বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয় কাজ এবং অসাধারণ টিপস
এছাড়া আমরা এই প্রশ্নটি করে জানবো কি ধরনের সমস্যা কারণে দাঁতের পোকা লাগতে পারে। এবং এই পাকে দূর করার জন্য কত ধরনের উপায় অবলম্বন করতে পারবেন প্রাকৃতিক উপায় গুলো এবং পাশাপাশি ওষুধের উপায়ও আলোচনা করব।
পোস্ট সুচিপত্রঃ বাচ্চাদের দাঁতে পোকা ও ঘা হলে করণীয় কাজ এবং অসাধারন টিপস
- বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয় কি জানুন
- দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়
- দাঁত ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
- দাঁতের ব্যথা দূর করার দোয়া
- দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
- দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে করণীয় কাজগুলো
- দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় কেন জেনে রাখুন
- দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি জেনে নিন
- প্রাথমিক পর্যায়ে মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো জানুন
- মুখে ঘা হলে কি ওষুধ ব্যবহার করবেন
- বাচ্চাদের জিহ্বায় ঘা এর ঔষধের নাম
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয় কি জানুন
বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয় কাজ এর মধ্যে সবচেয়ে উপযোগী কাজ হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে মুখের ভিতরে। নিয়মিত পরিষ্কার রাখার জন্য ব্যবহার করতে হবে মেসওয়াক। দাঁতের মধ্যে ছোট ছোট গর্ত হয় এগুলো গ্রাভিটি বলা হয়। তার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে এবং দাঁতের ক্ষয় করতে শুরু করে। এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে।
আপনি এবং আপনার পরিবারের কেউ যদি দাঁতের পোকার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে যে কাজগুলো করতে পারবেন তা বিস্তারিত ভাবে এখন আলোচনা করবো। প্রতিদিন খাওয়া-দাওয়ার শেষে ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে, ভালোভাবে মুখের ভেতরে জমে থাকা খাদ্যকণা কে পরিষ্কার করে রাখতে হবে যেন দাঁতের ভিতরে কোন প্রকার জীবাণু বাসা বাঁধতে না পারে। এছাড়াও আরো যে কাজটি করতে পারবেন তা হলো,
লবণ পানি ব্যবহার: লবণ এবং পানি গরম করে মুখে গলগল করার মাধ্যমে তাদের সমস্যায় অনেক উপকার পাওয়া যায়। লবণ পানি গড়গড় করার কারণে মুখের ভিতরে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া জন্ম বৃদ্ধি করতে পারে না এবং ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
লেবুর ব্যবহার: লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যাতায়াতের জন্য অনেক উপকারী ভিটামিন সি এর কারণে দাঁতের পোকা লাগা রোগ হতে পারে এবং এছাড়াও বিভিন্ন রোগ হতে পারে। দাঁতের পোকা লাগা ভালো করার জন্য এক টুকরা লেবু মুখে দিয়ে চিবিয়ে গরম পানি দিয়ে কুলি করুন। এতে আপনার মুখের ক্যাভিটি সংক্রমণ কবে যাবে মুখের দুর্গন্ধ মুক্ত করে। সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করবে।
নিমের দাঁতন ব্যবহার: ছোট বাচ্চাদের দেখা যায় বিভিন্ন খাবার খাওয়ার ফলে তাদের মুখে জমে থাকা ক্ষার কণিকায় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় এর ফলে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে রয়েছে দাঁতে পোকা লাগার মত ভয়ঙ্কর প্রভাব। এর জন্য আপনি নিম পাতার দাতুন বা মেসওয়াক ব্যবহার করতে পারবেন। নেমে থাকা প্রয়োজনীয় ফাইবার আপনার মুখে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করবে।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ: আপনাকে এমন ধরনের খাবার গ্রহণ করতে হবে যে খাবার গুলোর ভিতরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস রয়েছে, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে ফসফরাস বা ভিটামিন ডি মানুষের দাঁতের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ফ্লোরাইড টুথপেস্ট: বাজারে বিভিন্ন ধরনের টুথপেস্ট ব্যবহার করা হয় দাঁতের পোকা থেকে বাচার জন্য চার্বাতে একটি ক্যাভিটি দূরকারি টুথপেস্ট হচ্ছে ক্লোরাইড, এটা নিয়মিত ব্যবহার করলে দাঁতের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং দাঁতকে পোকামুক্ত তৈরি করে।
