৩টি উপায়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানুন

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। কারণ এই ব্যাংক একাউন্ট সেবা ব্যবহার করে অনেক সহজেই টাকা লেনদেন এবং বিভিন্ন রকমের ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করা যায়। তাই আপনি কিভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন, কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
কিভাবে মোবাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন এবং সরাসরি কিভাবে ডাচ বাংলা একাউন্ট খোলা যায় তার সকল বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। সুতরাং আপনি পোস্টটি ভালো করে পড়ে এই অনুযায়ী ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ঘরে বসে অথবা সরাসরি খুলতে পারবেন।

পোস্ট সুচিপত্রঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম কানুন জানুন

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম কানুন 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই তথ্যগুলো জেনে, এই অনুযায়ী খুব সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে যে উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে তা নিজ ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো, উক্ত নিয়ম থেকে আপনি সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। 

  • ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট আপনি বিভিন্ন উপায়ে খুলতে পারবেন। অনলাইনে অথবা অফলাইনে যে কোন মাধ্যমে খোলার জন্য অনলাইন আবেদন করতে হবে। 
  • আর এই একাউন্ট খোলার দরখাস্তটি অনুমোদিত হওয়ার পর আপনি একাউন্ট খুলতে পারবেন। 
  • সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে যাওয়ার পর আপনি প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি জমা দিয়ে সহজে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। 
  • আপনার কাগজ পাতি জমা দিতে হবে এবং নমিনি কাগজ পাতি জমা দেয়ার মাধ্যমে অনলাইনে আপনি খুব সহজেই অথবা অফলাইনে গিয়ে সরাসরি জমা দিয়ে একাউন্ট খুলতে পারবেন। 

এছাড়া আরো যে উপায় গুলো রয়েছে তা আপনাদের সামনে পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করা হবে যাতে আপনি মনের খুশি অনুযায়ী যেটা ভালো মনে হবে বা আপনার কাছে যেটা সুবিধা হবে সেই অনুযায়ী একাউন্ট খুলতে পারবেন। এবং আরো জানানো হবে এই পোস্টের ভিতরে যে কি কি কাগজপাতি প্রয়োজন হয় এবং নমিনের ক্ষেত্রে কি কি কাগজ পাতি দরকার হবে। তাহলে চলুন জানি অনলাইনে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম। 

অনলাইনে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে 

অনলাইনে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই তথ্যগুলো জেনে নিন এবং খুব সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলুন অনলাইনে ঘরে বসে। অনলাইনে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে যে নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে তা নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো: 

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করুন ১ মিনিটে কি উপায় জানুন 

