কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে জানুন কেন খেতে পারবে

কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে এই প্রশ্ন অনেকেরই হয়ে থাকে কারণ অনেকেরই কিডনি সমস্যা রয়েছে। তাদেরকে সহজেই জানানোর জন্য যে কিডনি রোগ হলে কি কি জিনিস খাওয়া যাবে না এবং কি ধরনের উপায় অবলম্বন করলে সেই জিনিসগলো খাওয়া যাবে।

কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে

এছাড়া এই পোস্টের ভিতরে আলোচনা করা হবে কিডনি রোগে কি মাছ খেতে পারবে? কিডনি রোগী কি দই খেতে পারবে? কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে? কিডনি রোগী কি কি ফল খেতে পারবে ডিম খেতে পারবে কিনা কিডনি রোগী কি আম খেতে পারবে? এক কথায় এ ধরনের সকল প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টটি আপনাদেরকে জানানো হবে। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে জানুন কেন খেতে পারবে

কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে তা জানুন 

কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে এ বিষয়ে জানা উচিত কারণ দুধ একটি অত্যন্ত জরুরী এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার যা সকল খাবারের চাইতে বেশি শক্তিশালী এবং উন্নত খাবার। তাই আমাদের জানা উচিত যে বিভিন্ন সমস্যায় দুধ খাওয়া যাবে কি? এবং শরীরের কি ধরনের সমস্যা থাকলে দুধ খাওয়া যাবে না। কোন ধরনের সমস্যা থাকলে কিডনি রোগীরা দুধ খেতে পারবে তার বিস্তারিত বিষয়ে পর্যায়ক্রমে দেখুন।

আমরা জানি একটা সন্তান যখন জন্মগ্রহণ করে তখন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সেই সন্তান শুধুমাত্র মায়ের দুগ্ধ পান করে বেঁচে থাকে। মিল্কের শরীরের বিভিন্ন বাই প্রোডাক্টস তৈরি করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ইটস ন্যাচারাল নিউট্রিয়েন্ট রিস নিউট্রিশন রিসোর্স তাই এখন আমরা জানবো কিডনি রোগীরা দুধ খেতে পারবে কিন্তু কি ধরনের উপায় অবলম্বন করতে হবে এবং কি খেয়াল রাখতে হবে যাতে কিডনির সমস্যা করবে না। 

প্রথমে আমাদের জানা দরকার যে মিল্ক একটি বায়োলজিক্যাল প্রডিউস নিউট্রিয়েন্ট এটা প্রাকৃতিক ভাবে মানুষকে সারভাইভ করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। মায়ের তৈরি দুগ্ধ সন্তানের জন্য পরিপূর্ণ খাবার সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দুধ একটি কমপ্লিট খাবার একজন মানুষের জন্য কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। এটাও আমাদের জানা উচিত যে দুধ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিউট্রিয়েন্ট স্মৃতির জন্য। প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে, থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন এবং প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং মিনারেলস। 

উল্লেখিত মিলন রেলের মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ক্যালসিয়াম যা প্রচুর পরিমাণ মাইক্রো ভিটামিনস যেমন এডিকে ফ্যাক্ট সবগুলো ভিটামিনস এর উৎস দুধ। এছাড়াও ভিটামিন b12 প্রচুর পরিমাণে আছে, এটা একটি পরিপূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য ফুড বা খাবার। এটা আমরা যদি লিকুইড বা তরল আকারে দেখি। এখানে ক্যালসিয়াম থাকার কারণে হাড়ের গঠন ভালো থাকে, দাঁত ভালো থাকে, এছাড়া শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সাংঘাতিকভাবে রক্ষা রাখে।

আরো পড়ুনঃ হঠাৎ এলার্জি দূর করার ২৭ টি উপায় জেনে নিন

দুধের এত গুনাগুন তাই দুধ খাওয়া অত্যন্ত জরুরী কিন্তু অনেক মানুষেরই জানার প্রয়োজন যে আমাদের কিডনির সমস্যা হলে আমরা কি দুধ খেতে পারব এর জন্য যে উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে কিছু নিয়ম বা প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে যাতে দুধের মধ্যে যেই পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রয়োজনীয় মিনারেলস রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি গ্রহণ করা যায়। 

সচর দেখা যায় কিডনির প্রবলেম হলে চার থেকে পাঁচটি সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে প্রথম হচ্ছে ফরমোস্ট ব্যালেন্স ইলেকট্রোলাইট যার মধ্যে সবচেয়ে কনসার্ট হচ্ছে পটাশিয়াম, এছাড়া আমাদের প্রয়োজন ক্যালসিয়াম ব্যালেন্স করা ফসফরাস ব্যালেন্স করা, এছাড়া ফ্যাট রয়েছে যা সমতা করতে হয়। এই মূল চারটি জিনিস অতিরিক্ত বা কম বেশি হবার ফলে শরীরে কিডনির সমস্যা দেখা দেয় তাই আপনাকে এই বিষয়গুলো একটু ভালোভাবে জানতে হবে। 

