বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে এবং কেন অক্টোবর ২০২৪
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে ১৫ অক্টোবরের ইতিহাস সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে ঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন। এখানে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো বিশ্ব হাত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য যা আপনার হাত ধোয়া বিষয়ে সচেতন হওয়ার উৎসাহ দেবে।
এছাড়া এই দিবসটি কেন পালন করা হয় এবং কি কি উপকারিতা পাওয়া যাবে। কোন সময় থেকে এই দিবসটি পালন করা হয় এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রাখবো। তাই এই বিষয়ে সমস্ত তথ্য জানার জন্য পোস্টটি পড়তে থাকুন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ বিভিন্ন দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
- বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
- বিশ্ব হাত ধোয়ার দিবস এর লক্ষ্য গুলো জেনে নিন
- হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা ১০ টি বাক্য কিছু জানুন
- হাত ধোয়ার নিয়ম কয়টি এবং কি কি উপায়
- সঠিকভাবে হাত ধোয়ার উপকারিতা
- হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধু নিকট পত্র
- হাত ধোয়া রচনা সম্পর্কে কিছু কথা
- বিশ্ব টয়লেট দিবস কবে এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন 2024
- লেখকের শেষ মন্তব্য
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে পালন করার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের কাছে হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার যে প্রয়োজনীয়তা তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে সংস্থাটি। সাধারণ মানুষ হাত না ধোয়ার কারণে অনেক ধরনের রোগ ভোগ করতে হয়। বিভিন্ন হাতের মধ্যে জমে থাকা ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। এই বিপদ থেকে বাঁচার জন্য 15 ই অক্টোবর সারা বিশ্বে এই হাত ধোয়া দিবস পালন করা হয়।
মানুষের সার্বিক সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহার করা হয় এই দিবসটিকে। প্রত্যেকটা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় এই হাত ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে হাত ধোয়ার উপকারিতা কি? এই সুন্দর পরিকল্পনাটি ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়ন করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। মানুষের মধ্যে গড়ে তুলতে হয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ভালো রাখার মত কার্যকরী উপায় এর মধ্যে যে,
হাত ধোয়ার বিষয়টি আসে তা সম্পর্কে বিস্তারিত। প্রত্যেকটা মানুষের প্রয়োজন যে কোনো খাবার খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে সেই খাবারটি গ্রহণ করা। হাত ধোয়ার উপস না করলে হাতের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করার সময় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া জাতীয় জীবাণু আপনার শরীরে প্রবেশ করবে। যার ফলে আপনাকে ভুগতে হবে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা। 2008 সাল থেকে এই দিবসটিকে পালন করা শুরু হয়েছে।
সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার বৈশ্বিক এবং স্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করার জন্য বিশ্বে হাত ধোয়া দিবসটি অংশীদার GHP 2008 সালে বিশ্ব হাত ধোয়ার দিবসটি চালু করেন। এই দিবসটি চালু করার পেছনে কিছু ইতিহাস রয়েছে, চলুন সেই ইতিহাস গুলো সম্পর্কে একটু জেনে রাখি। বিশ্ব পানি সপ্তাহে সুইডেনের স্টকহোমে 2008 সালে 15 অক্টোবর বিশ্ব হাত ধোয়া অংশীদার GHP বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম এই দিবসটি উদযাপন করেন।
আরো পড়ুনঃ ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সংরক্ষণ করে রাখা হয় এই তারিখটিকে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, 2008 সালের দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত করা হবে। এবং সে সময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আন্তর্জাতিক দিবস বা বর্ষাও ছিল। এর সংস্থার প্রতিষ্ঠাতার মধ্যে ছিল FHI 360(আমেরিকা ভিত্তিক একটি অলাভজনক মানব উন্নয়ন সংস্থা) রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের কেন্দ্রে, প্লেক্টর এন্ড গাম্বল, ইউনিসেফ, ইউনিলিভার, বিশ্বব্যাংক পানীয় স্বাস্থ্য সংস্থা প্রোগ্রাম।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা জড়িত ছিল। সকল মানুষের এবং সকল সংস্থার মিলিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে উল্লেখিত দিনটি আজও মানুষ পালন করে আসছে। এবং এই দিন পালন করার মাধ্যমে মানুষ একে অপরকে বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে যে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার মাধ্যমে অথবা হাত ধোয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বিশ্ব হাত ধোয়ার দিবস এর লক্ষ্য গুলো জেনে নিন
