প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয় ১৪ টি উপায়
প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয় এ বিষয়ে অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানে না আপনার যদি জানার প্রয়োজন হয় তাহলে এই পোস্টটি অবশ্যই আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায় ডেলিভারি রিপোর্ট অনুযায়ী ডেট পার হয়ে যায় তবুও ডেলিভারি হয় না বা ব্যথা ওঠে না।
তাই জানতে পারবেন কিভাবে প্রসবের ব্যথা না উঠলে, আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও আপনি স্থানীয় ডাক্তার বা মেডিকেলে চেকআপের মাধ্যমে জানতে পারবেন যে আপনার কি করনীয়।
পোস্ট সুচিপত্রঃ প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয় ১৪ টি উপায়
- প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয় বিস্তারিত জেনে নিন
- প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষন গুলো কি কি
- ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় বা লেবার পেইন
- ডেলিভারি পেন উঠানোর দোয়া ও হাদিস
- ডেলিভারি পেইন না উঠার কারণ
- ডিউ ডেট বা নির্ধারিত তারিখের বিলম্বে সমস্যা কি
- নরমাল ডেলিভারি করার পদ্ধতি ও প্রাকৃতিক উপায়
- লেখক এর শেষ কথা প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয়
প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয় বিস্তারিত জেনে নিন
একজন গর্ভস্থ মাকে অনেক সর্তকতার সাথে এই সময়টি পার করতে হয় তাই গর্ভস্থ মায়ের জানা উচিত প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয় এই বিষয় সম্পর্কে। প্রসবের ব্যথা না উঠলে যে সকল কাজ করতে পারবেন আপনি সে সকল কাজের বিষয়ে আলোচনা করা হবে এই পোস্টটির মধ্যে তাই চলুন জেনে নেই কিভাবে প্রসব ব্যথা না হলে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন সে সকল বিষয় গুলো প্রথমত আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
- বিভিন্ন ডাক্তারের চেকাপের মাধ্যমে ডাক্তার আপনাকে সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য দিতে পারবে আপনার অবস্থা পরীক্ষা এবং নিরীক্ষা করার মাধ্যমে।
- আপনার নিজের শরীরের দিকে মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনি কি কোন ধরনের ব্যথা বা অনুভূতি অনুভব করছেন কিনা সে সকল অনুভূতিগুলো নোট করে রাখতে হবে বা মনে রাখতে হবে।
- আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন আপনার শরীরের অবস্থা এতে আপনি এই সময়ের মধ্যে অনেক সাহায্য পাবেন তাদের মধ্যে থেকে আচ্ছা আপনার গর্ভাবস্থার জন্য উপকার।
- বিভিন্ন গর্ভকালীন জটিলতা যেমন প্রীতম লেবার বা ভ্রূণের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা।
- মায়ের শরীরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা বা উচ্চ রক্তচাপ জড়িত বা ডায়াবেটিস আছে কি না সে সকল দিক সম্পর্কে খেয়াল রাখতে হবে।
- এছাড়াও শিশুর স্বাস্থ্যের সমস্যা আছে কিনা। যেমন অক্সিজেনের স্বল্পতা বা অক্সিজেন পরিমিত পরিমাণে পাচ্ছে কিনা।
- বিভিন্ন ডাক্তারি পদ্ধতি বা ওষুধ ব্যবহার করা যায়। যার মাধ্যমে গর্ভস্থ মহিলার প্রসব বেদনা না উঠলে, ব্যথা সৃষ্টি বা কাঙ্খিত কাজটি সম্পন্ন হবে।
- এছাড়াও আপনি আরাম করতে পারবেন এবং শরীরকে বিশ্রামে রাখতে পারবে।
- প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয় আরো কিছু তথ্য আপনি জেনে নিন যাতে আপনার সময়ে কাজে আসে।
- বেশি বেশি পানি পান করুন এবং হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- বেশিরভাগ সময় যেটা পছন্দ সেই কাজটা করুন বা প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটান।
- প্রসবের ব্যাথা না হলে আরো একটি কাজ করা যায় সেটি হচ্ছে নিয়মিত হাঁটাচলা করা এবং জল বা পানি দিয়ে শরীরে মেসেজ করা।
- এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে মেডিকেলে ভর্তি থেকে নার্স ডাক্তারের সাহায্যে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেন।
- ডাক্তারের সাথে সকল বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করার মাধ্যমে জানা যায় অনেক কিছু।
প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষন গুলো কি কি
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি প্রসব ব্যথা না হলে করণীয় কি কি সে সকল উপায় গুলো। এখন আমরা জানবো প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষন গুলো সম্পর্কে এই লক্ষণ গুলো কিভাবে বুঝতে পারব এবং কখন এই লক্ষণগুলো দেখা যাবে সে সকল বিষয় সম্পর্কে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষন গুলো বুঝতে পারবেন সে সকল বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে।
আরো পড়্রুনঃ গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারী টিপস
- স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি স্রাব বের হওয়া।
- কোমরে ব্যথা অনুভব হওয়া।
- তলপেট বেশি চাপ অনুভব করা।
- পেটের ব্যথা ও মাসিকের ব্যথার মত মোচড় অনুভব করা।
- যোনিপথ দিয়ে রক্ত বের হওয়া।
- এছাড়াও পানি পানি বা আঠালো কিংবা রক্ত মিশ্রিত সাব বের হওয়া।
- স্বাভাবিক অবস্থায় এবং প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণের ভিতরে অনেক রকমের পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
- মাঝে মাঝে পেট ও পিঠ ব্যথা করতে পারে কিছুক্ষণ সময়।
- খিচুনি যুক্ত ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যাবে এবং সময়ের সাথে পরিমাণও বাড়বে।
- শরীরের মধ্যে শারীরিক অনেক পরিবর্তন দেখা দেবে।
তাছাড়া অনেক সময় দেখা যায় গর্ভবতী মা অসুস্থ হয়ে যায় বিভিন্ন শারীরিক দুর্বলতার কারণে যার জন্য আপনাকে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এছাড়াও আপনি আপনার OB-GYN প্রদানকারীকে জানান আপনার শারীরিক বিষয়ে সম্পর্কে।
ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় বা লেবার পেইন
প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করণীয় তা গর্ভস্থ অবস্থায় সবাই চাই যে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে কিভাবে ডেলিভারি হওয়া যায় সে সকল বিষয়ে দেখা যায় অনেকেরই নর্মাল ডল ডেলিভারি হয় এবং অনেকেরই নরমাল ডেলিভারি হয় না এসকল বিষয় সম্পর্কে গর্ভবতী মায়েদের জানা উচিত। আরো জানা উচিত প্রসবের ব্যথা না উঠলে করণীয় কি কি তা জানা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে। কারণ একজন গর্ভবতী মায়ের সবচাইতে কষ্ট বা সাফল্যের সময় হচ্ছে এই সময়টি।
অনেকে আরো জানতে চায় যে ডেলিভারির সময় পার হয়ে যাওয়ার পরে ডেলিভারি মেডিসিন খাব কি না অথবা ডেলিভারি কি কোন প্রাকৃতিক উপায় আছে কি না যেমন নর্মান ডেলিভারি কিভাবে হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে তাই আপনাদের জন্য সহজ উপায়গুলো উপস্থাপন করলাম। বিভিন্ন ধরনের মেডিসিনের মাধ্যমে ব্যথা উঠানো যায়। এছাড়াও জরায়ুর মুখে কিছু কিছু নল দিয়ে রাখারও ব্যবস্থা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার উপকারিতা ও গোপন টিপস
অনেকেই জিজ্ঞেস করে যে, ব্যথা উঠানোর ওষুধ আমরা আগে থেকেই খাবো কিনা ডাক্তারের কাছে জানতে চাই এসকল প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আমি বলবো ইন্ডাকশন অফ লেবার যেটা দিলে ভালো হবে, সেটাই ব্যবহার করা পরামর্শ দিবেন। শারীরিক বিভিন্ন অবস্থায় ও নির্ভর করে এই নরমাল ডেলিভারির ব্যাথা উঠানোর উপরে শরীরের পানির পরিমাণ ঠিক আছে কিনা বা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে হচ্ছে কিনা সে সকল বিষয়গুলো দেখা দরকার হয়।
