হঠাৎ এলার্জি দূর করার ২৭ টি উপায় জেনে নিন
হঠাৎ এলার্জি দূর করার উপায় যদি আপনি না জানেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি থেকে সকল তথ্য জেনে নিতে পারেন। একজন মানুষ বিভিন্ন কারণে এলার্জি সমস্যার সম্মুখীন হয় তাই এ সকল সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো এবং কি কি চর্ম রোগের ক্ষেত্রে কাজ করে।
এই আর্টিকেলের ভিতরে আপনি জানতে পারবেন রক্তে এলার্জি দূর করার উপায়, চর্ম এলার্জি দূর করার উপায়, পায়ের এলার্জি দূর করার উপায়, নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়, এলার্জি দূর করার উপায় ওষুধ ত্বকের এলার্জি দূর করার উপায় হাতের এলার্জি দূর করার উপায় সহ সকল উপায় গুলো জানতে পারবেন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ দেখুন হঠাৎ এলার্জি দূর করার ২৭ টি উপায় জেনে নিন
- হঠাৎ এলার্জি দূর করার উপায় জানুন
- হঠাৎ এলার্জি দূর করার উপায় বিস্তারিত আরো কিছু তথ্য
- এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নিন
- রক্তে এলার্জি দূর করার উপায় জেনে রাখুন
- চর্ম এলার্জি দূর করার উপায় জেনে নিন
- পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় জেনে রাখুন
- এলার্জি চুলকানি দূর করার ওষুধ কি কি জানুন
- নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় দেখে নিন
- এলার্জি দূর করার উপায় ওষুধ ব্যবহার করুন
- ত্বকে এলার্জি দূর করার উপায় জানুন
- হাতের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
- হাতের তালুতে চুলকানি হলে করণীয় কাজ জানুন
- হঠাৎ এলার্জি দূর করার উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য
হঠাৎ এলার্জি দূর করার উপায় জানুন
আপনি যদি হঠাৎ এলার্জি দূর করার উপায় না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে কারণ এলার্জি এমন একটি প্রতিক্রিয়ামূলক সমস্যা যা একজন মানুষের অনেক রকম লক্ষণ দেখা দিতে পারে তাই এলার্জি থেকে বাঁচার জন্য আপনি যেই কাজগুলো করতে পারবেন এবং হঠাৎ বিভিন্ন ধরনের এলার্জি থেকে বাঁচতে পারবেন তা নিচে দেখে নিন।
- টি - ট্রি অয়েল ব্যবহার।
- আপেল সিডার ভিনেগার।
- নারকেলের তেল।
- অ্যালোভেরা জেল।
- ব্রেকিং সোডা।
- বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করে।
- ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে।
- প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে।
- এন্টিহিস্টাজেন ওষুধ সেবন।
- লবণ পানির গাড়-গোল করুন।
হঠাৎ এলার্জি হলে দ্রুত এই এলার্জি থেকে বাঁচার জন্য উল্লেখিত উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন। আর উল্লেখিত উপায় গুলো কিভাবে অবলম্বন করবেন তা আপনাদের সামনে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করা হবে তাই আপনি যদি হঠাৎ এলার্জি হলে কি করবেন এবং ঘরোয়া উপায় বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এর সুবিধা পেতে চান তাহলে আমাদের এই তথ্যগুলো জেনে নিন।
হঠাৎ এলার্জি দূর করার উপায় বিস্তারিত আরো কিছু তথ্য
হঠাৎ এলার্জি দূর করার জন্য এন্টিহিস্টামিন ওষুধ সেবন করতে পারবেন। এবং যেই উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারবেন তা নিচে ধারাবাহিকভাবে দেখে নিন এই উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনার যদি হঠাৎ এলার্জি সমস্যা এবং চুলকানি সহ বিভিন্ন রেস ও ফুলকুড়ির মত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি যে কাজগুলো করতে পারবেন তার মধ্যে অন্যতম এবং সহজ উপায় গুলো এখানে দেখানো হলো।
হঠাৎ এলার্জি দূর করার উপায়ঃ
- এন্টিহিস্টাজেন ওষুধ সেবন: এলার্জির মহা ঔষধ হিসেবে সিট্রিজিন বা লোরাটাডিন ব্যবহার করা যেতে পারে এগুলো দ্রুত এলার্জির লক্ষণ কমাতে বিশেষ ভূমিকা ইয়ারা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
- ঠান্ডা সেক দিন: চুলকানি বা ফোলা ভাব জাতীয় এলার্জির সমস্যা দেখা দিলে আপনি ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে প্রভাবিত স্থানে লাগিয়ে রাখলে এটি কোথাও কমাতে সাহায্য করে।
- ব্যস্ত এলার্জি থেকে দূরে থাকুন: যা থেকে এলার্জি হচ্ছে তার দ্রুত সম্ভব শনাক্ত করে সে সকল বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকুন। যেমন খাবার ধুলো পশুর লোম বা অন্য যে কোন কিছু যাতে আপনার এলার্জি আছে।
- প্রাকৃতিক প্রতিকার ব্যবহার করুন: প্রাকৃতিক বিভিন্ন প্রতিকারমূলক উপায় ব্যবহার করতে পারবেন তার মধ্যে রয়েছে মধু। মধু অল্প পরিমাণ খেলে অনেক সময় এলার্জির প্রভাব কমে।
- হলুদের মিশ্রণ: এলার্জি প্রাথমিক অবস্থায় কমানোর জন্য আপনি দুধের সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন যা আপনার এলার্জির সমস্যা হঠাৎ কমাতে সাহায্য করবে।
