জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম এবং অর্থসহ কিছু ব্যখ্যা

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম জানা থাকলে, আপনি আপনার ছেলে ময়েদেরকে সেই নাম দিতে পারবেন। পাশাপাশি আপনি জানতে পারবেন যে এই নামের কত মহিমা এবং এই নামের গুনে কত মানুষ তাদের সন্তানকে এই নামগুলো প্রদান করেছেন। 

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) পর্দা নেওয়ার আগে অনেক সাহাবী তার সাথে ছিলেন, যে সাহাবী গুলো দুনিয়ার বুকে থাকা অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন। সেই সকল সাহাবীদের নাম সম্পর্কে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করব এ পোস্টের মধ্যে যা আপনার জীবনে কাজে আসবে। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম এবং অর্থসহ কিছু ব্যখ্যা 

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই সেই নামগুলো আপনার সন্তান-সন্ততি থেকে দিতে পারবে। সেই নামগুলো জানতে পারবেন যে কোন মানুষগুলো এবং কোন নামের মানুষগুলো দুনিয়াতে বেঁচে থাকা অবস্থাতেই জান্নাতের সুসমত পেয়েছেন এবং জান্নাতের টিকিট এই দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করেছেন। সে স্বাভাবিগুলোর সেই জান্নাতি নামগুলো অবশ্যই আপনার জানা প্রয়োজন। 

আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম ১১১ টি বাংলা অর্থসহ

ক্রমিক নাম্বার জান্নাতি নাম
০১ মা ফাতেমাতুস জোহুরা (আঃ)
০২ খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ
০৩ সুমাইয়া রাঃ (ইসলামের প্রথম শহীদ)
০৪ উম্মে সুলাইম
০৫ হজরত আয়েশা রাঃ
০৬ মরিয়ম বিনতে ইমরান
০৭ উম্মে হারাম বিনতে মিলহাম
০৮ হাপসা রাঃ
০৯ আসিয়া রাঃ
১০ গুমায়সা বিনতে মিলহান
১১ সুরাইয়া আল আসাদিয়া
১২ রবি বিনতে মুয়াওযায়

উল্লেখিত নাম গুলোর মধ্যে অনেক গুরুত্ব ও বিশেষ মর্যাদা লুকিয়ে আছে কারণ সেই মানুষগুলো দুনিয়ার বুকে এত ইবাদত করেছেন যে আল্লাহতালা খুশি হয়ে তাদেরকে দুনিয়াতেই সুসংবাদ দিয়েছে। যে তারা দুনিয়াতে ভালো কাজ করার জন্য আখিরাতে জান্নাতে যাবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেই মানুষগুলোর জীবনে সম্পর্কে বা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি এবং অনেকেই জানিনা।

জান্নাতি মহিলা সাহাবীদের নাম অর্থসহ 

জান্নাতি সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম সে নামগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ সেই মানুষগুলোর জীবনে এতটাই আল্লাহ প্রেমে ডুবে ছিল যে তাদেরকে দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে ওই জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। তাই আমি মনে করি আপনার জানা প্রয়োজন সে জান্নাতি মহিলাদের নাম গুলো এবং সাথে সাথে সে নামগুলোর অর্থ জানা প্রয়োজন বলে মনে করি। 

ক্রমিক নাম্বার জান্নাতি মহিলাসাহাবীদের নাম নামের অর্থ
০১ উম্মে মা
০২ জুনাইরা জান্নাতে পাওয়া ফুল
০৩ আয়সা জীবিত, সমৃদ্ধ
০৪ আসিয়া যিনি দুর্বলদের সাহায্য করে
০৫ আমিনা সত্যবাদি, সৎ
০৬ আমাহ দাস বা গোলাম
০৭ আসমা সুন্দর, উচ্চতর
০৮ আতিকা উন্নত চরিত্র
০৯ ফাতেমা বিশুদ্ধতা, গুণের প্রতিক
১০ আরওয়া ধন, সম্পদ
১১ ফারিয়াহ পাহাড় একটি ভ্রমণ পথ

