মুসলমানি করার পর খাবার তালিকা নিয়ে কার্যকারি টিপস

মুসলমানি করার পর খাবার তালিকা সম্পর্কে অনেকেই বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। যে কোন ধরনের খাবার খাওয়া সবচাইতে উপকারী এবং কি খাবার খেলে তাড়াতাড়ি মুসলমানি করার পর ঘাস শুকিয়ে যাবে। এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরের জন্য আজকের এই পোস্টটি উপস্থাপন করলাম।

মুসলমানি করার পর খাবার

ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক সুন্নতে খতনা দেওয়ার নিয়ম পালন করা হয়। এই নিয়ম সকল মুসলমানের জন্য সুন্নত হিসেবে বিবেচিত করা হয়। তাই মুসলমানি করার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

পোস্ট সুচিপত্রঃ মুসলমানি করার পরের জন্য খাবার তালিকা নিয়ে কার্যকারি টিপস   

মুসলমানি করার পর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানুন 

মুসলমানি করার পর খাবার তালিকা গুলোর মধ্যে যেই খাবার তালিকা সবচাইতে উপকারী এবং মুসলমানি করা ছেলে বাচ্চার জন্য প্রচুর পরিমাণ প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে। এছাড়াও কি ধরনের খাবারে এই প্রয়োজনে উপকার গুলো পাবেন তাও আলোচনা করব এই পোস্টটিতে। আপনি যদি না জেনে থাকেন যে কি ধরনের খাবার খাওয়ার সবচাইতে গুরুত্ব বেশি, মুসলমানি করার পরের সময়ে। 

তাহলে মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ে জেনে নিন যে, কি ধরনের খাবার খেলে আপনার বাচ্চার এ ধরনের সমস্যা খুব সহজে সমাধান হয়ে যাবে। মূলত যে খাবারগুলো অস্ত্র পাচারের সময় বেশি ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে মুরগির মাংস রয়েছে, সামুদ্রিক মাছ রয়েছে, মসুর ডাল রয়েছে এছাড়াও বাদাম ও ডিমের মতো পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এই উপাদান গুলোর ভিতরে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল পুষ্টি উপাদান রয়েছে। 

এছাড়াও আপনাকে আন্টি অ্যাক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। এই খাবারগুলোর তালিকায় রয়েছে স্ট্রবেরি ব্ল্যাকবেরি আঙ্গুর ও ডালিমের মতো ফলমূল এগুলো খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে এবং টিস্যু মেরামতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে ক্ষত সারাতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। এছাড়াও আরো যে খাবারগুলো খেতে পারবেন তা হলো, 

সবজি জাতীয় খাবার: সবজি খাওয়ার এর ভিতরে অনেক উন্নত মানের একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। এর মধ্যে কিছু সবজি রয়েছে যে সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ, এছাড়াও রয়েছে ফাইবার। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা মস্তিষ্কের শক্তি যোগায় সাথে সাথে মাংসপেশির ভাঙ্গন রোধ করতে সাহায্য করে। এই উপকার গুলো পাওয়ার জন্য যে ধরনের সবজি ব্যবহার করবেন তা হচ্ছে, গাজর ক্যাপসিকাম, বাঁধাকলি ব্রকলি মিষ্টি আলু গোল আলু। 

চর্বি জাতীয় খাবার: মুসলমানি করার পর আরো যে খাবারগুলো খেতে পারবেন তার মধ্যে চর্বিযুক্ত খাওয়ার অনেক উপকারী। চর্বি হচ্ছে শরীরের উপকারী শক্তি উৎস। এটা শরীরে সঞ্চিত অবস্থায় থাকে এবং প্রয়োজনে শরীর তা ব্যবহার করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয় এবং কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং এই খাবারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে যা দ্রুত ঘা নিরাময়ের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। 

