বিশেষ ফজিলতপুর্ণ তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের আমল বিস্তারিত জানুন
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের বিস্তারিত জেনে রাখা প্রয়োজন মুসলিম নারীদের যে সকল আকিদা জেনে তারাবির নামাজ পড়তে হয়। সে সকল বিষয়ে কোরআন হাদিসের ভিত্তিতে কি ধরনের নিয়ম কানুন রয়েছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
মহানবী সা: সময়ে ইসলাম ধর্ম মানুষের জীবনের চলার দিক কে পরিবর্তন করে চরম উন্নতির দিকে নিয়ে এসেছে। তিনি তার সাহাবীদের নিয়ে তারাবির সালাত আদায় করতেন রমজান মাসের মত ফজিলতপূর্ণ মাসে তিনি ইবাদত করার জন্য বিশেষ নিয়ামতের কথা উল্লেখ করে গেছেন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন ও দোয়া মহিলাদের বিশেষ আমল গুলো বিস্তারিত জানুন
- তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের বিস্তারিত
- তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল ইবাদত
- তারাবির নামাজের সময় কখন জেনে নিন
- তারাবি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
- তারাবির নামাজের মোনাজাতের দোয়া জেনে রাখুন
- তারাবির নামাজের দোয়া সুবহানা জিল মূলকি
- তারাবির নামাজের নিয়ম সংক্ষেপে জেনে নিন
- সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
- সৌদি আরবের তারাবি কত রাকাত জেনে নিন
- তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের নিয়ে লেখক এর শেষ মন্তব্য
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের বিস্তারিত
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের অত্যন্ত প্রয়োজন জেনে রাখা। এর সবচাইতে মূল কারণ হচ্ছে মেয়েরা বেশিরভাগ সময় বাড়িতে নামাজ আদায় করে। যদিও ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী মসজিদে আলাদা সেপারেট ভাবে মহিলাদের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে তারপরে অনেক মহিলা রয়েছে যারা বাড়িতে নামাজ পড়ে। মহানবীর দেখানো পথ অনুযায়ী তারাবির নামাজ নিয়ম কানুন মেনে পড়ার জন্য আপনাকে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে।
প্রথমে আপনাকে ওজু করে পবিত্র হয়ে নিতে হবে। এবং এশার সালাত আদায় করতে হবে এশার সালাত আদায় করা হয়ে গেলে বাংলা অথবা আরবি নিয়ত বাঁধ হতে হবে। প্রথমে আরবি কি নিয়ত রয়েছে সেটা জেনে নিন, তারাবি নামাজের নিয়ত মহিলাদের জন্য নওয়াইতুন আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা, রাকাআতায় সালাতীত তারাবিহ্ সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তাআলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জোহাতিল কাবাতির শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
এছাড়া আপনি আরবি না জানলে বাংলাতে নিয়ে করতে পারেন এভাবে আমি আল্লাহর এবং আল্লাহর রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য তারাবির দুই রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা আদায় করব আল্লাহু আকবার। প্রথমে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়াটি পরিণত হবে এবং তারাবির নিয়ত যেটি উপরে উল্লেখিত আছে বাংলা অথবা আরবিতে আপনি পড়ে নিতে পারবেন। এবং নামাজের জন্য দায় ও নামাজে দাঁড়িয়ে যেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ শবে কদরের নামাজের নিয়ম অনুযায়ী আমল করার ১০টি টিপস
