ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে ২০টি কার্যকরী টিপস

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এবং এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যদি আপনি এই পোস্টের ভিতরে আসেন তাহলে খুব সঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন বলে মনে করুন। পোস্টে ভিতরে ডেঙ্গু জ্বরের কি কি লক্ষণ রয়েছে এবং কিভাবে এটা প্রতিকার করা যায় সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু রোগ হওয়ার কারণে কি কি লক্ষণ দেখা যায় এবং কত তাপমাত্রা জ্বর আসে এবং কোন কোন উপসর্গ গুলো থেকে বাঁচার জন্য কি কি কাজ করতে হবে তার বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হবে এই পোস্টের ভিতরে যা জানার জন্য পড়তে থাকুন। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে ২০টি কার্যকরী টিপস জানুন

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত 

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমরা যে বিষয়গুলো জানার মাধ্যমে খুব সহজেই এর লক্ষণ গুলো বুঝতে পারবো এবং এর লক্ষণ গুলো বুঝার মাধ্যমে এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য প্রতিকার মূলক কি ব্যবস্থা গ্রহণ করব তার বিস্তারিত বিষয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করব যা আপনাকে বিশেষভাবে উপকৃত করবে। এবং ডেঙ্গু রোগ যেন না হয় তার থেকে আপনাকে সচেতন করে রাখবে। 

প্রাথমিক অবস্থায় ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ তেমন প্রখর আকার ধারণ করে না কিন্তু একটি সময়ে অনেক প্রচন্ড ব্যথা দায়ক এবং অনেক কষ্টদায়ক আকার ধারণ করে এই জ্বরের তিনটি ধর্ম বা ক্যাটাগরি রয়েছে, যে ধরনগুলোকে এ বি এবং সি ক্যাটাগরিতে বিভাগ করা হয়। এ ক্যাটাগরি যদি ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে তাহলে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ না করে আপনি প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

এবং বি উপসর্গ যদি হয় তাহলে আপনাকে যেই কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহণ করার পাশাপাশি প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এর কারণে আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব এবং আত্মসত্তা জন্মগত সমস্যা কিডনি লিভারের সমস্যা ইত্যাদি। 

এছাড়াও সি ক্যাটাগরি ডেঙ্গু জ্বর সবচাইতে বেশি বিপদজনক এই ক্যাটাগরির যদি কখনো কোনো ব্যক্তির হয়ে থাকে তাহলে লিভার কিডনি এবং মস্তিষ্ক বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং আপনার ইন্দ্রিয়তেও আঘাত আনতে পারে তাই এ সকল সমস্যাগুলো থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই এর প্রতিকার এবং লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে। তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে আরো বিস্তারিত লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানি। 

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো জেনে নিন 

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই আপনাকে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো ভালোভাবে জেনে নিতে হবে তাহলে চলুন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি তা সম্পূর্ণভাবে জেনে নিই এবং এ থেকে বাচার উপায় গুলো পর্যায়ক্রমে জানবো। 

তীব্র জ্বর: ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনার শরীরে তীব্র জ্বর দেখা যায়, এর মাত্রার পরিমাণ হবে ১০১ থেকে ১০৪ ফারেনহাইট স্কেল। 

প্রচন্ড মাথা ব্যথা: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এর মধ্যে অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে প্রচন্ড পরিমাণ মাথা ব্যথা করবে এবং কপাল বেশি ব্যথা করবে। 

চোখের পেছনে ব্যথা করবে: আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরে ভুগে থাকেন তাহলে চোখের পেছনে তীব্র ব্যথা অনুভব করবেন।

বিভিন্ন মাংসপেশিতে ব্যথা এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা: আপনার শরীরের পুরো শরীরের মাংসপেশি গুলো ব্যথা করবে এবং অস্থিসন্ধিগুলোতে বা জয়েন্টগুলোতে ব্যথা অনুভূত হবে। 

