মুসলমানি করার পর করণীয় এবং বিভিন্ন কার্যকরী টিপস

মুসলমানি  করার পর করণীয় কাজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব,যাতে আপনি খুব সহজে বিভিন্ন মুসলমানির বিষয়ে বিস্তারিত জেনে সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন।মুসলমানির সময় কি কি ঔষুধ ব্যবহার করতে হয়।
মুসলমানি করার পর করণীয়

এছাড়া মুসলমানী করার পর কি ধরনের খাবার খাওয়ানো উচিত হবে এবং কিভাবে খাওয়াতে হবে টা জানবো।মুসলমানী করার পর ইনফেকশন হলে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।আরো জানতে পারবেন যে কোন সময়ে মুসলমানী করা উচিত।

পোস্ট সুচিপত্রঃ মুসলমানি করার পর কি কি করণীয় এবং বিভিন্ন কার্যকরী টিপস 

মুসলমানি করার পর করণীয় কাজ কি 

মুসলমানি করার পর করণীয় কাজ জানা থাকলে আপনি বিভিন্ন সমস্যা হবার আগে পদক্ষেপ নিতে পারবেন। এবং মুসলমানী কর হলে প্রথমে রক্তপাত হতে পারে। এর জন্য ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।অনেক সময় দেখা যায় যে মুসলমানী করার সময় রক্তপাত না হইলে ও বাসায় আসার পর রক্তপাত শুরু হয়। এসকল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন খুব সহজেই আমি যে উপায় গুলো জানাবো।

এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের তথ্য যা আপনার শিশুর মুসলমানী করার পর করণীয়।এর কাজ গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।সুন্নতে খতনা করার পর আপনার শিশুর লিঙ্গ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত শিশুটির যত্ন সহকারে দেখা শুনা করতে হবে।এবং বিভিন্ন কার্যকরী টিপস ব্যবহার করতে হবে।প্রতিদিন কমপক্ষে পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে,এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন সেই জায়গাতে কোনো ভাবে ময়লা না জমে।

এছাড়া সেই জায়গা টা সব সময় শুকনো রাখতে হবে।যেন কোনো ভাবে কোনো প্রকার ইনফেকশন না হয়।এলাকাটি এছাড়া সব সময় নরম করে রাখার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে যাতে সেই জায়গাটা নরম থাকে। মুসলমানি করানোর কারণে সেই জায়গাটা প্রায় সকল বাচ্চাদেরই খুলে মোটা হয়ে যায়। কিন্তু এতে ভয়ের কোন কারণ নেই। কারণ মুসলমানি করার সময় বিভিন্ন ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় অবস করার জন্য এবং সেখানে যেহেতু কাটাছেঁড়া করা হয়। 

তাই সেই জায়গাতে একটু ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এর থেকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই আপনার বাচ্চাটিকে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক খাওয়া চলমান রাখলে। কিছুদিনের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে এবং ঘা গুলো ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাবে। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার এবং নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে খুব সহজেই ভালো হয়ে যায়। এছাড়া কোন ধরনের ইনফেকশন হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। 

মুসলমানি করার পর খাবারের তালিকায় রাখুন 

মুসলমানি করার পর করণীয় কাজের মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি রয়েছে তা হচ্ছে নিয়মিত সঠিক পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার দেওয়া। যে খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও আয়রন যা ক্ষতস্থানে বিভিন্ন প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করবে। এছাড়াও বেশি পরিমাণ সুস্থ রাখার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন, দেশি মুরগির মাংস, সামুদ্রিক মাছ, মসুরের ডাল ডিম, দুধ, বাদাম সহ বিভিন্ন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়াও মুসলমানি করার পর দ্রুত শুকানোর জন্য যে ধরনের খাবার খাওয়ার প্রয়োজন বা ডাক্তারেরা যে সকল খাবার খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয় সে সকল খাবার গুলোর মধ্যে যে খাবারগুলো আপনার শরীরের ঘা শুকাতে সাহায্য করবে। বিড় জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে, স্ট্রবেরি ব্ল্যাকবেরি রাসবেরি আঙ্গুর ও ডালিমের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার। গবেষণায় দেখা গেছে এ সকল খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি কোলাজেন ও সফট কিছু রয়েছে।

