শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার শবে বরাতের করণীয় বর্জনীয় এবং হাদিস

শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার সম্পর্কে কোরআন হাদিসের দৃষ্টিতে যে আলোচনা করা হয়েছে এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম যে ধরনের উপদেশ দিয়েছেন আল্লাহতলার পক্ষ থেকে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার

শবে বরাতের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত যা বিভিন্ন হাদিস শরীফে আলোচনা করা হয়েছে। এবং সে হাদিসগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যাতে আপনি বুঝতে পারেন যে কোন হাদিস থেকে কি ধরনের উপদেশ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার সম্পর্কে যে তথ্য গুলো জানবেন 

শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার সম্পর্কে বিস্তারিত 

শবে বরাতের ফজিলত আল কাওসার সম্পর্কে কোরআন হাদিসে যে আলোচনা রয়েছে এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা: কি ধরনের আদেশ দিয়েছেন সেই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আপনি যদি শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে এবং বিভিন্ন নিয়ম কানূন সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আমি আপনাদের সামনে জানাবো শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার কি? 

শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার হচ্ছে শবে বরাত সম্পর্কে কোরআন হাদিস সম্পর্কিত দলিল এবং হাদিস সম্পর্কিত আলোচনা। শবে বরাতের ফজিলত পাওয়ার জন্য যে যে আমলগুলো সবাইকে পালন করতে হবে এবং কোন আমল গুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে এবং যেগুলো পড়ার মাধ্যমে ইসলাম বিরোধী কাজ হতে পারে সে সকল বিষয়ে বিভিন্ন হাদিস অনুযায়ী মতামত সম্পর্কে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো বিভিন্ন শবে বরাতের আমল। 

শরীয়ত অনুযায়ী এর বিধান এই শবে বরাতের ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট কোন আমলের কথা কোরআন হাদিসের মধ্যে উল্লেখ করা হয়নি তবে এই রাতে ইবাদত করা যায়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজে এই রাতে নফল ইবাদত করতেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন মহানবী এতই লম্বা সময় ধরে নামাজ পড়তেন যে, তিনি মনে মনে ভয় করে যেতেন যে মহানবী কি নামাজ রত অবস্থায় পর্দা নিয়ে নিয়েছেন নাকি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আনহুকে বলেন,

আমি কি দায়িত্ববান স্বামী নই? এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি যে মহানবী এতটাই মজগুল হয়ে আল্লাহ ইবাদত করতেন যে, সেজদায় ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটিয়ে দিতেন। ইরাতে নফল নামাজ কর আদায় করার পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াত থেকে জিকির আযার দোয়া ইস্তেগফার মূলক নেক আমল গুলো করতে পারবেন যেগুলো মহানবী তার জীবনে দেখিয়েছেন। এছাড়া নফল নামাজ দীর্ঘ করে পড়ায় উত্তম বলে মহানবীর পক্ষ থেকে বার্তা পাওয়া গেছে।

শবে বরাতের নামাজ একাকী পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ফজিলত রয়েছেন বলে অনেক আলেমগণ আখ্যায়িত করেছেন। শবে বরাতের জামায়েতে সবার সাথে করার চাইতে একাকী ইবাদত করার বেশি ফজিলত বলে বিভিন্ন হাদিস শরীফে বলা হয়েছে সে হাদিস শরীফগুলো , ইকতিজাউস সিরাতুল মুস্তাকিম, ২/৬৩১-৬৪১, মারাকিল ফালহা পৃষ্ঠা, ২১৯ হাদিসগুলোতে প্রমাণিত আছে যে একাকী নামাজ পড়া বেশি ফজিলত জামায়াতে শবে বরাতের নামাজ পড়ার চাইতে।

শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার সম্পর্কে আরো তথ্য 

অনেকে জানতে চাই শবে বরাতের রোজার সম্পর্কে হাদিস শরীফে শাবান মাসের ১ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখার হাদিস প্রচলিত প্রমাণ রয়েছে। এছাড়া প্রতি মাসে ১৩ ১৪ এবং 1১৫ তারিখে রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিস শরীফে উৎসাহিত করা হয়েছে এতে বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায়। এছাড়াও যয়াফ সনদে বর্ণিত সে মাসের ১৫ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ রয়েছে যখন ১৪ তারিখ রাতে সারারাত ইবাদত বন্দ করুন এবং দিনের বেলা রোজা রাখুন এ হাদিস রয়েছে। (মাজাহ হাদিস: ১৩৮৪)