আপনি যদি না জেনে থাকেন, তাহলে অবশ্যই উক্ত নামগুলো জেনে নিবন এবং সেই নামের সাথে দেওয়া আছে অর্থ সে অর্থগুলো জানার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন নামের কোন ধরনের অর্থ প্রকাশ পায় এবং কেনই বাসে সাহাবীদেরকে এই ধরনের নাম রাখা হয়েছে। এর সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন যে কি কি কর্ম করার কারণে তাদের এই নাম দুনিয়াতে জান্নাতের সংবাদ নিয়ে এসেছে।

সকল মহিলা সাহাবীদের নামের তালিকা সম্পর্কে জানুন 

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম আপনি যদি জানার জন্য এই ওয়েবসাইটটির ভিতরে বা আর্টিকেলটির ভিতরে প্রবেশ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সঠিক জায়গায় এসেছে। এই পোস্টের ভিতরে জানিয়েছি আমরা বিভিন্ন ধরনের সাহাবীদের নাম এবং জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত বিভিন্ন সাহাবীদের নাম অর্থ সহকারে এই অর্থ সহকারে নাম গুলো আপনার খুব বাজে আসবে বলে মনে করা যায়। 

এছাড়াও সকল মহিলা সাহাবীদের নামের তালিকা এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। যে নামগুলো আল্লাহর রাসূল খুব পছন্দ করতেন এবং সেই মানুষগুলো আল্লাহর রাসূল খুব পছন্দ করতেন। যে নামগুলো এতটাই মহিমা পূর্ণ এবং আদর্শে ভরপুর নাম যে, আজ থেকে 1400 বছর পূর্বের সেই নামগুলো আজ পর্যন্ত মানুষের মধ্যে বিরাজমান। এবং এই নামগুলো বর্তমান যুগের মানুষেরা তাদের ছেলে মেয়েকে দান করেন। 

আরো পড়ুনঃ মুসলমানি করার পর খাবার তালিকা নিয়ে কার্যকারি টিপস 

যেমন, আতিকা বিনতে আব্দুল মোতালিব, আতিকা বিনতে জায়েদ, আসিয়া, আয়েশা, মা খাদিজাতুল কোবরা, আসিয়া বিনতে তালহা, হাড়োয়া বিনতে কুরাইশ, আসমা বিনতে আবু বকর, আসমা বিনতে আবু বক্কর সিদ্দিকী, বারীবাহ মাওলাতে আয়েশা সিদ্দিকী (রা:), সুমাইয়া (আমার বিনতে ইয়াসির মা) , বুশরা বিনতে সাফওয়ান কুরাইশী (রা:), তামিমা বিনতে ওহাহ, জামেলা বিনতে উমর ইবনুল খাত্তাব (র:)।

এছাড়াও রয়েছে জুমানা বিনতে আবু তালেব, উম্মে আইমান, উম্মে ফজল, উম্মে রোমান, উম্মে সুলাইম, উম্মে উমারা, উম্মে হানি, হাবিবা বিনতে আবি ফিয়ান, হাকিমা বিনতে গাইলান, হালিমাতুস সাদিয়া, আমাদের আবু বক্কর সিদ্দিকী, হামাদা বিনতে জাহান, খান সায়া বিনতে খাত্তাম আলী আনসারী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু। এই সকল নাম ছাড়াও আরো অনেক নাম রয়েছে যে নামগুলো মহিলা সাহাবীদের নামের অন্তর্ভুক্ত। 

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্ন: সাহাবীদের নামের পরে কি বলতে হয়? 

উত্তর: সাহাবীদের নামের পূর্বে রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলতে হয়, এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর রহমত বর্ষণ হয় তাদের উপর। মহানবীর সাহাবাদের নামের সাথে এটা যুক্ত করা হয়। 

প্রশ্ন: প্রথম মহিলা সাহাবীর নাম কি? 

উত্তর: সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত বা সুমাইয়া বিনতে হায়াত হলেন ইসলামের ইতিহাসের সর্বপ্রথম নারী এবং সর্বপ্রথম মহিলা স্বাভাবিক। তিনি দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন ইসলাম গ্রহণ করার কারণে অনেক নির্যাতন সয্য করতে হয়েছিল আবুজেহেলের কাছে। 

প্রশ্ন: বিখ্যাত সাহাবী মেয়েদের নাম কি? 