মিষ্টানো জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা: অনেক সময় মানুষ মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে এই মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে তাদের মধ্যে বা মুখে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য কণিকা জমা থাকে আর এই খাদ্য কণিকাগুলো ব্যাকটেরিয়ার খুব পছন্দ দায়ক এবং এতে বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়া ভালো।
তিল বা নারিকেল তেলের ব্যবহার: বাঁচাতে দাঁতে পোকা এ সমস্যাটা সকল বাচ্চারই কখনো না কখনো দেখা যায়, খুব কম সংখ্যক বাচ্চা আছে তাদের দাঁতে কখনো পোকা লাগেনা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে তিল বা নারকেলের তেল দাঁতে ব্যবহার করলে, মুখের মধ্যে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক পরজীবী হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
লবঙ্গের ব্যবহার: ক্যাভিটি ভালো করার জন্য এবং দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য লবঙ্গ ব্যবহার করা যায়। প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা মুখের ভিতরে থাকা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সাথে যুদ্ধ করে এবং দাঁতকে সুরক্ষা দেয়।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি দাঁতের গর্ত বা দাঁতের পোকা হলে কি ধরনের কাজ করতে পারবেন এবং কি উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই এ থেকে রক্ষা পাবেন। আপনি যদি দাঁতের পোকার সমস্যায় ভুগে থাকেন বা আপনার জানা কেউ যদি দাঁতের পোকার সমস্যায় ভুগে থাকে তাহলে উল্লেখিত এগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন, এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন টিপস ব্যবহার করা যায়।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: শিশুর দাঁতের গহর পূরণ করা উচিত?
উত্তর: আপনার সন্তানের প্রাথমিক দাঁতের ফিলিংস সাধারণত স্থায়ী দাঁতের ফিলিংস এর মতোই প্রয়োজনীয়। এছাড়া বিভিন্ন কারণের জন্য আপনার সন্তানের প্রাথমিক দাঁতের যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। চিকিৎসা না করলে এর অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
প্রশ্ন: দাঁতের গর্ত হলে কি করনীয়?
উত্তর: আপনার যদি দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা থাকে আপনার বাচ্চার যদি দাঁতের কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতেধাদণ্ড করবেন না। তাদের কাছে গেলে ডাক্তারেরা দাঁত পরীক্ষা করবে এবং সর্বোত্তম পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করবেন। আপনি যদি প্রাথমিক পর্যায়ে দাঁতের ক্ষয় সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে ফিলিং করার প্রয়োজন নাও হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মুসলমানি করার পর করণীয় এবং বিভিন্ন কার্যকরী টিপস
প্রশ্ন: শিশুদের দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধের উপায়?
উত্তর: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ফ্লয়েড টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা বাচ্চারা, এবং অন্যান্য বিভিন্ন টুথপেস্ট ব্যবহারকারী বাচ্চাদের তুলনায় ক্ষয় রোধ করতে বেশি সাহায্য করে। সঠিক উপায় অবলম্বন করে দাঁত মেসওয়াক করলে এই সকল সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে এর জন্য বাচ্চাদের অভিভাবকদের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রশ্ন: দাঁতের গোড়া ক্ষয় হওয়ার কারণ কি?
উত্তর: বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট এসিড যা মূলত লাইটিক অ্যাসিড, দাঁতের কঠিন অংশগুলো ধীরে ধীরে বিকলিত করার ফল দ্বন্দ্ব ক্ষয় হয়। দাঁতে লেগে থাকা খাদ্যকণা বা চিনি যখন ব্যাকটেরিয়া শক্তি উৎপাদনের উৎস হিসেবে রাসায়নিকভাবে ভেঙে ফেলে তখন এটি অ্যামিনো এসিড উৎপন্ন করে। এবং এর মাধ্যমে দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন: 5 বছরের বাচ্চাকে বেশি হওয়া কি স্বাভাবিক?
উত্তর: সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেশন (cdc) অনুসারে 5 থেকে 11 বছর বয়সী পাপ প্রায় 20% শিশুর এ ধরনের সম্ভাবনামূলক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন: দাঁতের ক্ষয় রোধে কি করবো?
