টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া ২৭টি উপায় এবং ডাক্তারের পরামর্শ
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় অনেকেই জানতে চাই কারণ এই হরমোনের ঘাটতি হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। পুষ্টির ভিতরে আলোচনার রাখবো আপনি কিভাবে এই হরমোন ঘরোয়া উপায়ে বৃদ্ধি করতে পারবেন।
এবং কোন কোন খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এই হরমোন বৃদ্ধি করতে পারবেন। এই হরমোনের ঘাটতি থাকলে কি ধরনের সমস্যা ঘটতে পারে তারও কিছু তথ্য উপস্থাপন করব আপনাদের সামনে।
পোস্ট সুচিপত্রঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় এবং এই পোস্টতে যা জানতে পারবেন
- টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
- টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ভিটামিন গুলো কি কি
- টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় কেন জানুন
- টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ গুলো জানুন
- টেস্টোস্টেরন এর স্বাভাবিক মাত্রা কত জানুন
- টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি হলে কি হয় জানুন
- টেস্টোস্টেরন হরমোন কম হলে কি হয় তা জানুন
- টেস্টোস্টেরন হরমোন এর কাজ কি জানুন
- টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষার নাম কি জানুন
- টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় গুলো অনেকেই জানেনা তাই এই সমস্যা সমাধান করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায় যে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়ার চাইতে ঘরোয়া উপায় গুলো বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। তাই চলুন জেনেনি টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় গুলো আসলে কি।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করা।
বিভিন্ন ফ্রেশ উদ্ভিদ ব্যবহার করতে পারবেন এই হরমোন উৎপন্ন এবং বৃদ্ধি করার জন্য।
বিভিন্ন ধরনের যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে পারবেন।
স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে।
সৌম্য পরিবেশ: এই হরমোন সম্য পরিবেশ পছন্দ করে তাই ঘরের একটি সৌম্য ও শান্ত নির্ধারিত পরিবেশ সৃষ্টি করুন।
পর্যাপ্ত আলো: হরমোন পর্যাপ্ত পরিমাণ হারে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো-বাতাস প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত পানি পান করা টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
ফলোনি কর্মক্ষম কল্পনা করার মাধ্যমে আপনি এই হরমোন বৃদ্ধি করতে পারবেন।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার: বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খাবার গ্রহণ করতে হবে যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।
উচ্চ প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে যেমন ডিম দুধ মুরগির মাংস বাদাম ইত্যাদি।
জিংক সমৃদ্ধ খাবার প্রচুর পরিমাণ গ্রহণ করতে হবে।
ফ্যাট জাতীয় খাবার ওজন বহন করতে হবে যেমন মাছ মাংস ঘি পনির ইত্যাদি জাতীয় খাবার।
মধু: মধু একটি বহু উপকারী খাবার এতে প্রচুর পরিমাণ যৌন শক্তি রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় মিনারেল হরমোন রয়েছে যা শক্তি যোগায় শরীরে।
বাধাকপি: বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণ হরমোন রয়েছে এবং পর্যাপ্ত মিনারেল রয়েছে।
কলা খেতে পারবেন এতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ভিটামিন বি এবং কমপ্লেক্স রয়েছে যা যৌন রস উৎপাদন করতে সাহায্য করবে।
খেজুর: খেজুর অত্যন্ত শক্তিশালী একটি খাবার এতে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, এর জন্য প্রতিদিন দুই থেকে একটি খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।
কাঁচা রসুন: টেস্টোস্টেরন হরমোন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে দুই খাওয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেয়ে পানি খেতে পারবেন।
