জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নাম এবং গোপন ইবাদতের উপায়
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নাম সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং তাদের নাম সম্পর্কে জানার যদি আপনার প্রয়োজনীয় হয় তাহলে খুব সহজেই 2 মিনিটের ভেতরে জেনে নিন। কি কি নাম এবং কয়জন সাহাবী রয়েছে জান্নাতে যাওয়র জন্য দুনিয়াতেই তার অনুমতি পেয়েছে।
মহানবী এই বিষয়ে কি কি বলেছেন এবং তার ঘোষণা অনুযায়ী কোন কোন সাহাবীদের কে জান্নাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবং কি ধরনের আমল করার জন্য তারা এত বড় সম্মান পেয়েছে, এবং সেই সম্মানটি মহানবীর মাধ্যমে তাদেরকে দেওয়া হয়েছে।
পোস্ট সুচিপত্রঃ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নাম নিয়ে সকল তথ্য জানুন
- জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নাম জানুন
- আশারায়ে মুবাশশারা সহীহ হাদিস জেনে নিন
- জান্নাতে কত প্রকার ফল থাকবে জানুন
- সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
- জান্নাতিদের কি খেতে দেওয়া হবে জেনি নিন
- কতজন সাহাবী দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন
- জান্নাতের সংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম
- জান্নাতে যাওয়ার সহজ ইবাদত এবং উপায়
- জান্নাতে প্রথম কে প্রবেশ করবে জানুন
- জীবদ্দশায় জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মানুষ নিয়ে শেষ মন্তব্য
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নাম জানুন
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নাম আপনি অবশ্যই জানতে চাইবেন কারণ একজন মুসলমান এই মুসলমান হিসেবে আপনার জানা উচিত। যে দুনিয়াতে কি কর্মকারের মাধ্যমে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া যায় এবং কোন কোন ব্যক্তি জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছে। বিভিন্ন হাদিস শরীফে সেই মানুষগুলোর জীবনী সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান মূলক তথ্য প্রকাশিত আছে।
সেই মহান মানুষগুলোর মধ্যে যে মানুষগুলোর নাম রয়েছে সে নামগুলো পর্যায়ক্রমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। কারণ আল্লাহর ইবাদত করাতে হলে জানতে হবে যে কোন ইবাদত করলে কি ধরনের উপকার পাওয়া যায় বা কি ধরনের ফল পাওয়া যায়। এবং কি ভাবি ইবাদত করার মাধ্যমে আপনি দুনিয়াতে থাকা অবস্থাতেই জান্নাতের সংবাদ পাবেন। সেই নামগুলো এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।
ক্রমিক নাম্বার | জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবি |
---|---|
০১ | মাওলা আলী আঃ |
০২ | মা ফাতেমা আঃ |
০৩ | ইমাম হাসান আঃ |
০৪ | ইমাম হুসাইন আঃ |
০৫ | মা খাদিজা রাঃ |
০৬ | উম্মে সুলাইম রাঃ |
০৭ | সুমাইয়া রাঃ |
০৮ | হযরত আয়েশা রাঃ |
০৯ | মা মরিয়ম রাঃ |
১০ | হাফসা রাঃ |
১১ | উম্মে হারাম বিনতে মিলহান |
১২ | আসিয়া রাঃ |
১৩ | গুমায়সা বিনতে |
১৪ | সুরাইসা বিনতে মিলহান রাঃ |
১৫ | রবি বিনতে মুয়াওযায |
০৬ | দুজাজা বিনতে আসমা বিন সালত |
১৭ | ফাখেতা বিনতে আবু তালিব |
১৮ | ফাযেলা আনসারি রাঃ |
১৯ | আসমা বিনতে উমাইস রাঃ |
২০ | ফাতেরা বিনতে মালেক |
২১ | ফাতেমা বিনতে খাত্তার |
২২ | লুবাবা বিনতে হারেস |
২৩ | হজরত আবু বক্কর রাঃ |
২৪ | হজরত উমর রাঃ |
২৫ | হজরত উস্মান রাঃ |
২৬ | হজরত আমির হামজা রাঃ |
২৭ | হজরত যায়েদা রা; |
২৮ | হজরত যুবাইর রাঃ |