বমি ভাব বা রক্ত বমি: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এর ভিতরে সবচাইতে কষ্টদায়ক লক্ষণ এর চেয়ে বমি ভাব এবং রক্ত বমি হওয়া। 

স্কিন ইনফেকশন: অনেক দেরি হলে রক্ত দূষিত হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ত্বকে বিভিন্ন ফুসকুড়ির মত বের হবে। 

মুখ এবং গলা ফুলে যাওয়া: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ হলে আপনার মুখ এবং গলা ফুলে যাবে সাথে সাথে ব্যথাও করবে। 

আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম এবং বিভিন্ন উপকারি টিপস 

প্রচন্ড ক্লান্তি এবং দুর্বলতা বোধ করা: আপনার শরীরে রক্তশূন্যতা পানি শূন্যতা এবং বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করার পাশের জন্য আপনাকে দুর্বল তৈরি করে ফেলবে। 

পেট ব্যথা প্রচণ্ড আকার ধারণ: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণের ভিতর একটি উন্নত মূলক হচ্ছে পেট ব্যথা হবে তীব্র যা সহ্য করা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যায়।

অনবরত বমি বমি ভাব: আপনার শরীরে একটু পরে বমি ভাব হবে এবং বমি হতে থাকবে। 

শরীরে বিভিন্নভাবে রক্তপাত: মুখে নাকে বা দাঁতের মাড়ির গোড়ায় রক্তপাত হবে তাছাড়া কোন কাটা ছেঁড়া হলে সহজে রক্ত বন্ধ হবে না। 

প্রচন্ড তৃষ্ণা লাগবে: আপনি মাঝে মাঝে ডিহাইড্রেশন হয়ে যাবেন এবং তৃষ্ণার পরিমাণ বেড়ে যাবে। 

মূত্রথলির মূত্রের মূত্র পরিমাণ কমে যাওয়া একটি বিশেষ উপসর্গ যা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন না। 

প্রেসার লো হয়ে যাবে: আপনার শরীরের লো প্রেসার হয়ে যাবে এবং শরীরকে দুর্বল করে তুলবে।

উল্লেখিত ডেঙ্গুর লক্ষণ গুলো দেখালে আপনার সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন অথবা প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়া যে উপায় গুলো রয়েছে সেই উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এই প্রাথমিক অবস্থা থেকে ডেঙ্গু জ্বরের থেকে রক্ষা পাবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে এর লক্ষণ গুলো কি ধরনের এবং কি কি লক্ষণ আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে। 

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার মূলক তথ্য 

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার  এবং জ্বরের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত বিষয় জেনেছি যে, কি কি উপায় থাকলে বা দেখতে পেলে আমরা বুঝতে পারবো যে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে এবং এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব যে এই ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি উপায়ে আপনি প্রতিকার করতে পারবেন প্রথমে চলুন জেনে নেয়া যাক ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া উপায় গুলো যা থেকে এর অধিকার পাওয়া যায়।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার ঘরোয়া উপায়:

  • পেঁপে পাতার রস খাওয়ার মাধ্যমে আপনি ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে পারবেন। 
  • তুলসী পাতার রস দিয়ে চা বানিয়ে খেলে এই জ্বর থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 
  • মৌরি রস খাওয়ার মাধ্যমেও এই সমস্যা থেকে ঘরোয়া উপায়ে রক্ষা পাওয়া যায় বলে প্রমাণিত। 
  • মেথি বীজ একটি অত্যন্ত উপকারী যা জ্বরের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কাজ করে। 
  • নারিকেলের পানি খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে পারে যা ইলেক্ট্লাইট ব্যালেন্স বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • পুদিনা পাতা অথবা পুদিনা পাতার রস খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে ঘরোয়া উপায়ে কিছু উপশম পেতে পারেন। 
  • লেবু রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে কিছু খাওয়া যেতে পারে যার ফলে ডেঙ্গু রোগের জ্বর হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন 

