শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫ নিয়ত ফজিলত নিয়ে আজানা তথ্য

শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এবং শবে মেরাজের ফজিলত আপনাদের সামনে আলোচনা করবো। পাশাপাশি জানতে পারবেন শবে মেরাজের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪।

শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫

আসলে আমাদের জানা প্রয়োজন মেরাজ কি মেরাজ অর্থ হচ্ছে ঊর্ধ্বগমন। লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী আমাদের দেশে সকল মানুষের পালন করে। এই রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অলৌকিকভাবে মহান আল্লাহ তা আলার সাথে দিদার করেন।  

পোস্ট সুচিপত্রঃ শবে মেরাজ কত তারিখ,নিয়ত এবং ফজিলত বিস্তারিত আলোচনা 

শবে মেরাজ কত তারিখ ২০২৫ - শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪ বিস্তারিত জানুন

শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫ এই বিষয় সম্পর্কে প্রত্যেকটা মুসলমানেরই জানা উচিত। কারণ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে এই ঘটনাটি ঘটার পরে। মহান আল্লাহ মহানবীকে যেই অশেষ নিয়ামত দান করেছেন সে নিয়ামত গুলো সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। তবুও একটু বলে রাখি আপনাদের উদ্দেশ্যে যারা জানেন না শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫। শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪।

রাসূলুল্লাহ সা: এর জীবনের একটি সময়ে মহান আল্লাহতালা তার বন্ধু হিসেবে যাকে আখ্যায়িত করেছিলেন তার সাথে দেখা করার জন্য মহানবীকে আহ্বান করেন। সেই সময়টা ছিল রজব মাসের ২৭ তারিখ রাত। এতে মহানবী জিব্রিল ফেরেশতার মাধ্যমে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত যাই বিভিন্ন হাদিসে প্রমাণ আছে। সিদরাতুল মুনতাহাতে পৌঁছানোর পর জিবরাইল ফেরেশতা মহানবীকে বলেন, যে আপনি এখান থেকে একাই আল্লাহ তাআলার সাথে দেখা করতে পারবেন।

মহানবী জানতে চাইলেন যে কি কারণে তিনি তার সাথে যেতে চায় না। তখন উত্তরে জিবরাইল ফেরেশতা বলেন সিদরাতুল মুনতাহার পরের থেকে সৃষ্টির রাজ্য শেষ। এবং সেখান থেকে শুরু হয় আল্লাহর রাজ্য আর আল্লাহর রাজ্যে সৃষ্টি প্রবেশ করতে পারে না, যদি প্রবেশ করে তাহলে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে। আর মহানবী যেতে পারবে কারণ মহানবী সৃষ্টির উর্ধ্বে তাই তিনি সিদরাতুল মুনতাহা থেকে সৃষ্টির রাজ্য পার করে আল্লাহর রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন  তথা লা মোকামে।

উল্লেখিত বিষয় নিয়ে অনেক আলেম উলেমার অনেক মতামত রয়েছে। কেহ বেদাত মনে করেন কেহ বিভিন্ন নিয়মে নামাজ কালাম এবং রোজা রাখার মত ইবাদত বন্দেগী করে। কারণ মহানবী সেই দিনে তার উম্মতের জন্য অনেক উপহার নিয়ে এসেছেন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যা আজও পৃথিবীর মুসলিমদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। শবে মেরাজ মুসলিমদের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী রাত।

শবে মেরাজ মুসলিমদর জন্য একটি গভীরভাবে সম্মানিত রাত। শবে বরাত মুসলিমদের জন্য একটি গভীরভাবে সম্মানিত রাত যেখানে তারা আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা এবং আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন অনেকেই রাতে বিশেষভাবে নামাজ আদায় করেন। বিশেষ ফজিলতপূর্ণ এ রাতে অনেক ধরনের ইবাদত বন্দি করে গুনা ভাব পাওয়া যায় বলে অনেকেই বিশ্বাস করে। 

