শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা - শীতকালীন সবজি চাষের সময় পুষ্টিগুণ বিস্তারিত
শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই শীতকালে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে পারবেন। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশের শীতকালে সবচাইতে বেশি সবজি এবং ফলমূল উৎপাদন হয়।
তাই জেনে নিন শীতকালীন সবজি চাষের সময় কখন এবং কি উপায়ে সবজি চাষ করলে লাভজনক হওয়া যায়। এছাড়াও সবজিতে কোন কোন উপাদান রয়েছে তার বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ শীতকালীন সবজি চাষ তালিকা - শীতকালীন সবজি চাষের সময় জানুন
- শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা সম্পর্কে জানুন
- শীতকালীন সবজি চাষের সময় ১০ টি শীতকালীন সবজির নাম
- শীতকালীন সবজি চাষের পদ্ধতি জানুন বিস্তারিত
- বারোমাসি সবজি তালিকা সম্পর্কে জানুন
- বারোমাসি সবজি চাষ পদ্ধতি জেনে রাখুন
- শীতকালীন সবজি কি কি জানুন
- বারোমাসি সবজির তালিকা জেনে রোগ মুক্তি
- শীতকালীন সবজি চাষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- টবে বারোমাসি সবজি চাষ পদ্ধতি জেনে নিন
- শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা - বারোমাসি সবজির তালিকা নিয়ে শেষ মন্তব্য
শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা সম্পর্কে জানুন
শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত কারণ আমরা যারা বাঙালি বাংলাদেশে বসবাস করি তারা বিভিন্ন ধরনের কৃষি কাজের সাথে জড়িত আছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী শীতকালে বিশেষ সবজি এবং ফল মূল উৎপাদন করা হয়। এই ফলাফলগুলো বলা হয়েছে বিভিন্ন সময়ের চাইতে শীতকালে বেশি স্বাস্থ্যসম্মত এবং উপকার বহন করে।
শীতকালীন সবজি চাষ তালিকা:
- ফুলকপি
- বাঁধাকপি
- লাল শাক
- বরবটি
- ঝিঙ্গা
- পালং শাক
- মুলা
- বেগুন,
- আলু
- শালগম
- শীম
- টমেটো
- পেঁয়াজ পাতা, পেঁয়াজের ফুলকা
- লাউ
- ব্রকলি
- মটরশুঁটি
- গাজর
- ধনেপাতা
- চিচিঙ্গা
- পটল
- ঢেঁড়স
- চাল কুমড়া
- মিষ্টি কুমড়া
- শসা
- ধুন্দল
- করোলা
- পেঁপে
শীতের সময় বাজারে এ সকল শাকসবজি গুলো দেখা যায় কারণ এই সকল শাকসবজি গুলো শীতর সময় প্রচন্ড পরিমাণে উৎপাদন হয়। এই শাকসবজি গুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন এ বি সি ডি ই পটাশিয়াম বিটাক্যারোটিন ম্যাগনেসিয়াম আয়রন ফলিক এসিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আজ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান চাই একটি মানুষের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে।
শীতকালীন সবজি চাষের সময় ১০ টি শীতকালীন সবজির নাম
শীতকালীন সবজি চাষের সময় উল্লেখিত সকল সবজি আপনি চাষ করতে পারবেন খুব সহজেই তাই ১০ টি শীতকালীন সবজির নাম ও চাষের সময় উল্লেখ করা হলো যাতে আপনারা সেই সময় চাষ করতে পারেন এবং ফসল উৎপাদন করে লাভবান হতে পারেন। কারণ শীতকালের কিছু কিছু সবজি রয়েছে যেগুলি সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে সে সময়ে চাষ করলে ভালো ফলন এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ৮টি গুনাগুন
বাঁধাকপি: বাঁধাকব শীতকালের একটি অনেক উপযোগী এবং জনপ্রিয় সবজি। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, কে এবং ফাইবারের উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাঁধকপি খাওয়ার ফলে হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বাঁধাকপি চাষের সময়: যারা রোপন করার জন্য আপনাকে অক্টোবর এর শেষ থেকে নভেম্বরের মাঝে মাঝে সময়ের ভিতরে যারা রোপন করতে হবে। এবং ফসল তুলতে পারবেন ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ফুলকপি পুষ্টি উপাদান: ফুলকপি প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি কে এবং ফলেট রয়েছে। এছাড়াও ফুলকপির সম্পূর্ণ ক্লোরোস্টল মুক্ত।
