প্রয়োজনীয় নিম গাছের ছালের ৩১টি উপকারিতা জানুন

নিম গাছের ছালের উপকারিতা এবং নিম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ এখানে উপস্থাপন করা হবে নিম গাছের পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিম পাতার বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা।

নিম গাছের ছালের উপকারিতা

নিম পাতার ব্যবহার খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়। একজন মানুষ নিমপাতা ব্যবহার করার ফলে কি কি রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে এবং নিম ফল খেলে কি হয় নিম গাছের বর্ণনা, নিম গাছের গোত্র কি এছাড়াও আরো বিস্তারিত তথ্য যা আপনার অনেক উপকারে আসবে কারণ নিম গাছ মহা ঔষধি গাছ।

পোস্ট সুচিপত্রঃ প্রয়োজনীয় নিম গাছের ছালের উপকারিতা জানুন

নিম গাছের ছালের উপকারিতা জানুন 

নিম গাছের ছালের উপকারিতা যা আমাদের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত হয় সেই উপকারিতা গুলো আমাদের জানা থাকলে আমরা এই নিম গাছের ছাল ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হতে পারবো। নিম গাছের ছাল অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিভিন্ন রোগ বালাই সারার জন্য অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এসে মানুষ এখন নিম গাছের ছাল তেমন ব্যবহার করে না। 

  • নিম গাছের ছাল কৃমির মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা পাতলা হয়ে যায় এবং গরু ছাগলের কৃমি গৃহপালিত পশুর কৃমি হলেও এটি ব্যবহার করা যায়। এর জন্য আপনাকে ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুড়া দিনে তিনবার সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। 
  • কফ জড়িত বুকের ব্যথা: কফ জমে থাকা বুকে বিভিন্ন ব্যথা স্বরূপ সমস্যা হলে আপনার বুকের কফকে সহজেই তুলে ফেলতে অথবা ভালো করে ফেলার জন্য যে কাজটি করবেন, আপনাকে ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার খেতে হবে তাহলে কফ জমে থাকার কারণে বুকের ব্যথা ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যাবে।
  • উকুন নাশক: নিমের পাতা বেটে হালকা করে মাথায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে এই নিমের পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিসেপটক উপাদান থাকার কারণে আপনার মাথায় উকুন দূর হয়ে যাবে এর জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ভালো করে মাথায় মাখিয়ে তিন-চার ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। 
  • অজীর্ণ: বিভিন্ন পেটের সমস্যা যেমন, পেট ব্যথা পেট কামড়ানো পাতলা পায়খানা এ সকল সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়ার জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রস অর্ধেক কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল বিকাল খেলে এক থেকে  দুই দিনে চিরতরে মুক্তি।
  • পসরা বা খোশ: শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রস্রাব বা কোষ থেকে বাঁচার জন্য আপনি নিমপাতা বেটে নিয়ে সে নিমপাতা সারা শরীলে মাখতে পারেন অথবা নিমপাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সে পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে চুলকানি সহস্রা এবং বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা দূর হবে। 
  • দাঁতের রোগে: দাঁতের রোগ নিরাময় করার জন্য নিম পাতা ও নিম পাতার ছালের গুড়া কিংবা নিমের ছাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত মজবুত হয় এবং রোগ মুক্ত হয়।
  • ক্ষত সারাতে: অনেক সময় দেখা যায় অনেক কাজ বা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ক্ষত সৃষ্টি হয় সেই ক্ষত থেকে বিভিন্ন জীবাণু এবং বড় ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা থেকে নিমিষেই পাতার জন্য আপনি সেই ক্ষত জায়গায় নিম গাছের ছালের পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন অথবা নিম গাছের ছালের গুড়া ব্যবহার করতে পারেন। 

উক্ত উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আপনি সঠিক নিয়ম অবলম্বন করে যদি ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই নিম গাছের ছালের উপকারিতা পাবেন কারণ মানুষ ঠকাতে পারে কিন্তু গাছ বা উদ্ভিদ কখনো মানুষকে ঠকায় না তার কাছে ঠিক করবে তাই বিশ্বাস রেখে যদি নিমপাতা বা নিমের ছাল ব্যবহার করেন তাহলে অনেক ধরনের উপকারিতা পাবেন। নিমপাতা এবং নিম ব্যবহার করে যে ধরনের উপকারিতা গুলো পাবেন তার আরো বিস্তারিত বিষয়ে নিজ আলোচনা করা হলো।

