সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ - সোনালী ব্যাংক শাখা ও লোন পদ্ধতি

সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ সম্পর্কে জানার জন্য যদি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এসে থাকেন তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলটির ভিতরে আপনি জানতে পারবেন সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা সমূহ সোনালী ব্যাংকের মাসিক মুনাফা হার।

সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ

সোনালী ব্যাংকের শাখা কয়টি এবং কি কি কাজের জন্য আপনি সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। সোনালী ব্যাংকের সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে অনেক ফান্ডের সেবা প্রদান করা হয়।

পোস্ট সুচিপত্রঃ সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ - সোনালী ব্যাংক শাখা নিয়ে যা জানবেন

সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত 

সোনালী ব্যাংকের সেবা পর্যায়ক্রমে আপনাদের সামনে আলোচনা করা হবে যাতে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারেন সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ কি? সোনালী ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন যে সুযোগ-সবিধা এবং সেবা সমূহ প্রদান করা হয় তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো নিচে যা আপনার উপকারে আসতে পারে। 

সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ: 

  • সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা কর্চারীদের পেনশন ও অবসর ভাতা প্রদান।
  • সরকারি বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা প্রদান। 
  • ছাত্র এবং ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান। 
  • সামাজিক নিরাপত্তা জড়িত বিভিন্ন ভাতা প্রদান। 
  • সরকারি সঞ্চয়পত্র ক্রয় - বিক্রয়।
  • সরকারি খাদ্যশস্য ক্রয় বিল পরিশোধ। 
  • বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের বিল গ্রহণ। 
  • সরকারি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম সেবা প্রদান। 
  • হজ ও যাকাত ফান্ড এর অর্থ সংগ্রহ এবং সামাজিক জনগণের বিভিন্ন সেবা প্রদান এবং সহযোগিতা করা। 
  • বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। 

নিচে পর্যায়ক্রমে উক্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো যাতে আপনি সেই সেবা সমূহ সম্পর্কে বুঝতে পারেন। একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত করা হয় বিভিন্ন সেবামূলক উপকারী কাজ করার জন্য যাতে মানুষ সে সকল ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় এভাবে পরিচালিত করতে পারে। অনেকেই অবশ্যই ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাংকের সেবা সমূহ সম্পর্কে জানেন।

সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ বিস্তারিত জানতে চান?

সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর বেতন ও ভাতা প্রদান: বাংলাদেশ অনেক ধরনের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে সে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। কাদের কর্মচারী কর্মকর্তাদের বেতন দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করে। সেই লক্ষে সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহের মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন বেতন ও ভাতা প্রদান করার সেবা প্রদান করা হয়। 

আরো পড়ুনঃ ৩টি উপায়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানুন

খুব সহজেই যাতে বেসরকারি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা তাদের বেতন এবং ভাতা সহজেই তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যাংক কর্তৃক সরকারি নির্দেশনায় এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাই এই সকল বাংলাদেশের যে ব্যাংকগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের বিভিন্ন সেবা প্রদান করার জন্য তাই আপনিও সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে উল্লেখিত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। 

সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল-কলজ মাদ্রাসায় বেতন ও ভাতা প্রদান: বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা গুলোতে বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয় বিভিন্ন ব্যাংক রয়েছে যারা এই সেবা প্রদান করে থাকেন। সোনালী ব্যাংকের সেবাসমূহ এই কাজটি করে থাকেন বিভিন্ন স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসায় যে স্কুলের শিক্ষক এবং কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয় বা ভাতা প্রদান করা হয়, তা ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দেওয়া হয়।

ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান: বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এবং ইউনিভার্সিটিগুলোতে অনেক ধরনের উপবৃত্তি এবং বিভিন্ন ধরনের টাকা প্রদান করা হয়, এই কাজগুলো সঠিকভাবে এবং সহজে করার জন্য ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করা হয় এখানে সোনালী ব্যাংকের সেবা গ্রহণ করার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী তাদের উপবৃত্তির টাকা গ্রহণ করতে পারবে। বর্তমানে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপবৃত্তি টাকাগুলো বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দেয়া হয় তার মধ্যে সোনালী ব্যাংক রয়েছে। 