আমাদের কিডনি সমস্যা হলে আমরা কিভাবে এই বিষয়গুলো কন্ট্রোল করব সেগুলো নিয়ে কিছু জিনিস আমাদের একান্তই জানা উচিত যাতে কিছু সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে। তবে একটি কথা বলে রাখা ভালো প্রথম অবস্থায় যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে কিন্তু জিএফ আর ৬০ এর কাছাকাছি বা ৬০ বেশি তাদের জন্য দুধের কোন সমস্যা দেখা যায় না। তবে কিছুক্ষেত্রে ল্যাকটোজেন ইন টলারেন্স থাকে তারা এদের ক্ষেত্রে আলাদা ব্যাপার।

 কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে কি আরো তথ্য দেখুন

এর অনেকের হাইপার ক্যালেমিয়া থাকে এটা ভালো উৎস পটাশিয়ামের। যাদের খুব হাইপার ফসফেটিমিয়া আছে। এছাড়া ইলেকট্রোলাইট কোন সমস্যা করে না ফসফরাস তেমন কোন সমস্যা করে না ক্যালরিও ইনটেক তেমন প্রবলেম করে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন অ্যাডভান্টেজ পর্যায় যেমন মিল্ক একটি পটাশিয়াম বা ক্যালসিয়ামের বড় ধরনের উৎস। 

এছাড়া যাদের ফসফরাসের মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেছে তারা এটা থেকে দূরে থাকুন। যাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাক্ট রয়েছে তারাও একটু সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। বর্তমানে মিল্কের এ ফ্যাটের পরিমাণ কি কমানোর জন্য অনেক রকমের অপটিমাইজেশন এর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থায়। যাতে গুলির পারসেন্টেন্স কমিয়ে ব্যবহার উপযোগী করা যায়। যেমন ধরুন সিঙ্গেল টোন ডাবল টোন, এর মূল কাজ হচ্ছে ফ্যাটের যে বিষয়টি আছে সেটা কতটা কমানো যায়। 

দুধের মধ্যে ফ্যাটের চাহিদা অনুযায়ী এই নামকরণ করা হয়েছে বা উপস্থিতি অনুযায়ী। মিল্ক এর মধ্যে যে ফ্যাটের বিষয়টি রয়েছে তা কমিয়ে ৩% এ আসলে তখন তাকে বলা হয় সিঙ্গেল টোন মিল্ক। এটাকে আরো মডিফাই করে যদি ১.৫% করে দেয়া হয় তখন সেটাকে বলা হয় ডাবল টোন মিল্ক। আর সেই ফ্যাটের পরিমাণ যদি ০.৫% হয়ে যায় তখন তাকে বলা হয় স্কিম মিল্ক। এ প্রক্রিয়ায় ফ্যাক্ট এর পার্সেন্ট কমে কিন্তু বাকি যে উপাদান গুলো তার পরিমাপ ঠিক থাকে।

আরো পড়ুনঃ কালমেঘ পাতার ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

যাদের সকল সমস্যা রয়েছে একটি সমস্যা হার্টস প্রবলেম তারা ডাবল টোন মিল্ক ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে কিছুটা পরিমাণ ফ্যাট এবং ফসফরাসের পরিমাণ কম থাকে বাকি সবগুলো ঠিক থাকে। ফ্লুইড এলোকেশন কতটা সেটা বুঝে মিলকে একজস্ট করার চেষ্টা করতে হবে। আপনার শরীরের পটাশিয়াম চেক করতে হবে, বিশেষ করে যাদের এডভান্স সিডি রয়েছে তাদের পটাশিয়াম ফসফরাস লিপিড প্রোফাইল ফ্লুইড এলকেশন চারটা জিনিস না জেনে মিল্ক ব্যবহার করা ঠিক নয়।

তাই আমার সাজেশন হলো যারা এ সকল সমস্যায় আছেন তারা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর দুধ খাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। কি পরিমাণ খাবেন এবং কখন খাবেন সে বিষয়গুলো জানা উচিত এবং এই বিষয়ে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন চেকআপ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুধ খাওয়া অত্যন্ত উপকারী বা স্বাস্থ্য ক্ষতি বা বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বা এড়িয়ে চলার জন্য আপনি এই কাজটি করতে পারেন। 

কিন্তু ফসফরাস যদি প্রচুর বেশি থাকে এবং পটাশিয়াম যদি যেকোনো সময় বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই মিল্ক বা দুধ খাওয়া থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে এছাড়া আপনার বিভিন্ন বিপদ বা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে এর ফলে হার্ড সো আরেক অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে যা আপনার জীবনের শান্তি কেড়ে নিতে পারে তাই আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো বা উল্লেখযোগ্য উপায় গুলো জানা উচিত। 