ডিম ও দুধ: মুসলমানি করার পর বিভিন্ন খাবার তালিকার মধ্যে আপনি রাখতে পারেন, ডিম এবং দুধ। এই ডিম এবং দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড ও রিবোফ্লোবন যে উপাদান গুলো কাটা ছেড়ার জন্য বিশেষভাবে কাজে আসে। এরা মুরগির মাংস খেতে পারবেন এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন ও প্রোটিন রয়েছে যা সার্জারিকাল বিভিন্ন কাটা ছেঁডর জন্য বিশেষ উপকারী উপাদান। 

মুসলমানি করার পর করণীয় কাজ 

মুসলমানি করার পর খাবার যেমন প্রয়োজন। এই খাবার মানুষের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে এবং দুর্বল পেশিকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। আপনার জানা উচিত যে কি ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত মুসলমানি করার পর। এবং কি কি কাজ করা থেকে বিরত থাকতে এবং এবং এবং কি কি কাজ করতে হবে সে বিষয়ে সম্পর্কেও জানা উচিত। কিন্তু আপনি যদি না জেনে থাকেন মুসলমানি করার পর করণীয় কাজ সম্পর্কে তাহলে জেনে নিন। 

আরো পড়ুনঃ মুসলিম ছেলেদের আধুনিক নাম অর্থসহ কিচছু গুরুত্বপুর্ণ আলোচনা 

মুসলমানি করার পর সবচেয়ে জরুরী কাজ হচ্ছে নিয়মিত বাটা জায়গায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা। এই খাবারগুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি উপরের আলোচনায়। এছাড়াও মুসলমানি করে বাড়িতে আসার পরে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর জন্য আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

এছাড়াও আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে একটি কাজ করতে পারেন। নিম পাতার গরম জলের মধ্যে মিশিয়ে সেই গরম পানি ঠান্ডা করে ক্ষতস্থানে ব্যবহার করলে জীবাণুমুক্ত থাকবে। এবং ধীরে ধীরে বিভিন্ন ধরনের ফোলা ও ঘা গুলো কমে যাবে। আপনার বাচ্চার যদি মুসলমানি করিয়ে থাকেন তাহলে উল্লেখিত বিষয়গুলো ব্যবহার করে উপকৃত হবেন বলে আমি আশা করি। এছাড়াও আরো ভালো পরামর্শের জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। 

ক্ষত শুকানোর এন্টিবায়োটিক গুলো কি কি 

মুসলমানি করার পর খাবারের তালিকা তৈরি করে বিভিন্ন পুষ্টিকর এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া যেমন জরুরী ঠিক তেমনি পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক খাওয়ার ও প্রয়োজন। এন্টিবায়োটিক গুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের ক্ষত গুলো খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে এবং আপনার ক্ষতগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ধীরে ধীরে ধীরে ভালো হতে থাকবে। 

নিচের নামগুলো দেওয়া হলো এই নামগুলো জেনে রাখলে আপনার উপকারে আসবে। 

  • Flucloxacillin sodium BP
  • Fluclox 500mg
  • Phoylopen DS
  • Cipro-A 500ms
  • Pentids 400mg
  • Cap-cefixime200 /400mg.
  • Or, Cap-cefuroxime 500mg

এছাড়া অতিরিক্ত কাটা ছেড়ার জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় যেটা, ing-Ceftriaxone 1 gm. উল্লেখিত ওষুধ গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার কাটাছেঁড়ার সকল অবস্থায় উপকারিতা পাবেন। এই ওষুধগুলো খুব কার্যকরী এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ও ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করি বুঝাতে পেরেছি কাটাশিরার জন্য কি ধরনের এন্টিবায়োটিক বা ওষুধ ব্যবহার করবেন সে সকল বিষয়। আপনার বাচ্চার যদি মুসলমানি করানো হয়ে থাকে তাহলে এটা অবশ্যই উপকারে আসবে। 

