নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ২২ টি কার্যকারী টিপস
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জানা প্রত্যেকেরই দরকার কারণ এই নিম পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন পেটের সমস্যা জড়িত সমাধান নিম পাতাতেই রয়েছে। নিয়মিত ব্যবহারে ক্লান্তি দূর করে। শরীরে ক্ষত থাকলে সেই ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যেতে সাহায্য করে।
মূত্রনালীর বিভিন্ন সংক্রমণ কমায়। যাদের কৃমি রয়েছে তাদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকারী। এছাড়াও বমি বমি ভাব ও বিভিন্ন শারীরিক দুর্বলতা মূলক কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন এই উপকারী বন্ধু নিম পাতা।
পোস্ট সুচিপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা এবং ২২ টি কার্যকারী টিপস
- নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয় জানুন
- নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা ২২ টি কার্যকারী টিপস
- নিম পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা
- চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
- চর্মরোগের নিম পাতার ব্যবহার
- তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
- দাউদে নিম পাতার ব্যবহার করার উপায়
- দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- নিম পাতার উপকারিতা অপকারিতা নিয়ে আমার শেষ মন্তব্য
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জানা থাকলে আমরা নিমপাতা ব্যবহার করে অনেক বেশি উপকৃত হবেন কারণ যে উপায়ে ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে সেই উপায় গুলো থেকে আপনি রক্ষা পাবেন। নিম পাতার বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন আছে এর ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে আদি কাল থেকে। নিম পাতা ব্যবহার করার ফলে আপনার জীবনে নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে এই সমস্যাগুলো নিম পাতার গুণের জন্য তুমি সেই সমাধান হয়ে যাবে।
নিম পাতা ত্বকের উপকারের জন্য ব্যবহার হয়। এই নিমপাতা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার মাধ্যমে আপনার পেটের যাবতীয় যত ধরনের সমস্যা রয়েছে এবং আপনার যদি হজম শক্তির সমস্যা থাকে সেই সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারবে এই নিম পাতার রস। এছাড়াও নিমপাতা অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে যেমন নিম পাতা বেশি পরিমাণ খাওয়ার ফলে স্টোমাটাইটিস এর মত এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
সৃষ্টি করতে পারে প্রচুর পরিমাণে এলার্জির সমস্যা যাতে আপনার শরীরের চুলকানি ফুসকুড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের উপলক্ষ দেখা দিতে পারে। প্রয়োজন ছাড়া খালি পেটে নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে অবাঞ্চিত গর্ভধারণ বন্ধ করতে এই নিমপাতা ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও নিম পাতাত প্রচুর পরিমাণে এসিডিটি জন্য উপকারী উপাদান রয়েছে। নিম পাতার সাথে পানি দিয়ে গরম করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ব্যবহার করলে পেটের গ্যাসের সমস্যা কমায়।
নিম পাতার উপকারিতা আরো কিছু তথ্য
নিম পাতার উপকারিতা মধ্যে যেই যে গুণগুলো বা উপকারিতা গুলো রয়েছে সেই উপকারিতা গুলো আপনার জীবনকে বেচে থাকার জন্য বিশেষভাবে কাজে আসবে। বিভিন্ন দেশে এই নিমপাতার ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন কথা প্রচলিত রয়েছে সেই কথাগুলো কতটুকু সত্যি সেটাও আমরা জানবো। নিমপাতা কে ভারতে গ্রামের ঔষধালয় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। নিম পাতার গাছের ছাল মানুষের বেদনার নাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুনঃ হাতির শুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
মৌখিক স্বাস্থ্য নিয়ে নিম পাতা: নিমের নির্যাসে অত্যন্ত শক্তিশালী উপাদান রয়েছে যে উপাদান গুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন উপকারের পাশাপাশি আপনার মুখের ভেতরে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আপনার মুখকে দুর্গন্ধ মুক্ত করে তুলবে। নিম পাতা তে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল শক্তি রয়েছে যা আপনার দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। টুথপেস্ট মেসওয়াক ও বিভিন্ন দুধ পাউডার ব্যবহার করার চাইতে নিম পাতার মেসওয়াক ব্যবহার করা অনেক উন্নত ও উপকারী।
