গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই। কারণ অনেক সবজি রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই পোস্টের ভিতরে আরো আপনাদের সামনে জানানো হবে গর্ভাবস্থায় শাক সবজি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। 

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

এছাড়াও আরো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি বা ফলের ভিতরে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং এগুলো কিভাবে আপনার উপকারে আসবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো।

পোস্ট সুচিপুত্রঃ  গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা কি? এ বিষয়ে জানুন

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না তা জানুন

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না এ বিষয়ে অনেকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে থাকে? তাদের জন্য এই পোস্টটি উপস্থাপন করলাম যাতে খুব সহজেই বুঝতে পারে যে গর্ভাবস্থায় কি সবজি খাওয়া যাবে না। এবং কি কি সবজি খাওয়ার মাধ্যমে ভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে। এছাড়া এই পোস্টের ক্ষেত্রে আপনাদেরকে জানানো হবে গর্ভাবস্থায় শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। 

পৃথিবীর আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব গর্ভাবস্থায় কি সবজি খাওয়া যাবে না সেই সম্পর্কে, গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন করে থকে এই পরিবর্তনের সময় বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং পুষ্টি ঘাটতি দেখা দিতে পারে তাই সে সকল পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করার জন্য বিভিন্ন শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তার। 

গর্ভস্থায় সব ধরনের খাওয়া খাওয়া যায় কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে শরীরের অবস্থার উপর নির্ভর করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন গাইডলাইন বা পরামর্শ অনুসরণ করে বিভিন্ন খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে নিরাপত্তা পাওয়া যায়। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় না ধোয়া বা না খোসা ছাড়ানো ফল ও সবজি খাওয়া যাবে না, এতে ব্যাকটেরিয়া পরজীবী যেমন টক্সোপ্লাজমা, ই কলি, সালমনেলা, লিস্টেরিয়ার মাধ্যমে দূষিত হতে পারে। 

কারণ বিভিন্ন ফলমূল পরিচর্যা এবং চাষাবাদ করার সময় বিভিন্ন কীটনাশক এবং প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয় সে সময়ে বিভিন্নভাবে দূষিত হতে পারে। এছাড়া এই ব্যাকটেরিয়াস ভাইরাস গুলো ফলমূল এবং শাকসবজির ভিতরে দেখা যায়। এর ফলে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে যেমন দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়, জন্ম সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা এবং মস্তিষ্কের ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে। 

সুতরাং আপনাকে গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে বিভিন্ন শাকসবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের আক্রমণ রোধ করার জন্য। তাই আপনার আমার সকলেরই শাকসবজি গ্রহণ বা খাবার আগে বিভিন্ন ভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে সেগুলো ব্যবহার করা উচিত। তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই কোন শাকসবজি গর্ভাবস্থায় খাওয়া নিষেধ এবং ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না আরো কিছু তথ্য 

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা এ বিষয়ে আরো কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো এবং কি কি সবজি খাওয়া যাবে না এবং কোন কোন ফল খাওয়া যাবে না তা উপস্থাপন করব পর্যায়ক্রমে, যাতে আপনারা খুব সহজেই এখান থেকে উপকৃত হতে পারেন এবং বুঝতে পারেন যে গর্ভ অবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে এবং কি কি সবজি খাওয়া যাবে না। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা ও কিছু গোপনিয়তা

গর্ভাবস্থায় সবজিগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকা সবচেয়ে ভালো: 