কাটা জায়গা শুকানোর মলম গুলো কি কি জেনে নিন 

সুন্নতে খাতনা করার পর খাবার তালিকা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করা যেমন প্রয়োজনীয়, ঠিক তেমনি কাটা জায়গা বা মুসলমানি করার পর সেই ঘা শুকানোর মলম সম্পর্কে জানা জরুরী। তাই এই মলম গুলো সম্পর্কে জেনে রাখলে আপনার বিভিন্ন উপকারে আসবে। কারণ মুসলমানি কাটাছেঁড়া ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাটাছেঁড়ায় এই মলম গুলো ব্যবহার করতে পারা যায়।এই মলম ব্যবহার করার ফলে তাড়াতাড়ি ঘা শুকিয়ে যায়। 

ভিউডাইন 5% মলম (viodine 5% ointment) সম্পর্কে একটু তথ্য দিয়ে রাখি। এ মলমকে এন্টিসেটক হিসেবে ব্যবহার করা হয় যা ক্ষুদ্র কাটাছিরা বা ক্ষত পড়া এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের চিকিৎসা করতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আদ্র ক্ষতর জন্য ব্যবহার করতে পারবেন neosporin powder. পাশাপাশি শুষ্ক ক্ষতের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন povidone Ointment নামের মলম গুলো খুব কার্যকারী।

আরো পড়ুনঃ আ দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম ১১১ টি বাংলা অর্থসহ 

উল্লেখিত ওষুধ বা মলম গুলো নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে কাটা ছাড়া খুব সহজেই ভালো হয়ে যায়। উল্লেখিত ওষুধগুলো নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন এতে আপনার শরীরের মধ্যে কাটা ছেঁড়া জাতীয় ক্ষত থাকলে খুব সহজেই সেরে যাবে। এবং আপনার কাটাছেঁড়া গুলোকে ভালো করে সেই জায়গাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। 

পায়ের ঘা শুকানোর ওষুধ গুলো কি কি 

মুসলমানি করার পর সেই ঘা শুকানোর জন্য যেমন বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক মলম ও পুষ্টি কারি খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। তেমনি পায়ের আঙ্গুলের নগে বা এর ভিতরে পাঞ্জাল জাতীয় বিভিন্ন ঘা শুকানোর জন্য যে ওষুধ গুলো ব্যবহার করা হয়। সেই ওষুধগুলো সম্পর্কে এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব এই ওষুধগুলো ঘা শুকানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। পায়ের ঘা সারানোর জন্য Tinea pedis নামের মলমটি ব্যবহার করতে পারবেন।

পায়ের ঘা শুকানোর ওষুধ গুলো কি কি

এবং পায়ের যে সকল স্থানে ঘা হয়েছে সে সকল স্থানে পানি দেওয়ার পরে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে যেন পানি সেখানে জমা হয়ে না থাকে। তাছাড়া আরো যে ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন সেটি হল Econate plus cream এটা দিনে তিনবার ব্যবহার করতে পারবেন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। অথবা Fungidal HC cream দিনে তিনবার তিন সপ্তাহের মতন ব্যবহার করলে ভালো হয়ে যায়। 

এছাড়াও কিছু ওষুধের কথা উপরে আলোচনা করেছি সেখান থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন। আশা করি বোঝাতে পেরেছি পায়ের ঘা হলে কি ধরনের ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এবং কি কি মলম ব্যবহার করার মাধ্যমে বা ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে এর থেকে নিস্তার পাবেন। উল্লেখিত তথ্যগুলো ব্যবহার করে আপনার বাস্তবিক জীবনে অনেক উপকারিতা পাবেন বলে আশা রাখা যায়। 

পায়ের ঘা শুকানোর ঘরোয়া উপায় 

মুসলমানি করার পর খাবার সম্পর্কে আলোচনা করেছে আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি আমাদের এই পোস্টটির মধ্যে আশা করি উল্লিখিত তথ্য আপনার অনেক উপকারে আসবে। এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব পায়ের ঘা শুকানোর ঘরোয়া কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা জেনেছি যে পায়ের ঘা শুকানোর জন্য কি ধরনের মলম ব্যবহার করা যায় এবং ঘা শুকানোর জন্য কি ওষুধ ব্যবহার করা যায়।

