বাচ্চাদের জন্য ওটস এর উপকারিতা - বাচ্চাদের ওটস রান্নার নিয়ম জানুন

বাচ্চাদের জন্য ওটস এর উপকারিতা অনেকেই জানতে চাই। তাই আজকে ওটস সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করবো। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েন তাহলে অবশ্যই কেন বাচ্চাদের ওটস খাওয়ানো উচিত জানতে পারবেন।

বাচ্চাদের জন্য ওটস এর উপকারিতা - বাচ্চাদের ওটস রান্নার নিয়ম
সাধারণত আমরা জানি চার ধরনের ওটস পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে যেটা সবচাইতে ভালো বাচ্চাদের শরীরের সকল ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করে। তাই আজকের পোস্টটি থেকে জেনে নিন ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয়।

পোস্ট সুচিপত্রঃ  বাচ্চাদের জন্য ওটস এর উপকারিতা - বাচ্চাদের ওটস রান্নার নিয়ম জানুন

ভূমিকা 

ওটস একটি অসাধারণ শস্য জাতীয় খাবার। এই খাবারের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন মিনারেল যা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য উপযুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে যে গরুর দুধে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে সেই সেই ভিটামিন গুলো ওটস এর মধ্যে বিদ্যমান। ওটস খাওয়ার মাধ্যমে বাচ্চাদের শরীরের সকল ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। এটা বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত একটি খাবার। সহজেই পাচনযোগ্য যা বাচ্চাদের সকল ধরনের পুষ্টি চাহিদা মেটায়। 

আপনি যদি আপনার বাচ্চার জন্য উপযুক্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে চান। তাহলে নিঃসন্দেহে ওটস খাওয়াতে পারেন। ওটস খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ এবং ডাক্তারেরা একজন শিশুর ৬ মাস বয়স হওয়ার পর সম্পূর্ণ পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতিদিন ওটস খাওয়ানো উচিত। তাই আজকে ওটস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জেনে নিন। 

বাচ্চাদের জন্য ওটস এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত 

বাচ্চাদের জন্য ওটস এর উপকারিতা অতুলনীয়। একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য যেমন খাবার প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি একটি বাচ্চার ৬ মাস বয়স পার হওয়ার পর থেকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। সে দৃষ্টিকোণ থেকে বাচ্চাদেরকে খাওয়ানোর জন্য ওটস উপযোগী। এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা পর্যায়ক্রমে আমরা জানবো। তবে বাচ্চাদের ওটস এর উপকারিতা আগে জেনে নিন। 

  • প্রথমত বাচ্চাদের শরীরের সার্বিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওটস উপকারিতা। এটা শুধু শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং পাচনতন্ত্রের ক্রিয়া-কলাপ বৃদ্ধি করে যার কারণে স্বাভাবিক ওজন থাকে। 
  • শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য কাজ করে। এই ওটস এর মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং জিংক সহ পটাশিয়াম, সোডিয়াম রয়েছে। যা মানুষের হাড় এবং দাঁতের গঠনে সাহায্য করে। আরো ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস উপস্থিত। 
  • বাচ্চাদের রক্তের আয়রন বৃদ্ধি করে যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং রক্তের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ায়। যার কারণে শিশুদের ওটস খাওয়ানো উত্তম। 
  • শিশুদেরকে ওটস খাওয়ানোর অভ্যাস করানো উচিত। এতে স্নায়বিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ও বুদ্ধিমান করে।
  • ওটসের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার শিশুর শরীরের ফ্রিরেডিকেল গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং ক্ষতিকর ফি রেডিকেল কে ধ্বংস করবে।
  • শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করে। যা একটি শিশুকে স্বাভাবিক এবং সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য বিশেষভাবে সাহায্য করে। 
  • শিশুদের শরীরের হজম সমস্যা হর সম্ভাবনা কমায় এবং ওটস এর মধ্যে যে ডায়েরি ফাইবার আছে তা শিশুদের হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী করে। 