২৯ | হজরত তালহা রাঃ |
৩০ | হজরত মেঘদা রা; |
৩১ | হজরত বেলাল রাঃ |
৩২ | হজরত শাহ জালাল রাঃ |
৩৩ | হজরত শাহ পরান রাঃ |
৩৪ | আব্দুল কাদের জিলানি রাঃ |
৩৫ | হজরত শাহ মুখদুম রাঃ |
৩৬ | খাজা মইনউদ্দিন রাঃ |
৩৭ | হজরত খালেদ বিন ইউসুফ রাঃ |
৩৮ | মাআন ইবনে আদি |
৩৯ | মারাজি ইবনে জারিয়া |
৪০ | মালিক ইবনে হুয়াইরিস |
৪১ | মাহজা ইবনে সালেহ |
তাহলে চলুন জেনেই সেই 10 জন সাহাবীর নাম প্রথমে রয়েছে মহানবীর জামাতা এবং প্রিয় সাহাবী শেরে খোদা মাওলা আলী আলাইহিস সালাতু সালাম, খাতুনের জান্নাত মা ফাতেমা তুজোহরা, ইমাম হাসান আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম, শহীদে আজম ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম, হযরতে বেলাল হাফসি, সুমাইয়া রা:, তালহা জান্নাতি, জুবাইর ইবনুল আওয়াম, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, সৈয়দ মোহাম্মদ হাশফি।
উল্লেখিত নাম প্রত্যেকটি প্রত্যেকটি মানুষ তাদের জীবন দশায় জান্নাতের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বারা আল্লাহর মাধ্যমে। কারণ তারা প্রত্যেকে ছিলেন মহানবী এর অনুসারী এবং মহানবীর খুবই কাছের ভক্ত। তারা মহানবীকে এতটাই সম্মান করতেন যে মহানবীর কথামতো চলারের জন্য এবং মহানবীর দেখানো আল্লাহর পথ অনুযায়ী চলবার জন্য হাজারো কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।
আশারায়ে মুবাশশারা সহীহ হাদিস জেনে নিন
আশারে মুবাশশারা সহীহ হাদিস আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটির মধ্যে খুব সহজেই দেওয়া আছে সেই বিষয়টি সম্পর্কে যা আপনি জানার জন্য এই পোস্টটির ভিতরে প্রবেশ করেছেন। আপনাকে প্রথমে জানতে হবে আশারায়ে মুবাশশারা এর অর্থ কি, কেন এই নামটি ব্যবহার করা হয় এবং কি বুঝানো হয় এর দ্বারা তাহলে চলুন জেনেনি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নামের অর্থ কি সেই বিষয়টা সম্পর্কে বিস্তারিত।
আশারা শব্দের অর্থ 10। এবং মোবাশশারা শব্দের অর্থ সংবাদপ্রাপ্ত তাহলে এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আশারায়ে মুবাশশারা শব্দের অর্থ সুসংবাদ প্রাপ্ত দশজন। আরো একটু বিস্তারিত বলতে গেলে বলতে হয় যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিশ্বাস করে তার উপর ঈমান এনে এবং তার আল্লাহর উপর ঈমান আনার জন্য যারা সবচাইতে বেশি ত্যাগ এবং সময় দিয়েছেন এবং ধৈর্য ধারণ করেছেন।
আরো পড়ুনঃ মুসলিম ছেলেদের আধুনিক নাম অর্থসহ কিচছু গুরুত্বপুর্ণ আলোচনা
তাদেরকে আল্লাহ তাআলার পুরস্কার হিসেবে দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জানিয়েছেন যে আল্লাহতালা তাদের ইবাদত করার জন্য অনেক খুশি। তাই তাদেরকে তাদের ইবাদত এবং ঈমানের পরীক্ষা নেওয়ার পর সে পরীক্ষার ফল হিসেবে তাদেরকে দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। জান্নাতের সংবাদ পাওয়ার জন্য তাদের জীবন দিয়ে প্রমাণ দিতে হয়েছে।
এ ধরনের অনেক সাহাবা রয়েছে একটি সাহাবীর জীবনী সম্পর্কে আমি অল্প একটু আপনাদের সামনে তুলে ধরবো এই কারণে যে আপনারা যেন বুঝতে পারেন যে কি পরিমান কষ্ট সূর করতে হয়েছে। আল্লাহর এক বান্দা সুমাইয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাস স্থাপন করার কারণে সেই সময়ের ধর্ম বিরোধী জালেম এবং শয়তানেরা তার সাথে যে অত্যাচার করেছে তার সম্পর্কে অনেক মুসলমান মানুষেরাই জানে।
