বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম এবং ৯ টি কার্যকারি টিপস

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানলে আপনি খুব সহজেই বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনাকে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়, লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে টিকিট সংগ্রহ করা অনেক কষ্টদায়ক। 

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

তাই এই কষ্ট থেকে বাঁচার জন্য খুব সহজেই কোন ধরনের টেনশন ছাড়া আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করে কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ বিকাশে ও অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম এবং ৯ টি কার্যকারি টিপস 

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানুন  

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে সেখান থেকে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। ট্রেনের টিকিট মোবাইলে বিকাশে কাটার জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে এবং যে উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি ট্রেনের টিকিট বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে কাটতে পারবেন। তার নিয়ম গুলো সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো। 

প্রথম ধাপটি হলো: প্রথম ধাপে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনার মোবাইলে একটি বিকাশ একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এর জন্য মোবাইলে প্লে স্টোর থেকে বিকাশ একাউন্ট ইন্সটল করে নিতে হবে এবং সেখানে আপনার নিজস্ব ফোন নাম্বার দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে যে অ্যাকাউন্টটিতে বিকাশ একাউন্ট খোলা আছে। এবং তার পর বিকাশ একাউন্টে লগইন করতে হবে।

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

দ্বিতীয় ধাপ: বিকাশ অ্যাপস এর প্রথম লগইন করার পর আপনার সামনে যে ইন্টারফেসটি চলে আসবে, সেখানে বাংলাদেশ রেলওয়ে লেখা থাকবে এবং উপরে বাংলাদেশ রেলওয়ে লোগো দেওয়া থাকবে সেই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে হবে। 

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

তৃতীয় ধাপ: তৃতীয় ধাপে আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইট এর ভিতরে প্রবেশ করতে হবে এবং আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস চলে আসবে সেখানে কিছু কন্ডিশন দেওয়া থাকবে সেই কন্ডিশন গুলো পড়ে নিয়ে আপনি I agree লিখাতে চাপ দিতে হবে।

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

 চতুর্থ ধাপ: তৃতীয় ধাপটি পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস চলে আসবে, এখানে বিভিন্ন ধরনের ইনফরশন দিতে হবে, কোথায় যাবেন, গাড়িতে কখন উঠবেন, নামবেন কোথায়, কোন ধরনের ছিটে বসতে চান এ ধরনের অনেক প্রশ্ন থাকবে কোন তারিখে যেতে চান সকল তথ্যগুলো পূরণ করার মাধ্যমে আপনি টিকিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

পঞ্চম ধাপ: উপরে উল্লেখিত সকল ধাপ পূরণ করা হয়ে গেলে আপনাকে সাসটেন এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এবং আপনার যদি টিকিট অ্যাভেলেবল থাকে সেই ডেস্টিনেশনে অথবা টিকিট না থাকে তবুও সব ধরনের ইনফরমেশন শো করবে। 

ষষ্ঠ ধাপ: যদি টিকিট অ্যাভেলেবল থাকে তাহলে আপনাকে একটি অপশন দেয়া হবে টিকিট কিনুন সেখানে ক্লিক করতে হবে। একই সাথে ট্রেনের সকল তথ্য সেই ওয়েবসাইটের ভিতরে দেওয়া থাকবে কখন কোন ট্রেন যায়, কতক্ষণ সময় থামে, এবং কোন সময় আবার যাত্রা শুরু করে এসকল বিষয়ে বিস্তারিত দেওয়া থাকবে যা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নির্ধারণ করে ব্যবহার করতে পারেন। 

ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস এন্ড্রোয়েড ফোনের 

বিকাশের ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি দেখি উপায় গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট খুব সহজেই বিকাশ অ্যাপ থেকে কাটা যায়। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন থেকে যায় যে কোন কোন অ্যাপস দ্বারা ট্রেনের টিকিট কাটা যায়। ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য সবচাইতে গ্রহণযোগ্য এবং কার্যকরী একটি হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে যে অ্যাপসটি রয়েছে সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে সেবা দেয়। 

আরো পড়ুনঃ বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস এর মধ্যে আরো যে সকল অ্যাপস রয়েছে তার মধ্যে বিকাশ অ্যাপস দিয়ে টেনে টিকিট কাটা যায়। এছাড়া আরো একটি অ্যাপস রয়েছে যা প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সেটি হচ্ছে Rail sheba এই অ্যাপসটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে ও আপনার মোবাইল থেকে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন এতে তেমন কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। 