সামাজিক নিরাপত্তা জড়িত ভাতা প্রদান: সমাজের নিরাপত্তা জড়িত বিভিন্ন ভাতা প্রদান করা হয়েছে যেমন অসহায় গরিব এবং ভূমিহীন মানুষ রয়েছে তাদেরকে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান করা হয়, এর মধ্যে রয়েছে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, গ্রামের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতামূলক যে কাজগুলো এবং ভাতাগুলো প্রদান করা হয় তা ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে খুব সহজেই করা যায়। 

সরকারি সঞ্চয়পত্র ক্রয় বিক্রয়: সরকারি বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় কে বিভিন্ন মানুষের মাঝে ও পাবলিকের মাঝে ক্রয় বিক্রয় করে মূল্য পরিশোধ করার জন্য এই ব্যাংকিং সেবা ব্যবস্থা রয়েছে। যদি সরকারি বিভিন্ন সঞ্চয় পত্র ক্রয় করতে চান তাহলে ব্যাংকিং সেবা বা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের যে সুবিধা প্রাপ্ত উপায় রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই সরকারি সঞ্চয়পত্র ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন।

সরকারি খাদ্যশস্য ক্রয় বিল পরিশোধ: সরকারের বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য রয়েছে যেগুলো কম মূল্যে মানুষের কাছে বিতরণ করা হয়। এবং বিভিন্ন ধরনের কোষাগারে খাদ্য রয়েছে যে খাদ্যগুলো বিক্রয় করার পর আপনি ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে সোনালী ব্যাংকের সেবা প্রদান গ্রহণ করতে হলে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে। 

সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের বিল গ্রহণ: অনেক ধরনের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেই প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাজের সাথে জড়িত, সেই কাজগুলো করার পরে আপনি সেই কাজগুলো গ্রহণ করতে বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ ব্যবহার করতে পারবেন। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে সোনালী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। 

সরকারের রাজস্ব আদায় কার্যক্রম: সরকারি রাজস্ব আদায় কার্যক্রমের যে বিষয়টি রয়েছে তা হচ্ছে জমির কর আদায় রাজস্ব কর আদায়, এ ধরনের কর জাতীয় বিভিন্ন সেবা প্রদান এবং জমির খাজনা প্রদান করার জন্য আপনি সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ ব্যবহার করতে পারবেন। এই সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ ব্যবহার করলে আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজস্ব কর এবং বিল পরিশোধ করতে পারবেন। 

হজ ও জাকাত ফাউন্ড এর অর্থ গ্রহণ: হজের সময় হজ এবং বিভিন্ন যাকাত ফিতরা যে টাকা ইসলামিক ভাবে গ্রহণ করা হয়। সেই টাকাগুলো আপনি খুব সহজেই সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন। সরকারি কর্তৃক যে যাকাত ফিতরা বা হজের যে নিয়মকনুন এ সেবা মূলক ব্যবস্থা থেকে আপনি গ্রহণ করে খুব সহজেই অর্থ প্রদান করতে পারবেন। 

ক্ষুদ্র ও বড় ঋণ প্রদান: ক্ষুদ্র থেকে বিভিন্ন বড় ধরনের ঋণ প্রদান করার ব্যবস্থা রয়েছে ব্যাংকগুলোতে আপনি যদি বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করতে চান তাহলে সেই ব্যাংক থেকে গ্রহণ করতে পারেন। সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহের মধ্যে এটি অন্যতম বিভিন্ন অসহ এবং গরিব মানুষকে ক্ষুদ্র মুনাফায় ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের দৈনিক জীবনে মান উন্নত করার জন্য এই ঋণগুলো প্রদান করা হয় যাতে তারা খুব সহজেই সহজে স্বাবলম্বী হতে পারে।

