জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে জাদুকরী ২১টি টিপস
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে আপনি যদি চিন্তিত থাকেন তাহলে এই পোস্টের বিষয়গুলো জেনে আপনি ঘরোয়া উপায়ে জ্বর ভালো করতে পারবেন এবং আরো কি উপায়ে ভালো করতে পারবেন তার বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হওয়ার কারণে মানুষের জ্বর হয়ে থাকে। তাই আপনি জানতে পারবেন যে কি কি কারণে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় এবং কোন খাবার এবং ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে ঘরোয়া ভাবে জ্বর কমাতে পারবেন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে যা জানতে পারবেন
- জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানুন
- দ্রুত জ্বর কমানোর ওষুধ জেনে নিন
- শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
- বাচ্চার জ্বর কমানোর দোয়া জেনে নিন
- বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কাজ জানুন
- শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি জানুন
- ২ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয়
- শিশুদের জ্বর হলে যে কাজ গুলো করবেন না
- শিশুর জ্বর ও বমি হলে করণীয় কাজগুলো জানুন
- জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানুন
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য এই পোস্টটি পড়তে থাকুন কারণ এই গোষ্ঠীর ভিতরে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো কি এবং কিভাবে আপনি ঘরে বসেই জ্বর কমাতে পারবেন। ঘরে বসে জ্বর কমানোর জন্য বা বাড়িতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসের মাধ্যমে জ্বর কমানোর জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
পানি পটি: ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমানোর জন্য এটি বেশ কার্যকর এর জন্য আপনাকে একটি পরিষ্কার তোয়ালি অথবা গামছা নিয়ে নিতে হবে এবং সেটি ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে পানি ঝরয়ে কপালে দিয়ে রাখতে হবে। এতে শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
তুলসী পাতা: ৮ থেকে ১০ টি তুলসী পাতা নিয়ে সে তুলসী পাতা গরম পানি দিয়ে একটি পাত্রে ফুটিয়ে নিতে হবে এবং সেই পাত্রের ফুটানো পানি পান করতে হবে, এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার শরীরের জ্বরকে কমাতে সাহায্য করবে।
মধু ও কালিজিরা: আপনি যদি সর্দি জ্বরে ভুগে থাকেন তাহলে এই মধু ও কালোজিরার থেরাপিটি কাজে লাগবে। এর জন্য আপনাকে মধু সামান্য পরিমাণ নিতে হবে এবং এতে কালোজিরা মিশিয়ে নিয়ে খেতে হবে।
মধু ও লেবুর রস ব্যবহার: একটি পাত্রে এক চামচ মধু অর্ধেক লেবুর রস এবং এক কাপ গরম পানি আপনি মিশিয়ে নিয়ে সে পানি দিনে দুইবার খেতে পারবেন এতে আপনার শরীরের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করবে।
আদা চা বা হারবাল চা: যাদের চা খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের জ্বর ভালো করার জন্য আদা চা খেতে পারেন অথবা এলাচ দিয়ে চা খেতে পারেন।
রসুন কুচি: একটি রসুন নির্ণয় করুন এবং সেই রসুন থেকে একটি রসুন কওয়া নিয়ে কুচি করে নিন এবং এক কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সে পানি দিনে দুইবার সেবন করুন। এতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আপনার জ্বর কমাতে সাহায্য করবেন।
পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা ঠান্ডা জাতীয় তাই পুদিনা পাতার রস বের করে পান করতে পারে অথবা চা হিসেবে খেতে পারেন এতে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