শবে মেরাজের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জেনে নিন 

শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫ এবং শবে মেরাজের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জেনে আপনি খুব সহজেই শবে মিরাজের বিভিন্ন ইবাদত করতে পারবেন। প্রত্যেকটি ইবাদত করার জন্য একটি নির্দিষ্ট উপায়ে নিয়ত করতে হয়। কারণ আল্লাহ তাআলা নিয়ত দেখতে পান কারণ তিনি সকল কিছু দেখার ক্ষমতা রাখে। তাই প্রত্যেকটা জিনিস করার আগে মানুষ নিয়ত ব্যবহার করে। ঠিক তেমনি শবে বরাতের নামাজের নিয়ত রয়েছে যা নামাজের সময় ব্যবহার করা হয়। 

আরো পড়ুনঃ শবে কদরের নামাজের নিয়ম অনুযায়ী আমল করার ১০টি টিপস 

তাহলে চলুন শবে বরাতের নিয়তটি জেনে নিন, নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকাতাই সালাতে লাইলাতুল মিরাজে মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার। নিয়তের জন্য এই নিয়মটি ব্যবহার করা হয় এটা অনেক হাদিস শরীফে এবং বিভিন্ন মৌলভী মাওলানা দেরে ওয়াজ মাহফিল থেকেও শোনা যায়। এছাড়াও বাংলাতেও অনেক সুন্দরভাবে নিয়ত পড়ে নামাজ পড়া যায়। 

বাংলায় নিয়ত করতে হলে আপনাকে যেভাবে পড়তে হবে সেটি হচ্ছে, আপনাকে বলতে হবে আমি কেবলামুখী হয়ে মিরাজের দু'রাকাত নফল নামাজ আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের খুশির জন্য আদায় করিতেছি আল্লাহু আকবার। এই কথা বলার মাধ্যমে আপনি নিয়ত করে নামাজ আদায় করতে পারবেন। কারণ আল্লাহতালা সকল ভাষা বোঝেন এবং সকল বিষয়ে জ্ঞান রাখেন। 

শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম জেনে নিন 

শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম জানা অবশ্যই প্রয়োজন কারণ নিয়ম না জানা থাকলে আপনি কিভাবে পড়তে হয় এবং সেই ইবাদতটি কিভাবে করতে হয় তা পারবেন না। সঠিক উপায়ে ইবাদত করার জন্য ইবাদত সম্পর্কে জানতে হবে যে কিভবে সেই ইবাদতটি করতে হয়। প্রয়োগ পদ্ধতি যদি সঠিক না হয় তাহলে ইবাদত করে অনেক সময় লাভ পাওয়া যায় না। তাই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইবাদত করার আগে ইবাদত সম্পর্কে জানা। 

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত পড়ার পর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে, এশার নামাজ শেষ করে নিতে হবে এবং বেতের নামাজ বাকি রাখতে হবে। কারণ বেতের নামাজের পরে মেরাজের নামাজ পড়া হয়ে গেলে শেষে আদায় করবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে দুই রাকাতে নিয়ম বেঁধে নিতে হবে। দুই রাকাত করে নিয়ম বেঁধে বেঁধে আপনি যত পারেন তত রাকাত নামাজ পড়তে পারে এতে অনেক ফজিলত পাওয়া যায়। 

এই রাতে আল্লাহতালার কাছে মোনাজাত কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে কারণ এর আরেকটি একটি পবিত্র রাত এই রাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহতালার কাছ থেকে বিশেষ নিয়ামত নিয়ে এসেছেন তার উম্মতের নাজাতের জন্য কাজে আসবে। এই দিনে ইবাদত করে আপনি আপনার জীবনের গুনাগতকে মাফ করিয় নতুন সুন্দর জীবন শুরু করতে পারবেন। আশা করি বোঝাতে পেরেছি এর নিয়ম ও উপকার। 

মেরাজ সম্পর্কে সচারচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর  

প্রশ্ন: শবে মেরাজের নামাজ কিভাবে পড়বো? 