- জল পান বৃদ্ধি: শরীরে দূষিত টক্সিন থাকার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয় তাই আপনার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পানি খাওয়ার মাধ্যমে দূষিত টক্সিন বের করে দেয়া যায় এতে এলার্জির সমস্যা কমে।
- বাষ্প নিন: নাক বন্ধ বা সর্দি ধরনের এলার্জি হলে গরম পানির বাষ্প নিন এতে শ্বাস প্রণালী পরিষ্কার হবে এবং এলার্জির সমস্যা থেকে আপনি বাঁচতে পারবেন।
- লবণ পানির গাড় গোল করুন: যদি গলায় চুলকানি বা অস্তিত্ব হয় তাহলে হালকা গরম পানিতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গারগল করুন এটি গলা পরিষ্কার করবে এবং এলার্জি থেকে সহজেই বাঁচাবে।
- শসার পেস্ট বা গোল্ড ক্রিম ব্যবহার করুন: ত্বকে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হলে শসার পেস্ট বা ঠান্ডা গোল্ড ক্রিম ব্যবহার করা যায় এটি ত্বকের আরাম এবং প্রদাহ কমায়।
- খাবারের মাধ্যমে প্রতিরোধ যেমন পেঁয়াজ ও রসুন: এগুলো এন্টিহিস্টামিন জাতীয় উপাদান যা আপনার এলার্জি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ: ভিটামিন সি মানুষের এলার্জি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে তাই আপনি প্রচুর পরিমাণ লেবু কমলালেবু কাঁচা আম এবং যেসকল উপাদানে ভিটামিন সি এর উৎস রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করুন। যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করবে এবং এলার্জি প্রতিক্রিয়া কমাবে।
- ঘর পরিষ্কার রাখুন: অনেকে দেখা যায় ঘরে অনেক দিনের ময়লা এবং ছত্রাক জমে থাকার কারণে ঘরে প্রবেশ করলে হঠাৎ এলার্জি সমস্যা কাশি এবং হাঁচি সৃষ্টি হয়। তাই আপনি নিয়মিত আপনার ঘর পরিষ্কার করুন এবং বালিশ ও বিশ্বনাথ চাদর সহ সকল কিছু পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন রাখুন।
- তুলসী পাতার রস পান করুন: তুলসী পাতা এন্টি ইনমেন্টার এবং এন্টি এলার্জিক উপাদান সমৃদ্ধ যা গরম পানিতে ফুটিয়ে পান করলে এলার্জি কমে।
- ব্রেকিং সোডা পেস্ট: তোকে এলার্জি তে ব্রেকিং সোডা ও পানির পেস্ট লাগিয়ে দেখুন এটি প্রদাহ কমাবে এবং এলার্জি আরাম দেবে।
- সঠিক পোশাক পড়ুন: এলার্জি থাকলে আর শার্ট বা সিনথেটিক কাপড় এড়িয়ে চলুন সুতি আরামদায়ক কাপড় পড়ার চেষ্টা করুন এতে এলার্জি হঠাৎ এলার্জির হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
- জিংক সমৃদ্ধ খাবার: জিংক সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত এটি শরীরের ইমিউনিয়ন সিস্টেম উন্নত করে এবং ডায়েটে বাদাম বীজ ও ডিম সহ মাছ যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
- আদা ও মধুর মিশ্রিত পান করা: হঠাৎ এলার্জি দূর করার উপায় হিসেবে আপনি আদা ও মধুর তৈরি চা শরীরের প্রদাহ কমানোর জন্য খেতে পারেন এটি বিশেষ করে নাকের এলার্জি বা সর্দি কমাতে সাহায্য করে।
- ব্যায়াম ও যোগ ব্যায়ম: নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগ ব্যায়াম করার মাধ্যমে ইউনিয়ন সিস্টেম শক্তিশালী হয় যার ফলে শ্বাসকষ্ট এবং প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ বা এলার্জি সমস্যা দূর হয়।
- নারিকেল তেলের ব্যবহার: ত্বকে চুলকানি বা রসের সরাসরি বিশুদ্ধ নারকেল তেল লাগাতে পারেন এটি ম মশ্চারাইজিং করে এবং চুলকানির হাত থেকে রক্ষা করে।
- আপাতন কালীন মেডিকেল কিট রাখুন: যদি আপনার জানা থাকে এই ধরনের এলার্জির গুরুতর ওষুধ তাহলে ব্যবহার করতে পারেন এছাড়া এন্ডোনালিন অটো ইঞ্জেক্টর (Epipen) বা অন্য জরুরী ওষুধ ব্যবহার করুন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
- টি ট্রি অয়েল: এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দুর্দান্ত উপকারী এটি অয়েল এটি ত্বকের এলার্জিতে খুব সহায়ক। এতে রয়েছে এন্টি মাইক্রোবিয়াল এবং এন্টি আইফ্লেমেন্টর বৈশিষ্ট্য যা ত্বকে এলার্জি থেকে মুক্তি দেয়। এর প্রভাবে লালচে ভাব সহ চুলকানি থেকে বাঁচা যায়।
- আপেল সিডার ভিনেগার: ওজন হ্রাস এবং হজম জনিত সমস্যা দ্রুত করতেই যে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহৃত হয় তা না এটি ত্বকের ক্ষেত্রে দারুন কার্যকর এটি অ্যাসিটিক এসিড যা ত্বকের চুলকানি এবং এলার্জির প্রভাব কমিয়ে দেয় এবং সংবেদনশীলতা দূর করে।
- ব্যবহার বিধি: এক কাপ গরম পানিতে এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন এরপর তোলা দিয়ে চুল তো স্থানে ভালোভাবে লাগান কয়েক দিন ব্যবহার করলে এলার্জির সমস্যা কমে যাবে এবং মুক্তি পেয়ে যাবেন।
- নারিকেলের তেল ব্যবহারের উপায় একটি বাটিতে সামান্য নারকেল তেল নিয়ে ৫ সেকেন্ড গরম গরম তারপর এলার্জির লক্ষণ আছে সেইসব জায়গায় কলম তেলটি প্রয়োগ করুন একদল ২ ঘন্টা রেখে দিন এভাবে ২ - ৩ ঘণ্টা পরপর তেল দিয়ে মালিশ করলে আপনার সমস্যা সমাধান হবে।