ত্বকের জন্য নিম পাতা: নিম পাতার মধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন ভিটামিন উপাদান ও পুষ্টি আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ত্বকে চুলকানি, ফুলকুঁড়ি ও ঘা হয়ে থাকে, আরো কাটা ছেঁড়া বা ক্ষত তে ব্যবহার করতে পারবেন নিম পাতার রস। এছাড়াও নিম পাতার উপাদানগুলো ত্বকের জ্বালাপোড়া রক্ষা করেতে কাজ করে। নিম পাতা তে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকা এটা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা করতে সাহায্য করে।
শরীরের ফোলা ভাব কমাতে: ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা হিসেবে এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে নিম পাতা এবং নিম পাতার নিম পাতার গাছের ছালের রস মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করার পাশাপাশি শরীরের অতিরিক্ত ফোলা ফোলা ফোলা ভাব কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে, খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি এই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। নিম পাতা কে মহৌষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এন্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান: নিম পাতার বীজে এবং নিম পাতার পাতার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া নাশক বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যা এন্টি ফাংগাল বৈশিষ্ট্য তে ব্যবহার করে সাহায্য পায়। এই উপাদানের কারণে নিমপাতা পশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আরো উপকারিতা পাওয়ার জন্য নিম পাতার গরম জল তৈরি করে আপনি প্রতিদিন গোসল করে এর উপকারিতা ভোগ করতে পারবেন।
প্রজননের ক্ষেত্রে নিম পাতা: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে নিমপাতা ব্যবহার করে সহবাস করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ক্ষেত্রেই বিশেষ উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় দুজনেরই কিন্তু লিবোড ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না। এছাড়াও নিমপাতা একটি শুক্রাণু হিসেবেও কাজ করে এটি যৌন সহায়ক হিসেবে কাজ করে যা যৌন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে তাই আপনিও ব্যবহার করুন এবং নিরাপদ থাকুন।
মাথার উকুন নাশক হিসেবে নিম পাতা: আপনি যদি মাথায় উকুন নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং উপন্যাসিক বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করার পরেও আপনার মাথায় উকুন ভালো হচ্ছে না। তাহলে আজকেই নিম পাতা ব্যবহার করার পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যবহার করুন এবং উপকারিতা পান। এর জন্য আপনাকে নিমপাতা বেটে নিতে হবে এবং মাথার চুলে ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে মাথার ত্বক সহকারে কয়েকদিন ব্যবহার করলে ভালো হয়ে যাবে মাথায় যত উকুন।
এছাড়াও নিম পাতা ব্যবহার করার ফলে আপনি ক্যান্সার বা কর্কট রোগের চিকিৎসা পাবেন, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বিটা ক্যারোটিন করিসেটিন, আজারিটিন, সহ আরো বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে বা উপকারী উপাদান রয়েছে যার কারণে নিমপাতা ব্যবহার করার ফলে আপনি বিভিন্ন উপকারিতা পাবেন এছাড়াও গর্ভাবস্থায় জটিলতার জন্য ব্যবহার করা যায়। ব্যবহার করা যায় অহেতুক ক্লান্ত দূর করার জন্য নিম পাতা।
নিম পাতার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তাই নিম পাতা ব্যবহার করার সময় সাবধান এবং সতর্কতা অবলম্বন করে ব্যবহার করতে হবে এবং ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। কারণ এই নিম পাতার কিছু খারাপ দিক রয়েছে যা ব্যবহার করার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে যেমন চুলকানি এলার্জি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
