তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া ফজিলত গুরুত্বপুর্ণ আমল
তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এবং আমলগুলো কিভাবে করতে হয় তার উপায় গুলো বিস্তারিত জেনে নিন। তারাবির নামাজের ফজিলত ও মর্যাদা এবং ইবাদত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন।
তারাবির নামাজের চার রাকাত পর যে দোয়া গুলো পড়বেন সেই দোয়া গুলো কি রকম ফসলত পূর্ণ এবং তারাবির নামাজের সাথে এর কি সম্পর্ক রয়েছে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত ধারণা দিবার চেষ্টা করব।
পোস্ট সুচিপত্রঃ তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া নিয়ে এই পোস্ট এ যা জানবেন
- তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া গুলো কি
- তারাবির নামাজের দোয়া আরবি বাংলা উচ্চারণ
- তারাবি নামাজের দোয়া বাংলায় অনুবাদ পড়ুন
- তারাবির নামাজের সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
- রাসূলুল্লাহ সা: কয়টি তারাবির নামাজ পড়েছেন জানুন
- তারাবির নামাজ কি সুন্নতে মুয়াক্কাদা জানুন
- তারাবি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
- তারাবির নামাজের মোনাজাতের দোয়া বাংলায় জেনে নিন
- তারাবির নামাজের দুই রাকাত পরপর দোয়া গুলো
- তারাবির নামাজের চার রাকাত পর পর দোয়া সম্পর্কে শেষ মন্তব্য
তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া গুলো কি
তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া গুলো পড়তে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে সেই চার রাকাত নামাজের ফাঁকে ফাঁকে যে দোয়া গুলো আপনি পড়বেন সেই দোয়া গুলোর নাম, এবং কিভাবে সেই দোয়া গুলো পড়তে হয় তা জানতে হবে। তারাবির নামাজের সময় হল এশার নামাজের শেষে বেতের নামাজের পূর্বে আদায় করতে হয়।
বিভিন্ন মৌলবিদের মতে তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর নামাজ শেষ করে নির্দিষ্ট কোন দোয়া দুরুদ পড়ার কোন হাদিস দলিল নেই। আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরনের হাদিস শরীফ আছে বলে দাবি করেন এবং সেই অনুযায়ী আমল করেন। সহি বুখারী এবং মুসলিম শরীফ থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারাবির নামাজের সময় চার রাকাত পড়ার পরে দুরুদ শরীফ পড়তেন। কোরআন তেলাওয়াত করতেন, আল্লাহর জিকির করতেন সাহাবীদের মধ্যে কিছু কথা শুনাতেন জ্ঞানমূলক।
আবার চার রাকাত নামাজ পড়তেন কিছু দোয়া দরুদ পড়তেন। বর্তমানে তারাবির নামাজ দুই রকম ভাবে পড়া হয় একটি হচ্ছে সালাতুত তারাবীহ। এই তারাবির নামাজে ইমাম সাহেব যে কোন সূরা এবং কিরাম পড়তে পারে এবং সারা মাসের নামাজ এইভাবে শেষ করতে পারে। অপরটিও হচ্ছে খতমে তারাবি এ খতমে তারাবি হচ্ছে তারাবির প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত তারাবির নামাজ পড়ার সময় কুরআনের সকল সূরা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে খতম দেওয়ার মাধ্যমে তারাবির নামাজ শেষ করা।
তারাবির নামাজের দোয়া আরবি বাংলা উচ্চারণ
তারাবির নামাজের দোয়া আরবি বাংলা উচ্চারণ জানান প্রয়োজন কারণ অনেকেই আরবি উচ্চারণ করে পড়তে পারে না তাদের জন্য বাংলাতে উচ্চারণ করে আরবি পড়লেও হবে। আল্লাহতালা সকল ভাষা জানেন এবং বুঝেন আপনি ইচ্ছা করলে বাংলাতে আলহতালার কাছে দোয়া করতে পারবেন। তাহলে চলুন আমরা প্রথমে ছিড়ে নিই আরবি নামাজের আরবি দোয়াটি বাংলায়।
আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের বিশেষ আমল গুলো বিস্তারিত জানুন
সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানাযিল ইজ্জতি ওয়াল আজমাতি ওয়াল হাইবাতি ওয়াল কুদররাতি ওয়াল কিবরিয়ায়ী ওয়াল জাবারুতি। সুবনহানাল মালিকিল হাইয়িল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়া মুত আবাদান আবাদ, সুবো হুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ। এটা হচ্ছে তারাবির নামাজের যে চার রাকাত পর পর বিশ্রাম করা হয় সেই সময়ের দোয়া এই দোয়া পাঠ করতেন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
তাই আপনি তারাবির নামাজের সময় যদি আরবিতে দোয়া পাঠ করতে চান তাহলে এই দোয়াটি মুখস্ত করে নিয়ে এখান থেকে পাঠ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি আরবি ভাষা বা এটা না পারেন তাহলে বাংলাতেও আল্লাহ তায়ালার কাছে ইবাদত করার করতে পারবেন এবং মোনাজাত করতে পারবেন। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে বাংলাতে কিভাবে এই দোয়া পড়া যায় তা আলোচনা করা হবে এবং দোয়াটি বলে দেওয়া হবে।
তারাবি নামাজের দোয়া বাংলায় অনুবাদ পড়ুন
তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া পড়ার জন্য অনেক জোনাই অনেক ধরনের হাদিস এবং বিভিন্ন কিতাব গ্রন্থ খুঁজে তাদের সুবিধার্থে এই তারাবির নামাজের দোয়া যারা আরবিতে পড়তে পারেন না তাদের জন্য বাংলায় উপস্থাপন করলাম। আল্লাহতালা সকল ভাষা সম্পর্কে জানেন আর সকল ভাষা সম্পর্কে তিনি রাসুল প্রেরণ করেছেন। সূরা ইব্রাহীমের ৪ নম্বর আয়াতে এর প্রমাণ রয়েছে।
আপনি সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন, তারাবির নামাজের দোয়া বাংলায় এভাবে পড়বেন। আল্লাহতালা তুমি পবিত্রময় ও মহত্বের মালিক। তুমি একমাত্র পবিত্রময় সম্মান প্রাপ্ত এবং প্রতিবর্তীশলী সত্তা। সকল ক্ষমতা গৌরব এবং পবিত্রতার রাজাধি রাজ তিনি এবং তিনি চিরঞ্জীব। সকল সৃষ্টির প্রতিপালক তুমি নিজেই তুমি সকলকে রক্ষা করো রহমত করো এবং বরকত দান করো আমরা তোমার রাসুলের দেখানো পথে চলার জন্য তোমার কাছে জীবন অর্পণ করেছি।
তুমি একমাত্র রহমত দাতা আমাদেরকে রহমত দান করুন যাতে এই তারাবির নামাজের দোয়ার উসিলায় আমাদের সকল গুনাহ খাতা মাফ হয়ে যায় আমিন। তারাবির নামাজের দোয়ার সাথে তারাবির নামাজের তেমন কোন সম্পর্ক নেই আপনি হয়তো জানেন তারাবি শব্দের অর্থ হচ্ছে বিশ্রাম। আর তারাবির নামাজের শব্দ অর্থ হচ্ছে বিশ্রাম করে নামাজ আদায় করা। তাই আপনি তারাবির নামাজের চার রাকাত পর পর দোয়া না পড়লেও আপনার তারাবির নামাজ হবে তবে এটা পড়া অনেক ফজিলত পূর্ণ।
তারাবির নামাজের সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলায়?
উত্তর: বাংলায় তারাবির নামাজের নিয়ত হলো আমি কেবলামুখী হইয়া আল্লাহর রাসূল এবং আল্লাহর রাজি খুশির জন্য তারাবির নামাজ সুন্নত মুয়াক্কাদা আদায় করব আল্লাহু আকবার।
প্রশ্ন: তারাবি শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: তারাবি শব্দটির বহুবচন এর একবচন হচ্ছে তারাবিহাহ আভিধানিক অর্থ হল বিশ্রাম বা প্রশান্তি। রমজান মাসে তারাবির নামাজ এশার নামাজের পর এবং বেতের নামাজের পূর্বে পড়া হয়।
আরো পড়ুনঃ তারাবি নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া, ফজিলত ও বিভিন্ন টিপস
প্রশ্ন: তারাবির নামাজের শেষ সময় কখন?
উত্তর: তারাবির নামাজ এশার নামাজের পর বেতের নামাজের পূর্বে পড়তে হয় এবং আপনি যদি না ঘুমিয়ে সারারাত জেগে থেকে ফজরের সময় পড়েন তাও নামাজ হবে।
প্রশ্ন: মুসলমানরা কেন তারাবির নামাজ পড়ে?