সোনালী ব্যাংকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জেনি নিন 

সোনালী ব্যাংকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো যে কিভাবে সোনালী ব্যাংক এই বর্তমান পর্যায়ে এসেছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। এটি পাকিস্তানের আমল থেকে যাত্রা শুরু করেন, সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির তত্ত্বাবধানে প্রিমিয়াম ব্যাংক নিয়ে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন করতে হয়েছে। 

এর কর্মের গতিশীলতা রক্ষা এবং সেবার বৃদ্ধি করার জন্য ৩ এ জুন ২০০৭ তারিখে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড নামে কোম্পানিটি নিবন্ধন করা হয়। ৫ ই জুন ২০০৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর অনুকূলে ব্যাংকিং লাইসেন্স প্রদান করার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও সোনালী ব্যাংক পিডিএফ এর মাধ্যমে ভেন্ডর এগ্রিমেন্ট সম্পাদনপূর্বক ১৫ই নভেম্বর ২০০৭ সরিক হতে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। 

আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম বিভিন্ন কার্যকরী টিপস

এছাড়াও আরো বেশি সুযোগ-সবিধা এবং জনগণের স্বার্থে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সোনালী ব্যাংকে ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড নামে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনপূর্বক ১৪ ই সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে হতে মার্চেন্ট ব্যাংকিং এর ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২৯ শে জুন ২০১০ সালে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও বগুড়ায় ইসলামী ব্যাংক ইন উইজেটের মাধ্যমে শরিয়া ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তাছড়া কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি দায়িত্ব পালন করা হয়। 

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর শাখা বর্তমানে ১২৩২ দুইটি দেশের বাহিরে এবং বাকি সবগুলো দেশের অভ্যন্তরে অবস্থান করে। ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট তৈরি করা হয়েছে। রাজশাহী চট্টগ্রাম খুলনা বগুড়া ময়মনসিংহ একটি করে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যৌথ মালিকানায় ২০০১সাল থেকে মুক্ত রাজ্যের সোনালী ব্যাংক কার্যক্রম শুরু হয় বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ছয়টি শাখা রয়েছে। 

ব্যাংকটির পরিচালনা পদ্ধতি ব্যাংকটি আটটি সদস্যের একটি পরিচালনা পরিষদের একটি দক্ষ পরিচালনা কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে চেয়ারম্যান জিয়ারুল হাসান সিদ্দিকী, এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আফজাল করিম। বিভিন্ন সময়ে নাম পরিবর্তন করেন সেই সময়গুলো হচ্ছে, ১৯৪৯ সালের ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান, ১৯৭২ সালে এই ব্যাংক সোনালী ব্যাংক নামে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের অধীনে। 

৩ই জুন ২০০৭ সালের নাম পরিবর্তন করে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর নিবন্ধন করা হয়। ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে কোম্পানি আইন অনুযায়ী পুনরায় এই ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে সোনালী ব্যাংক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি নামে পরিস্থিতি দেওয়ার জন্য রাখা হয়। উল্লেখিত তথ্যগুলো উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত। সেবাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে। 

সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র কি জানুন 

সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র কি এটা আপনি না জানা থাকলে জেনেন। সোনালী ব্যাংকের সঞ্চয় পত্র একটি সামাজিক আর্থিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা যে ব্যবস্থায় ব্যবসা চাকরি করতে সক্ষম এবং এমনকি ব্যক্তিগত সরকারি সঞ্চয় কর্মীদের আওতায় মাসিক বা তিন মাস অন্তর অন্তর মুনাফায় দৈনিক কর্মকাণ্ডে সচল রাখতে পারেন সোনালী ব্যাংক এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী। 

