ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ ও কুরবানী নিয়ে দায়িত্ব এবং কর্তব্য

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ ও কুরবানী নিয়ে যে সকল বিষয় সম্পর্কে অনেক মতবাদ রয়েছে এবং বিভিন্ন হাদিস রয়েছে তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যাতে আপনারা বুঝতে পারেন যে ইসলামের আন্দোলনের কর্মীদের কি ধরনের ত্যাগ গ্রহণ করা উচিত। 

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ ও কুরবানী

এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের যে দায়িত্ব গুলো রয়েছে এবং কি কি দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে ইসলামের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে এবং ইসলামের জন্য কোন কোন সময় কি ধরনের আন্দোলন হয়েছিল মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর আমল থেকে এই পর্যন্ত সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।  

পোস্ট সুচিপত্রঃ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ ও কুরবানী নিয়ে এখানে যা জানবেন 

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ ও কুরবানী আলোচনা 

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ ও কুরবানী আলোচনা সম্পর্কে যে বিষয়গুলো আমরা জানতে পেরেছি তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যাতে আপনারা বুঝতে পারেন ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কি ধরনের ত্যাগ গ্রহণ করতে হয়েছে এবং কুরবানী দেওয়ার জন্য কি কি শর্ত এবং উপায় অবলম্বন করা হয় এবং সঠিক পদ্ধতি আপনাদের সামনে আলোচনা করব। ইসলামী আন্দোলন করার জন্য মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় থেকে আন্দোলন হয়ে আসছে। 

মহানবীর জীবনী থেকে পাওয়া যায় তিনি ধর্ম প্রচার করার জন্য বিভিন্ন অত্যাচার অন্যায় সহ্য করেছেন এবং নিজের এলাকার মানুষের কাছে নির্যাতিত হয়েছেন। ছাড়াও তার আপন রক্তের সম্পর্ক অনেক মানুষরা যারা মহানবীকে বিশ্বাস করতেন না এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন। ইসলামের প্রতিষ্ঠা করার জন্য মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ২৩ টির অধিক যুদ্ধ করেছেন সেই যুদ্ধতে বিভিন্ন সাহাবীরা শহীদ হয়েছেন। মারা গেছেন বিভিন্ন জুলুমকারী সম্প্রদায়ের মানুষ।  

যে জুলুম করে সম্প্রদায়ের মানুষেরা ধর্ম তো বিশ্বাস করতই না উল্টো ধর্মের উপরে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতো। মহানবী আল্লাহর ধর্ম নিয়ে এসেছেন পরিপূর্ণভাবে। পৃথিবীর শুরু থেকেই আল্লাহ তাআলা তার নিদর্শন সমূহ তার বান্দাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন বিভিন্ন নবী রাসুল এবং বার্তাবহ পাঠানোর মাধ্যমে যাতে তারা বুঝতে পারেন যে আল্লাহর সঠিক নিদর্শন গুলো কি এবং কিভাবে তা পালন করা যায়। 

ওহুদের ময়দান, বদরের ময়দানে মহানবীর যুদ্ধ করেছেন, আল্লাহতালার সেসব যুদ্ধের ময়দানে বলেছেন আমার বন্ধু মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধ করেনি যুদ্ধ করেছি আমি, ওই হাত দিয়ে তিনি পাথর মারেনি পাথর মেরেছে আমি আল্লাহ নিজেই। এবং আরো কোরআনের ভিতরে উল্লেখিত আছে যে ব্যক্তি অলি আল্লাহর বিরুদ্ধে কথা বলে বা আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধে কথা বলে অথবা আল্লাহর নবী রাসূলের বিরুদ্ধে কথা বলে তার সাথে স্বয়ং আল্লাহ যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। 