উত্তর: প্রত্যেকটা মুসলমান তারাবির নামাজ পড়ে এই কারণে যে তারা মনে করে রমজান মাসে একটি ফজিলত পূর্ণ মাস এবং এই মাস আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদেরকে কোন মাপের জন্য প্রথম আসমানে নেমে আসে। আল্লাহর নৈকট্য এবং সন্তুষ্ট কর্তা অর্জন করার জন্য অতিরিক্ত ইবাদত হিসেবে তারাবির নামাজ আদায় করা হয় এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ ইবাদত।
রাসূলুল্লাহ সা: কয়টি তারাবির নামাজ পড়েছেন জানুন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারাবির নামাজ পড়েছেন এটা প্রমাণিত আছে অনেক দামি দামি হাদিসে যেমন মুসলিম শরীফ, আবু দাউদ, সহি বুখারী, তিরমিজি এ ধরনের অনেক বড় বড় আলেমদের লিখাই মহানবী তারাবি নামাজ সম্পর্কে অনেক তথ্য রয়েছে। কিছু কিছু লেখকেরা প্রমাণ করেছেন যে তারাবির নামাজ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার পড়তেন।
সেই সময় ১১ রাকাত ছিল শায়খ নাসির উদ্দিন আল আল বাতি এর কিতাবে বিভিন্ন যেই উদাহরণ গুলো দেয়া হয়েছে তা থেকে নিশ্চিত হয় তারাবির ১১ রাকাত হওয়া উচিত বলে তিনি আখ্যায়িত করেছেন এবং তিনি সুন্নত বলে আখ্যায়িত করেছেন। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের মতবাদ রয়েছে যেই মতবাদের অনেকেই বিশ্বাস করেন। কে বলেন মহানবী ২০ রাকাত নামাজ পড়েছেন কি এবং তারাবির নামাজের সময় বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে বিভিন্ন দোয়া এবং দুরুদ শরীফ পাঠ করেছেন।
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন দিয়ে বিভিন্ন দলমত রয়েছে এবং অনেক ধরনের মতবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন ধরনের আলেম উনা মারা। কিন্তু আমাদের জানা উচিত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে তারাবির নামাজ আদায় করতেন এবং কি ধরনের দোয়া পাট করতেন। মহানবীর আমলে কত রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা হতো এ বিষয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে। 10 রাকাত কেউ বলে ২০ রাকাত কেউ বলে আট রাকাত। এক্ষেত্রে আমি বলতে চাই আপনি যেই বিশ্বাস স্থাপন করেছেন সেই বিশ্বাস থেকেই ইবাদত করুন।
তারাবির নামাজ কি সুন্নতে মুয়াক্কাদা জানুন
তারাবির নামাজ কি সুন্নতে মুকাদ্দা এই বিষয়ে অনেকের বিভিন্ন ধরনের মতামত রয়েছে আসলে সত্য বিষয়টি সবারই জানা প্রয়োজন। তারাবির নামাজ হচ্ছে রমজান মাসে এশার নামাজের পরে বেতের নামাজ পড়ার পূর্বে যে দুই রাকাত করে অথবা চার রাকাত করে 20 রাকাত নামাজ পড়া হয় তাকে তারাবির নামাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তারাবির নামাজ বিভিন্ন মুসলিম সমাজে বিভিন্ন রাকাত আদায় করা হয়।
কেহ ২০ রাকাত আদায় করে কেহ ৮ রাকাত আদায় করে কেউ বা ৩৬ রাকাত আদায় করে অনেক ধরনের মতামত রয়েছে। কিন্তু মহানবী কি এভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নামাজ আদায় করতেন? না, মহানবী তার জীবন দশায় যে উপায়ে নামাজ আদায় করেছেন সেই উপায় গুলো সম্পর্কে অনেকেই জানে আবার অনেকে জানেন। মহানবী তারাবির সময় নিজে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করতেন এমন অনেক প্রমাণ রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে এবং নিয়ম দোয়া এবং ফজিলত
এশারাও তার চার খলিফার সময়ও ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়া হতো এবং তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া করা হতো এবং বিভিন্ন ধরনের আল্লাহর রাসূল কর্তৃক জ্ঞান পেয়ে থাকতেন সাহাবীরা। মহানবী দুরুদ শরীফ পাঠ করতেন এবং কোরআন থেকে সূরা তেলাওয়াত করে নামাজ পড়াতন। হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু। হযরত আলী আলাইহিস সালাতু সালাম তাদের আমলেও ২০ টাকা তারাবির নামাজ আদায় করা হতো।
রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়তে পড়তে গোটা কোরআন শরীফ খতম দেওয়ার মাধ্যমে সারা মাসের ইবাদত করে তারাবির নামাজ পড়া হয়। সুতরাং এই কারণে এই নামাজকে সুন্নতে মুয়াক্কাদ্দা বলা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারাবির নামাজের সময় কোরআন শরীফের সকল আয়াতগুলো পড়তেন এবং তারাবির নামাজ পড়াতেন। যা থেকে প্রমাণিত হয় যে তারাবির নামাজ সুন্নতে মুয়াকাদ্দা।
তারাবি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: তারাবির কি সুন্নত না নফল?