ধনেপাতা: কাচা ধনে পাতা নিয়ে সেই পাতা একটি পাত্রে ধনেপাতা এবং পানি একসাথে নিয়ে গরম করে নিতে হবে এবং সেই পানি দিনে দুইবার পান করতে হবে এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
দারুচিনি: দারুচিনি থেকে উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনাকে এক কাপ গরম পানিতে দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে সেই পানি পান করতে হবে দিনে কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার। এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ক্ষমতা রয়েছে।
পেঁয়াজ: পেঁয়াজ কুচি করে নিয়ে পায়ের তলায় কিছুক্ষণ রেখে দিন তাহলে পেঁয়াজের উপাদান গুলো আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
তুলসী ও গোলমরিচ: জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে এটি একটি অন্যতম উপায় এর জন্য আপনাকে ১০ থেকে ১২ টি তুলসী পাতা নিতে হবে এবং ১ থেকে ২ চামচ গোলমরিচ গুঁড়া একটি পাত্রে নিয়ে পানি দিয়ে সেটা ফুটিয়ে নিতে হবে এবং সেই পানি দিয়ে দুইবার পান করতে হবে এতে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়।
মেথি বীজ: এক কাপ পানিতে মেথি বীজ অল্প পরিমাণ ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকালে ঘুম থেকে উঠে মেথি পানিগুলো থেকে নিয়ে সেই পানি পান করতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগার: এর সুবিধা পাওয়ার জন্য এক কাপ পানিতে ২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার করে পান করুন শরীরের তাপমাত্রা কমে যাবে।
কাঁচা হলুদ: এছাড়া আপনি কাঁচা হলুদ রস পানিতে মিশিয়ে গরম করে খেতে পারেন দিনে দুইবার এই যে আপনার শরীরের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করবে।
নারিকেলের পানি: নারিকেলের পানি ঠান্ডা প্রকৃতির হয়ে থাকে তাই আপনি নারিকেলের পানি খেতে পারবেন জ্বর হলে এতে আপনার শরীর ডিহাইড্রেশন এর হাত থেকে রক্ষা পাবে।
তুলসী আদা: জ্বর কমানোর জন্য তুলসী পাতা ১০-১২ টি এবং এর সাথে আদাকুচি করে নিয়ে গরম পানির সাথে মিক্সড করে খেতে পারবেন দিনে দুইবার।
লেবু ও পুদিনা: এক কাপ পানিতে ২ চা চামচ লেবু এবং পুদিনার রস মিশিয়ে পান করলে শরীর ঠান্ডা রাখে।
গাজরের রস: এছাড়া কাদের রস পান করতে পারেন গাজরে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মালটা বা কমলার রস: জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে এই ফলমূল অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ফলমূলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
শসা: এজন্য আপনাকে শসা নিয়ে শসা কেটে কপালে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে এতে আপনার মাথা ঠান্ডা করতে সাহায্য করবে।
মেথি এবং মধু: এক চা চামচ মেথির বীজ একটি পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত এবং সকালবেলা সেই পানিটি ছেঁকে নিয়ে সেই পানির সাথে মধু মিশিয়ে পান করুন এতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সরিষার তেল: জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে সরিষার তেল। আপনি সারা শরীরে সরিষার তেল মাখতে পারবেন এছাড়াও সরিষার তেল এক চামচ অথবা ২ চামচ খেয়ে নিতে পারবেন এতে শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তিত হবে এবং আস্তে আস্তে আপনার জ্বর ভালো হয়ে যাবে।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি ঘরোয়া উপায়ে কি কাজ করে আপনি এবং কোন কোন উপায় গুলো অবলম্বন করে খুব সহজে জ্বর এর মতো সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন এছাড়াও গুরুতর অবস্থা পৌঁছে গেলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কারণ প্রাথমিক অবস্থায় জ্বর আসলে উল্লিখিত বিষয়গুলো খুবই কার্যকর। কিন্তু আপনি যদি সাধারণ জ্বর মনে করে চিকিৎসকের পরামর্শ না নেন তাহলে বিপদে পড়তে পারেন। তাই জ্বর আসলে এই উপায়গুলো অবলম্বন করে ভালো না হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিবেন।