ফুলকপি চাষের সময়: ফুলকপি চারা ভবনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের প্রথম দিকে। এবং ফসল তোলার উপযুক্ত সময় ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত।
মুলার পুষ্টি উপাদান ও উপকার: মুলা শীতকালে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ফাইবার এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে, তাই এটি শরীরের হজম শক্তি উন্নত করে এবং ত্বকের জন্য ভালো।
মুলা চাষের সময়: মুলা চাষের উপযুক্ত বীজ বপনের সময় হচ্ছে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি, ফসল তোলার উপযুক্ত সময় হয়েছে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এছাড়া অনেকে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলা চাষ করেন।
শাল গম পুষ্টি উপাদান ও উপকার: শীতকালীন সবজি শালগম এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি কে এবং ফাইবারের উৎস রয়েছে, যা হাড়ের গঠনে সহযোগিতা করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
শালগম চাষের সময়: শালগম চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি, শালন তোলা হয় অক্টোবর থেকে নভেম্বর প্রথম দিক পর্যন্ত।
পালং শাকের পুষ্টি উপাদান ও উপকার: পালং শাক অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ রয়েছে। যা রক্তশূন্যতা দূর করতে পারে হাড়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে পারে এবং শরীরকে শক্তিশালী করে।
পালং শাকের চাষের সময়: পালং শাক বীজ বপনের জন্য উপযুক্ত সময় হয়েছে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়। এবং এই পালং শাক ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চাষ করা যায়।
ব্রকলিতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান ও উপকার: ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি কে এবং ফলের রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহযোগিতা করে এবং হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
ব্রকলি চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে নভেম্বরের প্রথম দিকে, এই ফসলটি জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সময় লাগে উপযুক্ত হবার জন্য।
গাজরে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান ও উপকার: গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় মিনারেলস রয়েছে, চোখের বিভিন্ন সমস্যা এবং চোখকে সুস্থ রাখতে বিভিন্নভাবে উপকার দেয় এই গাজর।
গাজর চাষের উপযুক্ত সময়: গাজর চাষের উপযুক্ত সময় হলো অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের মাঝে মাঝে সময়ে। এই ফসল তোলার জন্য জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সময় পাওয়া যায়।
সিম এর পুষ্টি উপাদান ও উপকার: সিম শীতকালীন একটি জনপ্রিয় খাবার এটি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ফাইবার ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচিত। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
সিম চাষের সময়: বীজ বপনের জন্য অক্টোবর থেকে নভেম্বরের প্রথম সময় কে বিবেচনা করা হয়। ফসল তোলার জন্য দীর্ঘ দুই থেকে তিন মাস সময় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
লাউ পুষ্টি ও উপকার: লাভে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর সবজি হিসেবে ব্যবহার করা এতে পানি ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া সম্ভাবনা কমায়।
লাউ চাষের উপযুক্ত সময়: বীজ বপনের জন্য অক্টোবর থেকে নভেম্বরের প্রথম দিকে বিবেচনা করা হয় এবং ফসল তোলার সময় হিসেবে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় পাওয়া যায়।
টমেটো পুষ্টি উপাদান: টমেটো একটি শীতকালীন অতি প্রয়োজনীয় উপকারী সবজি এসব কি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ভিটামিন সি এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এছাড়াও এটি ক্যান্সার ও ত্বকের সুরক্ষার জন্য বিশেষভাবে কাজ করে।