কিন্তু এখন আমরা জানবো যে কি উপায় অবলম্বন করে ঘরোয়া উপায়ে পায়ের ঘা শুকানো যায়। এটা এক ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ এর প্রভাবে ঘটে। পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে দেখা দেয় ঘায়ের মতো ঠকঠকে অবস্থা। এবং প্রচুর পারমাণে চুলকাতে থাকে, আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে থাকি এই উপায়গুলো ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। এখন আপনাদের সামনে ঘরোয়া বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। 

প্রক্রিয়াটি হল প্রথমে দুই চামচ গোলাপ জল, দুই চামচ গ্লিসারিন, এবং একটি পাতিলেবুর রস, এক চা চামচ লবণ সংগ্রহ করে নিন এবং প্রথমে একটু গরম জল তৈরি করে নিন, এর কাজটি সম্পন্ন হলে সেই জলের ভিতরে পা দিয়ে কিছুক্ষণ 15 থেকে 20 মিনিট মত। সাথে পায়ের সেই জায়গাগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিন এবং ঘষে নিন, এরপর পা ভালো করে মুছে নিয়ে একটি পাত্রে গোলাপ জল ও গিসারিন মিশিয়ে নিন, এবং পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। 

বিশেষ করে পায়ের আঙ্গুলের গোড়ালি যেখানে সমস্যা হয়েছে সেই জায়গাতে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এই উপায়ে বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার সেই সমস্যাগুলো ভালো হয়ে যাবে এবং কমে যাবে। প্রতিদিন অথবা সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন করলে খুব সহজেই এর ফলাফল পাওয়া যাবে। আপনি যদি পা ফাটার বা পায়ের গোড়ালির ফাংগাল এর সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে প্রক্রিয়াটি প্রয়োগ করতে পারেন। 

মুসলমানি করার উপকারিতা গুলো জানুন 

মুসলমানি করার পর খাবার, নিয়মিত চিকিৎসা, বিভিন্ন মৌলম ব্যবহার এই সকল বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়। কারণ মুসলমানি করার বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। সর্বপ্রথম মুসলমানি করার এই বিষয়টি শুরু করা হয় হযরত ইব্রাহিম নবীর সময় থেকে যে সময় তিনি নিজে তার মুসলমানি করার মধ্য দিয়ে এই ঘটনার শুরু বা উদ্ভাবন করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রথাটি চলমান রয়েছে। পৃথিবীর সকল মুসলমানেরাই এই বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে উপকারিতা পেয়ে আসছে। 

মুসলমানি করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে। আপনি যদি সুন্নতে খতনা বা মুসলমানি করেন আপনার অপবিত্র এবং পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। অনেক সময় দেখা গেছে যে যারা মুসলমানি করে নাই তাদের পুরুষাঙ্গের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিত। এরই কারণে বর্তমানে মুসলমান ছাড়াও ইহুদি আরো অনেক ধরনের ধর্মবিশ্বাস মানুষের মাঝে এই মুসলমানি করার গুরুত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে।

আর পড়ুনঃ ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় ও বিভিন্ন কার্যকারী পদ্ধতি  

এছাড়াও শিশুদের খতনা করার কারণে মূত্রনালী সংক্রমণ থেকে রোধ পওয়া যায়, প্রসাব করার সময় জ্বালাপোড়া জ্বর খাবারে অনীহা স্বাস্থ্য ভালো না থাকা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয় মুসলমানি না করা বাচ্চাদের, এছাড়াও এই মুসলমানি করার ফলে প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর যৌন বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এবং যৌন মিলনে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। এসকল উপকারিতা সম্পর্কে জানার ফলে মুসলমান ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা এই মুসলমান এর প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করে। 

মুসলমানি না করলে কি হয় জানুন 

মুসলমানি করলে যেমন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় এবং উপকারিতা পাওয়া যায়। যার কারণে মুসলমান ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসী মানুষেরা এই কাজটি করে থাকে। ঠিক এমনই মুসলমানি না করলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সম্মুখীন হতে হয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোগের সাথে যুদ্ধ করতে হয়। বিভিন্ন চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, যে সকল পুরুষেরা মুসলমানি বা সুন্নতে খাতনা করেনা,