নিম পাতার বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে গর্ভাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এই নিম পাতা ব্যবহার করলে যা গর্ভ অবস্থায় শরীরের শুক্রাণু কোষ প্রত্যাখ্যান করে করে বা গর্ভবতী ভ্রূণকে নষ্ট করে দিতে পারে। এছাড়া শিশুদের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর প্রভাব থাকে। নিম পাতার মধ্যে কিছু পদার্থ রয়েছে যা রে সিনড্রোমের উপসর্গের কারণ হিসেবে পরিচিত পাই। শিশুদের ব্যবহার করার পূর্বে এটার সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এছাড়াও যাদের হাঁপানি বা বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো কাজ করলেই বেশি ক্লান্তি হয়ে যান এই ধরনের দুর্বল লোকদের জন্য নিম পাতা ব্যবহার না করাই ভালো। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করে কিন্তু যাদের অল্পতেই ক্লান্তি বা দুর্বলতা স্বীকার হবার মতো আশঙ্কা আছে। তাদের জন্য মিমের তৈরি কোন উপকরণ ব্যবহার করাই উচিত নয় কারণ এতে তাদের উপকারের চাইতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয় জানুন
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যাবে এবং কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে সে সকল বিষয় সম্পর্কে কিন্তু অনেকে জানতে চাই যে নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয় এই বিষয়ে। তাই আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম যে নিম পাতার বড়ি খাওয়ার মাধ্যমে কিভাবে উপকারিতা হয় এবং নিম পাতার বড়ি কিভাবে খায়। নিম পাতার বড়ি খাওয়ার সঠিক উপায় গুলো এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।
নিম পাতার বড়ি খাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে নিম পাতার সংগ্রহ করতে হবে টাটকা গাছের নিমপাতা নিয়ে, সেই নিমপাতা গুলোকে ব্লেন্ডার করে অথবা যে কোনো উপায়ে পেস্ট করে নিতে হবে এবং সেই পেস্ট গুলোর মধ্যে আপনি একটু কাঁচা হলুদ পিছিয়ে মিশিয়ে নিবেন। এবং সেই মিশ্রণটি একটি ছোট ছোট বোনের মত টুকরা টুকরা করে একটি পাত্রে রেখে দিবেন। সেই পাত্রটি ফ্রিজে অথবা নরমাল একটি শুষ্ক এবং ঠান্ডা অবস্থায় রাখতে পারবেন।
আর পড়ুনঃ সকাল বেলা খালি পেটে পেয়ারা খেলে কি হয় বিভিন্ন টিপস
এবং প্রতিদিন সকালে অথবা যে কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেটি ব্যবহার করতে পারবেন এর ফলে আপনি বিভিন্ন উপকারিতা পাবেন। আপনার পেটে সমস্যা থাকলে দূর হয়ে যাবে, বিভিন্ন ধরনের চুলকানি ক্ষত ও কাটা ছেড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। এতে আপনার কাটাছিরা বা এই ধরনের সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করতে পারবে। আশা করি বোঝাতে পেরেছি নিমপাতার বডি খাওয়ার উপকারিতা ও কি উপায় নিম পাতা ব্যবহার করতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত।
নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা
নিমপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে অনেক উপকারিতা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি এখন আলোচনা করব নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে তাহলে চলুন নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি তা জেনে নিন। নিমপাতা রস খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। নিম পাতার রস খাওয়ার মাধ্যমে আপনি শরীরের বিভিন্ন ক্ষত নিরাম ও কাটা ছেড়াতে ব্যবহার করতে পারবে
নিম পাতার 22 টি উপকারিতা ও রোগ নিরাময়
- খোসরা বা চুলকানির ক্ষেত্রে: গরম পানির মধ্যে নিম পাতা দিয়ে প্রতিদিন গোসল করার মাধ্যমে ফসরা বা চুলকানি দূর হয়।
- কৃমিনাশক কাজে নিম পাত: কৃমি একটি মারাত্মক ধরনের ক্ষতিকর পরজীবী প্রাণী এটা বিভিন্ন প্রাণীর পেটের ভিতরে বসবাস করে। এই কৃমি পেট হওয়ার ফলে শরীরের পেট মোটা হয়ে যায় এবং চেহারা ফ্যাকাশি হয়ে যায়। প্রতিটি নিম পাতার বড়ি খাওয়ার মাধ্যমে এর সমাধান পাবেন।
- ত্বকের যত্নে: ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য এনি পাতা ব্যবহার করতে পারবেন নিম পাতার বেটে মুখে লাগালে মুখের ব্রণ ও বিভিন্ন দাগ সমস্যার সমাধান হয়।
- দাঁতের রোগ নিরাময়: দাঁতের রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় নিম পাতার মেসওয়াক। এছাড়াও কচি কচি নিম পাতা চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে এবং মুখকে দুর্গন্ধমুক্ত করবে।