টক জাতীয় খাবার: সকল টক জাতীয় খাবারের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যার দেহের স্টেজ কমাতে সাহায্য করে এবং আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করে ফেলবে।
সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছের প্রচুর পরিমাণে ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা আপনার শরীরের যৌন ক্ষমতা থেকে বৃদ্ধি করে এবং টেস্টোস্টেরন এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
রঙিন শাকসবজি: এই হরমোনের ক্ষতি করার জন্য লাল শাক, গাজর, ক্যাপসিকা এবং বিটকুট ইত্যাদি ধরনের সবুজ শাকসবজি এবং শাকসবজি খেতে পারেন।
বিট জাতীয় খাবার: যে সকল খাবারকে জাতীয় খাবার বলা হয় যেমন বাদাম কুমড়া বিচি সিমের বিচি ইত্যাদি বিট জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
অশ্বগন্ধা: এটি প্রচুর পরিমাণে বেশি হরমোন বা যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহার করে থাকে এই গুড়া তৈরি করে পাউডার পাওয়া যায় এই পাউডার খাওয়ার মাধ্যমে একটা শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি পাবে।
শিমুল গাছ: শিমুল গাছের মূল খাওয়ার মাধ্যমে আপনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে সমস্যা নিরাময়ের উপাদান রয়েছে, যৌন সমস্যা সমাধান শুক্রাণুর ঘনত্ব বৃদ্ধি এবং টেস্টোস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।
গোক্ষর কাটা: আপনি গোখর কাটা ব্যবহার করতে পারেন এই উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহার করা হয় এটা জনশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার শরীরের স্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেবে।
হাতিরশুর: হাতিশুর একটি অত্যন্ত উপকারী উদ্ভিদ এই উদ্ভিদ বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয় তাই আপনি যদি টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করেন এতে বিশেষ উপকারিতা পাবেন।
শিলাজিং: এটি একটি খনিজ পদার্থ যা ভারতীয় উপমহাদেশে পাওয়া যায় এবং হিমালয় পর্বতের হিন্দুকুশ পর্বতমালাই রয়েছে। এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে মটর দানা সমান শিলা জিংক নিয়ে কুসুম গরম পানিতে কিংবা দুধের মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে খেতে হবে।
উল্লেখিত উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করতে পারবেন। এবং বিভিন্ন ধরনের যৌন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন কারণ যৌন সমস্যা অনেক সময় মানুষ কারো সামনে প্রকাশ করতে পারে না এবং সমস্যা ধীরে ধীরে বড় আকার ধারণ করে তাই আপনি বিভিন্ন ধরনের তথ্য মূলক পোস্ট পড়ার মাধ্যমে যদি এই যৌন সমস্যা সমাধান করতে চান তাহলে উল্লেখিত পোস্টটি আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং কার্যকারী ভূমিকা রাখবে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ভিটামিন গুলো কি কি
টেস্টোস্টেরন হরমোন বিধির ভিটামিন গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত এই ভিটামিন গুলো অত্যন্ত প্রয়োজন মানুষের শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করার জন্য। যেহেতু এটি টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য উপকারী তাই এই ভিটামিন গুলো অবশ্যই আপনাদের জানা উচিত এবং এর সম্পর্কে বিভন্ন তথ্য সম্পর্কে অবগত হওয়া উচিত।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় এবং ঘরোয়া ১২টি টিপস
উপরে উল্লেখিত খাবারগুলো গ্রহণ করার পাশাপাশি আপনি ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড গ্রহণ করতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে ডিম খেতে পারেন, এতে অ্যামিনো এসিড ও ভিটামিন ডি রয়েছে। এবং এই টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য যে ভিটামিন গুলো অত্যন্ত কার্যকরী এবং বেশি ভূমিকা রাখে সে ভিটামিন গুলি হচ্ছে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন সি।
