নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত সারা বছরের সময় জানুন
নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য যদি আপনি এই পোস্টটি এর ভিতরে প্রবেশ করে থাকেন তাহলে এই পোস্টের ভিতরে জানতে পারবেন। নামাজের শুরু ও শেষ সময় সম্পর্কে এছাড়াও বিস্তারিত জানতে পারবেন নামাজ সম্পর্কে।
আমাদের প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন সকল নামাজের সময়সীমা কারণ নামাজ আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য ফরজ হিসেবে পালন করার আদেশ রয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তাই আপনি পরিপূর্ণভাবে নামাজ পড়তে যা করবেন তা জানুন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত
নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি সম্পর্কে জানুন
নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন, কারণ নামাজ প্রত্যেকটি মুসলিম মানুষের জন্য ফরজ হিসেবে পালন করার আদেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহতালা। তিনি রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে তার বান্দাদের হেদায়েতের জন্য এ নামাজের ব্যবস্থা করেছেন। ইসলামে বর্ণিত কি কাজটি করার যে সঠিক সময়সূচী তা আমরা জানবো অবশ্যই।
আরো পড়ুনঃ তারাবি নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া, ফজিলত ও বিভিন্ন টিপস
কিন্তু তার আগে আমাদের কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত। যে নামাজ আসলে মানুষের পড়া ফরজ কিন্তু নামাজের পড়ার জন্য যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত ততটাই ফরজ যতটা নামাজ পড়া ফরজ। তাই বিভিন্ন হাদিস শরীফে রয়েছে যে নামাজ পড়ার পূর্বে মানুষকে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে কারণ পবিত্র নামাজ বেহেস্তের চাবি (সহি বুখারী)
এছাড়াও পবিত্র কুরআনের নামাজের কথা ৮২ বার বলা হয়েছে। এবং সাথে সাথে নামাজ পড়ার জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে সেই বিষয়গুলো বলা হয়েছে। নামাজ পড়া নামাজের সময়সূচী জানা এটাও যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি প্রয়োজন আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য জানা। কারণ নামাজ নিয়ে মানুষের মাঝে অনেক ধরনের মতবাদ রয়েছে তাই সঠিক মতবাদটি আপনার আমার সকলেরই জানা উচিত।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময়
নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময় নিয়ে সার্বজনীন যে বিষয়টি সেরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। এবং এটা থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে আসলেই নামাজের শেষ ওয়াক্ত এবং শুরুর ভক্ত বলতে কি বুঝানো হয়েছে এবং শরীয়তি দৃষ্টি কোন থেকে কিভাবে বলা হয় এবং মারিফত দৃষ্টিকোণ থেকে কিভাবে নামাজের বিষয়টি বলা হয় তার বিস্তারিত সময়সূচী।
আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া ফজিলত গুরুত্বপুর্ণ আমল
সার্বজনীন সময়সূচী: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচী সার্বজনীনভাবে যেটা গ্রহণ করা হয় যে নিয়মটি সবসময় একই রকম থাকে তার কোন পরিবর্তন হয় না সেটাকে সার্বজনীন সময়সূচী বলা হয়।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় সমূহ সার্বজনীন:
ফজর: ফজর নামাজের সময় শুরু হয় সুবি সাদিক হওয়ার সাথে সাথে এবং সূর্য উদয়ের পূর্ব পর্যন্ত এটা সময় নির্ধারণ ধরা হয়।
যোহর: দুপুরের সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার সময় থেকে যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং মানুষের গায়ে রোদের ছায়া দ্বিগুণ হয়ে গেলে সেই সময়ে সমাপ্ত হয়।
আসর: যোহরের সময় শেষ হওয়ার সাথেই শুরু হয়ে যায় আসরের সময় এই সময়টি হচ্ছে সূর্য অস্তের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে।
মাগরিব: সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে মাগরিবের সালাতের সময় শুরু হয়ে যায় এবং পূর্ণ ভাবে অন্ধকার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নামাজ পড়া যায়। এই সময়টি সবচাইতে কম সময় নামাজ পড়ার জন্য এবং পশ্চিম আকাশে যতক্ষণ পর্যন্ত লালিমা বিদ্যমান থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সময় থাকে।
এশার নামায: মাগরিবের সালাত শেষ হবার সাথে সাথে এশার নামাজের সময় হয়ে যায় এবং এই এশার নামাজের সময় বিদ্যমান থাকে শুভ সাদিক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অথবা ফজরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত। তবে মধ্যরাতে পড়ে নেওয়া সবচাইতে বেশি ফজিলত পূর্ণ।