উল্লেখিত অ্যাপস ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে কোন ঝামেলা পোহানো ছাড়াই আপনি ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে অথবা বিভিন্ন এই অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে ট্রেনের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং প্রয়োজনে ট্রেন টিকেট ক্রয় করতে। আশা করে বুঝাতে পেরেছি কি ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। এবং সহজেই তা ব্যবহার করে আপনি বিশেষ উপকারিতা পাবেন। 

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্ন: ট্রেনের টিকিট কিভাবে কাটতে হয়? 

উত্তর: ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করা যায়। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়, বিভিন্ন অ্যাপস এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়, রেলওয়ে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (https://e-ticket.railway.gov.bd/) অথবা রেল সেবা অ্যাপস ব্যবহার করে আপনি রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে সেখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

প্রশ্ন: ট্রেনের কাউন্টারের টিকিট বুক করা যাবে কি? 

উত্তর: রিজার্ভেশন কাউন্টার এর রিজার্ভেশনের অনুরোধ গুলি ট্রেনের নির্ধারিত প্রস্থানের 4 ঘণ্টা আগে গৃহীত হয় তারপরে স্টেশন গুলি বর্তমান কাউন্টার গুলিতে ট্রেনের নির্ধারিত প্রস্থানের একঘন্টা আগে এবং তারপরে রিজার্ভেশন করা হবে টিকিট কালেক্টর দ্বারা। 

প্রশ্ন: ট্রেনের কারেন্ট টিকিট কিভাবে পাবো?

উত্তর: একটি বর্তমান বুকিং টিকিট অর্জন করতে টিকিটগুলো অবশ্যই 4 ঘণ্টা আগে বুক করে রাখতে হবে। কারণ সাধারণত ট্রেন ছাড়ার 4 ঘণ্টা আগে তার চার্ট তৈরি করে নেওয়া হয়। নির্দিষ্ট আসন পাওয়া গেলে সেগুলো বিদ্যমান রিজার্ভেশন এর মাধ্যমে বুকিং এর জন্য উপলব্ধি করা হয়। 

প্রশ্ন: চার্ট তৈরি করার পর কি ট্রেনের টিকিট বুক করা যায়?  

উত্তর: রেলওয়ে দ্বারা নির্ধারিত বিদ্যমান বুকিং সময়সীমার মধ্যে চ্যাট করার পরে বর্তমান বুকিং অনুমোদিত হয়। 

প্রশ্ন: ওয়েটিং টিকিট কনফার্ম কিভাবে করবো? 

উত্তর: ট্রেনের টিকিটের উপরের বামনে পাওয়া 10 সংখ্যার PNR স্ট্যাটাস বোতামে যান। এটি আপনার ট্রেনের টিকিটের সঠিক PNR স্ট্যাটাস সহ সেই সাথে অপেক্ষা বালিকার পূর্বাভাস আপডেট ফেরত দেবে এখান থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে কনফার্ম হয়েছে কিনা। 

ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম অনলাইনে 

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানা থাকলে আপনি যেমন খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে কাটতে পারবেন। সেই সাথে ট্রেনের টিকিট কাটার অনলাইন নিয়ম জানা থাকলে আপনি অনেক সময় টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটতে পারেন অনেক ধরনের ঝামেলা বা কষ্ট সহ্য করতে হয়। এই সকল কষ্ট থেকে বেঁচে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করার জন্য অনলাইনে যে ব্যবস্থাগুলো রয়েছে তাকে অনলাইন টিকিট বলা হয়। 

এর জন্য আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হল অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বারা একটি ওয়েবসাইট পরিচালিত করা হয় ওয়েবসাইটটি রেজিস্ট্রেশন করে তার মধ্যে আপনার প্রয়োজনমতো টিকিট কাটতে পারবেন। আপনি যে সময় যাবেন এবং কোথায় যাবেন কোন তারিখে যাবেন এই ধরনের সকল সুবিধা দেওয়া থাকবে সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে যা খুব সহজে রেজিস্ট্রেশন করে ব্যবহার করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট এর সুবিধা ও অসুবিধা 