জায়নামাজে দাঁড়ানোর দোয়াটি জেনে নিন, ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজহিয়া লিল্লাজি ফাতারচ্ছামাওয়াতী ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। এই দোয়াটি জায়নামাজে দাঁড়িয়ে পড়তে পারবেন এটা হচ্ছে জায়নামাজের দোয়া। জায়নামাজের দোয়া পড়ার পরে তারাবির নামাজের নিয়ত করে নিতে হবে এবং হাত তুলে আল্লাহু আকবার বলে একটি ছানা পড়তে হবে। ছানাটি পড়া হয়ে গেলে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
সূরা ফাতিহা পড়ার পরে একটি সূরা পড়ে নিতে হবে সাথে। এরপর নামাজের মত রুকু সেজদায় যেতে হবে এবং সুবহানা রাব্বিল আজিম পড়তে হবে তিনবার। এরপর সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা বলে উঠে দাঁড়াতে হবে। এবং সেজদায় চলে যেতে হবে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পড়তে হবে তিনবার। সেজদা দিয়ে উঠে দুই সিজদার মাঝখানে যে দোয়াটি পড়তে হয় সেটা আল্লাহুম্মা মাগফিরলি, ওয়ারহামনি ওয়াদিনি ওয়া আফিনি ওয়ারজুকনি।
এরপর তৃতীয় সেজদা দিতে হবে এবং সুবহানা রাব্বিল আলা তিনবার পর স্বাভাবিকভাবে উঠে দাঁড়াতে হবে। আবার বিসমিল্লাহ সহকারে সূরা ফাতিহা পড়াবার সাথে কুলহু সূরা অথবা যেকোনো একটি সূরা পড়তে পারেন। এরপর রুকু সেজদা যেতে হবে এবং পূর্বের নিয়মের রুকু সেজদা করতে হবে। রুকু সেজদা থেকে উঠে পুনরায় আবার সেজদা দিতে হবে। দুই সেজদার মাঝখানের দোয়াটি পড়তে হবে এবং সেজদাটি কমপ্লিট করে উঠে বসতে হবে।
আত্তাহিয়াতু পড়তে হবে এটা সবাই জানে তাই লিখে দিলাম না। কারণ সকল নামাজের ক্ষেত্রে আত্তাহিয়াতু পড়তে হয়। এরপর দুরুদ শরীফ পড়তে হবে। এরপর দোয়ায়ে মাসুরা পড়তে হবে। এবং দোয়ায় মাসুরা পড়া হয়ে গেলে সালাম ফিরিয়ে নিতে হবে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ বলে দুই দিকে। এবং এরপর আবারো দুই রাকাত নামাজ এভাবে ২০ রাকাত অথবা ৮ রাকাত যায় যেভাবে পড়েন তাই হিসেবে পড়ে নতে পারবেন।
তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল ইবাদত
তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল ইবাদত এই সকল বিষয়ে অনেকের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আছে যে আসলেই তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল। তাহলে চলুন সঠিক বিষয়টি জেনে নেই এবং সুন্নত নাকি নফল এটা বিস্তারিতভাবে জানি। পবিত্র মাহে রমজানে তারাবির নামাজ পড়ার মাধ্যমে বিশেষ গুনাহ পাওয়া যায় এবং আল্লাহর কাছ থেকে রহমত প্রাপ্তি হওয়া যায়। তারাবির নামাজ হচ্ছে সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজে তারাবির নামাজ পড়তেন এবং তার সাহাবীদের কে তারাবির নামাজ পড়ার উপদেশ দিয়েছেন। পবিত্র রমজান মাসে জান্নাতের সকল দরজা খুলে রাখা হয় এবং জাহান্নামের দরজা গুলোকে বন্ধ করে রাখা হয়। এ ধরনের ধারণায় অনেকে বিশ্বাস করেন। তারাবির নামাজ দুই রকম উপায় অবলম্বন করে পড়া যায়। সেই উপায়ের যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করে তারাবির নামাজ সম্পন্ন করতে পারবে।
আরো পড়ুনঃ শবে কদরের নামাজের নিয়ম অনুযায়ী আমল করার ১০টি টিপস