সবজি যা খাবেন: ক্ষতস্থান শুকানোর জন্য ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় খাবার বেশি উপকারী, যে সব সবজিগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনি ভিটামিন ক্যালসিয়াম কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার গুলো খাবেন আপনার বিভিন্ন ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে, এই সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে গাজর , ক্যাপসিকাম, ফুলকপি বাঁধাকপি, ব্রোকলি, মিষ্টি আলু, গোল আলু,মুলা, শাক সবজি মত উপকারী খাবার। যা আপনার ক্ষত শুকানোর জন্য বিশেষভাবে উপকারে আসবে। 

চর্বি জাতীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম: ঘা শুকানোর জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে চর্বিযুক্ত খাবার। চর্বি যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং শর্করা জাতীয় উপাদান। চর্বি মানুষের শরীরের বন্ধুর স্বরূপ আচরণ করে চুরি এছাড়াও মানুষের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে এবং বিভিন্ন শক্তিশালী অনুজীবের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ভালো চর্বির উৎস হিসেবে অলিভ অয়েল কোকোনাট অয়েল বাদাম বিভিন্ন ফলের বীজ উপকারী। 

মুরগির মাংস: ঘাস শুকানোর জন্য মুরগির মাংস বিশেষভাবে উপকারে মুরগির মাংসের রয়েছে যে ধরনের উচ্চ পরিবারের প্রোটিন ও আয়রন যা মানুষের মাংসপেশির ড্যামেজ পূরণ করে এবং মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও একটি শিশুর শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং নতুন রক্ত কণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ, মুসুর ডাল, ডিম, দুধ প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে যা আপনার শরীরে বিশেষভাবে পুষ্টি যোগাবে। 

এছাড়াও টমেটো এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরে উপস্থিত থেকে শরীরের ক্ষত নির্ণয়ের জন্য কাজ করবে।এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ঘা শুকানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়াও খেতে পারবেন চকলেট কনটেম্পোররি রিভিউজ ইন কার্ডিওভাসকুলার মেডিসিন এ রিপোর্ট অনুযায়ী পাওয়া যায় যে স্বাস্থ্যকর রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ডার্ক চকলেট। 

মধুর উপকারিতা: মধুতে চিনির তুলনায় প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড ও ভিটামিন থাকে এটা ব্যবহার করার ফলে হত পরিষ্কার থেকে ব্যথা ফোলা ও বিভিন্ন উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মধুতে প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিকারক ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া দুগ্ধজাত পণ্য মিষ্টি আলু ঘ জিংক প্রোটিন সহ বিভিন্ন উপকারী খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এই সমাধান করতে পারেন। 

ব্রকলি খাওয়া মুসলমানের পর: মুসলমানি করার পরে ব্রকলি খাওয়ার প্রয়োজন আছে কারণ এই ব্রকলির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উচ্চমাত্রার ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট যা ইনফ্লামেশন কমাতে ও ইউনিয়ন ফাংশন এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শরীরের সকল প্রকার টিস্যুর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রয়োজনে মেরামত করাই এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আপনার খাবারের তালিকায় ব্রকলি রাখুন। 

কাটা জায়গা শুকানোর এন্টিবায়োটিক এর নাম 

কাটা জায়গা শুকানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিক বায়োটিক ব্যবহার করা হয়। মুসলমানি করার পর করনিয় কাজের মধ্যেও এই এন্টবায়োটিক গুলো ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও আরো ভালো পরামর্শ বা ফল পাওয়ার জন্য চিকিৎসক এর পরামর্শ অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু আপনি যদি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি এই উপায় গুলো ব্যবহার করেন। যা সাধারণত সকল ডাক্তার বা চিকিৎসকরাই ব্যবহারের পরামর্শ দেন। 

ঘাসুকানোর ব্যবহৃত কিছু এন্টিবায়োটিক এর নাম 

Cap- cefixime 200 / 400mg.

