শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে ১০টি কার্যকরী টিপস

শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে কি আপনি চিন্তিত? আপনার শিশু কি ডেঙ্গু রোগে ভুগছে আপনি কি লক্ষণ গুলো বুঝতে পারছেন না? যদি এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে আপনার শিশুর তাহলে এই পোস্টটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন এর প্রতিকার ও লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।

শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

শিশুদের ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ কিভাবে বুঝতে পারবেন এবং কি উপায় গুলো সবচাইতে কার্যকর তা আপনাদেরকে জানানো হবে যাতে আপনারা আপনাদের শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো দেখে বুঝতে পারেন এবং এর প্রতিকারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে দশটি কার্যকরী টিপস যা জানবেন  

শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার বিস্তারিত জানুন 

শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে প্রত্যেকটি বাবা-মায়ের বিস্তারিতভাবে জানা দরকার কারণ সন্তানের যত্নের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাবা-মা। তাই আপনার জানা উচিত যে আপনার ছেলের ডেঙ্গু রোগ হয়েছে কিনা বা হলে কি ধরনের লক্ষণ দেখা যাবে এবং কি উপায় অবলম্বন করে সেই লক্ষণগলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে প্রতিকারের রাস্তা খুজবেন। আপনাদের সামনে জানাবো শিশুদের ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো,

  • শিশুর ডেঙ্গু হলে তীব্র জ্বর আসবে যা সাধারণ জ্বরর তুলনায় উচ্চ জ্বর হিসেবে বিবেচনা করা হয় 
  • প্রচন্ড মাথা ব্যথা করবে এই জ্বর আসলে বা ডেঙ্গু জ্বর হলে। 
  • শরীর ব্যথা করবে এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি বের হতে পারে। 
  • অনেক সময় দেখা যায় ছোট বাচ্চারা অবিরাম বমি করতে থাকে। 
  • এগুলোর পাশাপাশি তাদের পেটে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হয়। 
  • এছাড়া মাড়ি থেকে রক্তপাত নির্গত হয় এবং অনেক ক্লান্তি ক্লান্তি অনুভূত করে শিশুটি। তাই পিতা-মাতার গুরুত্বপূর্ণভাবে জানা দরকার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সমূহ। 
  • হাড়ের জোড়ায় জড়ায় ব্যথা করবে এবং মাংসপেশিতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হবে। 
  • মাথা ব্যথা করার পাশাপাশি চোখের পেছনে ব্যথা করবে এটি অন্যতম একটি লক্ষণ। 
  • শরীরে জ্বরের মাত্রা ১০১ থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। 
  • রক্তক্ষরণ হতে পারে নাক মাড়ি বা ত্বকের নিচে যেকোনো জায়গায়। 
  • অবসাদ ও দুর্বলতা: শিশুর মধ্যে প্রচুর অবসাদ এবং দুর্বলতার লক্ষণ দেখা দেবে। 
  • লিভার বৃদ্ধি করে: এ রোগের পরিমাণ অনেকদিন হয়ে গেলে লিভারের বৃদ্ধি করে লিভার কে সমস্যায় ফেলতে পারে।
  • রক্ত বমি হতে পারে রক্ত বমি হওয়ার ফলে গুরুতর খারাপ অবস্থা দেখাতে পারে এবং রক্তশূন্যতা হতে পারে। 
  • কিছু শিশুদের মধ্যে দেখা গেছে বমিও এবং ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা যায়। 
  • প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি হবে এজন্য শিশুর শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস-প্রশ্বাসের বিভিন্ন সমস্যার কারণে অস্বস্তি বোধ করবেন। 
  • মুখ ও গলা ফুলে যাবে কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের লক্ষণও দেখা যায়। 
  • মূত্রের রং পরিবর্তন: স্বাভাবিক অবস্থায় মূত্রের যে রং থাকে তা গাঢ় হয়ে যাবে। 
  • শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম বের হবে এবং শরীর ধীরে ধীরে ক্লান্ত হয়ে যাবে। 
  • ব্লাড প্রেসার কমে যাবে, ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ খুব পরিমাণ কমে যাবে যা শক সষ্টি করার জন্য দায়ী।
  • অতিরিক্ত তৃষ্ণা: শিশুদের মধ্যে এই লক্ষণটি দেখা গেছে যে তারা প্রচন্ড পরিমাণ তৃষ্ণা অনুভূত হয়।
  • মূত্রের পরিমাণ কমে যাওয়া: মূত্রের পরিমাণ কমে যায় এবং ডিহাইড্রেশন সমস্যা হতে পারে।