উত্তর: তারাবির সুন্নত কারণ মহানবী সাল্লাল্লাহু সালাম তারাবির নামাজ পড়েছেন এবং সাহাবীদের কি পড়তে বলেছেন। পবিত্র রমজান মাসে তারাবির নামাজ পুরো মাসব্যাপী পড়া হয়।
প্রশ্ন: সুন্নতে মুয়াকাদ্দা কি?
উত্তর: সুন্নতে মুয়াক্কাদা ওই সুন্নত যার উপর রাসুলুল্লাহ সাঃ এমনভাবে আমল করতেন যেন তার কোন ধরনের সমস্যা না হলে কখনোই সেই নামাজ গাজা করতেন না। পুরুষেরা জামাতে নামাজ পড়া জামাতের জন্য আযান দেওয়া সুন্নত। কিন্তু যে নামাজ কোন সমস্যা ছাড়া নিয়মিত পড়তেই হবে তাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলে।
প্রশ্ন: তারাবে কি বাধ্যতামূলক?
উত্তর: রমজান মাসের রোজা থাকা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ফরজ করা হয়েছে কিন্তু কেউ যদি রোজা থাকে এবং নামাজ পড়ে কিন্তু তারাবির নামাজ না পড়ে তাহলে তার রোজা নষ্ট হয়ে যাবে না। কারণ তারাবির নামাজ হচ্ছে সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তবে সমস্যা ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে না কাজা করা ভালো এতে আল্লাহতলা গুনা লিখতে পারে। কারণ আল্লাহতালা সকল ইবাদত নিষ্ঠার সাথে পালন করা উত্তম।
প্রশ্ন: সুন্নতে মুয়াক্কাদ্দা নামাজ কোনটি?
উত্তর: যে নামাজ রাসুলুল্লাহ সা: ইচ্ছাকৃতভাবে কখনো কাজা করেন এবং সকলকে পড়ার উপদেশ দিয়েছেন। যেমন ঈদের নামাজ মাগরিবের নামাজ এবং তারাবির নামাজ এগুলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজ।
প্রশ্ন: কোন নামাজ কত রাকাত সুন্নত?