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যে এই ওয়েবসাইটটি খুলেছে তার ঠিকানাটি এখানে দেওয়া হলো আপনি ইচ্ছে করলে সরাসরি সেখানে প্রবেশ করতে পারেন (https://e-ticket.railway.gov.bd/) এই লিংকের ভিতরে ঢুকে আপনি ওয়েবসাইটের রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবেন এবং রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে প্রথমে এনআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর, বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে, সাবমিট করলে আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি অপশন পিন নম্বর আসবে।

সেটা পূরণ করার মাধ্যমে আপনি রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন এবং আপনার প্রয়োজনমতো সময় নির্ধারণ করে সেখান থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন এবং বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া আসার জন্য ট্রেন ব্যবহার করতে পারবেন। উল্লেখিত নিয়মটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে অনলাইনে ট্রেনের টিকিটটি সংগ্রহ করতে পারবেন এবং সেই টিকিট ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন। 

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময় 

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময় জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে টিকিট কাটার সময় ব্যবহার করে খুব সহজেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। তাছাড়া আপনাকে পোহাতে হবে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা। সরাসরি টিকিট কাটার জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয় যেমন টিকিট কাউন্টারে গিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অনেক সময় সময়ের কারণে বিরক্ত হতে হয়। 

দাঁড়িয়ে থেকে অনেক সময় দেখা যায় টিকিট সীমিত থাকার কারণে টিকিটের দাম বেড়ে যায় এবং এছাড়া আরো নানান ধরনের সমীক্ষা সম্মুখীন হতে হয় টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটার সময় অথবা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার জন্য টিকিট নিয়ে এই ঝামেলা গুলো পোহাতে হয়। তাই খুব সহজে ঝামেলা ছাড়া যদি ঠিক বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে চান তাহলে জেনে নিন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময়। 

এই সময়ের মধ্যে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট পাবেন অনলাইনে। তাহলে চলুন কিভাবে ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটবেন সেই ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যা আপনাদের ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য সুবিধা হবে, rail sheba ওয়েবসাইট যা বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে মানুষের সেবার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে এই ওয়েবসাইটটিতে। আর অনলাইনে সবচাইতে সঠিক সময় হচ্ছে সকাল ৮ থেকে রাত ১১:৫৯pm পর্যন্ত। 

ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কাটা যায় 

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জেনে যখন আপনি টিকিট কাটতে আগ্রহী হবেন এবং সেই নিয়মগুলো অবলম্বন করে টিকিট কাটতে যাবেন তখন আপনার মনে চিন্তা হতে পারে যে ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কেটে রাখা যায়। এবং এই বিষয়টা জানা থাকলে আপনি খুব সহজে এই ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কাটলে আপনি ট্রেনের টিকিটট ব্যবহার করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী ট্রেনের টিকিট কেটে রাখতে পারবেন। 

একটি সময় ছিল যেখানে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য অগ্রিম যে সময় দেয়া ছিল তার মধ্যে 10 দিন উল্লেখ করা ছিল। সে সময় মানুষ 10 দিন আগে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে রাখতে পারতো এবং সেই টিকিট ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে যেত। বর্তমানে এই নিয়ম পরিবর্তন হওয়ার কারণে ট্রেনের টিকিট এখন আর 10 দিন আগে কেটে রাখা যায় না। ট্রেনের অগ্রিম টিকেট শুধুমাত্র 5 দিন আগে কেটে রাখা যায়।

আরো পুড়ুনঃ বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম ও টিপস  

উদাহরণ স্বরূপ: আপনি যদি 6 তারিখে কোথাও বেড়াতে যেতে চান বা ট্রেনের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনাকে অগ্রিম টিকিট কাটার জন্য 1 তারিখের টিকিট সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তাহলে আপনি সেই টিকিট ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও যদি কেউ সেই টিকিট পাঁচ দিন আগে কেটে রাখার পরেও ব্যবহার করতে না চায় তাহলে ফেরত দেওয়ার জন্য 24 ঘন্টা আগে সার্ভিস চার্জ কর্তন করে টিকিট ফেরত দিতে হবে। 

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্ন: ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে কতদিন লাগে? 