কিডনি রোগী কি মাছ খেতে পারবে জানুন 

কিডনি রোগী কি মাছ খেতে পারবে এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই তাই তাদের জন্য সহজেই মাছ খেলে কি সমস্যা হতে পারে কিনা এবং কি উপায় অবলম্বন করে একজন মানুষকে মাছ খেলে কিডনি রোগের সমস্যা হবে না তা বিস্তারিত জানুন যাতে খুব সহজেই আপনার কিডনি রোগ থাকা সত্ত্বেও আপনি মাছ খেতে পারবেন কিনা তার বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে কিডনি সমস্যা হলে সেই রোগের লক্ষণ এবং বর্তমান অবস্থা এবং কিডনির রোগের ধরন ও মাত্রার উপর নির্ভর করে মাছ খাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

  • মাছ খাওয়ার উপকারিতা: প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ একটি ভালো জায়গা যা শরীরের পেশী এবং টিস্যুর পুনর্গঠনে সহায়তা করে তবে কিডনি রোগের জন্য প্রোটিন গ্রহণ সীমিত করতে হবে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে সামুদ্রিক মাছে যেমন সালমন ষাদিন এবং ম্যাকবেল যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ হ্রাস করে। 
  • কিডনি রোগের স্তর অনুযায়ী নির্দেশনা: কিডনি রোগীর খাদ্য অভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত এবং এই বিষয়গুলো জানা উচিত। 
  • প্রথম পর্যায় (CKD STAGE 1-2): মাছ খাওয়া সাধারণত নিরাপদ তবে লবণাক্ত বা প্রক্রিয়াজাত মাছ এরিও চলা উচিত যেমন শুটকি এবং সামুদ্রিক কিছু মাছ।
  • উন্নত পর্যায় (CKD STAGE 3-4): প্রোটিন সীমিত করতে হতে পারে সেক্ষেত্রে কম ফসফরাস এবং পটাশিয়াম যুক্ত মাছ বেছে নেওয়া উচিত।
  • ডায়ালাইসিস অবস্থায়: এ অবস্থায় প্রোটিনের চাহিদা বেশি হতে পারে তাই মাছ খাওয়া উপকারী হতে পারে তবে লবণাক্ততা এবং ফসফরাস নিয়ন্ত্রিত রাখা উচিত। 
  • কোন মাছ এড়ানো উচিত: সমুদ্রের লবণাক্ত মাছ শুটকি প্রক্রিয়াজাত মাছ এবং সালমন টুনা মাছ যেগুলোতে ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। 
  • খাওয়ার জন্য প্রস্তুত প্রণালী: ভাষার পরিবর্তনে সেদ্ধ, গ্রিল বা রিপোর্ড পদ্ধতিতে রান্না করা ভালো। কম লবণ ব্যবহার করা উচিত।

আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কিডনি রোগী কি মাছ খেতে পারবে তার উত্তর। একজন মানুষ সুস্থ থাকার জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়ার জন্য অনেক ধরনের খাবার গ্রহণ করে তবে আপনি যদি অসুস্থ হন বিশেষ করে কিডনি সমস্যা। সেক্ষেত্রে আপনাকে মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হতে পারে কিছু ক্ষেত্রে এবং আপনার শরীরে যদি উচ্চ পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম না থাকে তাহলে আপনি মাছ ব্যবহার করতে পারেন।

কিডনি রোগী কি দই খেতে পারবে জানুন 

কিডনি রোগী কি দই খেতে পারবে এ বিষয়ে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে একজন মানুষ দই ভালোবাসতে পারে খাবার হিসেবে। কিন্তু সেই দই খাওয়ার মাধ্যমে যদি তার স্বাস্থ্য উপকারিতা বা কিডনির সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই এই খাওয়ার ফলে অনেক বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তাই আপনার জানা উচিত কিডনি রোগী খেতে পারবে কিনা। 

মানব শরীরের একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশ হচ্ছে কি একটি মানুষের শরীরের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন কাজ করে থাকে। দীর্ঘস্থায়ী গীতির রোগ ক্রমবর্ধমান এবং বৈশ্বিক সমস্যা হলে খাদ্য তালিকায় অনেক পরিবর্তন আনা উচিত। দুই স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে দই খাওয়া কতটা নিরাপদ সেই বিষয়ে জানা উচিত এ বিষয়ে অনেক ধরনের প্রশ্ন চলে আসে। তাই দই সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য আপনাদেরকে উপস্থাপন করে দেখলম যাতে আপনি বুঝতে পারেন যে দই খাওয়া যাবে কি কিডনি রোগীর জন্য।