উত্তর: বিখ্যাত সাহাবীদের নামের মধ্যে যে মহিলাদের সাহাবীদের নাম রয়েছে তা হল, আসিয়া, আয়েশা, আমিনা, মা খাদিজাতুল কুবরা, ফাতেমা-তুজ-জোহরা। 

প্রশ্ন: নবীজির সবচেয়ে প্রিয় সাহাবীর নাম কি? 

উত্তর: বিশ্ব নবীর সবচেয়ে প্রিয় সাহাবীর নাম হচ্ছে মাওলা আলী, এবং তারপরে আবু বক্কর সিদ্দিক (রা:)।

প্রশ্ন: আল্লাহর প্রিয় মেয়েদের নাম কি?

উত্তর: মা ফাতেমা তুজ জোহরা আলাইহিস (সা:) যার অর্থ উজ্জ্বল এক, মহানবীর প্রিয় কন্যা এবং আল্লাহ তাকে মা বলে সম্বোধন করেছেন। তার নাম বিশুদ্ধতা এবং গুনের প্রতীক।

জ দিয়ে মহিলা সাহাবীদের নাম জেনে রাখুন 

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম। যেই নামগুলোর অনেক মহিমা রয়েছে এবং সেই ব্যক্তিরা দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় তাদের কাজের এবং বিশ্বাস এবং ঈমানের জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। তাই যে নামগুলো দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ পায় সেই নাম গুলো সম্পর্কে জানা অবশ্যই আপনার প্রয়োজন। 

জ দিয়ে মহিলা সাহাবীদের নাম জেনে রাখুন
ক্রমিক নাম্বার জান্নাতি মহিলা সাহাবি জান্নাতি নামের অর্থ
০১ জাহানারা পাগলামি
০২ জাফনুন জগতের সুন্দর্য
০৩ জালীসাতুন সাদিয়া সৎ কর্মকারি
০৪ জালীসা সানজিদা বাান্ধবি সহযোগিনী
০৫ জালিমাতুল সাদিয়াহ রুপসী সৌভাগ্যশালী
০৬ জালিমা মুবাশশিরা সুন্দরী সুসংবাদ বহনকারী
০৭ জালিমা ওয়াহিদা তুলনাহীন সুন্দরী
০৮ জালিমা তায়্যিবা সুন্দরী প্রবিত্র
০৯ ফাতেমা উজ্জ্বল গুণের প্রতিক
১০ জালিমা খাতুন সুন্দরী মহিলা
১১ জুনামা মুক্তা
১২ জামিমা এক ধরনের লতা
১৩ জুনাইনাহ ক্ষদ্র বাগান
১৪ জুনাইরিয়া ছোট মেয়ে
১৫ জুনুন বান্ধবী, সহধর্মী

উল্লেখিত এই নামগুলো ব্যবহার করলে আপনি অবশ্যই সুন্দর এবং সাবলীল নাম রাখতে পারবেন আপনার ছেলে মেয়েদেরকে। এছাড়াও আরো অনেক ফজিলত রয়েছে যেমন নাম যদি তাদের নামের সাথে মিল করে রাখা হয় তাহলে সেই নামের গুনে আপনার সন্তান বা মেয়ে আল্লাহ তায়ালার নেক বান্দা হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি খুব সহজে আল্লাহ তাআলার নেট বান্দা হতে চান তাহলে বিষয়টি অবলম্বন করতে পারেন। 

ম দিয়ে মহিলা সাহাবীদের নাম 

জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম যদি আপনার ছেলেকে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই সেই নামগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। আপনি যদি না জানেন তাহলে সেই নামগুলো অবশ্যই সঠিকভাবে দিতে পারবেন না। সঠিক নামগুলো পাওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন জায়গায় সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন। গুগল ইউটিউব অথবা বিংস ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে। 

ক্রমিক নাম্বার ম দিয়ে মহিলা সাহাবিদের নাম
০১ মায়মুনা
০২ মারিয়া
০৩ মরিয়ম
০৪ মাআন ইবনে আদি
০৫ মাজমা ইবনে মাসুদ
০৬ মারওয়ান ইবনুল হাকাম
০৭ মারসাদ ইবনে আবু মারসাদ আলগানাবি
০৮ মালিক ইবনে হুয়াইরিস
০৯ মায়েদা
১০ মাহজা ইবনে সালেহ

