দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় প্রাকৃতিক ১০টি এবং চিকিৎসকের পরামর্শ
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় জানার জন্য যদি এই পোস্টের ভিতরে প্রবেশ করেন তাহলে সঠিক জায়গাত প্রবেশ করেছেন। এই পোস্টের ভিতর নিয়ে আলোচনা করব দ্রুত কিভাবে পেটের গ্যাস কমাবেন প্রাকৃতিক উপায় এব ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী।
এছাড়াও জানতে পারবেন কি কারণে মানুষের পেটে গ্যাস হয় এবং কোন কোন উপায় গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পেটের গ্যাসের সমস্যা কে দূর করতে পারবেন চিরতরে। তাহলে চলুন সে কার্যকরী পদ্ধতিগুলো জেনে নেয়।
পোস্ট সুচিপত্রঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় নিয়ে যা জানবেন এই পোস্টতে
- দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো জানুন
- বুকে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় জেনে রাখুন
- পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ জেনে রাখুন
- চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
- পেটের গ্যাস কমানোর খাবার গুলো জানুন
- অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত
- গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না জেনে রাখুন
- সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না জেনে রাখুন
- অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয় জানুন
- পেটে গ্যাস হলে কি শ্বাসকষ্ট হয় জেনে রাখুন
- দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো জানুন
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো সাধারণত দুইটি মাধ্যমে করা হয়ে থাকে সেই মাধ্যমগুলো বিস্তারিত আলোচনা রাখব যাতে আপনারা দুই মাধ্যমেই ব্যবহার করে সঠিক উপকারিতা পান। এই দুটি মাধ্যমগুলোর মধ্যে যে মাধ্যমগুলো রয়েছে তা হল প্রাকৃতিক মাধ্যম এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ। তাহলে চলুন পর্যায়ক্রমে সেই উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া:
বেশি বেশি পানি পান: হজম শক্তি স্বাভাবিক থাকলে গেটে গ্যাসের সমস্যা কম হয় তাই আপনার যদি প্রচুর পরিমাণ পানি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন এর জন্য আপনাকে ৩০ মিনিট পর পর ১ থেকে ১.৫ লি পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
হাঁটাচলা করা: কারো গ্যাসের বুক জ্বালাপোড়া শুরু হলে কেউ শুয়ে পড়বেন না কারণ শুয়ে পড়লে গেছে জ্বালাপোড়া বেড়ে যেতে পারে তাই আপনি হাঁটাচলা করে সেই গ্যাসকে পায়ুপথ দিয়ে অপসারণ করতে পারবেন।
খাবার গ্রহণ: বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করতে পারবেন যে খাবারগুলো অত্যন্ত গ্যাসের বিপরীতে কাজ করে এবং হজম শক্তি কে শক্তিশালী করে তাহলে আপনার হজম শক্তি সঠিক থাকলে গ্যাসের সমস্যা কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আদা চা খেয়ে: গ্যাসের সমস্যা থাকলে আদা চা খেতে পারবেন আদা্র কার্যকরী উপাদান গুলো আপনার গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে।
পুদিনা পাতা চিবিয়ে খাওয়া: পুদিনা পাতাতে বিদ্যমান উপাদান গুলো হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে পাশাপাশি আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
হালকা ব্যায়াম করা: পেটের ভিতরে গ্যাসটিকে জ্বালাপোড়া করলে আপনি হালকা ব্যায়াম করতে পারেন এতে আপনার পেটের ভিতরে যে গ্যাস থাকবে তা বের হয়ে যাবে।
কিছু খাবার এরিও চলুন: যে খাবারগুলো ফাইবার যুক্ত যেমন, ব্রকলি, বাঁধাকপি ইত্যাদি এগুলো থেকে গ্যাসের সম্ভাবনা বাড়তে পারে তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
হিং (Asafoetida): এটি গরম পানিতে মিশিয়ে পান করলে গ্যাস কমে যায়।
দারুচিনি: দারুচিনি গ্যাসের সমস্যা দূর করতে পারে এবং হজম প্রক্রিয়ায় উন্নত হতে পারে।
লেবুর রস: গ্যাসের সমস্যার সমাধান করার জন্য লেবুর রস বা শরবত তৈরি করে খেতে হবে।
অ্যালোভেরার জুস: অ্যালোভেরা জেল হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হয় এবং বুক জ্বালাপোড়া মত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
খাবারের পর রেস্ট: খাবার গ্রহণের পর সাথে সাথে শুয়ে না পড়ে কিছুক্ষণ সময় বসে কাটানোর পর যে কোন কাজ করতে হবে বা শুয়ে পড়তে হবে তাহলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর ডাক্তারি পরামর্শ:
এন্টাসিড ব্যবহার: ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী এন্টাসিড গ্যাস নির্গমনের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রোবায়োটিক: প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট বা দই খেলে হজম শক্তি উন্নত হয় এবং গ্যাস ভালো হয়ে যায়।
সিমেথিকন: এই জাতীয় ওষুধ গ্যাসের বুদবুদ কে ভেঙে দিয়ে তার নির্গত করতে সাহায্য করে।