ইসলামের মহানবীর যে শাসন ব্যবস্থা প্রচলন করে গিয়েছিলেন সে সময় শাসন কার্য তার মত অনুযায়ী পরিপূর্ণভাবে পালন করা হতো। পরবর্তীতে তার বিখ্যাত চার সাহাবারা বিভিন্নভাবে মতবাদ সৃষ্টি করার কারণে এবং উমাইয়া আব্বাসীয়দের পরিকল্পনার কাছে মহানবীর বংশধরের সকল মানুষ অপমানিত এবং নিঃশেষে প্রাণ দিয়েছেন। কারবালার ময়দান সবচাইতে ভয়াবহ এবং বড় যুদ্ধ যেখানে মহানবীর আদরের নাতি ইয়া শহীদে আজম ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম শহীদ হন। 

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ ও কুরবানী নিয়ে আরো যা যানতে পারবেন 

এবং তারপর থেকে ইসলামকে তাদের মন মত হাদিস দলিল তৈরি করে তা প্রচার করতে শুরু করেছে উমাইয়া এবং আব্বাসীয়দের বংশধরের নিয়ম অনুযায়ী। তারা ইসলামের বিভিন্ন আকিদা কে পরিবর্তন করে দিয়েছে এবং তাদের মনগড়া কাহিনীতে রূপান্তর করেছে। একটা কথা বলুন তো যারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাতি যিনি জান্নাতের সর্দার উপাধি পেয়েছেন। 

সেই মানুষকে শহীদ করে বা তার বিপক্ষে থেকে বিভিন্ন কথা বলে কোন আল্লাহর ইবাদত করার জন্য তারা তারা এই কথাগুলো বা এ ধরনের ব্যবহার করেছে তা আমার জানা নেই। হোসাইনের কারবালার ময়দানে হোসাইনকে শহীদ করার পরে তারা নামাজ আদায় করেছে তাহলে কোন আল্লাহর নামাজ আদায় করেছে তা আমার জানা নেই। সবচাইতে বেশি দুনিয়ার বুকে সম্মান দেওয়া হয়েছে হোসাইন এবং হাসান আলাইহিস সালম কে। সেখানে তাদেরকেই বিভিন্নভাবে বিলুপ্ত করে দেওয়ার মতো চেষ্টা করা হয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার শবে বরাতের করণীয় বর্জনীয় এবং হাদিস

হাজারো ইতিহাস রয়েছে যে ইতিহাস গুলো সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জানা উচিত এবং বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত যে বর্তমান যুগের যে ইসলাম শরীয়ত অনুযায়ী প্রচলিত আছে সেই ইসলাম কি ভাবি এসেছে এবং কোথায় থেকে কি পরিবর্তন হয়েছে না সঠিক উপায়ে রয়েছে তা সম্পর্কে। এই তথ্যগুলো জানা আমাদের প্রত্যেক মুসলমানের জন্য প্রয়োজন কারণ বর্তমান ৭২ ভাগে বিভক্ত হয়েছে মুসলমানের ধর্ম আকিদা। 

যার জন্য আপনাকে সঠিকটি খুঁজে বের করার জন্য অবশ্যই গবেষণা করতে হবে এবং দেখতে হবে সকল বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে। এছাড়াও কুরবানী বিষয়ে আল্লাহ তাআলা অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের আদেশ উপদেশ দিয়ে রেখেছেন। ইব্রাহিম আলাইহিস সালাতু সালামের সময়ে কুরবানী ভালোভাবে প্রকাশ পেয়েছে। আদম আলাইহিস সালাতু সালামের আমল থেকেই কুরবানীর নিয়ম প্রচলিত আছে কোরবানি হচ্ছে, 

আল্লাহতালার সন্তুষ্টত অর্জন করার জন্য তার নিজের সর্বোচ্চ বিসর্জন দেয়ার প্রস্তুতিমূলক ইবাদত। যেখানে ইব্রাহিম আঃ তার পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন এই হাদিস সম্পর্কে বা ইতিহাস সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কুরআনের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে গেলে ইব্রাহিম আলাইহে সালাতু সালাম তার পুত্রকে কুরবানী দেওয়ার জন্য নিয়ত করেছিলেন কিন্তু আল্লাহ তাআলা ইব্রাহিমের মনের নিয়তে সন্তুষ্ট ছিলেন তাই তার ছেলের পরিবর্তে একটি দুম্বা উপহার দিয়েছিলেন।  