তিনি তার ইজ্জত দিয়ে দিয়েছেন হাজারো কষ্ট যন্ত্রণা সহ্য করার পরেও আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাস স্থাপন থেকে একটুকু সরে যাননি। এই বিশ্বাস স্থাপন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার মাধ্যমে তিনি ঠিকই অর্জন করেছেন আল্লাহর দেওয়া জান্নাতের সুসংবাদ। কিন্তু দুনিয়ার বুকে তাকিয় সর্বোচ্চ ত্যাগ দিয়ে যেতে হয়েছে। যেই ত্যাগের কথা বর্তমান যুগের মানুষেরাও এখনো বিভিন্ন ইসলামিক গবেষকরা প্রমাণ হিসেবে দিয়ে থাকেন।
জান্নাতে কত প্রকার ফল থাকবে জানুন
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নাম গুলো সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে কোন মানুষগুলো জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছে দুনিয়াতে তাদের কর্ম করে। সে কর্মগুলো হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং তার মনোনীত মানুষেরে দেখানো পথ অবলম্বন করার মাধ্যমে জান্নাতের সুসংবাদ অর্জন করেছেন। এবং সেই মানুষগুলো জান্নাতে চিরকাল স্থানীয়ভাবে থাকবে এবং জান্নাতের সকল সুখ-সুবিধা উপভোগ করবে।
অনেক মানুষই জানতে চায় যে জান্নাতে কত প্রকার ফল থাকবে। এ বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে তার মধ্যে কয়েকটি তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো, কোরআনের সূরা আর রহমানের 68 নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে জান্নাতে আছে ফলমূল আর খেজুর আর ডালিম। সকল প্রকার জান্নাতি ফলমূল জান্নাতীদের নাগালের মধ্যে রইবে। এই ফলগুলো জান্নাতি মানুষ তাদের প্রয়োজন এবং খুশি মত ব্যবহার করতে পারবে।
এছাড়া জান্নাতের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের শান্তি এবং সুখময় পরিবেশ থাকবে যেটা মানুষের হৃদয়কে করে তুলবে এক অনন্ত সুখের অনুভূতি। আশা করি বোঝাতে পেরেছি জান্নাতে কি ধরনের ফল থাকবে এবং কি কি উপায়ে তারা তা অবলম্বন করতে পারবে এবং সে ফলগুলো ব্যবহার করে জান্নাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে আমি মনে করি প্রত্যেকটি মানুষের এই জান্নাতের সকল বিষয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: জান্নাতের কি 100 টি স্তর আছে?
উত্তর: আল বুখারী ও সহি বলেছেন জান্নাতের 100 টি স্তর রয়েছে। প্রতিটি স্তরের মধ্যে জমিও আকাশের মধ্যে যে জায়গা রয়েছে ততটুকু জায়গা রয়েছে। ইবনে এই আব্বাসের মতে জান্নাতের সাতটি স্তর রয়েছে এ ছাড়া বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে।
প্রশ্ন: জান্নাতের প্রথম ফল কি ছিল?
উত্তর: জান্নাতের প্রথম ফল ডালিম ছিল। এছাড়াও কোরআনে ডালিম এবং খেজুরের কথা উল্লেখ আছে সূরা রহমানের 68 নম্বর আয়াতে।
আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম ১১১ টি বাংলা অর্থসহ
প্রশ্ন: জান্নাতে কি কি পাওয়া যায়?
উত্তর: কুরআনের জান্নাত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আলোচনা করা হয়েছে এখান থেকে আমি কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। প্রথমে বলে রাখি যে জান্নাত যদি জান্নাতে একটি স্থান হয় তাহলে সেখানে আপনার থাকার জন্য যাবতীয় সকল সুযোগ সবিধা পাওয়া যাবে একটি মানুষের যা প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন: সর্বোচ্চ জান্নাত কোনটি?
উত্তর: জান্নাতের যে আটটি স্তর রয়েছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ স্তর মনে করা হয় জান্নাতুল ফেরদৌস কে। মনে করা হয় যে এই জান্নাতে যে প্রবেশ করবে সে সর্বোচ্চ নেকি অর্জন করে এবং নেক বান্দা।
প্রশ্ন: জান্নাতের প্রথম দরজার নাম কি?