Or, cap-cefuroxime 500 mg

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঘা শুকানোর ঔষধ

Cap-cef-3 400 mg.

Cap-zo mups 20 mg

Tab- Rolac 10 mg 

Tab- cevet 250 mg

অল্প কাটাতে ব্যবহার করতে পারেন এছাড়া মুসলমানের কাটা ছেড়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। সঠিক এবং ভালো উপকার পাওয়ার জন্য স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যে কোন ওষুধ ব্যবহার করা হয় সবচাইতে ভালো। যদিও অনেক মানুষ নিজে নিজেই নিজের জানা ওষুধ গুলো ব্যবহার করে। কিন্তু এতে অনেক সময় দেখা যায় যে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তাই আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।

মুসলমানি করার পর ইনফেকশন হলে করণীয় 

মুসলমানি করার পর করণীয় কাজের মধ্যে বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ এই সময় বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনার যদি কোন বাচ্চার মুসলমানি দেওয়া হয় তাহলে জেনে নিন মুসলমানি হলে ইনফেকশনের জন্য কি করনীয়। মুসলমানি হলে ইনফেকশন হলে সেই জায়গায় ঘা শুকাতে আরো অনেক দেরি হয়ে যায়। এছাড়া ফোলা ভাব ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। 

মুসলমানি করার পর ইনফেকশন উপলক্ষ দেখা দিলে আপনি স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন সেবন করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনি ঘরোয়া উপায়ে। নিম পাতা দিয়ে গরম জল তৈরি করে সেই জল দিয়ে মুসলমানি করার জায়গাটা প্রতিদিন নিয়মিত পরিষ্কার করতে পারবেন। এতে করে আপনার শিশুর ইনফেকশন হলে তা ধীরে ধীরে সেরে যাবে। ইনফেকশন হওয়ার ফলে অনেকের ঘা শুকাতে বহু সময় লেগে যায়।

তাই সঠিকভাবে আপনার শিশুর মুসলমানি করানোর পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নিম পাতার জল ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু সংক্রমণ হয়ে গেলে তখনও ব্যবহার করা যায়। ডাক্তারের পরামর্শ মতে কারণ তাদের পরামর্শ অত্যন্ত নির্ভুল বলে আমরা বিশ্বাস করি। বিভিন্ন পরীক্ষা রেখ এবং গবেষণা করার পর তারা যে সিদ্ধান্ত উপনীত হয় সেই সিদ্ধান্ত সকলেই মেনে নেয় এবং উপকার পায়। 

মুসলমানি কিভাবে করানো হয় 

মুসলমানি করানোর পর করণীয় কাজ সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি। হিন্দু কিভাবে মুসলমানি করা হয় সে বিষয়ে এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করবো। মুসলমানের হিসাবটা শুধুমাত্র ছেলেদের যারা মুসলমান গোত্রে জন্মগ্রহণ করে তাদের কে পালন করতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মের লোক কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য এই কাজটি ব্যবহার করে। এতে ছেলেদের যৌনাঙ্গের সামনে চামড়া কেটে অপসারণ করা হয়। আর এই পদ্ধতিকে বলা হয় সুন্নতে খাতনা বা মুসলমানি। 

এটা করার জন্য বিভিন্ন ডাক্তারি মাধ্যম ব্যবহার করা হয় অথবা আদি কাল থেকে প্রচলিত বিভিন্ন হেজাম এর মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন করা হয়। যৌনাঙ্গের এই অতিরিক্ত চামড়া কেটে ফেলার কারণে যৌন মিলনের বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যেমন ইহুদি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষও এই সুবিধা পাওয়ার জন্য এই কাজটি করে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এর সুবিধা জানার পর। 