আরে সকল বিষয়ে শারীরিকভাবে মানসিকভাবে সকল বিষয় থাকে যদি ঠিক থাকে তাহলে এই ব্যাসার ওষুধ ব্যবহার করে যায় এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তা মেডিকেলে ভর্তি অবস্থায় এগুলো করলে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। এসকল উপায় এর মাধ্যমে চেষ্টা করা হয় ব্যথা উঠানোর এবং জরায়ুর মুখ খোলার এবং যে লক্ষণগুলো দেখা যায় সে লক্ষণগুলো ডাক্তারের মনিটরিং করার মাধ্যমে পরামর্শ দিতে থাকেন পেসেন্টকে।
উল্লেখিত বিষয়টি ব্যবহার করা যাবে বিভিন্ন মেডিসিন বা ইনজেকশন ব্যবহার করা যাবে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই একটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ধাপগুলো সম্পন্ন করতে হবে অথবা মেডিকেলে ভর্তি থেকে সেই মেডিকেলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেই কাজগুলো করতে হবে। তাছাড়া ভালো ফল আশা করা যায় না তাই আপনাকে অবশ্যই আপনার ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনি মেডিকেলের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
ডেলিভারি পেন উঠানোর দোয়া ও হাদিস।
প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করণীয় জানার পাশাপাসশি, আমরা প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনোভাবে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করি এবং ভালোবাসি এবং তারই আরাধনা করার চেষ্টা করি। যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করেন এবং আল্লাহর রাসূলকে বিশ্বাস করেন তাদের জন্য বাজারে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত তাদের জন্য এই দোয়াটি অত্যন্ত কার্যকরী গর্ভবতী অবস্থায় যা হলো,
(রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহীন)
যার অর্থ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সৎ সন্তান দান করুন।
এছাড়াও কোন গর্ভবতী মহিলা যদি আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নাম পড়তে থাকে তাহলেও গর্ভবতী মহিলার অনেক সময় কষ্ট থেকে মুক্তি পায়। এছাড়াও অনেক আলিমগণ এবং মুফতিগন অনেক ধরনের আমলের কথা বলেছেন বিভিন্ন সূরা পাঠের কথা বলেছেন সে সকল সূরা পাঠ করার মাধ্যমে সন্তানের বিভিন্ন ধরনের গুণে গুণান্বিত হবে বলেও তারা জানিয়েছেন। তাহলে চলুন জেনে নেই সে সকল সূরার নাম সম্পর্কে যে সূরাগুলো পড়লে আপনার সন্তানের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা হবে।
এই সূরা গুলোকে বিভিন্ন গর্ভাবস্থার সময়ের বিভিন্ন সূরা দিয়ে পাঠ করতে হয় তাহলে সন্তানের অনেক উপকার হয়। বলা হয়েছে প্রথম মাসে সূরা আল ইমরান পড়লে সন্তান দামি হবে। দ্বিতীয় মাসে সূরা ইউসুফ পড়লে সন্তান দেখতে অনেক সুন্দর এবং সুদর্শন হবে। তৃতীয় মাসে মা মরিয়ম সূরা পড়লে সন্তান সহিংসু হবে। চতুর্থ মাসের সুরা লোকমান পড়লে সন্ধান বুদ্ধিমান হবে। পঞ্চম মাসে সূরা মোহাম্মদ পড়লে সন্তান চরিত্রবান এবং সুন্দর চরিত্রের মানুষ হয়ে উঠবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা ও কিছু গোপনিয়তা
ষষ্ঠ মাসে সূরা ইয়াসিন পড়লে সন্তান জ্ঞানী হয়। এছাড়াও সপ্তম অষ্টম নবম ও দশম মাসের সূরা ইউনুস মহাম্মদ ও ইব্রাহিম সূরা গুলো পড়লে আপনার সন্তান অনেক শান্তি এবং সৎ মনের অধিকারী হতে পারে। প্রসব ব্যথা উঠলে সূরা ইন শিরক পড়তে হবে পড়ে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি পান করলে ব্যথা কমে যাবে। এছাড়াও ঘুমের আগে চার কুল তথা সূরা কাফিরুন সূরা ইখলাস ও সূরা খালাক ও সূরা নাস পড়তে হবে ও হাতের তালুতে ফু দিয়ে সারা শরীরের হাত বুলিয়ে নিলে বহু ধরনের ফায়দা পাওয়া যায় এভাবে তিনবার করতে হবে।