  • করোলা: গর্ভাবস্থায় করোলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত কারণ গর্ভাবস্থায় ব্যতীত সকল অবস্থায় করলার উপকারিতা থাকলেও গর্ভ অবস্থায় এর কিছু ক্ষতিকারক প্রভাব দেখা যায়। এর মধ্যে বিদ্যমান গ্লাইকোলাইসিস, সেপনিক, মারোডিসীন নামক পদার্থ রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
  • কাঁচা পেঁপে: কাঁচা পেঁপে খাওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্য উপকারিতা না হয়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়, কাঁচা পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে উচ্চমাত্রায় ল্যাটেক্স রয়েছে। আমেরিকান একটি গবেষণায় ইঁদুরের পুরো গবেষণা করে দেখা যায় যে ল্যাটেক্স জরায়ুর শক্তিশালী পেশী ও গ্রন্থি সংকোচন করে। সুতরাং সেখান থেকে গবেষণা বা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভস্থ শিশুর জন্য কাঁচা পেঁপে সেই উপাদানটি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় কাঁচা অথবা আধা কাঁচা পেঁপে খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত। কিন্তু একটা কথা আপনাদের জানা উচিত যে পাকা পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান গুলো রয়েছে। গর্ভাবস্থায় পাকা পেঁপে খাওয়া যেতে পারে কাঁচা অবস্থায় যে ভিটামিন বা পাতাগুলো থাকে তা পাকা অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে স্বাস্থ্য উপকারিতা করে থাকে। সুতরাং আপনি গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেলে পাকা পেঁপে ছাড়া খাবেন না।
  • অঙ্কুরিত বীজ: গর্ভাবস্থায় অঙ্কুরিত বীজ খাওয়া যাবে না, যেমন ধরুন ছোলা ভিজিয়ে রেখে সেখানে বীজ তৈরি হয় সেটা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ছোলা খাওয়া যাবে কিন্তু ভেজানো ছোলা বীজ হয়ে গেলে সেগুলো খাওয়া যাবে না। স্বাভাবিক অবস্থায় যে কেউ খেতে পারে কিন্তু গর্ভাবস্থায় এর ক্ষতিকর প্রভাব দেখা গিয়েছে তাই না খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। 
  • খাদ্যশস্য ও সিম: রান্না না করা অঙ্কুরিত বীজ এবং খাদ্যশস্য খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, যারা গর্ভস্থ শিশুর বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এতে বিদ্যমান যে উপাদান গুলো রয়েছে তা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বজায় রাখে না এবং গর্ভস্থ শিশুর ভ্রূণের সমস্যা সষ্টি করতে পারে এবং শিশুর বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। 
  • কাঁচা মুলা: মুলা অতি পরিচিত এবং পুষ্টিকর খাবার তবুও এটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে আসে গর্ভবতী মায়েদের জন্য এর মধ্যে যেই উপাদান গুলো বিদ্যমান তা অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারী কিন্তু এর কাঁচামালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী বসবাস করতে পারে। যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয় যেমন, লিওটেরিয়া, সালমলিয়া ও ই কলির মত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এর মধ্যে বাসা বেঁধে থাকতে পারে তাই কাঁচা গুলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 
  • সজিনা: সজিনা আলফা সিস্টেরল নামক উপাদান যা গর্ভবতী মায়ের গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। বিভিন্ন স্বাস্থ্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটি না খাওয়ায় উচিত এতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুকি রয়েছে। যদিও সজনে পাতা অনেক বা সজনে অনেক উপকারী রূপ পুষ্টি সমৃদ্ধ।
  • অ্যালোভেরা: গর্ভকালীন সময়ে অ্যালোভেরা জেল খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং রূপচর্চার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয় সেই সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য কিন্তু গর্ভাবস্থায় এর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে তাই গর্ভকালীন সময়ে এই অ্যালোভেরা খাওয়া থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত উপকারিতা।
  • বেগুন: বেগুন অনেকেরই পছন্দনীয় একটি খাবার এটা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় কেউ বেগুনি ও মাছের সাথে কেউ ডিমের সাথে কেউ ইত্যাদি ভাবে বেগুন মানুষ খেয়ে থাকেন। বেগুনে বিদ্যমান ফাইটো হরমোনস থাকে যা ঋতু সাব হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করে এছাড়া বেগুনের চামড়ায় প্রচুর পরিমাণে এলার্জি থাকে যে সকল মায়েদের এলার্জি রয়েছে তারা অবশ্যই বেগুন খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। 
  • কাইফেন জাতীয় খাবার: গর্ভাবস্থায় কাফিন জাতীয় খাবার বা চা - কফি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না এতে প্রচুর পরিমাণ গর্ভপাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
  • পারদ জাতীয় খাবার: যে সকল খাবারের ভেতরে প্রচুর পারদ রয়েছে সে সকল খাবার খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য চোখের সমস্যা হবে এবং ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশের প্রতি প্রভাব ফেলতে পারে। এর জন্য আপনাকে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবে না। যেমন টোনা মাছ, সার্ক ফিস ইত্যাদি মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • আধা সিদ্ধ ডিম: আধা সেদ্ধ ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পেতে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া অবস্থান করতে পারে। যা আপনার গল্পের বিভিন্ন ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং কোন ধরনের আধা সিদ্ধ খাবর খাওয়া থেকে বিরক্ত থাকতে হবে। 

