শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে এবং নিয়ম দোয়া এবং ফজিলত
শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়ে জেনে নিতে পারবেন। এই পোস্টের ভিতরে শবে বরাত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের আমল এবং নিয়ত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি না জেনে থাকেন যে এই রাতের ফজিলত এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে যা শবে বরাতের সাথে বিশেষভাবে জড়িয়ে আছে। অনেক জানা অজানা তথ্য সঠিকভাবে জানার জন্য এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে এবং শবে বরাতের নামাজের নিয়ম দোয়া ফজিলত
- শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে জেনে রাখুন
- শবে বরাতের নামাজের নিয়ত ও দোয়া
- শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানুন
- শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম
- শবে বরাতের রোজা সম্পর্কে হাদিস কি জানুন
- শবে বরাত উপলক্ষে করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয় জানুন
- শবে বরাত নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
- শবে বরাত ও রমজানের তাৎপর্য জানুন
- শবে বরাত কি বিদআত বিভিন্ন হাদিস কি বলে
- শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে নিয়ে আমার শেষ মন্তব্য
শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে জেনে রাখুন
শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে জেনে রাখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, এই বছরের কোন দিনে দিনটি পালিত হবে এবং সে দিনটি পালন করার জন্য আপনার অবশ্যই জানা উচিত কবে এই দিনটি পালন করা হয়? সে সম্পর্কে বিস্তারিত। শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে পালন হবে এটা জানলে আপনি সেই দিনটি অনেক ধরনের ইবাদত বন্দি রয়েছে যা করতে পারবেন।
ইসলামিক কিছু ব্যবস্থা রয়েছে যেমন ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তারা চাঁদ দেখার জন্য কমিটি ও নিযুক্ত করেন এবং তারা চাঁদ দেখে নিশ্চিত হন যে কোন দিন এই দিনটি পালন করা হবে। ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী এই দিনটিকে ইসলামিক ক্যালেন্ডার আরবি মাসের নিয়ম অনুযায়ী পালন করা হয়। হিজরী সনের শাবান মাসের ১৪ তারিখে দিবা কত রাত্রি মুসলমানরা শবে বরাত হিসেবে উদযাপন করে।
এই রাতটিকে অনেক মানুষ খুব সৌভাগ্যবান এবং পাপ মোচনের রাত বলে মনে করেন। এছাড়া এই দিনটি ইসলামিক দেশগুলোতে বিশেষভাবে পালন হওয়ার কারণে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়। শাবান মাসের চাঁদ দেখার পর নিশ্চিত করা হয় যে কোন দিন শবে বরাত হবে সেই দিন ছুটি নির্ধারণ করা হয়। এই রাতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে যেই গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে হলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত ও দোয়া
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত ও দোয়া সম্পর্কে না জানলে আপনি অবশ্যই সঠিক উপায়ে নামাজ পড়তে পারবেন না এবং আল্লাহর ইবাদত করার জন্য অবশ্যই সঠিক উপায় এবং নিয়ম জানতে হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন যে কি উপায়ে নামাজের নিয়ত করতে হয় এবং কি ধরনের দোয়া পড়ার মাধ্যমে শবে বরাতের দিন উদযাপন করতে হয় তাহলে খুব সহজেই জেনে নিন এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা বা মতামত রয়েছে, কোন কোন বিশেষে বিশ্বাসীরা এই রাতকে বিভিন্ন ইবাদত করার পাশাপাশি নিয়ত করে আল্লাহর কাছে যে, এই রাতের বিশেষ ওসিলায় যেন আমাদের পাপ মোচন হয়। আবার বিভিন্ন ইসলাম গবেষকদের মতে এটা সম্পূর্ণ নফল নামাজের মতো করে পড়তে হবে কোন ধরনের আলাদা নিয়ত বান্দার প্রয়োজন হবে না।