গুরুতর অবস্থায় ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা জানুন 

ডেঙ্গু জ্বরের জন্য গুরুতর অবস্থায় হয়ে গেলে আপনাকে যে সকল কাজগুলো করতে হবে তা আপনার জানা উচিত। এজন্য আপনি প্রথমেই খেয়াল করতে হবে যে আপনার ছেলের শরীর থেকে বা যার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে তার শরীর থেকে জ্বর না কমছে না বাড়ছে সেই বিষয়টি লক্ষ্য করতে হবে। এবং আপনার শিশুর শরীরের জন্য পানি শূন্যতা রোধ করতে পারেন সেই জন্য খাবার পানি ডাবের পানি পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের রস খাওয়াতে হবে। 

  • বিশ্রাম নিতে হবে প্রচন্ড পরিমাণে যাতে আপনার শরীরের অতিরিক্ত শক্তি ক্ষয় হয়ে না যায় এবং শরীরে শক সঞ্চয় হয়।
  • পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যা আপনার শরীরের পুষ্টি উপাদান ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। 
  • হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে কারণ গুরুতর লক্ষণ গুলো দেখা দিলে যেমন পর্যন্ত পেট ব্যথা ক্রমাগত বমি শ্বাসকষ্ট রক্তপাত থেকে বাঁচার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। 
  • আপনার প্লেটলেট সংখ্যা খুব কমে গেলে প্লেটলেট ট্রান্সফিকশন প্রয়োজন হতে পারে।
  • আইভি ফ্লুইড: আইভি ফ্লুইড বা ডিহাইড্রেশন বা শক হলে ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড দেওয়া হতে পারে। 

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন প্যারাসিটামল বা ওষুধ সেবন করতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজেই এই সকল সমস্যা থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাঁচতে পারবেন তাছাড়া আপনার বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি গুরুতর অবস্থায় পৌঁছে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই আপনি সুস্থ থাকার জন্য এই বিষয়গুলো অবলম্বন করতে পারেন যদি আপনার এই সমস্যা হয়ে থাকে যাতে আপনি লক্ষণ গুলো চিনে বুঝতে পেরেছেন। 

ডেঙ্গু রোগের নিরাময় ও প্রতিকার যা আপনার উপকারে আসবে 

ডেঙ্গু রোগের নিরাময় ও প্রতিকার যে বিষয়গুলো আপনার উপকারে আসবে তা জানা প্রয়োজন কারণ বর্তমানে সকল মানুষেরই এই ডেঙ্গু রোগের মতো সমস্যা দেখা দেয় তাই ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে তার বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি যা আপনি অবলম্বন করে ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচতে পারবেন এবং ডেঙ্গু রোগ যেন না হয় সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

ডেঙ্গু রোগের নিরাময় ও প্রতিকার যা আপনার উপকারে আসবে

ডেঙ্গু রোগের নিরাপয় ও প্রতিকার করার জন্য বাসায় যে সকল কাজ করতে হবে সেই কাজগুলো এখন জেনে রাখুন। আপনাকে পরিপূর্ণভাবে বিশ্রাম করতে হবে প্রচুর তরল জাতীয় খাবার পর্যন্ত গ্রহণ করতে হবে। যেমন বিভিন্ন ফলের রস, ডাবের পানি, লেবুর রস, খাবার স্যালাইন একটু পরপর ব্যবহার করতে হবে যাতে আপনার শরীরে পানি শূন্যতা দেখা না দেয় এবং আপনি দুর্বল হয়ে না পড়েন।

এছাড়া ডঙ্গু জ্বর হলে আপনি প্রচুর পরিমাণ পুদিনা পাতা, নিম পাতা এবং মেথি বীজ সেবন করতে পারবেন এতে আপনার ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা কম এবং ডেঙ্গু যদি হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কাজ করবে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ যা মশা দ্বারা বেশিরভাগ ছড়িয়ে থাকে তাই আপনার বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং দেখতে হবে যেন কোথাও এক সপ্তাহের বেশি পানি জমা না থাকে। 

