্যই এই নরমাল ডেলিভারি হবার মত সুভাগ্য মিলবে। এই উপায়টি কে বলা হয় লিনিং বা ঝুঁকে থাকা যা আপনার জরায়ুর মুখ খুলতে সাহায্য করবে। ব্যাক স্ট্রেচ প্রসব বেদনা কমানোর জন্য এই সেরা ব্যায়ামটি ব্যবহার করে থাকে অনেকেই।

 এফএম ব্যবহার করার মাধ্যমে পেশীর আটোসাটো ঢাকা দূর করতে সাহায্য করে এবং মেরুদন্ড কাজ এবং পায়ের পিছনের পেশীগুলোকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হাটাহাটি করার মাধ্যমে, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা নামা করে। আপনার হিপ বা পাছা কে উপরে নিচে তুলা নামা করে এই ব্যায়ামটি করতে হয় যার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে প্রসবের ক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য পেতে পারেন। বাটারফ্লাইস, পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ, এক্সারসাইজ বল, স্কোয়াটিং,পেলভিক টিল্টস ইতালি প্রক্রিয়া ব্যবহার করা যায়।

জরায়ু মুখ না খোলার কারণ 

ডেলিভারি পেন উঠানোর উপায় অবলম্বন করেও যদি জরায়ুর মুখ না খুলে তাহলে যে কাজটি করতে হবে বা যে কারণে জরায়ু মুখ খুলে না সে কারণগুলো হলো একজন গর্ভবতী মা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে সেই সমস্যাগুলো এড়াতে হবে এবং অনেক সময় দেখা যায় সার্ভিকাল দুর্বলতার ক্ষেত্রে ব্যথা বা জরায়ু সংকোচন ছাড়াই জরায়ু অপসারণ এবং ক্ষয় হতে পারে। একটি স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় জরায়ু সংকোচনের প্রক্রিয়া হিসেবে প্রসারণ এবং বিস্ফোরণ ঘটে। 

আরো পড়ুনঃ হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

গর্ভাবস্থার অগ্রগতির সাথে সাথে জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান চাপ দ্বারা জরায়ু মুখ খুলতে খেলে সার্ভিকাল দুর্বলতায় এর জন্য বাধা প্রদান করে। এবং এই সকল বাধার কারণে জরায়ুর মুখ খুলতে পারে না এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এবং ডেলিভারি পেইন তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় এবং জরায়ুর মুখ যেন খুলে এবং নর্মাল ভাবে যেন ডেলিভারি হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হয়। 

উল্লেখিত সকল কারণের জন্যই বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে জরায়ুর মুখ বন্ধ থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। এসকল সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে আপনি উল্লেখিত ডেলিভারি পেন উঠানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং এই জানার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনে ব্যবহার করে সকল সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন এবং আপনি এবং আপনার শিশুকে সুরক্ষা এবং ঝুঁকিহীন ভাবে জন্ম দিতে পারবেন। 

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময় 

সাধারণত সবায় ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় জানতে চাই। শিশু যদি গর্ভ অবস্থায় 37 তম সপ্তাহ পূরণ হওয়ার পরে জন্মায় তাহলে আমরা সাধারণত নরমাল ডেলিভারি বলে থাকি। এসময়ে আগে ডেলিভারি হলে তাকে বলা হয় অকাল প্রসব বা প্রিমেরিউড ডেলিভারি। সচরাচর গর্ভকালীন 37 থেকে 42 তম সপ্তাহের মধ্যে নরমাল ডেলিভারি হলে মা ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য নিরাপদ বলে বিবেচনা করা হয়। 

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময়

উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যখন ডেলিভারি হয় তখন সেই সিলভারকে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময় বলে ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া এই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে দেখা যায় যে অনেক সময় ব্যথা উঠে না বা ডেলিভারি হয় না তখন সেই ধরনের ডেলিভারি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করতে হয়। প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করতে হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর সেই সকল ফলাফল দেখে চিকিৎসক পরামর্শ দেন। 