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য জেনন

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অনেকেরই অজানা এবং অনেকেই এ বিষয়ে সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জেনে থাকেন। ইসলাম শান্তি ধর্ম এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে সকল কাজ করা হয় তাকে ইসলামিক আন্দোলন বলে আখ্যায়িত করা হয়। যারা ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করে এবং ইসলাম ধর্মের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে বিভিন্ন ইবাদত করে থাকেন। তাদের যে দায়িত্ব রয়েছে সেই দায়িত্ব গুলো মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমার আপনার জানা উচিত। 

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের দায়িত্ব হচ্ছে ইসলামিক শরীয়ত, মারফত হাকিকত তরিকত এবং সকল দিক গুলো সঠিকভাবে মানার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা এবং এই সত্য ধর্মকে মানুষের মাঝে উপস্থাপন করা যাতে মানুষ এই সত্য ধর্ম অবলম্বন করার মাধ্যমে বুঝতে পারে এবং আল্লাহ তাআলার দিকে ফিরে। এবং সৎ কর্ম করে জীবিকা অর্জন করেন। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে পত্যেকটি রাষ্ট্রকে গড়ে তোলা

 এবং এই গড়ে তোলার জন্য আমাদেরকে প্রথমে ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে মেনে নিতে হবে এবং ইসলামের সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে হবে। ইহু যদি ইসলামের বিপক্ষে কোন ধরনের মিথ্যা অপবাদ এবং মিথ্যা জুলুম করে তাহলে তাকে প্রতিবাদ করতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে আন্দোলন তৈরি করতে হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বিপক্ষ ইসলাম বিরোধীদের সাথে অনেকবার যুদ্ধ করেছেন এবং তার ইসলামকে রক্ষা করেছেন।

আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া ফজিলত গুরুত্বপুর্ণ  আমল  

মাওলা আলী অনেকবার যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন এবং সেই যুদ্ধ হয়েছিল তাদের আরব সমাজের মানুষের সাথে কিংবা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বংশের মানুষদের সাথে তার চাচা আবু জেহেল বিশ্বাস করতেন না আল্লাহ তায়ালার কুরআন এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর দ্বারা পরিচালিত ইসলাম কে তিনি অনেকবার যুদ্ধ করেছেন তার আপন ভাইয়ের ছেলে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ইসলাম ধর্ম নিয়ে। 

ইসলাম রক্ষা করার জন্য ইসলামিক আইন তৈরি করতে হবে, ইসলামিক শাসন ব্যবস্থার প্রচলন তৈরি করতে হবে, এবং মানুষের প্রতি বোঝ সৃষ্টি করতে হবে যেন প্রত্যেকটা মানুষ আল্লাহ তায়ালার পক্ষে এবং আল্লাহতালার দিনের দিকে ফিরে আসে এবং আল্লাহর রাসূলের দেখানো পথ অনুযায়ী আল্লাহর নৈকত্ব পাওয়ার জন্য ইবাদত বন্দেগি করে। আমাদের ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ বা দায়িত্ব কর্তব্য হবে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেয়া এবং ইসলাম কে নিচের ভিতরে ধারণ করা। 

কোরআনে কি কুরবানীর কথা বলা হয়েছে

কোরআনে কি কুরবানীর কথা বলা হয়েছে এ বিষয়ে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই এবং অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মতামত প্রশাসন করেন যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জানা উচিত। কুরবানী বিষয়ে অনেক ধরনের হাদিস প্রচলিত আছে এটি আদম আলাইহিস সালাতু সালামের আমল থেকে শুরু হয়ে গেছে এবং ইব্রাহিম আলাইহিস সালাতু সালামের আমল থেকে অনেক বিস্তার পেয়েছে। 