আরো পড়ুনঃ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীদের নাম এবং গোপন ইবাদতের উপায়
হাদিসের ভাষায় লাইলাতুল নিসফি মিন শাবান বা মধ্য শাবানের রজনী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শবে বরাতের নামাজের দোয়া গুলো সম্পর্কে একটু জেনে রাখা ভালো। শবে বরাত উপলক্ষে যে সকল ইবাদত করা হয় তা নফল ইবাদত হিসেবে পালন করা হয়। এই রাতে নামাজ পড়ার পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াত, আল্লাহর জিকির এবং দুরুদ শরীফ পাঠ করতে পারবেন। বাংলায় দোয়াটি জানালাম, আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিরাজবা ওয়া সাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।
অর্থ আসে, হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন, এবং রমজান মাস আমাদের নসিব করুন (হুসনাতে আহমদ, হাদিস;২৫৯) মহান আল্লাহতালা সবাইকে কোরআন এবং হাদিসের অনুযায়ী ঈমান এবং আমল করার তৌফিক দান করুন যাতে সবাই জান্নাতবাসী হয় এবং সত্যকে বুঝতে পারে। প্রত্যেকে বোঝার পাশাপাশি সত্যকে নিজের ভিতরে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানুন
শবে বরাতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে আপনি অবশ্যই ইবাদত করার জন্য অনেক আগ্রহ প্রকাশ করবেন। বিখ্যাত সাহাবী মুজাব বিন জাবাল হতে বর্ণিত নবী করীম সা: বলেন, আল্লাহতালা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ সাবানের ১৪ তারিখে দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং ভান্ডারদেরকে আহ্বান করতে থাকেন যে তোমাদের যে সকল সমস্যা আছে তা আমার কাছে পেশ করো।
সে সময় আল্লাহতালা তাদের সকল মহানবী উম্মতের জীবনের গুনাহতাগুলো মাফ করে দেয় এবং সকল দিক থেকে উন্নতি বয়ে নিয়ে আসে। এই দিনে ইবাদত করা অত্যন্ত রহমত ময় এবং ফজিলতপূর্ণ।(ইবনে হিব্বান, হাদিস ৫৬৬৫)। এই দিনে মহাভূমি নিজেও নামাজ পড়তেন এটা আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত আছে। মহানবী অনেক সময় ধরে নফল নামাজের রত থাকতেন। (গুয়াবুল ঈমান, বাইহাকি,৩/৩৮২-৩৮৩; তাবারানী: ১৯৪)।
শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম
রোজা রাখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানান এবং সঠিক উপায়ে রোজা রাখার মাধ্যমে অশেষ সোয়া হাসিল করুন। এই রাতটি অত্যন্ত বরকতময় এবং মানবের সব মোচনের একটি রাত এ রাতে সকল ধরনের চাওয়া পাওয়া পূর্ণ করে থাকেন মহান আল্লাহ তাআলা প্রতিবছর এই রাতে বরকত নাজির করেন মহান আল্লাহ তাআলা তার মান্দাদের উদ্দেশ্যে যাতে তারা তাদের রবের নিকট থেকে বরকত এবং নাজাত প্রাপ্ত হয়।
আরো পড়ুনঃ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহিলা সাহাবীদের নাম এবং অর্থসহ কিছু ব্যখ্যা
এই রাতে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবে ইবাদত বন্দি কি করে থাকেন অনেকে এরাতে রোজা রাখেন। কেউ একটি রোজা করেন কেউবা তিনটি রোজা করেন এই রাতটিকে উপলক্ষ করে। মহানবী বিভিন্ন হাদিসের ভিতরে বলেছেন যে তোমরা সারারাত ইবাদত করো এবং দিনের বেলা রোজা রাখো। বিভিন্ন হাদিসে এসেছে যে প্রত্যেকটি আরবি মাসের ১৩ ১৪ ১৫ তারিখে রোজা রাখতেন। সেই দিক থেকে লক্ষ্য করে অনেকেই এই রাতকে কেন্দ্র করে তিনটি রোজা রাখেন।
- শবে বরাতের রোজা রাখার জন্য আপনাকে রোজার নিয়ম গুলো জানতে হবে কিভাবে রোজা রাখতে হয়। তাহলে চলুন জানি কি উপায়ে রোজ রাখতে হয় শবে বরাতের পূর্ণ অর্জন করার জন্য চলুন আমরা জেনে নেই।
- সেহরি: সুবহে সাদিক এর পূর্বে অন্ধকার থেকে আলো হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।
- নিয়ত: আপনি যেই কারণে রোজা রাখতেন সে বিষয়ের নিয়ত করে নিতে হবে।
- রোজার সময়: সেহরি খাওয়া থেকে শুরু করে সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়কে রোজার সময় বলে।