দ্রুত জ্বর কমানোর ওষুধ জেনে নিন
দ্রুত জ্বর কমানোর ওষুধ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চাই কারণ অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে মানুষের জ্বর এসে থাকে তাই সেই জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ দ্রুততা অবলম্বন করে কারণ সে মানুষটির বিভিন্ন ব্যস্ততম লোক কাজ থাকতে পারে। তাই খুব সহজেই এবং খুব তাড়াতাড়ি জ্বর কমানোর জন্য যে ওষুধগুলো খেতে পারেন তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম যা থেকে আপনি উপকৃত হবেন।
আরো পড়ুনঃ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে ২০টি কার্যকরী টিপস
প্যারাসিটামল ব্যবহার:
- দ্রুত জ্বর কমানোর জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৫০০ থেকে ১০০০ মিগা প্রতি ৪-৬ ঘন্টা পর পর খাওয়ান যেতে পারে।
- এছাড়াও শিশুদের জন্য ডোজ নির্ধারণ করার জন্য চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
আইবুপ্রোফেন ব্যবহার:
- এই ওষুধটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০০ থেকে ৪০০ মেগা প্রতি ৫-৮ ঘন্টা পর পর খাওয়া যেতে পারে।
- শিশুদের ক্ষেত্রে এই ডোজ ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- জোর কমানোর জন্য যে ওষুধগুলো আপনি বিবেচনা করে ব্যবহার করতে পারেন সেগুলো নিজে আলোচনা করা হলো।
অ্যাসপিরিন: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা যায় কিন্তু শিশুদের জন্য এরা ব্যবহার করা সখি পড়লে কারণ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ন্যাপ্রোক্সেন: এই ওষুধটি একটি ননস্টায়েডাল এন্টি ইনফ্লেমেন্টরি ড্যার্গ।
এন্টিবায়োটিক: জ্বরের তীব্রতা অনেক বেশি এবং ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যায়।
হাইড্রেশন: শরীরের ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন এবং শরীরকে হাইড্রেশনে রাখুন এতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ হবে এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও আপনি বিশ্রাম নিতে পারবেন পর্যাপ্ত পরিমাণ পাশাপাশি হালকা খাবার গ্রহণ করতে হবে যা শরীরের খুবই পুষ্টিকর খাবার কিন্তু হালকা সে ধরনের খাবার খেতে হবে পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া সবচাইতে বেশি উপকার। আপনার জ্বরের পরিমাণ হালকা হলে এই ওষুধগুলো খেতে পারেন কিন্তু দ্রুত অবস্থায় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে যে উপায়গুলো সবচাইতে কার্যকর তা আপনার স্থানে উপস্থাপন করব। এছাড়া ইতিমধ্যে এই আর্টিকেলটির ভিতরে জ্বর কমানোর বিশেষ বিশেষ ঘরোয়া উপায় গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। যেগুলো শিশুর জ্বর কমানোর জন্য ব্যবহার করা যায়। ছাড়ো আপনার শিশুকে খোলামেলা জায়গায় রাখতে পারবেন এবং যত সম্ভব কম কাপড়-চোপড় পরিয়ে রাখতে হবে এবং হালকা কাপড় পরিয়ে রাখার চেষ্টা করতে।
শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়:
- ঠান্ডা কমপ্রেস: শিশুর জ্বর কমানোর জন্য আপনি একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি দিয়ে সে পানি জলপটি করে দিতে পারেন এতে জ্বর ধীরে ধীরে কমে যাবে।
- আদা দিয়ে গোসল: হালকা কুসুম পানিতে আদা গুড়া মিশিয়ে শিশুকে চান করা দিলে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যাবে।
- গরম পানিতে গোসল: স্বাভাবিক অবস্থায় এবং প্রথম অবস্থায় আপনি শিশুকে গরম হালকা কুসুম জলে গোসল করাতে পারবেন।