ম দিয়ে মহিলা সাহাবীদের নামের পাশাপাশি সে নামগুলোর অর্থ জানাও অনেক জরুরী কারণ নামের কি অর্থ সেটা অনেক সময় ডিপান করেছে আপনার ছেলে এবং মেয়ে কি ধরনের স্বভাবের মন হবে তা। আপনি যদি ইসলামিক নাম রাখতে চান তাহলে এই নামগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যা আপনার মেয়ে এবং সন্তানকে বিভিন্ন ভাবের উপকারিতা করবে। 

নবীজির প্রিয় সাহাবীদের নাম রয়েছে জানুন 

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম সম্পর্কে আমরা অনেক তথ্য জেনেছি, জেনেস তাদের নামের বিভিন্ন অর্থ। মহানবীর প্রিয় সেই সাহাবলোর নামের অর্থ জেনে রাখা আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। সেই লক্ষ্যে আজকে এই আর্টিকেলটির মধ্যে প্রিয় নবীর সাহাবীদের নাম গুলো উল্লেখ করে গেলাম। যে নামগুলো অত্যন্ত কার্যকরী এবং দুনিয়ার জমিনে এই নাম গুলোর মাধ্যমে এবং তাদের কর্ম দ্বারা তারা জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছে।

আরো পড়ুনঃ মুসলমানি করার পর করণীয় এবং বিভিন্ন কার্যকরী টিপস

সেই নামগুলো হচ্ছে আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ, রাবিয়া ইবনে কা আব আল আসলামী, বুকাইল বিন সুদখ, আবু বক্কর, ওসমান গনি, ওমর, এবং শেরে খুদ মাওলা আলী, হযরত বেলাল হাফসি, সৈয়দ মুহাম্মদ আসফি উল্লেখযোগ্য। এই সাহাবাগুলো সবসময় মহানগর কাছাকাছি থাকতেন এবং মহানবীর জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসতেন।

উল্লেখিত স্বাভাবিকগুল সকল সাহাবীর চেতে একটু আলাদা ছিল এই সাহাবীদের মধ্যে অনেক জন দুনিয়াতে থাকা অবস্থাতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছে। এবং তাদের কৃতকর্ম এতটাই ভালো ছিল যে আল্লাহ খুশি হয়ে তাদেরকে দুনিয়াতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। তাদেরকে দুনিয়া ত্যাগ করার সাথে সাথে অথবা মৃত্যুর পরে সাথে সাথে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। 

আশারায়ে মুবাশশারা সাহাবীদের নাম জেনে রাখুন 

আশারায়ে মুবাশশারা শব্দের অর্থ হচ্ছে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নামের কথা বোঝানো হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি যে দুনিয়াতে বেঁচে থাকা অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছে কোন কোন বিশিষ্ট সাহাবা সেই সকল বিষয়ে আমরা জেনেছি। আরো জেনেছি যে সেই সকল সাহাবাদের নামের অর্থ কি এবং কি উপকারে আসতে পারে এ সকল সাহাবাদের নাম আপনাদের বাচ্চাদেরকে দিলে।

আশারায়ে মুবাশশারা সাহাবীদের নাম জেনে রাখুন

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে 10 জন লোক জান্নাতে যাবে তারা দুনিয়াতে থেকেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। এবং এই খবর তাদেরকে দেওয়া হয়েছে দুনিয়াতে বেঁচে থাকা অবস্থাতেই, সে সকল সাহাবীদের মধ্যে রয়েছে আবু বক্কর ওসমান ওমর মাওলা আলী, তালহা জুবায়ের, জুবায়ের ইবনুল আওয়াম, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ এই মহামানুষ লোকগুলো।

যেই মহা মানুষগুলোর নাম এখনো বর্তমান বাংলার জমিন থেকে শুরু করে সারা বিশ্বে জাহানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেই দিনের তাদের সেই প্রান করা ইবাদতের প্রমাণ। তারা প্রমাণ করে দিয়েছে যে আল্লাহর ইবাদত করার মাধ্যমে দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া যায় এবং দুনিয়াতে বেঁচে থেকে সেই কর্ম করে জান্নাতের সুসংবাদ এর বার্তা পাওয়া যায়। আপনিও যদি সে সকল সাহাবীদের মতো জ্ঞানী এবং ইসলামকে ভালোবাসার জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আল্লাহ হে আল্লাহর রাসূলের দেখানো পথে অন্বেষণ করুন করুন।

দুনিয়াতে থাকতে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীর সংখ্যা কত? 