যে কি ধরনের উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে ডেলিভারি পেইন উঠানোর হবে সেই উপায়গুলো পোস্টের উপরের অংশে আলোচনা করা হয়েছে আপনি ভালোভাবে জেনে নিয়ে আপনার জীবনে ব্যবহার করতে পারবেন। দুটি সকল পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই আপনার নরমাল ডেলিভারি হবে বলে পরামর্শ দিলাম। এই বিষয়গুলো গবেষণা করে দেখা গেছে যে অনেক সময় মানুষের 40 সপ্তাহ বা 42 সপ্তাহের বেশি হয়ে যায় তাদের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয় জানুন 

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় জেনে সেই উপায় গুলো ব্যবহার করলে অবশ্যই ডেলিভারি পেইন উঠবে। সাথে আরো কিছু পদ্ধতি আছে সেই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। আপনি যদি নরমাল ডেলিভারি করতে চান তাহলে উল্লেখিত তথ্যগুলো সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী কাজ করুন তাহলে অবশ্যই নরমাল ডেলিভারি হবে বলে আশা করা যায়। এবার জানবো ছেলে সন্ধান কত সপ্তাহে হয়। 

শিশু যদি গর্ভাবস্থায় 37 তম সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পরে জন্মায় তাহলে আমরা সাধারণত এই ডেলিভারি কে নরমাল ডেলিভারি বলে গণ্য করি। এই সময়ের আগে ডেলিভারি হলে তাকে অকাল প্রসব বলেও বিবেচনা করা হয় আবার অনেক সময় দেখা যায় যে 37 থেকে 42 সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ার পরেও ডেলিভারি পেন ওঠে না বা কোন ধরনের লক্ষণ দেখা যায় না। এই অবস্থায় আপনাকে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

সাধারণত 280 দিনের পরে আর কোন শিশু মায়ের গর্ভে থাকে না এই সময়কালের ভিতরেই গর্ভস্থ শিশু দুনিয়াতে ভুমিষ্ট হয়। এই সময়কাল পেরিয়ে গেলে অনেক সময় দেখা যায় মৃত সে ছেলে বা মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সকল শিশু একটি নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে জন্মগ্রহণ করে কোন সমস্যা বা সার্বিক কোন ত্রুটি না থাকলে সকল ভ্রূণের বিকাশকালে এক সময় সেটা ছেলে কিংবা মেয়ে উভয়ের জন্য কার্যকর তাই আমরা ছেলে বা মেয়ে সকল বিষয়েই একই নিয়ম মেনে ডেলিভারি করতে পারবো। 

লেখক এর শেষ মন্তব্য 

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি আরো আলোচনা করে সেই কিভাবে ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় অবলম্বন করতে হবে। এছাড়াও আলোচনা করেছি বিভিন্ন ডেলিভারি বিষয়ক তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত। আরো আলোচনা করেছি নরমাল ডেলিভারি সম্পর্কে এবং কিভাবে নরমাল ডেলিভারি করা যায় সে সকল বিষয়ে সম্পর্কে। একজন মানুষ কখনোই চায় না যে সিজার করে বা বিভিন্ন ধরনের কাটাছেঁড়া করার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়।

এতে করে উভয়ের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই সাধারণত প্রত্যেকটা গর্ভবতী মা চায় যে তাদের নরমাল ডেলিভারি হোক। এতে মা ও শিশু উভয়ের জন্যই লাভজনক হয় তাই আপনার শিশু এবং মাকে সুস্থ রাখতে উল্লিখিত বিষয়গুলো আপনার জীবনে ব্যবহার করেন তাহলে আপনিও এই নরমাল ডেলিভারি হওয়ার মজাটা পাবেন এবং সুস্থ এবং সুন্দর সন্তান জন্ম দিতে পারবেন কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই আশা করি বোঝাতে পেরেছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url