উত্তর: সিস্টেমিক ক্লোরাইড লজেন্স, ট্যাবলেট, ফোটা এবং জলের ফ্লোরাইডেশন হিসেবে পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করার ফলে দাঁতের ক্ষয় রোধ করা যায় এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত, বিশেষ করে যারা নিম্ন অর্থনৈতিক এলাকায় বসবাস করে তাদের জন্য অনেক উপকারী।
দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়
বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয় কাজগুলো যথাযথভাবে পালন করলে দাঁতের পোকা দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। কিন্তু মানুষ অনেক সময় যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন না মনে করার কারণে দাঁতের বিভিন্ন ধরনের পোকা বা ইনফেকশন অথবা আরো নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। কিন্তু আপনি যদি জানেন যে কি কি উপায়ে অবলম্বন করার মাধ্যমে ঘরোয়া ভাবে,
দাঁতের পোকা থেকে বাচা যায়। ঘরোয়া ভাবে কিভাবে কোন উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে দাঁতের পোকা দূর করা যায়। ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে প্রথমে যে উপায়টি আলোচনা করবে সেটা হচ্ছে লবণ এবং পানি। লবণ পানি একসাথে মিক্স করে গরম গরম করে সেই পানি দিয়ে কুলি করলে দাঁতের পোকা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও নিমের ডাল ব্যবহার করতে পারবেন। নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার মাধ্যমে মুখের পোকা দূর করা যায়।
লেবু বা ভিটামিন সি ব্যবহার করে ঘরোয়া উপায়ে দাঁতের পোকা দূর করা যায়। এজন্য আপনাকে এক টুকরো লেবু মুখের ভেতর নিয়ে চিবাতে হবে। এবং সেই লেবু চিবানো হয়ে গেলে সেই সাথে গরম পানি দিয়ে গড়গড় করতে হবে। আরো ভালো ফল পাওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে তাহলে খুব সহজেই দাঁতের পোকা ভালো হয়ে যাবে একদম ঘরোয়া উপায়। আশা করি সেই উপায় গুলো ব্যবহার করবেন এবং আপনি উপকারিতা পাবেন।
দাঁত ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয় কাজ সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করেছি জানিয়েছি কি কি উপায় অবলম্বন করতে হয় দাঁতে পোকা হলে। কিন্তু দাঁত ব্যথার সমস্যা সকল মানুষেরই বিভিন্ন বয়সেই হয়ে থাকে তাই এর কিছু ঘরোয়া উপায় আপনাদের সামনে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেই ঘরোয়া উপায় গুলো কিভাবে আপনার উপকারে আসবে এবং কি কি উপায় অবলম্বন করতে পারবেন।
লবণ পানির ব্যবহার করে দাঁতের ব্যথা দূর করা যায় লবণ পানি একসাথে মিক্সড করার পর, সেই পানি গরম করে কুলি করলে দাঁতের ব্যথা সাময়িক কমে যায়, লবঙ্গের সাথে গোলমরিচ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাঁতে লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন এভাবে ব্যবহার করলে দাঁতের ব্যথা মুক্তি পাবে। এরা আলু ব্যবহার করতে পারেন আলু দাঁত ব্যথার জন্য বিশেষভাবে উপকারী উপাদানে ভরপুর।
আরো পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ২২ টি কার্যকারী টিপস
ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারবেন দাঁতের ব্যথা দূর করার জন্য ফিটকিরির পানি মুখে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ফেলে দিতে হবে কিছুক্ষণ করলে আপনার দাঁতের ব্যথা কমে যাবে। দ্রুত ব্যথা কমানোর জন্য ফিটকিরি খুব কার্যকারী। এছাড়াও আইসক্রিম ফ্রিজের পানি কোমল পানীয় খেলে দাঁতের ব্যথা শুরু থেকে আরো ও বেড়ে যেতে পারে। দাঁতের ব্যথা হলে ফ্রিজের পানি এত ঠান্ডা যেকোনো জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: দাঁত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা কি?
উত্তর: পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারবেন এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে যা দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য বিশেষভাবে ঘরোয়া ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্ন: দাঁতের মাড়ি ব্যথা হলে কি করতে হবে?
উত্তর: দাঁতের মাড়ি ব্যথা হলে নিয়মিত লবণ পানি দিয়ে কুলি করতে হবে এবং এসে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যা দাঁতের মাড়ির বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে। এছাড়া অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারবেন ফোলা এবং ব্যথার জন্য।
প্রশ্ন: দাঁত শিরশির করলে কি করতে হবে?
উত্তর: রোজ অত্যন্ত দুবার সামান্য উষ্ণ লবণ জল দিয়ে গলগল বা কুলকুচি করলে দাঁতের শিরশির ভালো হয় এবং আরাম দেয় এছাড়া আরো একটু ভালো ফলাফলের জন্য এক টেবিল চামচ হলুদ আদা চামচ সরিষার তেল এবং আধা চামচ লবঙ্গ একসাথে মিশিয়ে দাঁত লাগালে এর শিশির দিন একবারে চিরতরে মুক্ত হয়ে যায়।
প্রশ্ন: দাঁতের মাড়ি শক্ত করার জন্য কি করতে হবে?