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন 

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের জানা প্রয়োজন আপনি যদি নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিতে পারেন সকল অজানা তথ্য এবং আকর্ষণীয় উপায় যে উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই নিম পাতা ব্যবহার করে আপনার শরীরের এবং আপনার গৃহপালিত পশুর রোগ বালাই ভালো করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ২২ টি কার্যকারী টিপস 

  • হজম শক্তি উন্নত করে। 
  • ক্লান্তি দূর করে। 
  • কাশি কমাতে সাহায্য করে 
  • ক্ষত সারাতে সাহায্য করে 
  • বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে 
  • ব্যাকটেরিয়া ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে 
  • মুখে রুচি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে 
  • শুক্র নাশক হিসেবে ব্যবহার করা যায় 
  • ত্বকের পুনর্জীবিত হয় 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে 
  • ওজন কমায় 
  • ভাইরাস প্রতিরোধ করে 
  • এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে 
  • চোখের চুলকানি দূর করে 
  • ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকারী ভূমিকা রাখে 
  • মাথায় খুশকি দূর করতে সাহায্য করে 
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে 
  • উকুন দূর করতে সাহায্য করে 
  • দাঁতের রোগ নিরাময়ে 
  • বাত নিরাময় করতে পারে 
  • চর্মরোগ নিরাময় করতে পারে 
  • রক্ত পরিশোধন করতে সাহায্য করে

উক্ত উপকারিতা গুলো নিমপাতা ব্যবহার করার মাধ্যমে এবং নিম ব্যবহার করার মাধ্যমে একটা মানুষ পেতে পারে এই উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে যে নিয়মগুলো ধারাবাহিকভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে তাই আপনি এই পোস্টটি থেকে বিস্তারিত সকল তথ্য জানার জন্য পর্যায়ক্রমে পোস্টটি পড়তে থাকুন এবং জেনে নিন কিভাবে নিমপাতা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং তা ব্যবহার করতে পারবেন। 

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আরো কিছু তথ্য 

নিমপাতা প্রাচীনকাল থেকে একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক ও রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিম পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি ইনফ্লামেন্টরি এবং এন্টি ফাঙ্গাল গুন রয়েছে। এর বিশেষ উপকারিতা আপনারা উল্লেখিত উপায়ে ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে উপস্থাপন করা হলো কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় কি উপায়ে। 