দুনিয়ার সাথে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি এবং এর পাশাপাশি আরও অনেক তথ্য জেনেছি যে তথ্যগুলো প্রত্যেকটা মানুষের জানা জরুরী বলে আমি মনে করি। ছাড়া দুনিয়াতে থাকতে কিছু সাহাবী রয়েছে যারা তাদের কর্মের কারণে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছে। সাহাবীদের নাম এবং তাদের মধ্যে কোন কোন সাহাবী উন্নত মমতা জানানো হবে। 

নাম গুলোর মধ্যে প্রথমে রয়েছে হযরত শেরে খোদা মাওলা আলী, হযরত ওমর, হযরত ওসমান, আবু বক্কর সিদ্দিকী,তালহা, জুবায়ের, সুমাইয়া, অনেক সাহাবীর নাম রয়েছে তার মধ্যে 10 জন সাহাবী রয়েছে সেই 10 জন সাহাবীর দুনিয়াতেই তাদের কাজের জন্য পুরস্কার স্বরূপ জান্নাতের টিকিট হিসেবে সুসংবাদ পেয়েছেন। তাদের সবাই অনেক কষ্ট এবং দুঃখ সহ্য করেছে। 

অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং শিকার হয়েছে বিভিন্নভাবে মানুষের কাছ থেকে হয়রানি এবং উস্কানি মূলক কথা বাত্রাই। এ সকল সমস্যাগুলো হয়েছে শুধু ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা পৃথিবীতে আজকেও মনে করে সকল মুসলমান ধর্মপ্রাণ মানুষ। ইসলামে এই ধর্মপ্রাণ মানুষগুলো বিশ্বাস করেন যে তাদের দেওয়া শিক্ষা এবং নৈতিক বিচার মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে সাহায্য করে এবং তাদের আদর্শ বুকে নিয়ে মানুষ জীবনযাপন করে। 

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে শেষ মন্তব্য 

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম জেনেছি এবং কি নামের অর্থ সেই সকল বিষয় সম্পর্কেও আমরা জেনেছি। কি কারণে তাদেরকে এই ধরনের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাও আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তারা ছিল ইসলাম প্রতিষ্ঠার সময় সত্যের প্রতীক, তাদেরকে হাজারো মানুষ নির্যাতন করেছে অত্যাচার করেছে, কিন্তু তাদের থেকে ইসলামকে সরিয়ে দিতে পারেনি এবং তাদের মুখ থেকে ইসলামের বাণী বন্ধ করতে পারেনি। 

তারা তাদের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছে তবুও এই ইসলাম ধর্মকে ছাড়েনি। এই ইসলাম ধর্ম কে তাদের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবেসে ছিলেন এর জন্য আল্লাহ তাআলা খুশি হয়ে তাদেরকে দুনিয়াতে বেঁচে থাকা অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছে। যে তারা দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার সাথে সাথে জান্নাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করবে এবং অনন্তকাল সেখানেই বসবাস করবে তাদের কোন চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন হবে না। 

শুধু জান্নাতে বসে আল্লাহর গুনা দান করবে এবং আল্লাহর দেওয়া পথ অনুযায়ী জীবন যপন করবে। ধরনের সুবিধা এবং আল্লাহতালার কাছ থেকে সুসংবাদ পাওয়ার জন্য আপনি ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথে সঠিক উপায় অবলম্বন করে অগ্রসর হতে থাকুন। তাহলে আপনি অবশ্যই আল্লাহর কাছ থেকে সুসংবাদ পাবেন যে আপনাকে দুনিয়াতে জান্নাতের টিকিট দেওয়া হবে। কারণ মহানবী বলেছেন আমি যা গ্রহণ করেছি তার সবটুকু আমার উম্মতের জন্য বরাদ্দ করতে হবে আমার মহান আল্লাহকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url