উত্তর: দাঁতের মাড়ি শক্ত করার জন্য যে কাজগুলো করবেন তার মধ্যে গাজর ব্রকলি মরিচ বা ক্যাপসিকাম এর মত কচকচে সবজি খাওয়ার অভ্যাস। এতে পশুর পরিমাণ শক্তিশালী উপাদান রয়েছে যা দাঁতের বিভিন্ন ক্ষতি পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় ঘাটতি যেন না হয় সেই প্রক্রিয়া রক্ষা করে। এছাড়া দুধ ডিম ও পনির জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারবেন এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে যা দা যাতে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: ঠান্ডা লাগলে কি দাঁত ব্যথা হয়?
উত্তর: সর্দি খুব খারাপ একটি অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে যা সাইনাসের খোলার বাধা দেয় এবং সাইনোসাইটিক্স হতে পারে। জ্বর নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং কাশির মতো অন্যান্য সাধারণ লক্ষণগুলো সাথে দাঁত ব্যথা এবং দলক্ষণ ব্যথা সৃষ্টি করা 1912 সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তাই ঠান্ডা লাগার কারণে দাঁত ব্যথা হয়।
দাঁতের ব্যথা দূর করার দোয়া
বাচ্চাদের দাঁতে ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে বিভিন্ন দাঁত সম্পর্কিত অনেক তথ্য নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে দাঁতের ব্যথা দূর করার দোয়া সম্পর্কে এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করবো এবং দাঁতের ব্যথার দোয়া টা কি সেটা উপস্থাপন করবো। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক দাঁতের ব্যথা উঠলে কোন দোয়া পড়ার মাধ্যমে দাঁতের ব্যথা কমে যায় কুরআনে কি সেই দোয়াটি আছে?
কুরআন এমন একটি দোয়া আছে যে দোয়া পড়ার মাধ্যমে দাঁতের ব্যথা ভালো হয়ে যায়, দোয়াটি হচ্ছে কুল হুয়াল্লাজি আংশাআকুম ওয়া ঝাআলাকুসমুস সামা ওয়াল আবসারা ওয়াল আফইদাতা কালিমুল্লাহ তাশকুরুন। এই দোয়াটি পড়ার মাধ্যমে দাঁতের ব্যথার দূর করা যায়। যার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহতালা মুসলিম উম্মতকে আয়াতের আমল করার মাধ্যমে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্ত করার তৌফিক দান করুক আমিন।
আরো পড়ুনঃ মুসলমানি করার পর খাবার তালিকা নিয়ে কার্যকারি টিপস
নিয়ম মেনে চল যদি কেউ সকল কাজ সম্পন্ন করে তার জীবন চলার দশায় তাহলে কখনোই তাকে ছোটখাটো বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তেমন কিছু করতে হবে না আল্লাহই তাকে হেফাজত করবে না রক্ষা করবেন কিন্তু তারপরে পরীক্ষা করার জন্য অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দিয়ে থাকেন। যেসব সমস্যাগুলো কাটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের দোয়া ও ওষুধ ব্যবহার করা যায়।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: কি খেলে দাঁতের ব্যথা ভালো হয়?
উত্তর: দাঁতের ব্যথার হলে তাৎক্ষণিক ব্যথামুক্ত জন্য আপনি ঠান্ডা বরফ জাতীয় খাবার অথবা বরফ ব্যবহার করতে পারবেন, এছাড়াও ভ্যানিলা দ্রুত দাঁতের ব্যথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুবরা ঘাসের রস ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। মধু ব্যবহার করার ফলেও তাদের ব্যথার মুক্তি পাওয়া যায়। এর জন্য এক গ্লাস গরম পানিতে মধু মিশিয়ে সেই গরম পানি দিয়ে গলগল করতে হবে।
প্রশ্ন: দাঁতের ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম কি?
উত্তর: দাঁতের ব্যথার জন্য যে ধরনের ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারবেন। তার মধ্যে যে একটি ট্যাবলেট এর নাম আপনাদের কে জানিয়ে রাখি, এই ট্যাবলেট এর মাথাব্যথা, দাঁতের ব্যথা, তীব্র জলের কারণে ব্যথা ভালো করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকর, ছাড়া সার্জারির কারণ থেকে যে ব্যথা সৃষ্টি হয় এর জন্য প্রযোজ্য, সেই ট্যাবলেটটির নাম হলো,(Flublast Tablet) যা ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন: প্যারাসিটামল খেলে কি দাঁতের ব্যথা কমে?