- সরিষার তেল ও রসুন মালিশ: সরিষার তেল একটি পাত্রে নিয়ে সেখানে রসুন কুচি করে সেই তেল গরম করে সারা গায়ে মালিশ করতে পারেন এতে জ্বর কমে যাবে।
এছাড়া শিশুর শরীর ভালোভাবে আলতু করে মেসেজ করে দেবে বারবার পানি পান করা হবে এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে যেমন কমলালেবু মধু মালটা ফলমূল জাতীয় খাবার। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে যে এন জ্বর কমাতে স্পঞ্জিং ও কুলিং ব্যারেট বা অন্যান্য পরিপূরক বেশি কাজ করে কিন্তু বিকল্প হিসেবে ওষুধ খুবই নগণ্য কাজ করে। তাই আপনি ওষুধ ব্যবহার করার আগে ঘরোয়া উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
বাচ্চার জ্বর কমানোর দোয়া জেনে নিন
বাচ্চার জ্বর কমানোর দোয়া সম্পর্কে অনেকেই জানে অনেকেই জানে না আপনি যদি না জেনে থাকেন বাচ্চাদের জ্বর কমানোর দোয়া সম্পর্কে তাহলে জেনে নিন এই দোয়াটি, দোয়াটির বাংলা উচ্চারণ উপস্থাপন করা হলো, বিসমিল্লাহিল কাবিরি, আউযবিল্লাহ আজিমি মিন শাররি কুল্লি ইরকিন না আরিন, ওয়ামিন সারি হারিন নারি। এটা হচ্ছে আরবির বাংলা উচ্চারণ এটা আপনি পড়ে আপনার বাচ্চার জ্বর কমানোর কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম এবং বিভিন্ন উপকারি টিপস
দোয়াটির অর্থ: মহান আল্লাহর নামে আমি মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় করছি রক্তচাপের আক্রমণ থেকে এবং জাহান্নামের আগুনের উত্তপ্ত মন্দ প্রভাব থেকে। এখান থেকে বোঝা যায় যে যারা ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসী তার আল্লাহতালার কাছে জ্বর ভালো হওয়ার জন্য এই বলে দোয়াটি পাঠ করে আল্লাহতালা অবশ্যই তার নিয়াতর নির্ভর করে তার সমস্যা দূর করতে পারে।
এছাড়াও এই দোয়াটি সম্পর্কে হাদিস শরীফের রয়েছে সুনাতে তিরমিজি হাদিস নাম্বার ২০৭৫ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যাদের চর অন্যান্য সকল প্রকার ব্যথা রয়েছে তারা এটি পড়তে পারেন। আশা করি বুঝাতে পেরেছি এই দোয়ার আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য তাই এই দোয়া পাঠ করে আপনি ক্ষমা প্রার্থনা করার পাশাপাশি আপনার বিভিন্ন বিপদ আপদ এবং জ্বর থেকে রক্ষা পাবেন।
বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কাজ জানুন
বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করণীয় কাজ জানা থাকলে আপনি হঠাৎ যদি জ্বর আসে কোন বাচ্চা তাহলে এই উপায় গুলো অবলম্বন করতে পারবেন এতে আপনার বাচ্চার জ্বরের মাত্রা কমে আসবে এছাড়া ভালো হয়ে যেতেও পারে। আপনি বাচ্চার জ্বর হঠাৎ লক্ষ্য করলে প্রথমেই যে কাজটি করবেন সেটি হচ্ছে তাকে হালকা জামাকাপড় পরিয়ে দেবেন অথবা ঠান্ডা জল দিয়ে গোসল করিয় দিতে পারেন।
এছাড়াও আপনি মাথায় জলপট্টি করে দিতে পারেন এতে শিশু শান্তি পাবে বিভিন্ন ফলমূলের রস খাওয়াতে পারবেন এবং প্রচুর পরিমাণে খাবার পানি পান করাতে হবে। যদি ছোটখাটো ধরনের জ্বর হয়ে থাকে তাহলে এই উল্লেখিত উপায়টি আপনার শিশুকে ভালো করবে। বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে তা থেকে আপনি অবশ্যই আপনার বাচ্চার হঠাৎ জ্বর আসার লক্ষণ গুলো থেকে বাঁচতে পারবেন এবং এই লক্ষণ গুলো যেন তেমন ক্ষতি না করতে পারে।
তার জন্য উল্লেখিত বিষয়গুলো অবলম্বন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি প্যারাসিটামল খাওয়াতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হালকা পোশাক পরতে পারেন তরল পানি বেশি করে খাওয়াতে পারেন, শরীর স্পঞ্জ করতে পারেন, আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে পারেন, বিশ্রাম নিতে পারেন। সবচাইতে বেশি ভালো হয় সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তার মত অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি জানুন