উত্তর: শবে মেরাজের নামাজ পড়ার জন্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কবে শবে বরাতের রাতের নামাজ পড়তে হয় এবং উল্লেখিত যে নিয়তটি দেওয়া আছে সেই নিয়মটি পড়তে হবে। প্রত্যেক মুসলমানরা এই মহিমানিত রাতটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন। কেউবা দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়েন। দেহ কোরআন শরীফ পাঠ করেন, কেউ জিকির আজকার করেন কেউ দোয়া দুরুদ পড়েন। আপনি ইচ্ছা করলে সারারাত নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার শবে বরাতের করণীয় বর্জনীয় এবং হাদিস

প্রশ্ন: শবে মেরাজের রোজা কখন রাখতে হয়? 

উত্তর: শবে বরাতের রাত হিসেবে 27 শে রজব রাতকে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন উপায়ে এ তিনটি মানুষ পালন করে থাকে রোজা রাখার জন্য 26 তারিখ রাতে সেহরি করতে হবে এবং 27 তারিখ সন্ধ্যায় ইফতার করতে হবে এই নিয়মটি অনেকেই পালন করে। যদিও এই বিষয় নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে। 

প্রশ্ন: শবে মেরাজের রোজা রাখা যাবে কি? শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫

উত্তর: শবে মেরাজের রোজা নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে কেউ বলে বিদাত কেউ বাবারে ইবাদত বন্দেগী করে। আপনি যদি ইবাদত বন্দ করতে চান তাহলে শবে বরাতের দিন হওয়ার আগে রোজার সেই করতে পারবেন এবং শবে বরাতের সন্ধ্যায় ইফতারি করতে পারবেন অনেক ফজিলত রয়েছে। 

প্রশ্ন: শবে মেরাজের রাতে কি পড়তে হয়? শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫

উত্তর: শবে মেরাজের বিষয় নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে এখানে অনেকে অনেক মতামত প্রকাশ করেন। কেউ এই পথকে বিশ্বাস করে আবার এ কেউ এই পথকে বেদাত বলে দাবি করেন। আপনি যদি এ রাতের ইবাদত করতে চান তাহলে। নফল নামাজ পড়তে পারবেন, কোরআন শরীফ পাঠ করতে পারবেন, দুরুদ শরীফ পাঠ করতে পারবেন এবং জিকির করতে পারবেন।

প্রশ্ন: শবে মেরাজ সম্পর্কে কোরআন কি বলে? 

উত্তর: কোরআনের শবে মেরাজের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা আছে যে আল্লাহর নবী আল্লাহর সাথে দিদার করার জন্য মিরাজ করেছেন। এখানে আল্লাহ তাআলার সাথে দিদার করে তার উম্মতের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইবাদত বন্দিগীর উপায় নিয়ে এসেছেন।

প্রশ্নঃ শবে মেরাজের দিন কি হয়েছিল? শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪

উত্তরঃ ইসলামিক ধর্ম মতে লাইলাতুল, মেরাজের রাত (যা সচরাচর শবেমেরাজ নামে অধিকতর পরিচিত) হচ্ছে যে রাতে ইসলামের নবি মুহাম্মদ (সাঃ) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং বান্দার জন্য অনেক নিয়ামত, বরকত হিসেবে নামাজ, রোজা, হজ্জ সহ আরো সুসংবাদ আনে। অনেক মুসলমান এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদ্‌যাপন করেন।

প্রশ্নঃ মিরাজের আগে কি নামাজ ছিল?

