ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ও কার্যকারী টিপস জেনে নিন
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি কি? কিভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন গ্রহণ করবেন। কি কি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন গ্রহণ করার জন্য এবং কোন ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হবে এবং কি কি জিনিস প্রয়োজন হবে তার বিস্তারিত বিষয় নিয়ে।
তাছাড়া ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য যেই যেই কাগজপত্র প্রয়োজন ও তার পাশাপাশি কি কি উপায় অবলম্বন করে আপনি সহজে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন গ্রহণ করবেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে পুরো বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নিন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি নিয়ে যা জানতে পারবেন
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে
- প্রবাসী লোন পন্ধতি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা অসুবিধা জানুন
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করুন
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন যারা পাবেন
- ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন আবেদন করার নিয়ম
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয়
- কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় জেনে নিন
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি লেখক এর শেষ মন্তব্য
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। এবং এর সুযোগ সুবিধা গুলো সম্পর্কে এবং কিভাবে লোন পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত। বর্তমান বাংলাদেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন প্রবাস জীবন যাপন করে বিভিন্ন কর্ম করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে। অনেক প্রশ্ন রয়েছে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন সম্পর্কে তা আপনি জানতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কি? ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন হল একটি প্রক্রিয়া এর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করা হয়, যে ঋণ গ্রহণ করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিদেশি কর্মজীবনের জন্য ব্যাংক থেকে যে টাকা গ্রহণ করা হয় তাকেই প্রবাসী লোন বলে। বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের কোমতি থাকার কারণে বাংলাদেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা ছোট থেকেই চিন্তাভাবনা করে থাকেন যে বিভিন্ন বিদেশে প্রবাস জীবন যাপন করবে।
ইসলামী ব্যাংকের বাংলাদেশের এই সুবিধা যেমন দেশে বিভিন্ন মানুষ টাকা-পয়সা অভাব থাকার কারণে সকল কাগজ পাতি বা যোগ্যতা থাকার পরেও বিদেশে ভ্রমণ বা কাজের জন্য যেতে পারে না। তাদের জীবনধারা এবং জীবনের কর্ম জীবনকে আরো শক্তিশালী এবং উন্নত করার জন্য ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক যে প্রবাসী লোন প্রদান করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রবাসীদের কাছ থেকে অনেক অর্থ সহযোগিতা পেয়ে থাকেন সরকার।
প্রবাসী লোন পন্ধতি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্নঃ ইসলামী ব্যাংক কি কি খাতে লোন দেয়?
উত্তরঃ ইসলামী ব্যাংক যে লোন গুলো দেয়, নতুন বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে আপনি লোন নিতে পারবেন, ফ্ল্যাট নির্মানের ক্ষেত্রে ঋণ নিতে পারবেন এবং বাড়ি সংস্কার ও বর্ধিত করনের জন্যও ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়াও ইসলামী শরীয়াহ্ অনুমোদন করে, এমন সকল খাতেই বাংকের ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগ বিনিয়োগ (লোন) করে। যেমন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, রিয়াল এস্টেট ইত্যাদি সুবিদধা নিতে পারবেন।
প্রশ্নঃ হোম লোন নিতে কি কি লাগে?
উত্তরঃ হোম লোন আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত নথি, যেমন প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড প্রদান করতে হবে; আয়-সম্পর্কিত নথি, যেমন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট; কর্মসংস্থান/ব্যবসা-সংক্রান্ত নথি, যেমন বেতন স্লিপ বা লাভ-ক্ষতির বিবরণী; এবং সম্পত্তি সম্পর্কিত নথি প্রয়োজন হবে।
প্রশ্নঃ ছাত্র ঋণ কোন ধরনের ভাল?