  • প্রথমে আপনি আপনার মোবাইলের প্লে স্টোর এ প্রবেশ করবেন। 
  • এবং সার্চ বারে সার্চ করতে হবে যেই অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে হবে তা হলো Nexuspay সার্চ করলে আপনি এই অ্যাপসটি পেয়ে যাবেন। 
  • এবং ডাউনলোড করে সেই অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে নিতে হবে। 
  • এবং আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সেই অ্যাপসটির রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। 
  • মনে রাখবেন একটি এনআইডি কার্ড অথবা একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে একবারই শুধু এই একাউন্ট খোলা যাবে। 
  • রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে নিচের দেওয়া রয়েছে তা জেনে নিতে পারেন।
  • অ্যাপসটি রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে আপনাকে অ্যাপসটির ভিতরে লগইন করতে হবে।
  • অ্যাপসটিত লগইন করলে আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস চলে আসবে সেখানে আপনি এটিএম কার্ড এড করতে পারবেন এবং বিভিন্ন একাউন্টের কার্ড এড করতে পারবেন। 
  • প্রথমবার যখন আপনি অ্যাকউন্ট খুলবেন তখন আপনাদের টোল কার্ড এবং লয়াল কার্ড দেওয়া হবে। এরপর আপনাকে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বামপাশের থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করতে হবে। 
  • এরপর আপনি দেখতে পাবেন account opening ওখানে ক্লিক করতে হবে। সেখানে অনেক নির্দেশনাবলী এবং তাদের শর্তবলী থাকবে সেগুলো ভালো করে পড়ে নিবেন। পড়া হয়ে গেলে নিচে I Agree থাকবে সেখানে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর আপনারা দেখতে পাবেন এই nid verification হয়ে আছে এবং সবুজ টিক চিহ্ন দেওয়া থাকবে। এরপর নিচে কিছু ইনফরমেশন দেয়ার প্রয়োজন হবে সেগুলো দিতে হবে যেমন, provite parsonal information এখানে আপনাকে নমিনের ইনফরমশন দিতে হবে তাই আপনি নিচের দিকে provite parsonal information এর পাশে অ্যারো বাটনে ক্লিক করুন। 
  • এবং এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে অ্যাপ্লিকেশন নেম এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য চাইবে, যেমন applicant name,Gender,NID card numbers,father name mother name, spouse name,permarnent Address,District, সকল তথ্য গুলো এনআইডি কার্ড অনুযায়ী দিতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে next অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনার সামনে যে ইন্টারফেস চলে আসবে, সেখানে থাকবে, marital status, Religion,monthly income, ইনকামের সোর্স অফ ফান্ড লিখতে হবে, ট্রেড সার্টিফিকেট নাম্বার থাকলে দিতে পারেন ইমেইল এড্রেস দিতে পারেন। 
  • এরপর দেওয়া লাগবে Capture your signature image, একটি সাদা কাগজে আপনার সিগনেচার করে ছবি তুলে নিতে হবে। উল্লেখিত সকল তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা যাচাই করে আপনি সাবমিট করে দিবেন নিজের অপশনে। 
  • এরপর আপনার সামনে ওয়েলকাম মেসেজ চলে আসবে সেই মেসেজটি ওকে করে দিলে আপনার সামনে। পূর্বের ইন্টারফেসটি ফিরে আসবে। এবং সেখানে provide nominee information, প্রবেশ করে নমিনের সকল ইনফরমেশন গুলো সাবমিট করতে হবে। এবং এই ইন্টারফেসের নমিনির নাম জন্ম তারিখ এনআইডি কার্ড নাম্বার, ধ্বনির সাথে আপনার সম্পর্ক, এরপর নমিনির একটি ফটো আপলোড করার অপশন থাকবে সেখান থেকে ফটো আপডেট করে হবে।
  • ক্যামেরা এখনে থেকে আপনি ছবিটি খুব সহজে তুলে নিতে পারবেন এবং সেভ নবীন ইনফর্মেশন এ ক্লিক করুন। সাথে সাথে আপনাকে কংগ্রাচুলেশন জানানো হবে। এবং আপনাকে একাউন্ট অনুযায়ী ৫০০ অথবা ১০০ ডিপোজিট করতে হবে তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টটি চালু হয়ে যাবে।

এরপর আপনাকে ডিপোজিট করার জন্য নেক্সট অপশনে ক্লিক করতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের অপশন দেওয়া থাকবে সেই মাধ্যমগুলোর যে কোন একটি মাধ্যম গ্রহণ করে আপনি খুব সহজেই টাকা ডিপোজিট করতে পারবেন। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে খুব সহজেই এই কাজটি সম্পন্ন করা যায়। এবং কিছু ইনফরমেশন দেওয়ার প্রয়োজন হবে আপনার বিভিন্ন একাউন্ট থেকে টাকা পরিশোধ করার জন্য যা আপনাকে সেই নির্দেশনা গুলো দেখে হবে আমি তাই সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করলে খুব সহজেই কমপ্লিট হয়ে যাবে। 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সহজ নিয়ম 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সহজে যেই কাজগুলো করে আপনি একাউন্ট খুলতে পারবেন তা হচ্ছে ডাচ বাংলা একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পাত্রী নিয়ে, ব্যাংক একাউন্টের বা ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টে যে কোন শাখাতে যাবেন এবং সেখানে বিভিন্ন তথ্য জমা দিতে হবে এরপর একাউন্ট খোলার ফরম পূরণ করে প্রয়োজন কাগজপত্র এবং টাকা জমা দিয়ে আপনি সব একাউন্ট খুলতে পারবেন। 