কুরবানী সম্পর্কে কোরআনে আল্লাহতালা বলেছেন আর কুরবানীর পশু জবাই করার স্থানে না পৌঁছা পর্যন্ত মাথা মন্ডল করোনা। তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ বা মাথার রোগ আছে সে তিন দিন রোজা মুক্তির পণ বাদান অথবা কুরবানী করতে পারে। তাহলে বুঝা গেল কুরবানী মানুষের জন্য জায়েজ। সামর্থ্য থাকলে কুরবানী করতে হবে কুরবানী না করলে তার আমলনামাই গুনাহ করত পারে বলে বিভিন্ন হাদিসে জানা গেছে।

এছাড়াও কুরআনের মধ্যে রয়েছে আদম আলাইহিস সালাতু সালামের সময়ে হাবিল কাবিল কুরবানি করেছিলেন কিন্তু তাদের ভিতর থেকে একজনের কুরবানী গ্রহণযোগ্য হয়েছিল এবং একজনের কুরবানী গ্রহণযোগ্য হয়নি। কারণ তাদের মধ্যে যার কুরবানি গ্রহণযোগ্য হয়েছিল সে সকল নিয়ম কানুন এবং বিভিন্ন আল্লাহ ভীতি অর্জন করেছিলেন আল্লাহতালা সেই কারণে কোরবানি গ্রহণ করেন এবং অপরজনের কুরবানী গ্রহণ করে না কারণ সে অনিয়ম এবং শক্তির ব্যবহার করেছে।  

কুরবানী সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস সম্পর্কে জেনে নিন 

কুরবানী সম্পর্কে যে হাদিসগুলো প্রচলিত রয়েছে তা আপনাদের সামনে দেখান দরকার যাতে আপনারা বুঝতে পারেন যে কুরবানী নিয়ে কি ধরনের মন্তব্য করেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এবং আল্লাহপাক। বিভিন্ন যন্ত্রে মতামত প্রকাশ করেছেন যা আপনাদের সামনে এখন উপস্থাপন করব যেখান থেকে বুঝতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী আমল করে বিশেষ ফজিলত পাবেন। 

আরো পড়ুনঃ শবে কদরের নামাজের নিয়ম অনুযায়ী আমল করার ১০টি টিপস 

  • আনাস বিন মালিক রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি নামাজের পূর্বে কুরবানী করলে সে শুধু নিজের জন্যই যে অবহেলা এবং সে ব্যক্তি সালাতের পর জবাই করল সে ঠিক সঠিক সময়ে জবাই করলে এবং মুসলমানের রীতি অনুসরণ করল (সহি বুখারী ৬৮/৪৫৪)
  • আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম দুটি শিংওয়ালা মেষ কুরবানী করলেন। কালো ও সাদা রঙের তিনি নিজ হাতে তাদের জবাই করলেন এবং তাদের উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করলেন এবং তাকবীর বললেন এবং পা তাদের পাশে রাখলেন (সহি বুখারী দাহি:৭)
  • আনাস বিন মালিক থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম নহরের দিনে বলেছেন যে ব্যক্তি সালাতের পূর্বে কুরবানী করে ফেলেছে সে যেন পুনরায় আরো একটি নতুন করে কুরবানি করে (সহি বুখারী ৬৮)
  • এছাড়াও আরেকটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যারা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী করবে না তারা যেন ঈদগাহের আশেপাশেও না উপস্থিত হয়। 

উল্লেখিত হাদিসগুলো থেকে প্রমাণিত হয় এই যে প্রত্যেকটি কাজের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম এবং গ্রহণযোগ্য আইন রয়েছে যে নিয়ম এবং আইন অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে কুরবানি করে অশেষ সোওয়াব হাসিল করতে পারবেন এবং আল্লাহতালা নৈকট্য এবং সন্তুষ্ট তা অর্জন করতে পারবেন। আল্লাহ পাকের এই উপদেশগুলো মানার মাধ্যমে আপনি যদি কুরবানী করেন তাহলে অবশ্যই কুরবানীর যে ফজিলতগুলো রয়েছে তা পাবেন। আল্লাহতালা আলো বলেছেন যে এই দিনে কুরবানী করা সবচাইতে গ্রহণযোগ্য ইবাদত।  