গর্ভকালীন যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন 

আপনি অবশ্যই গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে চান এবং আপনার শিশুর নিরাপত্তা এবং পুষ্টি সরবরাহ করতে চান যাতে শিশু সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং মানসিক বিকাশ সম্পূর্ণ সঠিকভাবে হতে পারে। এর জন্য কিছু কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং কিছু খাবার গ্রহণ করা যাবে না এর থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে না যে সকল খাবার: 

  • কাঁচা পাস্তরিত দুধ 
  • পাথরের দুধ থেকে তৈরি বিভিন্ন নরম পনির 
  • মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া খাবার বা নষ্ট খাবার। 
  • কাঁচা মাছ, মাংস, ডিম 
  • অ্যালকোহল বা বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
  • ভালোভাবে রান্না করা মাছ মাংস এবং সতেজ ও কোল্ড কাঠ।
  • বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • খাবার খাওয়ার আগে কিছু নিরাপত্তা গ্রহণ করতে হবে তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম: 
  • খাবার খাওয়ার আগে পরিষ্কার করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। 
  • খাবার খাওয়ার পাত্র ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। 
  • খাবার তৈরি করার সময় সেই খাবারগুলো অত্যন্ত যত্নসহকারে পরিষ্কার করতে হবে।
  • খাওয়ার কে উপযুক্ত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।
  • রান্নার পর টাটকা খাবার খেতে হবে। ঠান্ডা করা বা বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে এবং সঠিকভাবে অনুসরণ করে আপনাকে গর্ভকালীন সময় পার করতে হবে তাহলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি গর্ভপাত হয়ে যাওয়ারদের সম্ভাবনা বা ঝুঁকি রয়েছে তা হবে না। পাশাপাশি আপনি নরমাল ডেলিভারি করতে পারবেন যদি সঠিক নিয়মগুলো মেনে থাকেন এবং শাক-সবজির যে গুলো থেকে বিরত থাকুন এবং যে শাকসবজি গুলো অত্যন্ত উপকারী তা গ্রহণ করুন। উপকারী শাক সবজি গুলো নিচে আলোচনা করা হলো। 

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে তা জেনে নিন

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে তা জেনে আপনি খুব সহজেই সবজি খাওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন গর্ভ অবস্থায় বিভিন্ন পুষ্টি সরবরাহ এবং ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে। এই পোস্টের ভিতরে যে সবজিগুলো খাওয়ার জন্য বিরোধ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সে সকল সবজি বাদ দিয়ে আপনি সকল সবজি খেতে পারেন পাশাপাশি বিভিন্ন ফলমূল খেতে পারেন যেগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় লটকন খাওয়ার ১০ উপকারিতা ও গোপন টিপস 