অনেকে জানতে চাই শবে বরাতে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে খাওয়া যাবে কি এবং সবাইকে খাওয়ানো যাবে কিনা এমন কোন হাদিস বা দলিল আছে কিনা? এর জন্য বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে যে ইবাদত বন্দি কি এবং খাওয়া-দাওয়ার সাথে এমন কোন সম্পর্ক নেই ইবাদত পল্লী কি করার জন্য খাবারের প্রয়োজন হয়না প্রয়োজন হয় বেঁচে থাকার জন্য তাই শবে বরাতের খাবারটাই বড় বিষয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ইবাদত। মানুষ যেহেতু খাবার খাওয়ার মাধ্যমে বেঁচে থাকে তাই সে খাবারের ব্যবস্থা করে সবাই খাবার গ্রহণ করতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫ নিয়ত এবং ফজিলত জানুন 

এরাতের মূল ইবাদত হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নফল ইবাদত করা এবং নিজের গুনাহ মাফ করে নিজেকে শুদ্ধ করা জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ফরিয়াদ করা। সিরালি মুস্তিকিম (২/৬৩২, আলমাদখাল লি হজ্ব ১/২৯৯ ও ৩০৬,৩০৭) এছাড়া তানকিহুল হামিদিয়া ২/৩৫৯, ইমদাদুল ফাতাহুয়া ৫/২৮৯ কিতাবগুলোর ভিতরে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইবাদত বন্দী কি জন্য বিভিন্ন ভাবে নফল ইবাদত কোরআন তেলাওয়াত দুরুদ শরীফ পাঠ জিকির আজকার করতে পারবে। কিন্তু শবে বরাত পালনের জন্যই খাবার তৈরি করে এবং সেটাকে মূল উদ্দেশ্য করে। 

থেকে দূরত্ব থেকে রচনা খাবার খেতে হবে কিন্তু মূল উদ্দেশ্য থাকবে ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকত অর্জন করা। এমন কোন কাজ করা যাবে না যাতে আল্লাহর প্রকৃতির বিরুদ্ধে চলে যায় তাহলে আল্লাহ অবশ্যই এই কাজ করার জন্য শাস্তি প্রদান করবেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেছেন প্রকৃতিতে প্রস্তুতকারীরা আল্লাহতালার নিকট সবচেয়ে কঠিন আজাবের মুখে হবে। সহি বুখারী ২/৮৮০ বাংলাদেশের বর্ণনা করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম নানত করেছেন সুদ ভক্ষণকারী ও সুদ প্রদানকারীর উপর, উল্কি অঙ্কনকারিনী নারী ও উল্কি গ্রহণকারিনী নারীর উপর এবং প্রকৃতি। 

সহি বুখারী ২/৮৮১ দেশে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাম বলেছেন ফেরেশতারা ওই ঘরের ঘরে প্রবেশ করবে না যেখানে মূর্তি এবং ছবি রয়েছে। মুসলিম শরীফের ২/২১১২ হাদিসে শবে বরাত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের খাবার-দাবার এবং এ ধরনের আয়োজনকে বিদাত এবং কুসংস্কার বলে গণ্য করেছে। এছাড়া আরো যে হাদিসগুলোতে রয়েছে এর প্রমাণ সে হাদিস গুলো হলো,শরহে মুসলিম নববী ১৪/৮১; উল্লিখিত হাদিস গলো অনুযায়ী দেখা যায় যে শবে বরাতের ইবাদত করা জায়েজ।

আল্লাহ তাআলা এই দিনে বিভিন্ন ধরনের বরকত নাযল করে থাকেন তার বান্দাদের উপরে কারণ এই দিনে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে গুনাহ মাফের জন্য নিজ আসমানে দিকে নেমে আসেন এবং অপকার করতে থাকেন কে তার কাছে ক্ষমা এবং গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করছেন। তাদেরকে গুনাহ মাফ করে দিয়ে সঠিক পথ দেখান এবং যারা বিপদে থেকে যায় তাদের অবস্থান সেরকমই থেকে যায় আল্লাহতালা তাদের অবস্থানকে পরিবর্তন করেন না কারণ তারা ইবাদত করেন না। 