আরো পড়ুনঃ মৌরি খাওয়ার ২১টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অবাক করা তথ্য জানুন 

উপরে উল্লেখিত বিষয়ের পাশাপাশি একজন শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য যাবতীয় সকল ধরনের পুষ্টি চাহিদা রয়েছে ওটস এর মধ্যে। যার কারণে আপনি আপনার শিশুকে নিয়মিত ওটস খাওয়াতে পারেন।  বিভিন্ন ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকেন শিশুদের ছয় মাস বয়স হওয়ার পর ওটস খাওয়ার জন্য। এর সকল ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই শিশুকে ওস্ট খাওয়ার জন্য নিচে দেওয়া রেসিপি এবং খাওয়ার নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে পারেন।

বাচ্চাদের ওটস খাওয়ার অপকারিতা জানুন 

বাচ্চাদের ওটস খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে ডাক্তারের যে পরামর্শ রয়েছে তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। সাধারণত ওটস পুষ্টিকর খাবার এর মধ্যে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। যা একজন মানুষের জন্য উপযুক্ত। তবে শিশুদের জন্য এর কিছু প্রভাব রয়েছে যে বিষয়গুলো আমাদের জানা উচিত। কিছু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই ওটস কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়। আবার ওজন কমিয়ে দেয়।

তাই সাধারণত ছোট শিশুদেরকে এই ওটস খাওয়ানো উচিত নয়। এতে তাদের কিছু সমস্যা লক্ষ্য করা যায় যে সমস্যাগুলো থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে প্রাপ্তবয়স্ক ৬ মাস এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর বা তারও একটু পর সময় থেকে খাওয়ানো উচিত। গবেষণায় জানা গেছে ওটস প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত উপকারী তবে শিশুদের জন্য কিছু ক্ষতি করে থাকে। শিশু থেকে অতিরিক্ত ওটস খাওয়ালে ওজন বৃদ্ধি হয় না।

আরো পড়ুনঃ বরই পাতার উপকারিতা ও ক্ষতি - চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার জানুন

শরীরে অতিরিক্ত ক্লোরোস্টল জমা হয় এবং কিছু কিছু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা বমি এবং এলার্জির সৃষ্টি করতে পারে তাই ছোট বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে সাধারণত বাচ্চাদেরকে ৬ মাস বয়স থেকে ওটস খাওয়ানো পরামর্শ দিয়ে থাকে। আপনি আপনার বাচ্চাকে অল্প পরিমাণ ওরট নিচের উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে পারেন যা স্বাস্থ্য উপকারী এবং ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচায়। 

বাচ্চাদের ওটস রান্নার নিয়ম জানুন 

বাচ্চাদের জন্য ওটস রান্নার নিয়ম জেনে খুব সহজেই বাসায় তৈরি করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। যা আপনাকে ওটস রান্না করার জন্য সাহায্য করবে। ওটস একটি শস্য দানা জাতীয় খাবার কিছুটা গম এর মত দেখতে। এই খাবারটি বিভিন্ন উপায়ে রান্না করে খাওয়া যায়। তবে আপনাদের সামনে কিছু উপায় উপস্থাপন করলাম যা আপনাদেরকে ওটস রান্নার উৎসাহ দেবে। 

রেসিপিঃ এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ পরিমাণ ঘী দিন এবং ঘি গলে গেলে দুই চামচ পরিমাণ সজ্বি দিয়ে দিন। এরপর এর মধ্যে দুই টেবিল চামচ ওটস দিয়ে দিতে হবে। এরপরে এক থেকে দেড় মিনিটের মত ভেজে নিতে হবে। এ সময় হালকা তাপ দিয়ে রাখতে হবে চুলাই বা আপনি যেটাতে রান্না করবেন। বাচ্চাদেরকে সবসময় কম খাবার দেওয়া উচিত কারণ বাচ্চারা কম খাওয়ার খেতে পারে।