ব্যাংকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টাকা-পযসা জমা রাখা বা সঞ্চয় করা এবং এর জন্য যে সঞ্চয় পত্র প্রয়োজন হয় তাকে ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র বলা হয় এটি কিনা বেচা করা যায়। এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় তৈরি করা যায় এবং ভেঙে দেওয়া যায়। এখানে পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য আপনাকে অনেক রকম কাগজ পাতি জমা দিতে হয়। 

আপনি কি জানতে চাই সঞ্চয়পত্র কোথায় পাওয়া যাবে। বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা গুলোর মধ্যে সঞ্চয়পত্র এটি একটি সেবামূলক ব্যবস্থা সোনালী ব্যাংক এর একটি শাখার রয়েছে যে শাখায় সঞ্চয়পত্র পাওয়া যাবে। ডাক বিভাগের পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংক ছাড়া সরকারের সাথে সংযুক্ত সকল ব্যাংক থেকে সঞ্চয় পত্র বিক্রয় করা যায়।

সঞ্চয়পত্রের ক্রয় করলে ১১% পর্যন্ত মুনাফা পেতে পারেন মাসিক। যদি সরকার বর্তমান ৫ থেকে ১০% পর্যন্ত উৎসে আয়কর কেটে রাখবে তখন প্রতিলক্ষ ১ লক্ষ টাকায় ৯১২ মুনাফা পাওয়া যায়। আরো একটি বিষয়ে আমাদের জানা উচিত সঞ্চয়পত্র কেনাবেচা করার জন্য যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাহলে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে কি কি লাগে জানুন।

সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে এটা অবশ্যই আমাদের জানা উচিত, কারণ সঞ্চয় পত্র একটি মূল্যবান জিনিস এটাই বিভিন্ন ধরনের সম্পদ সঞ্চয় করা হয় বা টাকা পয়সা সঞ্চয় করা হয়ে থাকে। সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে গ্রাহক এবং ক্রেতা দুই কপি ছবি লাগে, এক কপি জাতীয় পরিচয় পত্র, এক কপি নমিনের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পূরণকৃত প্রথম পাতার ফর্ম। আরো একটি জিনিস প্রয়োজন হয় সেটি হচ্ছে চেক বইয়ের একটি পাতা যেখানে সঞ্চয়পত্র অ্যামাউন্ট লেখা থাকবে। 

২ লক্ষ টাকার অধিক সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন তবে টিন সার্টিফিকেট লাগবে যা আপনি যে কোন কম্পিউটারের দোকান হতে পারবেন। সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য আপনাকে চেক বইয়ে নিয়ে যেতে হবে সেই চেক বই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা সকল তথ্যগুলো নিয়ে গেলে আপনি খুব সহজেই একটি ব্যাংকিং সেবা থেকে সঞ্চয় পত্র গ্রহণ করতে পারবেন। 

সোনালী ব্যাংক মাসিক মুনাফা কত জানুন 

সোনালী ব্যাংক মাসিক মুনাফা সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন। সোনালী ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করলে আপনাকে মাসিক মুনাফা দিতে হবে এবং আপনি যদি সোনালী ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের অর্থ জমা রাখেন সেই ক্ষেত্রেও আপনাকে সোনালী ব্যাংক কিছু পরিমাণ মুনাফা দিয়ে থাকবে। এবং এই লেনদেনের ক্ষেত্রে যে মনোটি দিবে তার পরিমাণটি কত চোদোন জেনে নেয়া যাক। 

সোনালী ব্যাংক মাসিক মুনাফা কত জানুন

সোনালী ব্যাংকের মাসিক মুনাফা বর্তমানে এক বছরের থেকে তিন বছর পর্যন্ত ৮% হারে ধরা হয়েছে। ৬ মাস থেকে ১ বছরের বর্তমান রেট ৭.৭৫% এবং ৩ মাস থেকে ছয় মাসের মধ্যে এপিটি আর সোনালী ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ হচ্ছে ৭.৫০% এবং নিচে আপনাদেরকে দেওয়া হলো যে ১ লক্ষ টাকায় কত টাকা কত মাসের জন্য মুনাফা কাটবে তার একটি তালিকা।

