ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে - সংশোধন করার উপায় জানুন

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে এটা অনেকেই জানে না। তবে দেখা যায় বিভিন্ন মানুষের ভোটার আইডি কার্ডের নাম বিভিন্ন সময় ভুল হয়ে যায়। তাই জেনে নিন এর বিস্তারিত বিষয়। 

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে
সাধারণত আমরা ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করি। যেটা আমাদের দেশের একটি পরিচিতির অংশ। একটা মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি ভোটার আইডি কার্ড। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা উচিত প্রত্যেকের।

পোস্ট সুচিপত্রঃ  আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে - সংশোধন করার উপায় জানুন

ভূমিকা 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। মানুষ যে সকল পদ্ধতি ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ডের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। তবে প্রথম অবস্থায় এই কাজটি করার সময় আমাদের জানা উচিত এ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য কি কি কাগজ প্রয়োজন হয়। একজন মানুষ ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন করতে পারে সরাসরি অফিসে যোগাযোগের মাধ্যমে সংশোধন করতে পারে।

কিছু মানুষ রয়েছে যারা জানেন না এ গুলো কিভাবে করতে হয় এবং কি ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। যে কোন সমস্যা সমাধান করার জন্য এই কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। খুব সহজে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য এ বিষয়গুলো নিতান্ত প্রয়োজনীয়। 

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে জানুন 

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে এ বিষয়ে আমাকে জানা উচিত। অনেকেরই ভোটার কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার সময় বিভিন্ন ধরনের ভুল হয়ে থাকে। কারো নাম ভুল হয়, গ্রামের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, বিভিন্ন ধরনের ভুল হয়ে থাকে। ভুলগুলো সংশোধন করার জন্য কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয় যা ছাড়া সঠিকভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায় না।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশন অনুযায়ী জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের চারটি ক্যাটাগরি রয়েছে। যা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রমাণপত্র লাগে। আপনি যদি নতুন ভোটার আইডি কার্ড পেয়ে থাকেন এবং আপনার যদি ভুল থাকে তাহলে দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চেক করে নিতে হবে। চেক করার জন্য আপনি এখানে ক্লিক করুন। 

আরো পড়ুনঃ টিকটক আইডি খোলার নিয়ম জেনে টাকা ইনকাম করার উপায় দেখুন

সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন হয়, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট থাকলে তা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলে প্রয়োজন হয়। এই কাজগুলো সংরক্ষণ এবং সংশোধন করার জন্য যে পর্যায়গুলো রয়েছে তার মধ্যে সংশোধন করার জন্য দুটি প্রমাণপত্র আপলোড করা প্রয়োজন হয়। তাই নিচে দেওয়া তথ্যগুলো দেখে নিন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন। 

নামের বানান ও আংশিক পরিবর্তনের জন্য যে কাগজপত্র লাগে

ভোটার আইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন করার জন্য যে কাগজ গুলো লাগে তা নিচে দেখে নিন। এই কাগজগুলো জমা দেয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার তথ্যগুলোকে সঠিক নির্বাচন করার জন্য এবং সংশোধন করার জন্য কাজে লাগাতে পারবেন। সাধারণত কারু নামের বানান ভুল থাকলে এবং ছোটখাটো পরিবর্তন করার জন্য এই বিষয়গুলো প্রয়োজন হয়। 

  • জন্ম নিবন্ধন
  • যদি পাসপোর্ট থাকে তাহলে প্রয়োজন হয়। 
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে তা দিলে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। 
  • সন্তানের পাবলিক পরীক্ষার সনদ। 
  • এবং অন্যান্য সন্তানের জাতীয় পরিচয়পত্র। যার সমস্যা তার ভাই বোনদের ভোটার আইডি কার্ড এর কপি। 
  • আবার এমপিও সার্ভিস বইয়ের কপি প্রয়োজন হয়। 
  • যদি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন তাহলে বিবাহের কাবিননামা লাগতে পারে। 
  • পিইসি জেএসসি এইচএসসি সমমানের পরীক্ষার সনদপত্র। 
  • উল্লেখিত কাগজপত্র জমা দিতে হয় নামের আংশিক পরিবর্তন করতে।
  • ভোটার আইডি কার্ডের সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করতে যা লাগে 