বিশ্বের সকলে যে এ দিবসটিকে পালন করে তার যে কিছু লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য রয়েছে সেই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য গুলো সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। এই দিবসটি পালন করার মাধ্যমে কি ধরনের উপকার হতে পারে এবং কি কি লক্ষ্য পূরণ হতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা রাখবো। আপনি যদি না জেনে থাকেন যে এই দিবসটি উপলক্ষে মানুষের কি ধরনের উপকারিতা পায়।
- বিশ্ব এই হাত ধোয়া দিবস পালন করার মাধ্যমে এর উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা যায়।
- প্রতিটি দেশে যেন হাত ধোয়ার প্রতি নজর দেওয়া হয়।
- হাত ধোয়ার ফলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- এছাড়া সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার প্রতি সবচাইতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
- বিভিন্ন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করা।
- হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করা যায়।
- সকল সমাজে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার একটি সাধারণ সংস্কৃতির সমর্থন ও প্রচলন করা।
এছাড়া নিয়মিত হাত পরিষ্কারভাবে ধোয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণ করার পূর্বে এবং কোন অপ্রয়োজনীয় বস্তু বা পদার্থ হাত দিয়ে স্পর্শ করা যেমন যে পদার্থগুলোর ভিতরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই ধরনের পদার্থ বা বস্তুকে হাত দিয়ে স্পর্শ করলে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে দিতে হবে। না হলে সেই ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুগুলো আপনার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে।
হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা ১০ টি বাক্য কিছু জানুন
বিশ্ব হাত ধোয়ার দিবস সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি জানানোর চেষ্টা করেছি এর ইতিহাস এবং বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত। কিন্তু এই হাত ধরা দিবসটি পালন হওয়ার পিছনে আরো যে অনেকগুলো কারণ রয়েছে তার মধ্যে 10 টি কারণ আপনাদের সামনে এখন তুলে ধরবো। যে দশটি কারণ অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার জীবনে অনেক উপকারে আসবে।
- খাবারের আগে ও পরে হাত ধোয়া
- খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত করার পূর্বে হাত ধোয়া
- রান্না করার পূর্বে হাত ধোয়া এবং তা পরিবেশন করা
- যেকোনো ধরনের কাজ করার পরে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
- যেকোনো দৃশ্যমান ময়লা স্পর্শ করলে হাত ধোয়া।
- যেখানে অদৃশ্য ময়লা রয়েছে যেমন, দরজার হাতল, সিঁড়ির রেলিং, বিভিন্ন লিফটের বোতাম।
- টয়লেট করার পরে সাবান দিয়ে কিছুক্ষণ হাত ধোয়া।
- হাসি কাশি সর্দি হলে টিস্যু ধরে হাসি করার পরে হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধোয়া।
- বাইরের কাজ শেষ করে ঘরে প্রবেশ করার আগে।
- ছোট শিশু বা নবজাতকদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে।
- যেকোনো ধরনের রোগীকে স্পর্শ করার পূর্বে এবং পরে।
উল্লেখিত তথ্যগুলো হাত ধোয়ার জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত এই তথ্য বা নিয়ম মৌল প্রত্যেকটা মানুষের অবলম্বন করা উচিত এতে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং সুন্দর সুস্থ জীবন যাপন করার জন্য বিশেষভাবে উপকারে আসবে। আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান এবং জীবাণুমুক্ত শরীর রাখতে চান তাহলে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন এবং সুস্থ থাকুন। আপনি সুস্থ থাকুন এবং আপনার আশপাশের সবাইকে সুস্থ রাখুন।
সচলতা জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: হাত ধোয়ার উপকারিতা কি?
উত্তর: হাত ধোয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে যে উপকার আপনার জীবনকে রক্ষা করবে সেটা হচ্ছে আপনাকে জীবাণুমুক্ত রাখবে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় হাত দিয়ে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু প্রবেশ করে, এর থেকে মুক্তি পাবে।
প্রশ্ন: হাত ধোয়ার নিয়ম কানুন?
উত্তর: কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করে হাত ধোয়ার নিয়ম সম্পন্ন করতে হয়, প্রথমে পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে নিতে হবে, দ্বিতীয়ত, ভালোভাবে সাবান মাখাতে হবে হাতের সাথে, তৃতীয় স্টেপ, অন্তত 20 সেকেন্ড পরিমাণ হাতকে ভালো করে ধুতে হবে, এর জন্য হাতের আঙ্গুলের মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে ভালো করে ঘষা দিতে হবে, নখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। চতুর্থ ধাপ, এই ধাপে ভালোভাবে হাত সাবান দিয়ে ঘষা হয়ে গেলে, পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
প্রশ্ন: হাত ধোয়ার কারণ কি?