উত্তর: জান্নাতের প্রথম দরজার নাম রাখা হয়েছে যারা সবচাইতে বেশি নামাজ আদায় করবে তাদের কথা স্মরণ করে। বাবুর সালাহ যার অর্থ নামাজী ব্যক্তিদের দরজা।
জান্নাতিদের কি খেতে দেওয়া হবে জেনি নিন
জান্নাতিদের কি খেতে দেওয়া হবে গুলো জান্নাতে যাওয়ার পরে কি ধরনের খাবার খাবে সেই বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে একটু আলোচনা করে জানিয়ে রাখি। জান্নাত হচ্ছে একটি সুসংগত শান্তির জায়গা সেখানে শুধু শান্তি আর শান্তি। আপনি যেই জিনিসটা চাইবেন সেটাই সেখানে হাজির হবে। আপনাকে শুধু মনে মনে নিয়ত করতে হবে যে আমি এই জিনিসটা খেতে চাই তখনই আপনার সামনে সেই জিনিসটি হাজির হয়ে যাবে।
এছাড়াও বিভিন্ন কোরআন হাদিসে হতে তথ্য পাওয়া যায় জান্নাতে ডালিম এবং খেজুর পাওয়া যাবে। এছাড়াও দুধের নহরের নদী বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থা থাকবে যেখানে জান্নাতের আর সারাজীবন স্থায়ীভাবে বাস করবে। জান্নাতের সকল ধরনের খাবার তাদের ইচ্ছামত খাবে এবং সেখানেই তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করবে। আপনিও যদি একজন জান্নাতি হতে চান এবং জান্নাতের সকল খাবারকে নিজের ইচ্ছামত খেতে চান।
তাহলে জান্নাতে যাওয়ার জন্য যে সকল কাজ করতে হয় সেই কাজগুলোর দিকে মনোযোগ দিন এবং জান্নাতে যাওয়ার জন্য প্রিপারেশন নিতে থাকুন। কারণে জান্নাতে কাজ করলে আল্লাহ অবশ্যই জান্নাতে যাওয়ার জন্য আপনাকে পারমিশন দিবে এবং জান্নাতে যেয় আপনি জান্নাতি খাবার খাইতে পারবেন। আশা করি বুঝাতে পেরেছি জান্নাতে যাওয়ার জন্য জান্নাতে খাবার খাওয়ার জন্য জান্নাতি মানুষ হবার জন্য ধর্মের বাণী মেনে চলতে হবে।
কতজন সাহাবী দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন
কতজন সাহাবী দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন আপনি যদি জানতে চান তাহলে ঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন। মহানবী তার আল্লাহর যে ধর্ম দিয়ে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে আল্লাহর প্রেম সৃষ্টি করেছে। সে আল্লাহ প্রেম এবং মহানবীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার পরে যে সাহাবীগুলো দুনিয়াতে তাদের কর্মধারা আল্লাহর কাছ থেকে সুসংবাদ পেয়েছেন যে, তারা পৃথিবী বিদায় দেবরের সাথে সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
জান্নাতি প্রবেশ করবে এমন দশটি সাহাবীর কথা উল্লেখ করা আছে। এছাড়াও এ বিষয়ে অনেক ধরনের মতবাদ রয়েছে আমি এতটুকু বলতে চাই যে প্রত্যেক ধর্মের মানুষই সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে। সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথ অনুযায়ী তাদের জীবনকে অতিবাহিত করার চেষ্টা করে। এই কাজটি মহানবী আমাদের জন্য আরো সহজ করে দিয়েছে তারই সুবাদে বিভিন্ন সাহাবীকর সেই ধরনের ইবাদত করার মাধ্যমে বিশ্বাস স্থাপন করে।
আরো পড়ুনঃ মুসলমানি করার পর করণীয় এবং বিভিন্ন কার্যকরী টিপস
হযরত আলী মা ফাতেমা হাসান হোসাইন জুনায়েদ মেগদা তালহা, হযরত ওমর হযরত ওসমান, বেলাল হাবসি, সুমাইয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু, এ সকল সাহাবীরা দুনিয়াতে এমন কিছু কর্ম করেছেন যে কর্মের কারণে আল্লাহতালা খুশি হয়ে তাদেরকে দুনিয়াতে সুসংবাদ হিসেবে জানিয়েছেন যে তারা জান্নাতবাসি। এবং দুনিয়া ত্যাগ করার সাথে সাথে তাদেরকে জান্নাতে দেওয়া হবে।
