পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় এবং ডাক্তারি পরামর্শ জেনে নিন

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় প্রত্যেকটা মহিলারই জানা উচিত কারণ এটি মহিলাদের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ভিতরে পড়ে যাওয়া যা মাসে একবার হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের ঘরে ২৮ দিন পর পর যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় তাকে পিরিয়ড বলে।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ডাক্তারের পরামর্শ, ইসলামিক দোয়া এবং পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে এবং কি কি কারণে ব্যথা হয় তার সকল তথ্যগুলো বিস্তারিত এই প্রশ্নের মধ্যে আলোচনা করা হবে যেখান থেকে আপনি বুঝতে পারবেন। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় নিয়ে যা জানবেন 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় গুলো

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় গুলো সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত না জেনে থাকেন তাহলেই সঠিক জায়গায় প্রবেশ করেছেন। এখানে পিরিয়ডের ব্যথা সম্বন্ধে যাবতীয় সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে এবং কি কি উপায় অবলম্বন করে পিরিয়ডের ব্যথা কমানো হয় সেই বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হবে। সুতরাং আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো আপনার জানা উচিত।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর প্রধানত দুইটি উপায় রয়েছে যেই দুইটি উপায় হচ্ছে, ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে। এবং অপরটি হচ্ছে প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে সহজেই আপনার পিরিয়ডের ব্যথা সমাধান করতে পারবেন। প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়ে যেই উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনার পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পারবেন সেগুলো আলোচনা করা হবে। 

পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যে ওষুধগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনি পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পারবেন। সে বিষয়গুলো বিস্তারিতভবে উপস্থাপন করা হবে যাতে আপনি খুব সহজেই দুই উপায় অবলম্বন করতে পারেন এবং এ সমস্যা থেকে নিজেকে রেহাই করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিক উপায় গুলো এবং ডাক্তারি ওষুধে পরামর্শ যেই তথ্যগলো রয়েছে সেগুলো।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কে সবচাইতে কার্যকরী উপায়গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। যাতে আপনারা খুব সহজে এই উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনার পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। এ ঘরোয়া উপায় গুলো আমার মতে প্রত্যেকটি মহিলার জানা উচিত কারণ এই উপায় গুলো যেকোনো সময় অবলম্বন করা যায়। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের ফল খাওয়ার তালিকা সম্পর্কে কার্যকরী টিপস

  • গরম পানি শেখ দিয়ে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে একটু রেহাই পাওয়া যায়। 
  • আদা চা বা আদার রস বেশি উপকারী পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য খেতে পারেন। 
  • পেঁপে পাকা অবস্থায় অথবা কাঁচা অবস্থায় খাওয়ার মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। 
  • লেভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন পিরিয়ডের ব্যথার সময়। 
  • অ্যালোভেরা রস খেতে পারবেন। 
  • প্রচুর পরিমাণ পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারবেন। 
  • হালকা শারীরিক ব্যায়াম করতে পারবেন এতে আপনার শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে এবং পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
  • এক গ্লাস গরম দুধের সাথে হালকা করে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে খেতে পারবেন। এতে পিরিয়ডের ব্যথা কম হবে। 
  • গরম পানির ব্যাগ তলপেটে বেঁধে রাখতে হবে তাহলে ব্যথা থেকে হালকা আরাম পাওয়া যাবে। 
  • মেসেজ করতে পারবেন পেটের নিচের অংশে হালকা তেল দিয়ে। 

পর্যাপ্ত পরিমাণ আরাম, মাসিক হলে শারীরিক শক্তির ক্ষয় হয় তাই আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ আরাম গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও এই সমস্যার তীব্রতর হলে বা ব্যথা যদি তীব্র আকার ধারণ করে তাহলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন এতে আপনার ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন এবং খুব সহজেই ব্যথা কমে যাবে। 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় ওষুধের নাম 