- চুলের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে: আপনার চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকতে পারে চুলের অপুষ্টি এবং চুলের ঝরে পড়ে যাওয়া সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, সমাধান করার জন্য নিম পাতা বেটে চুলে লাগিয়ে শুকানোর পরে ধুয়ে ফেলুন।
- উকুন নাশক হিসেবে: আপনি যদি মাথায় উপর নিয়ে সমস্যায় থাকেন তাহলে নিমপাতা ব্যবহার করে এই সমাধান করতে পারবেন নিমপাতা প্রথমে গাছ থেকে কাঁচা অবস্থায় নিয়ে এসে পেস্ট তৈরি করতে হবে এবং পেস্ট গুলোকে মাথায় ভালোভাবে মাখিয়ে রাখতে হবে এবং উকুনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- খুশকি নাশক হিসেবে: নিম পাতা ব্যবহার করার ফলে আপনার মাথায় যদি খুশকি থাকে তাহলে সেই সমাধান পেয়ে যাবে। এর জন্য নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে মাথায় ব্যবহার করতে হবে।
- ওজন কমানোর জন্য নিম পাতা: আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং ওজন কমানোর বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করার পরেও আপনার ওজন না কমে তাহলে প্রতিদিন নিম পাতার জুস খাওয়ার অভ্যাস করুন, আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বির পরিমাণ কমে যাবে এবং আপনি স্বাভাবিক ওজন নিয়ে চলে আসতে পারবেন।
- রক্ত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে: মানুষের রক্তে বিভিন্ন ধরনের দূষিত কণা বা পদার্থ এই ধরনের দূষিত পদার্থ বা রক্তকে পরিষ্কার করার জন্য আপনি প্রতিদিন নিম পাতার জুস ব্যবহার করতে পারেন।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: নিম পাতা ব্যবহার করার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয় নিমপাতা তে যে উপাদান গুলো রয়েছে তা রক্তের শর্করার মাত্রা কমে যায় এবং হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এতে রক্তের নিম্নচাপ বা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়।
- ঠান্ডা জড়িত বুকের ব্যথা: অনেক সময় দেখা যায় ঠান্ডা লাগার কারণে বুকে ব্যথা সৃষ্টি হয় এই সকল সমস্যার জন্য আপনি সামান্য 30 ফোটার মতো নিম পাতার রস গরম জলের সাথে মিশিয়ে তিন-চারবার খাবার মাধ্যমে সমাধান পাবেন কিন্তু গর্ভবতীদের জন্য নিষেধ।
- পোকা মাকড়ের কামড় থেকে : পোকামাকড়ের বিভিন্ন সময়ে মানুষকে কামড় দিয়ে থাকে এর জন্য অনেক রকম জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়, আপনি যদি পোকার কামড় খেয়ে থাকেন তাহলে সেই স্থানের নিমপাতা বেটে লাগিয়ে দিন, আশা করি ভালো হয়ে যাবে।
- জন্ডিসের ক্ষেত্রে: আপনি যদি জন্ডিসের মত ভয়াবহ সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এই নিম পতা ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে 30 থেকে 40 পাঠা নিম পাতার রস এবং একটু মধু মিশিয়ে খাওয়ার। এই উপায়ে জন্ডিস নিরাময়ের জন্য তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
- ভাইরাস রোগের ক্ষেত্রে: আমরা আদিকাল থেকে জানি যে বিভিন্ন দেশে নিমপাতার ব্যবহার করা হয় ভাইরাস রোগ নিরাময় করার জন্য। অনেক আগে চিকনগুনিয়া হাম ও চর্বরোগ হলে নিমপাতা বাটা ব্যবহার করা হতো।
- ম্যালেরিয়া রোগের ক্ষেত্রে: ম্যালেরিয়া রোগের ক্ষেত্রে নিম পাতা ব্যবহার করা হয় নিম পাতার গরম পানির সাথে সিদ্ধ করে বোতলে রাখুন এবং প্রতি ঘরে স্প্রে করুন। এবং নিম পাতার রস খাওয়ার মাধ্যমে এই রোগের সমাধান পাবেন।
- বাতের সমস্যা: অনেক মানুষ রয়েছে যাদের বিভিন্ন ধরনের পাতের সমস্যা আছে, এজন্য নিমের ও নিমের বাকলের ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও নিমের তেল ব্যবহার করে এর উপকারিতা পাওয়া যায়।
- চোখের ক্ষেত্রে: অনেক সময় মানুষের চোখে বিভিন্ন চুলকানি ও সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য আপনাকে নিম পাতার জল খেয়ে 10 মিনিট গরম করে সেই জলকে ঠান্ডা করে চোখে একটু পরপর ব্যবহার করতে পারবেন। এতে চোখের চুলকানির মতো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
- ব্রণ দূর করতে পারে: আপনি যদি মুখে ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নিম পাতার ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার মুখের ব্রণের সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এর জন্য নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখন এবং শুকিয়ে গেলে তার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে মুখের ব্রণ ও ক্ষত দাগ ভালো হয়ে যাবে।