আরো পড়ুনঃ প্রয়োজনীয় নিম গাছের ছালের ৩১টি উপকারিতা জানুন

দইয়ে বিদ্যমান পুষ্টিগুণ: দেহে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা হজমের সাহায্য করে এবং অন্তের সাহায্য করে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় এবং দাঁতের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রোটিন রয়েছে যা শরীরের কোষ গঠন ও মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি ১২ যা স্নায়ু কোষের স্বাস্থ্য রক্ষা লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করতে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি ফসফরাস ও পটাশিয়াম থাকে ফসফরাস দাঁত হাড় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন স্নায়ুতন্ত্রের কাজের উন্নতি করে। 

দইয়ে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে, ক্যালসিয়াম ১০ থেকে ১৪০ মিলিগ্রাম প্রোটিন তিন থেকে পাঁচ গ্রাম ভিটামিন বি এলিভেন পয়েন্ট ৩-৫ মাইক্রোগ্রাম ফসফরাস ৯ থেকে ১২০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৪০ থেকে ১৫০ এমজি যা আমাদের শরীরের দৈহিক চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। এর ফলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এবং এই উপকারিতা রয়েছে দইয়ের সাথে মিষ্টি জাতীয় খাবার মেশানো খাওয়া উচিত নয়। দই বাদাম, গাজু, ওটস যোগ করে খাওয়া উচিত।

কিডনি রোগীদের জন্য দই এর উপকারিতা: কিডনি রোগীদের জন্য কিছু সীমাত থাকা সত্ত্বেও এর কিছু উপকারিতা রয়েছে। প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত থাকে। যার ফলে হজম শক্তির উন্নতি ঘটায় এবং পেটের সমস্যা দূর করে। ভালো ক্যালসিয়ামের উৎস হাড় এবং দাঁতের সুরক্ষা দেয় যাদের কিডনি রোগের জন্য দুগ্ধজাতীয় খাবার নিষিদ্ধ থাকে সেক্ষেত্রে দই ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। 

কিডনি রোগের জন্য দইয়ের ক্ষতিকর প্রভাব: কিডনি রোগের জন্য এই সমস্যাগুলো হতে পারে, যাদের ফসফরাসের পরিমাণ খুব বেশি তারা দই খাওয়ার মাধ্যমে কিডনি রোগের সীমিত পরিমাণে সমস্যা হতে পারে ফসফরাসের মাত্রা গেলে হার্ট দুর্বল হয়ে যায় এবং চামড়ায় চুলকানি সৃষ্টি হয়। এছাড়া পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে বলে কিডনি রোগীদের জন্য এটি নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় খাওয়া উচিত পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এর প্রয়োজন। 

শরীরে থেকে পটাশিয়াম সঠিকভাবে বেরিয়ে যেতে না পারলে রক্তে এই পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা হৃদপিন্ডর জন্য ক্ষতিকারক প্রভাব সৃষ্টি করে। দইয়ের তো অনেক উপকারিতা আছে তবে কিডনি রোগীদের জন্য এটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে কিডনি রোগীদের পর্যায়ের উপর নির্ভর করে কতটুকু খাওয়া যাবে তা নির্বাচন করা হয়। এর জন্য সঠিক পরামর্শ হচ্ছে আপনি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। 

কিডনি রোগের জন্য নিরাপদে দই খাওয়ার পরামর্শ হলো: 

চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন: চিকিৎসক আপনার খাদে তালিকায় দুই অন্তর্ভুক্ত করার আগে ডাক্তারের যে সকল পরামর্শ রয়েছে তা গ্রহণ করতে হবে এবং ডাক্তারের করণীয় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে হবে। 

অল্প পরিমাণ খাওয়া প্রতিটি সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ১০০ গ্রামের বেশি না খাওয়ায় ভালো। ঘরের দই খাওয়া উচিত বাজারের দই অনেক ধরনের চিনি বা উপকরণ মিশ্রিত থাকে। চিনি সংযোজন থেকে বিরত থাকুন দইয়ে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার মেশালে বরং এটা ক্ষতিকর প্রভাব হতে পারে। ফ্রেশ তুই খান পুরাতন দই খাবেন না সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুধের সাথে দই খাওয়া যেখানে দুধ ওই দুটোই ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের পরপর যার ফলে আপনার কিডনির সমস্যা বৃদ্ধি হয়ে যেতে পারে। তাই উল্লেখিত পরামর্শ গুলো ভালো লেগে থাকলে আপনার সজনদের কাছে পৌঁছে দিন। 

কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে জেনে নিন

কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে জানা না থাকলে দেখে নিন জানা না থাকলে দেখে নিতে পারেন এই তথ্যগুলো আপনার উপরে আসবে খেজুরান পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার যাতে প্রচুর পরিমাণ শক্তি রয়েছে এবং কেটি মানুষের শরীরের একটি গুরুত্ব অংশ সেটি রক্ত পরিশোধন করে এবং শরীরের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে। কিডনির সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হত অতিরিক্ত পরিমাণ পটাশিয়াম এবং ফসফরাসের মাত্রা বৃদ্ধি। 