সোনালী ব্যাংক মাসিক মুনাফা কত জানুন

করতনের পরে যা হয়ঃ

সোনালী ব্যাংক মাসিক মুনাফা কত জানুন

উল্লেখিত তালিকা থেকে আপনি হয়তো বুঝতেই পারছেন যে একটি মানুষ সোনালী ব্যাংক থেকে সেবা গ্রহণ করার পর কি পরিমান মুনাফা দিতে হবে। এবং ১০% করনের পর কত হতে পারে তিন মাসের জন্য ছয় মাসের জন্য ১২ মাসের জন্য এবং পুনর্বাসনের জন্য কত হতে পারে তার একটি লিস্ট আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি তাতে আপনারা খুব সহজেই এটা বুঝতে পারেন। আপনার উল্লেখিত বিষয়গুলো জানার জন্য সরাসরি ব্যাংকে যোগাযোগ করতে পারেন।

সোনালী ব্যাংকের শাখা কয়টি জানুন

সোনালী ব্যাংকের শাখা কয়টি আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন। প্রথমে শুরুর দেখে অনেক কম শাখা ছিল কিন্তু বর্তমানে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের শাখার সংখ্যা ১২৩২ টি। এই ১২৩২ টি শাখার মধ্যে দেশে রয়েছে ১২৩০ এবং দেশের বাইরে কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে রয়েছে দুইটি, মোট ১২৩২ টি সোনালী ব্যাংকের শাখা নিয়ে এই বিশাল ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত মানুষের বিভিন্ন সেবা প্রদানে।

আরো পড়ুনঃ প্রচলিত বিভিন্ন প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আলোচনা 

দেশের অভ্যন্তরে ১২২৯ টি শাখার মধ্যে গ্রাম অঞ্চলে রয়েছে ৬৯৫ টি, এবং বাকি যে ৫৩৫ টি রয়েছে সেগুলো শহর অঞ্চলে রয়েছে। সকল শাখার মধ্যে ৪৫ টি শাখায় এডিট শাখা যার মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। দুটি বৈদেশিক শাখা রয়েছে যা ভারতে অবস্থিত। ব্যাংকের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ১৫ টি ম্যানেজার রয়েছে, ৬৬ টি প্রিন্সিপাল অফিস ও ১৬ টি আঞ্চলিক কার্যালয়, প্রধান কার্যালয় ৪৭ টি বিভাগের মাধ্যমেই সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। 

বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের কমবেশি ২.৪৭ কোটি বিভিন্ন গ্রাহকের হিসাব রয়েছে। প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা ব্যাংকিং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে দক্ষ করার জন্য কর্মরত কার্য পরিচালনা করার ক্ষেত্রে। এর মধ্যে কর্মচার এবং কর্মকর্তার সংখ্যা মোট ১৪১৬৭ জন। কর্মকর্তা রয়েছে ১৭৪০৬ টি কর্মচারীর সংখ্যা রয়েছে ১৪০০০ জন। সকল শ্রেণীতে কর্মগত মোট কর্মচারীর সংখ্যা ২২৪৪৬ জন। 

সোনালী ব্যাংক ই-সেবা কি এবং এর ব্যবহার জানুন 

সোনালী ব্যাংক ই-সেবা কি এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন। সোনালী ব্যাংক হিসেবা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সোনালী ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপস যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আপনি ব্যাংকিং সেবা পেতে পারবেন। এই সেবা গ্রহণ করার জন্য আপনাকে আপনার মোবাইলের প্লে স্টোর থেকে sonali esheba লিখে সার্চ করে আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে নিন। 

সোনালী ব্যাংক ই-সেবা কি এবং এর ব্যবহার জানুন

এই অ্যাপসটি কাজ হচ্ছে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি টাকা লেনদেন করতে পারবেন এবং মোবাইলে থেকে এই অ্যাপসটি ইন্সটল করে আপনি বাংলাদেশি নাগরিক হলে এর সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের ভাতা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন শিক্ষার্থী এবং স্কুল কলেজ মদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন ভাতা গ্রহণের জন্য সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। 