ভোটার আইডি কার্ড সম্পূর্ণ পরিবর্তন করার জন্য একটু বেশি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় উপরে যে আংশিক পরিবর্তন এর জন্য ব্যবস্থাপক প্রয়োজন হয়েছে। এ কাগজপত্রগুলো পাশাপাশি আরো কিছু কাগজ পত্র জমা দিতে হবে। এই কাগজপত্র জমা দিলে এত খুব সহজেই এই কাজটি করতে পারবে। নিচে দেওয়া অতিরিক্ত যে সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করতে কাগজপত্র লাগবে তা দেখে নিন। 

  • হলফনামা 
  • তদন্ত প্রতিবেদন 
  • উপজেলা নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদন। 
  • পিতা-মাতার নাম পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

পিতা-মাতার নাম পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে। তা সম্পূর্ণ করার জন্য নিচে দেওয়া কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হয়। প্রত্যেকটা সংশোধনী কাগজপত্র তৈরি করার জন্য উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো প্রয়োজন। পাশাপাশি আপনি যদি আপনার পিতা-মাতার নাম পরিবর্তন করতে চান। তাহলেও সেই একই কাগজটা করে প্রয়োজন হবে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভের ৮টি উপায় গুলো বিস্তারিত জানুন

আপনার ভাইবোনদের মধ্যে সকলের যদি নাম ঠিক থাকে এবং আপনার পিতার নাম অথবা তার নাম যদি কোন পরিবর্তন থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে যে কাজটি করতে যে সকল কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করতে হবে। ভুল সংশোধন করতে আপনাকে প্রথমে অফিশিয়াল ভাবে যোগাযোগ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন অফিসে তারা আপনাকে সফল বিষয় বলে দেবে এবং আপনি উক্ত কাগজপত্র নিয়ে যাবেন। 

জাতীয় পরিচয় পত্রে স্বামী-স্ত্রীর নাম সংশোধন করতে যে কাগজ লাগে 

যে কাগজপত্র গুলোর ভিতরে আপনার ভাই বোনের জাতীয় পরিচয় পত্র আপনার পিতা-মাতার অরজিনাল জাতীয় পরিচয় পত্র। এবং যেই সংশোধিত কাজটি সমাধান করবেন তার জন্য সকল বিষয়ে উপযুক্ত প্রমাণাদি দিয়ে আপনাকে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। আবার কিছু কিছু মানুষ রয়েছে তাদের স্বামী স্ত্রীর নাম পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে। এর জন্য যে কাগজপত্র গুলো লাগে তা দেখে নিন। 

  • জাতীয় পরিচয় পত্রে স্বামী-স্ত্রীর নাম সংশোধন করতে যে কাগজ লাগে 
  • ভোটার আইডি কার্ডের স্বামী স্ত্রীর নাম সংশোধন করতে প্রয়োজন হয় যে কাগজপত্রগুলো তা নিচে উল্লেখ করলাম। আপনি শুধু ভোটার আইডি কার্ডের স্বামী স্ত্রীর নাম সংশোধন করতে চান তাহলে এই কাজগুলো আপনাকে করতে হবে এবং গুরুত্ব কাগজগুলো প্রয়োজন হবে। 
  • এর জন্য প্রয়োজন হবে তালাকনামা ও নতুন বিবাহের কাবিননামা।
  • সন্তানের পাবলিক পরীক্ষার সনদপত্র 
  • সন্তানের জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন 
  • এছাড়াও স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করতে হয়। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন স্বামী স্ত্রী জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে এবং নাম পরিশোধন করার জন্য কি ধরনের কাগজপত্র। একজন মানুষ  সঠিক তথ্য প্রদান করে সঠিক জন্ম নিবন্ধন সঠিক এবং এর বিভিন্ন ভুল সংশোধন করার জন্য কাগজপত্রগুলো অত্যন্ত জরুরি। যারা জানেন না যে জাতীয় পরিচয় পত্র পরিবর্তন করতে কি ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হয় তাদের জন্য এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে।

জন্ম তারিখ সংশোধন করতে কি কি লাগে জেনে নিন 

জন্ম তারিখ সংশোধন করতে যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন তা আমাদের জানা উচিত। তাহলে আপনারা খুব সহজেই জন্ম তারিখের কোন ভুল হলে তা পরিবর্তন করতে। সাধারণত যাদের ৫ বছর পর্যন্ত বয়স তারা জন্ম তারিখ সহজে সংশোধন করতে পারে। এর জন্য নিচে দেওয়া উপযুক্ত কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হয়।