একটি হচ্ছে সালাতুত তারাবি নামাজ এই উপায়ে তারাবির নামাজ পড়ার সময় সূরা ফাতিহার সাথে যে কোন সূরা দিয়ে নামাজ শেষ করা হয় তাই এই উপায়ে তারাবি পড়তে তাকে সালাতুত আরবি বলা হয়। এবং অন্য উপায়টি হচ্ছে খতমে তারাবি; খতমে তারাবির নামাজ পড়ার মাধ্যমে ইমাম সাহেব পবিত্র কুরআনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল সূরা গুলো পড়ে শেষ করে পুরো মাসের ভিতরে অর্থাৎ রমজান মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গোটা কুরআন খতম দিয়ে তারাবি পাঠ করা হয় তাই খতমে তারাবি।
তারাবির নামাজের সময় কখন জেনে নিন
তারাবির নামাজের সময় জানা প্রয়োজন কারণ তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের জানা থাকলে তারা বাসায় বসে বাসায় থেকে তারাবির নামাজ আদায় করতে পারবে একাকী অথবা পরিবারের সকলের সাথে। তাই তারাবির নামাজের সময় চেনে রাখা প্রয়োজন। প্রত্যেকটা কাজেরই একটি নির্দিষ্ট সময় আছে সেই সময় কাজটি করলে বেশি ফল পাওয়া যায় ঠিক তেমনই প্রত্যেকটি ইবাদতরে একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে।
তারাবির নামাজের উপযুক্ত সময় হচ্ছে এশার সালাত শেষ করে বেতের নামাজ পড়ার পূর্বে তারাবির নামাজের নিয়ত বেঁধে তারাবির নামাজ পড়ে নিতে হবে। তারাবির নামাজ দুই রাকাত করে নিয়ত করে পড়তে হয়। অনেক মতবাদ রয়েছে কেহ ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়ে কেউ ৮ রাকাত তারাবির নামাজ পড়ে কেউ আবার ৩৬ টাকার তারাবির নামাজ পড়ে। আসলে মহানবীর আমলে বা মহানবীর শাসনামলে তার খলিফাদের শাসনামলে কেমন অবস্থা ছিল সেটা আমাদের জানা প্রয়োজন।
মহানবী এবং মহানবীর চার খলিফার শাসনামলে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়া হতো আরব সমাজে। মহানবী নিজে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করতেন এবং তাদের সাহাবীদেরকে ২০ রাকাত আদায় করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান আরবের ২০ রাকাতের জায়গায় ১০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। এসব বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে তারাবির নামাজ আদায় করা হয় যা আমাদের অনেকেরই জানা এবং অনেকের অজানা।
তারাবি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: শুধু দুই রাকাত তারাবি যাবে কি?
উত্তর: রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের বাণী অনুসারে তারাবি চার আট রাকাত লম্বা হয়। এটি আপনার সাধারণ সালাতের মতো যেখানে তারাবির পরপর দু'রাকাত এর পাঠ করা হয়। সুতরাং একটি তারাবীহের জন্য ২০ রাকাত দীর্ঘতম এবং দুটি রাকাত সবচেয়ে ছোট তাই আপনি দুই রাকাত করে রেস্ট করতে পারবেন এবং ২০ রাকাত অথবা 8 রাকাত পড়তে হবে।
প্রশ্ন: তারাবি কত রাকাত হারাম?
উত্তর: মহানবী তার সাহাবীদেরকে ২০ রাকাত পড়িয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে মসজিদে নববীতে এবং মসজিদুল হারামে ২০ রাকাতের পরিবর্তে ১০ রাকাত পড়া হয় এবং বেতের তিন রাকাত পড়া হয়।
প্রশ্ন: তারাবির নামাজ না পড়লে কি রোজা নষ্ট হবে?
উত্তর: তারাবির নামাজ খুবই রহমত পূর্ণ কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়। কারণ রোজা হচ্ছে মুসলিমের জন্য ফরজ আর তারাবিতে সুন্নতে ময়াক্কাদা। এ থেকে বোঝা যায় তারাবির নামাজ না পড়তে পারলেও রোজা নষ্ট হবে না। তবে সুস্থ থেকে নামাজ না পড়লে সেই ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবেন।
প্রশ্ন: সৌদি আরবে তারাবি কত রাকাত?
উত্তর: সৌদি আরবে বর্তমানে তারাবির নামাজ ১০ রাকাত এবং তিন রাকাত বেতের নামাজ পড়া হয়।
প্রশ্ন: তারাবি সম্পর্কে কুরআনে কি বলে?