উত্তর: হাত ধোয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে এর মধ্যে বিশেষ উপকারিতা হচ্ছে হাতে যদি কোন ধরনের জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার থেকে থাকে তাহলে তা সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেওয়ার ফলে এই ব্যাকটেরিয়া আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারবেন এবং বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা কবে।
প্রশ্ন: খাবার আগে হাত ধোয়া উচিত কেন?
উত্তর: মানুষের বিভিন্ন কাজ করার জন্য অনেক ধরনের জিনিস স্পর্শ করতে হয় এবং ব্যবহার করতে হয় এর ফলে আপনার হাতে নানান ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু রয়ে যায়। জীবন ও বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে। এই রোগব্যাধি এবং জীবন থেকে বাঁচার জন্য হাত ধোয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
প্রশ্ন: শৈশব শিক্ষায় হাত ধোয়ার গুরুত্ব?
উত্তর: শিশুদের ভালো হাতের পরিচ্ছন্নতা শেখানো সংক্রমণের বিস্তার বন্ধ করার জন্য আজীবন হাত ধরে অভ্যাস করা দরকার। তাই প্রত্যেকটি বাচ্চারে জানা উচিত যে হাত পরিষ্কার করার গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত।
হাত ধোয়ার নিয়ম কয়টি এবং কি কি উপায়
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে উদযাপন করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সচেতন মূলক উপকার এবং জ্ঞান মানুষের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে। এই উপকার গুলো পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজ করা বা ময়লা আবর্জনা স্পর্শ করার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করলেই হয়। যেই নিয়মগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার হাতকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে পারবেন।
প্রথম ধাপ: প্রথমে হাত ধোয়ার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে পরিষ্কার পানি দিয়ে আপনার হাতটিকে ভিজিয়ে নিতে হবে। যাতে আপনার হাতে প্রাথমিক অবস্থায় কিছুটা পরিষ্কার হয়ে যায়।
দ্বিতীয় ধাপ: দ্বিতীয় ধাপে এসে আপনি হার্ট পনি দিয়ে ধোয়ার পরে আপনার হাতে, ভালো করে সাবান মাখিয়ে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ: পানি দিয়ে সাবান মাখিয়ে হাত পরিষ্কার করতে থাকতে হবে, দুই হাত একসাথে করে এক হাত দিয়ে অন্য হাতের আঙ্গুলগুলো পরিষ্কার করতে হবে, সাথে সাথে পুরো হাতের দুই পাশে বাস সব জায়গায় পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চতুর্থ ধাপে: আপনাকে যে কাজটি করতে হবে ভালোভাবে দুই হাত সাবান দিয়ে ঘষা হয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে, হাত আবারও ভালোভাবে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিতে হবে।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি হাত ধোয়ার নিয়ম কয়টি এবং কি উপায় এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ভালোভাবে হাত ধুতে পারবেন। হাত ধোয়ার যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আপনার অবগত হওয়া উচিত এবং আপনার বাস্তবিক জীবনে এই গুরুত্বপূর্ণ কে প্রভাব বিস্তার করা উচিত। প্রত্যেকটা মানুষেরই সচেতনভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করা উচিত এবং এই উল্লেখিত নিয়মগুলো অবলম্বন করলে। খুব সহজে হাত ধোয়া যায় এবং পরিষ্কার করা যায়।
সঠিকভাবে হাত ধোয়ার উপকারিতা
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে পালন করার মাধ্যমে আপনি সঠিকভাবে হাত ধোয়ার উপকারিতা পাবেন। কারণ এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে জানানো হয় যে কিভাবে ভালোভাবে হাত ধুলেহাত থেকে সম্পূর্ণরূপে ময়লা বা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। আপনি যদি হাত দেওয়ার সঠিক নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে উল্লেখিত পোস্টের ভিতরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সেখান থেকে জেনে নিতে পারবেন।
হাত ধোয়ার ফলে যেসব উপকারিতা পাবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে উপকারিতা তাহলেও আপনি বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। পেটের সমস্যা হওয়ার মূল কারণে হয়েছে পেটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অখাদ্য বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হওয়া। আপনি যদি হাতকে ভালোভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারেন তাহলে এই পেটের সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন। মানুষের সবচাইতে ব্যবহারকারী জিনিস হচ্ছে হাত।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয় কাজ এবং অসাধারণ টিপস
হাত ব্যবহার করার মাধ্যমে মানুষ তাদের নানান ধরনের কাজ সম্পূর্ণ করে থাকে। এই কাজগুলো করতে গিয়ে অনেক ধরনের জিনিস স্পর্শ করতে হয়। এই জিনিসগুলোর মধ্যে কিছু জিনিস রয়েছে যাতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষতিকর জীবাণু লুকিয়ে থাকে। এই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুর মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু আছে যেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না। তাই আপনি যদি নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস না করে থাকেন তাহলে আপনার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধু নিকট পত্র