২০২০ সালের ৩ জুন সোনালী ব্যাংক ই সেবা নামে একটি স্মার্টফোন ভিত্তিক অ্যাপস চালু করেন। ব্যাংকিং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার জন্য আপনি ঘরে বসে এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এ সেবা গুলোর মধ্যে রয়েছে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, বিভিন্ন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও কর্মকর্তা সহ ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন উপবৃত্তি ও অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে কাজ করা যায়। 

সোনালী ব্যাংক লোন ও সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট ২০২৩

সোনালী ব্যাংক লোন গ্রহণ করার জন্য আপনাকে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং সে একাউন্ট থেকে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের লোন গ্রহণ করতে পারবেন। সোনালী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করলে কি পরিমাণ মুনাফা কাটবে তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন। সোনালী ব্যাংকের লোন নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করেন। আপনি ইচ্ছা করলে সরাসরি ব্যাংকে যোগাযোগ করে সেখান থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেয়ার মাধ্যমে সেবা এবং লোন গ্রহণ করতে পারেন। 

সোনালী ব্যাংক লোন ও সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট ২০২৩

এছাড়াও অনেকে সোনালী ব্যাংকের লোন চার্ট ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চাই তাদের সামনে এই বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হবে যাতে খুব সহজে একজন মানুষ সোনালী ব্যাংকের লোনের চার্ট গুলো জানতে পারেন। তার জন্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম বিভিন্ন সময় ভিত্তিক কত সময়ের জন্য কত টাকা মুনাফায় এবং নিলে কি ধরনের টাকা পরিশোধ করতে হবে তার বিস্তারিত বিষয়। 

উল্লেখিত এই ছবি থেকে আপনি বুঝতে পারছেন যে একটি ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ গ্রহণ করার জন্য আপনাকে কি পরিমাণ মুনাফা পরিশোধ করতে হবে। সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহের তালিকার মধ্যে এই লোন দেওয়ার সেবাটি অন্যতম সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট থেকে দেখে নিয়ে আপনি সেই তথ্য অনুযায়ী আপনার প্রয়োজনীয় ঋণ গ্রহণ করতে পারেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর পক্ষ থেকে।

সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম ও যোগ্যতা 

সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে সহজেই জেনে নিন। সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে সোনালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে। এছাড়া আপনি সরাসরি সোনালী ব্যাংকে গিয়ে আপনার একাউন্ট তৈরি করে আপনি লোন গ্রহণ করতে পারেন। ঋণ গ্রহণ করার জন্য আপনাকে যেই যোগ্যতা থাকতে হবে তা হলো, 

  • আপনার নুনু তম ১৮ বছর বয়সে হতে এবং বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে। 
  • ঋণ খেলাপি দেউলিয়া ও জড়বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিকে ঋণ প্রদান করা যাবে না। মহিলা উদ্যোক্তাদের কেউ অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। 
  • ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার থেকে 5 কোটি টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে। 
  • ঋণের মালিকানার ধরন বা ব্যবসার ধরন, ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে রেজিস্ট কার্ড অংশ দাড়ি প্রতিষ্ঠান প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি পাবলিক লিমিটেড ব্যতীত যৌথ উদ্যোক্তা। 
  • জামানত দেওয়ার প্রয়োজন হয় অনেক সময় ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সীমার ক্ষেত্রে কোন ধরনের জামানত প্রয়োজন হয় না কিন্তু এর অধিক পরিমাণে হলে ব্যক্তিগত জামানত দিতে হয়। 
  • সুদের হার: সৌরশক্তি সহ সকল মেয়াদী প্রকল্প ঋণ ১৩% চলতি মূলধন বা ট্রেডিং ঋণ ১৩%, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুদের হার পরিবর্তন যোগ এবং নারীদের উদ্যোগের জন্য প্রকল্প ঋণ ১২%। 
  • মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর থেকে এক বছর এবং তিন মাস 6 মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। 
  • ঋণ পরিশোধের পদ্ধতি হলো মেয়াদ প্রকল্প ঋণের ক্ষেত্রে সমান ত্রৈমাত্রিক কিস্তিতে পরিশোধ মুনাফা ও আসল সহকারে।