কারণ যদি এক সপ্তাহের বেশি পানি জমা থাকে তাহলে সেখান থেকে মশা বিস্তার করবে তার বংশ কারণ মশার ডিম এক সপ্তাহ পরে বাচ্চা এই রূপান্তরিত হয় একটি মশা থেকে শত বা হাজার হাজার ডিম হয় যার থেকে বাচ্চা হয়ে বিভিন্ন জায়গায় রোগ জীবাণু ছড়ায়। এছাড়াও আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ের ব্যথার জন্য এসপিরিন এবং ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন পাশাপাশি প্যারাসিটামল খেতে পারেন।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৪ বিষয়ে জানুন 

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ২০২৪ বিষয়ে যে লক্ষণগুলো সম্পর্কে আপনার জানা উচিত তা এখন আপনাদেরকে জানাবো যা থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে ২০২৪ সালে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো কি একই ছিল নাকি আলাদা কোন উপসর্গ দেখা দিয়েছে সেই সকল বিষয়ে সম্পর্কে এখন আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য গুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করব যাতে আপনি বুঝতে পারেন যে ডেঙ্গু রোগের ২০২৪ সালের যে লক্ষণগুলো রয়েছে তা কি। 

প্রথমে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ যন্ত্রের প্রধান লক্ষ্য কি আপনার জ্বর আসবে এবং জ্বরের তাপমাত্রা এতটাই বেশি হবে যেন আপনার শরীরের ১০১ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠবে। এছাড়া রক্তপাত শ্বাসকষ্ট এই সমস্তগুলো তো সচর হয়ে থাকে এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দেখা দিবে। এই উল্লেখিত উপসর্গগুলো প্রত্যেকটি মানুষের জানা দরকার কারণ বর্তমানে ডেঙ্গু অনেক রকম হারে সংক্রমণ করছে। 

আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের দাঁতে পোকা হলে করণীয় কাজ এবং অসাধারণ টিপস 

একটি বিষয়ে আপনাদের সামনে না বললেই নয় সে বিষয়টি হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরের যে সাধারণ লক্ষণ বা তীব্র জ্বর হলে বা তীব্র ডেঙ্গু উপসর্গ দেখা দিলে যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় সেই লক্ষণ গুলো একই রকম সকল সময়ে। ২০২৪ কিংবা ২০০০ সালে যে আলাদা কোন পরিবর্তন হয় এই রোগের ক্ষেত্রে তেমন কোন উপসর্গ দেখা যায়নি এই রোগের লক্ষণ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একই রকম আছে।

ডেঙ্গু নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্ন; ডেঙ্গু হলে কিভাবে বুঝবো? 

উত্তর: ডেঙ্গু হলে বোঝার সহজ উপসর্গগুলো দেখে বুঝতে হবে যে ডেঙ্গু হয়েছে কিনা যা পোস্ট এর মাঝে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রশ্ন: ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ধাপ কি কি? 

উত্তর: ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ধাপ হল এ, বি, সি অথবা জ্বর, গুরুতর এবং পুনরুদ্ধার।

প্রশ্ন: ডেঙ্গু হলে কি সব সময় জ্বর আসে? 

উত্তর: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশিরভাগ লোকদেরই উপসর্গ দেখতে অনেক সময় লাগে সহজে বোঝা যায় না। কিন্তু এই রোগে তীব্র আকারে জ্বর আসে। পাশাপাশি বমি ভাব, ফুসকুড়ি এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যথা দেখা দেয়।

প্রশ্ন: ডেঙ্গু হলে কি মাসিক তাড়াতাড়ি হয়? 