শিশুদের ১০২ হলে করণীয় কি সেই বিষয়টি জানা আপনার প্রয়োজন মনে করলে এ বিষয় জেনে রাখতে পারেন কারণ কোন শিশুর জ্বর যদি ১০২ তাপমাত্রা উড়ে যায় তাহলে এই মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে সেই শিশুরের শারীরিক মানসিক অবস্থার উপর তাই আপনি সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং সাময়ক অবস্থায় এর প্রখরতা থেকে বাঁচার জন্য শিশুকে যেই বিষয়গুলো করতে পারেন তা হল,
বিভিন্ন ধরনের প্রস্রবণ ওষুধ খাওয়াতে পারবেন যে ওষুধগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। এছাড়াও আপনি বাসায় জলপটি করে দিতে পারবেন, গরম জল খাওয়াতে পারবেন, বিভিন্ন ধরনের জ্বরের সিরাপ রয়েছে সেই সিরাপ গুলো খাওয়াতে পারবে এছাড়াও মধু কালোজিরা খাওয়াতে পারবেন, শরীরে সরিষার তেল এবং রসুন একসাথে গরম করে মেসেজ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা এবং ঘরোয়া উপায়
জ্বর হওয়া শিশুটিকে একটি ঠান্ডা পরিবেশে রাখুন এবং বিশ্রাম নেওয়ার জন্য সুযোগ দিন এছাড়াও খুব কার্যকর ভাবেই তাড়াতাড়ি জ্বর কমানোর জন্য আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন এতে চিকিৎসক যে উপায়গুলো অবলম্বন করতে বলবে সে উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার শিশুর জ্বর এর হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন এবং আপনি নিশ্চিন্ত হতে পারবেন।
২ বছরের শিশুর জ্বর হলে করণীয়
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে আপনি যদি দুই বছরের শিশুর জ্বর কমাতে চান এবং দুই বছরের শিশুর জ্বর হলে যে কাজ গুলো করতে পারবেন সেগুলো যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক জায়গায় প্রকাশ করেছেন এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যে, একটি মানুষের জ্বর হলে কি কি কাজ করতে হয় এবং ছোটদের জ্বর হলে কি কি উপায় অবলম্বন করতে হয় সে সকল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
ঠান্ডা পানি বারবার পান করাবেন পাশাপাশি ফলের রস খাওয়াবেন এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে যে এনজিওর কমাতে স্পঞ্জিং কুলিং ব্যাটেল অথবা এই উপায়গুল বেশি কাজ করে। এছাড়া আপনি একটি পাত্রী হালকা গরম জল নিয়ে সে জলকে একটি তোয়ালেতে নিয়ে গোটা শরীর বুক পিঠ মাথা মুছে দিতে পারেন ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত এতে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে এবং জ্বর কমে যাবে।
পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই এগুলো করার জন্য সময় ব্যয় করতে হবে। তাই এই সময় ব্যয় না করে সবচাইতে বেশি উপকার পাবেন যদি সরাসরি ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে হবে। তাই আপনি উল্লেখিত উপায় গুলো অবলম্বন করার পাশাপাশি সঠিক সময়ে আপনার শিশুকে ডাক্তারের কাছে উপস্থাপন করুন এবং ডাক্তারের কাছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর মাধ্যমে ওষুধ সেবন করুন।
শিশুদের জ্বর হলে যে কাজ গুলো করবেন না
শিশুদের জ্বর হলে যে কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে সেই কাজগুলো ছিল আমাদের জানা প্রয়োজন কারণ আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে শিশুদের জ্বর হলে কি কি কাজ করতে হয় সেই সকল বিষয়ে কিন্তু আসলে অনেক বিষয় রয়েছে যে বিষয়গুলো কখনোই করা যাবে না শিশুর জ্বর থাকা অবস্থায় সেই বিষয়গুলো এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।
যে কাজগুলো করার চোর হলে কখনোই করবেন না যা আপনার সন্তানের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে:
অতিরিক্ত গরম কাপড় পড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