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: নিপাত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে এতে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে, এর জন্য প্রতিদিন কয়েকটি তাজা নিমপতা চিবিয়ে খেয়ে পানি খেয়ে নিতে হবে।
  • ওজন কমায়: নিমপাতা মানুষের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাধারণত ভূমিকা রাখে এটি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত চর্বি দূর করতে সাহায্য করে, যাদের তলপেটে বিশেষ করে বেশি চর্বি রয়েছে তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন, এক মুঠো নিম ফুলের চূর্ণের সাথে এক চা চামচ মধু একট চামচ আধা লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন। 
  • ভাইরাস প্রতিরোধে: প্রাচীনকালের উপমহাদেশ থেকে এ প্রচলনটা বেশি ব্যবহৃত হয় আসছে তারা আধুনিক চিকিৎসার উন্নতি হওয়ার আগে চিকেন পঞ্চ, হাম, চর্মরোগ হলে নিম পাতা বাটা ব্যবহার করত নিমপাতা পানিতে সিদ্ধ করে সে পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিত এবং শরীরে জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি দুর হয়ে যেত।
  • এলার্জি দূর করতে: এলার্জি সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছুদিন নিয়মিত নিমপাতা পানি ফুটিয়ে গোসল করতে হবে, আরো একটি কাজ করতে পারেন সেটি হচ্ছে নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে সারা শরীরে মেখে নিতে পারেন। 
  • চোখ চুলকানি দূর করতে: চোখ চুলকানি দূর করার জন্য আপনি নিম পাতার পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে অথবা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে চোখে ধুয়ে দিতে হবে একটু পর পর তাহলে এই চোখের চুলকানি সমস্যা দূর হবে।
  • ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী: যাদের ম্যালেরিয়া সমস্যা রয়েছে তারা নিমপাতা সিদ্ধ পানি ঠান্ডা করে স্প্রে করা যায় এমন বোতলে রেখে দিতে হবে এরপর ঘরে স্প্রে করতে হবে এবং মশার উপদ্রব যেন না থাকে সেজন্য নিম পাতার রস খান। 
  • পোকামকড় এর ব্যথা দূর করা: পোকামাকড়ের কামড়ের যে ব্যথা সৃষ্টি হয় সেই ব্যথা থেকে বাঁচার জন্য আপনি সহজেই একটি কাজ করতে পারবেন সেই কাজটি হচ্ছে নিম গাছের মূলের ছাল নিয়ে সেই আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে দিতে হবে। এছাড়া বেশি বিষাক্ত পোকার কামড় হলে সরাসরি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। 
  • খুশকি দূর করে: নিমপাতা খুশকি দূর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এজন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে নিমপাতা ব্রিটেন নিতে হবে এবং সেই নিমপাতা মাথায় লাগাতে হবে, নেম থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক উপাদান খুশকি দূর করতে সহযোগিতা করে মাথার তালুর শুষ্কতা এবং মাথার তালুর শুষ্কতা এবং চুলকানি দূর করার জন্য ভূমিকা রাখে। ইদ্দত না আপনাকে এক মুঠ পরিমাণ নিম পাতা নিয়ে গরম পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত সেই পানির রং সবুজ না হয়। 
  • সে পানি দিয়ে আপনি সপ্তাহে দুই তিন সপ্তাহ নিয়মিত গোসল করলে আপনার মাথার খুশকি দূর হয়ে যাবে মাথার বিভিন্ন ছোটখাটো জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি সমস্যা থাকলে নিমিষেই ভালো হয়ে যাবে। আশাকরি এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি অনেক উপকৃত হবেন বলে মনে করি আমি কারণ এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। 
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে সকালে পাঁচটি গোলমরিচ ও ১০ টি নিম পাটা বেটে নিতে হবে এবং সেগুলো সকালে খালি পেটে খাবর অভ্যাস করতে হবে, এর ফলে আপনার রক্তনালীকে প্রসারিত করতে সাহায্য করবে রক্ত প্রবাহ উন্নত হবে। যার ফলে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চারণ দ্রুত হবে এবং অতিরিক্ত রক্তে বিদ্যমান শতকরা নিয়ন্ত্রণ করবে।
  • উকুন দূর করতে: উকুন দূর করার জন্য আপনি যে কাজটি করবেন সেটা হচ্ছে মাথায় নিমপাতা বেটে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন তাহলে আপনার মাথায় উকুন থাকলে তা ভালো হয়ে যাবে। 
  • দাঁতের রোগ নিরাময় করতে: দাঁতের রোগ নিরাময় করার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে, নিমপতা অথবা নিমের গাছের ছাল, নিমের গাছের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে এবং এই কাজটি নিয়মিতভাবে করলে অবশ্যই দাঁতের সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 
  • বাত নিরাময় করতে: বাত এর ব্যথা বা বা বা এর নিরাময় করতে আপনি নিমের তেল ব্যবহার করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে নিমের তেলের মেসেজ বাতের ব্যথায় ব্যবহার করলে অত্যন্ত উপকার পাওয়া যায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে নিম্নের পাতা নিমের বীজ ও বাকলে ব্যবহৃত হয় এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করলে কাজে লাগে। 
  • চর্ম রোগ নিরাময় করে: বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ যেমন ব্রণ ফোসকা একজিমাসহ আরো অন্য ধরনের ত্বকের সমস্যার রয়েছে যেগুলো ভালো করার জন্য আপনি নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন এর জন্য যে স্থানে সমস্যা সেই স্থানে নিমপাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। 
  • রক্ত পরিশোধনে: রক্ত পরিশোধন করার জন্য নিমপাতা শরীরে ব্যবহার করা যায় এটি শরীরে দূষিত টক্সিন বের করে যায় যার কারণে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হতে বাধা পাই। 
  • কৃমিনাশক হিসেবে: ক্রিমিনাশক হিসেবে নিম পাতা ব্যবহার করা যায় নিমপাতা অস্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং কৃমি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। 
  • চুলের যত্নে: চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আপনি নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন মাথার ত্বকের ইনফেকশন দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে পাশাপাশি মাথায় চুল পড়া কমায়।
  • জন্ম নিয়ন্ত্রণে: নিম তেল একটি শক্তিশালী শুক্রাণু নাশক হিসেবে কাজ করে তাই জন্মনিয়ন্ত্রণ করার সময় অনেকেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে।
  • প্রাচনতন্ত্রের বা হজম শক্তির উন্নতি: হজম শক্তি বা পাচন তত্ত্বের দুর্বলতার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং হজম শক্তি গ্যাস্ট্রিক সহ নানা ধরনের পেটের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আপনি নিয়মিত নিমের রস রাতে এবং সকালে খাওয়ার অভ্যাস করুন। 
  • আঁচিল ও ফোড়া দূর করতে: নিম পাতা আঁচিল এবং ফোড়া দূর করার জন্য বিশেষ উপকারী আপনার যদি কোথাও ফোড়া থাকে তাহলে নিমপাতার পেস্ট লাগিয়ে দিতে পারেন এছাড়া এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য আপনি ক্ষতই তেল নিমের তেল অথবা নিম গাছের ছালের বা বাকল লাগাতে পারেন।