  • জন্ম তারিখ সংশোধন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি থাকে সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় তবে ছোট বয়সের প্রয়োজন হয় না। 
  • জন্ম সনদ ব্যবহার করতে হয় যার মধ্যে সঠিক সাল দেওয়া আছে। 
  • সিভিল সার্জন কর্তৃক বয়স প্রমাণের রেডিওলজিক্যাল মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট প্রয়োজন হয়। 
  • চেয়ারম্যান কর্তৃক পারিবারিক সনদ অথবা পরিবারের সকল সদস্যের নাম পিতা-মাতা ভাই বোনের জাতীয় পরিচয় পত্রে নম্বর এবং জন্মের ক্রম উল্লেখ করতে হয়।
  • পেনশন বা অবসর ভাতা বইয়ের যদি সত্যায় তো কপি থাকে তাহলে তা লাগে। 
  • অনেক সময় সার্ভিস বই এমপিও সিটের কপি চাকরির আইটি প্রয়োজন হতে পারে। 

একাগজ পত্রগুলো থাকলে আপনি জন্ম তারিখ সংশোধন করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন এবং বিভিন্ন ধরনের জাতীয় পরিচয় পত্রের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। এছাড়া আপনি জানতে পারবেন আজকে যে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন করতে কি কি জিনিস প্রয়োজন হয়। যা জানা থাকলে আপনি কোন সমস্যা ভোটার আইডি কার্ডের থাকলে তা সমাধান করতে পারবেন। 

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন করতে  কি কি লাগে

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন করার জন্য যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কোন প্রয়োজন হয় তা এখন আপনি দেখে নিন। যদি কখনো আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সমস্যা হয় বা কারো যদি এই সমস্যা হয় তাহলে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সঠিক করার জন্য তা দেখুন। 

  • প্রথমে আপনাকে সিটি কর্পোরেশন পৌরসভা বা ইউনিয়নের পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ নিতে হবে।
  • আপনার জমির দলিলের প্রয়োজন হবে। ফটোকপি দিতে হবে অথবা মূলকপি ও দেখতে যেতে পারে। 
  • ইউটিলিটি বিল এর কাগজ দেখাতে হবে এবং এর কপি প্রয়োজন হবে। 
  • জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্ট এর কপি। এছাড়া অন্যান্য কিছু প্রমাণ।

 

ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন করতে  কি কি লাগে

এই বিষয়গুলো যদি আপনি সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করেন বা অনলাইনে যোগাযোগ করেন। তাহলে সহজেই আপনার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন করতে পারবেন। রাজশাহীর মধ্যে কেউ যদি তার আইডি কার্ডের সমস্যা সমাধান করতে চাই তাহলে আমাদের যোগাযোগের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারে। সহজে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিক বিভিন্ন সমস্যা সংশোধন করার জন্য উপকারিতা হবেন। 

ভোটার আইডি কার্ডে বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন করতে প্রয়োজন হয় 

ভোটার আইডি কার্ডের বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হয় তা অনেকেই জানে না। তাই নিচের তথ্যগুলো দেখুন এবং জেনে নিন। কিভাবে প্রবাহিত অবস্থার পরিবর্তন করার জন্য কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। একজন মানুষ ভোটার আইডি কার্ড এর প্রভেদ অবস্থা পরিবর্তন করতে এই কাগজ গুলো ব্যবহার করে। 

আরো পড়ুনঃ বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ও গোপন উপায় জানুন

  • প্রথমে বিবাহের কাবিননামা প্রয়োজন হবে। যারা যারা এর সাথে সম্পর্কিত তাদের সকলের জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি প্রয়োজন হতে পারে। 
  • হিন্দু ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কিভাবে রেজিস্ট্রেশন না হয়ে থাকলে উভয়পক্ষ কর্তৃক প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এফিডেভিট করে। এটা সকল ক্ষেত্রেই হয়। 
  • এবং সন্তানের পারিবারিক যে পরীক্ষার সনদ রয়েছে তা প্রয়োজন হবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে। 
  • বিভাগ বিচ্ছেদের স্থানে সার্টিফিকেট স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু সনদ যদি থাকে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

ভোটার আইডি কার্ডের এই সংশোধনী করার জন্য একটা কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। ভোটার আইডি কার্ডের জন্মস্থান সংশোধন করার জন্য বিভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। তার মধ্যে যে কাগজপত্রগুলো অত্যন্ত উপযোগিতা আপনাদেরকে জানানোর জন্য উপস্থাপন করলাম। একজন মানুষ ভোটার আইডি কার্ডের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করার জন্য বিভিন্ন ঝামেলায় পড়ে যায় আপনি সবচাইতে সহজে অনলাইনে করতে পারেন। 