  • কিডনি রোগী কি খেজুর খেতে পারবে তার কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকি: 
  • খেজুরে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থেকে যা সুস্থ মানুষের জন্য উপকারী হলে কয়ট রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। 
  • কিডনি অতিরিক্ত পরিমাণ পটাশিয়ামের উপস্থিতি থাকলে বিকল হয়ে যায় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত পটাশিয়াম বের করে দিতে পারে না ফলে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। 
  • এ অবস্থায় যাকে হাইপার কলিমিয়া বল, গিরি স্পন্দন পেশী দুর্বলতা এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে এই পটাশিয়াম চরিত্র খাবার খেজুর। 
  • এছাড়া উচ্চ ফসফরাসের উপস্থিতি থাকলে কিডনির সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় কিডনি রোগীদের জন্য শরীরে ফুসফুসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। 
  • উচ্চ ফসফরাসের পরিমাণ মানুষের কিডনি রোগের মাত্রা অধিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। উচ্চ ফসফরাসের মাত্রা হাড় দুর্বল করতে পারে চুলকানি এবং রক্তনালীতে ক্যালসিয়াম জমা করতে পারে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সৃষ্টি করে। যেহেতু খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস থাকে তাই কিডনি রোগীদের জন্য এটা ঝুঁকিপূর্ণ। 
  • এছাড়াও যে ঝুঁকি গুলো থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খেজুরে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে যা কিডনি রোগের জন্য হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। খেজুর রক্ত জমাট বাঁধার ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে।
  • কিডনি রোগীর জন্য যে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত খেজুর খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ পূরণ করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সীমিত পরিমান খেজুর খাওয়া উচিত। খেজুর খাওয়ার সময় রক্তে পটাশিয়াম এবং রক্তের ফসফরাসের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। বিকল্প হিসেবে আপনি কিডনি রোগী হলে আখরোট বাদাম কুমড়ার বীজ সূর্যমুখী বীজ তিল খেতে পারেন এগুলোতে ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকে। 
  • তবে কিডনি রোগীর জন্য খেজুরের সম্ভাব্য উপকারিতা পাওয়া যায় যাদের কিডনির জিএফ আর আসির কাছাকাছি বা এর ওপরে তাদের জন্য এই খেজুর কম সমস্যা করতে পারে। অল্প পরিমাণ গ্রহণে কিছু উপকারিতা পেতে পারে যেমন প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে খেজুরের প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতি চিনি রয়েছে। যা কিডনি রোগের জন্য দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে বিশেষ করে ক্ষুধা মন্ত্র এবং দুর্বলতাই এর উপকার বেশি। 
  • খিচুড়ি থাকা চিনি দ্রুত শোষিত হয় এবং শরীরে শক্তির স্তর বাড়ায়, খেজুরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আঁশ থাকে নিয়মিত অন্তের কার্যকলাপ উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে কোষ্ঠকাঠিন্য কিডনি রোগীর মধ্যে একটি বেশ প্রচলিত সমস্যা। খেজুরে থাকা আঁশ মদের পরিমাণ বাড়ে এবং অন্তের মসৃণতা চলাচল উন্নত করে। এছাড়াও যে উপকারিতা গুলো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি প্রদাহ কমা এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। 
  • খেজুরে থাকা খনিজ পদার্থ যেমন পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম হৃদপিন্ড স্বাস্থ্যের উপকারিতা করে। ভিটামিন বি রয়েছে যা কমপ্লেক্স বিপাকীয় ক্রিয়া-কলাপে উন্নত করে। আরো একটি জানার বিষয় যে রোগের পর্যায়ে বা কিডনি রোগের জন্য খেজুর উপযুক্ত কিনা তার জন্য কিডনি রোগীর যে পর্যায়ে রয়েছে সেই পর্যায়গুলো জানা উচিত প্রথম পর্যায়ে কিডনি রোগীর সামান্য খেজির খাওয়া যেতে পারে। 

কারণ খেজুরে উচ্চ পটাশিয়াম ও উচ্চ ফসফরাস সমৃদ্ধ খাওয়র যার ফলে এটি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে তবে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম ও ফসফরাস না থাকলে এটি সেবন করা যায়। পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিডনি রোগীদের খেজুর খাওয়া যায় চিনা তা নির্ভর করে উপযুক্ত পরিমাণ পরামর্শ বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তথ্য জেনে। ডাক্তার ও ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ আপনার কিডনির সমস্যা থাকলে খেজুর খাওয়া যাবে কিনা এবং আপনার খাবার তালিকায় খেজুর রাখা যাবে কিনা তা বুঝিয়ে দেবে। 