মুসলমানি কিভাবে করানো হয়

সকল ধর্মের মানুষ বর্তমানে এই মুসলমানি করার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। এতে সহবাসের সময় বিশেষভাবে উপকার পাওয়া যায়, অতিরিক্ত চামড়া থাকার ফলে সেখানে ময়লা জমা হওয়ার কারণে বিভিন্ন ইনফেকশনের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের সমস্যা এড়ানোর জন্য এখন বর্তমানের সকল ধর্মের লোকেরা এই প্রায় মুসলমানি করার ক্ষেত্রে আগ্রহী। আপনার শিশু যদি মুসলমান ভাব যে কোন গোত্রের হয়ে থাকে তাহলে আপনি মুসলমানি করাতে পারেন। 

মেডিকেলে মুসলমানি: মেডিকেলে মুসলমানি করানোর জন্য বাচ্চার বয়স সর্বনিম্ন 7 থেকে 12 বছর হওয়া প্রয়োজন। সেখানে বাচ্চার লিঙ্গের গোড়ায় অভেশ বা ব্যথা কমানোর একটি ইনজেকশন করা হয়। এবং ডাক্তার সিজারের মাধ্যমে অতিরিক্ত চামড়া টুকু কেটে ফেলা হয়। উপায়ে একটু টাকা খরচ হলেও আপনার বাঁচর জন্য বেশ উপযোগী এবং কম কষ্টদায়ক বলে আখ্যায়িত করেছেন ডাক্তারেরা। 

বাড়িতে বা হেজাম দিয়ে: প্রাচীনকাল থেকে এই মুসলমানদের মুসলমানি দেওয়ার কথাটি চালু হয়ে আসছে। জন্য বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করা হয়। এর জন্য হিজাম বাড়িতে এসে বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করে যেমন, ছাই বাঁশের নীল, এগুলো কাটার পর সেই স্থানে দেওয়া হয় ঘা শুকানোর জন্য। এবং এই উপায়ে বাচ্চার অনেক কষ্ট হয় এবং ঘা শুকাতে অনেক সময় লাগে। অনেক সময় দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনের সংক্রমণ ঘটে। 

মুসলমানি করার উপকারিতা গুলো জেনে নিন 

মুসলমানি করার উপকারিতা রয়েছে অপরিসীম। যেহেতু সকল মুসলমান অথবা বিভিন্ন ধর্মের লোক মুসলমানি করিয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এই কর্মের কিছু উপকারিতা রয়েছে। আমরা জেনেছি মুসলমানি করার পর করণীয় কাজগলো যে কাজ গুলোর মাধ্যমে মুসলমানি করার পর বিশেষ উপকারিতা পাওয়া যায়। কিন্তু মুসলমানি করলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় চলুন সেই বিষয়ে কিছু তথ্য জানা যাক। 

সুন্নতে খতনা দ্বারা শরীরের অতিরিক্ত চামড়া কেটে ফেলা হয়। এর জন্য লিঙ্গের বিভিন্ন সুবিধা হয় তার মধ্যে রয়েছে। অতিরিক্ত চামড়াটি থাকলে অনেক সময় সেখানে বিভিন্ন ধরনের ময়লা জমা হয়। এবং সেই ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ইনফেকশন বা বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও শিশুদের খতনা করালে মূত্রপথের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। প্রসাবের জ্বালাপোড়া জ্বর ভাব ইত্যাদি ছোটখাটো সমস্যার সমাধান হয়। 

মুসলমানি করানোর ফলে শিশু প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় আসলে তার লিঙ্গের বিভিন্ন ধরনের ভয়ঙ্কর সমস্যা যেমন ক্যান্সারের মত ভয়াবহ সমস্যা থেকে বাঁচা যায় এবং যৌন ঝুঁকি কম থাকে। এছাড়াও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর দাম্পত্য জীবনের যৌন মিলনের সময় বিশেষভাবে উপকারিতা পাওয়া যায়। এছাড়াও ইসলাম ধর্মে এই কাজটি করা সুন্নত হিসেবে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন হাদিস শরীফে এর অনেক উদাহরণ রয়েছে। 