- ইফতার: সেহরি থেকে শুরু করে সন্ধ্যার আযানের পূর্ব পর্যন্ত সময় কে অতিক্রম করে খাবার গ্রহণ করাকে ইফতার বলে।
এছাড়া বিভিন্ন হাদিসে বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা রয়েছে, হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন তোমরা যখন শাবান মাসের মধ্যে দিবস আসবে তখন তোমরা রাতে নকল ইবাদত করো এবং দিনের বেলা রোজা রাখবা। (সুনানে ইবনে মাজাহ) এ রাতে অনেক ফজিলত রয়েছে রোজা রাখা এবং নফল ইবাদত করার মাধ্যমে যা আপনি পাবেন।
শবে বরাতের রোজা সম্পর্কে হাদিস কি জানুন
শবে বরাতের রোজা সম্পর্কে হাদিস গুলো জানাতে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে শবে বরাতের রোজা করার মাধ্যমে আপনি কোন ধরনের ইবাদত করতে পারবেন। এই দিন একটি ফজিলতপূর্ণ এবং অত্যন্ত মর্যাদা রাত শাবান মাসের 14 তারিখে দিনটি উদযাপন করা হয়। ইবনে মাযহাবে নবী করীম সাল্লাহু সাল্লাম এর হাদিসে বর্ণিত হয়েছেন যে, তোমরা এই রাতে ইবাদত বন্দেগী করে কাটা এবং দিনের বেলা রোজা রাখো।
হযরত আয়েশা র: থেকে বর্ণিত, বিশ্ব নবীর জান্নাতুল বাকীতে এসে মৃতদের জন্য এবং ইন্তেকাল করেছেন তাদের জন্য দোয়া করতেন, আরো বলেছেন এই রাতে বকরি বা ছাগলের ভেড়ার গায়ের পশমের চাইতেও বেশি সংখ্যক গুনাকে আল্লাহতালা ক্ষমা করে দেন (তিরমিজি: ৭৩৯)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন যে, যখন শাবান মাসের মধ্য দিবস আসবে তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে (ইবনে মাজহাব)
বর্ণিত আছে যে এই দিনে সূর্যাস্তের পর আল্লাহতালা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসবেন এবং তার বান্দাদের কাছে আহ্বান করবেন যে তোমরা তোমাদের বিভিন্ন আরজি আমাকে বলো, যে বান্দা রিজিক চাবেন তাকে রিজিক দেওয়া হবে যে বান্দা ক্ষমা প্রার্থনা করবে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে, বিপদগ্রস্তদের বিপদ থেকে উদ্ধার করা হবে। এইভাবে ফুল পর্যন্ত আল্লাহতালা মানুষের আহবানের অপেক্ষায় থাকবেন (ইবনে মাজহাব:১৩৮৪)
শবে বরাত উপলক্ষে করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয় জানুন
শবে বরাত উপলক্ষে করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত জানা উচিত কারণ এই বিষয়টি আমাদের মুসলমান সমাজে এখনো প্রচলিত রয়েছে মানুষ বিশ্বাস করেন যে এই রাতটি অত্যন্ত বড় ধরনের একটি ফজিলত পূর্ণ রাত। এই রাতে ইবাদত বন্দেগী করার মাধ্যমে মানুষ তাদের জীবনের অনেক বড় ধরনের গুনাহকে মাফ করে নতে পারে। হাদিসে বর্ণিত আছেন যে, একটি দুম্বা বা ছাগলের পশমের চাইতেও বেশি পাপকে আল্লাহ মাফ করে দেবেন।
হযরত আদম থেকে শুরু করে মহানবী পর্যন্ত সকল নবী রাসুলেরাই মাসের 13 14 15 তারিখ রোজা পালন করে আসছেন। এই ধরনের রোজা পালন কে ইয়ামিনদের নফল রোজা পালন করা হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো। (আতাই ফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা নং, ১৫১) এছাড়া প্রতি মাসের মধ্য এবং শেষ তারিখে নফল রোজা গুরুত্বপূর্ণ। কওমে দাউদী পদ্ধতিতে একদিন পরপর রোজা পালন করলে প্রতিটি বিজোড় তারিখে রোজা শবে বরাতের রোজার শামিল হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ মুসলিম ছেলেদের আধুনিক নাম অর্থসহ কিচছু গুরুত্বপুর্ণ আলোচনা
উম্মা মাহতুল মুমিনগণ বর্ণনা করেছেন, শাবান মাসে মহানবী এমন ভাবে রোজা করতেন, কোন বছর ১০ টি কোন ১৫ টি কখনো ২০টি রোজা রাখতেন। অনেক সময় এর আরো অনেক বেশি রোজা করতেন, তারা এভাবে বর্ণনা করেছেন যে মহানবীর রোজা করা দেখে তারা মনে করতেন যে, তিনি মনে হয় আর রোজা ছাড়বেন না সব সময় রোজার মাধ্যমে পার করে দিবেন মহানবী এমন হবে রোজা করতেন।
শবে বরাত নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: শবে বরাতের রোজা কত তারিখে রাখতে হয়?