কিছু ফলমূল রয়েছে যে ফলগুলো খাওয়াতে অবশ্যই বিরল থাকতে হবে এবং কিছু শাকসবজি রয়েছে যেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে তাই সেগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। এই উপস্থাপিত বা উল্লেখিত ফলগুলো এবং সবজি গুলো বাদে সকল সবজি খেত পারেন যেমন ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মিষ্টি আলু, টমেটো, ঝিঙ্গা, শসা আরো অনেক ধরনের ফল বা সবজি রয়েছে যেগুলো আপনি নিয়মিত গর্ভাবস্থায় খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় একটি গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত দামি সময় তাই সে সময়ে কোন ধরনের অবহেলা বা ভিটামিন ও পুষ্টির ঘাটতি যেন না পড়ে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এবং আপনার নিজেকেই নিজেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা মেনে জীবন ধারণ করতে হবে সেই সময়টুকু। কারণ আপনার শরীরের মধ্যে একটি শরীর নতুনভাবে জন্ম নিচ্ছে এবং সেটা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে তাই আপনাকে অবশ্যই বাড়তি অনেক পুষ্টি চাহিদা মেটানোর প্রয়োজন হবে।

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে নিচে দেখুন

এখন আপনারা জানলেন গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না এবং এখন আপনাদেরকে জানাবো গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে এবং এই সবজি গুলো গর্ভাবস্থায় প্রচন্ড উপকার।

পেয়ারা: গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খেতে পচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে, প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা আপনার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে এবং পুষ্টি সরবরাহ করবে। 

কলা: কলা অত্যন্ত পুষ্টি উপকারী এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গর্ভাবস্থায় কলা খেতে পারেন এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা মাংসপেশী এবং স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন পুষ্টি সরবরাহ করে। 

কমলা: গর্ভাবস্থায় আরো একটি উন্নত উপকারী ফল হচ্ছে কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড রয়েছে যা মস্তিষ্ক বিকাশ এবং শিশুর মেরুদন্ডী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

আপেল: গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কমপক্ষে একটি আপেল খাওয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা এলার্জি এবং অ্যাজমার সম্ভাবনা কমে যায় এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা হিমোগ্লোবিনের সংকট সামলাতে সাহায্য করে। 

কিউই: এটি একটি সুন্দর পুষ্টিকর সমৃদ্ধ ফাইবার সমৃদ্ধ এবং ভিটামিন সি ভিটামিন ই ফলিক এসিড এবং ক্যারোটিন ওয়েট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হার্ড সুস্থ রাখে এবং রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। 

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না তা জেনে নিন 

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা এবং গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে তা আমাদের জানা উচিত। কারণ গর্ভ অবস্থায় বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন শাকসবজি ফলমূল এবং খাদ্য গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। যেই খাদ্য এবং শাক সুজির ভিতরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান এবং উপকারিতা রয়েছে। আপনাদেরকে জানা পুচির গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় তালের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারী টিপস

অবস্থায় এই ফলগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন; 

আনারস: গর্ভাবস্থায় আনারস ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ আনারস ফল প্রচন্ড পরিমাণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আনারসে থাকা প্রোমিন নামক যে এনজাইমটি থাকে তা প্রোটিনকে ভেঙে দেয় এবং জরায়ুতে অত্যন্ত যন্ত্রণা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে এবং ডিহাইড্রেশন এবং ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন সমস্যার দেখা দিতে পারে। 

আঙ্গুর: গর্ভাবস্থায় এমন একটি পর্যায়ে আছে যে সময়ে যে আঙ্গুর থেকে বিরত থাকতে হবে বিশেষ করে শেষ তিন মাস আঙ্গুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি ঘটতে পারে তাই আঙ্গুর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 

বরফে জমা বেরি: গর্ভাবস্থায় বরফে জমিয়ে রাখা বেরি ফল বা কোন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যদিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টাটকা বেরি ফল খাওয়া যায়। ফ্রিজে বা বরফে জমিয়ে রাখার কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে এটি খাওয়ার মাধ্যমে মা ও শিশুর। 

টমেটো সস বা কেনে ভরা টমেটো: গর্ভাবস্থায় কেনে ফাটা টমেটো খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। সুতরাং টমেটো খাওয়ার প্রয়োজন হলে টাটকা টমেটো খেতে হবে, তাছাড়া আপনাকে টমেটো খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে এতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে গর্ভবতী মায়ের।