ডায়েট পরিবর্তন: উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার, কার্বনেটেড পানীয়, এবং বেশি মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এনজাইম সাপ্লিমেন্ট: এনজাইম সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন যেমন পেপেইন বা ব্রোমেলিন হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
পেপার মিন্ট অয়েল ক্যাপসুল: পেপার মিন্ট অয়েল ক্যাপসুল হজম প্রক্রিয়ায় উন্নত করে গ্যাস কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
হজমের জন্য ঔষধ: হজমের কিছু ওষুধ রয়েছে যেমন, মেটোক্লপ্রোমাইড বার্ডপেরিডম যা হজম প্রক্রিয়ায় উন্নত করে এবং গ্যাস কমায়।
গ্যাসের ঔষধ: বিভিন্ন বাজারে গ্যাসের ওষুধ রয়েছে যা সাময়িকভাবে গ্যাস ভালো করার জন্য কাজে দেয় যেমন সেকলো।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনি মেডিটেশন বা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
উল্লেখিত উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যে সকল কাজ করতে বলে সেই কাজগুলো উল্লেখ করা হয়েছে এখান থেকে আপনি বিভিন্ন তথ্য বা সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এতে আপনার গ্যাসের সমস্যা চিরতরে মুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ কে সবার যে কারণগুলো রয়েছে সেই কারণগুলো এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব এবং কারণ গুলো এড়িয়ে চললে এবং উল্লেখিত উপায় গুলো অবলম্বন করে গ্যাস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যাবে।
বুকে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় জেনে রাখুন
বুকে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় অনেকেই জানতে চাই এবং কি কারণে ব্যথা হয় সে সকল বিষয়ে জানতে চাই। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া এবং মসলা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে বুকে ব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও যার হজম ক্রিয়ার সমস্যা রয়েছে এবং বদহজম হয় তাদের এ ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই জেনে নিন বাঁচার উপায়।
আরো পড়ুনঃ জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে জাদুকরী ২১টি টিপস
গ্যাসের কারণে বুকে ব্যথা করার চিকিৎসা মধ্যে রয়েছে এন্টিসিডস এগুলি পাকস্থলী এন্ডসিট নিক্ষেপ করে এবং অম্বল এবং বদহজম থেকে ত্রাণ দিতে সাহায্য করে। এছাড়া গরম পানি পান করতে পারবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে নিরাময় পাওয়ার জন্য। বুকে ব্যথার যে লক্ষণ গুলো রয়েছে তা হচ্ছে ছুরি কাঘাতে ব্যথা, বুকের মধ্যে চাপ বা সংকোচনের অনুভূত হওয়া, হৃদপিণ্ড সম্পর্কিত ব্যথা উপলব্ধি করা।
ফোলা ভাব এবং প্রসারণ, ঝাকুনি বা বেলচিং, খাওয়া-দাওয়ার পরে অস্থিরতা বোধ বা বুক জ্বালাপোড়া করা, বুক সোজা বুকের পেছনে জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা করা, এ ছাড়া যে কারণগুলোর জন্য এই ব্যথাগুলো উপলব্ধি করা হয় সেগুলো হচ্ছে, হঠাৎ গিলে ফেলা বাতাস। বা খাওয়া-দাওয়ারের সময় যে অতিরিক্ত বাতাস চলে যায় পাকস্থলীতে তা জমে গ্যাসে পরিণত হয়। বিভিন্ন গ্যাস উৎপাদনকারী খাবার মটরসুটি, বাঁধাকপি পিয়াজ, ব্রকলি।
অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করা, বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া বা তাড়াহুড়ো করে কোন খাবার গ্রহণ করা, লাইটোজ অসহিংস, কোষ্ঠকাঠিন্য, মানসিক চাপের মতো বিভিন্ন সমস্যা থাকলে এ ধরনের ব্যথা বা বুকের গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই আপনি যদি এ ধরনের সমস্যা পড়ে থাকেন তাহলে জেনে নিতে পারেন এই কার্যকরী তথ্য গুলো।
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ জেনে রাখুন
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ গুলো সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন কারণ বর্তমানে গ্যাসের সমস্যা প্রত্যেকটি মানুষেরই কম বেশি হয়ে থাকে। এই গ্যাসের সমস্যা এতটাই প্রখর আকার ধারণ করেছে যে এখন অল্প বয়স্ক শিশুদের বাচ্চাদেরও বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই এ সকল সমস্যার ঘরোয়া উপায় জানার পাশাপাশি ডাক্তারি ওষুধ গুলো জেনে রাখা প্রয়োজন।
- Colomex ঔষধ টি ব্যবহার করতে পারেন এটি পেটের ব্যথা ফোলা ভাব পেটের খিচুনি এবং স্বাভাবিক এসিডিটি থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহার করা হয়।
- এছাড়াও প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর(PPI) ওষুধটি সেবন করার মাধ্যমে আপনার পাকস্থলীতে যে অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি সৃষ্ট করছে তার উৎপাদন কমাতে সাহায্য করবেন আপনাকে থেকে রক্ষা করবে।