হঠাৎ এলার্জি হলে যে উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে তার বিস্তারিত বিষয় গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি এই উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এলার্জি সহজেই সাথে থেকে রেহাই পাবেন। এছাড়াও কোন এলার্জি থেকে বাঁচার জন্য কি ধরনের উপায় অবলম্বন করতে হবে তাও আপনাদেরকে এই পোস্টে জানানো হবে জানার জন্য পোস্টটি পড়তে থাকুন।
এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নিন
এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে অন্যতম যে উপায়গুলো রয়েছে তা আপনাদেরকে জানাবো। একজন মানুষ সতর্কতা অবলম্বন করলে সবচাইতে বেশি এলার্জি সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে। আর এই উপায়গুলো ইতিমধ্যে আপনাদেরকে জানানো হয়েছে সেই উপায়গুলো আপনি বিভিন্ন ঘরোয়া টেকনিক অবলম্বন করে ব্যবহার করতে পারবেন। এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো দেখুন।
- শীতকালে পর্যাপ্ত গরম পাপড় পড়ার চেষ্টা করতে হবে এবং বাইরের বাতাস যেন শরীরে প্রবেশ না করে জন্য মাক্স ব্যবহার করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। এই খাবারগুলোর মধ্যে কমলালেবু মালট স্ট্রবেরি জাম্বুরা কাঁচা মরিচ পেয়ারা ইত্যাদি তাজা ফল এবং শাকসবজি রয়েছে।
- হাসি কাশি নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আপনি একটি ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন নাজাল ড্রপ।
- এক গ্লাস গরম পানিতে দুই চামচ আপেল ভিনেগার ও সামান্য মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
- দুই টেবিল চামচ খাঁটি মতো এক কাপ পানিতে মিশিয়ে এক থেকে দুইবার খেতে পারবেন।
- আদা চা বানিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করতে পারবেন এতে এলার্জি সমস্যা দূর হয়। এছাড়া বিভিন্ন হারবাল চার রয়েছে সেগুলো এলার্জির জন্য কাজ করে।
- নিম পাতা: নিমপাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে চান করুন এতে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমে কারণ নিম পাতায় রয়েছি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যায় এলার্জি কমায়।
- তুলসী পাতা: ৪-৫ থেকে ছয়টি তাজা তুলসী পাতা চিবি খাওয়া অথবা গরম পানিতে ফুটিয়ে তুলসী চা তৈরি করে খেতে পারেন এতে তুলসী এলার্জির উপশ্রম কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
হঠাৎ এলার্জি হলে এবং এলার্জি হলে যেই ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করতে হবে তা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি আশা করি এই উপায়গুলো ব্যবহার করে আপনার এলার্জি সমস্যা কি কন্ট্রোলে রাখতে পারবেন এবং চিরতরে এই সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। সুস্থ থাকার জন্য মানুষকে অনেক উপায় অবলম্বন করতে হয় তাই আপনিও যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে এলার্জি সমস্যা থেকে বাঁচতে এই উপায়গুলো অবলম্বন করুন।
রক্তে এলার্জি দূর করার উপায় জেনে রাখুন
আপনি যদি রক্তে এলার্জি দূর করার উপায় না জেনে থাকেন তাহলে এই উপায়গুলো দেখে নিতে পারে নিচে রক্তে এলার্জি দূর করার যে ঘরোয়া এবং ডাক্তারি উপায় রয়েছে তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হলো যা থেকে খুব সহজেই আপনি উপকারিতা পাবেন বলে আশা করা যায়। রক্তে এলার্জি বা রক্তে পাওয়া ইউসিনোফিল যা রক্তের এলার্জি সৃষ্টি করে এবং রক্ত কোষের মত লোহিত শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদন করে।
রক্তে এলার্জি দূর করার উপায়ঃ
- কোয়ারসেটিন সমৃদ্ধ খাবার: কোয়ার সেটিং হলো একটি প্রাকৃতিক যৌগ যা বিভিন্ন ফল ও সবজিতে পাওয়া যায় যা শরীরের প্রদাহ বিরোধী এবং এন্টিহিস্টামিন বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এই যেমন ধরুন আপেল পেঁয়াজ বেরি স্ট্যাটাস ফলের মতোয়ার সেটিং সমৃদ্ধ খাবার গুলি আপনার ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করা মাস্ট কোষগুলকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে এর জন্য রক্তে এলার্জি কমে।
- হলুদ এবং মধু: হলুদ একটি ওষুধে গুনাগুন সমৃদ্ধ উপাদান এবং এর সাথে মধু যোগ করার ফলে এর দ্বিগুণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। হলুদ এটি প্রথা বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত মসলা তবে এটি শক্তিশালী মিশ্রণ মধুর সাথে বেশি কাজ করে। হলুদের রয়েছে কারকিউমিন প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন যা মধু প্রশান্তিদায়ক প্রদাহ দেই। এর জন্য এক চামচ হলুদের গুড়া এক টেবিল চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করুন যা আপনি রক্তে এলার্জি দূর করতে ভূমিকা রাখবে।