উত্তর: দাঁত ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যেতে পারে? প্যারাসিটামল হচ্ছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ব্যথার কাজের জন্য বেশ উপকারী এটি আশেপাশে যেগুলো বাজারে দোকান পাওয়া যায়। এই ওষুধ সাধারণত দাঁতের ক্ষয় বা পেরিও ডেন্টাল রোগ, যেমন জিনজিভাইটিস দ্বারা সৃষ্ট দাঁতের ব্যথার জন্য কার্যকরী চিকিৎসা দেয়।
দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয় কি কিভাবে এর থেকে সমাধান পাবেন তার বিস্তারিত আলোচনা এই পোস্টের ভিতরে করা আছে কি ওষুধ খেলে ভালো হবে সে বিষয়ে ধারণা দেওয়া আছে। দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে সহজে উপায় গুলো যা খুব সহজেই সকল মানুষ করতে পারবে এই ধরনের কিছু উপায় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। যা ব্যবহার করে খুব সহজে দাঁতের গর্ত দূর করতে পারবেন।
দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে প্রথমে যে উপায়টি রয়েছে, সেটি হলো গরম পানি নিয়ে সেখানে লবণ মিশিয়ে কুলি করতে হবে এবং নিয়মিত করলে দাঁতের যে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে ফুটো বা গর্ত হয়ে যায়। সেই ব্যাকটেরিয়া গলো মরে যাবে এবং ধীরে ধীরে জ্বালা যন্ত্রণা ভালো হয়ে গদ্য পূরণ হয়ে যাবে। এছাড়া ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে যাতে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
যে সকল খাবার গ্রহণ করবেন তার মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেতে হবে গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ডি মানুষের গ্রাভিটির সংক্রমণ কমায়। খুব সহজে ভালো করার জন্য তিল বা নারকেল তেল দাঁতে 10 মিনিট দিয়ে রাখুন এবং কুলকুলি করুন। এতে আপনার সংক্রমণের পরিমাণ কমে যাবে এবং মুখের দুর্গন্ধ সহ বিভিন্ন দাঁতের সমস্যায় উপকার করবে।
দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে করণীয় কাজগুলো
দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে যে ধরনের উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে তা যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে খুব সহজেই দাঁতের ব্যথার ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাবেন। এর প্রধান প্রধান যে উপসর্গ গুলো রয়েছে তা আপনাকে জানানো হচ্ছে, দাঁতে ব্যথা, দাঁতের গোড়া ফুলে যাওয়া, মাড়ি ব্যথা করা, দাঁতের ঠান্ডা বা গরম লাগলে সংবেদনশীল অনুভূতি বা সৃষ্টির করা, জর জর অনুভূতি হওয়া, মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়া, এছাড়া খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা হয় চিবাতে পারা যায়।
আরো পড়ুনঃ ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় ও বিভিন্ন কার্যকারী পদ্ধতি
এই উপশগুলো হওয়ার কারণ হচ্ছে অপরিষ্কার এবং অনিয়মিত দাঁত মেসওয়াক করার কারণে হয়ে থাকে। খাওয়া-দাওয়া করার পরে নিয়মিত ব্রাশ করা না হলে দাঁতের মধ্যে জমে থাকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য কণিকা যা দাঁতের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন রোগ তৈরি করে। যে সকল সমস্যার সমাধান করার জন্য আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং এক্সরে করতে হবে সংক্রমণ স্থানের।
এছাড়াও ওপিজি করতে হবে দেখতে হবে যে দাঁতের ও চোয়ালের বেড়ে যাওয়া সংগ্রামন পর্যবেক্ষণ করে। এর সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ করায় নিরাপদ। উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী আশা করা যায় আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, বিভিন্ন ধরনের দাঁতের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য দাঁত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং নিয়মিত ঘুমানোর আগে ব্রাশ করা।
দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় কেন জেনে রাখুন
বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয় কাজগুলো জেনে থাকলে আপনি খুব সহজে বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে সেই কাজগুলো করার মাধ্যমে দাঁতের পোকা যে ব্যথা দেয় তা থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু অনেক সময় যে দেখা যায় দাঁতের মাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ঘা হয় যে ঘাগুলো হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে চলুন এখন সেই কারণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