তাদের ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন, রক্তক্ষরণ, প্রসবের পাথর, ফিস্টুলা, সিস্ট, হাইগোপডিয়াসিম সহ ভবিষ্যতে পুরুষত্বহীনতা হয়ে যাওয়ার মতো আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনি যদি মুসলমানি কলার উপকারিতা গুলো পেতে চান তাহলে খুব এবং মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে এই সকল বিষয়ে জানা আপনার জন্য আবশ্যক বলে আমি মনে করি।

মুসলমানি না করলে কি হয় জানুন

আশা করি বোঝাতে পেরেছে মুসলমানি না করলে কি হয় সে সকল বিষয়। মুসলমানি করলে যেমন সুবিধা পাওয়া যায় ঠিক তেমনি এই সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন মেনে এই কাজটি সম্পন্ন করতে হবে তাহলে অবশ্যই সুবিধা পাবেন। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক মতেও এর পক্ষে অনেক মতবাদ রয়েছে যে মতবাদগুলো আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। তাদের মতে এই মুসলমানি করার পদ্ধতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পুরুষের জন্য। 

ডাক্তার দিয়ে মুসলমানি কেন করবেন 

ডাক্তার দিয়ে মুসলমানি করলে কম কষ্ট সহ্য করে আপনার বাচ্চাকে খুব তাড়াতাড়ি মুসলমানি করার কাজটি সম্পন্ন করে ভালো করে তুলতে পারবেন। ডাক্তার দিয়ে মুসলমানি করার জন্য আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং যেকোনো মেডিকেল হাসপাতালে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে যে সেখানে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে সেই নিয়মগলো পালন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই যেকোনো বাচ্চার প্রয়োজনে মুসলমানি করাতে পারবেন। 

এতে বিভিন্ন ঝুঁকি থাকে না, অনেক সময় মানুষ তাদের অর্থ কম খরচ করার জন্য বাসায় হিজাব নিয়ে এসে মুসলমানি করে নেয়। এখানে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন ও রক্তপাত সহ নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেই ভুক্ত বাচ্চাকে এবং তার পরিবার কে। কারণ তাদের সহজ প্রক্রিয়ায় মুসলমানি করার সময় তেমন কোন সঠিক পদক্ষেপ ব্যবহার করা হয় না। সাধারণ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং কিছু নরমাল ওষুধ দেওয়া।

আরো পড়ুনঃ আমলকি হরিতকি বহেরার উপকারিতা ও ১৪ টি রোগ মুক্তির উপায়

অথবা বিভিন্ন প্রাকৃতিক মাধ্যম ব্যবহার করে। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর উপযুক্ত সময়ে যদি মুসলমানি করানো হয় তাহলে এ সকল সমস্যা থেকে খুব সহজেই নিস্তার পাওয়া যায়। তাই আমি বলব আপনার বাচ্চার মুসলমানি অথবা যে কোন ছেলের মুসলমানি করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের কাছে করিয়ে নেওয়ায় সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ। 

পোস্টটি নিয়ে আমার শেষ মন্তব্য 

মুসলমানি করার পর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কারণ বিভিন্ন ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। আপনি যদি জেনে থাকেন যে কোন খাবারের ভিতরে কি ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং মুসলমানি করার পর কি ধরনের খাবার ব্যবহার করলে বেশি পুষ্টি পাওয়া যাবে এবং সহজে ঘা শুকিয়ে যাবে। তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে সহকারে পড়বেন। 

এর মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে কোন ধরনের শাকসবজি বা খাবার খাওয়ার ফলে আপনি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় মিনারেল, ফাইবার এবং ভিটামিন পাবেন। এবং কি সকল সবজি খাওয়ার মাধ্যমে আপনি এই উক্ত ভিটামিন গুলো পাবেন সেই বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। তাই আশা করা যায় পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনার অনেক উপকার হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url