- এন্টাসিড কিউ এ বল ট্যাবলেট: ক্যালসিয়াম কার্বনের যা দ্রুত এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে এই ধরনের ওষুধ খেলে খুব সহজেই বুকের ব্যথা বা পেটের ব্যথা সমস্যা সমাধান হবে।
- ডাইজেস্টিভ এনজাইম ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজেই এটি গ্যাসের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং হজম শক্তি উন্নত করে।
- হাইড্রোক্সাইড ব্যবহার: হাইড ব্যবহার করতে পারবেন যেমন ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড যা গ্যাস এবং অ্যাসিটির কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- হোমিওপ্যাথিক ওষুধ: কিছুই হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন যেমন কারমোফেজ, লাইকোপোডিয়াম গ্যাস কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- আয়ুর্বেদিক ওষুধ: বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ রয়েছে এবং ত্রিফলা মৌরি পুদিনা পতা ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন।
কোন উপায় গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে পেটের গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন তাই এই উপায়গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার জীবনের গ্যাসের সমস্যাকে দূর করুন চিরতরে এবং আপনি সুস্থ এবং সুন্দর জীবন যাপন করুন। বর্তমানে গ্যাসের সমস্যা অত্যন্ত বিপদজনক তাই আপনি গ্যাসের সমস্যা থেকে দূরে থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।
চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করব ইতিমধ্যেই আমরা বিভিন্ন গ্যাস দূর করার উপায় সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেছি। গ্যাসের সমস্যা প্রত্যেকটি মানুষেরই কখনো না কখনো দেখা যায় তাই আমাদের জানা উচিত কিভাবে গ্যাসের থেকে বাঁচা যাবে এবং কোন কোন উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম এবং বিভিন্ন উপকারি টিপস
চিরতরে গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি যে কাজগুলো করতে পারবেন তার বিস্তারিত বিষয় উপরে আলোচনা করা হয়েছে কিন্তু আরো ইউনিক যে বিষয়গুলো রয়েছে সে বিষয়গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। ইউনিক বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী হচ্ছে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কোন কিছুর খাবর পূর্বে পর্যাপ্ত পানি পান করা।
গরম পানি দিয়ে গোসল করা, পেট মেসেজ করা কলা খাওয়া, প্রতিদিন সঠিক বা একই সময়ে খাবার গ্রহণ করা এতে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। আদা চা বা পুদিনা চা খেতে পারেন, এছাড়াও গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে রক্ষা খওয়ার জন্য আপনি লবঙ্গ বা এলাচ নিয়মিত চাবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও যদি গ্যাসের সমস্যা দীর্ঘস্থায় এবং তীব্রতর হয় তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সুবিধা পাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পেটের গ্যাস কমানোর খাবার গুলো জানুন
পেটের গ্যাস কমানোর খাবার গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখুন যাতে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন খাবারগুলো খেলে আপনার গ্যাস হওয়া সম্ভাবনা কোন খাবারগুলো খেলে গ্যাস এর সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। পেটের গ্যাসের সমস্যা হলে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পারবেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য খাবারগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম যাতে আপনারা খুব সহজেই সেই খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাসের সমস্যা সমাধান করতে পারেন।
- কালিজিরা সকালে সামান্য পরিমাণ খেয়ে চাবিয়ে খেয়ে পানি পান করতে হবে।
- সকালে তুলসী পাতা চিবিয়ে অথবা তুলসী পাতার রস পান করলে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।
- মৌরি গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী খাবার।
- অ্যালোভেরা জুস: গ্যাসের সমস্যা সমাধান করার জন্য আপনি নিয়মিত এলোভেরা জুস খেতে পারেন।
- ক্যামোমিল ট্রি: গ্যাসের সমস্যা সমাধান করার জন্য এই ভেষজ চা ব্যবহার করতে পারবেন এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার দূর করতে সাহায্য করে।
- পুদিনা সিরাপ পুদিনা পাতা এবং পুদিনার রস খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাসের সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন।
- কিসমিস খেতে পারবেন পরিমাণ মতো প্রতিদিন এটি হজমের সমস্যা থাকলে দূর করে দেয় এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