উত্তরঃ হ্যা, মিরাজের আগে নামাজ ছিলো। ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে রজব তারিখে মিরাজের সময় পাঁচওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, এ সময় যোহর, আসর ও ইশা ২ রাকাত পড়ার বিধান ছিল। অনেক পরে ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহ তরফ থেকে ২ রাকাত বিশিষ্ট যুহর, আসর ও ইশাকে ৪ রাকাতে উন্নীত করার আদেশ দেয়া হয়।

প্রশ্নঃ প্রথম নামাজ কে পড়েছেন? শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪

উত্তরঃ ইসলাম ধর্ম মতে সর্ব প্রথম নামাজ আদিপিতা বা প্রথম পুরুষ আদম (আঃ) পড়েছিলে। তাঁকে যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা জান্নাত থেকে বিতাড়িত করে পৃথিবীতে পাঠান তখন পৃথিবীতে রাত ছিল। এই রাত্রের অন্ধকারে আদম (আঃ) ভীত হয়ে পড়েন। এরপর ভোরের আলো বের হলে তিনি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরুপ নামাজ পড়ে।

প্রশ্নঃ মেরাজ কেন হয়েছিল? শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫, শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪

উত্তরঃ ইসলাম ধর্ম মতে লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত (যা সচরাচর শবেমেরাজ নামে অধিকতর পরিচিত) হচ্ছে যে রাতে ইসলামের নবি মুহাম্মদ (সা:) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন আল্লাহর ইবাদতকে আরো সহজ করে তুলে। তাই অনেক মুসলমান এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদ্‌যাপন করেন সঠিক ইবাদত করলে সবাই আল্লাহর দিদার করতে পারবে।

শবে মেরাজের রোজা কয়টি জেনে নিন 

শবে মেরাজের রোজা কয়টি জেনে আপনি সেই অনুযায়ী রোজা রাখতে পারবেন এবং এর বিশেষ পরিবেশ গুলো পেয়ে যাবেন। এই দিনে ইবাদত হিসেবে অনেকে দুইদিন রোজা রাখে অনেকেই তিনদিন রোজা রাখে আবার কেউ একদিন রোজা রাখে। এছাড়া এই রোজা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলিম সমাজের মধ্যে অনেক মতবাদ রয়েছে। কিছু মানুষ এই বিষয়টি মনে করে বিশ্বাস করে এবং আমল করেন বিভিন্নভাবে।

শবে মেরাজের রোজা কয়টি জেনে নিন

তাই আপনি যেইটা বিশ্বাস করেন সেটাই পালন করবেন কারণ বিশ্বাসই হচ্ছে মুক্তির পথ। আল্লাহতালা বিশ্বাসী পছন্দ করে এবং ধৈর্যশীলদের সাথে থাকেন বলে কুরআনে ঘোষণা রয়েছে। শবে মেরাজ কত তারিখ ২০২৪ এখানে দেওয়া আছে ৮ ই ফেব্রুয়ারি। এবং এই দিনটি হচ্ছে আরবি মাসের রজবের ২৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এ দিনটিকে কেউ মানে কেউ মানে না এই বিষয়টি নিয়ে অনেকের ভিতরে মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন বিতর্ক রয়েছে। 

মানুষ বিশ্বাস করে যে এর আদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলত পূর্ণ রাত এই রাতে ইবাদত বন্দি করলে খুব তাড়াতাড়ি সেই ইবাদত বন্দেগী কবুল হয় আল্লাহতালার দরবারে। এই মনোভাব করে অনেক মানুষ এ বিষয়টা নিয়ে রোজা নামাজ এবং বিভিন্ন নফল ইবাদত করে থাকেন। আবার এই বিষয়ে অনেক মৌলভী মাওলানা বলেছেন ইসলামের কথা হয় এই ধরনের কোন নির্দিষ্ট হাদিস নেই যে এই দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করতে হবে। 

শবে মেরাজের মোনাজাত কি ধরনের  

শবে মেরাজ কত তারিখ ২০২৫ সালের আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রজব মাসের ২৭ তারিখে এই দিনটি পালিত করা হয়। বিভিন্ন বিশ্বাসী মানুষ রয়েছে তারা তাদের বিশ্বাসের জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের নফল ইবাদত এবং প্রার্থনা করে থাকেন তারা মনে করেন এই দিনটি এবং এই রাতটি অনেক ফজিলতপূর্ণ এই রাতে ইবাদত বন্দেগী করলে অনেক বেশি পরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। আবার অনেকেই এই রাতে নফল নামাজ পড়তে পড়তে রাত শেষ করে দেয়। শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪।