এতক্ষণ আপনাদের সামনে আলোচনা করা হলো নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে যেই উপকারিতা গুলো জানার মাধ্যমে আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে কি ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই নিম পতা ব্যবহার করা হয়। প্রাচীন উপমহাদেশ থেকে ৫০০০ বছর পূর্বে এই ওষুধে গাছগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে নিমপাতা ১৩০ টিরও বেশি ঔষধি গুনাগুন সমৃদ্ধ। নিম পাতা গোটা বিশ্বের কাছে একটি স্বাস্থ্য সংস্থার দৃষ্টি হয়ে রয়েছে এর অনেক গুরুত্ব সে কারণে তারা একে একুশ শতকের বৃক্ষ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এবার নিচে জেনে নিন এর ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে কি এবং সে দিক গুলো কোনগুলো।

নিম পাতার অপকারিতা - নিম পাতার ক্ষতিকর দিক 

নিম পাতার অপকারিতা বা নিম পাতার ক্ষতিকর দিকগুলো দেখুন যা আপনার জানা উচিত কারণ মানুষ অনেক ক্ষেত্রে নিমপাতা ব্যবহার করে বিশেষ উপকারিতা পাওয়ার জন্য তাই আপনাকে অবশ্যই ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানা উচিত তাহলে সঠিক উপকারিতা পাবেন। সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে বিশেষ ক্ষেত্রে মানুষের নিমপাতা অনেক ক্ষতিকর প্রভাব বয়ে নিয়ে আসে যেই বিষয়গুলো এখানে উপস্থাপন করলাম।