উত্তর: বিভিন্ন হাদিস অনুযায়ী প্রতি মাসে ১৩,১৪ এবং ১৫ তারিখে আইয়ামে বিদ এরা নকল রোজা সুন্নত হিসেবে পালন করা হতো। এইটাও শবে বরাতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এ বিষয়ে পোস্টে আরো বিস্তারিত আলোচনা করেছি নিতে পারেন।
প্রশ্ন: শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত ও নিয়ত?
উত্তর: শবে বরাতের নামাজ মূলত নফল নামাজ হিসেবে পড়তে হয়। এর জন্য আপনাকে এশার নামাজ শেষ করে দুই রাকাত সুন্নত পড়ে। নফল নামাজের নিয়ম অনুযায়ী নিয়ত করলেই হবে।
প্রশ্ন: শবে বরাতের আমল গুলো কি কি?
উত্তর: শবে বরাতের আমলগুলো হচ্ছে রাতকে আল্লাহর কাছে ইবাদত করা। যেমন নফল নামাজ পড়া, কোরআন তেলাওয়াত করা, তাজবি পাঠ করা, জিকির করা, দরদ শরীফ পাঠ করা, মুর্শিদের ধ্যান করা।
প্রশ্ন: শবে বরাত সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
উত্তর: শবে বরাত সম্পর্কে ইসলামের অনেক আকিদায় বিশ্বাসী ইসলামিক বিশ্বাস রয়েছে। বিষয়ে অনেক মতামত রয়েছে, কিছু মনে করেন শবে বরাত ইসলাম ধর্মে একটি বরকতময় রাতের নাম। যে রাতের ফজিলত হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত হাদিসের কথা অনুযায়ী এ রাতে আল্লাহতালা অসংখ্য গুনাহ মাফ করেন এবং বিভিন্ন বান্দাদের সকল সমস্যা থেকে উদ্ধার করেন। হাদিস শরফে এ রাতে লাইলাতুল নিসফি মিন শা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
শবে বরাত ও রমজানের তাৎপর্য জানুন
শবে বরাত ও রমজানের তাৎপর্য জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই এই ইবাদতটি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবেন কারণ আপনি যদি না জানেন যে কি উপকার হবে এ কাজ করে তাহলে সেই কাজটি করা থেকে নিজের থেকে বেশি আগ্রহ থাকবে না। তাই যে কাজটি করবেন সেই কাজটি সম্পর্কে বিশেষভাবে জানা থাকলে খুব বেশি আগ্রহ থাকবে এবং কাজটি করতেও ভালো লাগবে।
শাবান মাসের 14 তারিখ দিবাগত রাতকে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্য পূর্ণ মাস হিসেবে পালন করা হয়। মানুষ তাদের গুনাহ মাফের জন্য এই রাতে নফল ইবাদত করেন এবং আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন যেন তার গুনাহ মাফ করে তাকে জান্নাতবাসী করা হয় এবং দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন ধরনের বিপদ থেকে মুক্তি থাকেন এবং সঠিক পথে চলতে পারেন। রমজান থেকে মানুষ শিক্ষা পায় যে সারাদিন না খেয়ে থাকার পরেও আল্লাহকে ভালোবেসে আল্লাহর খাতিরে কোন কিছু না খাওয়া এটি একটি ভালোবাসার প্রমাণ।
আপনিও অবশ্যই যেই ধর্মেই হয়ে থাকুন না কেন ঈশ্বরকে বা সৃষ্টিকর্তা কে অবশ্যই ভালোবাসেন। ঈশ্বরের সন্তুষ্ট ওটা অর্জন করার জন্য এবং নিজের সকল ভুলভ্রান্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য আল্লাহতালা এই রাতে বিশেষ রহমত নাযিল করেন যার মাধ্যমে সকলের গুনাহ খাতা মাফ হয় এবং মানুষ আল্লাহর দিনে সঠিকভাবে চলতে পারে। মাওলা আলীর দেখানো এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেখে যাওয়া পুরান এর নিদর্শন অনুযায়ী চলতে পারো।