মস্তিষ্ক প্রদাহ সৃষ্টি করে বিজ্ঞানের ভাষায় একে এনসেফালাইটিস নামে আখ্যায়িত করেছেন। আপনি যদি আপনার শিশুর ভিতরে এই উল্লেখিত লক্ষণ গুলো দেখতে পান তাহলে অবশ্যই তার প্রতিকার করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন তাহলে আপনার শিশু বিপদ থেকে রক্ষা পাবে এবং তার সুস্থতা চলে আসবে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে। 

শিশুদের ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার গুলো জেনে নিন 

শিশুদের ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার গুলো সম্পর্কে জানার আগে একটি কথা আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যে আসলেই ডেঙ্গু বিষয়টি কি? ডেঙ্গু হচ্ছে একটি মশা বাহিত রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এটি প্রধানত গ্রীষ্মকাল এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি প্রধান সেরোটাইপ রয়েছে। একবার আপনার শরীরে আক্রমণিত করতে পারলে সেটা আজীবন প্রতিরোধ রক্ষা তৈরি করবে আপনার বিরুদ্ধে। 

আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম এবং বিভিন্ন উপকারি টিপস 

শিশুদের ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার গুলো নিচে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হলো, 

মশার কামড় থেকে রক্ষা করা: আপনার শিশুকে যেন কোন ধরনের মশাতে কামড় দিতে না পারে সেজন্য আপনাকে মশারি ব্যবহার করতে হবে অথবা মস্কুইটো রেপেলেন্ট ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করতে হবে, বিভিন্ন মশা মারার কয়েল ব্যবহার করতে পারবেন। 

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং আপনার বাড়ির আশেপাশে বাড়ির ভিতরে যেন কোথাও নোংরা পানি জমা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ফুলের টপ এসি রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি জায়গা পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। 

প্রচুর পানি পান: ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার জন্য আপনি প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে পারেন এতে আপনার শরীর হাইড্রেট থাকবে যাতে ডিহাইড্রেট হওয়ার সম্ভাবনা কম হবে।

বিশ্রাম: যে শিশু আক্রান্ত হবে তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রামে রাখতে হবে।

বিভিন্ন তরল গ্রহণ: বিভিন্ন তরল গ্রহণ করতে পারবে এমন প্রচুর পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, পারবে লেবু শরবত খেতে পারবে যেগুলো ফলের রসকে পড়তে পারবে এবং খাওয়া সেলাইন খেতে পারবে।

প্যারাসিটামল সেবন করতে পারবে, কিন্তু অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন এড়িয়ে চলতে হবে এগুলো রক্তক্ষরণে ঝুঁকি বাড়াতে পারে। 

সিরাপথে স্যালাইন দিতে পারে ডিহাইড্রেশন বা রক্তচাপ কমে গেলে সিরাপদে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে। 

এছাড়াও হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, উল্লেখিত বিষয়গুলো পার্থক্য অবস্থায় আপনার শিশুর উপর কাজ করতে পারে কিন্তু তীব্রতর এবং প্রচন্ড পরিমাণে এই সমস্যা প্রকোপ আকার ধারণ করলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেডিকেলে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শের মতো চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে আপনার শিশুকে সুস্থ করতে হবে। 

শিশুর ডেঙ্গু রোগের খাবার সম্পর্কে জেনে নিন 

শিশুর ডেঙ্গু রোগের খাবার সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত কারণ প্রত্যেকটি মানুষের বাড়িতেই কম বেশি কোন না কোন শিশু আছে। আর এই ডেঙ্গু জ্বর এমন একটি সমস্যা যা শিশুদেরকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে তাই বিভিন্ন চিকিৎসকদের পরামর্শে যেসকল খাবারগুলো খেতে বলেছেন তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। যাতে করে আপনারা বুঝতে পারেন যে শিশুর ডেঙ্গু রোগের সময় কি ধরনের খাবার দেওয়া উচিত হবে। 