সাধারণত ডায়াবেটিস, গর্ভ অবস্থা, ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে শুরু হয় এবং বিভিন্ন ভিটামিন জড়িত অভাবের কারণে দাঁতের মাড়িতে ঘা এবং বিভিন্ন ব্যথা দেখা দেয়। মাড়িতে তীব্র প্রদাহ মাড়ি ফুলে যায় এবং পুচ জমা হয়ে থাকে মাড়িতে সব সময় ব্যথা করতেই থাকে। রাতের ঘুম পর্যন্ত হারাম হয়ে যেতে পারে এই ব্যথা যদি শুরু হয় তাহলে ব্রাশ করার সময় খুব জোরে ব্রাশ করতে গেলে মাড়ির চামড়াগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়া বিভিন্ন খাবার খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন না করলে মাড়ির দাঁতের গোড়ায় বিভিন্ন আঘাত পাওয়ার কারণে মাড়ি ফুলে যায়। ভিভো এ থেকে ধীরে ধীরে মায়াতে ব্যথা এবং ঘা এর সৃষ্টি হয়। যে সকল সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে পাশাপাশি নিজেকে দায়িত্বের সাথে নিজের দাঁতের যত্ন নিতে হবে। তাহলে এই ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি জেনে নিন
দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণগুলো যদি আপনার জেনে থাকেন তাহলে আপনি নিজের অথবা আশেপাশের কোন ব্যক্তির যদি সেই লক্ষণ গুলো দেখতে পান, তাহলে তাকে পরামর্শ দিতে পারবেন এবং নিজে বাঁচতে পারবেন এই মাড়ির ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগ থেকে, বাড়ির ক্যান্সার হওয়ার বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে যে লক্ষণগুলো দেখলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি কি মাড়িতে ক্যান্সার নিয়ে আছেন কিনা?
লক্ষণ ও উপসর্গ: মাড়ি থেকে রক্ত বের হওয়া, দাঁতের গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব করা, প্রচন্ড ফুলে থাকা, ঠোঁট এবং চিবুকের আশারতার অনুভূতি বা ফোলা ভাবের সাথে এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে যে তীব্র কান ব্যথা, মাথা ব্যথার মতো নানা ধরনের সমস্যা যা আপনার শান্তি কি একেবারেই কেড়ে নেবে। এই ক্যান্সার রোগ যখন মাটিতে সম্পূর্ণ আকার ধারণ করবে তখন কোন কিছু খাওয়ার সময় অনেক কষ্ট হবে।
গলা দিয়ে কোন কিছু গিলতে পারা যাবে না। অনেক ব্যথা অনুভূত হবে এবং মনে হবে যে গলা যেন ছিড়ে যাচ্ছে। এ ধরনের উপসর্গ দেখাওয়ার সাথে সাথে ভাবতে বুঝতে পারার সাথে সাথে দেরি না করেই খুব তাড়াতাড়ি ভালো ডাক্তারের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করে চিকিৎসা নিতে শুরু করতে হবে। না হলে অনেক সময় দেখা যায় সকল দাঁত ক্যান্সারের কারণে পড়ে যায় এবং খুব কম বয়সে মুখের সব দাঁত হারাতে হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো জানুন
ইতিমধ্যে আমরা দাঁতের ব্যথা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি কিভাবে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং কি ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা হলে। কিন্তু অনেকে জানতে চাই যে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কিভাবে বুঝবো এবং কি কি উপসর্গ দেখা দিলে মনে করবো যে মুখে ক্যান্সার হয়েছে। তাহলে চলুন সেই বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরে যেন আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারেন।
মুখের ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ: মুখে ব্যথা অনুভূত হবে, এবং মুখে যে ঘা থাকবে সেই ঘাগলো ভালো হতে চাইবে না। মুখে রক্তক্ষরণ এবং ঘা বৃদ্ধি পাবে, আপনার মুখের আস্তরণের চারপাশে একটি মোটা পিণ্ড বা ঘন চামড়া সৃষ্টি হবে, অগলা দাঁত এবং মাড়ি, মাড়ি থেকে, জিব্বা ফুলে থাকবে এবং ব্যথা অনুভূত হবে, চোয়াল শক্ত হয়ে যাবে। খারাপ ভাবে লাগানো দাঁত, শরীরের ওজন কমে যাবে, গলায় প্রিন্টের কারণে গিলতে খুব কষ্টের বেদনা অনুভূত হবে।
এছাড়াও আপনার মুখে সাদা লাল অথবা সাদা সাদা দাগ দেখা যাবে ঠোটে লাল লাল দাগ দেখা যাবে, খাওয়ার সময় অসুবিধা হবে ব্যথা অনুভূত হবে খুব, এসারা ও শারীরিক দুর্বলতা ছাড়র কারণে অনেক সময় বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। আশা করি বোঝাতে পেরেছি খুব সহজেই কি কি উপলক্ষ দেখলে বুঝতে পারবেন যে মুখে ক্যান্সার হয়েছে কিনা এবং আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন এবং আপনার সজন কেউ সুস্থ রাখতে পারবেন।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: দাঁত থেকে কি ক্যান্সার হয়?
