বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় ২০ টি উপায় ও টিপস

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কাজগুলো যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটির ভিতরে জানতে পারবেন। বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার কারণ, শূন্য থেকে তিন বছর পর্যন্ত শিশুদের জ্বর হলে করণীয় উপায় বিস্তারিত জানতে পারবেন।  

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয়

আরো জানতে পারবেন বাচ্চাদের জ্বর হলে কি কি ওষুধ খাওয়াতে হবে এবং ঘরোয়া কি উপায় অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে আপনার বাচ্চাকে জ্বরের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই সেই কার্যকরী উপায় এবং ওষুধ গুলো। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় ২০ টি উপায় ও টিপস 

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কাজ গুলো 

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কাজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য যদি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আমি আপনাদেরকে বলবো বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে প্রথমে ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে জ্বর ভালো করার চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন ঘুররা উপায় গুলো জেনে নেই এবং এই উপায় গুলো ব্যবহার করার পদ্ধতিগুলো জানি।

হঠাৎ বাচ্চাদের জ্বর হলে ঘরোয়া উপায়:

কোন বাচ্চার হঠাৎ জ্বর আসলে আপনি অসুম গরম পানি দিয়ে গামছা বালে ভিজিয়ে সেই গামছা বালি দিয়ে আপনার বাচ্চার শরীর মুছে দিতে পারবেন। 

জলপটি: হঠাৎ বাঁচাতে জ্বর হলে আপনি বাসায় যে কাজটি করতে পারবেন সেটি হচ্ছে তোয়ালে ভিজিয়ে কপালে জল পটি দিতে পারবেন ঠান্ডা পানি দিয়ে।

মাথায় পানি দেওয়া: প্রচন্ড জ্বর আসলে ঠান্ডা পানি মাথায় দিতে হবে কিছুক্ষণ পর্যন্ত তাহলে জ্বর কমে যাবে।

প্রচন্ড জ্বর আসার কারণে শরীর এ ব্যথা অনুভূত হতে পারে তাই আপনি প্যারাসিটামল খাওয়াতে পারেন। 

জ্বরের মাত্রা যদি ১০২ এর বেশি হয়ে যায় তাহলে আপনি বাচ্চাটিদের মলদ্বারে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারবেন।  

বেশি বেশি তরল খাবার: হঠাৎ জ্বর আসলে বাচ্চাদেরকে বেশি বেশি তরল খাবার দিতে হবে যেমন খাবার স্যালাইন ফলের রস লেবু শরবত। পাশাপাশিও ভালো মানসম্মত খাবার খাওয়াতে হবে পুষ্টিকর।

টক জাতীয় খাবার গ্রহণ: হঠাৎ জ্বর আসলে আপনি টক জাতীয় খাবার মরিচ লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেতে পারবেন যেমন জাম্বুরা আমডা কমলা, লেবু, মালটা তেতুল সহ বিভিন্ন টক জাতীয় খাবার। 

যত্ন নেওয়া: হঠাৎ শিশুদের জ্বর হলে তাদের প্রতি যত্নের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে সব সময়।

শীতল পরিবেশ: হঠাৎ শিশুদের জ্বর হলে আপনি শিশুটিকে ঠান্ডা পরিবেশে রাখতে হবে যাতে জ্বরের পরিমাণ বেশি না হয়।

হালকা পোশাক: শিশুদের জ্বর হলে হালকা পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে কারণ শরীরের মোটা কাপড় থাকলে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে জ্বরের মাত্রা বেশি হয়ে যেতে পারে।

বিশ্রাম নেওয়া: শিশুরা অত্যন্ত চঞ্চল্যকর হয়ে থাকে তাই তাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে যেন সঠিকভাবে বিশ্রাম নিতে পারে। শান্ত অবস্থায় বিশ্রাম নিতে হবে। 

বুকের দুধ পান করানো: শিশুদের দুধ পান করে তাহলে শিশুকে মায়ের দুধ বারবার পান করাতে হবে 

পানি খাওয়াতে হবে: পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়াতে হবে কারণ শিশুর জ্বর হওয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

গোসল করাতে পারবেন: শহীদের হঠাৎ জ্বর আসলে সুন্দর হালকা অসম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিতে পারবেন, শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। 

বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন: শিশুটি যে ঘরে অবস্থান করবে সেই ঘরের তাপমাত্রা 18 থেকে 25 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এর ভিতর রাখতে হবে এবং বায়ু চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। 