এটা যখন একটু লাল আকার ধারণ করবে তখন এর মধ্যে নরমাল পানি দিতে হবে পরিমাণ মতো।  আপেল ফিতর দিতে পারেন এবং সিদ্ধ করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য এক চিমটি লবণ দিতে পারেন। তবে যে বাচ্চাদের বয়স এক বছরের নিচে তাদের জন্য লবণ না দেওয়া উচিত। এরপর এর সাথে কুচি করা আপেল দিয়ে দিতে হবে। এরপর এই উপর একটি সুন্দর করে মিশিয়ে আপনি ভালো করে জ্বাল দিয়ে সিদ্ধ করে নিবেন। একটু পানি কম হলেই নামিয়ে নিবেন যা ঠান্ডা হলে খাবার উপযোগী।

বাচ্চাদের ওটস কোনটা ভালো জেনে নিন 

বাচ্চাদের ওটস কোনটা ভালো জেনে রাখা উচিত। সাধারণত চার ধরনের ওটস পাওয়া যায়। যার প্রত্যেকটাই খাওয়ানো যায়। তবে এর মধ্যে অর্গানিক খাওয়ানো অত্যন্ত উত্তম। আবার অনেকেই বলেছে ওটস ২০ ধরনের। তাই আমরা ওটস সম্পর্কে জানবো এবং কোনটা ভালো সেই বিষয়টিও নিশ্চিন্ত হবো। 

বাচ্চাদের ওটস কোনটা ভালো জেনে নিন
ওট গ্রোটোসঃ ওট গাছের যে অংশটি খাওয়া যায় তাকে ওট বলে এটা অন্যান্য খাদ্যশস্য ধান বা গমের মতই। অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং মানুষের খাওয়ার জন্য গুরুত্ব। যে কোনোভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় না ও খুব সহজেই রান্না করে খাওয়া যায়। 

স্টিল কাট ওটসঃ এই ওয়েস্ট মেশিনের ছোট করে কাটা হয় তাই একে স্টিল কাট ওটস বলে। কিছুটা চালের মত দেখতে। মেশিনে ছোট করে খাওয়ার উপযুক্ত করে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে রান্না করতে এটা বেশ স্বাস্থ্য উপযোগী। যা সব বয়সে রোগীরাই খেতে পারে তবে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটা অত্যন্ত উপকারী। 

রোলড ওটসঃ এটি পানির ভাবে অনেকক্ষণ সিদ্ধ করে নরম করে রুটির আকারে বল্ট ওটস তৈরি করা হয়। একটি ছবির মত আগে সেদ্ধ করে করে রাখা হয় তাই পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে সিদ্ধ হয়ে যায় এবং যা খুব স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রত্যেকটা শিশুর জন্য এটা অত্যন্ত পুষ্টি সরবরাহকারী এবং উপযুক্ত। এবং আপনি এক কথায় বলতে পারেন শিশুদের জন্য হোল গ্রেইন রোলড সবচাইতে ভালো।

বাচ্চাদের ওটস কোনটা ভালো জেনে নিন
কুইক ওটসঃ কুইক ওটস আরো একটি বেশি নরম এবং রান্না করতে কম সময় লাগে। এবং অনেকটা স্বাস্থ্য উপকারিতা এটাও শিশুদের জন্য খাওয়া যেতে পারে। এক কথায় বলতে গেলে প্রতিটা ধরনের অস্থি খাওয়া যায় তবে সবচাইতে স্বাস্থ্য উপকারী যে বিষয়টি তা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