- প্রবায়োটিক্স সমৃদ্ধ খাবার: এই খাবারগুলো আপনার শরীরের রক্তের দূষিত পদার্থ গুলো বের করে দিতে সাহায্য করে। যেমন দই কেফির সুরক্রট এবং সিএমসি খাওয়ার মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর অন্তের মাইক্রোবায়োম বজায় রাখা যায় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এর ফলে এলার্জি প্রতিক্রিয়া কমে। প্রবায়োটিক গলি একটি সুষম প্রতিরোধ ক্ষমতা সমর্থন করে যা প্রদাহ এবং সামগ্রিক সমস্যা দূর করে।
- আদা চা: আধার মধ্যে প্রধানবিরোধী এন্টিহিস্টামিন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এলার্জির প্রতিক্রিয়া দূর করে। প্রায় ১০ মিনিটের জন্য জলে তাজা আদার টুকরা সিদ্ধ করে আদা চা তৈরি করুন অতিরিক্ত স্বাদ এবং প্রশান্তের জন্য মধু যোগ করতে পারেন। এই উপায়ে নিয়মিত খাবার মাধ্যমে রক্তের এলার্জির লক্ষণ গুলো পরিচালনা করতে সাহায্য করে এবং এই সমস্যা থেকে বাঁচা দেয়।
- স্থায়ী মধু ব্যবহার: পরিবেশগত এলার্জির বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে স্থানীয় কাঁচা মধু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসক। তন্ত্রটি যেতে পাওয়া অল্প পরিমাণ পরাগ আপনার শরীরকে সময়ের সাথে সাথে এলার্জেনের প্রতি কম সংবেদনশীল হতে সাহায্য করে।
- ইপসম সল্ট বাথ: এটি হলো ইপসাম সল্ট স্থান শিথিল করার প্রস্তাব দেয় যা সম্ভাব্য প্রদাহমায় বিরক্তিকর ত্বকের জ্বালাপোড়া উপশম করে। গরম চাঁদের জলে এটি লবণ দ্রবীভূত করুন এবং ১৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এই প্রতিকার রক্তের এলার্জির সাথে যুক্ত ত্বক সম্পর্কিত উপসর্গগুলো উপশম করতে ভূমিকা রাখে।
- অ্যালোভেরা জেল এর উপকারিতা: রক্তে এলার্জি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল অত্যান্ত উপকারী এতে এন্ট্রি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং শীতল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এলার্জি প্রতিক্রিয়া কারণ এবং বিভিন্ন জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি মুক্তি দেয়। এই উপকারিতা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের তাজা অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করুন।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন সি মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রচুর পরিমাণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করার শক্তি, যা আপনার রক্তে এলার্জিকে দূর করতে সাহায্য করে।
- স্যালাইন দিয়ে নাক ধুয়ে ফেলুন: রক্তে এলার্জির কারণে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া শ্বাসকষ্টের উপশক্ষ দেখা দেয় তাছাড়া স্যালাইন অনু নাসিক ধোঁয়া অনুনাসিক প্যাকেজ থেকে বিরক্তিকর এবং এলার জেল গুল পরিষ্কার করে স্বস্তি পতন করে, উদ্দেশ্যে একটি জীবাণুমুক্ত স্যালাইন দ্রবণ এবং একটি নেটি পাত্র তৈরি ব্যবহার করুন।
- নেভেল ডার এসেনসিয়াল অয়েল: রক্তে এলার্জি দূর করার জন্য এই নেভেলটার অপরিহার্য একটি শক্তিশালী তেল। এটি আপনার বিভিন্ন প্রদাহ এবং ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করবে। ক্যারিয়ার তেলের সাথে কয়েক ফোটা ল্যাভেন্ডার তেল যোগ করতে পারেন এছাড়া পাতলা নারিকেল তেল যোগ করতে পারেন যাতে আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়া কমানোর পাশাপাশি রক্তে এলার্জি দূর করার জন্য ভূমিকা রাখবে।
রক্তে এলার্জি দূর করার উপায় গুলো আপনি ইতিমধ্যেই জেনেছেন তাই আপনার যদি রক্তে এলার্জি থাকে তাহলে এই উল্লেখিত ঘরোয়া প্রতিকার করতে ব্যবহার করতে পারবেন। রক্তে এলার্জি দূর করার জন্য আপনাকে উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়মিত এবং সঠিক উপায়ে অবলম্বন করতে হবে তাহলে অবশ্যই রক্তে এলার্জি দূর করার জন্য আপনাকে আর অন্য কোন উপায় অবলম্বন করতে হবে না এই উপায় গুলোতেই আপনার কাজ হবে।
রক্তে এলার্জি দূর করার উপায় নিয়ে আরো তথ্য দেখুন
রক্তে এলার্জির লক্ষণ গুলো আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই লক্ষণ গুলো দেখতে পারেন। রক্তে এলার্জির লক্ষণ অত্যন্ত সুস্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে যেমন কিছু খাবারের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই লক্ষ্যগুলো যা ত্বক শ্বাসকষ্ট হজমতন্ত্র এবং স্নায়ুকে প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে চুলকানি ফুসকুড়ি লাল চাকা চাকা দাগ এবং বিভিন্ন ফোলা ভাব সহ আর অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যা থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার রক্তে এলার্জি রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ কালমেঘ পাতার ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
- রক্তে এলার্জির লক্ষণ অতিরিক্ত বিল্ডিং বা রক্তপাত।