তরমুজ: তরমুজ অত্যন্ত ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি রসালো খাবার এটি  গ্রীষ্মকালের একটি খাবার। তরমুজের বিদ্যমান উপাদানগুলো শরীরের টক্সিন বের করে দিয়ে শরীরকে হাইটেক করে যার ফলে শিশুর শরীরের বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাব দেখা দিতে পারে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই তরমুজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও শরীরে সুগারের লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকতে পারে এটি শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সামান্য পরিমাণ গ্রহণ করতে পারেন। 

খেজুর: খেজুর খাওয়া অত্যন্ত উপকারী এবং পুষ্টিকর খাবার খেজুরের প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী কিন্তু গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন, সে জন্য জরায়ুর যন্ত্রণা সৃষ্টি করতে পারে এছড়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বয়ে নিয়ে আসে মা ও শিশুর ক্ষেত্রে তাই এই খেজুর খাওয়া থেকে আপনি অবশ্যই বিরত থাকুন গর্ভাবস্থায়। 

আরো একটি বিষয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা প্রয়োজন মনে করি সেটা হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে আপনি গর্ভাবস্থায় সব সময় সচেতন এবং সার্বিক নিয়ম-কানুন মেনে যদি চলেন তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন সমস্যা এবং সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হার্ট থেকে রক্ষা পাবেন। সুতরাং উল্লেখিত তথ্য থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফলগুলো খাওয়া যাবে এবং কোন ফলগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কি কি সবজি খাওয়া যাবে এবং কি সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি জানুন 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই এবং এর সঠিক উত্তর না জেনে বিভিন্ন বিপদে পড়ে থাকে অনেকেই। আপনাদেরকে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে যেন আপনাদের গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা পান এবং লেবু খাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারেন তা আপনাদের সামনে অবশ্যই বিস্তারিত উপস্থাপন করব যাতে আপনারা এর সহজ ব্যবহার করতে পারেন। 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি জানুন

গর্ভাবস্থায় সত্যিকার উপকারিতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই লেবু খাওয়া যাবে লেবুর বহু রকম উপকারিতা রয়েছে যে উপকারিতা গুলো মানুষের বিভিন্ন রোগ মুক্তি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কিনা এর উত্তর হচ্ছে গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে। কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে অতিরিক্ত কোন কিছুই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় তাই অতিরিক্ত পরিমাণ লেবু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

তাছাড়া লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন উপাদান রয়েছে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বমি বমি ভাব দূর করে পাশাপাশি মুখের রুচি নিয়ে আসে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের মত সমস্যাকে সহজে দূর করতে সাহায্য করে। সুতরাং আপনি আপনার শরীরের সুস্থতা এবং আপনার শরীরের ভ্রূণর সুস্থতার জন্য অবশ্যই লেবু ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও লেবুতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম নিয়াসিন ফলের ভিটামিন b6, ভিটামিন সি সহ রাইবোফ্লাভিন এর মতো উচ্চ পরিমাণে খনিজ পদার্থ। 

উচ্চবর্ণের খনিজ পদার্থ গুলো একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং নিরাপদ। আপনি কি প্রশ্ন করেন এবং জানতে চাই যে গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া বা লেবুর রস পান করা কি নিরাপদ? অবশ্যই নিরাপদ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। ত্রিভুজের বিভিন্ন শরৎ তৈরি করে খেতে পারবেন সামান্য চিনি মিস করে। গর্ভাবস্থায় লেবুর পান করার উপকারিতা গুলো হচ্ছে যদি সীমিত পরিমাণে পান করা হয় তাহলে লেবুর রস কোনভাবে গর্ভবতী মহিলার জন্য উপকারিতা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আসবে না। 