উত্তরঃ ছাত্র ঋণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ঋণ নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভবিষ্যতে আর্থিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। নিচে কিছু ধরনের ভাল ছাত্র ঋণের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো যা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে তা হল,
- স্বল্প সুদের হারে ঋণ: সরকারি ঋণ: সাধারণত সরকারি ঋণ বেসরকারি ঋণের তুলনায় কম সুদে পাওয়া যায়।
- উপকার: সুদের হার কম থাকলে পরিশোধ সহজ হয় এবং ভবিষ্যতে কম আর্থিক চাপ সৃষ্টি করে। গ্রেস পিরিয়ড (Grace Period) সহ ঋণ।
- গ্রেস পিরিয়ড: অনেক ঋণদাতা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা শেষ করার পর কিছু সময় ঋণ পরিশোধ না করেও থাকতে দেয়।
- উপকার: চাকরি পাওয়ার আগে ঋণ পরিশোধের চাপ কম থাকে।
- সাবসিডাইজড স্টুডেন্ট লোন।
- সুবিধা: সাবসিডাইজড ঋণের ক্ষেত্রে সরকার শিক্ষার্থীর পড়াশোনার সময় এবং গ্রেস পিরিয়ডে সুদের টাকা বহন করে।
- উপযুক্ত: নিম্ন আয় পরিবারের জন্য ভালো অপশন।
- বেসরকারি ঋণ যেখানে সহনীয় শর্তাবলী থাকে।
- ফ্লেক্সিবল রিফান্ড অপশন: কিছু বেসরকারি ঋণদাতা সহজ শর্তে কিস্তি পরিশোধের সুযোগ দেয়।
- বিকল্প: যখন সরকারি ঋণ পর্যাপ্ত নয়, তখন এই ঋণ ব্যবহার করা যায়।
- ঋণ মওকুফের (Loan Forgiveness) সুযোগ।
- সরকারি প্রোগ্রাম: কিছু ঋণ পরিশোধ করার পর নির্দিষ্ট সময় পরে মওকুফের সুযোগ থাকে (যেমন: Public Service Loan Forgiveness)।
- মুরাবাহা: ব্যাংক পণ্য কিনে কিস্তিতে গ্রাহককে বিক্রি করে।
- ইজারা: ভাড়া ভিত্তিক চুক্তি, যেমন গাড়ি বা যন্ত্রপাতি ভাড়া দেওয়া।
- সুদ এড়ানো: যদি ব্যাংক সরাসরি সুদের (রিবা) ভিত্তিতে ঋণ দেয়, তবে তা ইসলামী শরিয়াহ মতে হারাম। তবে যদি তারা বিনিয়োগ বা ব্যবসার লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে অর্থায়ন করে, তাহলে তা জায়েজ হতে পারে।
- শরিয়াহ বোর্ডের অনুমোদন: ব্যাংকের একটি স্বতন্ত্র শরিয়াহ সুপারভাইজরি বোর্ড থাকা উচিত, যারা নিশ্চিত করবে যে ব্যাংকের সব লেনদেন শরিয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।
- চুক্তির স্বচ্ছতা ও উদ্দেশ্য: চুক্তি স্বচ্ছ হওয়া জরুরি। যদি ব্যাংক কাগজে সুদমুক্ত দাবি করে, কিন্তু কার্যত সুদের মতো শর্ত আরোপ করে, তাহলে তা জায়েজ হবে না।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা অসুবিধা জানুন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা অসুবিধা কি জানুন। প্রবাস থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বা প্রবাস থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করার জন্য এবং লোন গ্রহণ করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম অবলম্বন করতে হবে এবং সে নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে প্রবাসী ব্যাংক লোন দিবেন এবং তা পরিশোধ করে নিবে।
আরো পড়ুনঃ সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ - সোনালী ব্যাংক শাখা ও লোন পদ্ধতি
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের সুবিধা:
- প্রবাসী ব্যাংক লোনের সুবিধা হচ্ছে আপনি একসাথে অনেক টাকা পাবেন।
- অনেক সময় কাগজপতি এবং সকল কাগজ পাতি পরিপূর্ণ সঠিক থাকার পরেও মানুষ টাকার অভাবে বিদেশে যেতে পারে না এসকল মানুষেরা প্রবাসী ব্যাংক লোন এর মাধ্যমে বিদেশে যেতে পারবেন।
- আপনার আত্মীয় স্বজনের কেউ যদি প্রবাসে থাকে তাহলে আপনি বাসায় থেকে টাকা লোন নিতে পারবেন প্রবাসী ব্যাংক লোন হিসেবে।
- দীর্ঘমেয়াদী লোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
- সেই টাকা লোন নেওয়ার পর আপনি বিভিন্ন সময়ে ধীরে ধীরে পরিশোধ করে দিতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের অসুবিধা:
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের অসুবিধার প্রধান অসুবিধা হচ্ছে এটা নেওয়ার জন্য আপনাকে মূল্যবান কাগজপত্র জমা দিতে হবে, কেমন পাসপোর্ট ভিসা মেডিকেল রিপোর্ট এয়ার টিকিট এবং জামিনদারের কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
- আপনার কেউ যদি প্রবাসে না থাকে অথবা আপনার যদি প্রচুর টাকা পয়সা না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি লোন পাবেন না।
- প্রবাসী লোন গ্রহণ করার জন্য আপনাকে কমপক্ষে দুইজন প্রভাবশালী এবং সম্পদশালী সাপোর্ট থাকতে হবে।
- যেই সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার সময় থাকবে তার মধ্যে পরিশোধ না করলে অতিরিক্ত পরিমাণ সুদ দিতে হতে পারে।