কিডনি রোগী কি কি ফল খেতে পারবে জানুন বিস্তারিত 

কিডনি রোগী কি কি ফল খেতে পারবে তা আমাদের জানা উচিত কারণ কিডনির সমস্যা হলে বিশেষ করে উচ্চ পটাশিয়াম জড়িত সমস্যা বা উচ্চ ফসফরাস জড়িত সমস্যা শরীরে দেখা দেয়ার ফলে কি কি সমস্যা হয়। তাই আপনার শরীরে যদি উচ্চ পটাশিয়াম ও ফসফরাস বিদ্যামান থাকে তাহলে আপনার শরীরের এই উপস্থিতির কারণে আপনাকে যেই যেই ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে সেগুলো দেখে নিন।

কিডনি রোগী কি কি ফল খেতে পারবে: 

  • বেদেনা: এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিপূর্ণ তাই শরীরের প্রধান জড়িত সমস্যা দূর করতে পারে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং রক্তের ক্ষতিকারক ক্লোরেস্টল কমিয়ে হার্ট সুস্থ রাখে পাশাপাশি আপনার শরীরের কিডনির সুস্থ রাখে।
  • বেরি জাতীয় ফল: ইজ জাতীয় ফলের মধ্যে স্ট্রবেরি কালো জামচের ইত্যাদি ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ বুলেট এন্টি অক্সিডেন্ট পরিপূর্ণ তবে সোডিয়াম ও ফসফরাস অনেক কম থাকে যার কারণে কিডনির জন্য বেশ উপকারী।
  • আপেল: আপেলে পটাশিয়াম ও ফসফরাস অল্প পরিমাণে থাকে যা কিডনির জন্য বেশি উপকারী কিডনি সমস্যা থাকলে এই জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে যে খাবারে পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা উচ্চ পরিমাণে থাকে। 
  • সাইট্রাক্স ফল : সাইটাস ফলের মাঝে রয়েছে কমলালেবু, আঙ্গুর, লেবু ইত্যাদি এগুলো প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা কিডনির পাথরের মত রোগ নিরাময় করে।
  • আনারস: আনারসে আছে ব্রোমেলাইন যা কিডনির পাথর অপসারণ করতে পারে যা দ্রবীভূত হয়ে যায় এর জন্য এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সিও রয়েছে যা কিডনির জন্য উপকারী। 
  • তরমুজ: এটিতে পশুর পরিমাণ পানীয় জাতীয় খাবার এবং এতে পটাশিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ খুবই কম তাই এই খাবারটি কিডনি রোগীদের জন্য উপযুক্ত একটি খাবার।
কিডনি রোগী কি কি ফল খেতে পারবে
এছাড়া নিচে যে খাবারগুলো উল্লেখ করা হলো এগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে এবং উচ্চ ফসফরাস সমৃদ্ধ যার ফলে এ খাবার গুলো কি কি রোগীরা খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো। কিডনি রোগীদের একটা জিনিস পাতয় রাখা উচিত যে যাদের পটাশিয়াম উচ্চ পরিমাণে শরীরে যেকোনো সময় কম বেশি হয় এবং ফসফরাসর মাত্রা অতিরিক্ত তারা নিচের ফলগুলো খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন। 

  • কলা 
  • কমলা ও কমলার রস 
  • আম 
  • খেজুর 
  • কিউই
  • আঙ্গুর 
  • পেঁপে 
  • শুকনো ফল যেমন কিসমিস বাদামি ফল 

অতিরিক্ত সতর্কতার প্রয়োজন ডায়ালাইসিস রোগীরা ডায়ালাইসিস রোগের জন্য এই খাবারগুলো ক্ষতিকারক কারণ কিছু ফল খাওয়া যেতে পারে তবে নিয়ন্ত্রণ বা সীমিত পরিমাণে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীরা চিনি সমৃদ্ধ ফল এড়িয়ে চলতে পারেন। বিশেষ করে কিডনি রোগেরা খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন নিয়ম মাপিক খাদ্য তৈরি করে খাওয়া উচিত। এছাড়া খাদ্য তালিকায় তৈরীর সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে পটাশিয়াম ও নানু ইলেক্ট্রোলাইট এর মাত্রা পর্যবেক্ষণ করুন ফল খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে এবং পরিষ্কার করে সীমিত পরিমাণ খান। 

কিডনি রোগী কি ডিম খেতে পারবে জানুন 

কিডনি রোগী কি ডিম খেতে পারবে এই বিষয়টিও আমাদের জানা উচিত কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে পরিমিত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করা উচিত। কিডনি রোগীদের জন্য যেসব খাবার খাওয়া উপযুক্ত তা খাতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ উন্নত ভাবে নিতে হবে পাশাপাশি ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তবে কিছু ক্ষেত্রে কি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ডিমের সাদা অংশ খাওয়া বাঞ্ছনীয়। 