উত্তর: মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার হয় বিভিন্ন কারণে কিন্তু মানুষের মুখ এবং মুখমন্ডলের ভিতরেও ক্যান্সার হয়। মাড়ির ক্যান্সারকে অনেক সময় মাড়ির প্রদাহ মনে করে অবক্ষা করা হয়। বিভিন্ন ডেন্টিস্টের দাঁত চেকআপ করতে গিয়ে মাড়ির ক্যান্সার সাধারণত আবিষ্কার করে থাকেন। এটা খুব সহজেই বোঝা যায় না তাই মাড়ির ক্যান্সার আগে ধরা পড়লে চিকিৎসা করা যেত খুব সহজেই, এই কারণে এটা বোঝা খুব কঠিন।
প্রশ্ন: মাড়ির ক্যান্সারের রং কেমন হয়?
উত্তর: মাড়ির ক্যান্সার সাধারণত মাড়ির উপরিভাগ থেকে বাইরের দিকে বাড়তে থাকা কিছু অংশ। এটা দেখতে লাল অথবা সাদা হতে পারে, এতে রক্তপাত হতে পারে। এছাড়াও প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন: মুখের স্কোয়ামাস মিউকোসা কি?
উত্তর: মৌলিক মিউকোসাল সমগ্র পৃষ্ঠটি স্কোয়ামাস স্তরিত এপিথেলিয়াম দ্বারা আবৃত। এটি একটি অত্যন্ত সংঘটিত, আভাস কুলার এবং অর্ধভেদ যোগ টিস্যু যার পুরুষত্ব এবং কেরাটিনাইজেশন এর মাত্রা মৌখিক গহবর এর অবস্থান এবং এলাকার কার্যকরী এবং যান্ত্রিক প্রয়োজনীয় অনুসারে পরিবর্তিত হয়।
প্রশ্ন: ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কি?
উত্তর: ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ সমূহ হলো,
- খুব ক্লান্ত বোধ করা
- ক্ষুধা কমে যাওয়া
- শরীরের জায়গায় জায়গায় দলা বা চাকা দেওয়া
- দীর্ঘস্থায়ী কাশি হওয়ার কারণে গলা ব্যথা ও গলা ভেঙে যাওয়া
- মলত্যাগের সময় বিভিন্ন পরিবর্তন (যেমন, ডায়রিয়া কোষ্ঠকাঠিন্য এবং মলতর সাথে রক্ত যাওয়া) উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
- জ্বর আসা ঠান্ডা লাগা হঠাৎ এবং ঘেমে যাওয়া
- অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া
- ত্বকের পরিবর্তন দেখা দেওয়া
প্রশ্ন: দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হয় কেন?