উল্লেখিত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম যাতে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারেন। প্রবাসে যাওয়ার জন্য কি ধরনের যোগ্যতা থাকতে হবে এবং কি সুবিধা অসুবিধা থাকতে পারে তার বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। তথ্যগুলো একজন প্রবাসী ব্যাংক লোন গ্রহীতার অত্যন্ত প্রয়োজন জানা। এছাড়া বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারে এবং তাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করুন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করতে যে যে বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে তা উপস্থাপন করা হলো। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সাধারণত প্রবাস যারা যায় বা যারা রয়েছে তাদেরকেই লোন দিয়ে থাকেন। এই লোন বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবায় পাওয়া যায় ব্রাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ইত্যাদি। এই লোন গ্রহণ করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের যে নিয়ম নীতি রয়েছে তা অবশ্যই আপনাকে মেনে নিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে অনলাইনে যেকোনো লোন নেওয়ার জন্য যেভাবে আবেদন করবেন তা নিচে দেওয়া হলো এখান থেকে আপনি আবেদন করতে পারবেন উক্ত উপায় অবলম্বন করে। এর জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অবলম্বন করতে হবে যে ধাপগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে প্রবাসী ব্যাংক লোন অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো,
প্রথম ধাপ: প্রথমে আপনি যেই ব্যাংক থেকে প্রবাসী কল্যাণ লোন গ্রহণ করবেন সেই ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে, এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার ঋণের পরিমাণ এবং কি ধরনের ঋণ নিবেন তা নির্দিষ্ট করতে হবে। এবং এই কাজগুলো কমপ্লিট বা সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাকে একটি অনলাইন ফর্ম ডাউনলোড করে নিতে হবে। এই কাজগুলো করার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সরকারি কর্তৃপক্ষ বা কর্মচারী দ্বারা সত্যায়িত করে নিতে হবে। এরপর সেই ফর্মটি ইমেইল করতে হবে।
এই ধরনের ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে;
দ্বিতীয় ধাপ: এই ধাপে আপনি যে ফর্মটি ডাউনলোড করলেন সেই ফর্মটিকে পূরণ করতে হবে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে এবং অবশ্যই সেই তথ্যগুলো সম্পূর্ণ নির্ভুল হতে হবে। এবং নির্ভুল সেই তথ্যগুলো ফর্ম ডাউনলোড করে অথবা প্রিন্ট করে নিয়ে নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দিতে হবে। তারপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে আবেদন ফরমটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। পরবর্তী সময় আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন পাস হলে ঋণ সম্পর্কিত কাগজ পাতি সাইন আপ করে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন যারা পাবেন
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি পাওয়ার জন্য যেই যেই গুণগুলো বা যোগ্যতা গুলো থাকতে হবে তা আপনাদের সামনে নিচে উপস্থাপন করা হলো। একজন উদ্যোক্তা ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি নেওয়ার জন্য এই প্রস্তুতিমূলক ভাবে যোগ্যতাগুলো গ্রহণ করতে পারেন বা এই গুনাগুন গুলো না থাকলে সে অবশ্যই ঋণ গ্রহণ করতে পারবে না প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ হতে।
আরো পড়ুনঃ ৩টি উপায়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানুন
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে সেই ব্যাংকের সদস্য হতে হবে। আপনি খুব সহজেই লোন পেয়ে যেতে পারেন।
- এছাড়াও ইসলামী ব্যাংকের আপনার একটি অ্যাকউন্ট থাকতে হবে যেখানে আপনি নিয়মিত লেনদেন করবেন। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কর্তৃপক্ষ আপনাকে লোন দিতে আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে।
- এ ছাড়াও যদি আপনার বাসার বা পরিবারের কেউ বিদেশে কর্মরত অবস্থায় বা প্রবাসে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই লোন পাবেন।
- শুধু তা নয় যে প্রবাসে থাকবে তার কোম্পানির জয়নিং পত্র এবং মাসিক বেতনের তালিকা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দেখতে পারে।
- এছাড়াও লোন গ্রহণ করার জন্য আপনার পর্যাপ্ত লোন পরিশোধ করার মতন সামর্থ্য থাকার প্রয়োজন হবে।
- এছাড়া দুইজন সৎ এবং গ্যারান্টি যুক্ত সাপোর্টার থাকতে হবে।