- ছত্রাকের ইনফেকশন থেকে রক্ষা: সময় দেখা যায় মানুষের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হয়ে থাকে সে ইনফেকশন থেকে বাঁচার জন্য মানুষের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। নিমের মধ্যে নিম্বুডল এবং জেঠুনিন নামক উপাদান রয়েছে যা ফাংগাল ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
- অজীর্ণ এর ক্ষেত্রে: অনেক ধরনের সমস্যার মধ্যে রয়েছে পেটের অসুখ বা পাতলা পায়খানা ধরনের বিভিন্ন সমস্যা। এর জন্য আপনি 30 থেকে 40 ফুট আর নিমপাতা রস একটি কাপ জলের চার ভাগের এক ভাগ জল মিশিয়ে তাতে সকালে বিকেলে খালি পেটে খাওয়ার মাধ্যমে সমাধান পাবেন।
- এলার্জি সমস্যা: এলার্জি সমস্যায় নিম পাতা পানির মধ্যে দিয়ে গরম করে সেই পানি দিয়ে গোসল করার মাধ্যমে এলার্জি থেকে বাচা যায়। এছাড়া কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা একসাথে বেটে শরীরে মাখার মাধ্যমে এর সমাধান পাওয়া যায়।
- একজিমার ক্ষেত্রে: মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুরা সৃষ্টি হয় এই ধরনের সমস্যার জন্য নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতার পেস্টি তৈরি করে সেই স্থানে লাগিয়ে দিন এবং এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আশা করি ভালো হয়ে যাবে।
নিম পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি পাতা ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন উপকারিতা পাবেন এই উপকারিতা গুলোর মধ্যে রয়েছে নিম পাতা দিয়ে গোসল করে বিভিন্ন শরীরের সমস্যার সমাধান হয়। চুলকানি ফুসফুস ও শরীরে জ্বালাপোড়া সব ইত্যাদি ধরনের সমস্যা থাকলে আপনার খুব সহজেই সমাধান করার জন্য নিম পাতা দিয়ে গোসল করার অভ্যাস তৈরি করুন তাহলেই উপকারিতা পাবেন।
কুশলে নিমপাতা ব্যবহার করে আপনি যে উপকারিতা পাবেন তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে আপনার যদি শরীরে কোন ফুস করে চুলকানি অথবা ত্বকের কোন সমস্যা থাকে তাহলে সে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। এর জন্য আপনাকে 15 থেকে 20 টি নিয়মিত আকারে গোসল করার সময় নিম পাতার জল ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আপনি নিমপাতা সকল সমাধান পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও ৯ টি উপকারিতা
নিম পাতা থেকে এন্টি মাইক্রোরিয়াল উপাদান রয়েছে যা গোসল করার সাথে সাথে আপনার শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত হবে। তাই আপনি যদি শরীরের ত্বকের সমস্যা বা বিভিন্ন সমস্যায় জড়ত হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহার করুন এবং নিম পাতার উপকারিতা গুলো আপনার বাস্তবিক জীবনে প্রতিফলিত করার সুযোগ দিন। আপনি যদি এই উপকারিতা গুলো পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার উপকারিতার কথাগুলো মানুষের মধ্যে শেয়ার করুন।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
অনেক মানুষ চুলকানির জন্য বিভিন্ন দামি দামি ওষুধ ব্যবহার করেন কিন্তু কোন সমাধান পাচ্ছেন না। আপনি যদি একজন বিশ্বস্ত মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে নিমপাতা ব্যবহার করে আপনার চুলকানির মত যত সমস্যা আছে সকল সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটা প্রমাণ করেছেন যে নিমপাতা ব্যবহার করার ফলে নানা ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। যে উপকারিতা পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ হাজারো ধরনের চেষ্টা করে থাকে।
নিম পাতা বেটে আপনার গোটা শরীরে যদি মেসেজ করেন এবং সে অবস্থায় কিছুক্ষণ রেখে শুকিয়ে যাওয়ার পরেও ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে নিন এভাবে কয়েকদিন চালিয়ে যেতে থাকলে আপনার গায়ের চুলকানি সহ বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে আপনি খুব সহজেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন। প্রতিটা মানুষই চাই রোগমুক্ত জীবন। তাই আমি মনে করি আপনি ও চান রোগমুক্ত জীবনে আপনি যদি চুলকা নিয়ে কোন সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি নিমপাতা কে পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে প্রতিদিন গোসল করার মাধ্যমে চুলকানি বা এলার্জি জনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাই আপনি যদি জ্বালাপোড়া চুলকানি সহ শরীরের ত্বকের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এই উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার এই চুলকানি সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। প্রত্যেকটা মানুষেরই চাওয়া থাকে যে সুস্থ এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করার।