  • শিশুর ডেঙ্গু রোগের খাবার গুলো নিচে দেওয়া হলো, 
  • শিশু যদি মায়ের দুধ খায় তাহলে বেশি দুধ খাওয়াতে হবে। 
  • প্রচুর পরিমাণ পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। 
  • এই লক্ষণ দেখা দিলে স্যালাইন খাবার স্যালাইন খেতে পারবে। 
  • এছাড়াও প্রাকৃতিক উপায় থেকে পাওয়া ডাবের পানি অনেক কার্যকর। 
  • বিভিন্ন ফলের শরবত করে খাওয়াতে পারবে এছাড়াও কিছু ডাক্তার পরামর্শ দেন সুপ খাওয়ার জন্য।
  • ফলের রসের মধ্যে বিভিন্ন ফল লেবু এগুলো শরবত করে খাওয়া খুবই কার্যকর ডেঙ্গু রোগে।
  • শাকসবজি ও ফলমূল: পেঁপে কলা তরমুজ পেয়ারা পালং শাক মিষ্টি কুমড়া কাঁচা বা পাকা পেঁপে আলু। 
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে মুগের ডাল মসুর ডাল সিদ্ধ ডিম মাছ মাংস চর্বিহীন মাছ এবং মাংস।
  • এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের মধ্যে নরম ভাত খিচুড়ি এবং রুটি বা চিড়া জাতীয় খাবার খেতে পারবেন।
  • এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে: বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন ফাস্টফুড চিপস বা মিষ্টি এবং ক্যান্ডি জাতীয় খাবার, এছাড়া বিভিন্ন মসলাদার খাবার খাওয়া যাবে না পাশাপাশি চা কফি সফট ডিম্কস।

আপনার শিশুকে দ্রুত সুস্থ করার জন্য উল্লেখিত খাবারগুল বেশি পরিমাণে খাওয়াবেন পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন টিপস গ্রহণ করে খাবার খাওয়াতে হবে তাহলে অবশ্যই খুব সহজেই আপনার শিশু এই ভয়ঙ্কর রোগ থেকে মুক্তি পাবে এবং আপনার শিশুর যেন আর রোগগুলো না হয় তার জন্য উল্লেখিত খাবার গুলো প্রতিনিয়ত খাবারের মাধ্যমে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পাশাপাশি উল্লেখিত নিয়ম গুলো ফলো করতে হবে। 

শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের ৭টি সতর্কীকরণ লক্ষণ জানুন 

শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের সাতটি সতর্কীকরণ লক্ষণ গুলো জানা আমাদের প্রয়োজন কারণ এই লক্ষণগুলো খুব সহজেই দেখা যায় না বা ধরা পড়ে না ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার প্রাইস ৭ থেকে ১৪ দিন পরে এই লক্ষণগুলো ভালোভাবে দেখা দেয়। এবং ডেঙ্গুরের সাথে যে লক্ষণগুলো হয় সেই লক্ষণগুলো সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী হয় বেশিরভাগ মানুষ এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে ১৮টি ঘরোয়া টিপস 

উচ্চ জ্বর: সাধারণত এই লক্ষণগুলোর ভিতরে কমন লক্ষণ হচ্ছে উচ্চ জ্বর। তাপমাত্রা ১০১ থেকে ১০৪ ফারেনহাইট। 

তীব্র মাথাব্থা: এ ডেঙ্গু জ্বর হলে শিশুদের তীব্র মাথা ব্যথা করে বিশেষ করে কপালের অংশে। 

চোখের পিছনে ব্যথা: লক্ষণের একটি উন্নত লক্ষণ যে চোখের পিছনে ব্যথা বা চোখ নড়াচড়ার সময় চাপ দিলে ব্যথা অনুভূত হবে। 

পেশী ও বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা: এই সমস্যা সৃষ্টি হলে তীব্র পেশী ব্যথা করবে এবং বিভিন্ন সন্ধিস্থলে ব্যথা করবে পাশাপাশি ব্রেক ব্রণ ফিগার নামে পরিচিত করা হয়েছে এগুলোকে খুবই ভয়াবহ বলে।