উত্তর: সাধারণত একটি ট্রেনের টিকিট কাটার পর যদি কেউ সেই টিকিটটি ব্যবহার না করে ফেলে দিতে চাই তাহলে (IRCTC) এই প্রসেসটি সম্পন্ন করতে এবং টাকা ফেরত দিতে প্রায় 7 থেকে 10 কার্য দবস সময় নেয়।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে মাসে কত ট্রেনের টিকিট বুকিং করা যায

উত্তর: দৈনিক এবং সাপ্তাহিক লেনদেন নীতি অনুযায়ী গ্রাহক সাপ্তাহিক চারটি আসন এবং মাসিক 32 টি আসন ক্রয় করতে পারবেন। 

প্রশ্ন: ট্রেনের টিকিট বাতিল করলে কত টাকা ফেরত দেওয়া হয়? 

উত্তর: বাতিল করুন চার্জ যাত্রীপ্রতি সাধারণ একটি নিশ্চিন্ত টিকিট 24 ঘন্টার মধ্যে এবং ট্রেনের নির্ধারিত প্রস্থানের 12 ঘন্টা আগে বাতিল করা হয়, এবং বাতিলকরণ চার্জ উপরে উল্লেখিত ন্যূনতম ভ্যাট রেট সাপেক্ষে ভাড়ার 25% হবে। 

প্রশ্ন: এক আইডি থেকে কতগুলো টিকিট বুক করা যায়? 

উত্তর: একজন ব্যবহারকারী প্রতি মাসে একটি আইডি ব্যবহার করে 24 টি টিকিট বুকিং করে রাখতে পারবে। 

মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সহজ পদ্ধতি 

মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনি মোবাইলের বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করতে পারবেন। উপরের আলোচনা করা হয়েছে বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে সেখানে ভালোভাবে পড়ার মাধ্যমে জেনে নিয়ে আপনি ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন মোবাইলে বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করে। এছাড়াও আরো যে অপশন গুলো রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে সেবা সমূহ নিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট। 

মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সহজ পদ্ধতি

ওয়েবসাইটগুলোর ভিতরে প্রবেশ করে আপনি খুব সহজে রেজিস্ট্রেশন করে বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট সেবা নিতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে মোবাইলে প্লে স্টোর থেকে rail sheba সার্চ দিয়ে সেই ওয়েবসাইটটি ইন্সটল করে নিতে হবে। প্রক্রিয়াটির মধ্যে উপরে উলে করায় রয়েছে। সেই উপায় গুলো ব্যবহার করা আমার থেকে খুব সহজেই আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় যাত্রা করতে পারবেন। 

এছাড়াও সরাসরি যে লিংকে ঢুকে আপনি রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে অফিশিয়াল রেলওয়ে ওয়েবসাইট থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন সেই লিংকটি নিচে দেওয়া হলো, (https://e-ticket.railway.gov.bd/) এই লিংকটির ভিতরে প্রবেশ করে আপনার এনআইডি কার্ড ফোন নাম্বার এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার পরে আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি নাম্বার আসবে, সেই নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে।

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার সময় 

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার সময় সম্পর্কে অবগত থাকলে আপনি খুব সহজেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেটে রাখতে পারবেন বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার জন্য সহজে। অনেক সময় ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না এবং বিভিন্ন সমস্যার কারণে টিকিট পাওয়া গেলেও যে সময়ে আপনি চাচ্ছেন সেই সময় টিকিট পাওয়া যায় না। আপনার যদি জানা থাকে যে অগ্রিম টিকিট কিভাবে কাটতে হয় এবং কোন সময় টিকিট কাটার উপযুক্ত সময়। 

তাহলে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন এবং বিভিন্ন ঝড় ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেন। ট্রেনের টিকিট কাটার সবচাইতে উপযুক্ত এবং অগ্রিম সময় হচ্ছে সকাল 8:00 টা থেকে শুরু করে রাত 11:59 পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে যেকোনো সময় আপনি টিকিট কাটতে পারবেন। আরো একটি বিষয়ে আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যে বিষয়টি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে এবং টিকিট কাটার ঝামেলা থেকে আপনাকে আরো মুক্ত করে দিতে পারবে। 