চর্মরোগের নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় এবং কি কি ক্ষতিকারক দিক রয়েছে এই নিমপাতা ব্যবহার করায়। আর কি কি রোগের ক্ষেত্রে নিমপাতা ব্যবহার করা যাবে। এখন আমরা আলোচনা করব চর্মরোগের ক্ষেত্রে কিভাবে নিমপাতা ব্যবহার করে এর সমাধান পাবেন। চলুন জেনে নেই নিম পাতা ব্যবহার করে কিভাবে চর্মরোগ থেকে উপকার ও রেহাই পাবেন।
এর জন্য আপনাকে নিম পাতার বীজ অথবা নিম পাতার তেল ব্যবহার করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় যে মানুষের শরীরে চুলকাতে চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। এর থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে গরম পানির ভিতরে নিম পাতা দিতে হবে এবং সেই পানি ঠান্ডা করে আপনি প্রতিদিন উপায়ে গোসল করতে পারবেন। তাহলে আশা করা যায় চর্ম রোগের কিছুটা কম হয়ে যাবে।
আরো ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন যে কি উপায় ব্যবহার করলে চর্ম রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে নিমের তেল সাধারণত সোরিয়াসিস এবং একজিমার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। আরে সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনাকে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে যতদিন না ভালো হয়ে যায় ঠিকমতো। ততদিন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে না হলে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে।
তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে আপনি যদি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায় মানুষের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হতে চায় না। এর জন্য অনেক ধরনের উপায় অবলম্বন করেও এর সমাধান পাওয়া যায় না। তাই আপনি যদি নিম পাতার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন। এবং তৈলাক্ততা নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা না জেনে থাকেন তাহলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
নিম পাতা তে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া ঢাকায় নিমপাতা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে। যেমন ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, শহর ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে পারে, এর জন্য আপনাকে নিয়মিত নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনি আরো একটি উপকারিতা পাবেন তা হচ্ছে আপনার লোমকূপে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এবং আপনাকে দেখাবে সুন্দর এবং আকর্ষণীয়।
আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার ও ১০ টি কার্যকারি উপকারিতা
তাই কিভাবে নিম পাতা ব্যবহার করার ফলে তৈলাক্ত ত্বক থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সেই বিষয়ে আশাকরি আপনাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হয়। আপনি যদি তোরা তো তার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে উপরের এই বিষয়টি আপনার বাস্তব জীবনে ব্যবহার করে দেখতে পারেন এটা অনেক কার্যকরী এবং বিশেষভাবে প্রমাণিত। তাই আমি আপনাদেরকে সাজেস্ট করবো যে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য নিম পাতার ব্যবহার অপরিহার্য।
দাউদে নিম পাতার ব্যবহার করার উপায়
বিভিন্ন সময় দেখা যায় মানুষের চামড়ার উপরে বা ত্বকের উপরে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। এই রোগগুলো থেকে নিরাময় পাওয়ার জন্য আপনাকে যে সহজ উপায়টি আজকে শেয়ার করব তা ব্যবহার করলে আপনি রোগ মুক্তি পাবেন। আপনি যদি দাউদের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এই দাউদের জায়গাতে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। আপনি ধীরে ধীরে দেখবেন ডাবল ভালো হয়ে গেছে এবং আপনার ত্বকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