টমেটো চাষের সময়: শীতকালীন সকল শাকসবজি বিশেষ করে শীতে যেগুলো উৎপাদন হয়। এ সকল শাকসবজি নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এবং মার্চের 15 দিনের মধ্যেই প্রক্রিয়া কাল সমাপ্ত হয়ে যায় তাই এ সময়ে টমেটো চাষ করা হয় আপনি নভেম্বর থেকে বীজ বপন শুরু করতে পারবেন এবং ডিসেম্বরের প্রথম পর্যন্ত বীজ বপন করতে পারবেন। এবং তোলার সময় হচ্ছে শীত কালীন সময়ে এটা হয়ে থাকে তাই শীতের শেষ হওয়ার পূর্বেই এ চাষের সময়কাল শেষ হয়ে যায়। পুরো শীত এই সবজি তোলা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের বাজারজাত করে টাকা ইনকাম করা যায়।
শীতকালীন সবজি চাষের পদ্ধতি জানুন বিস্তারিত
শীতকালীন সবজি চাষের পদ্ধতি এবং শীতকালীন সবজির তালিকা এবং শীতকালীন সবজির সময় নিয়ে অনেকে চিন্তিত থাকেন। বিশেষ করে যারা নতুন অবস্থায় কৃষি কাজের সাথে জড়িত হয় তারা অনেকেই জানেন না যে শীতকালে সবজি চাষের জন্য সঠিক এবং উপযুক্ত পদ্ধতি গুলো। সুতরাং আপনাদের সুবিধার জন্য আজকের এই পদ্ধতিগুলো উপস্থাপন করা হলো।
শীতকালে সবজি চাষের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় দুটি জিনিস হচ্ছে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় কীটনাশক এবং জৈব সার ব্যবহার করা। এছাড়াও একটি অতিরিক্ত পানি শেচ এবং সার ব্যবহার করা যাবে না কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া শীতকালে মাটির আদ্রতা রক্ষার করার জন্য আপনাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কীটনাশক এবং পানি সেচ দিতে হবে।
এছাড়াও শীতকালে তীব্র কুয়াশার ফলে ফসল অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় তাই আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যদি আপনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বুঝতে না পারেন তাহলে সরাসরি যেকোনো কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন যেখানে কৃষি বিভিন্ন ধরনের বীজ বিক্রি করা হয় এবং কৃষি তথ্য সেবা দেওয়া হয় সেই ধরনের যে কোন কৃষি সংস্থার কাছ থেকে আপনি পরামর্শ নিতে পারেন।
এছাড়াও পোকামাকড় এবং রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের জৈব সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করতে পারবেন এ কীটনাশক ব্যবহার করার জন্য অনেক রকম পদ্ধতির রয়েছে। বিভিন্ন সবজি বা ফসল ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তাই আপনি যদি সহজেই সেই উপায়গুলো জানতে চান তাহলে স্থানীয় কীটনাশক বিক্রেতা বা ডিলারদের সাথে যোগাযোগ করে সে অনুযায়ী পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
বারোমাসি সবজি তালিকা সম্পর্কে জানুন
বারোমাসি সবজি তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা উচিত কারণ বারোমাসি বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করা হয় এবং সে সবজিগুলো আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করি। শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা জানা থাকলে যেমন শীতকালে বিভিন্ন ধরনের সবজি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও সঠিক উপায়ে সবজি চাষ করার জন্য সবজি চাষের সঠিক উপায় এবং পদ্ধতি গুলো জানতে হয়ে যা এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ পালং শাকে কি এলার্জি আছে। বিভিন্ন প্রকার শাক সবজির উপকারিতা গুনাগুণ ও টিপস
বারোমাসি সবজি তালিকা:
জানুয়ারি মাসের সবজি: জানুয়ারি মাসে বেগুন লাউ, আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, শম, গাজর, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, শসা, বরবটি, করলা, পিয়াজ, পালং শাক, পটল, ওলকপি, মুল চাষ করা হয়।
ফেব্রুয়ারি মাস: ধাম, ধুন্দল, ফুলকপি, টমেটো, শসা, আলু, শালগম, রসুন, বাধাকপি, পালং শাক, মটরশুঁটি, লেটুস, আগাম, বিটকুট গাজর।
মার্চ মাছর সবজি: পাট, পেঁয়াজ, লাল শাক, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, বেগুন ঢেঁড়স, টমেটো, রসুন, বরবটি, কমলি শাক।