শবে বরাত কি বিদআত বিভিন্ন হাদিস কি বলে
শবে বরাত কি বিদআত বিভিন্ন হাদিসের মন্তব্য এবং বিভিন্ন আলেম ওলামা আমাদের মন্তব্য অনুযায়ী বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, কিছু কিছু আলেম এটাকে বিদআত বলে দাবি করেন এবং মানুষের মাঝে প্রচার করেন। আমার কিছু কিছু সুফি বিশ্বাসী এবং আলেম রয়েছেন যারা বিশ্বাস করেন এটি একটি ফজলে পূর্ণ এবং রহমতময় রাত। এই রাত শাবান মাসের ১৪ তারিখে পালন করা হয় রাতে ইবাদত এবং দিনে রোজা রেখে আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করে।
যারা ইসলামকে পরিপূর্ণ বিশ্বাস এবং মোহাম্মদ সা: এবং মাওলা আলীর দিন কি বিশ্বাস করেন তারা এই শবে বরাতকে বিশ্বাস করেন হাদিসের প্রমাণিত আছে যে, হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, শবে বরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সারারাত নফল ইবাদত করতেন এবং লম্বা সময় পর্যন্ত সিজদায় রত থাকতেন। এটা দেখে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মহানবীর কাছে জানতে চাইলেন, তাহলে হবে বললেন এই রাত হলো অর্ধ সাবানের রাত।
রাতে আল্লাহতালা তার বান্দাদের প্রতি বিশেষ নজর দেন এবং দেখেন কে তার সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করছে এবং তার ইবাদতকে কবুল করে তার সকল ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করেন এবং তার কে রহমত দান করেন। এবং যরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করে না এবং বিভিন্ন খারাপ তাদের সাথে জড়িত থাকে তারা আল্লাহর কাছে সেরকমই রয়ে যায় তাদের কোন পরিবর্তন হয় না।(বায়হাকী: ৩য় খ - ৩৮২ পৃষ্ঠা)
শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে নিয়ে আমার শেষ মন্তব্য
শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে নিয়ে আমার যে বিষয়গুলো আপনাদেরকে জানানোর প্রয়োজন মনে হয়েছে যে বিষয়গুলো জানা থাকলে আপনি এই রাতের ফজিলত এবং এ রাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সেই বিষয়গুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। উল্লেখিত শবে বরাত সম্পর্কে অনেক মোলবি মাওলানা অনেক ধরনের মতামত রয়েছে। সেই বিষয়গুলো আপনার সামনে উপস্থাপন করেছি যাতে আপনি সঠিকটা বিবেচনা করে পালন করতে পারেন।
এবং কিছু হাদিস থেকে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যাতে আপনারা এর সত্যতা যাচাই করার জন্য বুঝতে পারেন সেই হাদিস গুলো দেখে। তাই আপনি যদি একজন ইসলাম প্রিয় মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো আপনার জানা দরকার এবং এ বিষয়ে সঠিক তথ্য অর্জন করে আমল করা প্রয়োজন। যা আপনাকে ইহকাল এবং পরকালে শান্তি দিবে যা এই জনমে আপনাকে অর্জন করতে হবে। মানুষ ইবাদত বন্দেগী করে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য যাতে আল্লাহতালা সে বান্দার প্রতি খুশি হয়ে তাকে জান্নাত দান করেন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url