  • এর জন্য গর্ভকালীন অসুস্থতায় চিকিৎসার সহযোগিতা করে। 
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অস্থিতি দেয় 
  • বদহজম নিরাময়ে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। 
  • হাড়ের শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং দুর্বলতা কমাই। 
  • জলঙ্গ সংক্রান্ত সংক্রমণ গুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 
  • দেহের পিএইচ মাত্রা বজায় রাখে 
  • শরীর ফোলা বা পা ফোলা থেকে মুক্তি দেয়। 
  • ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে। 
  • প্রসবকালীন সময়ে সমবেদনার সময় চাপ কমাতে সাহায্য করে। 

উল্লেখিত সকল উপকারিতা পাওয়ার জন্য আমাদের যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে একটি লেবু নিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে সেই লেবুটি থেকে একটি পাত্রের রস বের করে নিতে হবে এবং এক গ্লাস পানির ভিতরে সেই রসটি দিয়ে চিনি অথবা মধু মিশিয়ে সে পানিটি পান করতে হবে। উল্লেখিত প্রক্রিয়াটি আপনি কিছুদিন করলে আপনি বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন। 

 এছাড়া আরো যে কাজটি করতে পারেন সেটি হচ্ছে আদা এবং লেবু চা তৈরি করে খেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় বমি ভব এবং অস্থিরতা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে এক গ্লাস পানি ফুটিয়ে নিতে হবে এবং সামান্য পরিমাণ আদা নিয়ে পরিষ্কার করে 1 ইন পরমাণ আদা সেই গরম পানির ভিতর দিয়ে দিতে হবে। এক টুকরা লেবু দিয়ে সেই পানি ফুটিয়ে নিতে হবে এবং সেই বাণী আপনি ১০ মিনিট মতো গরম করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। 

গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না জানুন 

অবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যে সকল মাছগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ এবং পারদ জাতীয় মাছ গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে যে সব মাছের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে পারদ রয়েছে সে মাছগুলো অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি বয়ে নিয়ে আসে। 

আরো  পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারী টিপস 

বিভিন্ন চিকিৎসকদের মতে যেসব সামুদ্রিক মাছে অধিক পরিমাণ পারদ থাকে সেগুলো গর্ভাবস্থায় না খাওয়া উচিত। শেষ করে সার্ক, টুনা মাছ এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পারদ রয়েছে তাই এগুলো খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। এছাড়া আরো যে মাছ রয়েছে চিংড়ি, শালমন, তেলাপিয়া, মাগুর,  শিং এই মাছগুলোতে পারদ এর পরিমাণ রয়েছে তাই এই মাছগুলো বেশি পরিমাণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

সুতরাং বুঝতে পারছেন যে গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না এবং কি কি মাছ খাওয়া থেকে বিরোধ থাকতে হবে এছাড়া যে মাছগুলো রয়েছে সেই মাছগুলো আপনি ভক্ষণ করতে পারেন বা খেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করার জন্য যেই পুষ্টি উপাদান গুলোর প্রয়োজন হয় মেটানোর জন্য বিভিন্ন মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন কিন্তু আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে উল্লেখিত মাছগুলো খাওয়া গর্ভবতী মায়ের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি বয়ে আনে। 

গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি জানুন 

গর্ভাবস্থায় চিরা খাওয়া যাবে কি এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই তাদেরকে সহজেই বলতে চাই যে, গর্ভাবস্থায় চিড়া খওয়া যাবে এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের রক্ত শূন্যতার ঝুঁকি কমাতে পারবেন। এর মধ্যে যে আয়রন ও পুষ্টি উপাদান গুলো রয়েছে তা আপনার শরীরকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য সাহায্য করবে। 

গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি জানুন

পাশাপাশি আপনি চিড়া খাওয়া অভ্যাস করে স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন এবং সেই উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই চিড়া খেতে হবে বা নিয়মিত চিড়া খেলে আপনি সে উপকারিতা গুলো পাবেন। বেশি হওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন সময় অবলম্বন করতে পারেন যেমন সকালে খাবার পর দুই তিন ঘন্টা পরে আপনি দুপুরে খাওয়ার পূর্বে এই চিড়া খেতে পারেন গর্ভাবস্থায়। 