শবে বরাতের ইবাদতের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত 

শবে বরাতের ইবাদতের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে আপনি সেই রাতের সকল নিয়ম কানুন অনুযায়ী নফল ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে অনেক রহমত এবং ফজিলত প্রাপ্ত হবেন এতে আপনার জীবন উন্নত হয়ে যাবে এবং আপনি আল্লাহর থেকে আরো বেশি ধাপিত হবেন। আল্লাহতালা বলেছেন তার পবিত্র কোরআন যে কেউ যদি আমার জন্য এক ধাপ এগিয়ে আসে তাহলে আমি তার জন্য সাত ধাপ এগিয়ে আসবো। 

আরো পড়ুনঃ শবে কদরের নামাজের নিয়ম অনুযায়ী আমল করার ১০টি টিপস 

বিভিন্ন ভাষায় শবে বরাতকে শবে বরাত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় 15 ই শবে বরাতের রাতে বিভিন্ন দেশে শবেবরাত হিসেবে মুসলমানেরা বিভিন্ন ইবাদত বন্দি করে থাকেন এই রাতকে লাইলাতুল মিসফি মিন সাবান বলা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে এই রাতের ইবাদত করার হাদিস দল সম্পর্কে অনেক হাদিস আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার এর বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করার সময় যেখান থেকে আপনি বুঝতে পারবেন শবে বরাতের কি ইবাদত করতে হয়।

শবে বরাতের রাতে আল্লাহতালা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বনু কালব গোত্রের বকরি-লোমের সংখ্যার চয়ে বেশি মানুষকে ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি ৭৩৯: ইবনে মাযহাব ১৩৮৯) কলকাতা আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে এই রাতের বিশেষ ভাবে নফল ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে গুনাহ মাফ পাওয়া যায় এবং বিশেষ রহমত পাওয়া যায়। আল্লাহতালা আসমানে নেমে আসেন এবং যারা সাহায্য চাই তাদেরকে সাহায্য করেন যারা যেই ধরনের মোনাজাত করেন তা পূরণ করে। 

শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো জেনে রাখুন

শবেবরাতে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা আমাদের প্রয়োজন কারণ সেই দিনে অনেক ধরনের মতবাদ প্রচলন আছে আমাদের সমাজের ভিতরে। অনেকেই বিশ্বাস করে এই দিন সম্পর্কে অনেক রকম মতামত এবং এই মতামত অনুসারে তারা বিভিন্ন ধরনের ইবাদত আমল করার চেষ্টা করে। কেউ সেই শবে বরাতের দিনকে উপলব্ধ করে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে এবং সেই খাবারগুলো সকলের মাঝে বিতরণ করে খাওয়া-দাওয়া করে। 

কেহ খাবার দেয় এবং পাশাপাশি বিভিন্ন নফল ইবাদত করে সারারাত বার করে দেয় আল্লাহর সন্তুষ্টিতা পাওয়ার জন্য। বিভিন্ন হাদিস শরীফে এসেছে যে এই রাতের আল্লাহতালা ফজিলত বর্ষণ করেন এবং পাপীদেরকে ক্ষমা করেন। তাই আপনাদেরকে জানতে হবে যে সবচেয়ে সঠিক উপায় কি যে উপায়টি অবলম্বন করার মাধ্যমে এই বরকতময় রাতের ফজিলত পাওয়া যাবে এবং আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।

বিভিন্ন মাওলানাদের মতে এই রাত সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন আমলের কথা হাদীস শরীফে এবং কোরআনের মধ্যে বলা নেই। তবে বিভিন্ন হাদিসে এভাবে বলা আছে যে, বিভিন্ন ইবাদত আমল করলে নেকি বা সওয়াব পাওয়া যাবে কিন্তু খাবার তৈরি করা এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিগত রূপ দিয়ে খাবার তৈরি করে বিক্রি করা নাজায়েজ। অনেকেই মতবাদ করে যে খাবার খাওয়া এবং ইবাদতের মধ্যে পার্থক্য আছে খাবার খাওয়ার সাথে ইবাদতের কোন সম্পর্ক নেই। 

হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে এই রাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারারাত নফল ইবাদত করতেন এবং লম্বা লম্বা সিজদায় রত থাকতেন। সেই প্রেক্ষাপট থেকে ইবাদত করার মাধ্যমে ইবাদত বন্দেগী আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে বোঝা যায়। এছাড়াও আপনি ইবাদত করার পাশাপাশি নামাজ পড়ার সময় ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন ধরনের দরুদ শরীফ পাঠ করতে পারবেন এবং কোরআন তেলাওয়াত করতে পারবেন, আল্লাহর জিকির আজকার করতে পারবেন। 