উত্তর: তারাবির নামাজের কথা কোরআনে উল্লেখ করা নেই। বিভিন্ন হাদিসে এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে। এমনকি কোরআনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কথা উল্লেখ করা নেই। আমার সম্পর্কে কোরআনের শুধুমাত্র ৮২ বার বলা হয়েছে।
তারাবির নামাজের মোনাজাতের দোয়া জেনে রাখুন
তারাবির নামাজের মোনাজাতের দোয়া জেনে নিন এবং এই দোয়াটিকে তারাবি নামাজ পড়ার সময় ব্যবহার করতে পারবেন। বিশেষ করে তারাবির নামাজের নিয়ম মহিলাদের জানা প্রয়োজন এবং মোনাজাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। কারণ মহিলারাবির নামাজ বেশিরভাগ সময় বাড়িতে পড়ে থাকে এর জন্য যেহেতু তারা একা নামাজ পড়ে তাদের বেশি জানা প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ শবে বরাত ২০২৫ কত তারিখে এবং নিয়ম দোয়া এবং ফজিলত
তারাবির নামাজের মোনাজাতের দোয়া, আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা নউজুবিকা মিনান্নার। ইয়া খালিকাল জান্নাতি ওয়াননার। বিরাহমাতিকা ইয়া আজিজু, ইয়া গাফফারু ইয়া কারিমু, ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু, ইয়া জাব্বার, ইয়া খালি কইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্নার। এটি হচ্ছে মোনাজাতের দোয়া এই দোয়া পাঠ করে মোনাজাত করতে হয়। এছাড়া আপনি যদি আরবি দোয়া না জানেন তাহলে বাংলাতে আল্লাহর কাছে মর্যাদাত করতে পারবেন।
আল্লাহতালা সকল ভাষার জানেন এবং বুঝেন তাই আপনি ইচ্ছা করলে বাংলা ভাষাতেও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে এবং বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে সে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি চেয়ে মোনাজাত করতে পারেন। একটি কথা বলে রাখতে হয় যে অনেকেই মনে করেন যে তারাবি নামাজের দোয়া না জানলে তারাবি নামাজ হবে না এটা ভুল কথা তারাবি নামাজ মন থেকে খাস নিয়তে করলে আল্লাহ কবুল করে নেবে।
তারাবির নামাজের দোয়া সুবহানা জিল মূলকি
তারাবি নামাজের দোয়া, সুবহানা জিল মুলকী ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইজ্যাতি ওয়াল আজমাতি ওয়াল হাই বাতি ওয়াল কুদরতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়ালা ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়েল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামত আবাদান আবাদ, সুবুহুন কুদ্দুসন রব্বুনা ওয়ার আবুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ। এই দোয়াটি আরবিতে পাঠ করে আপনারা তারাবির নামাজের দোয়া হিসেবে পড়তে পারেন।
তারাবির নামাজ পড়তে হলে তারাবির নামাজের দোয়া জানা প্রয়োজন কারণ তারাবি নামাজের দোয়া পড়লে বেশি ফজিলত পাওয়া যায়। তারাবি পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈত্র এবং সকল পাপকে জীবন থেকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে পবিত্র হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। তারাবির নামাজ দুই রাকাতে পড়ে যখন চার রাকাত হয় তখন একটু সময় বিরত দেওয়া হয় সেই বিরুদ্ধ সময়ে এই দোয়াটি পাঠ করতে পারেন।
অথবা আল্লাহর রাসূলের যে দুটি ইস্তেগফার রয়েছে সে দুটি বেশি বেশি পাঠ করতে পারেন সেই ইস্তেফাক দুটি নিচে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন, তহিব্বুল আফুওয়া, ফাফু আন্নি। এটা পড়ে অনেক বেশি বেশি সওয়াব পাওয়া যায় বলে প্রচলিত রয়েছে তাই আপনি এই দোয়াটি পড়তে পারেন পাশাপাশি আরো একটি যে দোয়া রয়ে সেটি আপনাদের সামনে এখন উপস্থাপন করবো। যেন আপনারা এই দুটা আমল করতে পারেন এবং অনেক সওয়াব হাসিল করতে পারেন।
আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা ফালাকতানি, ওয়ানা আবদুকা ওয়া আনা আলা আ-হদিকা ওয়া দিকা মাসতাতাতু, আউযুবিকা মিন শারি মা সানাতু আউস লাকা বিনি মাতিকা আলাইয়া, ওয়া আবুউ বিজম্বি ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা। উল্লেখিত আমলগুলো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে করেছিলেন তার ভক্তদেরকে এবং অনুশাড়িদেরকে করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তারাবির নামাজের নিয়ম সংক্ষেপে জেনে নিন
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের সংক্ষেপে জানার জন্য আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে আসেন তাহলে ঠিক জায়গায় করেছেন খুব সহজেই জানতে পারবেন তারাবির নামাজের নিয়ম। তারাবির নামাজের নিয়ম হলো পবিত্র রমজান মাসে এশার নামাজের পরে বেতের নামাজ পড়ার পূর্বে তারাবির নামাজের নিয়ত করে দুই রাকাত তারাবি আদায় করতে হয়। এবং এইভাবে দুই রাকাত করে কেউ কেউ ২০ রাকাত পর্যন্ত পড়ে। আবার কেউ ৩৬ রাকাত পর্যন্ত পড়ে বলে হাদিসে জানা গেছে।
এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের নামাজ যে দোয়া গুলো ব্যবহার করা হয় সেই দোয়া গুলো ব্যবহার করে নামাজ পড়তে পারবেন। তারাবির নামাজের নিয়ত সুন্নতে মায়াক্কাদা। এই নামাজ পড়ে রোজা রাখলে আল্লাহতালা অশেষ রহমত প্রাপ্ত হওয়া যায় এই মাসটি আল্লাহর কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য ইবাদত বন্দি কি করর জন্য আল্লাহতালা গুনাহ মাফ করে থাকেন। হাদিসে বর্ণিত আছে তারাবির নামাজ আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক মর্যাদা।
আরো পড়ুনঃ শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫ নিয়ত এবং ফজিলত জানুন
তাই আল্লাহ তাআলা রাসূলের মাধ্যমে তার বান্দাদের কাছে এই নামাজের ফজিলত এবং গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত করেছেন। মহানবী সহ তার প্রিয় চার খলিফার আমলে 20 রাকাত করে তারাবির নামাজ পড়ানো হতো বলে প্রমাণ রয়েছে। তাই আপনিও তারাবির নামাজের নিয়ম কনুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সঠিক উপায়ে তারাবির নামাজ আদায় করুন। আরো বিস্তারিত জানার জন্য পুনরায় পোস্টটি ভালো করে পড়ে নিন।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন: তারাবি কি ৮ রাকাত পড়া যায়?
উত্তর: বিশেষ করে আহলে হাদিস এবং হানাফিরা 8 রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করে। এ বিষয়ে হাদিসে কোন নিষেধ আজ্ঞা নেই পড়তে পারা যাবে এমন অনেক রোজি রয়েছে এবং অনেক ওলামায়ে গ্রাম রয়েছে যারা মন্তব্য দেয় রাকাত পড়া জায়েজ।
প্রশ্ন: ১২ টার পর তারাবির নামাজ পড়া যাবে কি?
উত্তর: অনেকে জানতে চান তারাবির নামাজ ১২ টার পর পড়া যাবে কিনা। এ বিষয় নিয়ে হাদিস শরীফে কোন নিষেধ নেই। তবে এশার নামাজের পর পড়লে ভালো হয়। এছাড়া উল্লেখ রয়েছে যে এশার নামাজের পর থেকে শুরু করে ফজরের নামাজের আগ পর্যন্ত এই নামাজ আদায় করা যায়। আরো বিস্তারিত জানার জন্য বিভিন্ন হাদিস শরীফ বিশ্লেষণ করতে পারেন।
প্রশ্ন: ঘুমানোর পর তারাবির নামাজ পড়া যাবে কি?
উত্তর: বিভিন্ন হাদিসে রয়েছে ফরজের নামাজ এর পূর্ব পর্যন্ত তারাবির নামাজ পড়া যাবে যদি আপনি না ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে। এবং ঘুমানোর পর জাগ্রত হওয়ার পর আপনি যদি স্বেচ্ছায় নামাজ দেন তাহলে তাকে তাহাজ্জুদ বলে গণ্য করা হবে। কোন কোন আলেমেরা এশার নামাজের দুইটি সুন্নত চারটি ফরজ এবং দুট সুন্নত হিসেবে আদায় করে।
প্রশ্ন: তারাবি ও তাহাজ্জুদ কি এক?
উত্তর: যখন কিয়ামুল লাইল, তাহাজ্জুদ বা তারাবি শব্দটি পৃথকভাবে ব্যবহার করা হয়। তখন তা দ্বারা একই জিনিস বোঝায় একে অপরের সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। রমজানের সময় তারাবি শব্দটি ব্যবহার করা হয় এবং এমনি অন্য সময়ে ইবাদতকে তাহাজ্জুদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রশ্ন: তারাবির পর নফল নামাজ পড়া যাবে কি?