ভোটার আইডি কার্ডের জন্মস্থান সংশোধন করতে যা লাগে 

ভোটার আইডি কার্ডের জন্মস্থান সংশোধন করার জন্য যে কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হয় তার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে কাগজগুলো তা আপনাদের নিচে জানানো হলো এগুলো দিয়ে আপনি আপনার ভোটার কার্ডের জন্মস্থান পরিবর্তন করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম ও টিপস জানুন

  • সিটি কর্পোরেশন পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক যে প্রদত্ত সনদ দেওয়া হয় তা প্রয়োজন হবে। 
  • আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি বা আসল কপি প্রয়োজন হতে পারে। 
  • জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র এবং ভোটার আইডি কার্ডের পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে।

তাই আপনি খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড এর জন্মস্থান চেঞ্জ করার জন্য উক্ত কাগজ পাতি জমা দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের যোগাযোগ করতে পারেন। অনলাইনে অথবা অফলাইনে এর মাধ্যমে আপনি তা সংশোধন করে দিত পারেন।

ভোটার আইডি কার্ডের পেশা সংশোধন করতে যা লাগে 

ভোটার আইডি কার্ডের পেশা সংশোধন করতে যে বিষয়গুলো প্রয়োজন হয় তা আমাদের জানা উচিত। আমরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন করার জন্য বিভিন্ন কাগজপত্র ব্যবহার করি তবে ভোটার আইডি কার্ডের পেশা সংশোধন করার জন্য নিচের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। 

  • প্রথমে নিয়োগপত্র প্রয়োজন হবে। যেখানে আপনি কাজ করছেন এবং পেশাগত আছেন। 
  • পেশাভিত্তিক যে সনদ থাকে তা প্রয়োজন হবে। 
  • সিটি কর্পোরেশন পৌরসভা বা যে ইউনিয়নে আপনি বাস করেন তার কর্তৃক সনদপত্র। 
  • অন্যান্য কিছু প্রমাণপত্র প্রয়োজন হতে পারে। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে তাই সমাধান করার জন্য এই উপায় গুলো ব্যবহার করা হয়। আপনি চাইলে ছবি স্বাক্ষর আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ পরিবর্তন করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি, আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন। 

ছবি, স্বাক্ষর, আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ পরিবর্তন করতে যা লাগে 

ছবি স্বাক্ষর আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ পরিবর্তন করার জন্য যে বিষয়গুলো আপনাকে মাথায় রাখতে হবে তা ইতিমধ্যে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন। আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্রের বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন করার জন্য এসব তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে অনলাইন অথবা অফলাইনে।  

ছবি, স্বাক্ষর, আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ পরিবর্তন করতে যা লাগে

আপনার মোবাইল থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় এবং আপনাকে কি ধরনের উপায় অবলম্বন করে সংশোধন করতে হবে। এছাড়া এই পোস্টের ভিতরে আরো পড়ুন অপশন গুলো দেয়া আছে। তার মধ্যে আপনি বিস্তারিত আরও অনেক তথ্য দেখতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে জানুন 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এটা আমাদের অনেকেরই অজানা। আমরা অনেকেই মনে করি প্রচুর পরিমাণ টাকা লাগতে পারে এই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে মাত্র ২৩০ টাকা ফি লাগে। পাশাপাশি অন্যান্য এনআইডি কার্ডের সমস্যা সংশোধনের জন্য ১১৫ এবং উভয় ধরনের সমস্যা থাকলে ৩৪৫ টাকা লাগে।

এই টাকা আপনি যে কোন মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন অনলাইন ভিত্তিক যেমন বিকাশ, রকেট। তাই আপনি নিশ্চিন্তে কোন চিন্তা ছাড়াই কম খরচে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে অনলাইনে যোগাযোগ করতে হবে। অনলাইনে যোগাযোগ অত্যন্ত সহজ এবং যা করে খুব সহজেই কাজটি সম্পন্ন করা যায়। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার নিয়ম জানুন 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমে আপনাকে ভিজিট করতে হবে, services.nidw.gov.bd। এখানে আপনার এনআইডি নম্বর জন্ম তারিখ ও ঠিকানা দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এবং একাউন্ট লগইন করা হয়ে গেলে আপনি সেখান থেকে এডিট লিংক ক্লিন করে তথ্যগুলো সংশোধন করুন। 

আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু ফ্রী প্রদান করতে হবে এবং কাগজপত্র আপলোড করে জমা দিতে হবে। তাহলে আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে তথ্য সংশোধন হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের প্রক্রিয়াটি সহজে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। যার ধাপ ফলো করলে আপনি নিজেই এই কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবেন। 

