গুগল সার্চ কনসোল কি, এর কাজ ও পরিচয়

গুগল সার্চ কনসোল কি এবং কি কারনে গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করব এটা আমরা অনেকেই জানিনা। গুগল সার্চ কনসোল এমন একটি টুলস যা ব্যবহার করে ব্লগার ওয়েবসাইট সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবেন।

গুগল সার্চ কনসোল কি এর কাজ ও পরিচয়

ব্লগার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে কিভাবে ইনডেক্স করতে হয় এবং কিভাবে রেংক করাতে হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে, ও গুগল দিয়ে আর্টিকেল ইনডেক্স করানো এবং এর বিভিন্ন পরিচয় জানবো।

পোস্ট সুচিপত্রঃ  গুগল সার্চ কনসোল  আসলে কি, এর কাজ ও পরিচয়

গুগল সার্চ কনসোল কি, এর কাজ ও পরিচয় 

গুগল সার্চ কনসোল কি, এই প্রশ্নের উত্তরে আমি প্রথমে বলবো যে যারা ব্লগার ওয়েবসাইটে ব্লক পোস্ট করার মাধ্যমে ও গুগল এডসেন্স দিয়ে টাকা ইনকাম করেন, তাদের এই গুগল সার্চ কনসোল সম্পর্কে জানা আবশ্যক। ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার পরে সেই আর্টিকেল গুগল  ইনডেক্স করানোর জন্য এবং রাঙ্ক করায় এর সাথে আর্টিকেল এর পারফর্মেন্স দেখায়।  

গুগল সার্চ কনসোলের প্রধান কাজ হচ্ছে আপনি যে ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছেন সেই ওয়েবসাইটে কতজন ভিজিট করছে, কতজন ইমপ্রেস হচ্ছে, এবং তাদের মধ্যে থেকে কত জন গুগল থেকে আপনার ওয়েবসাইট টি দেখছে এবং কত নম্বর পর্যায় আছে এই সকল বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য গুগল সার্চ কনসোল এ আপনার ওয়েবসাইটটিকে সাবমিট করে নিতে হবে।

গুগল এ আপনার ওয়েবসাইটের কোন কোন পোস্টগুলো ভালো রেংক করছে এবং কিভাবে আরো ভালো করা যায় এ সকল পরামর্শ পাবেন। আপনি এই গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করে, এ ছাড়া কোন দেশ থেকে ভিজিট হয়েছে। মোবাইল থেকে ভিউ হয়েছে বেশি, না ডেক্সটপ থেকে ভিউ হয়েছে সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং আরো বিভিন্ন সুবিধা দেয়। 

গুগল সার্চ কনসোলের পরিচয় 

গুগল সার্চ কনসোল কি ও ব্যবহার করতে হলে গুগল সার্চ কনসোল সম্পর্কে জানতে হবে। গুগল সার্চ কনসল আপনার ওয়েবসাইটটি সাবমিট করার পর একটি ইন্টারফেস আসবে যেখানে বিভিন্ন ধরনের অপশন দেওয়া থাকবে এবং সে অপশন গুলোর বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। যা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে করে তুলতে পারবেন আরো জনপ্রিয়। 

গুগল সার্চ কনসোল সাবমিট করার পর প্রথমেই ওপেন করলে যেই ইন্টারফেসটি দেখাবে তার মধ্যে সাইডবারে যে বিষয়গুলো থাকবে তা হলো overview এখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স দেখতে পারবেন এবং আপনি যে পোস্ট গুলো লিখেছেন তার মধ্যে কত গুলো পোস্ট ইনডেক্স হইছে , সর্বমোট কতগুলো সার্চ ক্লিক হয়েছে এবং অন্যান্য তথ্য।