- এলার্জির কারণে আপনার শরীরে চর্ম রোগ ফুসকুড়ি ফাসফাস এলার্জির ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে এবং চুলকানি অনুভূত হতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট সমস্যা দেখা দিতে পারে রক্তে এলার্জির কারণে শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসনালী সংকুচিত হতে পারে যা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের কারণ।
- এলার্জির জন্য শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমস্যা দেখাতে পারে যেমন পেটের সমস্যা দেখাতে ডায়রিয়া এবং পেট ব্যথা ও বমি ভাব।
এ লক্ষণ গুলো দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার রক্তে এলার্জির উপস্থিতি দেখা গেছে তাই আপনাকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে যাতে আপনি এই সমস্যাগুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন এবং এই সমস্যা যেন আপনাকে অনেক বেশি দিন বয়ে নিয়ে না বেড়াতে হয় তার জন্য আপনি বিভিন্ন উপায় এবং পদক্ষেপ অবলম্বন করে এখান থেকে বাঁচতে পারবেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন রক্তে এলার্জির লক্ষণ গুলো কেমন।
চর্ম এলার্জি দূর করার উপায় জেনে নিন
আপনি যদি চর্ম এলার্জি দূর করার উপায় না জানেন এবং এই সমস্যায় অনেকদিন যাবৎ বিভিন্ন জ্বালা সহ্য করে থাকেন তাহলে অবশ্যই চর্ম এলার্জি দূর করার উপায় গুলো দেখুন এবং এই উপায়গুলো থেকে আপনি চর্ম এলার্জি দূর করতে পারবেন। এই চর্ম এলার্জি দূর করার জন্য আপনাকে কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। চল এলার্জি বা ত্বকের এলার্জি সাধারণত চুলকানি লালচে ফোলা বা রেশ আকারে দেখা দেয়।
- এর জন্য আপনি ঠান্ডা সেক দিন, যাতে আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় বা আইসপক ব্যবহার করে এটি চুলকানি ও প্রদাহ কমাতে ভূমিকা রাখে।
- অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন, তাজা অ্যালোভেরা পাতা কেটে তার ভেতরের জেল সংগ্রহ করুন এবং সরাসরি ত্বকে লাগানো একট ত্বকের ঠান্ডা রাখে এবং পুরো দাহ কমায়।
- নারিকেলের তেল ব্যবহার করতে হবে, বিশুদ্ধ নারকেল তেল আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে অল্প পরিমাণ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে আপনার চর্ম এলার্জি দূর হয়।
- কয়েকটি নিমপাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই নিম দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন এবং নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং ইনক্রিমেন্ট তোরে বৈশিষ্ট্য আপনার জন্ম এলার্জি দূর করতে সাহায্য করবে।
- তুলসী পাতা বেটে রস বের করে ত্বকের ক্ষত স্থানে লাগাতে পারেন এটি চর্ম এলার্জি দূর করতে পারবে।
- ওটমিল বাথ এক কাপ গুড়ো গরম পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে আপনার ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি দূর হবে যা চর্ম এলার্জি দূর করার উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- সমান পরিমাণ লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে চর্ম এলার্জি সহজেই দূর হয় এবং ত্বকের সংক্রমণ কমে যায়।
- হালকা সাবান ও মশ্চারাইজ ব্যবহার করুন এতে জীবাণুমুক্ত হবে এবং রাসায়নিক মুক্ত হালকা সাবান মশ্চারাইজ করার ফলে আপনার ত্বকের আদ্রতা রক্ষা পাবে।
পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় জেনে রাখুন
আপনি যদি পায়ে এলার্জি দূর করার উপায় জানতে চান তাহলে এই উপায় গুলো দেখে নিন কারণ এখানে পায়ের চুলকানি এবং পায়ের এলার্জি সম্পর্কিত বিষয় উপস্থাপন করা হবে কিভাবে বুঝবেন এলার্জি হয়েছে পায়ে তাও জানতে পারবেন এই তথ্যগুলো থেকে যে আপনার পায়ের এলার্জি দূর করার উপায় হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তাহলে চলুন জেনে নিই পায়ের এলার্জি দূর করার সেই কার্যকরী উপায় গুলো কি লক্ষণ ও প্রতিকার।
কিভাবে পায়ের চুলকানি বন্ধ করবেন জানুন:
- পায়ের চুলকানি দূর করার জন্য আপনাকে এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে।
- এন্টি ফাংগাল, স্প্রে, পাউডার এবং মেডিকেটেড ক্রিম পায়ের প্রয়োগ করা হলে আপনি ছত্রাকের এল লেটের পায়ের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবেন যা পায়ের এলার্জি দূর করে।
- হাইড্রোকর্টিসন এবং অন্যান্য টপিকাল স্টেস্টেট ক্রিম যা মলম হিসেবে ব্যবহৃত হয় ত্বকে প্রয়োগ করলে চুলকানি কমে যায়।
- আরো একটি পায়ের চুলকানির দূর করার জন্য উপায় হচ্ছে পেট্রোলিয়াম জেলির মতো ইমোলিয়েন্ট মশ্চারাইজার অতিরিক্ত হাইড্রেট করতে সাহায্য করে যা ত্বক শুষ্ক রাখে এবং চুলকানি কমায়।
- এন্টি ডিপ্রেশেন্ট ও ইমিউনোস প্রেসেন্ট এর মত ওষুধ গুলি কিছু ব্যক্তির দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি কে কমাতে ভূমিকা রাখে যখন অন্যান্য চিকিৎসা ব্যর্থ হয়।