উত্তর: ফজরের নামাজ দুই রাকাত সুন্নত, জোহরের নামাজ মোট ১২ রাকাত তার মধ্যে চার রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা, আসরের নামাজ আট রাকাত, মাগরিবের সাত রাকাত, এশার নামাজ কেউ কেউ পুনর রাকাত পড়ে কেউ আবার বেতের নামাজ বেশি করে পড়ে ১৭ রাকাত পড়ে।
তারাবির নামাজের মোনাজাতের দোয়া বাংলায় জেনে নিন
তারাবির নামাজের মোনাজাতের দোয়া বাংলায় জানা থাকলে আপনি যদি আরবি না জেনে থাকেন তাও বাংলার মাধ্যমে এই দোয়া পাঠ করতে পারবেন। আল্লাহতালা প্রত্যেকটি ভাষা হাসির জন্য রাসূল প্রেরণ করেছেন যেন আল্লাহর নিদর্শন সমূহ তার নিজ নিজ মাতৃভাষায় তাদেরকে বোঝাতে পারে। তাই আপনি যদি আরবি না যেতে শুধু বাংলা জানেন তাও বাংলাতে আল্লাহতালার কাছে আপনার মত করে চাইতে পারবেন।
আপনার মনের সকল আশা চাওয়া পাওয়া এবং বিভিন্ন সমস্যাগুলো আল্লাহতলার কাছে বাংলাতে উপস্থাপন করতে পারবেন। যেমন আপনি বলতে পারবেন তারাবির নামাজের সময় যে, আল্লাহতালা আমি আপনার এবং আপনার রাসূলের সন্তুষ্ট এবং খুব রাজি খুশির জন্য তারাবির নামাজ করেছি। তাই আপনি আপনার রাসুলের উসিলায় আমার জীবনের সমস্ত গুনাহ খাতা গুলো মাফ করে দিয়ে আমাকে পবিত্র করে দিন।
কারণ আল্লাহতালা আপনি তো এক এবং অদ্বিতীয় আপনি ছাড়া কোন কোন এলাহ নেই আপনি সকল সৃষ্টির মালিক এবং সকল সৃষ্টির লালন পালনকর্তা। আপনি আপনার সৃষ্টি এবং আপনার বান্দাদেরকে বিশেষ রহমতের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখেন। তাই আমি আমার জীবনের সমস্ত ভুল গুনা খাতা গুলোকে মাফ চেয়ে আপনার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আল্লাহ আপনি দয়ালু তাই আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। (আমিন)
তারাবির নামাজের দুই রাকাত পরপর দোয়া গুলো
তারাবির নামাজের দুই রাকাত পর পর দোয়া গুলো পড়া অনেক ফজিলত এবং রহমত পূর্ণ। তারাবির নামাজ পড়া হয় এশার নামাজের পর এবং বেতের নামাজের পূর্বে। এই তারাবির শব্দের অর্থ হচ্ছে বিশ্রাম আর তারাবির নামাজ তাই বিশ্রাম করে করে পড়া হয়। কেহু দুই রাকাত তারাবির নামাজ পড়ার পর সালাম ফিরিয়ে কিছুক্ষণ সময় বিশ্রাম করে এবং বিভিন্ন দুরুদ শরীফ দোয়া কালাম পড়তে থাকে।
আবার অনেকে রয়েছে যারা চার রাকাত পড়ার পরে বিশ্রাম নেয় এবং বিভিন্ন দোয়া কালাম পড়ে। যে দোয়া কালাম গুলো সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে এই পোস্টটির ভিতরে পোস্টটি ভালোভাবে পড়ার মাধ্যমে জেনে নিল পারবেন বিস্তারিত দোয়া কালাম। এই বিশ্রামের সময় কেউ কেউ দুরুদ শরীফ পাঠ করেন কেউ কুরআনের বিভিন্ন সূরা পাঠ করেন। এছাড়া কেউ আল্লাহতলার জিকিরে রত থাকেন।
আরো পড়ুনঃ শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫ নিয়ত এবং ফজিলত জানুন
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত তারাবির নামাজ মুসল্লিরা রমজান মাসে পালন করে থাকে। মুসলীরা মনে করেন যে এই নামাজ অনেক ফজিলতপূর্ণ এবং বকতময় আল্লাহতালা রমজান মাসের এই নামাজের উসিলায় মানুষের গুনাহ খাতা গুলো মাফ করে দিয়ে পবিত্র করে দিতে পারে। বান্ধারা তাদের গুনাখাতা মাফ করার জন্য আল্লাহতালার কাছে এই ইবাদত করার মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া সম্পর্কে শেষ মন্তব্য
তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া সম্পর্কে যে বিষয়গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি সেই বিষয়গুলো ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন। কি কি দোয়া পাঠ করতে হয় এবং কোন ধরনের ফজিলত রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত উপস্থাপন করেছে। এবং তারাবির সালাতের বিশ্রামের সময় দুরুদ শরীফ পার্থক্য করতে পারবেন।
মহানবীর দেখিয়ে দেওয়া ইস্তেগফার পড়তে পারবেন এবং আল্লাহর জিকির করতে পারবেন। তারাবির নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হিসেবে মুসল্লিরা পালন করে। এই নামাজ পড়ার মাধ্যমে বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায় এবং আল্লাহর নৈকত্ব পাওয়া যায় বলে অনেক আলেমগণ বিভিন্ন হাদিস লিখেছেন। যা থেকে প্রমাণে হয় তারাবির নামাজ অনেক ফজিলতপূর্ণ এবং মর্যাদাময়ী একটি ইবাদত আল্লাহর দরবারে।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url