উল্লেখিত গুণ এবং যোগ্যতা যদি থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন গ্রহণ করতে পারবেন এবং সেই লোন গ্রহণ করে আপনি বিদেশী বা বিভিন্ন প্রবাসে ভ্রমণ করতে পারবেন পাশাপাশি আপনি যদি প্রচুর পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন প্রবাসী লোন গ্রহণ করতে পারবেন। আপনি যদি উক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন তাহলে প্রবাসী লোন গ্রহণ করে বিভিন্ন প্রবাস ভ্রমণ ও জীবন-যাপন করতে পারেন।
ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে প্রয়োজনীয় যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হয় তা আপনাদের জানা উচিত কারণ এই কাগজপত্র ছাড়া আপনি কখনো ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন গ্রহণ করতে পারবেন না। তাই আপনাকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রী সংগ্রহ করে রাখতে হবে তাছাড়া আপনি কখনো লোন গ্রহণ করতে পারবেন না। নিচে সেই প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের গুলো তালিকা উপস্থাপন করা হলো।
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
- এবং আপনার যদি প্রবাসে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কাগজ পত্র থাকে অথবা আপনি যদি বিদেশে গিয়ে থাকেন অথবা বিদেশে যান তার সকল কাগজপত্র দেখাতে হবে।
- এছাড়া আপনি দেশের বাইরে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নিতে চাইলে প্রবাস কোম্পানির কাজ করছেন সেই কোম্পানির নিয়োগ পত্র এবং মাসিক বেতনের রশিদ জমা দিতে হবে।
- এবং যে ঋণ গ্রহণ করবে তার পাসপোর্ট সাইজের দুই কোভিদ ছবি প্রয়োজন হবে।
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন নিতে আপনার অবশ্যই দুজন সচ্ছল গ্যার থাকতে হবে যাতে তারা ঋণ পরিশোধ করতে পারে।
উক্ত উপায় গুলো যদি আপনি পূরণ করতে পারেন এবং সেই কাগজপত্র গুলো যদি আপনি দেখা দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই লোন আপনার জন্য উপকারী। অনেক মানুষ রয়েছে যারা টাকার অভাবে বিভিন্ন কাগজপত্রী থাকা সত্ত্বেও বিদেশে বা প্রবাস ভ্রমণ করতে প্রবাসে অর্থ উপার্জন করতে যেতে পারে না তাদের এই সুবিধা দেওয়ার জন্য এবং তাদের অর্থের অভাবে যেন বিদেশি উপার্জন করা থেকে বঞ্চিত না হয় তাই এই সুবিধা দেওয়া হয়।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন আবেদন করার নিয়ম
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে আপনি অবশ্যই ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন গ্রহণ করতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন গ্রহণ করার জন্য আপনাকে এই নিচে দেওয়া উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজে প্রবাসী লোন গ্রহণ করতে পারবেন। তাহলে চলুন কি কি নিয়ম রয়েছে জানি।
- নিজের নামে লোন নিতে নিজের ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে এবং ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে একটি ফর পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- সেই লোনের জন্য আবেদন ফরম সংগ্রহ করার পর সঠিক উপায়ে নির্ভুল তথ্য প্রদান করতে হবে।
- ফরম ফিলাপ করার পর প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র যেমন ভিসার কপি ভোটার আইডি কার্ডের কপি পাসপোর্ট কবি সহ প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে হবে।
- এবং আপনার সঠিক সকল তথ্য গুলো ফরম ফিলাপ করে জমা দেয়ার পর কর্তৃপক্ষ বা ইসলামী ব্যাংক যাচাই করে দেখবে।
- উপরে উল্লেখিত যে যোগ্যতা গুলো বলা হয়েছে সেই যোগ্যতা গুলো অনুযায়ী যদি আপনি লোন পাওয়ার যোগ্য হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই লোন প্রদান করা হবে।
- এর জন্য ফরম ফিলাপ করতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যেমন আপনি যাকে নমিনী বানাবেন সে তার সকল কাগজপত্র গুলো নির্ভুল দিচ্ছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
উক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনি যেকোনো ইসলামী ব্যাংক অথবা সোনালী ব্যাংক এবং ব্র্যক ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন গ্রহণ করতে পারবেন। কিছু কমবেশি সকল প্রবাসী ব্যাংক গুলোতে একই নিয়ম অনুযায়ী লোন প্রদান করা হয়। তাই আপনার যদি একটি প্রবাসী লোন যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি সকল প্রবাসী ব্যাংক থেকেই অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন লোন করার মাধ্যমে।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয়
