সহজে গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরির উপায় শিখে নিন

সহজেই আপনি যদি গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান এবং গাঁদা ফুল চাষ করার মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে টাকা উপার্জন করতে চান? তাহলে অবশ্যই আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য বিশেষ উপকার নিয়ে আসবে।

গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি

গাঁদা ফুল চাষ করার জন্য যে উপায়গুলো অবলম্বন করতে হয় এবং গাঁদা ফুল চাষ করে মানুষ টাকা-পয়সা পাওয়ার পাশাপাশি যে ওষুধি গুনাগুন হতে উপকার পায় তাও এই পোস্টে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও আপনি জানতে পারবেন গাঁদা ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায় গাঁদা ফুল গাছের দাম গাঁদা ফুলের গাছ লাগানো পদ্ধতি গাঁদা ফুল থেকে কিভাবে চারা তৈরি করবে তার সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে।

পোস্ট সুচিপত্রঃ সহজে গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরির উপায় শিখে নিন

সহজে গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরির উপায়

সহজে গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করার জন্য আপনাকে যে উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে তা পর্যায়ক্রমে জেনে নিন এবং কিছু প্রশ্ন-উত্তর রয়েছে যেগুলো সচারচর সকলেই জানতে চাই তা আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিতে পারবেন। গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরির উপায় গুলো পর্যায়ক্রমের নচে উপস্থাপন করা হলো।

  • প্রথম ধাপ: প্রথমে আপনাকে প্রয়োজনীয় গাঁদা ফুলের বীজ সংগ্রহ করতে হবে বীজ সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে পরিপূর্ণ এবং সঠিক বীজ সংগ্রহ করতে হবে। বীজগুলো যেন পরিপূর্ণ বৃদ্ধি হওয়ার জন্য পরিপক্ক বীজ হয়। 
  • দ্বিতীয় ধাপ: এই ধাপে আপনাকে বীজতলা তৈরি করতে হবে এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে মাটি, বালি, জৈব সার, কোকোপিট মিশ্রিত বীজতলা। এছাড়া আপনি বেলে দোআঁশ মাটিতেও ব্যবহার করতে পারবেন। 
  • তৃতীয় ধাপ: প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে বীজতলা তৈরি করে নেয়ার পরে সেখানে বীজগুলো উপরে সুন্দরভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে তবে বীজগুলো বপন করার পূর্বে একটু রোদে তাপ দিয়ে নিতে হবে। এবং সেই বীজগুলো তৈরিকৃত বীজতলার উপরে বিছিয়ে এর উপর অল্প পরিমাণ পাতলা আবরণ দিতে হবে মাটি দিয়ে অথবা আপনি বীজতলার তৈরি কৃত মাটি ব্যবহার করতে পারবেন। 
  • চতুর্থ ধাপ: বীজতলায় বীজ বপন করা হয়ে গেলে আপনাকে এ পর্যায়ে পানি ব্যবহার করতে হবে এবং পানি প্রতিদিন অথবা দিনে একবার দিতে পারবেন তা আদ্রতার ওপর নির্ভরশীল হবে। এবং প্রয়োজনে আদ্রতা সঠিক মাত্রায় রাখার জন্য বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে যেন সরাসরি রুদ্র না পড়ে। 

এরপর আপনি পুরো এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের ভিতরে আপনার বীজতলায় গাছ দেখতে পাবেন। চেহারাগুলোকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করার জন্য আপনাকে দুইবার পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং রোদে রাখতে হবে যাতে রোদ পাই রোদের দ্বারা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পেয়ে খুব তাড়াতাড়ি আপনার চারা গাছের চারাগুলো বেড়ে উঠবে। গাঁদা ফুল তৈরি করার ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বীজতলা থেকে তুলে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে এর গর্ত শক্তি বেশি থাকবে এবং শক্তিশালীভাবে গাছ তৈরি হবে এবং বেশি পরিমাণ ফুল ধরবে। 

অতি সহজ গাঁদা ফুল চাষ পদ্ধতি দেখে নিন 

খুব সহজেই গাঁদা ফুল চাষ পদ্ধতি শিখে সেই অনুযায়ী চাষ করে বিভিন্ন বাজারে ফুল রপ্তানি করে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে সঠিক উপায় জানতে হবে যে কি উপায়ে পরিচর্যা এবং দেখাশোনা করলে গাঁদা ফুল দেবে বেশি পরিমাণ ফুল এবং অনেকদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। সাধারণত শীতকালীন ফুল হলে বর্তমানে গ্রীষ্ম ও বর্ষা সকল সময়ে গাঁদা ফুল চাষ হয়।

আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে হলুদ খেলে কি হয় ৪৬ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

প্রযুক্তির ব্যবহার এতটাই নির্ভরযোগ্য হয়েছে তাই সকল চাষাবাদকৃত বিষয়ে উন্নতির দিকে ধাবিত হয়েছে। বিভিন্ন উৎসব এবং আনন্দময় বিষয়গুলো ফুলের সংমিশ্রণে থেকেই থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন উৎসব আনন্দ এবং বিয়ে বাড়ি সাজানোর ক্ষেত্রে অথবা জন্মদিন সহ বিভিন্ন জায়গায় জবা ফুল ব্যবহৃত হয় তাই এই জবা ফিলর চাহিদা অনেক বেশি।

জবা ফুল চাষ করে অনেক মানুষ বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছে বর্তমানে অনেক জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে গাঁদা ফুল চাষ করা হয় এবং এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনিও যদি খুব সহজেই গাঁদা ফুল চাষ করতে চান এবং সেই চাষকে বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান তাহলে উক্ত উপায় গলো অবশ্যই আপনার কাজে আসবে।

গাঁদা ফুল চাষ করবেন যেভাবে এবং তার পরিচর্যার উপায় 

গাঁদা ফুল চাষ করবেন যেভাবে এবং এর পরিচর্যের উপায় গুলো হচ্ছে আপনাকে একটি বেলে দোআঁশ মাটি নির্বাচন করতে হবে যেখানে পানির ব্যবস্থা থাকবে এবং সূর্যের আলো সরাসরি সেখানে পৌঁছাবে। বর্তমান বাংলাদেশে ইনকা, ইয়েলা সুপ্রিম, গিনি গোল্ড, গোল্ড স্মিথ, ম্যান ইন দ্য মুন, হারমনি, লিজন অফ অনার সহ নানান জাতের গাঁদা ফুল চাষ হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ বীর্যমনি পাউডার খাওয়ার নিয়ম এবং বীর্যমনি গাছের ২১ উপকারিতা জানুন

তবে ইদানিং সাদা গাঁদা ফুল লাল গাঁদা ফুল রক্ত গোলাপ গাঁদা ফুল হাইব্রিড গাঁদা ফুল, চাইনিজ, আফ্রিকান ও ফরাসি জাতের গাঁদা ফুল চাষ হচ্ছে। এর জন্য আপনাকে চাষ করতে প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো ব্যবহার করতে হবে যেমন, মাটিকে নাঙ্গল অথবা পাওয়ারটা দিয়ে ভালোভাবে মাটি ছুঁচুড়ি করে মই দিয়ে নিতে হবে। এটেল মাটি উর্বর মাটি এবং উঁচু জমিতে বেশি চাষ করা হয় এছাড়াও যত্ন করলে সকল জায়গায় চাষ হয়।

ফরাসি গাধা খুবই নিকৃষ্ট মাটিতেও ভালো হলেও আফ্রিকান গাঁদা ফুলের জন্য পর্যাপ্ত পরিচর্যা এবং সূর্যের আলোর পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রয়োজন হয় এর জন্য আপনি নিচর উপায় গুলো অবলম্বন করতে পারেন। গাঁদা ফুল চাষ করার জন্য এখানে এই উপায়গুলো অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে তাই আপনি বীজ থেকে এবং ডালপাড়া থেকে গাঁদা ফুল কিভাবে চাষ করবেন তা দেখে নিন।

শাখা কলম ও বীজের মাধ্যমে গাঁদা ফুল চাষ করা যায়। নভেম্বরে বীজতলায় বীজ বপন করে চারা উৎপাদন করতে হয়। শীতকালে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যায় সারাবছর যদিও এই গাঁদা ফুল চাষ করা হয়। শাখা দিয়ে গাছ তৈরি করার জন্য আপনাকে ৮ থেকে ১০ সি.ম লম্বা করে ডাল কেটে নিতে হবে। বীজতলা শাখা ডাল গুলো আপনি সহজেই মাটিতে রোপন করতে পারবেন। এর জন্য উপযুক্ত সময় হচ্ছে মার্চ মাস। 

২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে শাখা বা ডাল থেকে পাতা গজাবে বা সেটি শিকড় গজে শক্তিশালী হতে শুরু করবে। শাখা চাষ করার জন্য ডিসেম্বর মাস উপযুক্ত, শাড়ি থেকে শাড়ির দূরত্ব হতে হবে ৪০ থেকে ৫০ সেমি, চারার দূরত্ব হবে ৩০ থেকে ৪০ সেমি, চারা উৎপাদন না করে সরাসরি বীজ থেকেও গাধা চাষ করতে পারবেন যে উপায় ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে উল্লেখ করেছি তো কিভাবে গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করা যায়। 

গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করার জন্য সার প্রয়োগ 

গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করার জন্য আপনাকে যে উপায়ে সার প্রয়োগ করতে হবে সেই উপায়টি এখানে উপস্থাপন করা হলো আপনাকে অবশ্যই আপনার পরিচর্যা করতে হবে তাহলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এর জন্য আপনাকে উল্লেখিত জমিতে নিম্নে উল্লেখিত উপাদান গুলি ব্যবহার করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ সাগর কলার ২১টি উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন

  • গাঁদা ফুলের চাষের জমিতে প্রতি শতক জমিতে প্রয়োজন, 
  • পচা গোবর ৪০ কেজী 
  • ইউরিয়া ২ কেজী 
  • টিএসপি ৩ কেজী 
  • এম ও পি ২ কেজি

এই সারগুলো মাটির সাথে মিশাতে হবে এবং ফুলের সাথে ভালো মানের ফুল তৈরি করতে ভালো দস্তা এবং ব্রোনো ব্যবহার করতে হতে পারে এছাড়া ভ্রমণে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে প্রতি শতাংশে ৫০গ্রাম ইউরিয়া উপকারী। উক্ত উপায়ে আপনি যদি জমি শক্তিশালী করার জন্য এবং সঠিক ফল পাওয়ার জন্য এই উপায়গুলো অবলম্বন করলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন এবং খুব বেশি ফুল আশা করতে পারেন। 

গাঁদা ফুল চাষের জন্য সেচ ও পরিচর্যা পদ্ধতি 

গাঁদা ফুল চাষের জন্য সেচ ও পরিচর্যা পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই গাঁদা ফুল চাষ করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে ছাড়া রোপন করার ৮ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত কোন কিছু করার প্রয়োজন হবে না। তবে মাটিতে কোন পরিমাণ পানির পরিমাণ না থাকলে সেচ দিতে হতে পারে। বা পানি জমে থাকলে নিষ্কাশর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

গাঁদা ফুল চাষের জন্য সেচ ও পরিচর্যা পদ্ধতি
  • নিয়মিত নিরানি বা আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
  • গাছ বড় হলে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দিতে হবে এবং সোজা করে রাখার চেষ্টা করতে হবে। 
  • একটি গাছ অন্য গাছের সাথে যেন ঠেকিয় না থাকে সেজন্য দূরত্ব বজায় রেখে গাছ বপন করতে হবে। 
  • গাছে ফুলের সংখ্যা অতিরিক্ত হয়ে গেলে কিছু ফুল দিতে হবে বা আগা ছেটে দিতে হবে।
  • গাছের প্রচুর পরিমাণে শাখা বৃদ্ধি হয়ে গেলে, দুই থেকে তিনটি রেখে বাকিগুলো কেটে দিতে হবে এটাকে বলা হয় স্টপিং পদ্ধতি। 
  • কোন চারা নষ্ট বা মরে গেলে নতুন চার দিতে হবে এবং অনেক ঘন ঘন চারা লাগানো হলে তা পাতলা করে দেওয়া ভালো।
  • পোকামাকড় রোগ বালাই দমন: পোকামাকড় রোগ পালে দমন করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে, কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে বিশেষ করে গাধা গাছে পোকার উপদ্রব নেই বললেই চমে তবে কিছু ভাইরাস জনিত সমস্যা দেখা যায় যেমন উইলট, কান্ড পচা রোগ। 
  • গোড়াচা রোগ হলে ছত্রাকের আক্রমণ এটা পানি জমলে গাঁদা ফুলের এই সমস্যা দেখা দেয় গাছের শিকড় থেকে পচন ধরে এবং গাছ মরে যায়। এর জন্য লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে থাকে এবং রোগ আক্রান গাছ হলে সেই গাছগুলোকে তুলে ফেলতে হবে অথবা কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
  • কান্ড পচা: কান্ড প্রজা রোগ হলে যে কাজগুলো করতে হবে তা য আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে ছত্রাকের আক্রমণ হলে এই কাজটি হয়, এর জন্য ছত্রাক রশক বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করতে পারবেন কৃষি ডিলারের পরামর্শ অনুযায়ী, এবং সংক্রমণ রোধ করার জন্য জমিতে ভাসিয়ে শেষ দেওয়া যাবে না সংক্রমণ বেশি হলে অনুমোদিত বা কীটনাশক এর পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