ডিমের সাদা অংশে পর্যাপ্ত পরিমাণ সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস থাকে। ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার মাধ্যমে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। হাঁস মুরগির ডিম খেতে পারেন সীমিত পরিমাণে তবে কিছু সমস্যা থেকেই যায়। তাদের জন্য একটি সহজ উপায় কিডনি রোগ ও লিভারের সমস্যা থাকলে আপনি ব্রয়লার মুরগি বা দেশি মুরগি অথবা হাঁসের ডিম খাওয়া থেকে বিরত থেকে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ কোন রোগ হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় জেনে নিন তার প্রক্রিয়া

কারণ কোয়েল পাখির ডিমে ভিটামিন এ ওয়ান মুরগির ডিমের থেকে ৬ গুণ বেশি আয়রন ও ফসফরাস অনেক পরিমাণ থাকে তাই যাদের ফসফরাস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তারা এই ডিম খেতে পারেন। তবে আপনি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারবেন কুসুম না খাওয়ায় ভালো সাদা অংশের চাইতে কুসুমে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস ও বেশি মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে যা কিডনির সমস্যা বৃদ্ধি করে দিতে পারে। 

ডিম কিডনি রোগের জন্য একটি ভালো প্রোটিনের উৎস হতে পারে তবে সঠিকভাবে বেছে নেওয়া উচিত তবে একটি মানুষের কিডনি সমস্যা বা শারীরিক বিভিন্ন রোগ থাকলে ও রক্তের রিপোর্টের উপর নির্ভর করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খাওয়া যায় তবে উচ্চ পরিমাণের কিডনি সমস্যা থাকলে এই ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকায় স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। 

কিডনি রোগী কি আম খেতে পারবেন জানুন 

কিডনি রোগী কি খেতে পারবে এটা জানা উচিত কারণ কিডনি রোগীর বিভিন্ন ফলমূল এবং নানা ধরনের খাবার খাওয়ার প্রয়োজন তার শারীরিক বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার জন্য। শরীরের একটি অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গ হচ্ছে কিডনি যার মাধ্যমে শরীর থেকে বিভিন্ন দূষিত এবং খারাপ বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায় যার জন্য শরীর সুস্থ থাকে। 

তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদের শরীরে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম এবং ফসফরাসের মাত্রা দেখা যায়। তারা যেন এই কিডনি রোগীর জন্য বিভিন্ন খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম পালন করতে হয়। সেদিক থেকে অত্যন্ত পুষ্টিকর কিডনি রোগীর ফল নির্বাচন করার সময় অক্সালিক এসিড ইউরিক এসিড পটাশিয়াম সহ আরো অনেক ধরনের উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় আম খাওয়ার ফলে তেমন কোন ক্ষতি হয় না।

যারা ডায়ালাইসিস করছেন ডায়ালাইসিসের দিন একটি আম খেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগীদের চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সঠিক খাবার নির্বাচন। রক্তে ইলেকট্রোলাইটস হিমোগ্লোবিন, ইউরিক এসিড রক্ত ও প্রসাবের অ্যালবুমিনের পরিমাণ নির্বাচন করে কিডনি রোগীর চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। ১০০ গ্রাম আমের প্রায় ১৬৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পাওয়া যায়। তবে একজন মানুষের রক্তের পটাশিয়াম ইউরিক এসিড নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকলে আম খেতে পারবেন। ডায়ালাইসিস থাকলে দিনে সর্বোচ্চ একটি আম খাওয়া যায়।

কিডনি রোগী কি কি খেতে পারবে না জানা দরকার 

কিডনি রোগে কি কি খেতে পারবে না এ বিষয়গুলো আমাদের জানা উচিত কারণ একজন কিডনি রোগী তার শরীরের উচ্চ পটাশিয়াম এবং ফসফরাসের উপস্থিতির কারণে বিভিন্ন উৎসব ফসফরাস পটাশিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হয়। কিডনি রোগী কি কি খেতে পারবে না তার মধ্যে উল্লেখ করা হলো যে খাবারগুলো একেবারে নিষেধ।

কিডনি রোগী কি কি খেতে পারবে না

কিডনি রোগী কি কি খাবার খেতে পারবে না এর মধ্যে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড যুক্ত খাবার যেমন, কলিজা, শিমের বিচি, বরবটি, ছোলা, শুটকি, সামুদ্রিক মাছ খাওয়া অনুচিত, কোল্ড ড্রিংস খাওয়া যাবে না। এই খাবারগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণ পটাশিয়াম ও ফসফরাস বিদ্যমান যা খাওয়ার ফলে আপনার কিডনি সমস্যা আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি হয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না - গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