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয় এ বিষয়ে অনেকেই জানেন না। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন হিসেবে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিয়ে আপনি প্রবাস গিয়ে টাকা উপার্জন করে সে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন অথবা নির্দিষ্ট যে মেয়াদ দেওয়া থাকে সেই মেয়াদের ভিতরে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করুন ১ মিনিটে কি উপায় জানুন
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন গ্রহণ করে অনেক মানুষই প্রবাস জীবন কাটিয়েছেন এবং প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন এতে বাংলাদেশসহ যে অর্থ উপার্জন করে বা প্রবাস ভ্রমণ করে তার অনেক উপকৃত হয়ে থাকে এবং দারিদ্রতা মুক্ত বাংলাদেশে করার জন্য প্রবাসী লোন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কারণ বর্তমান বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের অবস্থা খুব দুর্দান্ত। সুতরাং আপনি বিভিন্ন বিদেশে পরিশ্রম করে সেই দেশে টাকা ইনকাম করে নিজের দেশকে উন্নত করতে পারেন।
এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে যে ইসলামী ব্যাংক বা বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৩ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক লোন দিয়ে থাকেন। এই লোন সেবা গ্রহণ করার জন্য উল্লেখিত যোগ্যতা আপনার অবশ্যই থাকতে হবে এবং আপনার দুইজন সাপোর্টার থাকতে হবে যেই দুইজন সাপোর্টার আপনার লোন পরিশোধ করার মত সামর্থ্য রাখে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি কিভাবে আপনি কত টাকা লোন নিতে পারবেন ইসলামী প্রবাসী ব্যাংক লোন ব্যবস্থায়।
কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় জেনে নিন
বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় এ বিষয়ে অনেকেই জানে ন তাই তাদের উপকারের জন্য এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হলো। বাংলাদেশের প্রায় অনেক বড় বড় সরকারি এবং আধা সরকারি ব্যাংক ব্যবস্থা রয়েছে। যেই ব্যবস্থাগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাদে এবং বিভিন্ন মানুষের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণ বা বড় ঋণ প্রদান করা হয়। এই ঋণ সেবা গ্রহণ করে মানুষ তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য চেষ্টা করে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুনাম ধন্য কয়েকটি প্রবাসী ব্যাংক ব্যবস্থা চালু করা ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন। ব্র্যাক ব্যাংক লোন প্রবাসদর জন্য, সোনালী ব্যাংক, গ্রাহনি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক এই ব্যাংকগুলো অত্যন্ত বড় এবং ছোট লোন দিয়ে থাকে প্রবাসীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কারণে। আপনি যদি এই সুবিধাগুলো লোন নেওয়ার মাধ্যমে উপভোগ করতে চান তাহলে উক্ত ব্যাংগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই ব্যাংকগুলো খুব কম মুনাফায় বিভিন্ন লোন প্রদান করে থাকেন যাতে বাংলাদেশের অনেক মানুষ প্রবাস থেকে টাকা উপার্জন করতে পারে এতে বাংলাদেশের সরকার থেকে শুরু করে সকল মানুষের অনেক উপকার হয়। সুতরাং আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন যে কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়। এবং কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় না এই সকল বিষয়। কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় না প্রবাস যারা থাকেন বা প্রবাসী লোন যারা গ্রহণ করেন তাদের অত্যন্ত প্রয়োজন জানা।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি লেখক এর শেষ মন্তব্য
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিশেষ তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছি। একজন মানুষ প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে এবং কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এবং কি কি উপায় অবলম্বন করে আপনি ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন গ্রহণ করবেন। কোন কোন ব্যক্তিরা এই লোন গ্রহণ করতে পারবে না। তার একটি সুন্দর বাস্তবিক ধারণা দেওয়া হয়েছে।
এই ধারণা থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী কল্যাণের জন্য যে লোন ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে তা কোন কোন মানুষ বাক কোন ব্যক্তি গ্রহণ করতে পারবে এবং কোন কোন ব্যক্তি গ্রহণ করতে পারবে না এবং কি কি যোগ্যতা থাকলে গ্রহণ করতে পারবে এবং কি কি যোগ্যতা না থাকলে গ্রহণ করতে পারবে না এর ভিতরে কোন যোগ্যতাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url