জান্নাতের সংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম জানা থাকলে আপনি আপনার সন্তান এর জন্য সেই নামগুলো রাখতে পারবেন এবং জানতে পারবেন যে আসলে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত কোন মহিলা সাহাবী গুলো ছিল যারা জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিল দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থাতেই। আর যদি না করে জনম জেনে নিয়ে যাক সেই জান্নাতি নারীদের নামগুলো যে নামগুলো আজও মানুষের মনের ভিতর গাথা আছে।
সে জান্নাতি নারীগুলো তাদের জীবনের সবচাইতে কঠিন পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে সেই ক্ষমতা এবং সম্মান অর্জন করেছেন। সম্মানের জন্য আজও আমরা তাদেরকে স্মরণ করি এবং তাদের মত করে জীবন পরিচালনা করার জন্য চেষ্টা করি। সত্যিকর কথা বলতে গেলে আসলে প্রেমিক হওয়া অনেক কঠিন। কারণ প্রেমিক হতে হলে নিজের ইচ্ছায় অনেক কিছু বিলীন করে দিতে হয়। ছেড়ে দিতে হয় হাতের মুঠে থাকা অনেক শক্তিকে।
উল্লেখিত নাম গুলোর প্রত্যেকটি মানুষ তাদের জীবনের মধ্যে তাদের ধর্মের যে শক্তি তা প্রতিফলিত হিসেবে দেখিয়ে গেছেন। অপমান করে দিয়ে গেছেন যে পৃথিবীর যত অপমান এবং কষ্ট এসব আল্লাহ মেয়েদেরকে দেওয়া হোক না কেন তারা সেসব কষ্ট এবং যন্ত্রণাকে অপেক্ষা করেই আল্লাহর প্রেমকে অটল রাখবে এবং আল্লাহর বিশ্বাসে মনকে স্থিত রাখবে। তাই তাদের মত মহান প্রেমিক এবং আল্লাহ প্রিয় মানুষদের কে প্রত্যেকেরই হৃদয় থেকে সম্মান জানানো উচিত বলে আমি মনে করি।
জান্নাতে যাওয়ার সহজ ইবাদত এবং উপায়
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নামগুলো সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই বিশেষ ভাবে জেনেছি এবং জেনেছি জান্নাতে যাওয়ার জন্য কি ধরনের ত্যাগ করেছেন। জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য বর্তমান যুগে অনেক মানুষ বিভিন্ন ধরনের ইবাদত বন্দি কি করে থাকেন। কিন্তু তাদের ইবাদন কোন ইবাদত হয়তোবা কখনো কাজে আসে আবার হয়তোবা কখনো কাজে আসে না।
প্রত্যেকটি মানুষই চায় জান্নাতে যেতে বা সুখে শান্তিতে জীবন বা সকল সময় সুখ শান্তিতে থাকতে। আর জান্নাতে যেতে চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। আপনি যদি জান্নাতে যেতে চান তাহলে এই সহজ উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন। কারণ এ সহজ উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে পৃথিবীতে বহুত অলি আউলিয়া গাউস কুতুব পীরগম্বর তারা জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়ার পাশাপাশি মুক্তির সুসংবাদ পেয়েছেন।
সেই ইবাদতটি হলো জান্নাতে যাওয়ার জন্য ইবাদত না করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করা। আপনি যদি জান্নাতে যাওয়ার জন্য ইবাদত করেন তাহলে সেটাও একটি লোভ হয়ে দাঁড়ায়। আর আল্লাহ বলেছেন লোভ হিংসা মহামায়া যার ভিতরে আছে সে কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আপনাকে জান্নাতের লোভ ছেড়ে আল্লাহকে পাওয়ার এবং আল্লাহর নৈকত্য লাভ করার উদ্দেশ্যে ইবাদত করতে হবে।
আর সঠিকভাবে ইবাদত করার জন্য আপনাকে একজন আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির কাছ থেকে ইবাদত করার পদ্ধতি গুলো মনে নিতে হবে। সে ব্যক্তিটাকে এমন হতে হবে যেন সে আল্লাহ তাআলার সাথে ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহতালার সন্তুষ্ট অর্জন পর্যন্ত করেছেন। এবং আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে ভালবাসেন এবং এই ধরনের মানুষের কাছ থেকে বা পথপ্রদর্শক এর কাছ থেকে সঠিক উপায় জানার মাধ্যমে ইবাদত করলে আল্লাহর পাশাপাশি জান্নাত পাবেন।