পোকামাকড়ের উপদ্রব নেই বললে চলে তবে শামুকের উপদ্রব দেখা যায়। এই শামুক দেখা মাত্র সেগুলোকে তুলে ফেলিত হবে বা জমি থেকে বাড়িয়ে দিতে হবে যাতে এই সমস্যা সৃষ্টি না করতে পারে। তবে জাব পোকা আক্রমণ করলে ২ মিলিলিটার ম্যালাথিয়ন ১ লি. পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

টবে গাঁদা ফুল চাষ করার পদ্ধতি 

টবে গাঁদা ফুল চাষ করার পদ্ধতি জানলে আপনি খুব সহজেই টব চাষ করতে পারবেন। টবে ড্রামে বাড়ির বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় জায়গায় আপনি গাঁদা ফুল চাষ করতে পারবেন এজন আপনাকে উপরে উল্লেখিত উপায়ে বীজতলা তৈরি করে নিতে হবে এবং এই বীজতলা তৈরি করার পর আপনাকে খুব সহজেই সেখানে বীজ বপন করতে হবে। 

১০ দিন থেকে এক সপ্তাহের ভিতরে এই গাছটি বেরিয়ে যাবে এবং ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনি সেই কাজ বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত করে রোপন করতে পারবেন। এবার মাটি তবে বা ডামে লাগানোর পর আপনি সেখানে পরিচর্যা করবেন, একটা জিনিস খেয়ে থাকতে হবে মাটি তৈরির সময় গোবর সার ডার্মিক কম্পোস্ট কোকোপিট ভালো করে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ত্রিফলার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান

শীতকালে গাঁদা ফুল অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় টবে লাগানোর জন্য উপযুক্ত কয়েকদিন হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। এবং গাছগুলো একটু বড় হলে বা ১৫ থেকে ২০ দিন বয়স হলে পরিমিত পরিমাণ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ রোধের আলো এবং পানি দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বা যেই জায়গায় লাগাবেন সেখানে যেন পানি জমা হয় না থাকে তাহলে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি হতে পারে যা উপরে আলোচনা করেছি। 

এবং খেয়াল রাখতে হবে নিয়মিত শেষ বা আগাছা পরিষ্কার করে শেরগুলো যেন সঠিকভাবে বাড়ছে কিনা তার লক্ষ্য রাখা। প্রচন্ড রোদ বা প্রচুর গরমে আপনি যদি গাছে পানি দেন তাহলে বীজতলা এবং গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই তবে গাঁদা ফুল চাষ করলে মাঝে মাঝেই গালে ডালপালা কেটে দিতে হবে। কোষের একটি কথা বলব যাদের উপর অনেক সময় নির্ভর করে এবং গাছের পুরো নির্ভর করে এবং পরিচর্চার করেও নির্ভর করে। সুতরাং সকল উপায় সঠিকভাবে পালন করলে সঠিক ফল পাওয়া যায়। 

গাঁদা ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায় জানুন 

গাঁদা ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায় এটা যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই চাষ করার জন্য বিপদে পড়বেন তাই আপনাকে জানানো হচ্ছে যে গাঁদা ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়। আপনি খুব সহজেই গাঁদা ফুলের বীজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন বীজ বিক্রি করে এমন দোকান রয়েছে বিশেষ করে। আপনি যদি রাজশাহীর বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে ওমরপুর বা রাজশাহীর যেকোনো নার্সারি দোকান থেকে এই চারা সংগ্রহ করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ পাথরকুচি পাতার ২০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন 

এছাড়াও আপনি যদি রাজশাহীর বাইরে বা বিভিন্ন জেলায় থেকে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেই জেলাগুলোর স্থানীয় নাসারের দোকানে যোগাযোগ করলে অবশ্যই চারাগুলো পেয়ে যাবেন। উচ্চ ফলনশীল এবং মানসম্মত জবা ফুলের চারা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই জাত এবং ভালো মানসম্মত চারা নির্বাচন করে নিতে হবে। এর জন্য আপনি কৃষি বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন এবং সরাসরি কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন।

গাঁদা ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়

গাঁদা ফুলের বিষ পাওয়া যায় কোথায় এটা আশা করি বুঝতে পেরেছেন গাঁদা ফুলের দাম হয়েছে সর্বোচ্চ একটি গাঁদা ফুল এক টাকা করে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন পাইকারি এবং খুচরা বাজার গুলোতে। এই দাম প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করে চাহিদার উপর নির্ভর করে। গাঁদা ফুলের গাছ লাগানোর জন্য উপযুক্ত সময় ও এই পোস্টে আলোচনা করেছি।

গাঁদা ফুল নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন: গাঁদা ফুল কখন ফোটে? 