আল্লাহতালা পবিত্র কুরআনের মধ্যে বলেছেন তোমরা ইবাদত করো আল্লাহর সন্তুষ্ট তা অর্জন করার জন্য কেউ যদি লোক দেখানো ইবাদত করে তাহলে তার ইবাদত করার জন্য তাকে অয়েল নামক যোজক নিক্ষেপ করা হবে। তাই কেউ যদি আল্লাহকে রাজি খুশি রাখার জন্য যেকোনো কাজ করেন সেটাই ইবাদতে পরিণত হয়। তাই আপনি আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য ইবাদত বন্দি করতে পারবেন এবং পাশাপাশি যেহেতু মানুষ খাবার গ্রহণ করে বেঁচে থাকে তাই খাবার মূল লক্ষ্য না করে প্রয়োজনী খাবার তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবেন। 

শবে বরাত সম্পর্কে কোরআন হাদিসের আলোচনা কি

শবে বরাত সম্পর্কে কোরআন হাদিসের আলোচনা যদি আপনি অবশ্যই জানতে চান এবং এই রাতের ফজিলতগুলো আদায় করতে চান তাহলে এই পোস্টটি আশা করি ভালোভাবে পড়েছেন। শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস শরূপে বিভিন্ন যে মতামত গুলো রয়েছে তার অনেক আলোচনা ইতিমধ্যে আমরা করেছি। হাদিস শরীফে রয়েছে এই রাত অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ রাত এ রাতে আল্লাহতালা বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। 

শবে বরাত শব্দের অর্থ হচ্ছে মুক্তির রাত এ রাতে ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহতালা মানুষের মুক্তি দিয়ে থাকেন অথবা ইবাদত বন্দী করার জন্য আল্লাহ তাআলা বান্দের গুনাহ মাফ করে দিয়ে তার রাসুলের পথে এবং তার পথে চালিত করেন। শবে বরাত সম্পর্কে কুরআনে আল্লাহ তালা মহানবীর মাধ্যমে বলেছেন যে, শপথ উজ্জ্বল কিতাবের নিশ্চয়ই আমি তা নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে: নিশ্চয়ই ছিলাম আমি সতর্ককারী যাতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নির্ধারিত হয় এই নির্দেশ আমার তরফ থেকে আমি নিশ্চয়ই আমার দূত পাঠিয়েছি।(সূরা দুখান আয়াত: ১-৫)

আরো পড়ুনঃ তারাবি নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া, ফজিলত ও বিভিন্ন টিপস 

এছাড়াও তাফসীরে মাজহারি, রুহুল মা আনি, রুহুল আমিন বয়ান ইসলাম হযরত ইকরিমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, কুরআনের সূরা দুখান এর দ্বিতীয় আয়াতে বরকতের রাত বলে শবে বরাত কি বোঝানো হয়েছে (মাআরিফুল কুরআন) হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহপাক অর্ধ শাবান মাসের রাতে মাখলুকাতের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, এবং মুশকো বিচ্ছেদ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।

উল্লেখিত কথাগুলো একটি হাদিস শরীফে পাওয়া গেছে তা হল, ইবনে হিব্বান, ৫৬৬৫, ইবনে মাজহা ১৩৯০, ইবনে রাজিন ২০৪৮, খুজাইম, কিতাবুত তাওহীদ ১৩৬ পৃষ্ঠা, মুসনাদে আহমদ চতুর্থ খন্ড পৃষ্ঠা ১৭৬। ইসরাত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেন আল্লাহতালা এই রাতে বান্দাদের প্রতি মনোযোগী হন এবং তার সৃষ্টিকুলের সকল প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেয় এবং অনুগ্রহকারীদেরকে অনুগ্রহ করে এবং যারা বিপদগ্রস্ত তাদেরকে রক্ষা করে। (শুয়াবুল ইমাম তৃতীয় খণ্ড পৃষ্ঠা ৩৮২)

শবে বরাতের রাতে গোসলের ফজিলত আছে কি? 