আরো পড়ুনঃ ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় ও বিভিন্ন কার্যকারী পদ্ধতি 

এছাড়াও আপনি রাতে ঘুমানোর আগে বা বিভিন্ন সময় চিড়া খেতে পারেন এ ব্যাপারে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার পাশাপাশি চিরাজি মানুষের স্বাস্থ্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় সেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন তাই আপনি গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার জন্য এবং আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য চিড়া খেতে পারেন। অরণ্য গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন উপাদানের প্রয়োজন হয় গর্ভস্থ শিশু এবং মায়ের সুস্থ থাকার জন্য।

গর্ভাবস্থা নিয়ে সচেতা জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্ন: বাচ্চা পেটে থাকলে কি কি খাবার নিষেধ? 

উত্তর: বাচ্চা পেটে থাকলে আপনাকে কাঁচা অর্থসিদ্ধ বিভিন্ন খাবার খেতে পারবে না এবং উচ্চ পারদ জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে বিস্তারিত জানতে পোস্টের তথ্য গুলো জানুন।

প্রশ্ন: গর্ভের বাচ্চা কি ক্ষুধার্ত হয়? 

উত্তর: গর্ভেরা খায় না কিন্তু তাদের নাভির মাধ্যমে খাদ্য বা পুষ্টি সরবরাহ করা হয় তাদের শরীরে এবং জন্মের আগে পর্যন্ত তাদের এই প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে। 

প্রশ্ন: মায়ের কাছ থেকে গর্ভের শিশু কিভাবে পুষ্টি পায়?

উত্তর: মায়ের কাছ থেকে গড় বেশি হয় যেভাবে পুষ্টি পায় তা হলো নাভির কার্ডের রক্তনালী গুলির মাধ্যমে ভ্রূণ পোস্টেন্ডারের মাধ্যমে মায়ের কাছে থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে অক্সিজেন এবং জীবন সহায়ত পায়। ব্রণ প্লাসেন্টার মাধ্যমে মায়ের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ হয় শিশুর শরীরে। ভ্রূণ থেকে বর্জ্যপূর্ণ এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড নাভির কার্ড এবং প্ল্যাসেন্টার তার মাধ্যমে মায়ের সঞ্চারণে নির্মূল হওয়ার জন্য ফেরত পাঠানো হয়। 

প্রশ্ন: গর্ভে বাচ্চারা পায়খানা করে না কেন? 

উত্তর: মেকনিয়াম হল শিশুর দুধ বা ফর্মুলা খাওয়ানোর এবং হজম করা শুরু করার আগে জন্মের পরেই নবজাতকের দ্বারা প্রভাবিত মল। কিছু ক্ষেত্রে শিশু জরায়ুর ভিতরে থাকাকালীন মেকোনিয়াম পাস করে। এটি ঘটত পারে তখন শিশুরা রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ কম হওয়ার কারণে এর চাপের সৃষ্টি হয়ে থাকে। 

প্রশ্ন: সুস্থ গর্ভাবস্থা ও প্রসবের জন্য জরায়ু কেন প্রয়োজন? 

উত্তর: জরায়ু একটি ফাঁপা অঙ্গ যা ডিম্বাণকে নিষিক্ত হওয়ার মাধ্যমে সেই মুহূর্তে থেকে প্রসবের জন্য প্রস্তুত একটি উন্নত ভ্রূণে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরক্ষামূলক এবং পুষ্টিকর সহযোগিতা প্রদান করে। 

প্রশ্ন: কিভাবে ছেলে সন্তান গর্ভবতী করা যায়? 