- পাকা কলা: কলাতে প্রচুর পরিমাণ প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে এবং এমন কিছু ভিটামিন রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
দারুচিনি লবঙ্গ, এলাচ, শসা, টক দই, কমলা, পাকা পেঁপে, ঠান্ডা দুধ, আমড়া উল্লেখযোগ্য একই খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে চিরে মুক্তি পেতে পারেন এবং অনুযায়ী এই কাজগুলো করলে আপনি অবশ্যই মুতে পারেন আশা করা যায়। তাই যাদের থেকে সমস্যা রয়েছে তারা এ সকল খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে এবং উপকরিতা গুলো পাওয়ার জন্য এই খাবারগুলো অবশ্যই খাওয়ার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত এই বিষয়গুলো আমাদের জানা উচিত কারণ অতিরিক্ত গ্যাস অনেকেরই হয়ে থাকে বিভিন্ন খাবার খাওয়ার কারণে। বিভিন্ন আসক্ত খাবার এবং তেল জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যায় ভুলে থাকেন বিভিন্ন মানুষ। তাই তারা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ চাই যে কোন খাবার খাওয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা থেকে বাঁচায়।
আরো পড়ুনঃ শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে ১০টি কার্যকরী টিপস
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি খাওয়া যায় এ বিষয়টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি বিভিন্ন খাবারের তালিকায় এছাড়াও এখন যে বিষয়টি উপস্থাপন করব সেটি আপনি যেই হিসেবে খাওয়ার মাধ্যমে খুব উপকৃত হবেন। চা পান করলে গ্যাসের সমস্যা থেকে দূর হওয়া যায় এবং গ্যাসের যে সমস্যা হয় তার কারণগুলো হওয়া থেকে বেশি যাওয়া যায়।
আপনি যদি অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত সে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আমার এই পোস্টটির তথ্যগুলো ভালোভাবে জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তার কার্যকরী ফলাফল পাবেন এবং সেই ফলাফল থেকে আপনি গ্যাসের সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন। আপনি যদি গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে চান তাহলে এই তথ্যগুলো আপনার অবশ্যই কাজে আসবে বলে দাবি করা যায় কারণ আমি নিজেই এই তথ্যগুলো ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছি।
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না জেনে রাখুন
গ্যাস্ট্রিক হলে কি খাবার খাওয়া যাবে না এ বিষয়গুলো অত্যন্ত জানা প্রয়োজন কারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় অনেকে ভুগে থাকেন আমার খাবার কি খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় সে বিষয়টি না জেনে থাকার কারণে সেই খাওয়ার আবার খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকে। তাই চলুন জেনে নিয়ে কি কি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে।
অতিরিক্ত ঝাল তেল মসলা যুক্ত এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে রাখতে হবে এবং গরম দুধ খাওয়া যাবে না দুধের তৈরি সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে পাশাপাশি শাক পাতা রেডমিট পরিহার করতে। এছাড়া পাসপোর্ট চা, কফি, ধূমপান অ্যালকোহল ও কোমল পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
উল্লেখিত এই বিষয়গুলো থেকে যদি আপনি বিরত থাকতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা 99% কমে যাবে। আশা করি আপনি এই বিষয়গুলো অবলম্বন করবেন এবং আপনার গ্যাস হবার সম্ভাবনা কি কমিয়ে নিজে সুস্থ থাকবেন পাশাপাশি গ্যাস থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত হাঁটা ব্যায়াম করা এবং মেডিটেশন করার পাশ করতে পারেন।
সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না জেনে রাখুন
সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না তা জেনে রাখুন আপনার প্রয়োজনে আসবে কারণ সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেক খাবার আছে যে খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আমরা দেশ থেকে সমস্যায়থাকি। সবচাইতে বেশি কার্যকরী খাবার হচ্ছে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি অবশ্যই কোন খাবার গ্রহণ করার পূর্বে। ঠান্ডা পানি খেতে পারেন এক থেকে দুই গ্লাস বা পরিমাণ মতো।
আরো পড়ুনঃ পুরুষের জন্য মেথির অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনেনিন এক মিনিটে
আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ঠান্ডা জল বা পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন তাহলে এই উপসটি এক সপ্তাহ প্রতিদিন করে দেখবেন যে আপনার গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই কমে গেছে বা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এছাড়াও আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে কিসমিস খেতে পারেন, কলা খেতে পারেন, আদা চা খেতে পারেন অথবা আদা পানি খেতে পারেন।