শবে বরাতের রাতে গোসলের ফজিলত সম্পর্কে যে হাদীসগুলো পাওয়া গেছে এবং এই হাদিসগুলো থেকে যা প্রমাণিত হয়েছে তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম যাতে আপনারা বুঝতে পারেন শবে বরাতের রাতে আল্লাহতালা কি ধরনের ফজিলত রেখেছেন কোন আমল গুলো পড়ার মাধ্যমে। আল্লাহতালা তার রাসুলের মাধ্যমে যে শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তাআলা তার সৃষ্টির উপর দৃষ্টি দেন এবং যে বান্দা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে তাকে ক্ষমা করে দেন। 

শবে বরাতের রাতে গোসলের ফজিলত আছে কি?

এবং বিদ্বেষ কারীদের কে আগের অবস্থায় রেখে দেন কারণ তারা ক্ষমা চান না আল্লাহর কাছে এবং আল্লাহর ইবাদত করেন না। এ বিষয়ে অনেক ধরনের হাদিস প্রচলিত আছে কেউ মনে করেন যে এ রাতে গোসল করার মাধ্যমে অশেষ ইবাদত বন্দেগী করা যায় এবং আল্লাহতালা গোসলের প্রতি ফোটা বিনিময়ে গুনা দিয়ে থাকেন কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন যে গোসলের পানির প্রতি ফোটা ৭০ রাকাত নফল ইবাদতের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। 

বিভিন্ন হাদিস সম্পর্কে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে এ ধরনের কোন হাদিস পাওয়া যায়নি বলে অনেকেই অবহিত করেছেন। কারণ গোসল এর সাথে ইবাদত বন্দীর কোন সম্পর্ক নেই ইবাদত বন্দি কি করার জন্য পবিত্রতা অর্জন করতে হয় পবিত্রতা অর্জন করতে হয় হৃদয়ের পবিত্রতা থেকে। কারণ আল্লাহ তাআলা পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করতে বলেছেন। সহি বুখারি হাদিস শরীফে উল্লেখিত আছে যে পবিত্র সালাত বেহেশর চাবি।

অতএব এ ধরনের মতামত থেকে নিজেকে বিরত রেখে আল্লাহর নৈকত্ব পাওয়ার জন্য এবং সঠিক উপায়ে এবাদতের বন্দেগি করার জন্য মনের পবিত্রতা অর্জন করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টতা অর্জন করার জন্য ইবাদত বর্ধি করতে হবে। শবে বরাতের রাতে গোসল করার সম্পর্কে তেমন কোন সহি হাদিস পাওয়া যায়নি। প্রকৃত ইবাদত করার জন্য যেমন মনের প্রয়োজন হয় তেমনি ইবাদত পরিপূর্ণ করার জন্য পবিত্রতার প্রয়োজন হয়। 

শবে বরাত সম্পর্কে আলোচনা কেমন হওয়া উচিত 

শবে বরাত সম্পর্কে আলোচনা জানা থাকলে আপনি শবে বরাতের রাতের বিশেষ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং এই বিষয় গুলো জানার মাধ্যমে আপনি সঠিক উপায় ইবাদত বন্দেগী করতে পারবেন এবং আল্লাহতালার অশেষ রহমত প্রাপ্ত হবেন। শবে বরাত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের হাদিস রয়েছে এই হাদিসগুলোর মধ্যে বন্ধুর গুহার স্কুল ইতিমধ্যে আমরা এই আর্টিকেলের ভিতরে উপস্থাপন করেছি যেখান থেকে আপনি জেনে নিতে পারেন।

আর পড়ুনঃ তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া ফজিলত গুরুত্বপুর্ণ  আমল 

শবে বরাত হিসেবে যে রাতকে পালন করা হয় তা হলো শাবান মাসের ১৪ ১৫ তারিখ রাত। এ রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের গুনাহ মাফের জন্য আসমানে নেমে আসেন এবং অপেক্ষা করতে থাকেন যে কে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছে এবং মাফের জন্য প্রার্থনা করছি। আল্লাহতালা সকলের গুনা খাতা মাফ মাফ করে দেন এবং যে মানুষগুলো আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের নির্দেশিত পদ অনুসরণ করে না তাদের ব্যতীত। 