এপ্রিল মাসের সবজি তালিকা: শসা, মুলা, পেঁপে, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, মরিচ, পটল, করোলা, তরমুজ, চাল কুমড়া, কাকরোল, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, লালশক ঝিঙ্গা।
মে মাসের বারোমাসি সবজি ভিতরে যা আছে: ধুন্দল, বরবটি, কুমলি শাক, মরিচ পেঁপে, শসা, পেঁয়াজ, সিম, পুঁইশাক ,ডাটা, শাক, কাকরোল, মিষ্টি কুমড়া, ছুটি।
জুন মাসের বারোমাসি সবজি তালিকা: আদা, ভুট্টা, করোলা, লাল শাক, লাউ, মরঙ্গা, হলুদ, শসা, পেঁয়াজ, গিয়া কলমি, কাকরোল, ডাটা শাক।
জুলাই মাসে বারোমাসি সবজি তালিকা: চিনাবাদাম, আদা, করোলা, লাল শাক, মরিচ, লাউ, ঝিঙ্গা, হলুদ, শসা, পেঁয়াজ, সয়াবিন।
আগস্ট মাসে সবজির তালিকা: মুলা, পটল, পুঁইশাক, বেগুন, টমেটো, ব্রকলি, গাজর, বিটকুট, ক্যাপসিকাম, শসা ঢেঁড়স।
সেপ্টেম্বর মাসের তালিকা অনুযায়ী: লতিরাজ, কচু, লাল শাক, পেঁপে, বেগুন, ঢেঁড়স, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, লাউ, সিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি।
অক্টোবরের বারোমাসি সবজি তালিকা: অক্টোবর মাসে যেসব সবজিগুলো হয় সেগুলোর ভিতরে সবচেয়ে উন্নত হচ্ছে ওলকপি, ব্রকলি, লাল, শাক, পেঁপে, পেয়াজ, করোলা, বেগুন, ঢেঁড়স, চালকুমড়া, গাজর, সিম, লাউ, মরিচ।
নভেম্বর মাসের বারোমাসি সবজি তালিকা: গম মটর মিষ্টি আলু ভুট্টা গোল আলু মাসকালায় চিনাবাদাম, রসুন, ধনিয়া, মরিচ, মিষ্টি, কুমড়া, ফুলকপি, গাজর, তরমুজ, বাঙ্গি।
ডিসেম্বর মাসে সবজি তালিকা: সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে যে সকল সবজি গুলো উত্তোলন করা হয় পারোসি সবজির ভিতরে সেই সবজি গুলো হচ্ছে মুলা ওলকপি, বিট, রসুন, পালং শাক, মিষ্টি কুমড়া, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, টমেটো ,গাজর, সিম, লাউ, মাসকলাই, পটল, বেগুন, ঢেঁড়স চাষ করা হয়ে থাকে।
বারোমাসি সবজি চাষ পদ্ধতি জেনে রাখুন
বারোমাসি সবজি চাষ পদ্ধতি জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে পারবেন এই উপায়গুলো অবলম্বন করে। তাই আপনাদের সামনে এই কার্যকারী উপায় গুলো উপস্থাপন করা হলো, যাতে আপনি খুব সহজেই বাংলা এবং ইংরেজি মাসের যেকোনো সময়ই বুঝতে পারেন যেন কোন সবজি কখন চাষ করতে হবে এবং চাষ পদ্ধতি।
বাংলাদেশের কৃষি মৌসুম হিসেবে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় এক নম্বর হচ্ছে খরিফ ১, খরিফ ২, রবি। আমাদের বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী আবহাওয়া জলবায়ু এবং বিভিন্ন মৌসুমী পরিবর্তনগুলো এই তিনটি উপায়ে হয়ে থাকে। এই ধরনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে চাষাবাদ করলে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এবং উন্নত ফলন পাওয়া যায়।
বৈশাখ মাস: এ মাসে আপনি লাল শাক, পেঁয়াজ, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স, পিস বপন করতে পারবেন এর উপযুক্ত সময়।
সতর্কতা: এ মাসে মিষ্টি কুমড়া কলা ধুতুল ঝিঙ্গা যারা তৈরি করতে পারবে না এবং চারা রোপণ করার উপযুক্ত সময়। পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে এবং পানির সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। খরিক ওয়ান মৌসুমী সবজির বীজ বপন চারা রোপন করতে ডাটা পুঁইশাক পালং শাক বরটি ফসল সংগ্রহ করতে পারবেন। খরিপ টু সবজির বেড ও চারা উৎপাদন করতে পারবেন।
জ্যৈষ্ঠ মাসের সবজি চাষ: জৈষ্ঠ মাসে আপনি বিভিন্ন ধরনের ধান চাষ করতে পারবেন পাট চাষ করতে পারবেন তিতা পাট চাষ করতে পারবেন, ভুট্টা, সয়াবিন, হলুদ, কাঁচা, আদা, ঢেঁড়স, পরবর্তী প্রকৃতি চাষ করতে পারবেন। এ সময় এই সকল চারার উৎপাদন করা যাবে এবং ভালোভাবে ভ্রমণ করার উপযুক্ত সময় মনে করা হয়।
সতর্কতাগুলি: আগে বীজতলা প্রবণকৃতক্ষরিক টু এর শক্তি চারা বহন করতে হবে এবং সেচ ও সার এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ সময় সজিনা সংগ্রহ করতে পারবেন টমেটো রোপন করা যাবে। পোকামাকড় দ্রবণের ব্যবস্থা নিতে হবে প্রয়োজনীয় কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। যারা ভবনের জন্য উপযুক্ত সময় হয়েছে কিনা সেটা দেখতে হবে এবং উপযুক্ত সময় হলেই যারা গোপন করতে হবে।