সোনালী ব্যাংক থেকে আপনি যদি ঋণ গ্রহণ করতে চান তাহলে উল্লেখিত যোগ্যতা এবং নিম্ন নীতিমালা মেনে আপনাকে অবশ্যই ঋণ গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি উক্ত ঋণ গ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অবিশ্বাস্যকর কাজকর্ম করে থাকেন অথবা আপনার বিভিন্ন যোগ্যতা যদি না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন না। তাই ঋণ গ্রহণ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন নিয়ম ফলো করতে হবে এবং ব্যাংকের যে সকল নিয়ম-নীতি রয়েছে সেই নিয়ম নীতি অনুযায়ী আপনাকে ঋণ  গ্রহণ এবং ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

সোনালী ব্যাংকের সর্বশেষ শাখা জেনে নিন 

সোনালী ব্যাংকের সর্বশেষ শাখা জানানো থাকলে জেনে নিন স্মার্ট ব্যাংকিং সেবায় প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে যাত্রা শুরু করেছেন সোনালী ব্যাংক যা ব্যাংকের পিএলসির ১২৩২ তম শাখা। এটি শনিবার ডিসেম্বর মাসের ২৩ তারিখের তাহেরপুর উপজেলার বাগাহাট বাজারের হাজী জয়নাল আবেদীন মার্কেটের নতুন এ শাখা উদ্বোধন করা হয়। এ শাখায় উত্তোলন করেন ব্যাংকের সিইও এন্ড ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আফজাল করিম। 

এবং সেই অনুষ্ঠানের পরিচালনা করা হয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তিনি সকল সোনালী ব্যাংক পিএলসির জেনারেল ম্যানেজার। সুতরাং আপনি যদি এই বিষয়টি না জেনে থাকেন তাহলে আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের সর্বশেষ শাখা কোনটি। এবং এই শাখাটি কখন শুরু করা হয় এবং কি আর এর দ্বারা পরিচালিত হয়। 

উপরে উল্লেখিত সকল তথ্য সম্পর্কে জেনে আপনি অবশ্যই সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা সমূহ এবং বিভিন্ন শাখা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। কারণ সোনালী ব্যাংক অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং মানুষের সেবা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কাদর পাশাপাশি মানুষের অর্থ সহযোগিতা করে থাকে যাতে করে বিভিন্ন ভূমি এবং দরিদ্র মানুষেরা তাদের বাসস্থান এবং শারীরিক সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য টাকা পয়সার অভাবে না পড়ে। 

সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ নিয়ে শেষ মন্তব্য 

সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ এবং সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা সমূহ সম্পর্কে আপনাদের সামনে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিভাবে সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ প্রদান করে থাকেন এবং কত ধরনের সুবিধা দেওয়ার জন্য সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ অনবরত মানুষের কাছে ব্যস্ত থাকে। সামান্যতম ইতিহাস জানানোর চেষ্টা করেছি সোনালী ব্যাংক সম্পর্কে যাতে আপনি সোনালী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠিত বিষয়টি জানতে পারেন। 

সোনালী ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করবেন কিভাবে সে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি এবং কত ঋণ গ্রহণ করলে কি পরিমাণ মুনাফা দিতে হবে তার একটি চার্ট আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। উপস্থাপন করেছি বিভিন্ন অসুবিধার কথা এবং মোবাইলের মাধ্যমে আপনি কিভাবে খুব সহজেই সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ গ্রহণ করবেন তা উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। ইচ্ছা করা যায় সোনালী ব্যাংকের এই তথ্যগুলো জেনে আপনি উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url