তবে আপনি কিছু কিছু খাবার গ্রহণ করতে পারবেন। যে খাবার গুলোতে পটাশিয়ামের মাত্রা অতিরিক্ত কম রয়েছে এবং ইউরিক এসিড যা ক্ষতিকারক যে প্রভাব রয়েছে সেগুলো কম তার মধ্যে মুলা, পেঁয়াজ, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গে, করোলা, ব্রকলি, শসা, এগুলো খাওয়া যাবে। এই খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে কিডনি রোগীর কোন ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নাই। 

কিডনি রোগী কি তরমুজ খেতে পারবে জানুন 

অনেকে জানতে চাই যে কিডনি রোগী কি তরমুজ খেতে পারবে। তরমুজ একটি তরল জাতীয় পদার্থ যার অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে এটি শরীরের জন্য অনেক ভাবে কাজ করে। কিডনি রোগী কি তরমুজ খেতে পারবে এ বিষয়টি যদি আপনি না জানেন তাহলে তথ্যগুলো বিস্তারিত দেখুন অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে কিডনি রোগীর জন্য তরমুজ খাওয়া উচিত না অনুচিত।

তরমুজ খাওয়ার সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা কিডনি রোগীদের জন্য: 

  • সুবিধা: তরমুজে কম ক্যালরি থাকে যার ফলে শরীরের জন্য হালকা, পানির পরিমাণ বেশি থাকে এর জন্য এটি পানি শূন্যতা এবং ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা দূর করে। 
  • সীমাবদ্ধতা: উচ্চ পটাশিয়াম তরমুজে রয়েছে যার ফলে তুলনামূলকভাবে বেশি খাওয়া ক্ষতিকারক যদি রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে তাহলে তরমুজ এড়িয়ে চলা উচিত। 
  • পানি সংরক্ষণ সমস্যা: কিডনি রোগীদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঠিকমতো বের না হলে তরমুজ খাওয়া সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এটি তরমুজের অতিরিক্ত পানি যোগ করে। 
  • ডায়ালাইসিস রোগীদের ক্ষেত্রে: ডায়ালাইসিস রোগীদের কি জন্য নির্ধারিত পটাশিয়াম এবং পানির সীমা থাকে তাই তরমুজ খাওয়ার আগে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। 
  • তবে নিজের পরামর্শ গুলো দেখতে পারেন: সীমিত পরিমাণে রক্তের পটাশিয়ামের মাত্রা এবং দৈনিক পানি গ্রহণের সীমা যদি ঠিক থাকে তবে অল্প পরিমাণে তরমুজ খাওয়া যায়।
  • রোগীর পরিস্থিতি বুঝে: ক্রমিক কিডনি ডিজিজ এর প্রাথমিক ধাপে তরমুজ সীমিত পর্যায়ে খাওয়া যেতে পারে তবে উন্নত ধাপে তরমুজ সাধারণত এড়িয়ে চলা উচিত। 

তরমুজ কিডনি রোগীদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে কি না তা নির্ধারিত করে তরুণ রোগীদের শারীরিক অবস্থা ও পুষ্টির চাহিদার উপর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার জন্য ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। সুতরাং আপনার যদি কিডনির সমস্যা থাকে তাহলে আমাদের এই পুরো পোস্টটি যদি পড়ে থাকেন তাহলে কিডনির সমস্যা হলে যে সকল বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যে বিষয়গুলো অবলম্বন করে অনুসরণ করে বেঁচে থাকতে হবে তা বুঝতে পারবেন।

কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে তা নিয়ে শেষ মন্তব্য 

কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে কিডনি রোগী কি ধরনের খাবার খেতে পারবে এবং কি ধরনের খাবার খেলে কিডনি রোগের সমস্যা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। একজন মানুষের জীবন থেকে সকল সমস্যা যেহেতু চিরতরে দূর করা যায় না তাই কিডনি রোগ মানুষের হতে পারে তাই এ ধরনের সমস্যা হলে আপনি কি ধরনের খাবার গ্রহণ করবেন এবং বর্জন করবেন তা এই পোস্টে উল্লেখ করেছি। এ তথ্যগুলো আশাকরি আপনার উপকারে আসবে। 

এবং আরো জানতে পারবেন যে কি কি সমস্যা হলে মানুষের কিডনি রোগ হতে পারে এবং কোন সমস্যা গুলো ফলো করে এবং নিয়ন্ত্রণ রাখলে আপনার কিডনি রোগের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। একজন মানুষ কিডনি রোগী হওয়ার পরও কি ধরনের খাবার গ্রহণ করলে সুস্থ থাকবে এবং কি ধরনের খাবার খেয়ে কৃতি রোগের সাধারণ সমস্যার দ্বিগুণ হয়ে যাবে তা আপনি এই পোস্টের ভিতরে বিস্তারিত জেনেছেন বলে আশা করা যায়। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url