সর্বপ্রথম সুন্নতে খাতনা পালন করেছেন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম। হযরত সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব রহ: থেকে বর্ণিত ইসলামের প্রথম সুন্নত পালন করে ব্যক্তি হচ্ছেন হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাতু আসসালাম। এবং তারপর থেকে আজ পর্যন্ত এই নিয়ম পালন হয়ে আসছে তিনি মুসলমান ধর্ম সহ বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা এই উপায় অবলম্বন করে। এর সুবিধা গুলো উপভোগ করে। 

খতনা করার বয়স বা উপযুক্ত সময়  

খৎনা করার জন্য উপযুক্ত সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছে 7 থেকে 10 বছর ঊর্ধ্বে 12 বছর পর্যন্ত। শিশুদের শারীরিক পরিবর্তন আসার আগে এই কাজটি সম্পন্ন করা উচিত। কারণ তারা শারীরিকভাবে বড় হয়ে গেলে বা বয়স বেশি বেড়ে গেলে সেই স্থানটি অনেক বড় এবং এটি করার জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করতে হতে পারে। তাই আপনি শুধু খুব সহজেই এবং নিরাপদে করতে চান তাহলে উল্লেখিত বয়সের মধ্যে সুন্নতে খতনা করার প্রয়োজন। 

সুন্নতে খতনার জন্য এখন অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও জানতে চাই সুন্নতে খতনা করার বয়স। কারণ বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা তার সুবিধা সম্পর্কে জানার পর এই কাজটি করাতে আগ্রহী এবং বিভিন্নভাবে করিয়ে থাকছে। এতে অনেক সময় দেখা যায় বিশ্বের 15 বছর বয়সের বেশিরভাগ শিশু আছে তার মধ্যে 33 শতাংশ এ সময় করানো হয়। মুসলিম ধর্মের লোকেরা এটি খুব তাড়াতাড়ি এবং ছোট বয়সে করার জন্য আগ্রহী। 

কারণ এই ছোট বয়সে করিয়ে নিলে খুব সহজেই ঘা শুকিয়ে যায় এবং কষ্ট কম হয়। আপনি যদি আপনার শিশুকে সুন্নতে খরচ না করানোর জন্য নির্ধারিত সময় জানতে চান তাহলে উপযুক্ত সময় হিসেবে যে সময়টি বিবেচনা করা হয় তা হচ্ছে 7 থেকে 10 বছর। এই সময়ের ভিতরে সবচাইতে উপযুক্ত সময় বলে বিভিন্ন ডাক্তারেরা ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও অনেক মানুষ আছে যারা ছয় থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেও সুন্নতে খাতনার কাজ সম্পন্ন করিয়ে ফেলে। 

মুসলমানি করার খরচ কেমন হতে পারে 

মুসলমানি করার খরচ কেমন হতে পারে এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। তাদের জন্য আমি এটুকু বলবো যে, বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে মুসলমানি করার পদ্ধতি সম্পন্ন করা যায়। এরমধ্যে রয়েছে ব্যথামুক্ত ভাবে মুসলমানি করা। যদি ব্যথা মুক্তভাবে আপনার বাচ্চার মুসলমানি করাতে চান, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সকল তথ্য জানার মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সহজেই সম্পন্ন করতে পারবেন। 

বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের খরচ হয় অথবা সরকারি প্রতিষ্ঠানের খরচ একটু কম। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাগুলোতে একটু খরচ বেশি হয়। যদিও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বলে দেওয়া যায় না তারপরেও আমি একটু ধারণা দিয়ে রাখবো যে, একবারে জ্বালা মুক্ত এবং সবচাইতে ভালো মাধ্যম ব্যবহার করে যদি আপনি সুন্নতে খাতনা করাতে চান তাহলে 30 থেকে 35 হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। 