আরো পড়ুনঃ জাদুকারি পুদিনা সিরাপ খেলে কি মোটা হয় কার্যকরী বিভিন্ন উপায় 

  • খালি পেটে বেশিদন নিম পাতা খেলে উপকারের যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তাই অবশ্যই অভ্যাস না থাকলে খালি পেটে নিম পাতা খাবেন না। 
  • কারো যদি নিম পাতা খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব পাতলা পায়খানা এবং তাৎক্ষণিক মাথা ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 
  • নিমপাতা অনেক সময় বন্ধ্যাত্বতার কারণ হয়ে থাকে তাই যারা সন্তান নিতে চান তারা অতিরিক্ত নিম সেবন থেকে দূরে থাকুন। 
  • কারো যদি বিভিন্ন সমস্যার কারণে অপারেশন করার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই দুই সপ্তাহ পূর্ব থেকে নিমপাতা গ্রহণ করা বন্ধ করে দিন কারণ এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিমপাতা উপযোগী নয় এটা গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
  • এছাড়াও যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা এই নিম পাতার সেবা গ্রহণ থেকে দূরে থাকুন। 
  • গর্ভবতী হওয়ার পূর্বে কেউ যদি নিম পাতা ব্যবহার করেন তাহলে গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • দিনে সর্বোচ্চ দুইটি নিম পাতা খাওয়া উচিত অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে। 
  • অতিরিক্ত তিক্ততা অনুভব: নিমপাতা অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে আপনার তৃতীয়তা অনুভূত হতে পারে এবং বমি বমি ভাবও মাথা ঘোরা এবং অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। 
  • হাইপোগ্লাইসেমিয়া: নিম পাতার রক্তে শতকরা মাত্রা কমাতে সাহায্য করে তবে অতিরিক্ত সেবন করলে এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে। 
  • বাচ্চাদের জন্য ঝুঁকি: বাচ্চাদের জন্য এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এটি সেবন করলে ছোট্ট বাচ্চাদের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে যেমন বমি ভাব ডায়রিয়া এবং আরো অন্যান্য সমস্যা। 
  • লিভারের ক্ষতি: নিমপাতা পর্যাপ্ত ব্যবহার করলে সুবিধা পাওয়া যায় ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করার ফলে লিভারের কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যায়। 

আশা করি বোঝাতে পেরে যে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানা উচিত। নিম পাতার ১৩০ টি রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা রয়েছে তাই এই নিমপাতা ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ভেষজ ওষুধ তৈরি করার ক্ষেত্রে আবার আধুনিক যুগে এটি বিভিন্ন আধুনিক ওষুধ তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন পরিমাণে। সুতরাং আপনি যদি সঠিক উপকারিতা গুলো পেতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন কারণ এখানে উপকারী দিক এবং ক্ষতির কারণ গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। 

নিম পাতার বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা জেনে রাখুন 

নিম পাতার বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত কারণ নিমপাতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও ঔষধি গাছের মধ্যে অন্যতম তাই আপনাদেরকে অবশ্যই নিম পাতার বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা জেনে সেটি ব্যবহার করা উচিত। নিম পাতার চেয়ে উপকারিতা গুলো রয়েছে তা ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি এই উপকারিতাগুলো পাওয়ার জন্য উক্ত নিয়মগুলো অবলম্বন করে দেখতে পারেন। এছাড়া নিম পাতার যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেই বৈশিষ্ট্য গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ শুধু অ্যালোভেরা মাখলে কি হয় ১৩ টি কার্যকারি উপকারিতা 

  • নিমের গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এটি অ্যান্টিব্যাকরিয়াল যা ব্যাকটেরিয়া জড়িত সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।
  • এটি এন্টি ফাংগাল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ এই এন্টি ফাঙ্গাস জনত রোগ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • এন্টি ইনফ্লামেন্টরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন কমায়। 
  • ডিক্সিফায়ার সমৃদ্ধ যা শরীরের দূষিত পদার্থ দূর করে দেয় এবং শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

নিম স্বাদের দিক থেকে তেতো হওয়ার কারণে এটি খাওয়ার ফলে তিতো স্বাদ পাওয়া যায় এবং এটি তোতার কারণে এটি অনেক উপকারী। এই উল্লেখিত বৈশিষ্ট্য গুলো থাকার জন্য নিম এতটা রোগের নিরাময়ক হিসেবে কাজ করতে পারে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে নিমের যে বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে এতটা শক্তিশালী একটি উদ্ভিদে পরিণত হয়েছে এবং এই শক্তির মাধ্যমে মানুষের কত উপকার করে তাই এই নিমগাছ বেশি বেশি লাগান এবং পরিবেশকে সুন্দর করুন। 

নিম পাতার ব্যবহার - এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার 

নিম পাতার ব্যবহার অনেক খেতেই হয় নিমপাতা ব্যবহার করার ফলে এলার্জি কমে এবং চুলকানি সেরে যায় এছাড়াও আরো অনেক ধরনের উপকারিতা পাওয়ার জন্য নিম পাতা ব্যবহার করা হয় নিমপাতা অত্যন্ত কার্যকরী এবং উন্নত গুণাগুণ সমৃদ্ধ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে যার কারণে নিমপাতা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় নিচে সেই নিমপাতার ব্যবহার গুলো দেখে নিন যে ক্ষেত্রে নিমপাতা ব্যবহার করা হয়।