বাংলাদেশের যেকোনো ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্রাঞ্চ এ গিয়ে আপনার প্রয়োজনে একাউন্ট খুলতে পারবেন সহজে। এ সহজ উপায়টি অবলম্বন করে আমি একবারে কোন রকমের ঝামেলা ছাড়াই এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন এর ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। আপনি যদি ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কোন ধরনের কোন বিষয় না জেনে থাকেন তাহলে নিচে দেওয়া কাগজপত্র গুলো নিয়ে আপনি সরাসরি বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্রাঞ্চ অফিস থেকে সরাসরি এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সহজ নিয়ম

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে যাই পোস্টে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হবে এগুলো আপনি প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন। এবং জেনে নিন কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য যে কাগজপত্র ছাড়া আপনি কখনোই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন না তার তালিকা গুলো দেখে নিন। এত খুব সহজেই এগুলো ব্যবহার করে আপনি যেকোনো সময় ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেন। 

ডাচ বাংলা ব্যাংক কারেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে জানুন 

ডাচ বাংলা ব্যাংক কারেন্ট একাউন্ট খুলতে যে যে কাগজপত্র গুলি লাগে তার নিচে তালিকাতে দেওয়া হলো আপনি সেই গুলো ব্যবহার করেই কারেন্ট একাউন্ট ও বিভিন্ন একাউন্ট খুলতে পারবেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের আওতায়।

আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম বিভিন্ন কার্যকরী টিপস

  • ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি। 
  • আপনার নিজস্ব দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  • নমিনের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। 
  • ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি যদি থাকে। ব্যবসায়িক ইউটিলিটি বিলের কপি। 
  • একাউন্ট আবেদনকারীর স্বাক্ষর। সচল মোবাইল নাম্বার, টিলিটি বিলের কপি,১০০০ টাকা ইনস্ট্যান্ট ডিপোজিট। 

উল্লেখিত তথ্য এবং কাগজ পাতি যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই যে কোন সময় একাউন্ট খুলতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বিভিন্ন ধরনের খোলা যায় কি কি ধরনের ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায় তা আপনাদের সামনে নিচে আলোচনা করা হলো যাতে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সুবিধামতো একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। সকল একাউন্টে উল্লেখিত কাগজপত্রী প্রয়োজন হয় কিছু কম বা বেশি। 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত ধরনের একাউন্ট রয়েছে 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত ধরনের তা আমাদের জানা উচিত কারণ আমরা বিভিন্ন ধরনের একাউন্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে চাই। তাই আপনাদেরকে জানানো হলো কি কি ধরনের একাউন্ট রয়েছে এবং কি কি সুবিধা পাবেন তার বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে জানুন।

Saving deposit account - standard: এই একাউন্টে আপনি আপনার টাকা পয়সা বা অর্থ জমা রাখতে পারবেন। নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত তারপর উত্তোলন করে ব্যবহার করতে পারবেন।

Special notice deposit account: স্পেশাল কিছু বিষয় রয়েছে সেক্ষেত্রে এই একাউন্টে ব্যবহার করা যায় এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে স্পেশাল কিছু তথ্য গ্রহণ করতে হবে।

Interest free saving deposit account: ইন্টারেস্ট একাউন্ট এই একাউন্টে টাকা রাখার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ইন্টারেস্ট ছাড়াই টাকা জমা রাখতে পারবেন।

Current deposit account: কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট হচ্ছে এই একাউন্টে আপনি যে কোন সময় টাকা রাখতে পারবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

Savings deposit Plus account: এটি হচ্ছে সেভিং ডিপোজিট প্লাস একাউন্ট আপনি একাউন্টে টাকা সেভ করে রাখতে পারবেন বা সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এবং আপনি সেখান থেকে অর্থ পাবেন না ইন্টারেস্ট করন।