পিরিয়ডের ব্যথার কমানোর উপায় ওষুধের নাম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। কারণ পিরিয়ডের ব্যথা হলে অনেক ব্যথা অনুভূত হয় পাশাপাশি বুক, পিঠ, ঘাড় ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে ব্যথা করে। এই অবস্থায় মহিলাদের ব্যথা সহ্য করা অনেকটা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই কষ্ট থেকে বাঁচার জন্য এবং ব্যথাকে কমানোর জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করেন। 

ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করা হয়েছে। এবং যে ওষুধগুলো খাওয়ার মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা কমানো হয় তা এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব,যেন আপনারা বুঝতে পারেন যে এই ওষুধগুলো খাওয়ার মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রায় গড়ে ২৮ দিন পর পর মহিলাদের ডিম্বাচক্র থেকে যেই তরল পদার্থ গুলো বের হয় তাকে মাসিক বা পিরিয়ড বলে অবহিত করা হয়। 

এর ওষুধ গুলো হচ্ছে, tab.Algin 50 mg,1+1+1 নিয়মের তিন থেকে চার দিন খেলে ব্যথা কমে যায়। পাশাপাশি আপনি সাধারণ ব্যথার জন্য যে ওষুধ টি ব্যবহার করতে পারবেন তা হচ্ছে প্যারাসিটামল। এবং ইবুপ্রোফেন উল্লেখযোগ্য। তবে পিরিয়ডের ব্যথার জন্য কোন ওষুধ সেবন করার পূর্বে আপনাকে প্রাকৃতিক উপায় গুলো দিয়ে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। 

এছাড়া পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহৃত কিছু ওষুধের নাম: অ্যাসপিরিন (Asprin),ইবুপ্রোফেন(Ibprofen) নাইপ্রোসিন (naproxen) ডিক্লোফেনাক (Diclofenac) উল্লেখিত ওষুধগুলো পিরিয়ডর এর সময় প্রচন্ড ব্যথার উপশম দেখা গেলে উল্লেখিত ওষুধ গুলো নিঃসন্দেহে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি কারণ গুরুতর ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায়। পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য আপনি ইসলামিক উপায়ে যে উপায়টি অবলম্বন করবেন সেটি হচ্ছে আল্লাহতলার কাছে দোয়া এবং প্রার্থনা।

আরো পড়ুনঃ ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় ও বিভিন্ন কার্যকারী পদ্ধতি 

ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় গুলোর মধ্যে ইসলামিক উপায় অবলম্বন করে আল্লাহ তালা দরবারে যদি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তাহলে অবশ্যই এই পিরিয়ডের ব্যথা থেকে আল্লাহতালা আপনাকে মুক্তি দিবে কারণ আপনি যে সৎ এবং নেককার হয়ে থাকেন, তাহলে আল্লাহ অবশ্যই আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন। আপনি যদি পিরিয়ডের ব্যথায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুলে থাকেন তাহলে আল্লাহতলার কাছে দোয়া করে ক্ষমা চাইতে পারেন। 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় গুলো দেখুনঃ

 ১ম দোয়া গুলো দেখাে নিনঃ আরবিতে, أعوذُ باللهِ و قُدرتِه من شرِّ ما أَجِدُ و أُحاذِرُ 
এর বাংলা উচ্চারনঃ আউজু বিইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু। (মুসলিম ৪১৯৯, আবু দাউদ ৩৮৫১)
অর্থঃ আল্লাহর মর্যাদা ও তার কুদরতের উসিলায় আমি যা অনুভব ও ভোগ করছি তা থেকে মুক্তি চাচ্ছি।

২য় দোয়াঃ আরবি, ربنا الله الذي في السماء تقدس اسمك، أمرك في السماء والأرض، كما رحمتك في السماء فاجعل رحمتك في الأرض، اغفر لنا حوبنا وخطايانا أنت رب الطيبين، أنزل رحمة من رحمتك وشفاء من شفائك على هذا الوجع