কুরবানী আল্লাহর কাছে কি পৌঁছায় জানুন 

কোরবানী আল্লাহর কাছে কি পৌঁছায় এ বিষয়ে সম্পর্কে জানা আমাদের প্রয়োজন কারণ আমরা যারা মুসলমান ধর্ম অবলম্বন করি এবং আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে তারা সকলেই কোরবানীর দেয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চাই। আল্লাহতালা মানুষের অন্তরের নিয়াত টুকু দেখে আল্লাহতালা বলেছেন তোমাদের কুরবানির গোশত, কোরবানির রক্ত, পশুর চামড়ার পশম কোন কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না।

আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের বিশেষ আমল গুলো বিস্তারিত জানুন

আল্লাহতালা প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরের কথা জানেন এবং অন্তরের বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট বলতে পারেন। তাই তিনি প্রত্যেকটি মানুষের নিয়তকে দেখেন যে কে কোন নিয়ত করে আল্লাহতালার কাছে কুরবানী করছে সে বিষয়টা যদি সঠিক এবং ইসলামের আইন অনুযায়ী হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহতালার কাছে তার অশেষ রহমতে ও ফজিলত রয়েছে। তাই আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম তার উম্মতের কে কুরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন।

কুরবানী আল্লাহর কাছে কি পৌঁছায় জানুন

কোরবানি থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত আমরা পশু কুরবানি করি অনেক মানুষের মধ্যে সেই পশুর মাংস বিতরণ করে এবং সবাই আনন্দ সহকারে আল্লাহর এই অশেষ কাজটি পালন করে থাকি। কিন্তু চরম বিষয় হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি তা অর্জন করার জন্য আপনার সকল খারাপ এবং কঠিন বা প্রয়োজনীয় সকল বিষয় থেকে নিজেকে বিরত রাখা বা ত্যাগ করাই হচ্ছে কুরবানী। আল্লাহতালার এই বিষয়টির মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন যে, আল্লাহকে পাওয়ার জন্য সবচাইতে কঠিন এবং প্রিয় জিনিস ত্যাগ করতে হতে পারে। 

ইসলামে কি কোরবানি করা বাধ্যতামূলক জানুন 

ইসলামে কি কোরবানি করা বাধ্যতামূলক এ বিষয়ে সম্পর্কে অনেক মতবাদ রয়েছে এবং যে মতবাদগুলো পড়লে আপনি জানতে পারবেন যে ইসলামের যদি কারো সমার্থক থাকে, অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণ সম্পদ থাকে কোরবানি দেওয়ার জন্য এবং সে সম্পদের পরিমাণ যদি স্বর্ণ হলে ৫২.৫ ভরি অথবা রুপো হলে ৭২.৫ মূল্যের পরিমাণ অর্থ থাকলে তার জন্য কুরবানী দেয়া বাধ্যতামূলক। 

মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, যে ব্যক্তি সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কোরবানি দিবে না সে যেন ঈদগাহের আশেপাশের না আসে। এখান থেকে বোঝা গেল যে সামর্থ্য থাকলে কুরমানও দেওয়া বাধ্যতামূলক এবং সামর্থ্য না থাকলে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং আল্লাহতালা যেহেতু সকল কিছু জানেন এবং বোঝেন তাই তিনি ক্ষমা করে দিবেন। এর জন্য আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই কুরবানী দিবেন। 

কুরবানী দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টতা অর্জন করা যায় এবং আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত অর্জন করা যায় এছাড়াও কুরবানী দেয়ার মাধ্যমে অনেক গরিব মানুষের মাঝে দুই একবারের মতো খাবার দেয়া যায় যে কাজটি অত্যন্ত নেককার এবং আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় তাই আপনি যদি একজন সমর্থমান ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর রাজি খুশি এবং সন্তুষ্টতা অর্জন করার জন্য কুরবানী করবেন। 