যারা নামাজ পড়েন, কুরআন তিলাওয়াত করেন, জিকির আজগার করেন, এবং নামাজ পড়ে শেষে মোনাজাত করেন। তাদের জন্য আল্লাহতালা অবশ্যই পুরনো না কোন কোন নিদ দেবে কারণ ইবাদত মন থেকে করলে তার ফল পাওয়া যায়। আল্লাহতালা প্রত্যেকটি মানুষের নিয়তকে দেখতে পান এবং বুঝতে পারেন। তাই আল্লাহর খুশির জন্য যে উসিলাতেই মানুষ ইবাদত বন্দি কি করুক না কেন আল্লাহতালা উপহার দেবে। 

আরো পড়ুনঃ মুসলিম ছেলেদের আধুনিক নাম অর্থসহ কিচছু গুরুত্বপুর্ণ আলোচনা 

এই রাতের মোনাজাত এমন হওয়া উচিত আপনার জীবনের সবগুলো খারাপ স্বভাবকে মুক্তি করে আপনি নিজে একজন ভালো মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। এবং প্রকৃত মুমিন হবার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাবেন। এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম আল্লাহর সাথে দেখা করেছেন। মহানবীর উসিলা দিয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে কিছু চাইলে আল্লাহ তাআলা কিভাবে আপনাকে ফিরিয়ে দেবে। 

এছাড়া একটি দোয়া পড়তে পারেন, আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া সাবান, ওয়া বাল্লিগনা রামাদান। এই গুহাটির অর্থ হচ্ছে হে আল্লাহ আপনি রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং সামনে রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন। মহানবীর জলিল সাহাবা হযরত আলীর থেকে বর্ণিত নবী করিম সা: বলেছেন, তখন তোমরা এই রাত ইবাদ ও বন্দিতে কাটাও। দিনের বেলায় রোজা রাখো। কেননা, এদিন সুস্বাস্থ্যের পর আল্লাহতালা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন।

এবং আহ্বান করেন কোন ক্ষমাপ্রর্থী আছো কি? আমি ক্ষমা করবো, কোন রিজিক প্রার্থী আছো কি, আমি রিজিক দেবো, কোন বিপদগ্রস্ত মানুষ থাকলে আমি উদ্ধার করবো। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহতালা (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৮৪)। বোঝাতে পেরেছি কি ধরনের মোনাজাত করতে হবে এই দিনটিতে এবং এই রাতে এবাদত গুলো কেমন। তাই আপনি যদি এটা বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে অবশ্যই উল্লেখিত উপায়ে ইবাদত করতে পারবেন। 

শবে মেরাজের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় জানুন 

শবে মেরাজের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় না জানা থাকলে আপনি কিভাবে পড়বেন এর জন্য আপনাকে জানতে হবে। এই রাত অনেক ফজিলত পূর্ণ একটি রাতের ইবাদত খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আল্লাহ তা'আলা আসমানের প্রথম আসমানে নেমে এসে বান্দাদেরকে তাদের জন্য দোয়া করতে বলেন এবং আল্লাহতালা সেইদিন সকল দোয়া কবুল করে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়। 

এই রাতে নামাজ পড়ার জন্য আপনাকে প্রথমে নিয়ত করে নিতে হবে নিয়ত যদি না জানে না থাকে তাহলে উপরে নিয়ত সম্পর্কে বলা হয়েছে জেনে নেবেন। কিছু কিছু বইগুলোতে যেভাবে এই বিশেষ নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে চলুন সেই বিশেষ নামাজ পড়ার বিষয় গুলো জানিয়ে এবং সেই অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করি সকলে। যে আমলগুলো করার মাধ্যমে আপনি আল্লাহ তায়ালার ভালো বান্দা হতে পারবেন এবং জান্নাতে যেতে পারবেন। 