  • Performance: এই অপশনে আপনি যা দেখতে পাবেন,total clicks কত,total impressions কত,Average CTR কত, এছাড়াও Average position যা আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ করার সময় কত নম্বর পজিশনে থাকে সেই তথ্য ও জানতে পারবেন গুগল সার্চ কনসোল এর পারফর্মেন্স অপশন থেকে দেখতে পারবেন।
  • কোন কোন আর্টিকেল থেকে, কতগুলো পোস্ট দেখেছেন এবং কোন কোন পজিশনে কোন কোন আর্টিকেলটি রয়েছে দেখতে পারবেন এবং এর সাহায্যে মডিফাই করার মাধ্যমে পজিশন কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। গুগল সার্চ কনসোলের মাধ্যমে এই উল্লেখিত সকল সুবিধা পাওয়া যায় তাই আমি মনে করি ওয়েবসাইট ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে গুগল সার্চ কনসোল এর প্রয়োজন।
  • URL inspection: এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের কোন পোস্টটা ইনডেক্স হয়েছে বা কোন পোস্ট ইন্ডেক্স হয়নি পরীক্ষা করতে পারবেন। এছাড়াও এর মাধ্যমে ম্যানুয়ালি যে কোনো পোস্টকে ইনডেক্স করতে পারবেন। 
  • Indexing অপশনের মধ্যে রয়েছে কিছু অপশন pages, sitemaps,removals,pages অপশন থেকে জানতে পারবেন কি কি সমস্যার কারণে আপনার পোস্টগুলো ইনডেক্স হচ্ছে না। 
  • Sitemaps: এর মাধ্যমে আপনি দেখতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো প্রতিদিন আপডেট হচ্ছে কিনা এবং আপডেট না হলে আপনি ম্যানুয়ালি আপডেট দিতে পারবেন। এছাড়াও আরো অনেক অপশন রয়েছে যেগুলোর বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে।   
  • Settings: এই অপশনের মধ্যে আসলে আপনাকে একটি ইন্টারফেস দেখাবে সেই ইন্টারফেজ ভেরিফিকেশন করার মাধ্যমে আপনি গুগল সার্চ কনসলে আপনার ওয়েবসাইটটিকে সাবমিট করাতে পারবেন। যার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে সেই নিয়ম গুলো সম্পর্কে চলুন জেনে নেই। আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল সার্চ কনসোল  সাবমিট করতে হলে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল। 

গুগল সার্চ কনসোল সেটাপ করার উপায়

গুগল সার্চ কনসোল কি, এর কাজ ও পরিচয়। যে জিমেইল একাউন্টের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন সেই ওয়েবসাইট থেকে গুগল সার্চ কনসোল দিয়ে গুগল এ সার্চ করলে একটি ইন্টারফেস চলে আসবে এবং সেই ইন্টারফেস থেকে woner verification অপশনে ক্লিক করে HTML tag ভেরিফিকেশন করতে হবে, এর জন্য এইচটিএমএল ট্যাগ  কপি করে নিতে হবে, এবং আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে গিয়ে, থিমের ভেতর প্রবেশ করতে হবে। 

এবং<head>এরমধ্যে এইচটিএমএল ট্যাগ এর কপি করা অংশটুকু পেস্ট করে সেভ করে নিতে হবে এবং এভাবে সম্পূর্ণ কাজটি শেষ হলে নিচের উপায় গুলোর মাধ্যমে পরীক্ষা করে নিতে পারবেন যে আপনার প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা এবং robots.xml এর একটি কোড বসাতে হবে। এরপর চলে যেতে হবে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে। 

এবং ব্লগার ওয়েবসাইটে সেটিং থেকে custom robots.xml টি পেস্ট করতে হবে এবং সেভ করে নিতে হবে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হলে আপনি আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন এবং আপনার হোম পেজের url এর সাথে robots.xml যুক্ত করে ইন্টার দিলে যদি আপনি যেই রোবটিক্স কপি করে সেটিং এর মধ্যে পোস্ট আছে সেটা দেখায়। তাহলে বুঝতে হবে রোবটিক্স এক্সএমএল যুক্ত করা হয়ে গেছে। 