Excel savings accountv: এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আপনি টাকায় পয়সা জমা রাখতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ব্যবহার করতে পারবেন।

Dbbl school servers account: এই একাউন্টে হচ্ছে যারা ছাত্র অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের একাউন্ট খুলতে চাই তাদের জন্য এই সেবা দেওয়া হয় এই একাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন টাকা পয়স রাখতে পারবেন এবং লেনদেন করতে পারবেন।

আশা করি বোঝাতে পেরেছি কি উপায় অবলম্বন করে আপনি আপনার একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং কি কি ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং তার সুবিধা কি ধরনের রয়েছে তার বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবো। আপনি যদি এখনো ব্যাংক একাউন্ট খুলতে না জেনে থাকেন তাহলে ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন এবং খুব সহজেই অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন লেনদেনের কাজে ব্যবহার করুন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কেন ব্যবহার করবেন 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কেন ব্যবহার করবেন তার বিষয়ে আপনাদের সামনে এখন উপস্থাপন করব বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য, কি সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনি এই একাউন্ট ব্যবহার করতে কোন ধরনের ব্যবহারকারী বেশি ব্যবহার করে এবং কি ধরনের উপকার পেয়ে থাকে তার সকল বিষয়।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড চেক করুন ১ মিনিটে

  • যেগুলো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা লেনদেনের জন্য ব্যাংক ব্যবহার করে। 
  • বিভিন্ন চাকরিজীবীদের বেতন দেওয়া হয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে এবং সেই ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে চাকরিজীবীর ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে।
  • কোন পরিবার কোন প্রতিষ্ঠানের থেকে লেনদেন করার মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয় ব্যাংক। 
  • বিভিন্ন কেনাকাটার সুবিধা দেওয়া হয় বর্তমানে তাই ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন কেনাকাটার বিল পে করতে পারেন। 
  • বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিল পে করার ডিসকাউন্ট দেওয়া থাকে সেই ডিসকাউন্ট পাওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট থেকে বিল প্রে করতে পারবেন।
  • ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখার জন্য অনেক মানুষ ব্যাংক একাউন্ট খুলে সেখানে টাকা সঞ্চয় করে রাখে। 
  • বিভিন্ন ঋণ সুবিধা গ্রহণ করার জন্য এবং উচ্চ শিখা লাভ করার জন্য ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে থাকে। 
  • ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনতে পারবেন কিস্তি ভিত্তিক। 
  • প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠাতে ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করেন। 

এই অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে উল্লেখিত ধরনের ব্যক্তিরা এই একাউন্ট ব্যবহার করার জন্য অনেক আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। অনেক ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় যা আপনাদের সামনে এখনো উপস্থাপন করা হলো। যে সুবিধা গুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং প্রত্যেকটা মানুষের সুবিধা গুলো ব্যবহার করতে পারবে যারা ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে। 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা সমূহ 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা সমূহ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম যাতে আপনারা খুব সহজেই এই সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবধা গ্রহণ করতে পারবেন খুব সহজে তাই কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন তা এখন জেনে নিন। 