মহানবীর নিজেও এর রাতে বিশেষ নফল ইবাদত করেছেন এবং তার উম্মতদের কেউ ইবাদত করার জন্য আদেশ উপদেশ দিয়েছেন এবং বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানিয়েছেন। এই রাতের মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার রাসূল নিজ মুখে তার সাহাবীদের মাঝে এবং বিশ্বাসীদের মারছে এ কথা উপস্থাপন করেছেন যে তোমরা কি জানো না এই রাতে আল্লাহতালার গুনাহ মাফের জন্য আসমানের নিচে নেমে আসেন এবং দেখতে থাকেন কে তার কাছে কোন আপাম এর জন্য প্রার্থনা করছেন। 

শবে কদরের ফজিলত মাসিক আল কাউসার 

শবে কদরের ফজিলত মাসিক আল কাউসার সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনেছি যে কি ইবাদত করার মাধ্যমে এই দিনটি রাতটি পালন করা যায় এবং কোন কোন ইবাদত করা গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে সকল বিষয় আপনি বুঝতে পারেন এই মাসের ফজিলত এবং  ইবাদত কোন উপায় করার মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করতে হয় বা এ রাতের সকল ইবাদতের ধারণা সম্পর্কে জানিয়েছে। 

এই রাতে ইবাদত করার জন্য একাকী ইবাদত আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচাইতে বেশি গ্রহণযোগ্য আপনি মসজিদে যদি নামাজে জামায়াতে ইবাদত করার জন্য জামাইতে ইবাদত বন্দি করর চাইতে আল্লাহতালা একাকী যে ইবাদত করে তা বেশি পছন্দ করেন। আল্লাহতালা বলেছেন সূরা মুমিনের ৬০ নম্বর আয়াতে যে তোমরা একা ডাকু আমি সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেবো। এই একা ইবাদত করার কথা বলতে আল্লাহতালা বুঝিয়েছেন যে প্রত্যেক মানুষের ভিতরে খান্নাস রোগীদের শয়তান রয়েছে বা কুমন্ত্রণা কারী রয়েছে তার থেকে মুক্ত হয়ে একা এক আল্লাহর ইবাদত করা।

এই রাতে বিশেষ করে ১৪ তারিখ দিবাগত রোজা পালন করে রাতের বেলা নফল ইবাদত করে সারারাত পার করে দিয়ে থাকেন অনেকে এটা অনেক ফজিলতপূর্ণ এবং রহমতময়। আল্লাহতালা নিজেই তার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন যে এই রাতের ফজিলত গুলো কি এবং কি উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে এ রাতের ইবাদত বন্দেগী গুলো করতে হয়। থেকে একটা মানুষ বুঝতে পারে যে এদের মর্যাদা কত এ রাতে সম্মান কত। 

শবে বরাতের রোজার ফজিলত  নিয়ে হাদিস 

শবেবরাতে রোজার ফজিলত নিয়ে হাদিস সম্পর্কে যে মতবাদ প্রকাশ করা হয়ছে তা হল, যখন অর্ধ সবানের রাত তোমাদের সম্মুখে আসবে তখন তোমরা সারারাত নফল ইবাদত করো এবং পরবর্তী দিনে রোজা রাখো ( ইবনে মাযহাব ১৩৮৮) এছাড়া বিভিন্ন আলেমদের বিভিন্ন মতামত রয়েছে, তবে রোজা রাখলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না, অনেক হাদিসে এটা প্রমাণিত আছে রে মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ছাপানের মাসে রোজা রাখতেন। 

শবে বরাতের রোজার ফজিলত  নিয়ে হাদিস

সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সাবান মাসে রোজা রাখা সুন্নত। মহানবীর সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন যে ১৩ ১৪ এবং ১৫ তারিখ রোজা রাখতে হবে। এছাড়াও ১৪ তারিখ রাতে নফল ইবাদত করার পরে দিনের বেলা রোজা রাখার হাদিস শরীফ প্রচলিত রয়েছে। এ বিষয়ে তেমন কোন মতবিদ বিভেদ নেই। এছাড়া হাদীস শরীফে রয়েছে যে শাবান মাসের প্রত্যেকটা দিনে রোজা রাখা যাবে এবং সওয়াব পাওয়া যাবে এছাড়াও সর্বনিম্ন একটি দিন অন্ততপক্ষে রোজা রাখতে হবে। 