ডেলিভারি পেইন না উঠার কারণ
প্রসবের ব্যথা না হলে কি করণীয় বিষয় সম্পর্কে আমরা জেনেছি আরো জেনেছি কি কি ধরনের আমল করতে হবে একজন গর্ভস্থ মায়ের জন্য সেসকল বিষয় সম্পর্কে। এখন জানবো ডেলিভারি পেন না ওঠার কারণ গুলো সম্পর্কে এই কারণগুলো না জানার কারণে অনেকেই বুঝতে পারে না সে যার বা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে বাধ্য হয় তাই পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন কিভাবে ডেলিভারি পেন উঠাতে হয় এবং কি কারণে ডেলিভারি পেন ওঠে না।
বেশিরভাগ বাচ্চা এই গর্ভ অবস্থায় 37 থেকে 41 সপ্তাহের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে ফেলে। ডিউ ডেট হল বাচ্চা জন্ম নেওয়ার সম্ভব ও তারিখ শেষ তারিখের প্রথম দিন থেকে 40 সপ্তাহ হিসাব করে এই ডেট গণনা করা হয়। প্রথম প্রাইম মিনিস্টার এর ডেটিং স্ক্যান এর উপর ভিত্তি করে এই ডিউ ডেইট এর তারতম্য ঘটতে পারে। মনে রাখতে হবে ডিউ ডেট মানে বাচ্চা কখন জন্মাবে সেটা না বরং এটা হল বাচ্চা কখন 40 সপ্তাহের হবে তার হিসেব।
আরো পড়ুনঃ পুদিনা সিরাপ উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ৯টি গুনুগুণ
এ সময় কে সম্ভাব্য সময় বলা হয় এ সময়ের আগে বা পরে বাচ্চা জন্ম নেওয়া দুটাই স্বাভাবিক। প্রসবের বা ডিউ ডেইট এর জন্য নির্ধারিত তারিখের দুই সপ্তাহ পরেও যদি বাচ্চা প্রসব না হয় তবে তাকে পোস্ট টার্ম প্রেগনেন্সি বলা হয়। 5 থেকে 10 ভাগ গর্ভাবস্থায় এমন বিলম্বিত হতে পারে এছাড়া সকলেই স্বাভাবিকভাবে জন্মগ্রহণ করে। পোস্টার প্রেগনেন্সি অনেক কারণে হতে পারে।
যেমন মা যদি তার শেষ মাসিকের তারিখটি ঠিকমতো মনে না রেখে থাকেন বা তা নিয়ে কনফিউশনে থাকেন তবে ডিউ ডেট এর হিসাব ভুল হতে পারে। সাধারণত যদি দ্বিতীয় টাইমে স্টারের শেষের দিকে বা তৃতীয় টাইম স্তরের করা আল্ট্রাসাউন্ড এর মাধ্যমে ডিউটি হিসাব করা হয় তবে তা সঠিক না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও বেশি সময় যদি প্রথম মা হন পরিবারের বা তার নিজের যদি এর আগে পোস্ট টার্ম প্রেগনেন্সির হিস্টোরি থাকে, বাচ্চাটির যদি জন্মগত কোন ত্রুটি থাকে প্রথমবার গর্ভধারণে এবং মায়ের ওজন বেশি হলে প্রসব ব্যথা উঠতে দেরি হতে পারে।
ডিউ ডেট বা নির্ধারিত তারিখের বিলম্বে সমস্যা কি
প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করণীয় বা ডিউ ডেট বা নির্ধারিত তারিখের কয়েকদিন দেরি হলে সাধারণত তেমন কোন সমস্যা হয় না। প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয় সেগুলো তো আমরা জেনেছি ইউ ডেটে দেরি হলে কি হবে তাও জেনে নেই। কিছুদিন সময় দেরি হলেও কোন সমস্যা হয় না বেশিরভাগ ডাক্তারেরা এসময় কৃত্তিম উপায়ে প্রসব করানোর পরামর্শ দেবেন না। তবে যদি নির্ধারিত তারিখের দুই সপ্তাহের অতিক্রম করে যায় তবে তা গর্ভের শিশু এবং মায়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
কারণ 42 সপ্তাহের পরে কিছু কিছু বাচ্চা মায়ের গর্ভে বা জন্মানোর অল্প সময়ের মধ্যে মারা যায় যদিও এমনটা খুব কম ক্ষেত্রে দেখা যায় তবুও এটা ঘটে থাকে। এছাড়াও তৃতীয় টাইমে স্টারের শেষের দিকে অনেক সময় দেখা যায় মায়ের ওজন আর না বেড়ে স্থির থাকা অবস্থায় থাকে বা কমেও যেতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় জরায়ু এর উচ্চতা এবং শরীরে পানির পরিমাণ কমে যেতে পারে এবং সবুজ বা হলুদ বর্ণ ধারণ করে নির্দেশ করে।