উত্তর: সাধারণত গাঁদাফুল শীতকালে বেশি হলেও সারাবছরই এর চাষ করা হয়, গাঁদা ফুল বিভিন্ন জাত ও রঙ্গের দেখা যায় বাগানের শোভা ও বর্ধন ছাড়া বিভিন্ন উৎসব পূজা সহগ গৃহসজ্জয় ব্যবহৃত হয়। এর পাতার অনেক গুণগুণ রয়েছে। 

প্রশ্ন: গাঁদা ফুলের বীজ কিভাবে শুরু করতে হয়? 

উত্তর: মাটির পৃষ্ঠে সরাসরি গাদা বীজ ভবন করুন এবং দৃঢ়ভাবে সংকুচিত করুন আপনার বীজগুলোকে আবৃত করবেন না কারণ গাধা গুলি অঙ্কুরিত হওয়ার জন্য সূর্য লোকের প্রয়োজন হয় যদি বাড়ির ভিতরে শুরু হয় বীজের শুরুর মিশ্রণ দিয়ে পাত্র গুলি পূরণ করুন।

প্রশ্ন: গাঁদা ফুল কত প্রকার? 

উত্তর: গাঁদা ফুল সাধারণত জন্মগতভাবে দুই প্রকার একটি হল ফরাসি গাঁদা ফুল এবং অপরটি হলো আফ্রিকান গাঁদা ফুল। ফরাসি গাঁদা ফুলের আকার ছোট ফুলের সাথে। আফ্রিকান গাধা গুলি অনেক বড় ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত ফুল ফোটে পর্দা পাতা গুলো সূক্ষ্মভাবে কাটা এবং ফার্নের মতো।

প্রশ্ন: কাগজের তোয়ালে গাঁদা ফুলের বীজ অঙ্কুরিত করা যায়? 

উত্তর: এক কাগজের তোয়ালের পদ্ধতিটি গাঁদা ফুলের বীজ অঙ্কুরিত করতে পারে, ফাস্ট দিন পরে বেশিরভাগ জাত প্রায় সম্পূর্ণরূপে অঙ্কিত হয়। 

প্রশ্ন: গাঁদা ফুলের বীজ কিভাবে বুঝবেন? 

উত্তর: একটি কার্যকর কিনা তা দেখতে একটি গাধা বীজ পরিষ্কার করুন বীজ যদি কোন আদ্রতা বা স্বেচ্ছাতে থাকে তাহলে দাঙ্কুরিত গমনের জন্য ভালো নয়। যদি আপনার বীজ বাঘ এবং ভেঙে যায় এবং যথেষ্ট শুকনো থাকে যদি তা না ভাঙ্গে তাহলে তাও গলিত হতে নাও পারে। 

প্রশ্ন: গাঁদা ফুল দীর্ঘদিন সংরক্ষণের উপায়? 

উত্তর: একটি শীতল পরিবেশে গাঁদা ফুল রাখা শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না এর দীর্ঘ আয়ু বাড়ায। যাতে আপনার বিয়ের দিন জুড়ে তারা আশ্চর্য দেখায়। এবং আপনি গাঁদা ফুল ডাল সহকারে তুলে যদি পানির সহকারে রাখেন তাহলে অনেকদিন বেঁচে থাকবে।

প্রশ্ন: গাঁদা ফুল দিয়ে কি চাবনো যায়?

উত্তর: গাঁদা ফুল দিয়ে কি চাপানো যায় এর সহজ উত্তর রয়েছে গাঁদাগুলিকে কফিন মুক্ত চাইলের জন্য নিজেরাই খাড়া করা যেতে পারে। এবং বিভিন্ন ধরনের চায়ের মিশ্রণে উপাদান গুলো হিসেবে যোগ করে খেতে পারে। 

গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি নিয়ে শেষ মন্তব্য 

গাঁদা ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করার শেষ মন্ত হিসেবে আপনাদের সামনে এই কথাই বলবো যে, আপনি যদি সারাবছর গাঁদা ফুল চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক পরিচর্যা এবং কিছু নিয়ম-কনুন মেনে চলতে হবে এর জন্য আপনার কে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে। 

গাঁদা ফুলের বিভিন্ন জাত রয়েছে সে জাতগুলো অনুযায়ী আপনাকে সঠিক আফ্রিকান জাত ব্যবহার করতে হবে সেই জাতগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বড় আকারের জবা ফুল হয়। এছাড়া আপনি বিভিন্ন ধরনের জাত রয়েছে সেগুলো চাষ করতে পারেন এই উল্লেখিত প্রক্রিয়া অবলম্বন করে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url