ভিটামিন ডি আছে প্রচুর পরিমাণে দুধ এবং কলা পাশাপাশি আপনি ভিটামিন b6, ভিটামিন b12, জিং, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই জাতীয় খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন। এগুলো আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করবে এবং বিভিন্ন রোগ বালাই বা যৌন সমস্যা থেকে মুক্তি দিবেন। আপনি আপনার উল্লেখিত সমস্যাটি সমাধান করার জন্য খুব সহজেই এই ভিটামিন গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় কেন জানুন
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার বিশেষ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সে কারণ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যে কারণে মানুষের এই হরমোন কমে যায় তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো। করে আপনারা বুঝতে পারেন যে এই কাজগুলো করলে টেস্টেরন হরমোন কমে যাবে তাই আপনারা এই কাজগুলো থেকে বিরুদ্ধ থাকতে পারবেন এবং এই সকল সমস্যা থেকে নিজেকে বিরোধ রাখতে পারবেন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় কারণ, খাওয়ার অনিয়ম হলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়, এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমে যায়, অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন ব্যবহার করার ফলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাব কমে যায়। অনেক মানুষ রয়েছে তারা যৌন মিলন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে তাদের জন্য এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
এছাড়া এটি একটি মানুষের কার্যকরী অন্টিঅক্সিডেন্ট ডার্ক যা মানব শরীরের অক্সিজেন রহিত হয়ে যায়। এটা এন্ট্রোজেন প্রজনন কে প্রভাবিত করে ফলে হরমোন স্তর কমে যায়। যে কারণগুলো রয়েছে সেই হচ্ছে বয়স বেড়ে যাওয়ার জন্য, স্টেজ বা অতিরিক্ত টেনশন করার জন্য, অপুষ্টিকর খাবার গ্রহণের জন্য, অনিদ্রা বা প্রয়োজন মত ঘুম না করার জন্য, অতিরিক্ত মদ্যপান বা ধূমপান করার জন্য, এছাড়া বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন, হাইপোগোডিজম ডায়াবেটিস এবং এ সকল সমস্যার জন্য এ হরমোনের ঘাটতি পড়ে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ গুলো জানুন
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ গুলো জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল সেন্টার থেকে ক্লিভানার ক্লিনারের তথ্য অনুযায়ী এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হলো। অত্যন্ত কার্যকরী এবং গ্রহণযোগ্য কারণ।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় প্রাকৃতিক ১০টি এবং চিকিৎসকের পরামর্শ
- যৌন ধারণ কমে যাওয়া।
- যৌনাঙ্গ উদ্যানের অক্ষমতা।
- যৌন মিলনের সময় অক্ষমতা।
- যৌন মিলনের সময় অনেক কমে যাওয়া।
- অন্ডকোষগুলো সংকুচিত হয়ে যাওয়া।
- শুক্রাণু উৎপাদন কমে যাওয়া এবং শুক্রাণু পাতলা হয়ে যাওয়া।
- বার্ধক্য সমস্যা জন্য এই হরমোন কমে যেতে পারে।
- এছাড়া হস্তমৈথুন করার ক্ষেত্রে ছেলেদের এই সমস্যা দেখা দেয়।
- বমি বমি ভাব বা বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে।
- কানের বিষন্নতা: বিভিন্ন ধরনের কানের সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- শ্বাসকষ্টের মতো ভয়াবহ সমস্যা আপনার দেখা দিতে পারে।
- বমি গলবিদ এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উল্লেখিত লক্ষণগুলো আপনার বা আপনার আশেপাশের পরিচিত কারো যদি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই মনে করতে হবে যে আপনার শরীরের দুর্বল মনে হয় বা আপনার এই টেস্টোস্টেরনের হরমোনের ঘাটতি হচ্ছে। তখন আপনাকে উল্লেখিত উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে যা এই পোস্টের ভিতরে আলোচনা করা হয়েছে বৃদ্ধি করার উপায় গুলো। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
টেস্টোস্টেরন এর স্বাভাবিক মাত্রা কত জানুন
টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক মাত্রা অনেকেই জানিনা তাই আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম এ মাত্রা কেমন হতে পারে। এবং পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে কি একই রকম তা জেনে নিন খুব সহজে। কারণ এই মাত্রা যদি আপনার জানা থাকে বা আপনি যদি কখনো পরীক্ষা করতে চান তাহলে রিপোর্ট দেওয়া থাকে সেই রিপোর্টের ভিতরে স্বাভাবিক বা সকল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে দেখাও এবং তার পরিমাপ দেখানো হয়
সাধারণত মোট স্টেশনের মাত্রা পুরুষদের জন্য 280 থেকে 1100 ng/dL, এবং মহিলাদের জন্য 15 থেকে 70ng/dL।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি টেস্টোস্টেরন স্বাভাবিক মাত্রা কত পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য এবং এই পোস্টটির আলোচনা করা হয়েছে যে, একজন মানুষের মাত্রা কমে গেলে কি কি উপায় অবলম্বন করতে হবে এবং এই উপায় গুলো খুবই কার্যকরী কিনা। এছাড়াও কি কি ভিটামিন এর অভাবে এই সমস্যার সৃষ্টি হয় তাও এই পোস্টের ভিতর আলোচনা করে হয়েছে এখান থেকে আপনি বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি হলে কি হয় জানুন
টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি হলে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন সেই সমস্যাগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম এবং যেই সমস্যাগুলো হলে আপনার মৃত্যুর মত বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে সেগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য এই টেস্টিস ও হরমোন বেশি বা কম হলে অবশ্যই সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুনঃ পুরুষের জন্য মেথির অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনেনিন এক মিনিটে
পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টের অত্যাধিক মাত্রা হয়ে গেলে হাইপার এন্ড্রোজেনেনিজম, ফেইলিউর উচ্চ ঝুঁকি, প্রটেক্ট ক্যান্সারের আক্রান্ত হতে পারে তাছাড়া মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে। এবং পুরুষের প্যাটার্ন তা হওয়ার সম্ভাবনা যুক্ত হয়ে যায়। তাই এই হরমোন বেশি হয়ে গেল বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয় তাই আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত চেকআপ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো বা পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই তারাও যেন এই টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বেশি না হয়ে যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে যে পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত কার্যকরী এবং নিরাপদ। আশা করি বোঝাতে পেরেছি যে কি কি সমস্যা হতে পারে। টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি বা কম হলে বিভিন্ন সমস্যা সষ্টি হয় তাই স্বাভাবিক অবস্থায় রাখার জন্য বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কম হলে কি হয় তা জানুন
টেস্টোস্টেরন হরমোন কম হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় এই সমস্যাগুলো অত্যন্ত ভয়াবহ এবং দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে। এই উপায় গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা পোস্টের ভিতরে আলোচনা করেছি। বিভিন্ন ধরনের যৌন সমস্যা শারীরিক সমস্যা এবং মানসিক সমস্যার মতো বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়।
একজন সুস্থ মানুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন কম বা বেশি থাকলে হবে না তার প্রয়োজন অনুযায়ী বা একটি সঠিক নির্দিষ্ট যে মাপ রয়েছে সেই মাপ অনুযায়ী থাকতে হবে। কারণ এই হরমোন মানুষের শরীরের অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। মানুষের যৌন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না, শরীরে বয়সের ছাপ পরার মত সম্ভাবনা হয়, এবং যৌনাঙ্গ শক্তিশালী করে না।
এই সমস্যাগুলো পাশাপাশি বীর্য পাতলা করে দেয় এবং বাচ্চা ধারণ করার ক্ষমতা কে ধীরে ধীরে নষ্ট করে ফেলে তাই স্বাভাবিক অবস্থায় যেন এই হরমোন থাকে সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। যাতে আপনার জীবনের মূল্যবান সময়টিকে আপনারা জীবন থেকে হারিয়ে ফেলবেন। যৌবন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস একজন পুরুষ বা নারীর জন্য।