প্রথমে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি তুলে নিতে হবে। তবে সবচাইতে ভালো হয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করার পূর্বে আপনার প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র ছবি করতে নির্দিষ্ট সাইজের মধ্যে ক্রপ করে নেওয়া। অথবা টেবিলের উপর রেখে ছবি তুলে নিতে পারেন। 

দ্বিতীয় ধাপ, এর জন্য যদি জাতীয় পরিচয় পত্রের সাইড রেজিস্ট্রেশন করা থাকে তাহলে সরাসরি এনআইডি কার্ড নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন এবং যদি লগইন করা না থাকে তাহলে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করে নিন। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার নিয়ম

তৃতীয় ধাপ তথ্য সংশোধন করুনঃ এখানে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে যেমন জাতীয় পরিচয় পত্রের একাউন্ট লগইন করে প্রোফাইল অপশনে চলে যেতে হবে। এখানে তিন ধরনের তথ্য রয়েছে ব্যক্তিগত ও নানু তথ্য ও ঠিকানা। আপনি যেটা সংশোধন করবেন তার উপরে ক্লিক করতে হবে। আমি আপনাদেরকে ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করার জন্য উপরে ডান পাশ থেকে এডিট বাটনে ক্লিক করলে নিজের অপশন গুলো দেখতে পারবেন এবং এভাবেই সকলগুলো করা যায়। 

চতুর্থ ধাপ, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি প্রদান করার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে তা পর্যায়ক্রমে দেখুন। আমি বিকাশ রকেট থেকে করতে পারবেন আপনাদের কি বিকাশ থেকে করে দেখানো হলো। প্রথমে আপনাকে বিকাশ অ্যাপস এর ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সরাসরি পে বিল অপশনে চলে যান। এরপর সেখান থেকে সরাসরি ফ্রি অপশনে ক্লিক করে এনআইডি সার্ভাইস অপশনটি বাছাই করুন। 

 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার নিয়ম

এরপর আপনার এনআইডি নম্বরটি ইংরেজিতে লিখুন, আপনার আবেদনের ধরন বাছাই করুন। সাথে সাথে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বর দিয়ে ফ্রি পরিশোধ করুন। কি পরিশোধ করা হলে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্রের ওয়েবসাইটে আবার ফিরে যান এবং প্রমাণপত্রসহ আপলোড করে আবেদনটি সাবমিট করুন। ও ফুট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে পাশাপাশি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ আপলোড করতে হবে।

পঞ্চম ধাপ, ডকুমেন্ট আপলোড ও আবেদন সাবমিট হয়ে গেলে প্রথম ধাপের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো স্থানের ছবি তুলে ফোল্ডারের রাখার জন্য বলেছিলাম সেগুলো আপনাকে প্রয়োজন মোতাবেক ডকুমেন্টগুলো আপলোড করে সাবমিট করতে হবে। আপনি আইডি কার্ডের যেসকল তথ্যগুলো পরিবর্তন করে জমা দিতে চেয়েছিলেন তা প্রমাণ স্বরূপ প্রয়োজনীয় ভ্রমণ করে আপলোড করতে হবে। 

শেষ ধাপ, এই সময় আবেদন সাবমিট করার পর ডাসপর্ড ফিরে আসুন এবং উপরের দিকে আবেদনটি ডাউনলোড করার একটি লিংক দেখতে পাবেন লিংকে গিয়ে ক্লিক করলে জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে পারেন। বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ডাউনলোড করবেন এবং কিভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবেন। 

১৩লেখক এর শেষ মন্তব্য 

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে আমাদের জানা উচিত এবং কোন কোন উপায়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায়। এই বিষয়গুলো আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত। আমরা পর্যন্ত ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকে বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন করতে হয় ভুল থাকার কারণে। বিষয়টি একটি সময় সাপেক্ষ তাই আপনাদেরকে জানা উচিত যে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। 

আপনি যদি সচেতনতার সাথে কোন কাজ করেন তাহলে সে কাজের ফলাফল সহজে পাওয়া যায়। আপনি যদি আজকের এই তথ্যটি সম্পূর্ণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন যে কি উপায়ে ব্যবহার করতে হয় এবং কতদিন সময় লাগতে পারে কত টাকা প্রয়োজন হতে পারে সে সকল বিষয়ে। সাধারণত ১৫ দিন থেকে এক মাসের মধ্যেই হয়ে যায়। যে কোন ধরনের অনলাইন পরিবর্তনগুলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url