বমি বমি ভাব এবং বমি: ডেঙ্গু জ্বর হলে শিশুর রক্ত বমির পাশাপাশি সাধারণ বমির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

চামড়ায় ফুসকুড়ি: এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে সবচাইতে প্রথমে উচ্চ জ্বর এবং পরে গায়ের চামড়ায় ফুসকুড়ি বের হয়। 

হালকা বা অতিরিক্ত রক্তপাত: এই সমস্যা সৃষ্টি হলে নাক, মাড়ি থেকে এবং দাঁতের গোড়া থেকে এছাড়া চামড়ার নিচে রক্তপাত হতে পারে। 

এছাড়াও রক্তচাপ কমে গিয়ে আপনার শরীরকে শক সৃষ্টি করতে পারে তাই আপনাকে এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে অবশ্যই নিকটবর্তী ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিকিৎসা দিতে হবে তাহলে আপনি অবশ্যই এক সপ্তাহ এর মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যেতে পারে না আর উল্লেখিত উপায় গুলো সম্পত্তি না থাকলে অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে এবং আপনার শিশু বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। 

বাচ্চাদের ভাইরাসের জ্বরের লক্ষণ গুলো জানুন 

শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনেছি পাশাপাশি এখন আমরা জানবো বাচ্চাদের ভাইরাসের জ্বরের লক্ষণ গুলো কি এবং এ থেকে কিভাবে আপনি নিজেকে এবং আপনার পরিবারের বাচ্চাদেরকে রক্ষা করবেন। চলুন এই বাচ্চাদের ভাইরাসের  লক্ষণগুলো জানিয়ে এবং এ থেকে রক্ষার উপায় গুলো ব্যবহার করে রক্ষা করি নজেদের বাচ্চাদেরকে।

বাচ্চাদের ভাইরাসের জ্বরের লক্ষণ গুলো জানুন

ভাইরাস লক্ষণগুলো হতে শরীরের শিশ্চির ভাব অনুভূত হওয়া, কাঁপুনি, মাথাব্যথা, হাত পাকিয়ে গিরায় ব্যথা এবং মাঝে মাঝে খাবারে অরুচির মতো সমস্যা দেখাতে পারে এছাড়া চোখ লাল হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং চুলকানি ঠান্ডা লাগা সর্দি সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া বাচ্চার যে সমস্যাগুলো খুবই দ্রুতর অবস্থায় নিতে পারে সেগুলো হচ্ছে সর্দি কাশি, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানার মত বিভিন্ন সমস্যা। 

এই লক্ষণগুলো আপনার শিশু দেখা দিলে আপনি বুঝে নিতে হবে যে আপনার শিশুর বা বাচ্চার ভাইরাস জড়িত সমস্যা সেটি হয়েছে তাই দ্রুত আপনাকে চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। যাতে তাড়াতাড়ি আপনার শিশুকে সঠিক সময়ে চিকিৎসা প্রদান করতে পারে এবং খুব অল্প সময়ের ভিতরে আপনার শিশুকে মুক্তি করতে পারে। আশা করি উল্লেখিত তথ্যগুলো জানার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে উপকৃত হবেন।

শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় কাজ গুলো জানুন 

শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন কারণ এতে আপনার শিশু রোগের লক্ষণগুলো আপনার সামনে ধরা পড়বে এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে কি কি কাজ করলে আপনি শিশুর জ্বর কমাতে পারবেন। জ্বর না করলে কি কাজ করতে হবে এবং কোন কাজগুলো করণীয় রয়েছে আপনার শিশুকে ভালো করার জন্য বা বিভিন্ন শিশুদের এই সমস্যাগুলো থেকে রক্ষা করার জন্য। 

শিশুর জ্বর না কমলে আপনি শিশুকে বেশি পরিমাণ পানি পান করানো বিভিন্ন ডাবের পানি, ফলের রস এবং খাওয়ার স্যালাইন পান করান। পাশাপাশি প্যারাসিটামল খাওয়াতে পারেন, এবং হালকা পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে শরীরের তাপমাত্রা হার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে। এছাড়া গোসল করাতে পারেন হালকা গরম পানিতে শিশুটিকে গোসল করে শরীরটি মুছে নিতে হবে। 