- ত্বকের জ্বালাপোড়া এলার্জেন বা শুষ্ক ত্বকের অবস্থার মতো টিবার গুলি সনাক্ত করা এবং এড়িয়ে যাওয়া পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধের সহায়ক হয়।
- কোল্ড কম্প্রেস, আইপ্যাক এবং ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখা চুলকানির ত্বকের তাৎক্ষণিক প্রশমিত করে যা পায়ের চুলকানি কমাতে ভূমিকা রাখে।
- কল অয়েল ডাল অটমাল দিয়ে গোসল করা, গোসলের পর পুরো ইমোলিয়েন্ট মশ্চারাইজ ক্রিম লাগানো যা ত্বক শুষ্ক রাখ এবং হাইড্রেট করে।
- মেন্থল, কর্পূর বা ইউক্যালিপটাস যুক্ত প্রাকৃতিক পণ্য চুলকানির ত্বকে শীতল অনুভূতি দেয়।
- অত্যাধিক গরম ঝরনা বা চান কঠোর সাবান বা স্ক্যানিং এড়িয়ে চলুন যা আপনার ত্বকে আরো শুষ্ক এবং ক্ষতিকর দিকে নিয়ে যাবে।
- পায়ের চুলকানির লক্ষণ: চামড়া আছড়ে পুলক তগিদ, লাল দাগ বা ফুলকুড়ি, ত্বকের ফোসকা, পায়ের পাতা শুকানো বা আঁশযুক্ত জায়গা, গোড়ালি চারপাশে ফুলে যাওয়া, দৃশ্যমান জ্বালা এবং লাল ভাব, ত্বক কোন দৃশ্যমান পরিবর্তন নেই, রাতে চুলকানি বেড়ে যায়।
- কি কারণে পায়ে চুলকানি হয় এটা আমাদের জানা উচিত। তাই ছোটখাটো পায়ের চুলকানি নিয়ে বিভিন্ন টিপস উপস্থাপন করলাম যা ছোটখাটো ত্বকের অবস্থা এবং ক্ষতিকর চিকিৎসার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। ক্রিয়াবিদ প বা খেলোয়াড়রা বিভিন্ন ধরনের জায়গায় তাদেরকে বিভিন্ন কাজ করতে হয় এদের বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে ছত্রাকের সংক্রমণ সৃষ্টি হয়।
- একজিমা যাকে ডার্মাটাইটিক্স বলা হয়, দীর্ঘদিন প্রদাহ জনক তন্ত্রের অবস্থা যা ত্বকে অত্যন্ত শুষ্ক এবং চুলকানিতে বাধা না দিয়ে চুলকানির সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে আপনার শরীরের পা, হাত, কনের ভেতর এবং হাঁটুর পিছনে প্রভাবিত হয়।
- এছাড়াও সোরিয়াসিস যা অটোইমিউন ডিসঅর্ডার ত্বকের কোষের বৃদ্ধিতে ত্বরান্বিত করে যার ফলে ত্বকের আঁশ দিয়ে আচ্ছাদিত ত্বকের মোটা দাগের কারণ হয়। এর ফলে মাথা, ত্বক, হাঁটু কোন পিঠের নিচে মুখ এবং পায়ে দেখা যায় বিভিন্ন চুলকানির সমস্যা।
- বাগ কামড়: মশা মাছি এবং অন্যান্য পোকামাকড়ের কামড় থেকে এই প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে যাদের শরীরের রাসায়নিক পদার্থ আপনার শরীরে এসে হিস্টামিন নির্গত হয় যার ফলে চুলকানি এবং বিভিন্ন জ্বালাপোড়া সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- এছাড়াও শুষ্ক ত্বক, স্ক্যাবিস, এলার্জিক কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস, কিডনির রোগ এ চুলকানির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি সমস্যা দেখা দেয়।
- থাইরয়েড সমস্যা যা হাত পা এবং বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে এলার্জি জড়িত, থাইরয়েড গ্রন্থিস্থভাবে শুষ্ক ফেলি চুলকানি ত্বকের মধ্যে লক্ষণ গুলি প্রকাশ করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কিছু গর্ভবতী মহিলা ইন হেপাটাইটিস ক্লোরেস্টস নামকৃত অবস্থার বিকাশ ঘটে যার ফলে তীব্র চুলকালে হয়। এছাড়া ডায়াবেটিস থাকলে এই সমস্যা দেখা দেয় ক্যান্সারের সমস্যা থাকলে দেখা দেয় বিরল ক্ষেত্রে তারা শরীরে তীব্র অত্যন্ত চুলকানি নিউ কে মিয়া বা লিমাস ফার মতো অভ্যন্তরীণ ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। সুতরাং আপনি যদি পায়ের চুলকানির লক্ষণ বুঝার উপায় এবং প্রতিকার জানতে চান তাহলে এই তথ্যগুলি আপনার জন্য যথেষ্ট।
এলার্জি চুলকানি দূর করার ওষুধ কি কি জানুন
এলার্জি চুলকানি দূর করার ওষুধ গুলো আমাদের জানা উচিত কারণ হঠাৎ এলার্জি চুলকানি সৃষ্টি হলে সেই এলার্জি থেকে চিরতরে মুক্ত না পেলেও হঠাৎ এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য যে উপায়গুলো আপনি অবলম্বন করতে হবেন তা জানা থাকলে খুব সহজেই এলার্জি চুলকানি দূর করার ওষুধ ব্যবহার করে এই সমস্যা রোধ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না
এলার্জি চুলকানি দূর করার ওষুধ:
- হিস্টাকাইন্ড ১২০ এমজি ট্যাবলেট। (Histakind)
- গ্লেনফাইল ১২০ এমজি ট্যাবলেট। (Glenfine)
- এলারনেক্স ১২০ এমজি ট্যাবলেট। (Alernex)
- নেসিভিয়ন এলার্জি ১২০ এমজি ট্যাবলেট (Nasivion)
- সিটিজেন দিন একবার। (Citirizine)
- লোরাটাডিন(Loratsdine) যা ঘুমের সমস্যা না করে চুলকানি কমায়।
- ডাইফেনহাইড্রামিন (diphenhydramine)
- এন্টিহিস্টামিন ক্রিম যেমন ফেনিস্ল জেল(fenistil gel)
- হাইড্রোকর্টিশন ক্রিম(Hydroxone cream)
- ক্যালামাইন লোশন(Calamine lotion)
- ক্লটিমাজল (clotrimazole)
- মাইকোনাজল (Miconazole)
- একজিমার কারণে হলে ট্রাইকোলিমাস (tricolimus)
- মৌখিক স্টেরয়েড যা ডাক্তারি পরামর্শ মতে পেডলিসোলন(prednisolone)
- এন্টি স্কিম মেন্থল বা ক্যাম্পার (menthol and camphor cream)