আষাঢ় মাসে যে সকল চাষ করা যায়: আষাঢ়ে আলু, সোয়াবিন, চিনাবাদাম, তিল প্রকৃতি চাষ করা হয় এ সময় এই প্রকৃতি চাষ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপযুক্ত উপায়ে অবলম্বন করে চারা তৈরি করা হয় এবং চারা প্রস্তুত করে ভ্রমণ করা হয়।
সতর্কতা অবলম্বন: আষাঢ় মাসে প্রচুর পরিমাণে পানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই এ সময় চারা প্রয়োজন মত পরিচর্যা করতে হবে এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবস্থা করতে হবে প্রয়োজনীয় জৈব সার ব্যবহার করা যেতে পারে।
শ্রাবণ মাসের সবজি চাষ: শ্রাবণ মাসে আপনি বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, টমেটো, ইত্যাদি তৈরি করতে পারবেন। এজন আপনাকে প্রথমে বীজতলা তৈরি করতে হবে। এবং বীজতলা প্রস্তুত করার পরে বীজ রোপন করতে হবে।
সতর্কতা: খরিক টু এর সবজি তৈরি করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে এবং পোকামাকড় দমন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সঠিক পর্যায়ে বীজতলা তৈরি করতে হবে এবং নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের কৃষি তথ্য গ্রহণ করতে হবে।
ভাদ্র মাসে কি কি সবজি চাষ করা যায়? ভাদ্র মাসে যে সকল সবজি চাষ করা যায় সেগুলো হচ্ছে, বাঁধাকপি, ফুলকপি ওলকপি টমেটো বেগুন কুমড়া লাভের জমি তৈরি করতে পারবেন।
সর্তকতা: জমি তৈরি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পানি শেষের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জৈব সার ব্যবহার করতে প্রয়োজনীয় অনুপাতে এবং বীজতলা তৈরি করতে হবে বীজ বপন করতে হবে এবং বীজ সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আশ্বিন মাসের সবজি চাষ: আশ্বিন মাসে আপনি রসুন, পেঁয়াজ, আলু, টমেটো, ফুলকপি চাষ করতে পারবেন।
সতর্কতা: এসময় দিনের বেলায় প্রচন্ড পরিমাণে রোদ এবং রাতের বেলায় হালকা ঠান্ডা পড়ে তাই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের যত্ন গ্রহণ করতে হবে আপনার বিভিন্ন সবজি বা ফসল উৎপাদন করার জন্য। চারা তৈরি করতে হবে যারা যত্নভাবে শেষ সার বা রোগ বালাই দমন করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে আপনার যে মাটিতে বা জমিতে চাষ করবেন সেই মাটি বা জমি পরীক্ষা করে নিতে হবে।
কার্তিক মাসের সবজি চাষ: কার্তিক মাসে করলা বাঁধাকপি, ফুলকপি, চাষ করা হয় এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি সরবরাহ করা যায় এবং প্রাকৃতিক গতভাবে বৃষ্টির পানি হয়। তাই সবজি চাষ করার জন্য আপনাকে গোড়া বাধা বা আগাছা পরিষ্কার করতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করার পাশাপাশি কৃষি পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
সতর্কতা: আলু থাকে জমিতে এতে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া প্রত্যেকটি ফসলিটি পরিচর্যা এবং কীটনাশক মতো প্রণের প্রয়োজন। বিভিন্ন রোগ বলাই আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা বা বিভিন্ন কীটনাশক দিতে হবে।
পৌষ মাসে সবজি চাষ: এটা শীতের সবচেয়ে প্রখর সময় এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয় যেমন ফুলকপি বাঁধাকপি ব্রকলি।
সতর্কতা: প্রচন্ড শীতের ভিতরে শীতপ্রধান সবজি গুলোকে চাষ করা হয় এ সময় বিশেষ করে ফুলকপি বাঁধাকপি ঝিঙ্গা বড়ই চাষ করা হয় এই চাষাবাদ করার জন্য আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় প্রচন কুয়াশা পড়ে তার ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় সে সকল ক্ষতি থেকে এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মাঘ মাসে সবজি চাষ: মাঘ মাসে অনেক সবজি চাষ করা হয় এই সবজি গলোর ভিতরে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খরিপ ওয়ানের যে সকল সবজি রয়েছে সেগুলো।