জোর করে খাওয়ানো: শিশুরা জ্বর হলে কিছুই খেতে চায় না এবং মুখের রুচি থাকে না তাই তাদেরকে জোর করে খাওয়াবে না তারা যেটা খেতে চাই সেই ধরনের খাবার দিবেন।
অতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহার: শিশুদের জ্বর হলে অতিরিক্ত ঔষধ ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: শরীরের তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা তপে দেখতে হবে এবং নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে হবে।
অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি: অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার: অতিরিক্ত পরিমাণ মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে কারণ এতে শরীরে অতিরিক্ত গরম ধরে যাবে এবং শরীরে বদহজমের সমস্যা হতে পারে।
এছাড়াও আপনি সবচাইতে বেশি উপকৃত হবেন যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ না করলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে আপনার শিশুর অপকারিতা সমর্থন বেশি হতে পারে। তাই আপনি সবচাইতে বেশি উপকৃত হওয়ার জন্য অবশ্যই সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন এবং ডাক্তারের যে ধরনের উপায় অবলম্বন করতে বলবে সেই উপায়গুলো অবলম্বন করবেন
শিশুর জ্বর ও বমি হলে করণীয় কাজগুলো জানুন
শিশুর জ্বর ও বমি হলে করণীয় বিষয়গুলো আপনাদের জানা উচিত কারণ শিশুরা অনেক সময় তাদের সমস্যার কথা বলতে পারে না তাই অনেক উপলক্ষ রয়েছে যেগুলো দেখি আমাদেরকে বুঝতে হয় যে তার সমস্যা বা বমি হতে পারে। এজন্য আপনাকে যেই উপায় গলো অবলম্বন করতে হবে তা নিচে উপস্থাপন করা হলো যা আপনাদের উপকারে আসবে।
শিশুটির জ্বর ও বমি হলে করণীয় কাজ:
- শিশুর জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়াতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
- হালকা পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে যেন তার শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে না যায়।
- ঠান্ডা এবং আরামদায়ক পরিবেশে অবস্থান করতে হবে যাতে আপনার শরীরের অতিরিক্ত গরম না লাগে।
- বেশি পরিমাণ তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে এবং বিভিন্ন ফলের রস খাওয়াতে হবে।
- বমি হলে খাবার ও পানীয় সামগ্রিক জাতীয় খাবার বন্ধ করতে হবে।
এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সবচাইতে কার্যকরী উপায় গুলো গ্রহণ করতে পারেন। যেমন বিভিন্ন চেকআপ করিয়ে ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়া উল্লিখিত পদ্ধতি বা ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেই উপায় গুলো আপনার শিশুর কাজে আসতে পারে এবং বিভিন্ন টিপস রয়েছে যেগুলো মেনে আপনি অবশ্যই এই জ্বর থেকে রক্ষা পাবেন।
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে পোস্টে বিষয়গুলো আলোচনা করেছি সেগুলো আপনাদের খুবই কাজে আসবে। আলোচনা করা হয়েছে আপনি ঘরোয়া উপায়ে কি কি কাজ করে জ্বর কমাতে পারবেন এবং শরীরের তাপমাত্রা কমাতে পারবেন সেই সকল বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করেছি যাতে আপনি বুঝতে পারেন। কারণ অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বর কমানোর জন্য বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে চাই।
তাদের এই কাজকে সহজ করে দেযর জন্য আজকে এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করলাম। এবং আরো ভালো উপকারিতা পাওয়ার জন্য ডাক্তারের সরাসরি পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন এর জন্য আপনাকে নিকটস্থ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে ডাক্তারের সাথে সরাসরি কথা বলে এবং বিভিন্ন চেকআপ করিয়ে সে অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url