জ্বরের সময়কাল: বাচ্চাটির কখন জ্বর এসেছ এবং জ্বরটির সময়কাল কতটা নির্ধারণ করতে হবে কারণ তিন দিনের বেশি জ্বর হলে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: প্রতিহত খেয়াল রাখতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ করতে হবে আপনার বাচ্চার শরীরের কন্ডিশন এবং তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে হবে। 

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে কিছু ডাক্তারি পরামর্শ: 

ওষুধ খাওয়া: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তারা যেমন, প্যারাসিটামল। 

তাপমাত্রা পরিমাপ: শিশুটির শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে হবে।

যত্ন: স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমাণ যতই থাকত হবে যেন কোন ধরনের ভুল কাজ না করতে পারে।

সঠিক সময় ওষুধ খাওয়া: পরামর্শ অনুযায়ী যে ওষুধ গুলো খাওয়ার জন্য বলা হবে সেই ওষুধগুলো সঠিক সময়ে খাওয়ার জন্য খেয়াল রাখতে হবে। 

সাপোজিটর ব্যবহার: জ্বরের পরিমাণ ১০২ এর বেশি হলে আপনি বাচ্চাটিকে মলদ্বারে সাপোজিটর ব্যবহার করতে দিতে পারেন। 

উল্লেখিত উপায় গুলো অবলম্বন করে হঠাৎ বাচ্চাদের জ্বর হলে এই করণীয় কাজগুলো করতে পারবেন। এই কাজগুলো অত্যন্ত কার্যকরী এবং উপকারী এছাড়াও যদি খুব জরুরী অবস্থায় হয়ে যায় বা তিন দিনের বেশি যদি জ্বর থাকে তাহলে সহজে ভালো নাও হতে পারে তাই আপনি জরুরি অবস্থায় তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে। সে শিশুকে স্থানীয় হসপিটালে ভর্তি করণ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহণ করুন। 

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার কারণ গুলো জানুন 

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে অনেকেই জানে না তাই এই পোস্টি পড়ে জেলে নিন দিয়ে বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার কি কি কারণ রয়েছে। বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে সেই কারণগুলোর মধ্যে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য কারণ গুলো হচ্ছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গু টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, নিউমোনিয়া, হাম, প্রসবের সংক্রমণ, বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে জ্বর হতে পারে।  

আরো পড়ুনঃ জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে জাদুকরী ২১টি টিপস 

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হওয়ার কারণ আরো যে বিষয়গুলো রয়েছে তা হচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করলে সে খাবার থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া মানুষের পেটে যে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার সময় সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় বসবাস করা অনেক বাচ্চারা রয়েছে যাদের হঠাৎ জ্বর বা বিভিন্ন অসুস্থতা হওয়ার কারণ হচ্ছে তারা অপরিচ্ছন্ন বা অপরিষ্র অবস্থায় বেশি সময় থাকে। 

এছাড়াও নবজাতকের প্রতি অবহেলা করার কারণে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন অসুস্থতার উপস্থিতি দেখা যায়। তাই আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে সে সময় যত্ন নিতে হবে খুব বেশি পরিমাণে আপনার শিশুকে এবং সকল মানুষেরই যত্ন নেওয়া উচিত। কারণ ভাইরাস জড়িত বিভিন্ন রোগ রয়েছে যেগুলো একজনের থাকলে পাশাপাশি তার সংমিশ্রণে থাকা সকল মানুষের হতে পারে। 

শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় উপায় 

শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় উপায় গুলো জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই শিশুর জ্বর এর হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে যে পদক্ষেপ গলো গ্রহণ করতে হবে তা হচ্ছে শিশুকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়াতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যেমন প্যারাসিটামল। এছাড়া শিশুর জ্বরের মাত্রা যদি ১০ এর বেশি হয়ে যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন করার প্রয়োজন হতে পারে। 

শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় আরো একটি উপায় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব সেটি হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পাশাপাশি খাবার স্যালাইন ফলের রসে এবং বিভিন্ন ধরনের শরবত এবং টক জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া। এই খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে জলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় যে শিশুর জ্বর 102 হলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা যায়।