প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর ১০০ বার আয়াতুল কুসরি পড়তে হবে, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর ১০০ বার সূরা ইখলাস পড়তে হবে, এই নিয়মটি অবলম্বন করে যে নামাজ পড়বে সেই ব্যক্তি জান্নাতের স্থান নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না। এমন ধরনের অনেক হাদিস বর্ণিত রয়েছে তাই আপনি যদি জান্নাতে থাকতে চান এবং সেখানে জায়গা নির্ধারণ করতে চান তাহলে এই আমলটি অত্যন্ত উপকারী এবং গ্রহণযোগ্য।

নবীজির মেরাজের ঘটনা সংক্ষিপ্তভাবে জেনে নিন 

নবীজির ঘটনা সংক্ষিপ্তভাবে জেনে নেওয়া যাক। এ বিষয়ে অনেক ধরনের হাদিস দলিল এবং বিভিন্ন মতামত রয়েছে যে মতামত গুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকে জানিনা মিরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বেগমন মহানবীর সা: মসজিদুল হারাম থেকে আস্কা হয়ে আকাশে গমন করেন। জিবরাইল ফেরেশতা মিকাইল ফেরেশতা এবং বোরাকের মাধ্যমে মরাজের সফরে যাত্রা করেন। সেখানে বোরাক এবং মিকরাইল জিব্রাইল,  

সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত আল্লাহর রাসূলের সাথে যাত্রা করেন। সেখান থেকে আল্লাহর রাসূলকে বিদায় দিয়ে তারা ফিরে আসেন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সেখান থেকে আল্লাহর তৌহিদের রাজ্যে প্রবেশ করে আল্লাহর সাথে দেখা করেন এবং ইসলামের বিশেষ স্তম্ভ গুলো আল্লাহর কাছ থেকে নিয়ে আসেন যা ইসলামের মূল স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪।

নবীজির মেরাজের ঘটনা সংক্ষিপ্তভাবে জেনে নিন

মিরাজের পর থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক মাস রোজা, হজ্জ, যা সহ বিভিন্ন কাজ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তার মহানবীর উম্মতের মুক্তির জন্য উপকার হিসেবে নিয়ে আসা হয়। এবং বেড়াতে যাওয়ার পরে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আল্লাহর সাথে সশরীরে দেখা করেন এবং জান্নাত জাহান্নাম সহ বিভিন্ন আল্লাহর নিদর্শন দেখে আসেন। এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে আসার পরে সেই বিষয়গুলো তার সাহাবাদের ভিতরে আলোচনা করেন। 

নবীজির মেরাজের ঘটনা ওয়াজ শুনুনে - শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫

নববীজির মেরাজের ঘটনা ওয়াজ শুনুন বাবা জাহানংগীর কি বলেন, তিনি ৫৩ বছর কুরআন গবেষনা করেছেন এবং এই তথ্য গুলো জানিয়েছন তা হল, মেরাজ অর্থ সিড়ি বা উর্ধে গমন। এটা প্রতিটি মানুষ অর্জন করতে পারবে কারণ মহানবি আল্লাহর পক্ষ থেকে যা কিছু গ্রহন করেছেন তা তার উম্মত করতে পারবে। আপন নফস কে দায়েমি সালাতের মাধ্যমে, আপন রাসূলের মাধ্যমে, মোরাকাবা ধ্যান করে অর্জন করা যায়।

এছাড়া বিভিন্ন কুরআন ও হাদিসে রয়েছে মুমিন বান্দার নামাজ মেরাজের সমান। একজন সাধক সাধনা করে নিজের ভিতরের শয়তান কে মুসলমান করতে পারে তাহলে সে মেরাজের সরাসরি উপভোগ করতে পারবে। কুরাআনে নামাজের কথা ৮২ জায়গায় বলেছে নিজের ভিতরে নামাজ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এখন আমরা যা রাত মেরাজ হিসেবে পালন করি তা মেজাজি শবে মেরাজ। আর আসল মেরাজ হলো নিজের সাথে দর্শন করা।