উত্তর: সেরা অবস্থান গভীর অনুপ্রবেশকারী যৌনতা পছন্দনীয়, একটি মহিলার জরায়ুর কাছে বীর্য এবং শুক্রাণু জমা করতে সাহায্য করে যাতে তাদের ফ্যালোপিয়ান টিউবে যাওয়ার সর্বোত্তম সুযোগ দেওয়া হয়। ডিম্বই স্ফুটনের 12 ঘন্টা আগে একটি ছেলের সাথে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সর্বাধিক বলে মনে করা হয়। 

প্রশ্ন: গর্ভাবস্থায় কি ফল খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়? 

উত্তর: গর্ভাবস্থায় কি ফল খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এ বিষয়ে অনেকে জানতে চাই। তাদের এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হিসেবে আমি বলবো যে যদিও ফর্সা কিংবা কালো এটা জেনেটিক দিক থেকে নির্ধারিত হয়ে থাকে। তারপরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে খাবারের পুরো অনেকটা নির্ভর করে। অ্যালোক্যাডো একটি ফল যা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ বলে পরিচিত। এই উভয় ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত ভিটামিন সি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

এবং এটি শরীরের কোলাজেন উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য পালাক্রমে কুলারজন উৎপাদন আপনার শরীরের ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী এবং আপনার শিশুর ত্বকের স্তর উন্নত করতে সাহায্য করে এবং তা ফর্সা হওয়ার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই আপনি গর্ভাবস্থায় কি ফল খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত এতটুকুই উপস্থাপন করলাম। যতটুকু ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী নিরাপদ এবং প্রমাণিত। 

প্রশ্ন: পান পাতা খেলে কি গর্ভপাত হয়? 

উত্তর: পান পাতা খেলে গর্ভপাত হয় কিনা এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই। গর্ভাবস্থায় পান পাতা খাওয়া ভ্রুনের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। ভ্রূণের বিকাশের পর্যায়ে শিশুর জন্য অনির্বাদ বলে মনে করা হয়। একটি শিশুর জন্মগত অক্ষমতার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এমনকি গর্ভপাতের ঝুঁকি উপরে নিয়ে আসতে পারে। 

প্রশ্ন: গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়া যাবে কি? 

উত্তর: ডালিম, রাগী, বাদাম, কুইন গর্ভাবস্থার জন্য সেরা শস্য খাদ্য। আঙ্গুলের বাজার মোটো এবং ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস এর মত পুষ্টিতে ভরপুর খাবার। 

প্রশ্ন: গর্ভাবস্থায় কোন ভাকরি খাওয়া ভালো?

উত্তর: গর্ভাবস্থায় বাজরা ফিচ রি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা বাজরা বা মুক্তবাজার নামে পরিচিত চালকে একুরিত করে স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। 

প্রশ্ন: গর্ভাবস্থায় কি রস খাওয়া যাবে?

উত্তর: আপনার বিছানার পাশের টেবিলের রেক্স বা ব্লেন্ড বিস্কুট রাখার রাখুন। আপনি বিছানা থেকে নামার আগে সকালে এগুলো রাখুন। ডক্টর লালি ওয়ালা ব্যাখ্যা করেছেন যে, গর্ভবতী মহিলাদের ৫ মিনিটের জন্য বিছানায় বসতে হবে টু স্টেট একটি ছোট টুকরা খেতে হবে আবার ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে এরপর আবার উঠে ব্রাশ করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না নিয়ে শেষ মন্তব্য 

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না এবং কোন ধরনের কোন খাওয়া যাবে এবং কোন বিষয়গুলো থেকে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে তার বিস্তারিত বিষয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। যাতে আপনি খুব সহজে গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারি না এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান এবং মিনারেল খনিজ পদার্থের প্রয়োজন হয়।

যা একটি সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। এছাড়া বিভিন্ন খাবার বা ফলমূল রয়েছে যেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা এবং অশ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি শিশুর বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং গর্ভপাত হওয়ার মতো সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তাই আপনি যদি বিভিন্ন গর্ভ অবস্থায় সচেতন মূলক তথ্য সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি অবশ্যই ভালো করে পড়ে নিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url