  • ফরম জমা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে একাউন্ট খুলতে পারবেন।
  • একাউন্ট খোলার সাথে সাথে আপনি একটি নেক্সাস ক্লাসিক কার্ড ফ্রি পাবেন।
  • মাত্র ৬০ টাকায় চেক বই পাওয়ার সুবিধা পাবেন।
  • অনলাইন ব্যাংকিং ও মেসেজ এর সুবিধা। বিভিন্নভাবে সুবিধা সম্পর্কে আপনাকে অবগত করা হবে। 
  • রকেট একাউন্টের মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ এর সুবিধা।
  • বিভিন্ন ধরনের বিল পরিষদের সুবিধা আছে যেমন বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল ইত্যাদি।
  • কোন ধরনের টিউশন ফি দেওয়ার সুবিধা এবং বাংলাদেশের যেকোনো অভ্যন্তরীণ ব্যাংক থেকে টাকা লেনদেনের সুবিধা। 
  • স্টুডেন্ট একাউন্ট খেলে এটিএম কার্ড এর জন্য বাৎসরিক ফ্র লাগে না।
  • বিভিন্ন ধরনের ঋণ গ্রহণের সুবিধা গ্রহণ করা যায়। 
  • সঞ্চয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিপিএস এর সুবিধা দিয়ে থাকেন। 
  • বিভিন্ন প্রবাসী ব্যক্তি তারা এই অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন সেবা এবং একাউন্টের লেনদেন করতে পারবে। 

উল্লেখিত সুবিধা গুলো বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে আপনি একাউন্ট খোলার পরে সুবিধা গুলো খুব সহজেই প্রয়গ করতে পারবেন। বাংলাদেশের সকল ব্যাংক একাউন্ট থেকে আপনি টাকা লেনদেন করতে পারবেন এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। শুধু অসুবিধা গুলো গ্রহণ করার জন্য আপনাকে শুধু একটি একাউন্ট খুলে রাখতে হবে এবং সেই এএকাউন্টে 1000 অথবা ৳500 জমা রাখতে হবে। 

ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম 

ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন খুব সহজে এবং এই নিয়মটি অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে এই একাউন্টি খুলে ব্যবহার করতে পারবেন। একাউন্টটি খোলার জন্য আপনাকে যে যে উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে তা হচ্ছে প্রথমে আপনাকে কিছু কাগজ সংগ্রহ করতে হবে যেমন এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আপনি যাকে নমিনি বানাবেন তার এক কপি ছবি এবং এনআইডি কার্ড। 

আরো পড়ুনঃ বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং কার্যকারিতা

এবং খুব সহজেই আপনি যে কোন নিকটস্থ বাংলা ব্যাংক একাউন্টে শাখায় যোগাযোগ করে সেখানকার অফিসে গিয়ে একটি একাউন্ট ফম পূরণ করে তাদের কাছে জমা দিতে হবে। একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কিছু টাকা ডিপোজিট করতে হবে। জমা দেয়ার পর সেই অফিসের দায়িত্বরত অফিসার আপনার কাজটি সহজেই করে দেবে। এবং আপনার অ্যাকাউন্টটি চালু হওয়ার পর ন্যূনতম ক্যাশ জমা করতে হবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম

এবং এই প্রকৃত সম্পন্ন করার পর আপনাকে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে এটিএম কার্ড প্রদান করা হবে। সেই এটিএম কার্ড ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন জায়গায় বা বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন এবং সেই টাকা ব্যবহার করে বিভিন্ন উপকার পেতে পারেন। আপনি এই সকল একাউন্ট গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা লেনদেন করতে পারবেন এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্ন: ডাচ বাংলা একাউন্ট খুলত কত টাকা লাগে?

উত্তর: ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা জমা দিতে হয় বা ডিপোজিট করতে হয়।

প্রশ্ন: ব্রাক ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে?

উত্তর: সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজন হয়। সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় যেমন এসএমএস এলার্ট সুবিধা, সীমিত একাউন্ট মেইনটেনেন্স চার্জ, ২৩০ টাকা চেক বই পাওয়ার সুবিধা, এটিএম কার্ডের সুবিধা, অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা, অ্যাপস এর মধ্যমে মোবাইলে টাকা রিচার্জ এর সুবিধা।

প্রশ্ন: ডাচ বাংলা ব্যাংকের বাৎসরিক চার্জ কত? 

উত্তর: দুইটা ব্যাংকের মধ্যে কোনটা বছরে বাৎসরিক চার্জ তেমন বেশি ধরা হয় না তাই আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম, Dutch Bangla Bank yearly sms charge & account maintenance charge 230 tk. Card recharge 460 tk. Total 26 November taka with vat.