একজন শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য যে সকল উপাদান দরকার আছে এর মধ্যে যা শিশুকে শারীরিক ও মানসিক সকল দিক থেকে শক্তিশালী করে। আপনি যদি আপনার শিশুদের সবচাইতে স্বাস্থ্যকর ওটস খাওয়াতে চান তাহলে অবশ্যই ওটস খাওয়ানো চাইতে যেকোনো এক ধরনের ওট খাওয়ানো উচিত। তবে আপনাকে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। যে খাবার যত কম প্রসেসিং করে খাওয়ার উপযোগী করা যায় সেই খাবার তত বেশি পুষ্টি উপকারী এবং স্বাস্থ্যকর। সেদিক থেকে সবচাইতে ভালো হচ্ছে ওটস স্টিল কার্ড ওটস যার জিআই লেভেল সবচেয়ে কম তা শিশুর জন্য ভালো। 

বাচ্চাদের ওটস খাওয়ার নিয়ম জানুন 

বাচ্চাদের ওটস খাওয়ার নিয়ম জানা উচিত কারণ বাচ্চারা অতি দ্রুত বাড়তি অবস্থায় থাকে। এই সময় প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান খনিজ ও বিভিন্ন ধরনের ক্যালরির প্রয়োজন হয়। তাই আপনি আপনার শিশুর প্রতিদিনের ক্যালরি চাহিদা পূরণ করার জন্য ওটস খাওয়াতে পারেন। প্রতি ১০০ গ্রাম ওটস এর মধ্যে রয়েছে ৪০০ কিলো ক্যালরি শক্তি একজন শিশুর জন্য যথেষ্ট। 

ওটস বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে ছয় মাস বয়সের পর। এর চেয়ে কম বয়সে খাওয়ালে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ৬ মাস হলে যে সকল বাচ্চারা আছে তাদেরকে ওটস খাওয়ানো যায়। বাচ্চাকে সাধারণ খাবারের পাশাপাশি ওটস খাওয়ানো অভ্যাস করতে হবে এতে শক্তিশালী ভিটামিন এর উৎস হিসেবে কাজে লাগানো যায়।

আরো পড়ুনঃ সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের ১৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন 

সকালে হালকা খাবার হিসেবে অল্প পরিমাণ ওটস খাওয়ানো উচিত। এর মধ্যে উপস্থিত ফাইবার পেটের হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী রাখবে। অতিরিক্ত খোদা এড়াতে আপনি যে কোন সময়ে খাওয়াতে পারেন বাচ্চাকে। তবে সবচাইতে উপযুক্ত সময়ে রাতে এবং সকালে সকালে খাওয়ালে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় শরীরে। এবং রাতে খাওয়ানোর অভ্যাস করালে শিশুটি সুস্থ সবল থাকে এবং তার পাচনতন্ত্র শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে খাওয়ালে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। 

ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয় সহজেই জানুন 

বাচ্চাদের ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয় এ বিষয়টা অনেকেই জানতে চাই। আসলে প্রকৃত অর্থে ওটস অনেক ভাবে তৈরি করা যায়। যা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মানুষ তৈরি করে খাবার উপযোগী করে। তবে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে উপায়টি বেশি অর্গানিক সেই উপায়ে ব্যবহার করা ওটস খাওয়ার জন্য উপযুক্ত। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওটস রয়েছে তার ভিতর থেকে আপনি সবচাইতে জনপ্রিয় এবং বেশি উপকারী যা খেতে পারেন। 

ওটস কিভাবে তৈরি করতে হয়

আরো পড়ুনঃ তুলসী পাতার প্রয়োজনীয় ১৪টি উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