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষের ক্লস গুলোতে পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন করে থাকে। প্রশ্নগুলোর ভেতর থেকে এমন প্রশ্ন হয় যে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর নিকট পত্র লিখতে হয়। সে পত্রের ভিতরে উল্লেখ করতে হয় যে কিভাবে হাত ধোয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং নিরাপদ থাকা যায়।
যদিও এটা কোন পরীক্ষার খাতা নয় তবুও আমি একটা কথা বলে রাখব যে। এই কাজটি করার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে সচেতন করা এই ধরনের প্রশ্ন আসলে মানুষ এসব বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং বিভিন্ন ধরনের অজানা তথ্য জানতে পারবে। এবং জানতে পারবে কি কি উপকারিতা হয় এ হাত ধোয়ার ফলে এবং কত ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় নিয়মিত হাত ধোয়ার মাধ্যমে।
যদি আপনার বন্ধুকে জানাতে চান যে কিভাবে হাত ধোয়ার মাধ্যমে উপকারিতা পাবেন। তাহলে বিভিন্ন উপায়ে আপনার বন্ধুর কাছে উল্লেখিত পোস্টের তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে পারেন। এর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে কিভাবে ভালোভাবে হাত ধোয়া যায়। এবং কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় হাত ধোয়ার মাধ্যমে, সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানাতে পারবেন, এবং সচেতন করতে পারবেন বিভিন্ন হাত দ্বারা সৃষ্ট রোগ ব্যাধি থেকে।
হাত ধোয়া রচনা সম্পর্কে কিছু কথা
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে পালিত হওয়ার পর থেকেই এই বিষয়টাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং গোটা বিশ্বের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে সবাইকে অবগত করার চেষ্টা করা হয়। মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি হয় এই হাত না ধোয়ার কারণে। যে রোগ গুলো থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায় হাত ধোয়ার সহজ উপায়গুলো অবলম্বন করলে।
তাই বিভিন্ন শ্রেণীতে বিশেষ করে প্রাইমারি লেভেলের বাচ্চাদের জন্য হাত ধোয়ার রচনার মত বিভিন্ন তথ্য মূলক এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে বুঝতে পারে বাচ্চারা যে তাদের হাত ধোয়ার কতটা প্রয়োজন। হাত না ধরার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিপদের মুখে পড়ে বাচ্চারা। হাত পরিষ্কার করে রাখলে এই বিভিন্ন ঝুঁকিমূলক অসুখ বা অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
প্রত্যেকটা মানুষের জানা উচিত এই বিশেষ বিশেষ দিনগুলো সম্পর্কে, দিনগুলোর উদযাপন করার মাধ্যমে সকল মানুষের উপকার আসে। মানুষ বুঝতে পারে যে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় এবং কেনই বা এ কাজগুলো বা দিবস গুলো পালন করা হবে। যদি না জেনে থাকেন যে কি দিবস পালন করার মাধ্যমে কোন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তাহলে এই পোস্টটি পড়ে নিতে পারেন আশা করি সকল দিবস সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
বিশ্ব টয়লেট দিবস কবে এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
বিশ্ব হাত ধোয়ার দিবস এর উপকারিতা রয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি পালন করলে বিশ্বব্যাপী সকল মানুষ উপকৃত হবে। তাই এই প্রক্রিয়াটি পালন করা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী। বিশ্ব সোচাগার দিবস WTP হলো বিশ্বব্যাপী স্যানিটেশন সংকট মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করার জন্য 19 শে নভেম্বর একটি আনুষ্ঠানিক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হয়।
এই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে মানুষের বোঝানো হয় যে বিভিন্ন অবস্থায় যেমন হাত ধোয়ার প্রয়োজন ঠিক তেমনই টয়লেট ব্যবহার করার পরে প্রত্যেকটা মানুষের জন্য হাত ধোয়া বিশেষ উপকারী। এর মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি এবং জীবাণু থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। পাশাপাশি জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্তিত যেসকল অসুখ বা সমস্যা রয়েছে যা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর, এগুলোর প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয় ১৩ টি কার্যকারি উপকারিতা
উল্লেখিত উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য প্রত্যেক বছর 19 শে নভেম্বর এই দিনটি পালন করা হয়। এর ফলে বিশ্বব্যাপী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার মতো একটি মনোবল প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়। আপনিও সুস্থ থাকুন এবং বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু সংক্রমণের রোগ ব্যাধি থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য নিয়মিত হাত ধোয়ার পাশাপাশি টয়লেট ব্যবহার করার পরে সাবান দিয়ে ভালো করে 20 সেকেন্ড বা 30 সেকেন্ড মত হাত ধুয়ে নিন।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: জাতীয় টয়লেট দিবস কবে?