সেই বিষয়টি হচ্ছে ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কেটে রাখা যায়। কতদিন আগে কেটে রাখলে ট্রেনের টিকিট ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করা যাবে। চলন সেটা জেনে নেই, অনেক আগের যে নিয়মটি ছিল সেই নিয়মের মধ্যে 10 দিন আগে ট্রেনের টিকিট কাটার অনুমতি দেওয়া ছিল। কিন্তু বর্তমান নিয়ম পরিবর্তন করার ফলে আপনি যদি টিকিট কাটতে চান এবং সেই টিকিটটা যদি আপনার প্রয়োজনের অনেক আগেই কাটতে চান তাহলে সর্বোচ্চ 5 দিন আগে কাটতে পারবেন। 

ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম অনুযায়ী টিকিট কাটার উপায় 

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম অনুসরণ করে অনলাইনে বা বিকাশ অ্যাপস অথবা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে টিকিট সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু সাধারণত টিকিট কাটার জন্য যে বিষয়টি ব্যবহার করা হয় তা আপনার যদি না জানা থাকে তাহলে এই মুহূর্তে জানতে পারবেন। ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনাকে প্রথমে যেই কাজটি করতে হবে। আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কি উপায়ে ট্রেনের টিকিট কাটবেন। 

মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটলে মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করার মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন এবং সেই সংগ্রহকৃত টিকিট ব্যবহার করে খুব সহজেই বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন অথবা প্রয়োজন ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও যদি সরাসরি কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটতে চান তাহলে আপনাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সেখানে টিকেট কাটতে হবে। যার জন্য কাউন্টারে দেখা করতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করতে হবে। 

ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম অনুযায়ী টিকিট কাটার উপায়

এবং অনেক সময়ের মধ্যে দয়ে এই প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করে আপনাকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া আরো একটি উপায়ে অগ্রিম টিকিট কাটা যায়। বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করার পাশাপাশি রেলওয়ে রেল সেবা ওয়েবসাইটটি লগইন করে অথবা এখানে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে আপনি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। উল্লেখিত সকল উপায়ে একজন মানুষটিকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন ভুবন করতে পারে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট কাটার পদ্ধতি গুলো  

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট কাটার জন্য বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় এর মধ্যে অন্যতম পদ্ধতি গুলো হচ্ছে, বিকাশের ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জেনে বিকাশ অ্যাপস এর ব্যবহার করে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন, ছাড়া সরাসরি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন, অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন, অফলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট কাটার পদ্ধতি গুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করা। এতে আপনার খরচ কমে যায় এমনটা নয় কিন্তু টাকার চাইতে সময়ের মূল্য অনেক বেশি তাই সেই মূল্যবান সময়টি বেঁচে যায় অনলাইনে খুব সহজে ঘরে বসে টিকিট কাটার মাধ্যমে। এর জন্য আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখানে কিছু নির্দেশনা দেয়া থাকবে।

আরো পড়ুনঃ বাটন মোবাইলে নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম

নির্দেশনাগুলো পালন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। আপনি যদি না জেনে থাকেন যে অনলাইনে কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটা যায় তাহলে উল্লেখিত পুষ্টির মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে পোস্টটি পুনরায় পড়ার মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারবেন। এবং সে উপায়গুলো অবলম্বন করে খুব সহজেই টিকিট কাটতে পারবেন এতে আপনাকে ঝামেলা পোহাতে হবে না ঘরে বসেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। 

ট্রেনের টিকিট নিয়ে আমার শেষ মন্তব্য 

বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে আমরা জেনেছি কি উপায় অবলম্বন করে বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়। এসব আরো খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে প্রশ্নের উত্তরগুলো অনেকেই জানতে চাই। অনলাইনে ঘরে বসে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে যাওয়া যায়। 

ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে হলে আগে অনেক ধরনের নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রেখে ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে সরাসরি গিয়ে সেখান থেকে বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে এই সেবাগুলো উন্নত করার কারণে মোবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসে বিভিন্ন অ্যাপস দ্বারা আপনি টিকিট সংগ্রহ করে ভ্রমণ করতে পারবেন পাশাপাশি অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন যেই প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন সেই প্রয়োজনে।

কারণ অনেক সময় দেখা যায় টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে টিকিট পাওয়া যায় না। আবার পাওয়া গেলেও সেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সঠিক টিকিট পাওয়া যায় না। সকল সমস্যা এড়াতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ওয়েবসাইট দাঁড় করিয়েছেন এবং সেই ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে একটি নিয়মের মধ্যে আপনি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এবং সর্বোচ্চ 5 দিন আগে টিকিট সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url