  1. কোষ তৈরি কিভাবে হয়ঃ ওটস তৈরি করার জন্য আপনাকে ওটস গুলো সংগ্রহ করতে হবে। যা এক ধরনের শস্য দানা গম কিংবা চাউলের মতো। একটি প্রেসার কুকারে ওটস কে শুকনো করে ভালো করে ভেজে নিতে হবে মচমচে করে। 
  2. এর পরের ধাপে আপনাকে সেই ওটস গুলোর সাথে যেকোনো ধরনের সবজি যোগ করতে পারেন। এর সাথে প্রয়োজনে জল যোগ করতে পারেন, ও নুন, গোলমরিচ যোগ করতে পারে। এগুলো ছাড়াও করা যায় তবে আপনি দিলে বেশি উপকার হবে। 
  3. প্রেসার কুকারে ঢাকনা দিয়ে থাকে দুইটা সিটি পড়ার পর প্রেসার কুকার ওপেন করুন। এরপর সহজেই আপনি এটা পরিবেশন করে আপনার পছন্দমত আইটেম দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। এটা ছোট বড় সকল ধরনের মানুষ খেতে পারে। 
  4. এছাড়া আমি আপনাদেরকে এখন জানাবো কিভাবে গম থেকে ওটস তৈরি করে তা রান্না করতে হয়। এর জন্য প্রথমে আপনাকে এক কাপ কম নিতে হবে। এর জন্য আপনি কম যে কোন ধরনের নিতে পারেন।
  5. সেগুলোকে আপনি ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন পানি দিয়ে। এবার আপনাকে গমটি নরম করার জন্য পানি দিয়ে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর গম থেকে পানি ছাঁকা দিয়ে সরিয়ে নিতে হবে। এরপর ভালো করে গমের পানি ঝরিয়ে নিতে হবে এবং টিস্যু কাপড় অথবা সুতি কাপড় দিয়ে তবে রোদে দিয়ে শুকনো যাবে না। 
  6. এরপরে সেই শুকনো গম গুলো আপনি ৩০ সেকেন্ডের মত ব্লেন্ডার করে নিবেন খেয়াল রাখতে হবে খুব বেশি কুচি যেন না হয়ে যায়। এই উপায় আপনি সংরক্ষণ করতে পারেন এক মাস পর্যন্ত। এবং এটি রান্না করার জন্য প্রথমে একটি প্যানে দেড় কাপ দুধ নিয়ে নিন। মধ্যে তিন টেবিল চামচ ওটস দিয়ে দিন একটু নেড়েচেড় এবং সেদ্ধ করে নিতে হবে ভালো করে। এর সাথে প্রয়োজনীয় লবণ এবং মধু যোগ করা যায়। 

মিশ্রণ একটু ঘন হয়ে আসলে আপনি নামিয়ে নিবেন। এবং ইছামত এটা আপনার বাচ্চাদেরকে এবং প্রয়োজনের বয়স্ক সকল বয়সের খেতে পারে। বিজ্ঞানীরা এই খাবারটিকে গবেষণা করে দেখার পরে এটাকে সুপার ফুড হিসেবে বিবেচনা করেছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এবং শিশু সকল বয়সের মানুষই এই ওটস খেতে পারি। তাই সহজেই আপনাদেরকে ওটস কিভাবে তৈরি করে জানিয়ে দিলাম। 

বাচ্চাদের ওটস এর দাম - বড়দের ওটস এর দাম - রোল্ড ওটস এর দাম কত জানুন 

বাচ্চাদের জন্য এবং বড়দের জন্য যে ধরনের ওটস তৈরি করা হয় তা কিছুটা কম বেশি থাকে। তবে যে ওটস গুলো মানুষের খাওয়ার জন্য বেশি স্বাস্থ্য ও করে তা হচ্ছে রোলড যা বাঁচদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিভিন্ন ধরনের ওটস রয়েছে তবে (Quakers oats) ৫০০ গ্রাম এর দাম ৩৮০ টাকা। ওটস বিভিন্ন প্যাকেটের বিভিন্ন রকমের দাম রয়েছে আপনার সবচাইতে ভালো হয় যে প্যাকেটটি কিনবে তার উপরে নির্ভর করে দাম জানা। 