সতর্কতা: আলু, পেঁয়াজ, রসুনের গোড়ায় মাটি তুলতে হবে সেচ দিতে হবে এবং সার প্রদান করত টমেটো এবং টমেটোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গাছ রক্ষার জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে এবং সার শেষ প্রয়োগ করতে হবে গোড়ায় মাটি দিতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যাতে আপনার শীতের কারণে কোন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়।
ফাল্গুন মাসে সবজি চাষ: এ সময় আলু মিষ্টি, আলু এবং বিভিন্ন সবজি চাষ করা প্রয়োজন হয়, ঢেঁড়স, ডাটা, লাল শাক ইত্যাদি।
সতর্কতা: এ সময় শীতের শেষ এবং গ্রীস্মের শুরু হয় তাই আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের সবজি পুষ্টিহীনতা এবং প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি থাকে। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে পুষ্টি উপাদান ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আলু সংরক্ষণ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে 90 দিনের এই প্রজেক্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভাবে পালন করতে হবে।
চৈত্র মাসে কি কি সবজি চাষ হয়: চৈত্র মাস মানে গ্রীষ্মের সময় এসময় বেগুন, টমেটো, মরিচ এর তারা গোপন করে চাষাবাদ করা হয়।
সতর্কতা: এসময় বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করার জন্য আপনাকে পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় জৈব সার ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। জৈব সার বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ফলানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী উপাদান। সময় বীজতলা তৈরি করতে এবং বীজ বপন করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের চারা মূল জমিতে রোপন করতে হবে। এবং রোগ বালাই নাশক বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
উল্লেখিত উপায়গুলি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ১২ মাস বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ব্যবহার করতে পারবেন এবং চাষাবাদ করতে পারবেন। উল্লেখিত বারোমাসি শাকসবজির তালিকা থেকে আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। যে কি ধরনের শাকসবজি চাষ করার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং কোন কোন সময়টা উপযুক্ত বলে বিবেচনা করা হয়। আপনি যদি একজন কৃষক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে এবং এগুলো ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে পারবেন।
শীতকালীন সবজি কি কি জানুন
শীতকালীন সবজি কি কি এ সম্পর্কে আপনাদের সামনে ইতিমধ্যে অনেক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে বিস্তারিত বলা হয়েছে যে কোন সময়ে কোন ধরনের সবজি চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত এবং কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং কি কি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে সে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। কারণ সবজিতে প্রচুর পরিমাণ প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।
আরো পড়ুনঃ রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রসুন নিয়ে বিভিন্ন টিপস
বিভিন্ন গবেষণায় পুষ্টিবিদ্যা গবেষণা করে দেখেছেন যে শীতকালীন যেসব সবজি রয়েছে। এই সবজি গুলোতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বিটাকরণের ম্যাগনেসিয়াম আয়রন ফলিক এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে। উল্লেখিত ভিটামিন গুলো মানুষের শরীরের অত্যন্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করে তাই এ সময়ে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়ার মাধ্যমে আপনি সুস্থ এবং বিভিন্ন পুষ্টির অভাব পূরণ করতে পারবেন।
সুতরাং আপনি যদি না জানেন যে শীতকালীন সবজি চাষের সময় এবং শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা সম্পর্কে তাহলে এই আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিতে পারবেন এবং এখানে বিস্তারিত বলা হয়েছে যে কি উপায় অবলম্বন করলে আপনি ভালো এবং সঠিকভাবে শাকসবজি চাষ করতে পারবেন। তাই আপনি যদি শীতকালীন সবজি কি কি জেনে নিতে চান এবং সে অনুযায়ী ফসল করতে যান তাহলে উপযুক্ত জায়গায় প্রবেশ করেছেন।