যেমন পেটের ভিতরে খিচুন শ্বাসকষ্ট পাতলা পায়খানা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয় তাই এ সময় আপনি দ্রুত নিকটস্থ হসপিটালে যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে সময় নষ্ট না করে অতিরিক্ত জ্বরের মাত্রা হলে এবং বেশিদিন দুই থেকে তিন দিন হয়ে গেলে আপনাকে অবশ্যই নিকটতম ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা নিতে হবে।

১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় উপায়   

১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় সে বিষয়গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি এবং বিভিন্ন উপায় রয়েছে যেগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি এছাড়াও আপনি যদি বাচ্চার অতিরিক্ত জ্বর নিয়ে বিভিন্ন টেনশনে থাকেন তাহলে এই কাজটি করতে পারেন সেটি হচ্ছে, বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক খাবার পাশাপাশি আপনি প্যারাসিটামল সেপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে ১০টি কার্যকরী টিপস 

জ্বরের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণ হয়ে গেলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে সচেতন থাকতে হবে এবং উল্লেখিত যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে সেই পদক্ষেপগুলো সচেতনতার সাথে সাথে পালন করতে হবে। এরা আপনার যদি সর্দি জ্বর থাকে তাহলে প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম করতে হবে চিকিৎসার পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন খাবার পূরণ করতে হবে এবং অসুম গরম পানিতে গিয়ে মুস করে দিতে হবে এবং বেশি পরিমাণ তরল পদার্থ বা পানি জাতীয় খাবার পূরণ করতে হবে। 

জ্বরের পরিমাণ ১০৩ ° বেশি হয়ে গেলে আপনাকে অবশ্যই পরিমাণটি মাপার পরে নিশ্চিত হয়ে। জরুরী চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে অথবা মেডিকেলে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ এই সমস্যা তীব্রতার আকার ধারণ করলে বিপদের সম্মুখীন হতে হতে পারে তাই আপনি অবশ্যই জরুরি অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

৮ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয় কাজ 

৮ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয় কাজ গুলো খুবই কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ ৮ মাসের শিশু বা শিশুদের জ্বর হলে যে কাজগুলো করতে হবে তা আপনাদের অনু উপস্থাপন করা হয়েছে। সাধারণত একটি শিশুর জ্বর হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে দায়িত্বটিতে মধ্যে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। এই জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে যে উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে তার অনেক বিষয় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি এছাড়াও যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো হচ্ছে। 

আপনার শিশুকে খোলামেলা অবস্থায় রাখতে হবে এবং যত সম্ভব হালকা জামাকাপড় পরিয়ে দিতে হবে এবং আলতোভাবে শরীর মেসেজ বা মালিশ করে দিতে হবে, আপনি মালিশ করার জন্য গরম তেল ব্যবহার করতে পারেন খাঁটি সরিষা। গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিতে পারবেন। ডিহাইড্রেশন হাড় থেকে রক্ষা করার জন্য বারবার তরল পদার্থ এবং পানি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। 

শিশুদের সাধারণ জ্বর ভালো করার জন্য আপনি অবশ্যই ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করবেন কারণ এখানে গবেষণা করে দেখা গেছে যে, N জ্বর কমাতে স্পোর্সিং কুলিং ব্র্যাকেট বা অন্যান্য পরিপূরক গুলোর চাইতে বিকল্প ওষুধ খাওয়ানোর যে প্রক্রিয়ায় সেটি কম কাজ করে এবং ঘরোয়া উপায় গুলো বেশি কার্যকর হয় তাই আপনি প্রথমে ঘরোয়া উপায়গুলো অবলম্বন করবেন।  

২ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয় 

২ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয় বিষয়গুলো অবশ্যই আপনার মাথায় রাখতে হবে কারণ শিশু অনেক কিছুই বোঝে না এবং অনেক কারণে তাদের বিভিন্ন ধরনের এই জ্বর হয়ে থাকে। কি কি কারণে জ্বর হয়ে থাকে সে বিষয়গুলো ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি এই আর্টিকেলটির মাঝে তাই আপনি সেখান থেকে জেনে নিতে পারবেন এছাড়াও যে কাজগুলো করতে হবে সেটা হচ্ছে। 