আর পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা এবং ঘরোয়া উপায় 

সবচাইতে ভালো হবে যদি আপনি চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষা নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং বায়ু এন্টিবায়োটিক বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। এছাড়া অ্যাপস পিরিন এড়িয়ে চলতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে তাহলে এই সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে।

কিছুক্ষণ পরে শরীর পানি দিয়ে বা হালকা গরম পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে যাতে শরীরের তাপমাত্রা কম হয় এবং হালকা খাবার দিতে হবে এবং শীতল পরিবেশে রাখার চেষ্টা করতে হবে। উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনি যদি সঠিকভাবে পালন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার শিশুর জ্বর থেকে ভালো হয়ে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মুক্ত থাকতে পারবে। 

শিশুদের ডেঙ্গু রোগ নিয়ে সচরাত জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্ন: ডেঙ্গু হলে কি সর্দি কাশি হয়? 

উত্তর: ডেঙ্গু হলে সর্দি কাশির সম্ভাবনা দেখা দেয় এবং পেট ব্যথা সহ আর অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। 

প্রশ্ন: ডেঙ্গু হলে কি চোখ লাল হয়? 

উত্তর: সব ঝড়ের মত ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রায় একর কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর প্রথম চারদিন থেকে তিন দিন চোখ লাল এবং চুলকানি সহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। 

প্রশ্ন: ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ধাপ কি কি? 

উত্তর: ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক লক্ষণ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো মাল্টি সিস্টেমিক এবং তিনটি স্বতন্ত্র পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত জর গুরুতর এবং পুনরুদ্ধার। 

প্রশ্ন: কিভাবে বুঝবেন ডেঙ্গু হয়েছে? 

উত্তর: ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান লক্ষণ গুলোর ভিতরে তীব্রচর মাথাব্যথা চোখের পিছনে মাংস বসতিতে ব্যথা ঘোরা বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি তৈরি হওয়ার তাদের লক্ষণ গুলো দেখা দেয় তখন আপিন বুঝবেন যে আপনার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে।

প্রশ্ন: শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি কি? 

উত্তর: শিশুদের প্রথম লক্ষণ হচ্ছে 5 থেকে 4 দিন হঠাৎ তীব্র জ্বর এবং জ্বরের মাত্রা 104 থেকে 100 এর ভিতরে থাকবে সঙ্গে সঙ্গে বমি এবং গায়ে ফুসকুড়ি হবে, এছাড়া ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

ডেঙ্গুতে বমি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানতে 

ডেঙ্গুতে বমি বন্ধ করার উপায় গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত কারণ ঠিকমতো দূরের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম লক্ষণ বমি বমি ভাব। ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার জন্য কোন নির্দিষ্ট ওষুধ বানানোর নেই তাই চিকিৎসা লক্ষণগুলি থেকে মুক্তির দিকে পরিচালিত করে আমরা ডেঙ্গু রোগের বিশ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণ তরল পান করার কথা পরামর্শ দিয়ে থাকি। বিস্তারিত তথ্যগুলো জানিয়ে যে ডেঙ্গু বমি হলে কিভাবে বন্ধ করতে হবে।

আপনাদের সামনে ঘরোয়া কিছু উপায় চালানো হলো, 

আদা চা: বমি হওয়া বন্ধ করার জন্য আপনি আদা য খেতে পারেন।

লেবুর রস: লেবুর রস বমি কমানোর জন্য বিশেষভাবে উপকারি।

মৌরি বীজ: মরিচ চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে আপনি বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। 

পুদিনা পাতা: বমি ভাব দূর করার জন্য পুদিনা পাতার রস বিশেষ উপকারী। 

ডাক্তারের পরামর্শ: সঠিক উপায়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য আপনি সরাসরি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। 

ডেঙ্গুতে বমি বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানতে

পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম: বমি বমি ভাব হওয়ার ফলে আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে যাবে তাই এই থেকে বাঁচার জন্য প্রচুর ব্যবহার বিশ্রাম করতে হবে এবং উল্লেখিত উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে।