প্রিয় নবি আমাদের দেখায়ছেন যে নিজেকে শয়তান মুক্ত করার জন্য হেরা গুহার মত নির্জনে সাধনা করতে হবে তাহলে আল্লাহর দিদার পাওয়া যাবে। কোন কাজ করতে হলে জানতে হবে তাই যে জানে তার থেকে জানতে হবে। কুরআনে আল্লাহ বলেছে , আমি এবং আমার হাবিব দুই ধনুক কে বা দুটি অর্ধ চাঁদ কে একসাথে করলে যা হয় তার থেকে আরো নিকটে। তাই বাউল সম্রাট লালন বলেছে যিনি মুরশিদ তিনি রাসূল খোদা ও সে হয়। 

শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত জেনে রাখুন 

শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখুন এবং এই গুরুত্ব সহকারে এই ইবাদত করার মাধ্যমে এর ফজিলত গুলো পেতে পারেন। এত আপনি বিভিন্ন ধরনের নফল ইবাদত করতে পারেন, কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন, আল্লাহর জিকির করতে পারেন, দুরুদ শরীফ পাঠ করতে পারেন, এর মাধ্যমে আপনার জীবনের সমস্ত গুলো কথা মাফ করে দিতে পারে। 

বিভিন্ন হাদিসের মতে প্রমাণিত আছে যে আল্লাহতালা এই রাতে প্রথম আসমানী নেমে আসে এবং তার ভান্ডারীর উদ্দেশ্যে বলেন যে তোমাদের কি ধরনের সমস্যা আছে, কি চাও, কোন বিপদ এবং সমস্যা থেকে মুক্তি চইলে আল্লাহতালা সাথে সাথে সেই সকল সমস্যা এবং বিপদ থেকে মুক্ত করে দিতে পারে। এই রাতের অনেক মর্যাদা আপনি যদি এই মর্যাদা গুলো পেতে চান এবং আপনার জীবনের গুনাহ খাতা মাফ করতে চান তাহলে এই আমলটি করতে পারেন। 

আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের গুণা এবং ভাববাদের সাথে যুক থাকেন। এবং বুঝতে পারেন যে আপনি গুনাহ এবং পাপ কাদের সাথে যুক্ত আছেন। এবং এ ধরনের সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চান এবং আল্লাহর রাস্তায় ফিরে আসতে চান তাহলে এই রাতে আল্লাহর কাছে তওবা করে বিভিন্ন উপায়ে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেন তাহলে আল্লাহ অবশ্যই আপনাকে ক্ষমা করে দেবে। শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪ 

শবে মেরাজ কত তারিখ ২০২৫ নিয়ে আমার শেষ মন্তব্য 

শবে মেরাজ কত তারিখ ২০২৫ তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে এর ফজিলত গুলো আপনি গ্রহণ করতে পারবেন। বিভিন্ন হাদিসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আমল এর কথা বলা হয়েছে কেউ নফল ইবাদত করে কেহ আবার সারারাতে কোরআন পড়ে জিকির করে, আমল করার মাধ্যমে তাদের কোনা কথাগুলোকে মাফ করে নিতে চাই আল্লাহতালার কাছ থেকে। আশা করি জেনেছেন শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫। শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪

এছাড়া এই পোস্টের ভিতরে শবে মেরাজের গুরুত্ব এবং শবে মেরাজ কেন পালন করেন কোন দোয়া পাঠ করতে হবে এবং কেমন করে নিয়ত করতে হয় সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই বিষয় গুলো জানার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আমলগুলো করতে পারবেন এবং আপনার জীবনের গুনাহ খাতা গুলোকে মাফ করে নিতে পারবেন আল্লাহ তায়ালার দয়াল নামের উসিলায় আপনার সকল বলে কথা মাফ হয়ে যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url