সাহাবীদের ত্যাগ ও কুরবানী সম্পর্কে জানুন 

সাহাবীদের ত্যাগ ও কুরবানী সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের মতবাদ রয়েছে কিছু কিছু মতবাদের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে মহানবী শহর তার সাহাবীরা প্রত্যেকে কুরবানি দিয়েছেন এবং তার উম্মতদেরকে কুরবানী দেওয়ার জন্য নির্দেশ করেছেন যাদের সামর্থ্য আছে তাদের জন্য কুরবানী দেওয়া বাধ্যতামূলক তারা যদি কুরবানী দেয় তাহলে তাদেরকে ঈদগায় উপস্থিত হতে নিষেধ করা হয়েছে। 

এছাড়াও এমন অনেক হাদিস রয়েছে যে হাদীসগুলোতে সাহাবীদের কুরবানী দেওয়া এবং মহানবী যে কোরবানি করেছেন সে বিষয় সম্পর্কে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য প্রমাণ তারা দেননি তারা বলেছেন মহানবী কখনোই পশু জবাই করে কুরবানী করার পক্ষে ছিলেন এবং তার কোন সাহাবী রা পশু হিসেবে কুরবানি দিতেন না। কারণ সেখানে সাহাবীরা মনে করতেন যে যদি আমরা পশু কোরবানী দেই তাহলে পরবর্তী মানুষেরা বা বিভিন্ন মানুষ মনে করতে পারে যে পশু কুরবানীর মূল কোরবানি। 

আসলে প্রকৃত কুরবানী হচ্ছে মনের  ভিতরের পশু স্বভাবকে দূর করে নিজেকে মানুষের স্বভাবের দ্বারা পরিবর্তন করা। কারণ জন্মগতভাবে মানুষ শয়তানের দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকে তাই এই শয়তানকে মুক্ত করার জন্য মানুষের ভিতরে যে কুমন্ত্রণা কারী রয়েছে তাকে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ করা কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য তাই বিভিন্ন সাহাবী রয়েছে যারা বলেছেন যে পশু কুরবানী করার চাইতে নিজের ভিতরের খারাপ স্বভাব গুলোকে বর্জন করুন।  

নিজের ভিতরের খারাপ স্বভাব গুলোকে বর্জন করতে পারলে খুব সহজে কুরবানীর স্বাদ পাওয়া যাবে এবং আল্লাহতালা মানুষের মনের পবিত্রতা কে দেখতে পান আল্লাহতালা মনের পবিত্রতাকে দেখে আপনার জীবনের সকল গুনাহ খাতা গুলো মাফ করে দেখে আপনাকে একজন পবিত্র মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পারে। আমি শুধু উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম কি ধরনের মতবাদ রয়েছে আপনার মনের বিশ্বাসের উপর নিয়ত করবে আপনি কোন ভাবে বিশ্বাস করে ইবাদত বন্দেগী করবেন। 

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অগ্নিপরীক্ষা জেনে নিন 

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অগ্নিপরীক্ষার মতো অনেক পরীক্ষা দিতে হয়েছে ইসলাম কি প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইসলামিক এই বর্তমান যে রূপ রয়েছে সবাই স্বাধীনভাবে ইসলাম ধর্ম প্রচার করে এবং ইসলামকে বুকের ধারণ করে চলে। কিন্তু একটা সময় ছিল মহানবী যে সময় ইসলাম প্রচার করতেন সেই সময় ইসলাম প্রচার করার জন্য হাজার সাহাবীদেরকে জীবন দিতে হয়েছে এবং অনেক ধরনের যুদ্ধ করতে হয়েছে সেই যুদ্ধের ময়দানে শহীদ হয়েছে। 