আশা করি বোঝাতে পেরেছি ডেঙ্গু বমি বন্ধ করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত যে উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার বাচ্চার অথবা আপনার নিজের ডেঙ্গু হওয়ার ফলে যে বমি বমি ভাব হয় তা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন অথবা আপনার আশেপাশে যদি কেউ এই সকল সমস্যা চোখে পড়ে তাহলে উল্লেখিত বিষয়গুলো জানিয়ে তার উপকার করতে পারবেন। 

বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা 

বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে এখন বিস্তারিত জানাবো যাতে আপনারা প্রাথমিক পর্যায়ে বাচ্চাদের ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার জন্য এই উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন এতে বুঝতে পারবেন যে ডেঙ্গু জ্বর ভালো করার জন্য ঘরোয়া উপায়ে কি কি উপায় অবলম্বন করতে পারা যায় এবং কিভাবে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং আপনার শিশুকে রক্ষা করতে পারবেন তা জেনে নিন। 

পানীয় তরল খাবার গ্রহণ: আপনার বাচ্চা যদি প্রচুর পরিমাণ ডেঙ্গু জ্বরের জ্বর হয়ে থাকে তাহলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা এবং ওরাল র

ডিহাইড্রেশন পলিসিওন ফলের রস এবং শুভ দিন যা শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করবে। 

পেঁপে পাতার রস: পেঁপে পাতার মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার শরীরের প্লেটলেট সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করবে। যার কারণে আপনি খুব সহজেই এই জ্বরের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। 

এছাড়াও আদা চা খেতে পারবেন: আপনি যদি জ্বর জ্বর ভাব থাকে এবং বমি বমি ভাব থাকে তাহলে প্রথমে বা প্রাথমিক অবস্থায় আপনি আধা চা খেয়ে নিতে পারবেন এতে এবং ভাব কমে যাবে এবং আপনাকে স্বাভাবিক স্বস্তির দান করবে। 

মেথি চা খেতে পারবেন, মেথি চায়ে জ্বর কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষ ভূমিকা রাখে। 

গোলমরিচ এবং মধু: গোলমরিচ গুড়া ও মধু মিশিয়ে খাইলে বাচ্চাদেরও পতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং এ থেকে জ্বরের হাত থেকে বাঁচা যায়।

ধনেপাতার রস: ধনে পাতার রসে বিদ্যামান যে উপাদান গুলো রয়েছে তার জল কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। 

এসব লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খাইলে আপনার শরীরের পানি শূন্যতা পূরণ হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি সরবরাহ করবে তাই আপনি লেবুর রস খেতে পারেন।

এবং উল্লেখিত প্রত্যেকটি বিষয়ে খুব কার্যকর উল্লেখিত সকল বিষয় ব্যবহার করতে পারেন এতে খুব কার্যকরীভাবে উপকার পাবেন এবং ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে এই প্রক্রিয়াগুলো সবচেয়ে বেশি প্রচলিত এবং কার্যকার তাই আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম যাতে আপনি উপকৃত হন। 

শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে শেষ মন্তব্য 

শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আমার যে বিষয়গুলো আপনাদেরকে জানানোর দায়িত্ব। কারণ এই বিষয়গুলো জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই আপনার শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো বুঝে এর চিকিৎসা নিতে পারবেন তাই আপনি যেন ডেঙ্গু রোগ থেকে সহজে প্রতিকার পান এবং এর লক্ষণ গুলো বুঝতে পারেন তাই আপনাদের সামনে এই বিস্তারিত তথ্য গুলো আলোচনা করলাম যাতে আপনারা সকলেই উপকৃত হতে পারেন। 

আশা করি এই বিষয়গুলো আপনি জেনেছেন এবং এই থেকে উপকারিতা পাবেন যা আপনার শিশু এবং আপনার পরিবারের সকল মানুষের ডেঙ্গু রোগের কাছ থেকে রেহাই দিবে এবং ডেঙ্গু রোগ যেন না হয় সে জন্য আপনারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারবেন। আশা করি এই পোস্টের তথ্যগুলো আপনার অনেক কাজে আসবে। লিখিত তথ্য গুলো আপনি উপকৃত হলে আপনার আশেপাশের মানুষ কেউ উপকৃত হওয়ার জন্য পরামর্শ দিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url