বাংলা উচ্চারণঃ রাব্বুনাল্লাহুল লাজি ফিস সামা-ই তাকাদ্দাসা ইসমুক, আমরুকা ফিস সামা-ই ওয়াল আরদ্ব, কামা রাহমাতুকা ফিসসামা-ই, ফাজআল রাহমাতুকা ফিলআরদ্ব, ইগফির লানা হুউবানা ওয়া খাতা-য়া-না আনতা রাব্বুত তাইয়িবিন, আনযিল রাহমাতাম মিন রাহমাতিকা, ওয়া শিফাউম মিন শিফা-ইকা আলা হাজাল ওয়াজ-ই। (আবুদাউদ হাদিস : ৩৮৯২, নাসায়ি, হাদিসঃ ১০৮৭৬)

অনুবাদঃ হে আমাদের মহান প্রতিপালক আল্লাহু, যিনি আসমানে ও জমিনে রয়েছেন। আপনার নাম সম্মানিত, আসমান-জমিনে আপনার কর্তৃত্ব, আসমানে যেমন, আপনার রহম্‌ তেমনি জমিনেও বর্ষণ করুন। আমাদের পাপ এবং গুনাহ মার্জনা করুন। আপনি সকল সুস্থ ও সৎদের প্রতিপালক, আপনার বিপুল রহমত রয়েছে তা থেকে রহমত বর্ষণ করুন। এই ব্যথা-যন্ত্রণায় আরোগ্য দান করুন।

আল্লাহতালার কাছে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় গুলোর মধ্যে যেই কার্যকরী উপায় হচ্ছে একটি দোয়া এই দোয়াটি পড়ে আপনি অবশ্যই এই বিপদের সময় ব্যথা মুক্ত হতে পারবেন এবং আল্লাহ তা'আলা নারীদেরকে এই সমস্যা হওয়ার কারণে অনেক সময় ক্ষমা করে দেন এবং আল্লাহ মেয়েদের পিরিয়ডের সময় বিশ্রাম করতে বলেছেন এবং ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন পাশাপাশি যে দোয়াটি পাঠ করতে বলেছেন তা নিচে আলোচনা করা হবে। 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর দোয়া জেনে নিন 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর দোয়া অনেকে জানে অনেকেই জানে না আপনি যদি একজন মহিলা হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই পিরিয়ডের সমস্যা আপনার হয়ে থাকে কারণ এটি আল্লাহতালা কর্তৃক একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়া যা প্রত্যেকটি মেয়ে বা নারী বা মহিলাদেরকে ভোগ করতে হয় এর মাধ্যমে আল্লাহতালা অনেক বিপদ থেকে মহিলাদেরকে রক্ষা করেন। 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর দোয়া জেনে নিন

এটা হচ্ছে প্রাকৃতিক একটি উপায় এই উপায় না থাকলে দুনিয়াতে এত মানুষের আনাগোনা থাকলো না কারণ জন্মনিয়ন্ত্রণ বা জন্ম দেওয়ার জন্য মহিলাদের এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং কার্যকারী। এই প্রক্রিয়াটি না হলে মহিলারা সন্তান জন্ম দিতে পারবে না। আর এই প্রক্রিয়াটি হওয়ার সময় স্বামী-স্ত্রীর মিলন করলে সন্তান জন্মগ্রহণ করতে পারে। আর এই সময় যে ব্যথা হয় সে ব্যথা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহতালা যেই দোয়াটি ব্যবহার করার কথা বলেছেন সেই দোয়াটি হল, 

আউজু বিইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়াহাজিরু। যার অর্থ হচ্ছে আল্লাহতালার মর্যাদা ও তার কুদরতের উসলায আমি যা অনুভব করছি তা বা ভোগ করছি তা থেকে মুক্তি চাই। এই বলে আল্লাহ তাআলার কাছে ফরিয়াদ করা এবং এই পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দোয়া করার মাধ্যমে আপনি এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