উল্লেখিত ওষুধ ব্যবহার করে আপনি এলার্জির বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এই ওষুধ গুলো ব্যবহার করে আরাম পেতে পারেন। ওষুধ সেবনের পূর্বে ত্বকের অবস্থা বা এলার্জির ধরন বুঝতে হবে যার ফলে আপনাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করতে হবে। তাদের সঠিক পরামর্শ আপনার এই চুলকানির সমস্যা চিরতরে মুক্তি করার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় দেখে নিন
নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় আপনার যদি না জানা থাকে তাহলে দেখে নিতে পারেন এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে নাকের এলার্জি দূর করার উপায়। সাধারণত নাকের এলার্জি থাকলে সর্দি এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপসর্গ দেখা যায়। এই নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন উপায়।
- নাকের স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
- স্যালাইন সলিউশন দিয়ে নাক পরিষ্কার করুন।
- যে খাবারগুলোতে আছি তা থেকে বিরত থাকুন।
- বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহ করে ব্যবহার করা।
- ঘর পর্দা বিছানার চাদর সহ বালিশ সকল কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
- বাইরে বের হলে মাক্স ব্যবহার বা নাক মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
- সঠিক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আশা করি এই উপায়গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই নাকের এলার্জি দূর করতে পারবেন এবং এছাড়াও আপনাকে একটি বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে যে আপনি যদি ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে উপকৃত না হন তাহলে আপনাকে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং সেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করে এবং ওষুধ গ্রহণ করতে হবে নিজে নিজে কোন ধরনের চিকিৎসা বা চেকআপ ছাড়া ওষুধ কিনে ব্যবহার করা যাবে না।
এলার্জি দূর করার উপায় ওষুধ ব্যবহার করুন
এলার্জি দূর করার উপায় ওষুধ ব্যবহার করে আপনি খুবতে এলার্জি থেকে রক্ষা করে। একজন মানুষ প্রথমে এলার্জির সমস্যা বুঝতে পারলে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে সেই উপায় গুলো অবলম্বন করে সঠিক ফল পাওয়া যায় এবং এলার্জি দূর করে নিজেকে সুস্থ রাখা যায়। আপনি যদি এলার্জি দূর করার ওষুধ খেতে তাহলে উপরে যে ওষুধ গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে পারে।
এলার্জি দূর করার উপায় গুলো যা আপনার উপকারে আসবে সেই ধরনের উপায় গুলো এই পোষ্টি আলোচনা করেছি এছাড়া বিভিন্ন ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী যে ওষুধগুলো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাদের রোগীদেরকে সেই ওষুধগুলো এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনি যদি এলার্জি দূর করার উপায় ও ওষুধ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি অবশ্যই আপনার উপকারে আসবে।
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ১৮ টি গুনাগুণ ও টিপস
এলার্জি দূর করার জন্য মানুষ অনেক ধরনের উপায় এবং ওষুধ ব্যবহার করে। তবে এলার্জি দূর করার জন্য প্রথমে আপনাকে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে খাওয়ার নির্বাচন করতে হবে যে কোন ধরনের খাবারে আপনার এলার্জি রয়েছে। সেই খাবারগুলোর একটি তালিকা করে সেই খাবারগুলো খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। পাশাপাশি কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম যা মেনে চললে এলার্জি সমস্যা দূর হয়।
ত্বকে এলার্জি দূর করার উপায় জানুন
আপনার যদি ত্বকে এলার্জি দূর করার উপায় না জানা থাকে তাহলে ত্বকে যেই এলার্জি গুলো হয় এর ফলে যে লক্ষণ গুলো আপনার সামনে উপস্থিত হবে সেগুলো সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটির ভিতরে অ্যালার্জি হওয়ার যে কারণ বা লক্ষণ রয়েছে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। ত্বকে এলার্জি দূর করার উপায় মতো অন্যতম উপায় হচ্ছে ঘরোয়া উপায়।
ত্বকে এলার্জি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করলে এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না এবং সঠিকভাবে কাজ করে। ত্বকে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সেরা উপায় হলো অ্যালোভেরা জেল এটা অত্যন্ত কার্যকরী যা ত্বকের চুলকানি এবং শুকনো এবং শুষ্ক অবস্থায় দূর করে। আপনি যদি আপনার শরীরের ত্বকের এলার্জি দূর করতে চান তাহলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা, ওষুধই, ঘুম, দ্রুত জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দেয় এটা তাজা অ্যালোভেরা কেটে সেটি থেকে ত্বকে সরাসরি লাগানোর মাধ্যমে আপনি ত্বকের এলার্জি সমস্যা দূর করতে পারবেন। আর যদি অ্যালোভেরার গাছ বা সরাসরি জেল ব্যবহার করতে না পারে তাহলে অ্যালোভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারে।