উত্তর: একটি মেয়েদের এটি প্রাকৃতিক একটি সমস্যা প্রকৃতপক্ষে কিছু রিপোর্ট মেনোরেজিয়ার কারণে হিসেবে ডেঙ্গু সংক্রমণ ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যাই হোক, এই সমস্যাটি অনুশীলনকারীদের দ্বারা সীমিতভাবে স্বীকৃত। গবেষণায় দেখা গেছে যে বেশিরভাগ কিছু ওর কি শরীরের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু সংক্রমণের ফলে অতিরিক্ত মাসিকের রক্তপাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রশ্ন: ডেঙ্গু হলে কি কালো পায়খানা হয়?  

উত্তরঃ মাঝে মাঝে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা দেখাতে পারে রক্তপাতের জন্য স্টাইল গুলি হল নাক মাড়ি বা ত্বক এবং দাঁতের গোড়া। এছাড়াও কখনো কখনো রোগীর কফি গ্রাউন্ড ভূমি বা কালো মল হতে দেখা গেছে। 

২য় বার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি হতে পারে তা জানুন

দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার কারণ অনেক সময় ডেঙ্গু জ্বর অনেক পার হয়ে থাকে তাই এই বিষয়গুলো জানা হবে খুবই প্রয়োজন। দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে কি ধরনের সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দেয় তা নিজ আলোচনা করা হলো।

২য় বার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি হতে পারে তা জানুন

  • উচ্চ জ্বর থাকবে সকল অবস্থায় ডেঙ্গু জ্বর হলে। 
  • মাথামাটা পেট ব্যথা এবং বিভিন্ন শরীরের ব্যথা থাকবে এবং চোখের পেছনে ব্যথা করবে। 
  • সমস্ত মাংসপেশি এবং জয়েন্ট গুলোতে প্রচন্ড পরিমাণ ব্যথা হবে।
  • বমি বমি ভাব এবং রক্ত বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • পেট ব্যথা সহ ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। 
  • রক্তপাত যেমন নাক, মাড়ি, মলদ্বারের রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হতে পারে।
  • বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যাবে। 

প্লাজমা লিকেজ হবে: রক্তের প্লাজমালিক হয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হতে পারে যা কারণে রক্ত জমাট বাঁধা সহ শ্বাসকষ্টের মত বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে এবং শরীর ফুলে যেতে পারে। ইসরো ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) এবং ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS) দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে এই সম্ভাবনা গুলো বেড়ে যায় এবং এর কারণে আপনার জীবনহানির সম্ভাবনা থাকে তাই দ্রুত দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করুন 

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আমার শেষ মন্তব্য 

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে যেই বিষয়গুলো ইতিমধ্যে উপস্থাপন করেছি তা অত্যন্ত কার্যকরী এবং উপকারী পাশাপাশি আপনাদেরকে অ্যাক্টিভিটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে, ডেঙ্গু জ্বর যেহেতু মশার কামড়ের উপদ্রব থেকে সৃষ্টি হয় এবং এটি একটি ভাইরাস জড়িত রোগ তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যেন, কোনভাবেই আপনার এবং আপনার বাচ্চার ডেঙ্গু জ্বর না হয় এর জন্য মশা নাশক বিভিন্ন স্তরে ব্যবহার করতে হবে। 

পাশাপাশি বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং পানি যেন কোথাও এক সপ্তাহের বেশি জমা না থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ পানিতে জন্ম নেয় মশা। তাই আপনি আপনার বাসার ফ্রিজ রেফ্রিজারেটর পানে ফুলের টপ ইত্যাদি জায়গাতে যেন পানি জমা না থাকে সেই দিকে একটু খেয়াল রাখবেন এবং সচেতন অবস্থায় মশারি টাঙিয়ে এবং বিভিন্ন মশার কয়েল ব্যবহার করে ঘুমাতে হবে তাহলে মশার দ্বারা সৃষ্ট ভাইরাস জড়িত এই ডেঙ্গু জ্বর থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url