আরো পড়ুনঃ মুসলমানি করার পর করণীয় এবং বিভিন্ন কার্যকরী টিপস

যেহেতু দুই বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয় তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে এই শিশুকে সবসময় চোখে চোখে এবং যত্ন সহকারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অবস্থায় রাখা। প্রয়োজনমত স্যালাইনের পানি খাওয়াতে হবে এবং মাঝে মাঝে গরম পানি বা অসম গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিতে হবে পাশাপাশি বিভিন্ন খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির জুস জাতীয় খাবার বা বাইরের যেকোনো খোলা খাবার। 

এছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে আরেকটি কাজ করতে পারবেন সেটা হচ্ছে নিম পাতা নিয়ে গরম জল করে সেই নিম পাতার জল দিয়ে গোসল করাতে পারবেন এতে বিভিন্ন শরীরের বিদ্যমান দূষিত পদার্থ দূর হয়ে যাবে এবং শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছিন হয়ে যাবে তাই এই উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করতে পারেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিপন্ন কাজ করতে পারেন। 

শিশুর জ্বর ১০৩ হলে করণীয় কাজ গুলো 

শিশুর জ্বর ১০৩ হলে করণীয় কাজ গুলো সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কারণ শিশুর জ্বর ভালো হওয়ার জন্য শিশুর গার্জিয়ান বা পিতা-মাতার ভূমিকা সবচাইতে বেশি। অনেক শিশুখ কখনোই বলতে পারেন না তার বিভিন্ন সমস্যার কথাতায় আপনাকে তাকিয়ে পর্যবেক্ষণ বা দেখিয়ে বোঝাতে নিতে হবে যে বাচ্চাটি সুস্থ নাকি বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। 

শিশুর জ্বর ১০৩ হলে করণীয় কাজ গুলো

অনেক সময় পিতা-মাতাদের অবহেলার কারণে বাচ্চাদের স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে জ্বর ভালো হয়ে সেখানে অবহেলা করার কারণে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়ে তার কষ্ট আরো বেড়ে যায় তাই আপনাকে অবশ্যই শিশুর জ্বর  হলে করনীয় কাজ গুলোর মধ্যে সচেতনমূলক কাজগুলো খেয়াল করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

এছাড়াও আপনি বাসায় যে কাজগুলো করতে পারবেন সেই কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম কাজগুলো এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে তাই সেই কাজগুলো আপনি বাছাই করতে পারবেন তাছাড়া যদি গুরুতর অবস্থা হয়ে যায় জ্বর ভালো হতে না চায় তাহলে স্থানীয় মেডিকেল হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের তথ্য সেবা নিয়ে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে পারবেন। 

৩ বছরের বাচ্চার জ্বর হলে করণীয় 

৩ বছরের বাচ্চার জ্বর হলে করণীয় কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম কাজগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম যেন আপনি খুব সহজে তিন বছরের বাচ্চাকে এ সকল জ্বরের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন। বিশেষ করে শিশুদের জ্বর হলে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া যায় হচ্ছে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে। বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কাজ গুলো, 

আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা এবং ঘরোয়া উপায় 

ডাক্তারেরা পরামর্শ বা গবেষণা করে দেখেছেন যে শিশুদের জ্বর বা বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো সমস্যা ভালো করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো সবচাইতে বেশি কার্যকর। প্রত্যেকটি ডাক্তারের প্রথমে শিশুদের জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করতে বলে বিভিন্ন ছোটখাটো রোগ বালাই ছাড়ার জন্য। আপনার সুখে সুস্থ রাখার জন্য উল্লেখিত উপায় গুলো অবলম্বন করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। 

আপনি যদি উল্লেখিত সকল বিষয়গুলো মেনে চলেন এবং বিশেষ করে আপনি যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং নিয়মিত যত্ন সহকারে শিশুটিকে দেখাশোনা করেন তাহলে এ সকল জ্বর এবং বিভিন্ন রোগবালাই থেকে আপনার শিশুর নিরাপদ এবং নিশ্চিন্তা থাকবে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনার শিশুদের কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যদি বিভিন্ন ধরনের হঠাৎ জ্বর আসে বা ছোটখাটো সমস্যা হয়। 

১ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয়  

১ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয় কাজগুলো আপনাদের জানা উচিত কারণ শিশুরা অনেক সময় প্রচন্ড কষ্ট পায় তাদের জ্বর বা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণে, কারণ তারা শিশু তারা বিভিন্ন ধরনের উপলব্ধি করতে পারে কিন্তু বলতে পারে না যে সমস্যাগুলর কথা যেমন জ্বর হলে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা আসলে তারা অবশ্যই অনেক কষ্ট সহ্য করে কিন্তু বলতে পারে না তাই আপনাদের বা প্রত্যেকটি বাবা-মায়ের শিশুর প্রতি অগাধ যত্ন এবং সময় দেওয়া উচিত। 

১ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয়

কারণ অনেক সময় দেখা যায় যে কেউ চাকরি করে কেউ অফিস করে তাদের ছেলেমেয়েদেরকে দেখাশোনা করার জন্য মানুষ রাখতে হয় তাই অনেক সময় সেই দেখাশুনা করার মানুষগুলো বিভিন্ন অবহেলা করার কারণে বাচ্চাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই আমি বলব প্রত্যেকটি বাচ্চাদের তাদের গার্জেনদেরকে সযত্নে দেখাশোনা করা উচিত কোন মানুষ বা কাজের লোক দিয়ে দেখাশোনা করার চাইতে নিজে দেখাশোনা করানো উত্তম। 

এছাড়াও অনেক মানুষ রয়েছে যারা সময় করতে পারে না তাই তাদেরকে যতটুকু সময় দিতে পারবেন সেই সময়টুকু বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যেন আপনার শিশু সুস্থ আছে কিনা বা কোন সমস্যায় ভুগছে না তা আপনাকে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে। এবং যেই উপসর্গ বা লক্ষণ গুলো দেখা দিলে জ্বর হওয়ার বা বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার কথা সেই উপসর্গ গুলো দেখা দিচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

শিশুর জ্বর ও বমি হলে করণীয় উপায় 

শিশুর জ্বর ও বমি হলে করণীয় উপায়গুলো আপনার আমার প্রত্যেকেরই জানা উচিত কারণ শিশুরা বিভিন্ন অসুস্থতার কারণ কাউকে জানাতে পারে না। তাদের দেখে বা তাদের বিভিন্ন উপসর্গ এবং লক্ষ্য দেখে বুঝে নিতে হবে যে তারা অসুস্থ নাকি অসুস্থ নয় তাই শিশুদের জ্বর হলে তাদের যে উপসর্গগুলো দেখা যায় সেটা হচ্ছে মাথাব্যথা, সর্দি, কাশি বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়ার মত লক্ষণ দেখা যায়। 

আপনার শিশুকে যেন এই লক্ষণগুলো দেখতে না হয় তাই আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত যত্ন সহকারে তার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা দেখাশোনা করতে হবে। আপনি যদি একটু অবহেলা করেন তাহলে আপনার শিশুর বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে তাই সচেতন হন এবং আপনার শিশুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা গিয়ে রক্ষা করুন। প্রাথমিক অবস্থায় জ্বর আসলে যে কাজগুলো করতে হবে সেটা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করাতে হবে তরল জাতীয়। 

টক জাতীয় খাবার খাওয়াতে পারবেন, কুসুম গরম পানিতে গোসল করাতে হবে এবং বুক পা মাথা কপাল এগুলো গরম পানি তোয়ালেতে দিয়ে ভিজিয়ে মুছে দিতে হবে। এছাড়াও প্যারাসিটামল ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন যেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করে বোঝাতে পেরেছি কি ধরনের সমস্যা বা কি ধরনের সমাধানের জন্য আপনি বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় উপায় গুলো ব্যবহার করবেন। 

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় বিষয় নিয়ে শেষ মন্তব্য 

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় বিষয় নিয়ে আজ যে বিষয়গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম এই বিষয়গুলো অত্যন্ত উপকারী এবং কার্যকর। তাই আপনার শিশুর যদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য উল্লেখিত বিষয়গুলো অবলম্বন করতে পারবেন। পাশাপাশি যদি জ্বরের পরিমাণ দুই থেকে তিন দিনের বেশি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

কারণ বিভিন্ন সময় দেখা দেয যে অবহেলা করার কারণে বা চিকিৎসায় দেরি হওয়ার কারণে রোগীর সমস্যা দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে তাই আপনি সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার শিশুর হঠাৎ জ্বর হওয়ার লক্ষণ বা কারণগুলো থেকে নিজেকে এবং আপনার শিশুকে সুরক্ষিত রাখুন। এতে আপনি অসুস্থ থাকতে পারবেন এবং আপনার সুস্থ থাকবে সন্তান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url