হাতের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
হাতের এলার্জি দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা উচিত কারণ এলার্জি বিভিন্নভাবে মানুষের শরীরে বাসা বেঁধে থাকে কারো হাতে সমস্যা সৃষ্টি হয়, কারো চোখের সমস্যা সৃষ্টি হয়, আমার অনেক মানুষ রয়েছে যাদের হাতে পায়ে এবং ত্বকে এই এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে নারীরা এ হাতের এলার্জির বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয় কারণ তারা বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া কাদের সাথে যুক্ত থাকে।
এর লক্ষণ হচ্ছে শুরুতে আঙ্গুলগুলো লাল হয়ে যাবে শুকনা হয়ে ফেটে ফেটে যাবে এবং হাতের চামড়ায় ফোসকা পড়ে যাবে এবং ত্বকের গভীর ক্ষত সৃষ্টি হবে। অনেকেই হাতে আঙ্গুলে আংটি পড়ে থাকে তাদের জন্য এই সমস্যা আরো গুরুতর হয়। বিভিন্ন দের খাবার এবং শাকসবজি সহ অনেক ধরনের খাবারের মধ্যে এলার্জি বিদ্যমান থাকে। তবে এর কিছু ব্যতিক্রম স্বভাব হচ্ছে অনেক জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে এলার্জি সৃষ্টি করে।
পায়ের করণী হিসেবে বারবার হাত ধোয়ার হলে হাতের আঙ্গুলে লাল ফুলকুড়ি দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন অথবা কিছু সরলতা অবলম্বন করতে পারেন পাশাপাশি এরূপ প্রতিরোধ করার জন্য বারবার হাতে পানি লাগানো বা হাত ভেজানো থেকে নিজেকে বিরত থাকতে হবে। হাতে বাসন কুসুন এবং কাপড় ধোয়ার সময় বিভিন্ন গ্লাভস ব্যবহার করতে পানির কাজ করার সময় সবচেয়ে বেশি নিরাপদ এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
হাতের তালুতে চুলকানি হলে করণীয় কাজ জানুন
হাতের তালুতে চুলকানি হলে করণীয় কাজ গুলো আমাদের জানা উচিত কারণ একজন মানুষের হাতে বিভিন্ন কারণে চুলকানির সৃষ্টি হতে পারে সেই চুলকানি থেকে বাচার জন্য নাকি এই নিচে দেওয়া উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে। হাতের তালুতে চুলকানি হওয়ার যে অন্যতম কারণ রয়েছে তার মধ্যে এলার্জি, চর্মরোগ, ফাংগাল আক্রমণ ও শুষ্ক ত্বক হওয়া অন্যতম লক্ষণ। এই লক্ষণগুলো বাঁচর জন্য নিজেকে কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে।
হাতের তালুতে চুলকানি হলে করণীয় কাজঃ
- ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে ধুত হবে যাতে হাতে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা এলার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ না থাকে।
- চুলকানি জায়গা ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় বা আইস দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে কিছুক্ষণ সময়।
- ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে ত্বক শুষ্ক থাকবে এবং হাতের তালুতে যার জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- হাত ধোয়ার সাবান পরিবর্তন করতে হবে যদি চুলকানির কারণ হয়ে থাকে রাসায়নিক মুক্ত ব্লাইন্ড সাবান ব্যবহার করতে হবে।
স্যার আপনি সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন যদি চুলকানি স্থায়ী দীর্ঘদিন হয় এবং ফোসকারের সহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। তাহলে আপনাকে হাতের তালুর চুলকানোর পিছনে একজিমা বা যে উপকরণ বা কারণগুলো রয়েছে তা সম্পর্কে জেনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত প্রাণী পান করতে পারবেন এলার্জি সৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং সব সময় সচেতন ভাবে জীবন যাপন করতে হবে।
হঠাৎ এলার্জি দূর করার উপায় নিয়ে শেষ মন্তব্য
হঠাৎ এলার্জি দূর করার উপায় নিয়ে যে তথ্যগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি এই তথ্যগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই হঠাৎ যদি এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় তা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। আরো জানতে পারবেন যে কি কি উপায়ে কারণ থাকলে আপনার শরীরে এলার্জির সমস্যা হতে পারে তাই সেই কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।
পাশাপাশি আপনি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে কিভাবে এলার্জির সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন। আর এলার্জির সমস্যা যদি হঠাৎ চরম আকার ধারণ করে তাহলে যে উপায়গুলো অবলম্বন করবেন পাশাপাশি সরাসরি ডাক্তারের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো কারণ এই এলার্জি সমস্যা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যা বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দেয়।
মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url