এরপর আপনাকে গুগল সার্চ কনসোল এর মধ্যে থেকে sitemaps অপশন থেকে প্রথমে sitemap.xml সাবমিট করতে হবে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে সকল পোস্ট গুলো দেখাবে। এবং দ্বিতীয়বার একই ভাবে sitemap-pages.xml লিখে সাবমিট করতে হবে তাহলে আপনার সকল পেজ গুলো দেখাবে। সাবমিটেড সাইট ম্যাপ এর মধ্যে পোস্ট এবং পেজগুলো সাকসেসফুলি স্ট্যাটাস দেখাবে। 

গুগল সার্চ কনসোল ম্যানুয়াল ইনডেক্স করার উপায়

গুগল সার্চ কনসোল কি, বিভিন্ন পোস্ট লেখার পর সে প্রশ্ন গুলো কিভাবে গুগল এ ইনডেক্স করা যায় এবং সে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। ওয়েবসাইটে অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন পোস্ট লেখার পর এক সপ্তাহ বা 15 দিনের মধ্যেই ইনডেক্স হয়ে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় এক সপ্তাহ বা একমাস পরেও ইনডেক্স হয় না। তাই মেনুয়ালে গুগল সার্চ কনসিল এর মাধ্যমে ইনডেক্স করার উপায় জানা থাকলে 

গুগল সার্চ কনসোলের মাধ্যমে ইনডেক্স করে আপনার আর্টিকেলগুলো গুগল এ রেংক করাতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে উল্লেখিত উপায়ে গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করতে হবে। গুগল সার্চ কনসোল এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা যায় যে কোন পোস্ট ইনডেক্স হয়েছে এবং কোন পোস্টে ইনডেক্স হয়নি। গুগল সার্চ কনসোলের url inspection অপশন ক্লিক করে। 

এবং যে পোস্টটি ইনডেক্স করবেন তার url পেস্ট করার পর ?m=1 যুক্ত করে ইন্টার পেশ করতে হবে। তাহলে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে আপনার পোস্টটি ইনডেক্স হয়ে যাবে। আশা করি বোঝাতে পেরেছি কিভাবে পোস্ট ইনডেক্স করতে হয় গুগল সার্চ কোনসোল দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের ইনডেক্স না হওয়া পোস্টগুলোকে যাতে আপনি খুব সহজেই গুগল এ রেংক করাতে পারেন। 

গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহারের সুবিধা

গুগল সার্চ কনসোল কি, এর কাজ ও পরিচয়। গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের কোন অবস্থায় কোন ধরনের কাজ করলে আপনার ওয়েবসাইটটি ভালো রেংকে থাকবে। এছাড়াও জানতে পারবেন আপনি কি ধরনের ভুল করলে ওয়েবসাইটটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে সে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। এই টুলস ব্যবহার করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের খুটিনাটি সমস্যা সমাধান করা যাবে। 

গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহারের সুবিধা

গুগল সার্চ কনসোলের parfomance অপশন থেকে Queries অপশন থেকে জানতে পারবেন। আপনার পোস্টগুলোর পজিশন এবং কতটা ক্লিক এসেছে কোন পোস্ট থেকে, এছাড়াও পারফরম্যান্স থেকে আরো অনেক তথ্য জানতে পারবেন কোন দেশ থেকে আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করছে। এবং সবচাইতে ভালো উপকারিতা মধ্যে যে উপকারিতা রয়েছে সে উপকারিতা গ্রহণ করতে পারবেন। 

আরে বিশেষ উপকারিতা হলো আপনি আপনার ওয়েবসাইটের যে পোস্টটি লিখেননি অথচ ওই পোস্টটির জন্য আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো রেংক করছে বিভিন্ন পজিশনে সে ফোকাস কি ওয়ার্ড অর্থে ব্যবহার করে আপনি নতুন একটি পোস্ট তৈরি করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করে ভালো রেংকে নিয়ে আসতে পারবেন। এই সুবিধাটি সবচাইতে ভালো সুবিধা বলে আমি মনে করি। 

গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার উপায় 

আপনার ওয়েবসাইটের সকল তথ্য জমা থাকে গুগল সার্চ কনসোল এর মধ্যে তাই এটা আপনি ইচ্ছা করে অন্য কাউকে দেখার অনুমনি দিতে চান তাহলে আপনাকে যে কাজ টি করতে হবে ,প্রথমে আপনাকে গুগল সার্চ কনসোলের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে এবং সেটিং এর ভিতর থেকে user and parmission  কিল্ক করতে হবে। 

সেখানে লিখা থাকবে add user, সেখানে আপনি যাকে ব্যবহার করতে দিবেন তার ইমেইল একাউন্ট প্রবেশ করাতে হবে এবং owner করে add করে দিতে হবে। তাহলে আপনার এই গুগল সার্চ কনসোল ভিজিট করার পারমিশন পেয়ে যাবে সেই ইমেইল ইউজার। ইচ্ছে করলে আপনি যে কোন সময় সেই ইউজারকে সেখান থেকে রিমুভ করে দিতে পারেন এর জন্য আপনাকে তেমন কিছু করতে হবে না শুধু, 

অপশনটিতে আসার পরে ইউজার লিস্ট থেকে 3 ডট এ ক্লিক করে রিমুভ করে দিতে হবে তাহলেই আপনি বুঝতে পারছেন যে কিভাবে একজন কে আপনার গুগল সার্চ কনসলে ভিজিটিং করার অনুমতি দিতে পারবেন। আশা করি মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন যে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় সার্চ কনসোল থেকে এবং কিভাবে সার্চ কনসোল ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে ডেভলপ করতে পারবেন। 

গুগল সার্চ কনসোলে সাবমিট করার পূর্ব করণীয় 

ব্লক আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে একটি ব্লগপোস্ট তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায়। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে গুগল এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে বিশেষ কিছু নীতি অবলম্বন করতে হবে। সবচেয়ে কঠিন নীতির গুলোর মধ্যে রয়েছে যে নীতি সেটা হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই নিজে সৃজনশীলভাবে কন্টেন লেখার অভ্যাস করতে হবে এবং কনটেন্ট লিখতে হবে।

আপনি যদি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কপি করে কন্টেন লিখে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন তাহলে গুগল এর সাবমিট করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার গোটা ওয়েবসাইটটি লক হয়ে যেতে পারে অথবা গুগল ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ দ্বারা ডিলিট হয়ে যেতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন কপিরাইট না করে আপনি কনটেন্টগুলো পাবলিস্ট করতে পারেন। 

এছাড়াও বিভিন্ন ফিচার এমএস তৈরি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সেই ফিচার ইমেজ গুলো ai দ্বারা জেনারেট করা হয়। এবং সুন্দরভাবে ফিচার ইমেজ গুলো এসইও করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে আপলোড করে পাবলিশ করতে হবে। যাতে আপনার ওয়েবসাইট থেকে কোন ধরনের কপিরাইট না আসে এবং গুগল কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্বাস করতে পারে আপনার ওয়েবসাইটটির কনটেন্ট সম্পর্কে যে এগুলো কখনোই কপিরাইট ভাবে লিখা নয়। 

গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহারের কিছু অসুবিধা

গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহারের অনেক সুবিধা সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি এবং সে সকল উপকারিতা ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটগুলোকে কিভাবে উন্নত করতে পারবো এবং পজিশন কমিয়ে ভালো রেংকে নিয়ে আসতে পারবো সে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনেছি। কিন্তু এখন কিছু অসুবিধার কথা বলবো যেগুলো সার্চ কনসোল ব্যবহার করার ফলে ওয়েবসাইটে তৈরি হতে পারে। 

গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহারের কিছু অসুবিধা

সার্চ কনসিল ব্যবহার করার জন্য তেমন কোন অসুবিধা নেই বললেই চলে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় ম্যানুয়ালি পোস্ট ইনডেক্স করার সময় একটা পোস্ট একাধিক ভার ইন্ডেক্স করা হয়ে গেলে সেই পোস্টটি একটা সময় রেংক করা থেকে বিরত হয়ে যায়। যেকোনো পোস্ট ম্যানুয়ালি ইনডেক্স করার পরে খেয়াল রাখতে হবে যে একটি পোস্ট বারবার যেন ইনডেক্স না করা হয়। 

এই বিষয়টি অবলম্বন করলে আপনি এই অসুবিধা থেকে বাঁচতে পারবেন। সার্চ কনসোল ব্যবহার করলে এছাড়া তেমন কোন অসুবিধা নেই বলে আমি মনে করি। কারণ সার্চ কনসোল ব্যবহার করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন অসুবিধা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সার্চ কনসোল এমন একটি টুলস যে টুলস এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে করে তুলতে পারেন একটি ব্যান্ড।

গুগল সার্চ কনসোলের প্রয়োজনীয়তা কি কি 

গুগল সার্চোল ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি যে সকল সুবিধা পাবেন এবং যে প্রয়োজনে আপনি ব্যবহার করবেন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। এটি গুগল এর একটি ফ্রি সাজেশন এবং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ধরনের কার্যকর তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং যে সকল সমস্যা হবে আপনার ওয়েবসাইটে সকল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। 

  • গুগল এ ঠিকমতো পোস্টগুলো ইনডেক্স হচ্ছে কিনা এবং কোন পোস্ট কত নাম্বার অবস্থানে অবস্থান করছে।
  • গুগল থেকে আশা সার্চ ট্রাফিক সম্পর্কে ধারনা পাবেন এবং কোন কোন মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসছে তা জানতে পারবেন। 
  • আপনি সার্চ পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে আপনার যেকোনো সাইট পর্যবেক্ষণ বা সামঞ্জস্য গুলি যেন মসৃণভাবে ঘটতে পারে এটা নিশ্চিত করার জন্য গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করতে পারবেন।
  • গুগল সার্চ কনসোল এর কুয়েরি কি এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোন পোস্ট ভালো রেংক করছে তা জানা যাবে। 
  • আপনার যে কনটেন্ট গুলো বেশি ব্যবহার হয় সে কনটেন্টগুলো আরো বেশি ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহার করতে পারবেন। 
  • আমার ওয়েবসাইটকে আরো শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় করে তোলার জন্য গুগল সার্চ কনসোল ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন।

গুগল সার্চ কনসোল নিয়ে লেখক এর শেষ মন্তব্য  

গুগল সার্চ কনসোল কি ও এর পরিচয় সম্পর্কে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। এই গুগল সার্চ কনসাল ব্যবহার করার মাধ্যমে কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় এবং কেনই বা এই গুগল সার্চ কনসিল ব্যবহার করবেন, সে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা রেখেছে। আরো বোঝাতে চেয়েছি যে কিভাবে গুগল সার্চ কনসোলের মাধ্যমে আপনার ব্লক পোস্টগুলোকে ইনডেক্স করাবেন ম্যানুয়ালি। 

এবং কিভাবে দেখবেন যে আপনার ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেলগুলো কি ইনডেক্স হয়েছে কিনা এবং কতটি আর্টিকেল ইন্ডেক্স হয়েছে। এবং একটি উপায় যে উপায়ে আর্টিকেলগুলো মেনলি ইনডেক্স করে আপনি রেংকিং এ নিয়ে আসতে পারবেন। কারণ ওয়েবসাইটে শুধু আর্টিকেল লিখলেই হবে না সেই আর্টিকেল গুলোকে গুগল এর মাধ্যমে রেংক করিয়ে টাকা ইনকাম করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url