মাসিকের সময় পেটে ব্যথার কারণ জানুন 

মাসিকের সময় পেটে ব্যথার যে ধরনের কারণ থাকতে পারে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। যেন আপনি বুঝতে পারেন যেন মাসিকে কি কারণে ব্যথা অনুভূত হয়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক মাসুমের সময় কি কারনে পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। মাসিকের সময় এক ধরনের উৎপাদন মানব শরীরে ঘটে যেই উৎপাদনটির কারণে ঋতুসাব সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যথা অনুভূত হয় পেটে। 

আরো পড়ুনঃ প্রসবের ব্যাথা না হলে কি করনীয় ১৪ টি উপায়

এ ব্যথা উৎপাদন করার জন্য দায়ী হচ্ছে পোস্টাগ্ল্যাডিনস ধরনের পদার্থ উৎপাদন করে। মাসিকের সময় এই উৎপাদনটি প্রচন্ড পরিমাণে বেড়ে যায়। এবং এটি হচ্ছে এক ধরনের চর্বিযুক্ত যৌগ যা কোষে উৎপাদন হয়। এবং শরীরের বিভিন্ন কাজে এটি অংশগ্রহণ করে। যেমন পিরিয়ডের সময় জরায়ুতে জরায়ু সংকোচন এবং প্রসারণ করার জন্য উপস্থিত হয়। এবং এই উপস্থিত হওয়ার কারণে জরায়ুতে পেটে মাসিকের সময় ব্যথা অনুভূত হয়। 

আশা করি বোঝাতে পেরেছি মাসিকের সময় কি কারণে ব্যথা অনুভূতি হয়। উল্লেখিত পদার্থটি জরায়ুর পেশিকে সংকুচিত করে পাশাপাশি প্রদাহ তৈরি করে যার কারণে ব্যথাটি তীব্রতর আকার ধারণ করে এবং এই ব্যথার তীব্রতর আকার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উল্লেখিত পোস্টে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যে, তথ্যগুলো ব্যবহার করে আপনি এই ব্যথাকে কমাতে পারবেন। 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর খাবার গুলো জেনে নিন 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর খাবার গুলো জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ প্রত্যেকটি প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এই পিরিয়ডের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং সবারই পিরিয়ড হয়। এসময় বিভিন্ন ধরনের শরীরের রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথার লক্ষণ দেখা যায় তাই এ সময়ে আপনাকে যে খাবারগুলো গ্রহণ করতে হবে সেই খাবারগুলো অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং হেলদি হওয়া প্রয়োজন। 

যে খাবারগুলো পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যথার উপশ্রম থেকে রক্ষা করবে সে খাবারগুলো হচ্ছে, ডার্ক চকলেট, ব্রকলি, কলা, পালং শাক, কমলালেবু, আদা চা, গ্রিন টি, এছাড়া প্রচুর পরিমাণ আয়রন সমৃদ্ধ খাবার ফলমূল এবং পানি পান করতে হবে, দই খেতে পারেন বা বিভিন্ন টক জাতীয় খাবার খেতে পারেন। কাঁচা আদা আর চিবিয়ে খেতে পারবেন এতে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। 

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেকোনো ধরনের তাজা টাটকা ফলমূলে এবং শাকসবজি। চিয়া সিডস, ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার। নারিকেলের পানি কম ফ্যাটের দুধ গরম স্যুপ মরিচা এবং পেয়ারা খেতে পারবেন প্রচুর পরিমাণ এতে আপনার ব্যথার বচন কমিয়ে আপনাকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করবে। আপনি উল্লেখিত খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন এছাড়াও যে খাবারগুলো থেকে বিরত থাকবেন। 

অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা ফাস্টফুড খাওয়া যাবে না চা কোমল পানীয় এবং কফি অতিরিক্ত তেল মসলা দেওয়া সকল খাবার খেতে পারবেন না। এই খাওয়ার গুলো ছিল আপনার বিভিন্ন ধরনের ব্যথার খারাপ অবস্থা তৈরি করতে তাই এই খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এবং আপনার পিরিয়ডের সময় নিজেকে সাবধান এবং সচেতন ভাবে রাখুন এবং বিশ্রাম করুন প্রয়োজন মতো। 

পিরিয়ড নিয়ে সচারচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর 

প্রশ্নঃ কী খেলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে?