উত্তর: বিশ্ব সচালয় দিবস WTP, বিশ্ব শোচার দিবস বা বিশ্ব টয়লেট দিবস হলো প্রতিবছর 19 শে নভেম্বর পালিত হয়।
প্রশ্ন: বিশ্ব বলদ দিবস কবে?
উত্তর: 1995 সাল থেকে প্রতিবছর 16 ই সেপ্টেম্বর বিশ্ব ওজন দিবস পালন করা হয়। এই দিনটি ওজোন স্তরের ক্ষয় করে পদার্থের উপর মন্টিল প্রটোকল স্বাক্ষর এর কথা মনে করিয়ে দেয়। এই মন্ট্রিল প্রটোকল এর লক্ষ্য ছিল ওজন ক্ষয়কারী পদার্থের ব্যবহার বাদ দিয়ে পৃথিবীর ওজন স্তর রক্ষা করা।
প্রশ্ন: 12 মে কি দিবস?
উত্তর: 12 ই মে হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। প্রতিবছর 12 মে তারিখে সারা বিশ্বজুড়ে এই দিন পালন করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ নার্সেস প্রথমবার পালন করে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। মানব সেবায় অন্যান্য দায়িত্ব পালনকারী নার্সদের স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য 12 মে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
প্রশ্ন: জাতীয় কর দিবস কত তারিখে?
উত্তর: দেশে 2008 সাল থেকে আয়কর দিবস উদযাপিত হয়। আগে প্রতিবছর 15 সেপ্টেম্বর দিবসটি উদযাপিত হলেও বর্তমান 2016 সাল থেকে 30 শে নভেম্বরে আয়কর দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের জাতীয় দিবস কোনগুলো?
উত্তর: বাংলাদেশের যে জাতীয় দিবসগুলো পালিত করা হয় তার মধ্যে, 10ই জুলাই, 16 ডিসেম্বর, 26 শে মার্চ, ১লা মে এছাড়াও আরো অনেক দিন পালন করা হয়।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন 2024
বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ধরনের দিন কে পালন করা হয়। যে দিনগুলো পালন করার মাধ্যমে বিভিন্ন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সম্পন্ন কাজ করা হয়। যে কাজগুলো মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং প্রয়োজনীয়। সারাবিশ্বের মানুষের উন্নতি এবং বিভিন্ন প্রয়োজনমলক তথ্য জানার উদ্দেশ্যে এবং সেই দিনগুলোকে সম্মান প্রদর্শন করার উদ্দেশ্যে দিনগুলোকে পালন করা হয়। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ দিন গুলো দেখানো হলো।
- 23 শে মে বৌদ্ধ পূর্ণিমা দিবস
- 28 শে মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস
- 31 শে মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস
- 4 ই জুন জাতীয় চা দিবস
- 15 ই অক্টোবর বিশ্ব এর হাত ধোয়া দিবস
এই দিবসগুলো ওটা বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় এতে অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই উপকারিতা গুলো প্রত্যেকটা মানুষের প্রয়োজন। প্রয়োজন গুলোর কারণে বিশ্বব্যাপী দিবসগুলো উদযাপিত করা হয় এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়ে দিবস পালন করার কাজটি। আপনি যদি এই বইগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত না থাকেন তাহলে এই পোস্টে পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস কবে উপলক্ষে ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য আপনাদের উদ্দেশ্যে পর্যায়ক্রমিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এই ছাড়াও আরো অনেক দিবস সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। দিবস গুলো সম্পর্কে জানার মাধ্যমে এর উদ্দেশ্য জেনে আপনি নিজ জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারবেন। বিশ্বের সকল মানুষের জন্য উন্নতি হওয়ার কারণে এবং প্রত্যেকটি মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় মনে করে।
তাই উল্লেখিত দিবসগুলো বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় যে কিভাবে এই দিবসগুলো পালন করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাবেন তা আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারবেন যে সকল দিবস পালন হওয়ার জন্য প্রত্যেকটি মানুষ কত ভাবে উপকৃত হয়েছে এবং কত ধরনের জ্ঞানমূলক তথ্য জানতে পারছে। তাই আশা করি আপনিও দিন বা দিবসগুলো পালন করার মাধ্যমে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url