এই খরচগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে। ডাক্তারের ভিজিট অনেক সময় কম বেশি হয়। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ধরনের ক্লিনিক রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করলে আপনার খরচ আরো বেশি হতে পারে। আমার মতে সরকারি সংস্থাগুলোতে ব্যবহার করে মুসলমানের কাজ সম্পন্ন করা অথবা ভালো বিসিএস ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সুন্নতে খাতনা করার কাজটি সম্পন্ন করা অত্যন্ত উপকারী ও প্রয়োজনীয়। 

মুসলমানি কোথায় করায় সে বিষয়ে জানুন

মুসলমানি করার পর করণীয় বিভিন্ন কার্যকরী টিপস রয়েছে যা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কোথায় মুসলমানি করা যায় সে বিষয়ে যদি কেউ না জানিয় থাকেন তাহলে সহজে যে কাজটি করতে পারবেন তা হচ্ছে, স্থানীয় কোন ডাক্তার বা মেডিকেল বা হাসপাতালে চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন। অনেক নিয়ম প্রচলিত আছে এবং বিভিন্ন জায়গায় এই কাজটি করনো যায়। যার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী হচ্ছে সরকারি মেডিকেল। 

এছাড়াও অনেক পেশাদার হেজাম আছে যাদের কাজ হচ্ছে মুসলমানি করিয়ে দেওয়া। তারা বাসায় গিয়ে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে মুসলমানি করে দেয়। আপনি যদি খুব আরামে এবং খুন ও টেনশন ছাড়া আপনার বাচ্চার মুসলমানি করাতে চান তাহলে সরকারি মেডিকেল বা বিভিন্ন উন্নত মানের ক্লিনিকে ভর্তি করে মুসলমানি করিয়ে নিতে পারেন। এতে খরচের পরিমাণ একটু বেশি হবে কিন্তু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে না। 

আশা করি বোঝাতে পেরেছি কি ধরনের উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি মুসলমানি দিতে পারবেন এবং কোন কোন জায়গাতে মুসলমানি দেওয়া যায়। মুসলমানি এমন একটি পদ্ধতি যা মুসলমানের জন্য সুন্নত। সর্বপ্রথম ইব্রাহিম নবী এই কাজটি তার জীবনে বাস্তবায়িত করে। তারপর থেকে এই সুন্নত পালন করার জন্য বিশ্বের যত মুসলমান আছে সবাই নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী সুন্নতে খাতনার কাজ সম্পন্ন করে। 

বেশি বয়সে মুসলমানি করলে কি হয় 

মুসলমানি করা মুসলমানের জন্য সুন্নত হিসেবে বিবেচিত করা হয়। বিশ্বের সকল মুসলমান এক বাক্যে বিশ্বাস করে যে, সুন্নত পালন করার উপায় এর মধ্যে মুসলমানি দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় মানুষ অনেক ধরনের চিন্তা ভাবনা করে। যেমন মুসলমানি কম বয়সে বেশি দিলে ভালো হয় নাকি বেশি বয়সে দিলে ভালো হয়। এ ধরনের প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই দেখা যায় সঠিক তথ্যটি জানুন। 

বেশি বয়সে মুসলমানি করলে কি হয়

গবেষণায় দেখা গেছে যে যে সকল পুরুষদের 35 বছরের বেশি বয়সে মুসলমানি করানো হয়েছিল তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি 45% হারে কমে যায়। এছাড়া কিছু ব্যক্তি রয়েছে যাদের জন্মের এক বছরের ভিতরেই সুন্নতি খাতনা করানো হয়েছে তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি 14 শতাংশ কমে গেছে। এছাড়াও যারা ক্যান্সারের বিভিন্ন উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের জন্য সুন্নতে খাতনা করা অত্যন্ত কার্যকরী এবং সুবিধাজনক।