উত্তরঃ পিরিয়ডক্র্যাম্প উপশম করে এমন খাবার

  • আদাঃ আদার মৌখিক প্রশাসন ঋতুস্রাবের সাথে সম্পর্কিত ব্যথা উপশম করতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
  • দারুচিনি
  • মৌরি বীজ খেতে পারেন
  • ক্যামোমাইল ব্যবহার 
  • ক্যালসিয়াম এবং ভিট ডি খাবার 
  • ডার্ক চকোলেট
প্রশ্নঃ পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথা হয় কেন?

উত্তরঃ সে সাথে মানব শরীর প্রোস্টাগ্ল্যানডিনস নামে যে পদার্থ উৎপাদন করে তা  ঋতুস্রাবের সময় যার উৎপাদন বেড়ে যায় তার প্রোস্টাগ্ল্যানডিনস হচ্ছে এক ধরণের চর্বিযুক্ত যৌগ যা কোষে উৎপন্ন হয় এবং দেহের বিভিন্ন কাজে এদের অংশগ্রহণ থাকে। যেমন, পিরিয়ডের সময় এরা জরায়ুর পেশীকে সংকুচিত করে এবং প্রদাহ তৈরি করে, যার কারণে ব্যথা হয়।

প্রশ্নঃ মাসিক কি ছেলেদের হয়?

উত্তরঃ  মহিলাদের মত পুরুষদের শরীরেও হরমোনের পরিবর্তন হয়। এবং যে কারণে ছেলেরা মহিলাদের মত প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমের লক্ষণগুলো অনুভব করতে পারে মেয়ে মাত্রই মাসিক হবে, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম এবং এর বৈজ্ঞানিক কারণও অনেক আছে।ছেলেদের মাসিক হয় না।

প্রশ্নঃ পিরিয়ডের সময় গরম পানির সেঁক দিলে কি হয়?

উত্তরঃ পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে গরম সেঁক ভাল কাজ করে। সেঁক দিলে তলপেটে রক্ত চলাচল ভাল হয়, মাংসপেশি নরম হয়,  যার ফলে ব্যাথা অনেকটাই কম হয়। বাড়িতে হট ব্যাগে গরম জল ভরে সেঁক দিন। যদি হট ব্যাগ না থাকে তাহলে শক্তপোক্ত কাঁচের বোতলে গরম জল দিয়ে সেঁক দিন তাতে ব্যাথা  কমবে।

প্রশ্নঃ মাসিক কত দিন থাকা ভালো?

উত্তরঃ  একটি পিরিয়ডের প্রথমে দিন থেকে পরের দিনের মধ্যে সময়ে সাধারণ দৈর্ঘ্য হল যুবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ২১ থেকে ৪৫ দিন এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২১ থেকে ৩৫ দিন৷ গড় দৈর্ঘ্য ২৮ দিন; একটি গবেষণায় এটি ২৯.৩ দিন অনুমান করা হয়েছে যা মেয়েদের মাসিক চক্র বলে।

প্রশ্নঃ না খেয়ে থাকলে কি মাসিক বন্ধ হয়ে যায়?

উত্তরঃ আপনার খাদ্যাভ্যাসের যেকোনো ধরনের পরিবর্তনের ফলে মোট ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং চর্বি গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস হতে পারে, যা আপনার মাসিক পিরিয়ড শুরু হওয়ার তারিখ পরিবর্তন করতে পারে। খুব বেশি এবং খুব কম উভয়ই খাওয়ার ফলে অনিয়মিত বা বিলম্বিত মাসিক হতে পারে।

পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে তা জানুন 

পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকে তাই আপনাদের সামনে একটি সহজ উপায় উপস্থাপন করে যে উপায়টি হচ্ছে পিরিয়ড মেয়েদের ঘরে ২৮ দিন পর পর হয়ে থাকি এ সময় বিভিন্ন ধরনের শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন রক্তচাপ এবং পেট ব্যথার মতো সমস্যা সৃষ্টি করে। এ সময়ে যেই ব্যথার সৃষ্টি হয় তার লক্ষণ গুলো একটু উপস্থাপন করি। 

পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে তা জানুন

পিরিয়ডের একদিন আগে থেকেই আপনার পেটে ব্যথা অনুভব হতে পারে এবং পিরিয়ড শুরু হওয়া পর্যন্ত এই ব্যথা চলমান থাকতে পারে। এতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই তীব্র থেকে তীব্রতর ব্যথা হলে আপনি বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারবেন পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও এই পোস্টে যে ওষুধগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। 

তাই এই মাসিকের ব্যথা নিয়ে তেমন কোন চিন্তিত হওয়ার কারণে এটি স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে। কোন কোন সময় এই ব্যথা ২৪ ঘন্টার ভিতরে ভালো না হয়ে এক থেকে দুই দিন বেশি সময় লেগে যেতে পারে এতে ভয়ের কোন কারণ নেই। কারণ এটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে একটু সময় বেশি লাগতে পারে কারোর আবার কারোর একটু কম সময় লাগতে পারে। তাই এই মাসিকের সময় আপনি সবচাইতে বেশি রেস্ট এবং সঠিক খাবার এবং ঘুমের প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুমাবেন। 

মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি কি করতে হয় 

মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি কি করতে হয় এ বিষয়ে অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না। তাই এ বিষয়ে যারা পরিপূর্ণ জানেন না তাদের জন্য বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে কিভাবে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন এবং পিরিয়ডের ব্যথা হলে কি কি কাজ করতে হবে সে সকল ঘরোয়া উপায় গুলো এই পোস্টের ভিতরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যেখান থেকে আপনি বুঝে নিতে পারবেন। 

এছাড়া পিরিয়ড হলে একটু কষ্ট তো সহ্য করতে হয় কারণ প্রাকৃতিক ভাবে এই প্রক্রিয়াটি মেয়েদের জন্য হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়াটি না হলে মেয়েরা সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না এবং বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যাবে পিরিয়ডের ব্যথা হলে। পেট ব্যথা করতে পারে এবং আপনার শরীর দুর্বল হতে পারে। কারণ পিরিয়ড হলে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণো হয় এবং এই রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যায়। 

তাই পিরিয়ড হলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে পাশাপাশি আপনাকে শারীরিক এক্সারসাইজ করার জন্য অভ্যাস করতে হবে। এতে করে আপনার বিভিন্ন পিরিয়ডের যে সমস্যা দেখা দেয় তা কম হতে শুরু করবে এবং এই উল্লেখিত পুষ্টির যে তথ্যগুলো আছে সকল তথ্য যদি আপনি পরিপূর্ণভাবে মানতে পারেন তাহলে আপনি মুহূর্তেই এই ব্যথা থেকে রক্ষা করতে পারবেন নিজেকে। 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় নিয়ে লেখক এর শেষ মন্তব্য 

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় নিয়ে ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে বিশেষ বিশেষ কার্যকরী উপায় গুলো আলোচনা করেছি। এবং বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে কিভাবে আপনি এই পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন সেগুলো আলোচনা করেছি। তাই উল্লেখিত প্রত্যেকটি উপায় অবলম্বন করে আপনি পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পারেন। এছাড়াও এই ব্যাথাগুলো কমানোর জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে পাশাপাশি যে,

ডাক্তারি পরামর্শ গুলো রয়েছে সেগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি এবং তাড়াতাড়ি পরামর্শ অনুযায়ী যে ওষুধগুলো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তারা এই সময়ে সেই ওষুধ গুলোর নাম উপস্থাপন করেছে। তবে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী এবং বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাসিক বা পিরিয়ড এর ব্যথা কমানোর উপায় অবলম্বন করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো সবচাইতে বেশি কার্যকরী এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url