উত্তর: মাড় থেকে রক্তপাত কি? মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ বলতে মাড়ি থেকে রক্ত পড়াকে বোঝায়, সাধারণত দাঁতে ব্রাশ করার সময়, ব্রাশ করার সময় বা বিভিন্ন শক্ত খাবার খাওয়ার সময় রক্ত বের হয়। এটি হচ্ছে মাড়ির রোগের প্রধান লক্ষণ যেমন মাড়ির প্রদাহ (হালকা মাড়ির প্রদাহ) এবং প্রিয়ডোন্টটাইটিস (উন্নত মাড়ির সংক্রমণ) এর কারণে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হয়।
মুখে ঘা হলে কি ওষুধ ব্যবহার করবেন
মুখে ঘা হলে কি ওষুধ ব্যবহার করবেন তা আমরা এখন জানব ইতিমধ্যে আরো বিশেষ বিশেষ বিষয় সম্পর্কে আমরা জেনেছি। আশা করি উল্লেখিত তথ্যগুলো অবগত হয়েছেন। কিন্তু মুখের ঘা হলে কি ওষুধ ব্যবহার করবেন সেই সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে জেনিন এখনই কি ওষুধ ব্যবহার করলে আপনি মুখের ঘা থেকে মুক্তি পাবেন। এবং কিছু টিপস যা আপনার খুব উপকারে আসবে।
মুখের ঘা হলে রিবোফ্লাবিন খেতে পারেন অথবা মুখের ভিতরে রেখে দিয়ে ভালোভাবে সারা মুখে মাখিয়ে রাখতে পারেন। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে সেগুলো খেয়ে নিতে ও পারেন অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন। প্রাকৃতিক একটি উপায় আপনাদের সামনে আলোচনা করব যেটা খুব কার্যকরী। লবণ জল গড়গড় করলে মুখের ঘা কমে। এছাড়াও ব্রেকিং সোডা ঘাস সারাতে বিশেষভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে আপনার মুখের জ্বালাপোড়া কমে যায় এবং শান্ত অনুভূতি হয়। ব্রেকিং সোডা ব্যবহার করার জন্য আধাকাপ পানির মধ্যে এক চা চামচ ব্রেকিং সোডা মিশিয়ে কিছুক্ষণ পর পরে গলগল করতে হবে এতে আপনার মুখের ঘা ধীরে ধীরে কমে যাবে। নিয়মিত কয়েকদিন ব্যবহার করলে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পাবেন মুখের এই ধরনের ঘা থেকে যা খুব কষ্টদায়ক হয়ে থাকে।
বাচ্চাদের জিহ্বায় ঘা এর ঔষধের নাম
বাচ্চাদের জিব্বায় ঘা হলে যে উপসর্গ গুলো দেখার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন সেটা হলো মুখের জিব্বার উপরের অংশে ছোট ছোট ঝোপ ঝোপ দাগ দেখা দেবে এবং সাধারণত ফুচকা বা ক্ষত জীবের উপরে বা জীবের পেছনে এবং জীবের তলায় দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু সময় এর বর্ণ লাল এবং সাদা বর্ণের রিং এর মত দেখা দেয় এই ঘ থেকে বাঁচার জন্য আপনি যেই ওষুধটি ব্যবহার করবেন সেই ওষুধটি সম্পর্কে জানুন।
আরো পড়ুনঃ পুদিনা সিরাপ খেলে কি মোটা হয় কার্যকরী বিভিন্ন উপায়
এই কার্যকরী ওষুধ টির নাম হচ্ছে tab - Riboflavin 5mg যা আপনার মুখের ফুচকা দাগ এবং রিং এর মত সাদা এবং লাল দাগ কে দূর করে দিবে এবং যেই কারণে মুখে ঘা সৃষ্টি হয়েছে তার বিরুদ্ধে কাজ করে মুখের ঘাকে ভালো করে দেবে। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে যা আপনি পরামর্শ নিতে পারেন কোন ভালো চিকিৎসকের কাছ থেকে এবং ব্যবহার করতে পারেন আপনার যদি মুখের ভিতরে জিব্বাই ঘা হয় তাহলে অথবা বাচ্চাদের জিহ্বায় ঘা হয়।
এছাড়াও সবচাইতে ভালো হবে কোন ওষুধ বা ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা। এতে কোন ধরনের দুর্ঘটনা বা খারাপ কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। ছোটখাটো ঘায়ের জন্য এই ওষুধটি ব্যবহার করা যায়। তাই সুস্থ থাকার জন্য যে কোনো অসুস্থতার কারণে প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী বলে আমি মনে করি। সুস্থ থাকার জন্য আপনি ও প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি সেই আলোচনা গুলোর মধ্যে থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে কিভাবে দাঁতে পোকা হলে তা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে কি কি উপায়ে আপনি খুব সহজে দাঁতের পোকা ভালো করতে পারবেন। তারও স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলটির ভিতরে। এই বিষয়ে আপনার যদি কোন নতুন কিছু জানা থাকে।
তাহলে কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে জানাতে পারেন। মানুষ মাত্রই যেহেতু ভুল তাই বিভিন্ন প্রকার ভুল থাকলে আপনি আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা চেষ্টা করব সেটাকে সংশোধন করার। তাই দাঁতে পোকা লাগলে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন এবং কি ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করলে দাঁতে পোকা হওয়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এবং যে যে কাজ করার মাধ্যমে দাঁতে পোকা প্রতিরোধ করবে তা জানানোর চেষ্টা করেছি।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url