বাচ্চাদের ওটস এর দাম - বড়দের ওটস এর দাম
এছাড়া ৯০০ গ্রামের ওটস গুলো রয়েছে যেগুলোর দাম ৫৯০ টাকা যা প্রতি সালের আপডেট অনুযায়ী জানা যায়। আপনি যদি এই দামগুলো জেনে রাখেন তাহলে প্রতারণা বা ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আপনি পরিপূর্ণ সুস্থ সবল খাবার হিসেবে এই খাবারটি গ্রহণ করতে পারেন বাচ্চা এবং পরিবারের যে কোন মানুষ এটা খাওয়ার জন্য উপযুক্ত। আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের ওটস খেতে পারেন। 

অথবা উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করে আপনি বাসায় তৈরি করে স্বাদ অনুযায়ী খেতে পারেন। অত্যন্ত নির্ভেজাল এবং সহজেই তৈরি করা যায়। কিভাবে বাসায় বসে গম থেকে আপনি ওটস তৈরি করবেন তা আপনাদেরকে ধারণা দেওয়ার জন্য উপরে আলোচনা করেছি. আশা করি সেই বিষয়গুলো জেনে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি ওটস বাজার থেকে কিনে ব্যবহার করতে চান তাহলে উপরে উল্লেখিত ওটস গুলো ব্যবহার করতে পারেন। 

ওটস এর ভিতরে বিদ্যমান পুষ্টিগুণ ও উপাদান 

ফোর্স এর মধ্যে যে পুষ্টি উপাদানগুলো রয়েছে তা এক নজরে জেনে নেওয়া উচিত। একজন মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের কাজকর্মের সাথে যুক্ত থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যালরি ক্ষরণ করে। আপনি একজন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জন্য যে ধরনের পুষ্টি চাহিদা প্রয়োজন মনে করেন। তার প্রত্যেকটি পুষ্টি উপাদান এই ওটস এর মধ্যে রয়েছে। তাই প্রতি ১০০ গ্রামে কি পরিমানস রয়েছে তা জেনে নিন। 

ওটস এর ভিতরে বিদ্যমান পুষ্টিগুণ ও উপাদান

উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি উপাদান এই ওটস এর মধ্যে বিদ্যমান। গবেষণা করে দেখা গেছে যে একজন মানুষ গরুর দুধ খেলে যে পরিমাণ উপকারিতা পাবে তার সমপরিমাণ উপকারিতা বা উপকরণগুলো এই ওটসের ভিতরে পেয়ে যাবে। সুতরাং আপনি সুস্থ থাকার জন্য ওস্ট খেতে পারেন এবং আপনার পরিবার যে কোন সদস্যকে খাওয়াতে পারেন এই ওটস এর বিভিন্ন রেসিপি। যে রেসিপি গুলো ব্যবহার করে আপনি উক্ত উপাদান গুলো শরীরে সরবরাহ করতে পারেন। 

বাচ্চাদের জন্য ওটস এর উপকারিতা নিয়ে শেষ মন্তব্য 

বাচ্চাদের জন্য ওটস এর উপকারিতা তার জন্য আপনি উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করে ওটস খেতে পারেন। ইতিমধ্যে যে স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলোর কথা বলা হয় তার প্রত্যেকটি উপাদান এই ওটস এর মধ্যে রয়েছে। তাই আপনি আপনার শিশুর সুরক্ষার জন্য নিশ্চিন্তে ওটস খাওয়াতে পারেন। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে ওটস খাওয়ার জন্য তাদের শরীরে ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য উপযুক্ত। 

সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জন্য এই ওটস মানুষের শরীরে ফাইবার, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন বি, এবং মিনারেলের মতো পুষ্টি উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,জিংক, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকাশ ও গঠনের বিশেষভাবে সহযোগিতা করে। সুতরাং আপনি সুস্থ থাকার জন্য এবং আপনার বাচ্চাকে সুস্থ এবং রোগমক্ত রাখার জন্য ওটস খাওয়াতে পারেন। আশা করি বোঝাতে পেরেছি খাওয়ার মাধ্যমে বাচ্চাদের কি উপকারিতা পাওয়া যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্তআঁখি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url