নিম পাতার ব্যবহার - এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
  • ক্লথ তৈরি: নিমের ছাল পানি দিয়ে ফুটে ক্লক তৈরি করে সেই পানি ব্যবহার করলে গারগল করুন। 
  • পেস্ট: নিম ছাল গুঁড়া করে পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
  • গোসলে: নিম গাছের ক্লথ তৈরি করে পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে ত্বকের বিভিন্ন ইনফেকশন দূর হয়। 
  • চুল ধোয়ার জন্য: চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য মাথার খুশকি দূর করার জন্য আপনি নিম পাতার পানি ব্যবহার করলে খুশকি ও চুলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • মুখের জন্য: নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি হালকা ঠান্ডা করে কুলি করলে বা মুখে ব্যবহার করলে মুখের মাড়ির দাঁত এবং মাড়ি উভয় মজবুত হয়। 
  • ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে: ব্রন ও চর্ম রোগের জন্য নিমপাতা বেটে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগান অথবা নিম পাতার ক্লোথ দিয়ে মুখ ধুলে ব্রণ চুলকানি কমে। ফর্সা পাছা এবং একজিমার জন্য নিম পাতার পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের ইনফেকশন দূর হয়।
  • চুলের যত্নে: খুশকি চুল পড়া বন্ধ করার জন্য নিম পাতা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে খুশকি দূর হবে এছাড়াও এটি চুলের গোড়া মজবুত করতেও চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে, পাশাপাশি আপনি মাথার ত্বকের ইনফেকশন দূর করার জন্য নিমপতা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। 
  • দাঁত ও মারর জন্য: দাঁত ও মাড়ির যত্ন এবং মজবুত রাখার জন্য এবং রোগ থেকে মুক্তির জন্য আপনে নিম পাতার্ড দয়ে প্রতিদিন কুলি করতে হবে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারবেন এর সাহায্যে। 
  • রক্ত পরিশোধনের জন্য: রক্ত পরিশোধনের জন্য যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে দুই থেকে তিনটি নিমপাতা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেতে হবে। রক্ত নিম পাতার ক্লথ পান করলে রক্ত পরিশোধন হয়। 
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিদিন সকালে নিম পাতার ক্লথ পান করলে রক্তের শতকরার মাত্রা কমে যায় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
  • জ্বর ও সংক্রমণ প্রতিরোধে: জ্বর এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য নিম পর্দার ক্লথ ব্যবহার করুন এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন নিম পাতার রস খাওয়ার মাধ্যমে।
  • ক্লথ তৈরি করতে আপনাকে ১০ থেকে ১৫ টি নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে এবং এক থেকে দুইবার পান করুন। পেস্ট তৈরি করতে নিমপাতা বেটে পেজ তৈরি করে ত্বকে বিভিন্ন ক্ষত স্নে ব্যবহার করা যায়। গোসলের জন্য নিম পাতা গোসলের পানির সাথে গরম করে ব্যবহার করতে পারবেন, দাঁত ও মাড়ির জন্য নিম পাতা ক্লোথ দিয়ে কুলি করতে হবে।

উল্লেখিত উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই নিম পাতার উপকারিতা পেতে পারেন। এতে আপনার পাচন তত্ত্বের উন্নতি ঘটবে যা গ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বিভিন্ন পেটের সমস্যা দূর করবে। কিমি ও পরজীবী নাশক হিসেবে কাজ করবে আছিল ফোড়াচ্ছে বিষয়ে কাজ করবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজ করবে ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করবে।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় জেনে নিন 

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় এটা অনেকে জানে না তাই তাদের জন্য এ সংক্ষিপ্ত উপকারিতা মূলক তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হলো। এতে উপস্থিত গুনাগুন রয়েছে এসিডিটি দূর করার মতো ক্ষমতা নিম পাতা জল সিদ্ধ করে সকালে খালি পেটে পান করলে পেটের সমস্যা দূর হয়। নিম পাতায় রয়েছে ভিটামিন মিনারেল এবং অ্যানঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার ও ১০ টি কার্যকারি উপকারিতা 

খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার মাধ্যমে আমরা অনেক উপকারিতা পাই যা এই পোস্টের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এই সকল তথ্যগুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে তথ্যগুলো দেখে নিতে পারেন। নিমপাতা মানুষের রক্ত পরিশোধন করতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে কৃমি এবং পরজীবী দূর করতে পারে ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারে।

একজন সুস্থ মানুষের যকৃতকে সুরক্ষা দিতে পারে, তাই আপনার শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সুস্থ রাখার জন্য আপনি প্রতিদিন খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। যার ফলে উক্ত উপকারিতা গুলো সহজেই পেয়ে যাবেন এবং আপনার শরীরের রোগ থাকলে তা ভালো হয়ে যাবে যার জন্য আপনি সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন। 

নিম ফল খেলে কি হয় জেনে নিন 

নিম ফল খেলে কি হয় এটা অনেকেই জানেনা মনে করে যে নিম ফল আবার খাওয়া যায়। আসলে নিম ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে নিম ছত্রাকনাশক হিসেবে, ব্যাকটেরিয়া রোধক হিসেবে এবং ভাইরাস নাশক হিসেবে কাজ করে। নিম ফল খেলেও আপনি স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন নিমের মধ্যে বিশেষ গুনাগুন রয়েছে যে গুনাগুন গুলো নিম পাতা নিম ফল এবং নিমের বাকল সহ নিমের সকল অঙ্গ প্রতঙ্গের মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ বাসক পাতার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

নিম ফল কাঁচা অবস্থায় তৃতীয় এবং পাকা অবস্থায় মিষ্টি লাগে এর প্রধান কারণ হচ্ছে সব ফলের ভিতরে fluits sugar রয়েছে। যা ফলের মধ্যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ফলে মিষ্টির সেতু অধিক পরিমাণ মিষ্টি হয়ে ওঠে। এই নিমফল খাওয়ার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন যে স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলোর কথা আমাদের এই পোস্টের ভিতরে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে সেই উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আপনি নিম ফল খেতে পারেন।

নিম ফল খাওয়ার মাধ্যমে আশা করি কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যাবে। এবং আপনার নিম ফল খেলে কি হয় এ প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছেন। আদিকাল থেকেই নিম গাছের বিভিন্ন উপকারিতা মানুষ উপভোগ করে আসছে। বলা হয়ে থাকে যে বাড়িতে নিম গাছ থাকে সেই বাড়িতে রোগ বালাই কম আসে তাই আপনি আপনার বাড়ির আঙিনায় বা আশেপাশে অথবা বাড়ির ছাদে নিমগাছ লাগাতে পারেন এতে আপনার বাড়ির আশেপাশে বা বাড়ির মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। 

নিম গাছের বর্ণনা ও নিম গাছের গোত্র কি জেনে নিন 

নিম গাছের বর্ণনা দিতে গিয়ে নিম গাছের গোত্র কি তা জানা প্রয়োজন কারণ নিম গাছ অত্যন্ত উপকারী ও ঔষধি গাছের মধ্যে অন্যতম। যেই গাছ এতটাই গুনাগুন সমৃদ্ধ সেই গাছের কিছু বর্ণনা আমাদের জানা উচিত তাহলে চলুন জানি নিম গাছের গোত্র কি? নিম গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী হচ্ছে চির সবুজ, বহুবর্ষে দ্রুত বৃদ্ধি হয় খরা সহিত উচ্চ ঔষধি গুনাগুন সমৃদ্ধ।

নিম গাছের বর্ণনা ও নিম গাছের গোত্র কি

নিম গাছের গোত্র কি বিভিন্ন শ্রেণিবিন্যাস: নিম গাছ (azadirachta Indica) Meliaceae (মহাগণি) গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হচ্ছে, azadirachta Indica, পরিবার বা গোত্র, Meliaceae, গণ, azadirachta, উৎপত্তিস্থল ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এছাড়াও নিচে নিম গাছের কিছু বর্ণনা উপস্থাপন করা হলো যেগুলো সম্পর্কে জানা উচিত। যা নিম গাছ সম্পর্কে আরো ধারণা দেবে।