উত্তর: তারাবির পর বিতর ওয়াজিবের আগে অবশ্যই নফল নামাজ আদায় করা। আপনি ব্যক্তিগতভাবে দু'রাকাত সালাত তওবা দুই রাকাত সালাতুল শুকুরের নামাজ পড়ার পর বিতরের নামাজ ওয়াজিব দিয়ে শেষ করতে পারবেন।
তারাবি নামাজের নিয়ত আরবিতে জানুন
তারাবি নামাজের নিয়ত আরবিতেঃ নাওয়াইতু আন উসালিয়া ল্লিলাহি তাআ'লা, রাকাআ'তাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসুল্লিলাহি তাআ'লা। মুতাওয়াযজ্জিহান ইলা যিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
نويت ان اصلى لله تعالى ركعتى صلوة التراويح سنة رسول الله تعالى متوجها الى جهة الكعبة
ইমামের পিছনে তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম
সৌদি আরবের তারাবি কত রাকাত জেনে নিন
সৌদি আরবের তারাবি কত রাকাত না জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই জেনে নিন এই আর্ট পড়ার মাধ্যমে এখানে তারাবি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি তারাবি সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই জেনে নেবেন। কারণ তারাবিত কোন ধরনের দোয়া পাঠ করতে হয় এবং কি নিয়মে তারাবি পড়তে সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আসলে সৌদি আরবে কত রাকাত তারাবি নামাজ আদায় করা হয় সেই বিষয়ে অনেকেরই না জানা থাকতে পারে।
সৌদি আরবের তারাবির নামাজ রচনা মহানবী সা: আমলে ২০ রাকাত পড়া হতো এবং তাদের সাহাবীদের আমলেও ২০ রাকাত পড়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আলেম সংস্থা পরিবর্তন করে সৌদি আরবে এখন ১০ টাকা তারাবির নামাজ পড়া হয় এবং তিন রাকাত বেতের নামাজ পড়া হয়। এই পরিবর্তনের কারণ আমার জান নাই আপনার জানা থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম ভাবে তারাবির নামাজ আদায় করা হয়।
বাংলাদেশের কিছু কিছু আলেম রয়েছে যারা ৮ রাকাত তারাবি নামাজ পড়ে আবার কিছু কিছু আলেম রয়েছে যারা ২০ রাকাতের নামাজ পড়ে। এশারা বেতের নামাজ কেউ তিন রাকাত পড়ে কেউ আবার এক রাকাত পড়ে এভাবেই অনেক ধরনের মতামত রয়েছে। আপনি যে মতবাদে বিশ্বাসী সেই ভাবে পড়বেন আল্লাহতালা সকল বিষয়ে অবগত এবং সকলের মনের খবর জানেন। এর জন্য আপনি খাসনিয়াতে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করতে পারেন। তাহলে ২০ অথবা ১০ রাকাত সব জায়গায় আল্লাহ খুশি হবেন।
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের নিয়ে লেখক এর শেষ মন্তব্য
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের জানা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ আমরা প্রতিবছর রমজান মাসে তারাবির নামাজ আদায় করে থাকি এবং আল্লাহ তাআলার কাছে গুনাহ খাতা মাফ করার জন্য আরজি জানিয়ে থাকি। ইসলাম ধর্মের কিছু কিছু দল রয়েছে যারা বিশ্বাস করেন যে, তারা বিশ্বাস করেন তারাবি নামাজ পড়ার মাধ্যমে গুনামত পাওয়া যায়। এবং রমজান মাসে আল্লাহতালা বিশেষ রহমত নাযল করেন তার উম্মতের উপর বা বান্দাদের উপর।
এর ভিতরে আপনি জানতে পারবেন তারাবির নামাজের নিয়ম তারাবির নামাজের নিয়ত বিভিন্ন দোয়া এবং মোনাজাত সম্পর্কে বিস্তারিত তা আপনার অনেক উপকারে আসবে। বিশেষ করে মহিলাদের কিভাবে নামাজ পড়তে হয় তার বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়েছে এই পোস্টের ভেতরে যেখান থেকে আপনি জেনে নিয়ে বাসায় একা একা তারাবির নামাজ পড়তে পারবেন। উল্লেখিত তথ্যগুলো আপনার ভালো লাগলে সকলের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url