প্রশ্ন: ব্যাংক একাউন্ট খোলার কতদিন পর চেক বই পাওয়া যায়? 

উত্তর:'ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর সর্বনিম্ন ১৫ দিন এবং সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় লাগে এমআইসিআর চেক বই তুলতে। নন এমআইসিআর বই তুলতে সাত দিনের মতো সময় লাগে।

প্রশ্ন: ডাচ বাংলা ব্যাংকে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখা যায়? 

উত্তর: ডাচ বাংলা ব্যাংকে প্রচুর পরিমাণ টাকা জমা রাখায় কিছু ব্যাংক ৫০ হাজার বেশি তুলতে দেয় না, এছাড়া আপনি সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।

প্রশ্ন: কত বছর বয়সে ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়? 

উত্তর: সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়সে আপনি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন, একাউন্ট খোলার জন্য জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করতে পারবেন অথবা আপনার যদি এনআইডি কার্ড থাকে তাহলে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। 

প্রশ্ন: ডাচ বাংলা ব্যাংকের মালিক কে? 

উত্তর: ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসি  (ডিবিবিএল) বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত করেন এই ডাচ বাংলা ব্যাংক। বাংলাদেশের শাহাবুদন এবং নেদারল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ দ্বারা এই ব্যাংক একাউন্ট বাংলাদেশে পরিচালিত হয়।

প্রশ্ন: ডাচ বাংলা ব্যাংকের মুনাফার হার কত? 

উত্তর: ডাচ বাংলা ব্যাংকের মুনাফার হার বাসুদের হাড় কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৫৭ ফিচারের ফিচারের হিসেবে যারা আছেন তাদের শূন্য থেকে ৫ লাখ টাকা জমা থাকলে প্রতি মাসে ১% অথবা ৫ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা জমা থাকলে প্রতি মাসে ১.৫%, ১৫ লাখের বেশি টাকা জমা থাকলে ২% সুদ পাবে। এই ফিচারটি ২০২০ সালের পহেলা মে চালু করা হয়েছে।

প্রশ্ন: চেক বইয়ের বৈধতা কিভাবে বুঝবো? 

উত্তর: ব্যাংক গুলি সাধারণত একটি চেক প্রত্যাখ্যান করবে তা যদি আপনি এটিকে অর্থ প্রদান করার চেষ্টা করেন বা ইস্যু করা তারিখ থেকে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে এটি নগদ করার চেষ্টা করেন। এছাড়া প্রযুক্তিগত দিক থেকে বলতে গেলে চেক বইয়েটাকান মেয়াদ বা শেষ তারিখ থাকে না। এটি হচ্ছে থকে লিখা তারিখ।

প্রশ্ন: কারেন্ট একাউন্ট চেক চেনার নিয়ম ও উপায়? 

উত্তর: চেকের নিচে নম্বর পার্সেলে উল্লেখিত শেষ দুই সংখ্যার নম্বর গুলি ছাড়া সঞ্চয় একাউন্ট এবং চলতি একাউন্টের চেকের মধ্যে একেবারেই কোন পার্থক্য নেই, যার কারণে এই কারেন্ট একাউন্টের জন্য ২৯ টি এবং সেভিং একাউন্টের জন্য ৩১ টি।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে শেষ মন্তব্য 

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম আপনাদের সামনে ইতিমধ্যে উপস্থাপন করেছি। এখানে কয়েকটি উপায় অবলম্বন করা হয়েছে যে উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং এই একাউন্টের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। আরো জানানো হয়েছে এই পোস্টের ভিতরে যে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কি কি জিনিস প্রয়োজন হবে। 

এবং কোন কোন উপায় অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে রাজধানী একাউন্ট খুলতে পারবেন তার বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলটর ভিতরে তাই আপনি ভালো করে এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এই তথ্য অনুযায়ী ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলে ব্যবহার করতে পারবেন খুব সহজেই। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাদের উপকারে আসবে এবং এগুলো ব্যবহার করে আপনারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url