বারোমাসি সবজির তালিকা জেনে রোগ মুক্তি
বারোমাসি সবজি তালিকা জেনে রোগ মুক্তি করার যে উপায়গুলো রয়েছে তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। সহজে ভুলতে গেলে বারো মাসে যে সকল সবজি গুলো উৎপাদন করা হয় সেই সবজিগুলো খাওয়ার মাধ্যমে কি কি সমস্যা সমাধান হবে সে সকল বিষয়ে আপনাদের সামনে কিছু তথ্য উপস্থাপন করব যাতে আপনারা সেই সবজিগুলো খাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় ১০ উপকারিতা
বাঁধাকপি ও ফুলকপি: ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন বি ভিটামিন সি ক্যালসিয়াম ফলিক এসিড ও পানি, এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন ফসফরাস পটাশিয়াম ও সালফার। যে মানুষের কিডনি পাথর কলায় ও ক্যান্সার নিরাময়ে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। ইসরা ফুলকপি সম্পূর্ণভাবে চর্বি মুক্ত তাই আপনি বিভিন্ন শরীরের বৃদ্ধি ও বর্ধনে বিশেষ উপকারিতা পাবেন। এছাড়াও বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার রয়েছে যা হাড় শক্ত করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে ও আলসার রোগ থেকে বাঁচায়।
লালশাক ও পালং শাক: এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে ভিটামিন সি আয়রন ও ফলিক এসিড রয়েছে যা আপনার শরীরের আর্থাইটিস অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে এবং হৃদ রোগের সম্ভাবনা কমায় পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
মটরশুটি ও সিম: এতে পশুর পরিমাণে আমিষ রয়েছে এবং রক্তে কোলেস্টল নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, পাকস্থলী ও প্লীহার শক্তি বাড়ায়, লিউকোরিয়াসা মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং অবস্থিত হাত থেকে রক্ষা করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
টমেটো জাতীয় খাদ্য: টমেটো জাতীয় খাদ্য এবং মিষ্টি আলু জাতীয় খাদ্য প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে এবং ভিটামিন সি এর উৎস হিসেবে বিবেচনা করে যা মানবদেহে হাড় ও দাঁতের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগের ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। টমেটোকে অনেকেই intestinal antiseptic বলে থাকে।
গাজর: গাজর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এটি দাঁত এবং চোখের সুরক্ষা দেয় লিভার সুস্থ রাখে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়াও চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসতে পারবে এবং উজ্জ্বলত বৃদ্ধি করে।
ব্রকলি: ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে যা অস্থিতি বিকৃতি সহ বিভিন্ন উপসর্গ থেকে রক্ষা করে এবং মানুষকে সুস্থতা থাকার জন্য সাহায্য করে।
ধনিয়া পাতা: বর্তমানে ধনেপাতা সারা বছর ব্যবহার করা যায় বা পাওয়া যায় কিন্তু প্রধানত শীতকালে এই ধনেপাতার সিজিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধনেপাতা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় এতে বিদ্যমান উপাদান গুলো আপনার ত্বকের পুষ্টি যোগায় চুলের ক্ষয় রোধ করে হাড়ের ভাঙ্গরত করে মুখের ভিতরের নরম অংশকে রক্ষা করে।
শীতকালীন সবজি চাষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা নিয়ে আমরা অনেক তথ্য জেনেছি যে কোন কোন সবজি শীতকালে চাষ করা হয়। আরো জিনিস শীতকালে সবজি চাষের সময় কোন কোন সময়ে কোন ধরনের সবজি চাষ করা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত। কিন্তু এখন আমি আপনাদের সামনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস জানাবো যেগুলো ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
- প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ।