জান্নাতে প্রথম কে প্রবেশ করবে জানুন
জান্নাতে প্রথম কে প্রবেশ করবে এ বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেরই কৌতুহল রয়েছে এবং জানতে চাই অনেকেই আসলে জান্নাতে প্রথম কে প্রবেশ করবেন। আপনাদের সামনে একটি ছোট্ট হাদিস তুলে ধরলাম। যেটি হযরত বেলাল হাফসির জীবনী থেকে সংগ্রহ করা। মহানবীর প্রিয় সাহাবাদের মধ্যে একজন ছিলেন বেলাল তিনি অনেক দূর থেকে মহানবীর কাছে আসতেন এবং গোপনে তার কাছে বায়াত গ্রহণ করেছিলেন।
কিন্তু কাফেরা এই বিষয়টি জানার পর সে হযরত বেলালকে অনেক নির্যাতন এবং গরম বালুর উপরে বুকে পাথর দিয়ে রাখা সহ বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার করেছে। তবু তিনি মহানবীর নাম মুখ থেকে সরান নিয়ে সর্বদা তার নাম জপ করেছেন। তাই মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাম একদিন একটি ইসলামিক বিষয়ে আলোচনা করছেন সেই সময়ে হযরত বেলাল সেখানে উপস্থিত হওয়ার কারণে মহানবী অস্থিরতা বোধ করছিলেন।
বিষয়টা হযরত বেলাল বুঝতে পারার পরে এভাবে কয়েক দিন যাওয়ার পর একদিন জিজ্ঞেস করে বসলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে, হে আকা আমি কুরবান হই আমার মা কুরবান হোক বাবা কুরবান হোক, আপনি কেন আমাকে দেখলে অস্থির হয়ে যান। অন্য সকল সাহাবা সবাই সবাই থাকলে আপনাকে এক রকম দেখায় আমি আসলে আমাকে দেখার পর আপনাকে কেমন অস্থির দেখায়।
এই কথাটা বলার পর মহানবী বলেছিলেন যে হযরত বেলাল তুই আমার দেশের না তুই আমার গোত্রের না তুই অনেক দূরের এবং মানুষের কেনা গোলাম হয়েও আমাকে এত ভালবাসতে পারিস তোর পিঠে কাফেরের আঘাতে রক্তের চামড়ায় জর্জরিত হয়ে গেছে তবুও তুমি আমার কাছে একটি বাড়ির জন্য বলনি যে, হে আমার নবী আপনার প্রেমে আমার এত কষ্ট হয়েছে। তাই তোমার এই প্রেম দেখার পরে আমি তোমাকে দেখলে স্থির থাকতে পারিনা।
এবং সেই কারণে সেদিন মহানবী বলেছিলেন আমি তোমাকে আমার আগে জান্নাতে প্রবেশ করতে দেবো। এবং সেখানে আমি একটি উটের উপরে থাকবো এবং সেই উট নিয়ে যাওয়া তুমি। তাহলে মহানবী সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে কিন্তু সেই প্রবেশ করার সময় হযরত বেলাল নিয়ে যাবে তাই হযরত বেলাল সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে। ঘটনাটি বিভিন্ন হাদিস শরীফে এবং হযরত বেলালের জীবনীতে আলোচনা করা হয়েছে।
জীবদ্দশায় জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মানুষ নিয়ে শেষ মন্তব্য
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নাম নিয়ে আমার শেষ মন্তব্যের ভিতরে আমি এই কথাই বলব যে জান্নাতে যাওয়ার জন্য যেমন ইবাদত করার প্রয়োজন তেমনি ইবাদত করার জন্য প্রয়োজন ইবাদত সম্পর্কে ভালোভাবে জানা, না জানলে আপনি সঠিক উপায়ে ইবাদত করতে পারবেন না। আপনি যদি সঠিক উপায় ইবাদত করতে না পারেন তাহলে এবাদত ভুল হওয়ার কারণে আপনি জান্নাতে যেতে পারবেন না।
আপনাকে জান্নাতে যেতে হলে এবং জান্নাতের সংবাদ পেতে হলে যে আল্লাহ ওয়ালা এবং অলি-আওলিয়া এবং মহানবী এরে দেখানো পথ অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি জান্নাতের সুসংবাদ অর্জন করতে পারেন এবং জান্নাতে যেতে পারেন। জান্নাতে যাওয়ার জন্য আল্লাহর এবং আল্লাহ রাসূলের দেখানো পথ ছাড়া কোন উপায় আছে বলে আমার জানা নেই তাই জান্নাতে যাওয়ার জন্য ইবাদত করুন মহান আল্লাহর।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url