এ ধরনের গর্ভাবস্থায় বাচ্চাটি দৈর্ঘ্য ওজন বেশি হয় বাচ্চার মাথাটি তুলনামূলক শক্ত চামড়া পাতলা নখগুলো বড় থাকে। এ সকল বাচ্চার জন্মানোর পর ইনফেকশন সহ শাসনতন্ত্রের জটিলতায় ভুগতে পারে বাচ্চার শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যাওয়ার মত সমস্যা তৈরি হতেও পারে। এছাড়া বাচ্চার জন্মের সময় মায়ের যোনি ছিড়ে যাওয়া ইনফেকশন এবং অতিরিক্ত রক্তপাতের ঝুঁকি ও বাড়তে পারে। প্রসবের নির্ধারিত তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রসব শুরু না হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভের বাচ্চার আকার হৃদস্পন্দন অবস্থান পরীক্ষা করে নেবেন।
এবং দেখবেন আপনার কাছের বাচ্চারা নড়াচড়া সম্পর্কে কোন কোন ধরনের জানতে পারছেন কিনা যদি এক সপ্তাহের বেশি দেরি হয় তবে এন এম নিউ টিক ফ্লয়েডের পরিমাণ দেখা হবে এবং আল্ট্রাসাউন্ড এর মাধ্যমে বাচ্চার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ সময় কৃত্রিম উপায়ে প্রসব করার পরামর্শ দিতে পারেন চিকিৎসকেরা। প্রাকৃতিকভাবে প্রসব প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার অপেক্ষায় আর না থেকে কৃত্রিম ভাবে প্রসব প্রক্রিয়া শুরু করা হয় কে ইন্ডাকশন বলা হয়ে থাকে।
নরমাল ডেলিভারি করার পদ্ধতি ও প্রাকৃতিক উপায়
গর্ভবতী অবস্থায় একজন মায়ের অনেক গুরুত্ব এবং দায়িত্বের সাথে নিজেকে পরিচালনা করতে হয়। প্রসবের ব্যথা না হলে কি ধরনের করণীয় কাজ রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা জেনেছি আরো জেনেছি বিভিন্ন উপায়ে ব্যথা তুলর নিয়ম। এখন নরমাল ডেলিভারি করার পদ্ধতি ও প্রাকৃতিক বয়স সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে অনেকেই নরমাল ডেলিভারি করতে পারে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে নরমাল ডেলিভারি করা যায়।
- নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে।
- নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপ করে রাখার মাধ্যমে।
- সঠিক মাত্রায় ওজন বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে।
- সর্বদা মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।
- গর্ভকালীন অবস্থায় স্বাস্থ্য পরামর্শ নিতে হবে।
- এছাড়াও কেগেল এক্সারসাইজ করা।
- ও পেরিনিয়াল মেসেজ করা।
উল্লেখিত সকল মাধ্যমে আপনি একজন গর্ভবতী মাকে নরমাল ডেলিভারি করতে পারবেন এই সকল পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে একজন মায়ের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন এবং সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় তা গর্ভ অবস্থায় নরমাল ডেলিভারি করার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এছাড়া বিভিন্ন উপায় রয়েছে যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনি অবশ্যই নিয়মিত ব্যবহার এবং তথ্যগুলো মানার ফলে নরমাল ডেলিভারি মতো সহজ উপায়ে বাচ্চা জন্ম দিতে পারবেন।
লেখক এর শেষ কথা প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয়
প্রসবের ব্যথা হলে কি করনীয় এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন তাদের মনে জন্ম নেয়। কিন্তু আমি একটি কথা বলতে চাই যে যদি প্রসবের সময় পেরিয়ে যায় বা প্রসবের ব্যথা না হয় তাহলে প্রকৃতিক উপায়ে প্রথমে প্র্যাকটিস করা বা উপায় গুলো অনুসরণ করা প্রয়োজন যেমন পায়ে হাটা, শারীরিক চর্চা করা বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ করা, এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
একজন গর্ভাবস্থায় মাকে সঠিকভাবে সন্ধান প্রসবের জন্য যে সকল বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে সে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। প্রশ্ন করেছি বিভিন্ন উপায়ে কিভাবে মাধ্যমিক সহজে জীবনের এই কঠিন সময় পার করা। প্রয়োজনে পরীক্ষা নিয়ে কাগজের নিতে হবে এবং গর্ভের সন্তানের অবস্থা জেনে নিতে হবে তাহলে আপনারেও আপনার সন্তানের অবস্থার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url