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অগ্নিপরীক্ষা জেনে নিন

শহীদ হয়েছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর প্রিয় চাচা আমির হামজা। এছাড়া অনেক দামি সাহাবীরা রয়েছেন যারা ইসলামের জন্য জীবন দিয়েছেন এছাড়াও আল্লাহ তাআলর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা জীবন দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সমাজ ব্যবস্থা প্রচলন চালু করেছে যেই প্রচলনগুলো আজও সমাজের মুখে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য  ব্যবহার হয়। এমন আরো ইসলামিক আন্দোলন রয়েছে যে আন্দোলনে আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছেন অনেক সাহাবী। 

এই ইসলাম প্রতিষ্ঠাতা করার জন্য কারবালার ময়দান তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এই ইসলামকে এতটাই বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে রেখেছে যে মানুষ সত্যিকার ইসলামটকে ফেলে মিথ্যার ভিতরে ডুবে আছে। যে যেটা বলে সেটাকে বিশ্বাস না করে নিজে গবেষণা করুন এবং সেই বিষয় সম্পর্কে নিজে জ্ঞান অর্জন করুন এবং মানুষকে জ্ঞান দান করুন। ইসলাম শান্তির শিক্ষা দেয় তাই শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য হাজারো সাহাবী এবং সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছেন এবং দিয়ে যাচ্ছে। 

ত্যাগ ও কুরবানীর গুরুত্ব সম্পর্কে জানুন 

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ ও কুরবানী গুরুত্ব সম্পর্কে যে তথ্যগুলো আপনার জানা উচিত সেই বিষয়গুলো এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। ইসলাম শান্তির ধর্ম শান্তি স্থাপন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ত্যাগ গ্রহণ করতে হয়। ইসলামে এই ধরনের অনেক নজির রয়েছে যেই নজিরগুলো আমরা ইতিমধ্যেই জানি বা জেনেছি। সাহাবারা তাদের জীবনের বিনিময়ে এই ইসলাম ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বিভিন্ন রকম যুদ্ধ করেছেন বিধর্মীদের সাথে।  

এই ত্যাগ এবং কষ্টের বিনিময়ে মহানবী তার উম্মতের যে উপহার দিয়েছেন এই সুন্দর ইসলাম ধর্ম ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইসলাম ধর্মের বিস্তার বাড়ানোর জন্য নানা দিক থেকে বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের পাতা সম্মুখীন হয়েছে আল্লাহর রাসূল নিজে। বর্তমানে ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মতবাদ রয়েছে ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম তাই শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার করতে হবে।  

হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই ইসলাম ধর্মকে পেয়েছি বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ করেছি স্বাধীন করেছি এই ইসলাম। ইসলাম ধর্মের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে কোরবানী কুরবানীর ত্যাগের একটি মহিমাতে পরিপূর্ণ। কোরবানি একটি পরিপূর্ণ ত্যাগের মহিমা এখান থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে যে পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে থাকব কোন ধরনের ইসলামবিরোধী কাজ করব না কারণ ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য হাজারো মানুষ তাদের মূল্যবান জীবন দান করেছে। 

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ ও কুরবানী নিয়ে শেষ মন্তব্য 

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ ও কুরবানী নিয়ে আমার যে মন্তব্য রয়েছে। তাহলে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রত্যেকটি দেশে বা রাষ্ট্রের যেসব যেসব জায়গায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সকল জায়গায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করতে হয়েছে এবং অনেক গুরুত্ব পুর্ণ ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ মোকাবেল করতে হয়েছে। 

তাই ইসলাম ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেমন অনেক ত্যাগ এবং কুরবানী দিতে হয়েছে ঠিক তেমনি এই ধর্মকে ধরে রাখার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই শক্ত হাতে আল্লাহর শক্তি বুকে ধারণ করে এবং রাসূলের মহব্বত বুকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে যাতে কোনো মানুষ এই ধর্মকে তুলে এনে দিতে না পারে বা এই ধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের খারাপ মন্তব্য না করতে পারে। পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ ধর্ম হিসেবে ইসলাম ধর্ম আল্লাহতালা পাঠিয়েছেন তার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url