টেস্টোস্টেরন হরমোন এর কাজ কি জানুন
টেস্টোস্টেরন হরমোন এর কাজ কি এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চায় তাই আপনাদের সামনে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় বা তথ্যগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। হরমোনের প্রধান কাজ হচ্ছে শরীরের প্রজনন টিস্যু এবং অন্ডকোষ এবং প্রজেক্টরের বিকাশে মুখ্য ভূমিকা রাখে। সেই সাথে সেকেন্ডারি যৌন বৈশিষ্ট্য গুলো যেমন পেশি হাড়ের ভর বৃদ্ধি এবং শরীরের চুলের বৃদ্ধি করার জন্য ভূমিকা রাখে।
আরো পড়ুনঃ প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয় ১৪ টি উপায়
মানুষের শরীরের বিশেষ করে ছেলেদের দাড়ি গোঁফ গজানোর ক্ষেত্রে এই হরমোন বিশেষ উপকার আসে। এছাড়াও সেক্সুয়াল পাওয়ার বৃদ্ধি করার জন্য এই হরমোনের প্রয়োজন হয় শরীরের বিভিন্ন সেক্সের উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য এই হরমোন সরাসরি সংযুক্ত হয়ে কাজ করে। এছাড়াও এটি অগ্রাসন সেক্স ড্রাইভ আধিপত্য প্রীতি প্রদর্শন এবং বিভিন্ন আচরণের সাথে যুক্ত।
আপনার শরীরে যদি বিভিন্ন ধরনের এই হরমোনের ঘাটতি থাকে তাহলে উল্লেখিত সুবিধাগুলো থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন। এবং বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হবেন যে অসুবিধা গুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধরনের কষ্ট বা ভোগান্তির শিকার হতে হবে। আপনি যদি এই সকল সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চান তাহলে অবশ্যই টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করার উপায় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষার নাম কি জানুন
টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষার নাম কি এ বিষয়টি অনেকেই জানেনা এবং কিভাবে এই পরীক্ষাটি করে তাও অনেকেই জানেনা এই পরীক্ষার নাম হচ্ছে। পুরুষ - মহিলাদের শরীরে যৌন হরমোন এবং সঠিক মাত্রায় রয়েছে কি এবং এটি লিঙ্গের বা প্রজনন সিস্টেমের কার্যক্ষমতা বোঝার জন্য পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
এই পরীক্ষাগুলো করার মাধ্যমে মানুষ তাদের শরীরের যৌন ক্ষমতা এবং বিভিন্ন যৌন সমস্যা আছে কিনা সেটা বিচার বিশ্লেষণ করে দেখতে পারে। রক্তে হরমোনের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কি পরিমান আছে এবং কোন সমস্যা আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এই পরীক্ষাটি করা হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে দাম্পত্য জীবনে অনেক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরে সন্তান জন্মগ্রহণ করে না।
তাদের এ সকল সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য যে পরীক্ষাটি করা হয় তাকে টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষা বলে অবহিত করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আপনার শরীরের শারীরিক কোন ধরনের সমস্যা আছে বা যৌন কোন সমস্যা আছে কিনা এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন পরামর্শ বা ওষুধ গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছি। যে তথ্যগুলো অত্যন্ত কার্যকরী এবং উল্লেখিত তথ্য ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে এই হরমোন বৃদ্ধি করতে পারবেন। পাশাপাশি পোস্টের ভিতরে আরো জানতে পারবেন যে এই হরমোন অতিরিক্ত পরিমাণ হয়ে গেলে কি ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে।
টেস্টেশন হরমোন বৃদ্ধির যে উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে পারবেন এবং যে সকল সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় এ হরমোনের অভাব থেকে সে সকল সমস্যা থেকে নিজেকে রেহাই করতে পারবেন। এবং এই হরমোন পরীক্ষা করার মাধ্যমে কি ধরনের পরীক্ষা করা হয় তাও এই পোস্টের ভিতরে আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্টের ভিতরে এই হরমোন এর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url