দাউদ নিমপাতা ব্যবহার করার জন্য আপনাকে প্রথমে নিম পাতা সংগ্রহ করতে হবে এবং নিম পাতার পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবং যেই স্থানে দাওয়াত হয়েছে সেই স্থানে লাগিয়ে দিতে হবে। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনি দাউদের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে এবং আপনার ত্বকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। আপনি যদি দাউদের সমস্যায় বুকে থাকেন তাহলে উপরের পদ্ধতিটি অবশ্যই বাস্তবে জীবনে ব্যবহার করবেন।
নিমপাতা মহা ওষুধের নাম নিম পাতা ব্যবহার করার ফলে নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায় নিম পাতার ব্যবহার করে যে সমস্যা সমাধান করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি এই পোস্টের মাধ্যমে। তাই নিম পাতা সকল ব্যবহার করে আপনি উপকার পান এটাই এই পোস্ট লেখার মূল উদ্দেশ্য। তাই আশা করি আপনি নিমপাতা ব্যবহার করার মাধ্যমে উল্লেখিত উপায় গুলো অবলম্বন করবেন এবং বিশেষভাবে উপকারিতা পাবেন।
দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার পাশাপাশি দাউদ চুলকানি থেকে বাচার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে টাকা পয়সা খরচ করে। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করার ফলে দেখা যায় অনেক সময় কোন ফল পাওয়া যায় না। দাঁত বা চুলকানি দূর করার জন্য একটি সহজ উপায় রয়েছে যেটা ঘরোয়া মাধ্যমে ব্যবহার করে আপনি উপকারিতা পেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে নিমপাতা সংগ্রহ করতে হবে এবং নিম পাতার একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে যে পেজটি নিয়মিত ব্যবহার করার মাধ্যমে দাঁত চুলকানি দূর করা যাবে।
সেই পেজটি আপনি দাউদ এবং চুলকানি যে স্থানে হয়েছে বা পুরো শরীরেও ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাঁত বা চুলকানি যদি হয়ে থাকে তাহলে সেই সকল সমস্যা মুক্তি দেবে। নিমপাতার ব্যবহার করে এছাড়াও আরো অনেক ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় যা ইতিমধ্যে এই পোস্টের ভিতরে আমরা আলোচনা করেছি আপনি যদি জানতে চান তাহলে পোস্টটি পুনরায় পড়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা গ্রহণ করার মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা ও ১৪ টি রোগ মুক্তির উপায়
জটিল ও সঠিক রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসার জন্য একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার চিকিৎসক এর সাথে পরামর্শ নিতে হয়। এছাড়া আপনি খুব সহজ উপায়ে ঘরোয়া ভাবে এই উপায় অবলম্বন করে আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এই নিম পাতা তে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আপনার শরীরের বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংস করে আপনার শরীরকে করে তুলবে সুস্বাস্থ্যবান এবং সুন্দর।
নিম পাতার উপকারিতা অপকারিতা নিয়ে আমার শেষ মন্তব্য
নিমপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে হাজারো বিষয় রয়েছে কারণ নিমপাতাকে বলা হয় মহা ওষুধ। ভারত মহাদেশে এই নিম পতা কে আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় বলে জানা যায়। এই নিমপাতা ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ মুক্তি ও ত্বকের সমস্যা সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়। আপনি যদি নিম পাতার সঠিক ব্যবহার করে উপকারিতা পেতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারে আসবে।
পৃথিবীর সকল মানুষই সুস্থ সুন্দর থাকার চেষ্টা করে কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন রোগ ব্যাধির কারণে সেই ধরনের সমস্যা মানুষের জীবনকে করে তোলে নিরানন্দময়। এই নিরানন্দময় জীবন এর আনন্দ আবার ফিরে আসার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারবেন নিম পাতা। এর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও উপকারী গুন আপনার জীবনের নানাবিধ সমস্যা সমাধান করে আপনাকে রোগমুক্ত করে রাখতে সাহায্য করবে।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url