সুন্নতে খতনা কে বিশ্বের প্রাচীনতম অস্ত্রপ্রচার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ থেকে প্রায় 15000 বছর আগে মিশরের অবস্থান করা একজন নবী। হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাতু সালাম সর্বপ্রথম নিজে এই সুন্নতে খতনা করেন এবং সেই থেকে মুসলমান জাতির জন্য এটা ফরজ না হলেও সুন্নত হয়ে গেছে। কারণ এর অনেক সুবিধা রয়েছে যে সুবিধাগুলো সুন্নতে খাতনা না করলে কেউ উপভোগ করতে পারবে না। 

জন্ম থেকে মুসলমানি কি জানুন

মুসলমানি করার পর করণীয় কি এই বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি আপনাদেরকে কিন্তু একটা বিষয়ে না জানলেই নয় যে বিষয়ে অনেকেরই কৌতুহল রয়েছে। সেটা হচ্ছে জন্ম থেকে মুসলমানি হয়ে আসা। বা জন্মের পর স্বপ্নের মাধ্যমে মুসলমান হয়ে যায় এই ধরনের কথা অনেকে জানে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এর বিভিন্ন ধরনের ধারণা মতবাদ করেছে যা প্রমাণিত এবং প্রচলিত রয়েছে। 

ছেলেদের লিঙ্গের অতিরিক্ত অংশটিকে বা চামড়াটি কে ইংরেজিতে বলা হয় foreskin, যেটাকে লিঙ্গের অতিরিক্ত চামড়া বলে। অনেক সময় দেখা যায় এটা জেনেটিকাল ডিপেনশন এর কারণে পৃথিবীতে অল্পসংখ্যক কিছু শিশু রয়েছে যাদেরকে জন্মের পর থেকেই দেখা যায় যে তারা সুন্নতে খাতনার করা অবস্থায় দুনিয়াতে জন্মগ্রহণ করে। এই নিয়ে আরো অনেক ধরনের মতবাদ রয়েছে। যে সকল তথ্যগুলোর অনেক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ রয়েছে। 

ছাড়াও আরো একটি বিষয় দেখা যায় যে জন্মের পর কয়েক বছর যাওয়ার পরে হঠাৎ স্বপ্নের মাধ্যমে সুন্নতে খাতনা হয়ে যায়। এর জন্য যেটা অবলম্বন করা হয় বলে সকলে মনে করে। সেটা হচ্ছে আল্লাহ কর্তৃক বা খোদা কর্তৃক তার ইচ্ছায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ কাজটি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার মতো সৌভাগ্য সবার হয়না। তাই এ বিষয়ে অনেক হাদিস বা দলিল রয়েছে যাও পরবর্তী কোন পোস্টের ভিতরে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

সুন্নতে খাতনা করার পর করণীয় নিয়ে আমার শেষ মন্তব্য 

সুন্নতে খতনা বা মুসলমানি করার পর করণীয় কি এ ধরনের বিষয়ে সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও আরো চেষ্টা করেছি যে কি কি উপায় অবলম্বন করে সুন্নতে খাতনা করা হয় এবং কি ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করার মাধ্যমে এই সুন্নতে খাতনা করার ইনফেকশন গুলো থেকে বাঁচতে পারবেন। এছাড়া কোন কোন উপায়ে সুন্নতে খাতা করা যায় সে বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। 

কিভাবে মুসলমানি করাতে হয় এবং কি কি খাবার খাওয়াতে হয়, পাশাপাশি কোন ধরনের খাবার খেলে বেশি তাড়াতাড়ি ঘা শুকিয়ে যাবে এবং কোন ধরনের ইনফেকশন ছাড়াই সহজেই আপনার বাচ্চার মুসলমানের কাজটি সম্পন্ন হবে। হেজম দিয়ে মুসলমানি করার সুবিধা এবং মেডিকেলে মুসলমানি করার সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা রেখেছি। আশাকরি উল্লেখিত সকল আলোচনা আপনার কাজে আসবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url