আল্লাহকে রাজিব খুশি করার জন্য যে কাজটি করবেন সেই কাজই আল্লাহর কাছে ইবাদত বলে গণ্য হবে। রোজা রাখার ব্যাপারে এই মাসে নির্দিষ্ট কোন দিনের পৃথক কোন বৈশিষ্ট্য নেই (ইসলাহী খুতুবাত) বুঝতে পেরেছি শবে বরাতের রোজা সম্পর্কে কি কি ফজিলত রয়েছে এবং কি ধরনের মতামত রয়েছে সে বিষয়ে সম্পর্কে। প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজ নিজ স্থান থেকে নিজেকে সঠিক বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করে এটা মানুষের প্রাকৃতিক নিয়ম কিন্তু আপনাকে দেখতে হবে প্রত্যেকটি বিষয়ের সত্যতা কতটুকু। 

কোরআন হাদিসের আলোকে শাবান মাসের ফজিলত 

হাদিসের আলোকে শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন কোরআনের শাবান মাস সম্পর্কে যে বিষয়ে ইতিমধ্যে আপনাদেরকে জানিয়েছি, এবং বিভিন্ন হাদিস শরীফে কি ধরনের মতামত রয়েছে সেই সকল বিষয় সম্পর্কেও জেনেছি। উল্লেখিত কুরআন এবং হাদিসের দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এই দিনের জন্য নির্দিষ্ট কোন ইবাদত আমল করার উপদেশ না দেয়া হলেও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম এই দিনে নফল ইবাদত করার মাধ্যমে সারারাত পার করে দিয়েছেন। 

রাতের বেলা সারারাত ইবাদত করার পর দিনের বেলায় আল্লাহর রাসূল রোজা রাখতেন এ ধরনের হাদিস পাওয়া গেছে। এছাড়াও আরো জানা গেছে যে শাবান মাসের প্রত্যেকটি দিনে রোজা রাখলে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যাবে এবং ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ রোজা রাখলেও অনেক ফজিলত পাওয়া যাবে বলে অনেক হাদীস শরীফে প্রমাণ রয়েছে এবং দলিল রয়েছে। এই রাতে অন্যান্য নফল ইবাদত এর মতই ইবাদত করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহতালা বিশেষ নেয়ামত দান করেন। 

এবং বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন যারা ক্ষমা চান এবং আল্লাহ তাআলার কাছে অনুপ্রাপ্ত হয় তাদেরকে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালাম বলেছেন তোমরা রাতের বেলায় ইবাদত-বন্দেগি করো এবং পরবর্তী দিন রোজা রাখো তাহলে অশেষ সওয়াব হাসিল করতে পারবে এবং আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত হবে। আপনি যদি আল্লাহতালার বিশেষ রহমত প্রাপ্ত হতে চান এবং আল্লাহতালার নৈকত অর্জন করতে চান তাহলে এই পোস্টের ভেতর যে উপায় এবং আমল গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সে আমলগুলো করতে পারেন।

শবে বরাতের ফজিলত আল কাওসার নিয়ে শেষ মন্তব্য 

শবে বরাতের ফজিলত আল কাউসার নিয়ে আমার যে মন্তব্য তা হলো ইসলামে অনেক ধরনের আকিদার অন্তর্ভুক্ত মানুষ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিশ্বাসীরা তাদের আহিদাকে শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে। আল্লাহতালা এবং আল্লাহর রাসূলের দেখানো পথ অনুসরণ করার বাইরে যে কোন পথ অনুসরণ করা এবং আমল করা তা সম্পূর্ণ নাজায়েজ এবং বেদাত। আল্লাহর রাসূল যে বিষয় সম্পর্কে যেভাবে ধারণা দিয়ে গেছেন তা পালন করতে হবে।

কেউ যদি আল্লাহর রাসূলের নির্দেশিত পথের বাহিরে কোন ইবাদত বন্দি করে তাহলে তা গ্রহণযোগ্য নয় আল্লাহতালার কাছে। কারণ মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আল্লাহতালার কাছে একটি জিনিসও গ্রহণ করেননি যে জিনিসটি তার উম্মত গ্রহণ করবেন না। উম্মত গ্রহণ করবে না যেই সুবিধার সেই সুবিধা আল্লাহতালার কাছ থেকে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম গ্রহণ করেননি যদিও আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অনেক বার জানিয়েছেন। তাই আপনি ইবাদত বন্দেগী করার জন্য আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের দেখানো পথ অনুসরণ করুন এবং সঠিক উপায় ইবাদত করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url