- শীতকালে পানি শেষের পরিমাণ কম রাখা, কারণ শীতকালে আবহাওয়া আদ্রত বেশি তাই পানি শেষর পরিমাণ কম রাখলে শীতের সবজি পানির চাহিদা পূরণ করতে পারবে বেশি।
- পোকামাকড় দমনের জন্য বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে এবং কি কি পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
- প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে হবে যত সম্ভব বেশি করে।
- এবং কীটনাশক ব্যবহার করার পাশাপাশি চিন্তা করতে হবে বেশি পরিমাণ জৈব সার ব্যবহার করার। এতে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় এবং ফসলের বিভিন্ন ফলন বৃদ্ধির কাজে আসে।
উল্লেখিত টিপসগুলো খুব কার্যকারিতা এই টিপস গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ফসলকে একটি উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন। তাই আপনি সাধারণভাবে যে উপায়গুলো অবলম্বন করেন তার পাশাপাশি এই টিপস গুলো ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার ফসলের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে এবং ফসল সতেজ থাকবে এবং বেশিদিন পাবেন।
টবে বারোমাসি সবজি চাষ পদ্ধতি জেনে নিন
তবে বারোমাসি সবজি চাষ পদ্ধতি জানা থাকলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে পারবেন বাসায় বিভিন্ন টপ বা পাত্র ব্যবহার করে। এজন্য আপনাকে উল্লেখিত উপায় গুলি অবলম্বন করতে হবে কারণ চাষ পদ্ধতি সকল ফসলের একই ধরনের না হলে অভিন্ন পরিচর্যা মূলক কাজগুলো একই ধরনের হয়ে থাকে। তাই আপনাকে টবে বারোমাসি সবজি চাষ করার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তা আলোচনা করা হলো।
- প্রথমে আপনি নির্বাচন করবেন যে কি ফসল বা সবজি উৎপাদন করবেন সেই বিষয়টি।
- এরপর আপনাকে বারোমাসি সবজি চাষ করার জন্য একটি সবজি নির্ধারণ করা হয়ে গেলে সেই সবজির চারাটি সংগ্রহ করতে হবে।
- সবজি চারা সংগ্রহ করার পর আপনাকে বীজতলা তৈরি করতে হবে।
- বীজতলা তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় টপ নিতে হবে এবং টবের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের মাটি জৈব সার মিশ্রিত প্রস্তুত করার পর সেই মাটি টবের ভিতরে দিতে হবে।
- তবে মাটি দেয়া হয়ে গেলে আপনি যেই কাজটি বপন করবেন সেই কাজটি টবের ভিতরে রোপন করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পানি দিতে হবে।
- উল্লেখিত উপায়গুলো অবলম্বন করা হয়ে গেলে প্রত্যেকদিন আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এবং নিয়মিত সকাল সন্ধ্যা পানি দিতে হবে।
এভাবে আপনি খুব সহজে বাসাতে যেকোন ধরনের বারোমাসি সবজি চাষ করার জন্য উল্লেখিত প্রক্রিয়াগুলো ব্যবহার করে সবজি চাষ করতে পারবেন বাসার ছাদে অথবা বিভিন্ন জায়গার টপ ব্যবহার করে। এর জন্য আপনার অতিরিক্ত কোন জায়গার প্রয়োজন হবে না শুধু একটি টপকে বীজতলা তৈরি করে নিতে হবে এবং সেই বীজতলা থেকে চাষ করার জন্য বিভিন্ন উপায় যা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো অবমন করতে হবে।
শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা - বারোমাসি সবজির তালিকা নিয়ে শেষ মন্তব্য
শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা জানতে হবে সবজি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার জন্য এবং শীতকালীন সবজি চাষের সময় জানতে হবে শীতকালে কখন কোন ধরনের সবজি চাষ করা হয় এবং কিভাবে চাষ করা হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য। যাতে আপনি খুব সহজেই শীতকালে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি চাষ করতে পারেন এবং এর থেকে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে পারবে।
এছাড়া আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি বারোমাসি সবজি চাষের তালিকা এবং কিভাবে বারো মাসে সবজি চাষ করা হয়। এছাড়াও কি কি সর্তকতা এবং পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত যাতে আপনি খুব সহজেই এখান থেকে বুঝতে পারেন যে কিভাবে আপনাকে সবজি চাষ করতে হবে এবং কখন কোন সবজি চাষ করতে হবে।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url