আদাজা বা পানি খেলে এই সকল খাবার গুলো আপনার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে দেবে না তাই আপনি এই সকল খাবারগুলো খাবার মাধ্যমে সকালের খাবারের তালিকা তৈরি করুন এবং নিয়মিত সেই তালিকা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করুন এতে আপনার গ্যাসের সমস্যা চিরতরে মুক্ত হয়ে যাবে বলে বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শ রয়েছে। তারা বলেন নিয়মিত এই উপসগুলো করলে অবশ্যই গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যাবে।
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয় জানুন
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয় এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই কারণ গ্যাসের সমস্যায় এমন একটি সমস্যা যে সমস্যা মানুষের শান্তি কে নষ্ট করে দেয় এবং এতটাই অশান্তিকর পরিবেশ তৈরি করে ফেলে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেই গ্যাসের সমস্যা থেকে বাঁচা না যায় সেই গ্যাসের সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্ত না করা যায় ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের ভিতরে অস্থিরতা বা অশান্তি বিরাজ করে।
তাই আপনি যদি অতিরিক্ত গ্যাস থাকে তাহলে উল্লেখিত খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন যে খাবারগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে এছাড়াও প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানি এবং বিভিন্ন খাবার যেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেই খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন। উল্লেখিত খাবারগুলো গ্রহণ করলে আপনার অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
আর হঠাৎ যদি আপনার অতিরিক্ত গ্যাস ফর্ম করে তাহলে আপনি বিভিন্ন ফার্মেসির দোকান থেকে বিভিন্ন গ্যাসের ওষুধ কিনতে পারবেন যেমন সেকলো একটি ভালো মানের গ্যাসের ওষুধ যা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি ৫ মিনিটের ভিতরে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা থেকে রেহাই পেয়ে যাবেন। এ বিষয়টি আমি নিজেই ব্যবহার করে দেখেছি খুব বেশি কাজ করে তাই আপনিও এই বিষয়টি ব্যবহার করতে পারেন।
পেটে গ্যাস হলে কি শ্বাসকষ্ট হয় জেনে রাখুন
পেটে গ্যাস হলে কি শ্বাসকষ্ট হয় এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই এবং প্রশ্ন করে থাকেন যে গ্যাস হলে কেন শ্বাসকষ্ট হয়। তাদের প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে গ্যাস হলে শ্বাসকষ্ট হয় কারণ গ্যাস হলে পেটের ভিতরে বিভিন্ন পরিমাণ গ্যাস জমা থাকে এবং এদিকে ওদিকে বুকের ভিতর বা পেটের ভিতর চাপ সৃষ্টি করে তখন মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারে না।
গ্যাস মানুষের পেটের ভেতরে বিভিন্ন রকমের বাধা সৃষ্টি করে তার কারণে মানুষের শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে তাই এ ধরনের বাধা সৃষ্টির হাত থেকে রক্ষার জন্য আপনাকে উল্লেখিত উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে যা এই পোস্টের ভিতরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। গ্যাসের সমস্যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটি সমস্যা এই সমস্যা গুরুতর অবস্থায় চলে গেলে মানুষ শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসকষ্টের পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায় যে মানুষ নিঃশ্বাস নিতে পারে না।
আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন কারণ গ্যাসের সমস্যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং বিপদজনক। গ্যাসের অতিরিক্ত সমস্যা থাকলে মানুষের বুক ব্যথা করে বুকে জ্বালাপোড়া করে এবং শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে তাই আপনি গ্যাসের সমস্যা অতিরিক্ত পরিমাণ মনে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় নিয়ে যে মন্তব্যগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি বা পরামর্শগুলো আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করছি সেই পরামর্শগুলো অত্যন্ত কার্যকরী এবং ১০০% ভেজাল মুক্ত। তাই আপনি এই উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে অবশ্যই দ্রুত পেটের গ্যাস কমাতে পারবেন।
পেটের গ্যাসের সমস্যা গুলো ১০০% সঠিক উপায়ে ঘরোয়া এবং ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী সমাধান করার জন্য আমাদের এই পোস্টের তথ্যগুলো অত্যন্ত কার্যকর তাই আপনি এই তথ্যগুলো আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনি উপকৃত হবেন এবং আপনার গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারবেন।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url