নিম গাছের বর্ণনা: নিম উক্ত গোত্রের একটি বহুবর্ষজীবী ও চিরহরিৎ ঔষধি বৃক্ষ, এর বৈজ্ঞানিক নাম উপরে উল্লেখ করা হয়েছে এর ডালপালা শিকড় ফল ও বাকল সবাই মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বহুভাবে ব্যবহৃত হয়। নিম গাছ সাধারণত আকৃতিতে ৪০ থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর ব্যাস ১.৫ থেকে ২ মিটার পর্যন্ত হয়। ছাল কালচে বা ধূসর বাদামী, পাতা যৌগিক ও পিনাট ধরনের, ২০ থেকে ৪০ সে,মি লম্বা। ফুল সাদা ফ্যাকাশে হলুদ বর্ণের মিষ্টি সুবাস যুক্ত, মার্চ থেকে মে মাসে ফুল ফোটে, ফল ডুমুর ফলের ফল এক থেকে তিন সেন্টিমিটার লম্বা সবুজ থেকে হলুদ রঙের হয় এবং ভিতরে একটি শক্ত বীজ থাকে।

নিম পতার রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত 

নিম পাতার রস খাওয়া উপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে যে তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে তার মাধ্যমে আপনি নিম পাতার সকল উপকারিতা গুলো পেতে পারেন। মানুষের শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ হিসেবে কাজ করে তাই আপনার শরীরের যদি বিভিন্ন রোগ বা সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সে সকল সমস্যা চিরতরে মুক্তি করার জন্য নিম পাতার রস খেতে পারেন। 

নিয়মিত এই পাতা খেলে হজম শক্তির ক্ষমতা উন্নতি করে শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। মানুষের শরীরের কাশি কমাতে সাহায্য করে ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে পাশাপাশি মূত্র সংকলিত বিভিন্ন রোগ রয়েছে সে রোগের মুক্তি দিতে পারে। পাশাপাশি ত্বকের চিকিৎসা বা ত্বকের পুনর্জীবিত করার জন্য নিম পাতা ব্যবহার করতে পারবেন। 

একজন মানুষের শারীরিকভাবে সুস্থ অবস্থায় বেঁচে থাকার জন্য নিম পাতা ব্যবহার করা প্রয়োজন নিম পাতার যে ওষুধে গুনাগুন রয়েছে তা আপনার শরীরের ইমিউনিয়ন সিস্টেমকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে এবং আপনার শরীরের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে থাকে তা সহজে সেরে আপনার শরীরকে রোগমুক্ত এবং শক্তিশালী করে তোলে যাতে আপনি একজন সুস্থ এবং সাবলীন মানুষ হিসেবে বসবাস করতে পারেন। 

নিম গাছের ছালের উপকারিতা অপকারিতা নিয়ে শেষ মন্তব্য 

নিম গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে যে তথ্যগুলো ভালো কাজের এবং প্রতিটি মানুষের উপকারে আসবে সেগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। একজন মানুষ সব সময় চেষ্টা করে সুস্থ এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে। এই সুস্থতা এবং সুন্দর জীবন যাপনের জন্য মানুষ হাজার হাজার টাকা বিভিন্ন ডাক্তার দেখানো এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে নিম গাছের ছালের উপকারিতা।

তাই নিমপাতা ব্যবহার করার মাধ্যমে মানুষ ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন ঔষধি উপকার পেতে পারে এছাড়াও বর্তমান যুগে আধুনিক সভ্যতায় এসে মানুষ ডাক্তারি বিভিন্ন চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকছে। এর জন্য বর্তমানে দিন দিন এই নিম গাছের ব্যবহার বেড়ে চলেছে প্রাচীন ভারত বর্ষ থেকে এর প্রচলন শুরু হয়েছে এবং বর্তমান যুগে সারা বিশ্বে এর ব্যবহার এবং প্রচলন বিস্তৃত পেয়েছে তাই এই তথ্যগুলো জেনে আপনি এর উপকারিতা গুলো উপভোগ করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url