জুম্মা নামাজ: শুক্রবারকে গরিবের হজের দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন বিভিন্ন ইসলাম গবেষক। নামাজের জন্য আলাদা কোন নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়নি তবে শুক্রবারের দিন জোহরের নামাজের সময় এই নামাজ পড়ার নিয়ম চালু রয়েছে।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি যে নামাজের যে সর্বনিম্ন সময় রয়েছে সে সময়গুলো কিভাবে নির্ধারণ করা হয় এই আল্লাহতাল ইসলাম পৃথিবীতে এসেছেন আদম আলাইহিস সালাতু সাল্লাম সালামের মাধ্যমে প্রথম ইসলামিক মানুষ এবং তার থেকে আজ অবধি মানুষ ইসলামকে ভালোবাসেন এবং ইসলামের নিয়ম এবং আকিদা অনুযায়ী তাদের জীবন বা নিজের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে। এছাড়া মহানবী সাল্লাল্লাহু সালামের বিভিন্ন জীবনের ইতিহাস থেকে জানা যায় যে। নামাজ সার্বজনীন এবং নামাজ যেকোনো সময় পড়া যেতে পারে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সালাম একদিন তায়েফের ময়দানে তার সাহাবীদেরক নিয়ে আসরের নামাজ কাজা করে যাচ্ছিলেন, সে সময় অনেকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কে জিজ্ঞেস করেন যে, হে রাসূলুল্লাহ সা: আমরা ফরজ নামাজ কাজা করে চললাম তখন সৈয়দ মুহাম্মদ হাসবি উত্তর দিয়েছিলেন, বলেছিলেন যে মেরে নবীকা খুশি মেরে লিয়ে ফরজ হে, তারমানে আমার নবীর খুশি আমার জন্য ফরজ। এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ মাগরিবের নামাজের সময় সে কাজা করার নামাজ সহ দুই নামাজ একসাথে পড়ে নিলেন।
নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচী সারা বছর
নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচী সারা বছর যে সময়গুলো নির্ধারণ করা হয়েছে তা আপনাদের সময় উপস্থাপন করা হলো এখান থেকে আপনি দেখে নিতে পারবেন এবং এই উপস্থাপিত সময় অনুযায়ী আপনি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এখন আল্লাহতালা নামাজের অনেক ফুজবত দিয়েছেন এবং নামাজ মানুষের জন্য ফরজ হিসেবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখিত সময় গুলো আজকের দিন থেকে শুরু করে এই বছরের সকল নামাজের সময় গুলো উল্লেখ করা হয়েছে এখান থেকে আপনি খুব সহজেই দেখিয়ে নামাজের সময়সূচী অনুযায়ী নামাজ পড়তে পারবেন এবং প্রয়োজনে আপনি এই সময়গুলো ডাউনলোড করে অথবা সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন এতে আপনি আপনার সেভ করে রেখে খুব সহজেই দেখিয় নিতে পারবেন।
নামাজের নিষিদ্ধ সময়সমূহ জানুন
নামাজে নিষিদ্ধ সময় সমূহের কারণ অনেক সময় রয়েছে। যে সময়ে নামাজ পড়াতে না পড়ে অত্যন্ত উপকারী। আল্লাহতালা নামাজকে ফরজ হিসেবে মানুষের জন্য উপস্থাপন করেছেন তাই প্রত্যেকটা মানুষের জন্য নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। নামাজ আমাদেরকে পড়তেই হবে, কুরআনের ভিতরে বলা হয়েছে যে, সূরা মারিস এর ২৩ নম্বর আয়াতে বলে, তারায় মুসল্লি যারা সর্বক্ষণিক সালাতের পরে দন্ডায়মান।
আরো পড়ুনঃ কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস কুরআন এবং মহানবীর বাণী
তাই আপনাকে সর্বক্ষণিক সালাত সম্পর্কে জানতে হবে এবং সালাত পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য এবং দাসত্ব করার চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহতাল লোক দেখানো ইবাদত পছন্দ করেন না, তাই তিনি বলেছেন লোক দেখানো ইবাদত করে অয়েল নামক দুজোক অবস্থান করবে। তাই আপনি নিষিদ্ধ নামাজের ভিতরে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে পারেন। সেটি হলো আল্লাহকে রাজি খশি করার জন্য নামাজ আদায় করা অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকলে সেই নামাজ গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে।
এছাড়া শরীয়ত অনুযায়ী ঠিক সূর্যোদয়ের সময় নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকুন, ঠিক দ্বিপ্রহরে, ঠিক সূর্যাস্তের সময়। এ সময় গুলো শরীয়তে দৃষ্টিকোণ থেকে নামাজ পড়ার জন্য উপযুক্ত সময়ে নয় বলে নিষিদ্ধ সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও এ বিষয়ে আরো বিভিন্ন ধরনের মতবাদ রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক রয়েছে। আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে মুসলিম সমাজের যে আদর্শ রয়েছে মহানবী যে জীবনী রয়েছে তা সম্পর্কে জানতে হবে এবং সে অন্য অনুযায়ী ইবাদত বন্দি কি করতে হবে।
নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি নিয়ে শেষ মন্তব্য
নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি নিয়ে শেষ যে কথাটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব সেটি হচ্ছে, প্রত্যেকটা মানুষের জন্য ফরজ। অতএব নামাজ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। বলা হয়েছে বিভিন্ন হাদিস শরীফে যে পবিত্র নামাজ বেহেশর চাবি। নামাজ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে পবিত্রতার সাথে তাহলে আল্লাহতাল খুশি হয়ে আপনাকে পুরস্কার দিবেন।
আল্লাহতালা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন যে আল্লাহতালা কখনোই বান্দার কাছে ঋণী থাকে না, রিনি অর্থ আল্লাহতালার কাছে কেউ যদি কখনো ইবাদত করে তাহলে সেই ইবাদতের বিনিময়ে যে উপহার পাবে সেই উপহার কখনোই আল্লাহতালা না দিয়ে থাকেন না তাই আল্লাহতালা অবশ্যই তার বান্দাকে অত্যন্ত ভালোবাসেন তাই নামাজের মাধ্যমে তার কাছে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সুবিধা এবং তার নৈকট্য দানের সুযোগ সুবিধা দিয়েছে।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url